এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • দূষণ ≠ প্লাস্টিক, প্লাস্টিক ≠ দূষণ

    Aniket Pathik লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৯ | ২০৯৬ বার পঠিত
  • বেশ কয়েক বছর আগের কথা; পলিমার সোসাইটি-র একটা আলোচনাসভায় পলিমারবিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল ভৌমিক-এর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আরো বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করুন’। পৃথিবীর নানারকম সমস্যার সমাধানে প্লাস্টিক কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, তা সেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা ছিল। আর গত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সেই দিনের যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে চোখ রেখে মনে হল পরিবেশ মানে শুধু দূষন আর বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণ, আর ৫ই জুন আসলে প্লাস্টিক বিরোধি দিবস; তাই সমস্ত আলোচনা-পদক্ষেপ সবই প্লাস্টিক দূষণ ও তার প্রতিরোধ নিয়ে, যে উদ্যোগের সামিল হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমও। এইসব আলোচনা-উদ্যোগ সবই দরকারী কিন্তু তাহলে কি আমাদের কাছে পরিবেশ মানেই দূষণ আর দূষণ মানেই প্লাস্টিক ! নাকি প্লাস্টিক মানেই দূষণ ! প্রফেসর ভৌমিক তাহলে কি বললেন ?

    সে কথায় আসার পরে আসছি। কয়েক বছর আগে রেডিওতে একটা সরকারি বিজ্ঞাপন শুনেছিলাম; জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছিল যতটা সম্ভব জনপরিবহণ (বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি) ব্যবহার করতে, বাড়ির সকলকে একটিই গাড়ি ব্যবহার করতে। তেল কম খরচ করা এবং গাড়ির ধোঁয়ার দূষণ কমানোই ছিল এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। বাস্তবে কিন্তু যাঁদের (একাধিক) গাড়ি আছে তাঁরা এই উদ্যোগে প্রথমেই বাধা দিয়ে বলেন ‘আমার গাড়ি, আমার (তেলের) খরচ, কার তাতে কি !’ (মনে করুন দিল্লীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোড় ও বিজোড় নম্বরের গাড়ির ধারণা, বেশ কয়েক বছর আগের কথা; পলিমার সোসাইটি-র একটা আলোচনাসভায় পলিমারবিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল ভৌমিক-এর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আরো বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করুন’। পৃথিবীর নানারকম সমস্যার সমাধানে প্লাস্টিক কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, তা সেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা ছিল। আর গত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সেই দিনের যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে চোখ রেখে মনে হল পরিবেশ মানে শুধু দূষন আর বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণ, আর ৫ই জুন আসলে প্লাস্টিক বিরোধি দিবস; তাই সমস্ত আলোচনা-পদক্ষেপ সবই প্লাস্টিক দূষণ ও তার প্রতিরোধ নিয়ে, যে উদ্যোগের সামিল হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমও। এইসব আলোচনা-উদ্যোগ সবই দরকারী কিন্তু তাহলে কি আমাদের কাছে পরিবেশ মানেই দূষণ আর দূষণ মানেই প্লাস্টিক ! নাকি প্লাস্টিক মানেই দূষণ ! প্রফেসর ভৌমিক তাহলে কি বললেন ?
    সে কথায় আসার পরে আসছি। কয়েক বছর আগে রেডিওতে একটা সরকারি বিজ্ঞাপন শুনেছিলাম; জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছিল যতটা সম্ভব জনপরিবহণ (বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি) ব্যবহার করতে, বাড়ির সকলকে একটিই গাড়ি ব্যবহার করতে। তেল কম খরচ করা এবং গাড়ির ধোঁয়ার দূষণ কমানোই ছিল এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। বাস্তবে কিন্তু যাঁদের (একাধিক) গাড়ি আছে তাঁরা এই উদ্যোগে প্রথমেই বাধা দিয়ে বলেন ‘আমার গাড়ি, আমার (তেলের) খরচ, কার তাতে কি !’ (মনে করুন দিল্লীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোড় ও বিজোড় নম্বরের গাড়ির ধারণা; হ্যাঁ তার জন্য গণপরিবহন ব্যাবস্থাটা অনেক উন্নত হওয়া দরকার, কিন্তু সেটা অন্য আলোচনার বিষয়)। এটাই সেই গোড়ার গলদ, পরিবেশ সচেতনতার পাঠ যেখান থেকে শুরু হওয়া উচিৎ । অর্থাৎ পরিবেশভাবনা মানে শুধু দূষণ নিয়ে নয়, সংরক্ষণ নিয়েও ভাবার কথা।

    পৃথিবীর জন্মসূত্রে যে সব প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা পেয়েছি তার মধ্যে কতকগুলো অফুরান (perpetual) যেমন সৌরশক্তি; কতকগুলো ‘রিনিউএবল’, যারা খরচ হলেও আবার নিজেই পূর্ণ হয়ে ওঠে যেমন খাদ্য, জল আর কতকগুলো ‘নন-রিনিউএবল’, যাদের ভান্ডার খরচ হচ্ছে কিন্তু পূর্ণ হচ্ছে না যেমন খনিজ পদার্থ, জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস)। সুতরাঙ আমাদের পরিবেশ ভাবনার বা সচেতনতার প্রথম কথা হল সম্পদের যথাযথ ব্যবহার; অফুরান সম্পদগুলোকে যতটা সম্ভব বেশি ব্যবহার করা, অন্যগুলোর যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শেখা। কারণ সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে শুধু ভাঁড়ারে টানই পড়ছে না, নানারকম দূষণেরও সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে জলতল নেমে যাচ্ছে যা আর্সেনিক দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অতিমাত্রায় জঙ্গল ধ্বংস করায় বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যার থেকেই বিশ্বজোড়া উষ্ণায়ন। সুতরাঙ কিভাবে পরিবেশের উপাদানগুলো ধ্বংস হচ্ছে আর কিভাবে আমরা সম্মিলিত চেষ্টায় সেগুলো কিছুটা কমাতে পারি এ সবই হল পরিবেশবিজ্ঞানের গোড়ার কথা যা আমাদের অন্ততঃ ৫ই জুন মনে করা / করিয়ে দেওয়া উচিৎ ।

    টাকা আমার কিন্তু সম্পদ যে আমার নয়, আমি খাবার বা শক্তি বা সম্পদ নষ্ট করার এমনকি যথেচ্ছ ব্যবহারেরও অধিকারী নই এই সচেতনতা মানুষে মধ্যে আনা সহজ কথা নয়। নয় বলেই আমাদের দেশে সূর্যালোকের বিশাল সম্ভারকে কাজে না লাগিয়ে বড় বড় বাজারগুলো এমনকি হাসপাতাল পর্যন্ত এমনভাবে তৈরী হয় যে সর্বক্ষণ কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয়। আমাদের সরকারি দপ্তরের ঘরে ঘরে লোক থাকুক না থাকুক সারাদিন গন্ডা গন্ডা বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে, পাখা ঘুরে চলে, এমনকি নিজের বাড়িতেও পাখা অকারণেই চালু থাকে। বাজার আমাদের কানে কানে বলে ‘মেক ইট লার্জ', আর আমরা ধনগর্বে ‘অপচয়’ কথাটাকে অভিধান থেকে তুলে দিতে চাই, পারলে বাড়ির সকলের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ি রাখি, শীতের রাতেও এসি কিম্বা ফ্যান না চালালে ঘুমোতে পারি না, উদবৃত্ত খাবারটা এমনকি পাড়াতুতো পোষ্যকেও না দিয়ে আমরা অনায়াসে জঞ্জালের গাড়িতে ফেলে দিই, অনাবশ্যক আলোর ছটায় রাতকে দিন বানিয়ে স্বাভাবিকতার বারোটা বাজাই, ভূগর্ভের জলাধারকে হু হু করে নামিয়ে দিই, কিন্তু সে সব কিছু ছেড়ে ভাবি কেবল প্লাস্টিক নিয়ে !

    কারণ প্লাস্টিক (ও পলিমার), তার দূষণ ও নিয়ন্ত্রণ সব নিয়েই আমাদের চিন্তা ভাবনা ভারী গোলমেলে। সুতরাঙ আগে বলে নিই, সব প্লাস্টিকই পলিমার কিন্তু সব পলিমারই প্লাস্টিক নয়; বিরাট পলিমার গোষ্টীর একটা অংশ হল প্লাস্টিক, যারাও আসলে একটা বিশেষ কোনো পদার্থ নয়, একটা বিরাট ও বিচিত্র শ্রেনীর হাল্কা, মজবুত এবং মুখ্যত নিস্ক্রিয় নির্মাণ উপকরণ যার উপযোগিতা অসীম। আর দূষণ বলতে যেমন আমরা এককথায় বুঝি প্লাস্টিক তেমনি প্লাস্টিক বলতে আমরা বুঝি ‘ক্যারিব্যাগ’ আর বোতল, যেগুলো মূলতঃ পরোক্ষ দূষণ ঘটায়; অর্থাৎ জমে গিয়ে বিপদ বাধায়, কেননা জিনিসটা পচে যায় না (ধাতু কিম্বা কাচও কিন্তু পচে না)। এ বিষয়ে অনেক তথ্য আমাদের জানা (এই সময়, ৫ই জুন, ২০১৮)। কেউ বলেন প্লাস্টিক ধ্বংস হতে চারশো বছর লাগে, কেউ বলেন ছ’শো বা হাজার বছর, কিন্তু চারশো বছর আগেও প্লাস্টিক ছিল না, তাই ঠিক কতবছর লাগে তা আমাদের সঠিক জানা নেই। কিন্তু আসলে তো প্লাস্টিক মানে সিরিঞ্জ থেকে মহাকাশযান অবধি এত বিচিত্র, বিস্তৃত ও ক্রমবর্ধমান এর ব্যবহার যাকে এককথায় নাকচ করা স্বপ্নেও সম্ভব নয়, দরকারও নয়। বরং প্রতিদিন নতুন নতুন পলিমারজাত পদার্থ আমাদের হাতে আসছে (যার কিছু প্লাস্টিকও বটে) যা অন্য কোনও পদার্থকে প্রতিস্থাপিত করছে। কেন করছে, কারণ স্থায়ীত্বে, গুণমানে সেটা আরো ভালো বলে (সেটাই প্রফেসর ভৌমিক বলতে চেয়েছিলেন)। আসলে যা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল কিছু প্লাস্টিকজাত বস্তু আর তাদের যথেচ্ছ ও যত্রতত্র ছুঁড়ে ফেলা। তাই যেটা দরকার সেটা হল এই সংক্রান্ত দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করা। সুতরাঙ প্লাস্টিকের পাতলা ক্যারিব্যাগ যাতে আদৌ তৈরী না হয়, ওষুধ, শ্যাম্পু, মশলার ছোট্ট প্যাকেট যাতে এখানে সেখানে না ছড়ায়, সেদিকে কড়া নজর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জঞ্জাল সংগ্রহ করার সময় কাচ ও প্লাস্টিকের জিনিস আলাদা ভাবে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা দরকার।

    দেশে ‘পুনর্ব্যবহারযোগ্য’ আর ‘পচনযোগ্য’ জঞ্জাল আলাদাভাবে সঞ্চয় ও সংগ্রহ করার ব্যবস্থা বহু পুরোনো। আমাদের দেশে অন্ততঃ শহরাঞ্চলে সেই উদ্যোগ দেখা গেলে তা প্লাস্টিক বর্জনের থেকে কিছু কম কার্যকরী হবে না। সাধারণ মানুষ মাইক্রনের মাপ বোঝেন না, মাপার যন্ত্র সঙ্গে নিয়েও ঘোরেন না। তাই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ৪০ মাইক্রনের বেশি না কম (যেন ৪০ মাইক্রনের বেশি হলে তা পচনযোগ্য হয়ে যাবে, দূষণ ঘটাবে না !) এই নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে এই প্যাকেট-ব্যাগ ইত্যাদি যাতে নর্দমায় না ফেলা হয়, তাই নিয়ে পৌরসভা, পঞ্চায়েৎ, কর্পোরেশন সকলের তরফ থেকে যদি সারাবছর ব্যাপক প্রচার করা হয়, সেটা অনেক বেশি কার্যকর হবে। বর্ষার আগে (মানে ঠিক ৫ই জুনের আগে পরে) যদি প্রসাশনের তরফ থেকে উদ্যোগ নিয়ে অঞ্চলের নালা-নর্দমাগুলো পরিস্কার করে ফেলা হয়, তারপর পরপর কয়েকদিন মাইক নিয়ে প্রচার করা হয় নালা-নর্দমা-পুকুরে প্লাস্টিক জঞ্জাল না ফেলতে, তাতেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায়। এই দায়িত্ব পাড়ার ক্লাবগুলোকেও দেওয়া যায়, তারা নিজেদের উদ্যোগেও করতে পারেন। ভোটের প্রচারে, দুর্গা-কালী-লক্ষী-গণেশ সকলের আরাধনায়, আরো হাজারটা কাজে এর চেয়ে অনেক বেশিই উদ্যোগ লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরিবেশের ব্যাপারে শুধু হোর্ডিং টাঙানো ছাড়া এইরকম বাস্তবসম্মত উদ্যোগ আমাদের বিশেষ চোখে পড়ে না।

    কিন্তু তার সঙ্গেই মনে রাখতে হবে যে পরিবেশ রক্ষায় ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে এটাই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য নয়। আমার সিগারেটের ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া, এসি-র ধোঁয়া (সি এফ সি), থালায় ফেলে দেওয়া খাবার, বুজিয়ে দেওয়া পুকুর, কেটে ফেলা গাছগাছালি...অভিশাপ সবাই দিচ্ছে। পৃথিবীর তাপমান একট একটু করে বাড়ছে, হিমবাহ একটু একটু গলছে, ওজোন স্তর ফুটো হয়ে অতিবেগুনী রশ্মি নেমে এসে আস্তে আস্তে ক্ষতি করে যাচ্ছে। সে সবই আমাদের দিনগত পাপের ফল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৯ | ২০৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aniket Pathik | ***:*** | ০৭ জুন ২০১৯ ০৭:০৩49188
  • মোটের ওপর জানা কথাই আরেকবার লিখলাম। মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে পরের পর্ব য়াসবে।
  • | ***:*** | ০৮ জুন ২০১৯ ০৪:৪৬49189
  • হুম্ম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন