এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ

  • রেকর্ড নম্বর সহ অকৃতকার্য

    সৈকত বন্দোপাধ্যায়
    ইস্পেশাল | নববর্ষ | ১৫ এপ্রিল ২০২২ | ৮৩৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৬ জন)

  • বাংলা নাকি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে। নিউ-ইয়র্ক সিটিতে গত নির্বাচনে কিছু জায়গায় ভোটে বাংলা ব্যালট হয়েছে। বার্নি স্যান্ডার্স অনলাইন প্রচার করেছেন বাংলায়। লন্ডনে হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনের নাম লেখা হচ্ছে বাংলায়। রোম শহরে নাকি ইংরিজির চেয়ে বাংলা বেশি লোকে বলে। চারদিকে তাকালেই এইসব বিশ্বজয়ের খবর-টবর পাওয়া যায়। আরও হয়তো কিছু পাওয়া যেতে পারে, যা আমি জানিনা। এর সবই ঠিক। কিন্তু কথা হল, ভালো হোক বা মন্দ, এর সব দায়ই বস্তুত বাংলাদেশের। ভারতীয় বাঙালির নয়, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের তো নয় বটেই। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র একটিমাত্র ভাষাকে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বহির্বিশ্বে তুলে ধরে, তার নাম হিন্দি। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট কেবলমাত্র দুটি ভাষায়, ইংরিজি এবং হিন্দি। ভারতীয় বিমানসংস্থা এয়ার-ইন্ডিয়া বিদেশে (এবং দেশেও) ঘোষণা করে কেবলমাত্র হিন্দি এবং ইংরিজিতে। বহির্বিশ্বে ভারতের পরিচয় হিন্দিভাষী দেশ হিসেবে। আর বাংলার যেটুকু পরিচিতি, সেটা বাংলাদেশের ভাষা হিসেবে। সঙ্গে ফুটনোটে খুব ছোটো-ছোটো করে লেখা থাকে, "ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলেও এই ভাষাটি বলা হয়ে থাকে"। বাংলার পরিচিতি বলতে ওইটুকুই।

    ভারতীয় বাঙালিও এ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত না। একরকম ভাবে স্বীকৃতই হয়ে গেছে, যে, ব্যাপারটা এরকমই হবে। এরকমই হবার কথা। ইংরিজিতে আছে ঘ্যাম, হিন্দি হল রাজভাষা -- এখন সেটাকে ওই নামেই ডাকা হচ্ছে, আর বাংলার কী আছে? কিস্যু না। বাঙালি যদিও হিন্দি সিনেমা গুছিয়ে দেখে, কিন্তু "মেরে পাস মা হ্যায়" -- এই ডায়লগ যে নেহাৎই ফালতু, এর যে কোনো বৌদ্ধিক বা আবেগগত আবেদন নেই, সেটা সে নিজেও বিলক্ষণ বোঝে। হ্যাঁ, দুর্গাপুজো, পয়লা বৈশাখ, আর বঙ্গোৎসব-টব হয়, যেমন গ্রামে-গঞ্জে হয় চড়ক আর গাজন, কিন্তু সেসব নেহাৎই স্থানীয় কারবার। তার বাইরে, ভারতীয় বাঙালি অন্য ভারতীয়ের সঙ্গে স্বেচ্ছায় এগিয়ে গিয়ে কথা বলে হিন্দিতে। বাঙালির দ্বিতীয় প্রজন্ম ক্রমশ বাংলাটা ভুলে যাচ্ছে। শুধু বিদেশে বা ভিন রাজ্যেই না, খোদ কলকাতা শহরেও। কিন্তু এসব নিয়ে বলতে গেলে বাঙালি নিজেই হাঁ হাঁ করে উঠবে। তারা সর্বভারতীয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক হচ্ছে। আরও কী-কী হচ্ছে, ঈশ্বরই জানেন। সেখানে এসব ছোটো মনের পরিচয় দেওয়াটা ঠিক না।

    যদিও, যুক্তি দিয়ে জিনিসটা বোঝা দুষ্কর। বাঙালি যদি দিল্লি কিংবা নিউ-ইয়র্কে গিয়ে হিন্দি কিংবা ইংরিজি ভাষী হয়ে ওঠে, সেটাই যদি দস্তুর হয়, তবে বাংলায় এসে অন্যভাষীদের বঙ্গভাষী হয়ে ওঠারই কথা। আবার অন্যভাষীরা বাংলায় এসে যদি নিজের ভাষা বজায় রাখে, বা রাখতে পারে, অন্যত্র বাঙালিদেরও তেমনই হবার কথা। এর কোনোটাই হয়না। ভারতীয় বাঙালির কাছে এর কোনো ব্যাখ্যাও নেই। সম্ভবত অস্বস্তিকর বলেই। আর সেই জন্য প্রশ্নটা তোলাই ট্যাবু। তুললে কঠিন-কঠিন ইংরিজি গালি বর্ষিত হতে পারে।

    আর এটা ট্যাবু বলেই বাকি প্রশ্নগুলোও ওঠেনা। ভারতবর্ষের বাইরে ছাড়ুন, আপনি যদি দিল্লি থেকে অন্তর্দেশীয় উড়ানে কলকাতা যান, সেখানে ঘোষণা শুনবেন হিন্দি এবং ইংরিজিতে। তারপর যদি ট্যাক্সিতে ওঠেন, এবং ট্যাক্সিওয়ালা এফএম চালায়, শুনবেন, সব গানই হিন্দি গান। যদি বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখতে যান, তো দেখবেন, বেশিরভাগ সময়েই মাল্টিপ্লেক্সে একটিও বাংলা সিনেমা নেই। যদি বাংলার গর্ব বইমেলায় যান, শুনবেন, সব ঘোষণা হচ্ছে তিনটি ভাষায়, ইংরিজি, হিন্দি এবং বাংলা। একে ইংরিজিতে বলে ইনক্লুসিভনেস, বাংলায় বলে সকলকে আপন করে নেওয়া। তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আপন যদি করতেই হয়, তো স্রেফ হিন্দি কেন। পাশের পাড়ার ভোজপুরি, অসমীয়া, উড়িয়া, তেলুগু কী দোষ করল? প্রশ্ন করলে, আবারও কোনো উত্তর পাবেননা। কারণ এটাও ট্যাবুরই অংশ।

    যেটা ট্যাবু নয়, সেটা হল সংবাদ চ্যানেল। দিনের যেকোনো সময় যেকোনো সংবাদ চ্যানেল খুলুন, দেখবেন, চাট্টি লোক, পুরুষ বা মহিলা, একত্রে বিশুদ্ধ বাংলায় তারস্বরে চিৎকার করছে। সেটাকে আমজনতা বলে ঝগড়া, ওঁরা বলেন রাজনৈতিক বিতর্ক। তা,গোলাপকে যে নামেই ডাকুন, বার্তাটা পরিষ্কার। বাংলায় কাজ হয়না, সিনেমা হয়না, গান হয়না, শিল্প-সংস্কৃতি কিস্যু হয়না। ভাষাটা কেবলমাত্র একটা জিনিসের জন্যই উপযুক্ত, তা হল ঝগড়া। ওইটুকুই করা যায়। সেইজন্যই বাংলা সিরিয়ালে দেখবেন, তেড়ে ষড়যন্ত্র। সবাই সবার সঙ্গে ঝগড়া করে চলেছে। বাংলা ভাষায়। ওইটাই যাবতীয় সিরিয়ালের থিম। কিন্তু যেই গান চালাতে হল, হিন্দি গান চালিয়ে দিল। কারণ ঝগড়া ব্যতীত বাংলায় হয়টা কী।

    বাংলা লেখালিখির বাজারও তথৈবচ। ঝগড়ার বদলে 'জনপ্রিয়' লেখালিখি বেছে নিয়েছে এমন বিষয়কে, যা, ওইরকমই উচ্চমার্গীয়। স্বপনকুমার একটা সময় কচি বাচ্চারা পড়ত, বড়রা তা নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করত। ফেলুদার গোটা উপাখ্যানই তো বাংলা রহস্যরোমাঞ্চকে খিল্লি করে লেখা। আর এখন থ্রিলার নাম দিয়ে বড়দের জন্য প্রথমসারির সাময়িকীতে ছাপা হয় সেইসব গপ্পো বা উপন্যাস, যেখানে অনায়াসে অ্যাটম বোমা পিঠে নিয়ে সীমানা টপকিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে চলে যায় ভিলেন। গল্পের গরু ইনস্যাটে ওঠে, যমালয়ে চলে যায় জীবন্ত মানুষ। সে নিয়ে ঠাট্টা করলে গণপিটুনি খেতে হতে পারে। একটা সময় যেসব ইতিহাসনির্ভর লেখা, বা ধরুন রহস্যভেদী উপন্যাস স্রেফ কিশোরপাঠ্য পদবাচ্য ছিল, সেসবই এখন চশমা এঁটে পড়ছেন বিদগ্ধরা। সেখানে শাড়ি-ব্লাউজ পরে ঘুরছেন অষ্টাদশ শতকের মহিলা, সম্রাট আকবরের গাড়োয়ান দেশলাই জ্বেলে বিড়ি ধরাচ্ছেন, কিন্তু কাউকে কিছু বলার উপায় নেই। তার উপর আছে ভূতপ্রেত আর তন্ত্রমন্ত্র। এর সবই আগে হত। যেমন ঝগড়াও হত আগে, কিন্তু টিভি চ্যানেলে সেটাকে বিতর্ক বলে চালানো হতনা। সেরকম এগুলোকেও সিরিয়াস সাহিত্য হিসেবে কখনও চালানো হয়নি। এখন হয়। বাংলা ভাষায় ঝগড়া ছাড়াও তৃতীয় শ্রেণীর নভেলও লেখা হয় বটে।

    এ সবই একটা ভাষার অনাড়ম্বরে চুপচাপ উঠে যাবার প্রাথমিক লক্ষণ। তাতে কোনো সমস্যা নেই। পৃথিবীতে কত ভাষাই উঠে গেছে। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বাংলা ভাষাটা উঠে গেলেই বা কী। কিন্তু সমস্যা হল, এসবের পরে, বাঙালি আবার নিজেই নাক কুঁচকে বলে, বাংলায় ভালো সিনেমা হচ্ছেনা। ভালো লেখা হচ্ছেনা। আগে কত ভালো হত। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য কত সুমহান, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম, ইত্যাদি। খুব ভুল কিছু বলে তা নয়। টালিগঞ্জে এখন যাঁরা রাজত্ব করছেন, যাঁরা নাগাড়ে স্ক্রিপ্ট লিখে চলেছেন, যাঁরা প্রসব করে চলেছেন গপ্পো-উপন্যাস-কবিতা, তাঁরা এমনিতে, কে জানে, হয়তো শক্তিমান মানুষ, কিন্তু কর্মকান্ড দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। সর্বত্র, নিচু থেকে নিচুতর স্তরে যাবার প্রতিযোগিতা। কিন্তু কথা হল, একটা ভাষা এবং তৎসংলগ্ন সংস্কৃতি উঠে যাবার উপক্রম হলে, এরকমই হবে। যে পারবে নৌকো ছেড়ে বোম্বে পালাবে। বাদবাকি সবকিছু তলানিতে এসে ঠেকবে। এর সবটাই কিছু লোকের দায় নয়। তাঁরা একার উদ্যোগে ভাষাটা তুলে দেবার উপক্রম করেননি। করেছি আমরা সবাই মিলে। আমরা পরের প্রজন্মকে ভাষা শেখাইনি। আমরা শহরের রেডিও থেকে বাংলা গান উঠে যাওয়ায়, পলকটিও ফেলিনি। আমরা মাল্টিপ্লেক্স থেকে বাংলা সিনেমা উঠে যাবার পরে, লাইন দিয়েছি হিন্দি সিনেমা দেখতে। আমরা বহুভাষিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে বাকস্তব্ধ থেকেছি। আমরা বাংলা ভাষাকে সামাজিক অথবা রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ করে তো তুলিইনি, বরং তুলতে চাওয়াকে ট্যাবু বানিয়ে রেখেছি। এর দায় স্রেফ সিনেমাওয়ালাদের নয়, গদ্যলিখিয়েদের নয়, আমাদের সব্বার। আমরা সব্বাই ফেল করেছি। আজ থেকে দুশো বছর পরে, ভারত ভূখণ্ডে মরে যাওয়া বাংলা ভাষার ইতিহাস লিখতে হলে, আমাদের প্রজন্ম সম্পর্কে একটা কথাই লেখা থাকবে -- "রেকর্ড নম্বর সহ অকৃতকার্য"। চতুর্দিকে আঙুল তোলার আগে, বিশ্বের অন্যতম চিন্তাশীল জাতি হিসেবে, এইটা আমাদের মেনে নেওয়াই ভালো।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৫ এপ্রিল ২০২২ | ৮৩৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৭506605
  • যাহ, জ্যোতিষ্কর গল্পের ছবিটা এল না কেন? 
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::4c3:***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৮506606
  • হিন্দি, তেলুগু, ভোজপুরি, পন্জাবীতেও তো ভালো কন্টেন্ট নেই, তাহলে লোকে দেখছে কিকরে? আমার তত্ত্ব হল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে তো বাঙালী রাজা কোনওদিনই আসবেনা। সেই জায়্গায় খাজা হিন্দি বাংলার রাজা হয়ে বসে থাকবে।
  • তন্ময় বিশ্বাস | 2405:201:9001:9cb:15c2:2595:dbf7:***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৮506607
  • এটাও থাক
  • ek tha Tiger | 38.9.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৯506608
  • এলবোর বিদ্যেসাগর বিক্কিরি হলনি?
  • π | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫২506609
  • আর হ্যাঁ৷ বড়েস। এই  টপ টেনের প্রায় সব চাড্ডি বা ছুপাচাড্ডি।  এর পিছনে বিজেপি আর এস এসের অবদান বিস্তর! 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::326:***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৫506610
  • কোন টপ টেন? আচ্ছা এই অভীক সরকার কে? আনন্দবাজারের মালিক নাকি আমার বন্ধু?
  • এলেবেলে | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৫506611
  • ডিসিজনাব, দুক্কু কইরেন না। আমিও একটা সিনেমাও দেখিনি এবং এই টপ টেনের এক পাতাও আজ অবধি পড়িনি।
  • kintu | 162.218.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৬506612
  • টপ টেনে যারাই থাকুক, লোকে বাংলা পড়ছে তো! এককালে শুনি শরৎ চাটুজ্জে টপ টেনে ছিলেন, সেই নিয়ে রবিবাবুর হেবি আক্ষেপ ছিল। কালে কালে সেই সমোস্কিতিই বিকশিত হৈছে।
  • dc | 2401:4900:2328:c9e4:906c:87d9:547f:***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৭506613
  • এলেবেলে, তার থেকে গীতা দত্তর গান শুনুন :-)
  • cpm | 162.218.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৫৯506614
  • সিপিয়েম হেরে যাবার পরেই বাংলা সাহিত্যের মান পড়ে গেল। লেলিন এব্যাপারে কিচু বলেচেন?
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:০২506615
  • সমীক্ষাটা এতই প্রশ্নবোধক যে কৃত্তিবাসের ফন্ট সেটার নিজেই সবথেকে বড় ফন্টে প্রশ্নচিহ্নটাকে রেখেছেন 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::ea:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:০৫506616
  • সবথেকে বেশি বই বিক্রি হয় কার সেটা তো প্রকাশকরা জানবেন। তার জন্য সমীক্ষার কি প্রয়োজন।
  • এলেবেলে | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৪506618
    • S | 2405:8100:8000:5ca1::ea:1b6e | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:০৫506616
    • সবথেকে বেশি বই বিক্রি হয় কার সেটা তো প্রকাশকরা জানবেন। তার জন্য সমীক্ষার কি প্রয়োজন।
    ইল্লি আর কি। বাংলা বইয়ের ব্যবসাদাররা সবকটা ঘাঘু মাল। কত ছাপে সেটাই পরিষ্কার করে জানায় না। বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণও হয় না। পিওডি এসে যাওয়ায় এই এক নতুন। এসব টপ সিক্রেট ব্যাপার মশাই।
  • π | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৪506619
  • আজ আবার দাদাঠাকুর দেখছিলাম। আবার দিলে হয়তো আবার দেখব।
     
    কিন্তু দুঃখিত, এই পেজেরএই কন্টেন্ট দেখতে পারলাম না। অনেক ট্রেলর দেখেই বলছি।
    আপনি কোনগুলো দেখছেন আর রেকো করছেন? 
     
  • π | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৭506620
  •  
     আর এটার কত মিলিয়ন ভিউ আর কন্টেন্ট দেখবেন একটু। এই ভিউ আর আড থেকে কত টাকা উঠেছে বলে মনে হয়? সেটা কোন মহতী সিরিয়াল নির্মাণে গেছে?  এতো একটি নমুনা মাত্র। স্টার জলসার লিস্টি ধরে দেখে বলুন একটু।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::337:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:২৬506622
  • এই সিরিয়ালটা দেখেছি তো।
  • π | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫২506623
  • এতক্ষণে বুঝলাম। এসব দেখে সময়, মেজাজ নষ্টের বদলা নিচ্ছেন। অন্যদের দেখিয়ে। 
    তবে খিল্লি মেটিরিয়াল হিসেবে দেখলে ভালই এন্টারটেরমেন্ট। লোকজনকে নির্মল আনন্স থেকে বঞ্চিত করতে না চাওয়ার মহত উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।
  • S | 192.42.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩০506626
  • লোকে যদি গোপি বহু দেখতে পারে, তাহলে এইসব বাংলা সিরিয়াল না দেখার কি আছে।
  • Amit | 61.69.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২১506627
  • শুধু তামিল বা তেলেগু র পেছনে পড়া কেন ? এই দুটো জায়গায় ই লোকে ওভার দা টপ ড্রামা পছন্দ করে। হিরো ওয়ারশিপ প্রচন্ড বেশি- প্রায় ভগবান লেভেলের। মুভি হিরো গুলোই পরে মন্ত্রী হয়। ওখানে হিরোকে ​​​​​​​কমন ​​​​​​​ম্যান ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​দেখলে ​​​​​​​লোকে খাবে ​​​​​​​না। ​​​​​​​ওগুলোকে ​​​​​​​ছাড়ান ​​​​​​​দ্যান। ​​​​​​​ওসব কোটি ​​​​​​​কোটির ​​​​​​​বাজেট ​​​​​​​এর ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​আজকাল ​​​​​​​বলিউড ​​​​​​​ই ​​​​​​​পাল্লা ​​​​​​​দিতে ​​​​​​​পারেনা। 
     
    বাংলার জন্যে অনেক বেটার মডেল হতে পারতো মালায়ালম সিনেমা। এমনিতেও দেখি কেরালা র লোকজনের সাথে বাঙালি দের পলিটিকাল কালচারাল চিন্তাভাবনার সিমিলারিটি আছে। সেখানে প্রচুর ভালো সিনেমা -থ্রিলার বা সোশ্যাল ইসু নিয়ে তৈরী হয় & খুবই ভালো। বেশি ওভার দা টপ ড্রামা নেই। বিশাল বাজেট ও যে সবকটার থাকে তাও না। রিয়েল ইসু নিয়ে রিয়ালিস্টিক লো বাজেট সিনেমা বানিয়ে যাচ্ছে আর হিট করছে। দৃশ্যম বলিউড কপি করেছে। কদিন আগে উড়ায়ে বলে একটা দেখলাম - মেয়েদের ওপর অ্যাসিড এট্যাক ইস্যু নিয়ে বানিয়েছে। খুব ভালো লাগলো। আরো বেশ কটা দেখেছি নেট এ। 
     
    ভালো জিনিস বানাতে গেলে সবসময় বিশাল বাজেট লাগেনা। প্লট আইডিয়া টা অন্তত ভালো আর অরিজিনাল হওয়া দরকার। সেখানে বি গ্রেড বলিউড মুভির সি গ্রেড কপি বানাবো আমরা আর কাঁদুনি গাইবো কেও বাংলা ছবি দ্যাখে না আর নেহেরু বাংলা ছবির সব্বোনাশ করে গেলো - এটা আস্তে আস্তে প্রায় হাস্যকর লেভেলে চলে যাচ্ছে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::227:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২৭506628
  • কিন্তু বাংলার লোকেই তো বি গ্রেড সাউথ সিনেমার সি গ্রেড হিন্দি রিমেক দেখছে। দবঙ্গ দেখছে। আর বাংলা সিনেমা দেখে ঠিক মানিক বাবুর মতন হইলো না বলে নাক সিঁটকায়। সমস্যাটা সেখানেই।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::199:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৩২506629
  • মলয়লম সিনেমার একটা সুবিধা আছে। সাউথের অন্য রাজ্যগুলো তো বটেই, এমনকি গাল্ফও ওদের একটা বড় মার্কেট। সেটা বাংলার নেই। বেশিরভাগ সিনেমা বর্ডারই ক্রস করেনা। তাছাড়া কেরলের বহু অভিনেতারা সাউথের অন্য ভাষার ইন্ডাস্ট্রিতে অনায়াসে কাজ করেন। সেটাও বাংলার জন্য সহজলভ্য নয়।
  • | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪৭506630
  • ১( অঘোরে ঘুমিয়ে শিব হল তাজমহলের নীচে আসলে শিবমন্দির আছে সেই চাড্ডি প্রোপাগান্ডার বই। পি এন ওক থেকে ঝাপা মনে হয়। 
     
    ২) হ্যাঁ যেখানেই লেখক হিসেবে অ-স এর নাম দেখবেন বড়েস জানবেন উনি আপুনার দোস্তো। 
     
    ৩) আমাদের ভাগাড়পাড়া ইস্কুলে লাইব্রেরী বলে কিছু একটা বস্তু ছিল বটে। মানে বড়দিদিমণির ঘরে খান তিনেক আলমারি, কিন্তু সেসব বই কোন ছাত্রীই আমাদের ইস্কুলজীবনে পড়তে পায় নি। লাইব্রেরি ক্লাস, মেয়েদের লাইব্রেরির বই দেওয়া ইত্যাদির কোন প্রসেসই ছিল না। অধিকাংশ মেয়ে জানতও না এরকম কিছুর অস্তিত্ব। সময় সত্তর দশকের শেষ আর আশির দশকের শুরু।
     
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::30c:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:১৪506634
  • সে এখন এত্তবড় মানুশ হইসে? অভিককেই দেখেছি মদ খাবার আগেই মাতলামো শুরু করে দিতো। অন্য একটা ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়েছিলো তখন। কিন্তু খুব কেউ তো পাত্তা দিতো না। রাজ্যের লোকের কি এতই খারাপ সময় যে অভিকের কথা শুনতে হচ্ছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::19a:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:১৮506635
  • তাজমহলের নীচে কি আছে সেই নিয়ে এই ভিডোটা দেখেছেন নিশ্চই। কমেন্টগুলো আরো অসাধারণ।

  • | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৪506636
  • হ্যাঁ উনি বেশ তালেবর ফেখক (ফেসবুক লেখক) এবং ফেলেব। হাজার হাজার ফলোয়ার। 
     
    ও দেবারতির আরেকটা কাজ বেশ বিখ্যাত। এক না দেড়বছর মামলা লড়ে রয়ালটি আদায় করেছিলেন। এবার সেটা নিয়ে বোধয় গুরুতে কদিন আগেই একজন একটা খাসা গপ্প লিখেছেন। smiley
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১১:০১506637
  • রয়ালটি আদায়ের ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। প্রকাশকদের ব্যাবসা নিয়ে অস্বচ্ছতা ইত্যাদি বাংলাবাজারে খুব বিরক্তিকর ব্যাপার।
    কিন্তু এইটা নিয়ে গুরুতে গপ্পো কোথায়? মনে পড়ছে না তো।
  • dc | 182.65.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫১506641
  • এলেবেলের পোস্ট পড়ে, শুধু এই টইতে না, অন্যান্য টই বা ভাটেও, আমি একটা ব্যপার বুঝেছি বা রিয়েলাইজ করেছি। সেটা হলো, আমাদের বেশীর ভাগ আলোচনা কলকাতা কেন্দ্রিক হয়। আমাদের মানে শুধু গুরুর পাতা না, আমার চেনাশোনা লোকেদের কথাও বলছি। টিভি বা খবরেও যা দেখেছি, যখন কলকাতায় থাকতাম, সব কিছুই কলকাতা ঘিরে। এলেবেলের নানান পোস্ট পড়ে আমার মনে হলো সত্যিই তো, কলকাতার বাইরে বাকি রাজ্যের সংস্কৃতি ইত্যাদি কেমন? পড়াশোনা ইত্যাদির কি খবর? আর এটা আরও বেশী রিয়েলাইজ করলাম অনেক বছর চেন্নাইতে থেকে। এখানে কিন্তু লোকজন চেন্নাইএর বাইরের নানা ছোটবড়ো শহর, ডিসট্রিক্ট ইত্যাদি নিয়ে অনেক আলোচনা করে, লোকাল টিভি নিউজেও পুরো তামিল নাড়ুর খবর থাকে। এমনকি আমার তামিল বন্ধু বা চেনাশোনাদের মধ্যে একটা জিনিস আছে। মাঝে মাঝেই বলে "গোইং টু নেটিভ" - এটা এখানে খুব চালু ফ্রেজ। কারন চেন্নাইতে প্রচুর লোকের বাড়ি কোয়েম্বাতুর, সালেম, নাগেরকৈল ইত্যাদি ডিস্ট্রিক্টে আর এরা রেগুলার সেসব জায়গায় যাতায়াত করে। ফলে সব কিছু চেন্নাই কেন্দ্রিক হয়ে যায়নি।  
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১২506642
  • প্রকাশনা, সিনেমা, নাটক এসবের আলোচনায় কলকাতা আসবেই। হিন্দি সিনেমা তৈরি নিয়ে কথা বলতে গেলে মুম্বাই এলে যদি আমি বলি সাতারা নিয়ে কথা হচ্ছে না, বা আইটির কথায় পুনে এলে বলি হিঙ্গোলি কোথায় গেল, তা কী আর হয়। তামিল সিনেমা নিয়ে কথা হলেও ঐ কোদাম্বক্কম, চেন্নাই।

    অন্যত্র কিছু হাব হলে ভালো হত। কিন্তু তা তো হয়নি। এক বইমেলা ময়দান থেকে, আর সেক্রেটারিয়েট বিবাদি বাগ থেকে সরানোতেই চারদিকে যা হাহাকার হয়েছে, সে আর বলে লাভ নেই।

    এর বাইরে, কলকাতা কেন্দ্রিক ব্যাপারটা ডাইসি। গুরুর সাম্প্রতিক বেস্টসেলার নিমো। ওদিকে কোন্নগরের সমুদ্রতীর নিয়ে কত কথা। বাঁকুড়ার সংস্কৃতি নিয়ে উমদা লেখাপত্র হয়েছে। আমি সামান্য সুযোগ পেলেই কলকাতার বাইরে না, পবর বাইরে ত্রিপুরা নিয়ে আসি। নস্টলজির প্রিয় আখড়া মফস্বল। কিন্তু কিছু জিনিস তো বড় শহর কেন্দ্রিকই বতে।

    প্রাথমিক শিক্ষা, বৃহত্তর বাজার এসব নিয়ে অবশ্য ফার্স্ট হ্যান্ড গ্রাম মফস্বল জেলা শহরের খবর পাওয়া গেলে ভালো হতো, সেসবের বেশি রিপ্রেজেন্টশন থাকলে ভালো হতো অবশ্যই, খুবই দরকারি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন