এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • যুদ্ধের দামামা এবং মিডিয়ার মিথ্যে  -নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৯ মে ২০২৫ | ১৯৫১ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (৪ জন)
  • গতকাল নিউ-ইয়র্ক টাইমসে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন বেরিয়েছে, এই যুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে। সেটা অনুবাদ করে নিচে দিলাম। তাড়াহ্হুড়োয় সামান্য কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, কিন্তু বড় কিছু নেই। 

    কীভাবে যুদ্ধের দামামার মধ্যে ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যেকে বহুগুণ করেছে 
     
    প্রতিবেদনে ছিল ভারতের অভূতপূর্ব সাফল্যের বিবরণ: ভারতীয় হামলা একটি পাকিস্তানি পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত করেছে, দুটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং পাকিস্তানের করাচি বন্দরের একাংশে আঘাত হেনেছে—যে বন্দর দেশটির তেল ও বাণিজ্যের প্রাণরেখা।
     
    প্রতিটি তথ্য ছিল অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট, কিন্তু এর কোনোটিই সত্য না।
     
    ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক তীব্র সামরিক সংঘাতের সময় ও পরবর্তী কয়েক দিনে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্যের স্রোত ছিল প্রচণ্ড। সীমান্তের উভয় পাশে সত্য ও মিথ্যার ভেদ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল—কারণ মিথ্যা, অর্ধসত্য, মিম, বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ এবং অতিরিক্ত মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিবর্তিত ভাষণের আধিক্য।
     
    এই বিভ্রান্তিমূলক তথ্যপ্রবাহের কিছু অংশ মূলধারার গণমাধ্যমেও প্রবেশ করে। এটা এমন একটা পরিবর্তন, যা বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে, কারণ ভারতের এমন কিছু সংবাদমাধ্যমের মধ্যে এই বিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যারা আগে নিরপেক্ষতার জন্য পরিচিত ছিল। খবর প্রকাশে প্রতিযোগিতা এবং অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে রিপোর্টিং,  এই চার দিনের সংঘাতকালীন সময়ে চরমে পৌঁছে যায়, যেখানে সংবাদ উপস্থাপক ও বিশ্লেষকরা পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত দুটি দেশের যুদ্ধের চিয়ার-লিডার হয়ে ওঠেন। কিছু পরিচিত টিভি চ্যানেল যাচাই না করা তথ্য প্রচার করে বা এমনকি সম্পূর্ণ ভুয়া গল্পও প্রকাশ করে, জাতীয়তাবাদী উন্মাদনার এই প্রাবল্যে।
     
    সংবাদমাধ্যমগুলো একটি তথাকথিত পাকিস্তানি পারমাণবিক ঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার খবর প্রচার করেছিল, যা নাকি তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছিল। তারা হামলার স্থান চিহ্নিত করে বিস্তারিত মানচিত্রও শেয়ার করেছিল। কিন্তু এই দাবিগুলো সমর্থন করার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনী করাচিতে হামলা চালিয়েছে—এই গল্পও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়, কিন্তু পরে তা অস্বীকৃত হয়েছে।
     
    "আমরা যখন বিভ্রান্তিকর তথ্যের কথা ভাবি, তখন আমাদের মনে পড়ে অজ্ঞাতনামা লোকদের, বা অনলাইনে ছড়ানো বটদের, যাদের উৎস আমরা জানি না," বলেছেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, সুমিত্রা বদ্রিনাথন, যিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভুয়া তথ্য নিয়ে গবেষণা করেন। ২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময়েও সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল, তবে এবার যা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করেন ড. বদ্রিনাথন, তা হলো: "পূর্বে যেসব সাংবাদিক ও বড় বড় সংবাদমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্য ছিল, এবার তারাই পুরোপুরি মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছে।"
    "যখন পূর্বে নির্ভরযোগ্য উৎসগুলো বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়, তখন সেটি এক বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়," তিনি বলেন।
    ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য এক সময়ে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত সাংবাদিকতার দৃশ্যপট থাকা ভারতের জন্য আরেকটি বড় আঘাত।
    সশস্ত্র সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই বিবদমান পক্ষগুলো মিথ্যা ও প্রচারছড়িয়ে আসছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোও নিজেদের দেশের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন থেকে বিরত থাকেনি কিংবা কখনো কখনো যাচাই না করে ভুল তথ্য দ্রুত প্রচার করেছে।
     
    কিন্তু সামাজিক মাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর সম্ভাবনাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আর ভারতে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার পর থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমাগত ক্ষয়ে যাচ্ছে। অনেক সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য প্রকাশ না করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, যা সরকারের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অন্য অনেক বড় টেলিভিশন চ্যানেলসহ কিছু সংবাদমাধ্যম আবার সরাসরি সরকারের নীতিকে প্রচার করতে শুরু করেছে। (অবশ্য কিছু ছোট স্বাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যম দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের প্রভাব সীমিত।)
    ভারতের অন্যতম প্রধান সাংবাদিক এবং ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপক রাজদীপ সরদেশাই গত সপ্তাহে টেলিভিশনে দর্শকদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে একটি খবর প্রচার করার জন্য, যা “সেই মুহূর্তে প্রমাণিত ছিল না,” বলে তিনি স্বীকার করেন।
     
    শনিবার তাঁর  ইউটিউব ভিডিও ব্লগে তিনি আবার ক্ষমা চান এবং বলেন যে কিছু মিথ্যা তথ্য ছিল একটি ইচ্ছাকৃত প্রচারের অংশ, যা “জাতীয় স্বার্থের ছদ্মাবরণে ডানপন্থী বিভ্রান্তিমূলক যন্ত্রের” দ্বারা পরিচালিত হয়েছে, এবং ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেলগুলো কখনো কখনো সেই ফাঁদে পড়ে যায়।
     
    বিভ্রান্তিমূলক তথ্য—অর্থাৎ এমন তথ্য যা দূরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়—এটি “প্ররোচিত করার জন্য তৈরি, কখনো কখনো গোপন রাখার উদ্দেশ্যেও, কিন্তু মূলত আবেগ উস্কে দেওয়ার জন্য, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ আকৃষ্ট হয়,” বলেন ড্যানিয়েল সিলভারম্যান, কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, যিনি এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। ভারত-পাকিস্তান প্রেক্ষাপটে, দুই দেশের দীর্ঘদিনের শত্রুতার কারণে সাধারণ জনগণ এমন মিথ্যা তথ্য সহজেই বিশ্বাস করে ও ছড়িয়ে দেয় বলে জানান ড. সিলভারম্যান।
    ভারতে, Alt News নামে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট, যা সামাজিক মাধ্যম এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত করে, অনেক ভুয়া রিপোর্টের প্রমাণ উপস্থাপন করেছে, যেগুলো প্রধান টিভি চ্যানেলগুলো, যেমন আজ তাক এবং নিউজ১৮, প্রচার করেছে।
    “তথ্যের পরিবেশ ভেঙে পড়েছে,” বলেন Alt News-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা। ফ্যাক্ট-চেকিং বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, বলেন তিনি, তবে এর একটা মূল্য আছে: Alt News বর্তমানে একটি মানহানির মামলার মুখোমুখি, যেটি অন্য একটি সংবাদমাধ্যম দায়ের করেছে। তাদের সাংবাদিকরাও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
     
    রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডারস অনুযায়ী, ভারতে ২০ কোটির বেশি পরিবার টেলিভিশনের মালিক, এবং প্রায় ৪৫০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল শুধুমাত্র খবরের জন্য নিবেদিত, যা টেলিভিশনকে দেশের অন্যতম প্রধান তথ্য উৎসে পরিণত করেছে।
    গত সপ্তাহে, অনেক পরিচিত টিভি চ্যানেল ভারতীয় নৌবাহিনী করাচিতে হামলা চালিয়েছে—এই গল্প সম্প্রচার করে। সেই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক্স-এ “Karachi” এবং “Karachi Port” ট্রেন্ড করতে শুরু করে এবং সামাজিক মাধ্যমে করাচি শহরের ওপর বিস্ফোরণে সৃষ্টি হওয়া কালো ধোঁয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
    পরে ফ্যাক্ট-চেকাররা খুঁজে পান, সেই ছবিগুলো আসলে গাজার ছিল। সংঘাত শেষ হওয়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানায়, তারা করাচিতে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে হামলা চালায়নি।

    **অনুপ্রিতা দাস এবং প্রগতি কেবির প্রতিবেদন
     
    মূল রিপোর্টঃ https://www.nytimes.com/2025/05/17/world/asia/india-news-media-misinformation.html
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ মে ২০২৫ | ১৯৫১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা  - Suvankar Gain
    আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৯ মে ২০২৫ ১২:২৭731488
  • আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস মাসে দুটো না তিনটে ফ্রিতে পড়তে দিত। তাও দিচ্ছে না দেখি। 
  • MP | 2409:4060:2d03:5dbe:9cf1:de5b:eb7d:***:*** | ১৯ মে ২০২৫ ১৩:৪৮731494
  • @অরিনল্যান , ব্যাপক সাইট শেয়ার করেছেন l অনেক ধন্যবাদ l ইসরাইলী ওয়েবসাইট গুলী বিশেষ করে hareetz দেখতে কাজে লাগবে খুবই l 
  • | ১৯ মে ২০২৫ ১৩:৫৭731495
  • উহ এত্ত এত্ত থ্যাঙ্কু অরিন। আনন্দময় হোক আপনার দিন।
  • ঋতব্রত ঘোষ | ১৯ মে ২০২৫ ১৫:১৮731497
  • ভারতের কিছু নির্দিষ্ট সংবাদ সংস্থা অবশ্যই অত্যুৎসাহী হয়ে কিছু ভুল খবর দেখিয়েছে, তবে তা বলে গোটা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এভাবে হেডলাইনে অপমান করা খুবই আপত্তিকর। আর NYT মানেই holy grail তা নয়।

    উদাহরণ হিসেবে মনে পড়ছে কোভিডের পরবর্তীকালে ভাইরাসের উৎস স্থল হিসেবে কোনো ল্যাব থেকে লিক হওয়ার থিওরিকে যারা সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ধরেছিলেন, তাদেরকে নিউইয়র্ক টাইমস খুব মারাত্মক ভাবে অপমান করে এবং "রেসিস্ট" জাতীয় কিছু বাছা বাছা শব্দগুচ্ছ দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করতে বাকি রাখা হয়। পরবর্তীকালে যখন ল্যাবলিক থিওরিটাই প্রধান হয়ে ওঠে, তখন কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস কোনো নোট, এডিট মার্ক ছাড়াই পুরনো খবর রাতারাতি বদলে দিতে থাকে। পরে পরোক্ষে হালকা করে ভুল স্বীকার করে: https://www.nytimes.com/2025/03/16/opinion/covid-pandemic-lab-leak.html

    আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে থিয়েট্রিক্স হয়তো কম, কিন্তু পোলারাইজেশন মারাত্মক বেশি, ভারতের থেকেও। হাফিংটন পোস্ট, সিএনএন, NYT,  ইত্যাদি সংবাদ মাধ্যম লিবারেল ও বামপন্থী ঘেঁষা এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফক্স নিউজ এর মত কিছু সংস্থা- এরা কনসারভেটিভ ঘেঁষা। এক "ক্যাম্প" -এর সংবাদ মাধ্যম কিছুতেই আরেক "ক্যাম্প"-এর ভালো বলবে না।

    আরেকটি খবরের লিঙ্ক দিচ্ছি। https://www.nytimes.com/interactive/2025/05/14/world/asia/india-pakistan-attack-damage-satellite-images.html - পড়ে বুঝতে পারবেন খবরের বডিটি একরকম কিন্তু হেডলাইনটি আরেকরকম। খবরের বডিটিতে লক্ষ্য করবেন যে একটি দেশের অপর একটি দেশের ওপর নিশ্চিন্তভাবে কিছু সুবিধা অর্থাৎ edge ছিল, কিন্তু হেডলাইনে গোটাটাকেই পাল্টে একেবারে দুই দেশকে এক সারিতে বসানোর জন্য বিশেষ চেষ্টা করা হয়েছে। এটা পাশ্চাত্য সংবাদমাধ্যমের একটা কার্ডিনাল সিন। পাকিস্তান ও ভারতকে নিক্তিতে মেপে, এক মাপে রেখে, এক সারিতে বসানো।

    ভারত সংক্রান্ত রিপোর্টিং এ নিউ ইয়র্ক টাইমস অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাংবাদিকদের ওপিনিয়ন পিস এবং অন্যান্য লেখা ব্যবহার করে- সেটা অবশ্যই গোটা প্রক্রিয়াটাকে আরো সন্দেহজনক করে দেয়।



    ভারতের যেহেতু দক্ষিণপন্থী শাসকের শাসন যারা হিন্দু ন্যাশনালিস্ট সেই জন্য মার্কিন বাম ও লিবারালদের কাছে ভারতের বর্তমান সরকার চক্ষুশূল আবার একই সাথে ইউক্রেন-রাশিয়া কনফ্লিফটে ভারত, রাশিয়াকে তেল কিনে এবং অন্যান্য নানাভাবে সুবিধা করে দেওয়ায় ট্রাম্প এলন মাস্ক- এদের কাছেও ভারত চক্ষুশূল তাই আমেরিকা থেকে কোন খবর এলে অবশ্যই পাঁচবার সন্দেহের চোখে দেখার পরেই তাকে বিশ্বাস করা উচিত।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ মে ২০২৫ ১৫:৪৪731498
  • ঋতব্রতের কমেন্ট ঠিক জায়গায় ঢিল দিয়েছে। তাতে নাট ঢিলা বাবুর কোন চিত্ত বিকার হবে না অবশ্য।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ মে ২০২৫ ১৫:৫৮731499
  • ভারতের মিলিটারি ভারতের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিচ্ছে না। ঠিকই করছে। কারণ ভারত ডামি প্লেন পাঠিয়ে ওদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে সেগুলো ধ্বংস করছিল। পাকিস্তান ভাবছে অনেক প্লেন ধ্বংস করেছে। একটা সিট ইজেকসন তত্ব খাড়া করে ওদের একজন জানাচ্ছে চারটে প্লেন ধ্বংস হয়েছে। বাংলাদেশিরা ফেসবুকে এই নিয়ে লাফালাফি করছে। ভারতীয় মিলিটারি বলেছে আমাদের সব পাইলট নিরাপদে ফিরেছে। আর ক্ষয় ক্ষতি যুদ্ধের অঙ্গ।
    সিট ইজেকসন তত্বে কোন ভারতীয় পাইলট সিট ইজেক্ট করে নি। ওদিকে কেউ মরেনি।
    এবার ভেরিফাই করুন কোন প্লেনের পাইলট সিট ইজেক্ট করেছেন: 
     
     
  • MP | 2409:4060:2d03:5dbe:9cf1:de5b:eb7d:***:*** | ১৯ মে ২০২৫ ১৯:০৪731508
  • @ প্রবীরজিৎ , ভারতের পাকিস্তানী সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করার খবরটাও কিন্তু পাকিস্তানী সাংবাদিক ও বিদেশী সংস্থাই প্রথমে কনফার্ম করেছিলো l আসলে অনেক পাকিস্তানী সাংবাদিক আছেন যারা বর্তমান সেনাশাসকের ঘোরতর বিরোধী তারাও কনফার্ম করতেই পারতেন যুদ্ধের ঘটনা  কিন্তু তাদের তো ভারতে ব্লকই করে দেওয়া হয়েছে ! ঋতব্রতের তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় জন ঘোষিতভাবেই সেনাশাসনের বিরোধী, কিন্তু তাদের ভারতে ব্লক করবার ফলেই কোনো খবর আমরা পাচ্ছিনা l আদনান আমির নিজেই বালুচ এবং পাকিস্তানের বালুচিস্তানের নীতির বিরোধী ! পাকিস্তানের সেনাশাসনের বিরোধীদের কেন ব্লক করা হলো এই প্রশ্নটাও তো করা উচিত ! 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ মে ২০২৫ ১৯:৫৫731510
  • সরকার ছাগল। তাই সব ব্লক করেছে।
  • ঋতব্রত ঘোষ | ১৯ মে ২০২৫ ২০:১৮731511
  • @MP শুধু রাফাল ধ্বংসের কথা পাকিস্তানি সরকার আর মিডিয়া বলেনি। আরও অনেক বানোয়াট কথা বলেছে। আর দু'টো যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, এরকম শোনা যাচ্ছে নানান সূত্র থেকে। সেই দু'টোই রাফাল এখনো এরকম কেউ বলেনি। মিগও হতে পারে। আর কখনো ৫, কখনো ৬ বিমানের কথা শোনা যাচ্ছিল। সেগুলো ভুয়ো।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ মে ২০২৫ ২০:২১731512
  • রাফায়েল যদি ধ্বংস হয়ে থাকে একদম ভ্যানিস হয়ে গেছে পাইলট সুদ্ধ। এমন মিসাইল ছুড়েছে যে সব ভস্ম হয়ে গেছে।
  • MP | 2401:4900:3f09:1192:b0aa:da49:7ffd:***:*** | ১৯ মে ২০২৫ ২০:৪০731516
  • @ ঋতব্রত , যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হয় এটা তো আমাদের বায়ুসেনা প্রধান নিজেই বলেছেন l কিন্তু সৈকতবাবু সেসব সামরিক বিষয় নিয়ে না বলে বলছেন যে যুদ্ধের সময়ে অনেক ভারতীয় মিডিয়া, প্রথিতযশা সাংবাদিক যেমন বরখা দত্ত এরা ডাহা মিথ্যা খবর প্রচার করে যেমন ইসলামাবাদ বিজয় , বালুচিস্তান স্বাধীন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি বলে ভারতের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করেছেন l এটা তো প্রমাণিত সত্যি l এটাই উনি বলতে চাইছেন l এর বিরুদ্ধে আপনার সেরকম কোন আর্গুমেন্ট আছে কি ? পাকিস্তানী সাংবাদিকেরা বিশ্বাসযোগ্য নন এটা ছাড়া আর কোন আর্গুমেন্ট থাকলে ভালো 
  • ঋতব্রত ঘোষ | ১৯ মে ২০২৫ ২২:৩৬731518
  • @MP
     
    কয়েকজন সাংবাদিক বা কয়েকটি চ্যানেল  অতিরঞ্জিত বা ভুল খবর প্রকাশ করলে, ভারতের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয়, এটা তো জানা ছিল না। এরকম চিন্তা করলে তার চিন্তা করার ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান হতে হয়।
     
    ভারতের বেসরকারি মিডিয়া ভারত নয়, সরকার নয়, ভারত সরকার তো একেবারেই নয়।
     
    এতে ভারতের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয় (আপনার ভাষায়) - এরকম কোনোভাবেই ভাবা যায় না।
     
    নমস্কার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন