এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর কাণ্ড  - চার্জশিটের পর কী কী ভুয়ো খবর ধরা পড়ল - বিশেষ প্রতিবেদন

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩০৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • এই সিরিজের লেখা হলেও, এটা নিস্পৃহ রিপোর্টিং না, বিশ্লেষণ। সেটা মাথায় রেখে পড়বেন। ধ্রুব সত্য ধরে নেবেন না। 

    এখন অনশন চলছে। কিন্তু লোকে নিজের কাজও করছেন। আমার কাজ, আমিই ঠিক করেছি, এর শেষ দেখে ছাড়া। অতএব চার্জশিট থেকে কী কী বেরোলো, সেটা দেখা যাক। এই চার্জশিট অসম্পূর্ণ। কিন্তু কিছু ডাহা মিথ্যে অবশ্যই নিশ্চিত করা গেল এর থেকেই। এর অবশ্যই প্রথমে  আসবেন সুবর্ণ গোস্বামী।  তিনি আনন্দবাজার ​​​​​​​অনলাইনে বলেছিলেন, যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেছেন। তারপর বলেন, "পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যা লিখেছে, তাতে একটা হিউজ পরিমান, প্রায় দেড়শো গ্রামের বেশি লিকুইড স্যাম্পল তারা পেয়েছে, সেটা হয়তো কিছুটা রক্তমাখা সিমেন হতে পারে, কিন্তু এতটা ভারি স্যাম্পল, আমাদের যা মনে হয়, এটা একজনের বীর্য হতে পারেনা।"
    আরেকজন আরও ​​​​​​​একধাপ ​​​​​​​এগিয়ে।রিপাবলিক টিভিতে রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি আবার আইএমএ র যুগ্ম সম্পাদক। তিনি বলে দিলেন "১৫০ গ্রাম বীর্য যেভাবে যোনিদ্বারে পাওয়া গেছে, এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত অনুগত,  পুরো ব্যাপারটার মধ্যে গভীর রহস্য রয়েছে। বীর্যর যে পরিমান এবং বীর্য যেভাবে বাইরে থেকে ইনজেক্ট করা হয়েছে, সেটার প্রকৃত তদন্ত দরকার, কারণ এখানে কাউকে লুকোনো হচ্ছে, কারো অপরাধকে লুকোনো হচ্ছে।"  

    গণ-ধর্ষণ তত্ত্বটা এইরকম ভাবেই ছড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যে বীর্য ইনজেক্ট করাটা তো এতই অলীক যে মন্তব্যই নিষ্প্রয়োজন। এবং এখন আমরা জানি, ১৫০ গ্রাম বীর্য পেতে গেলে খান পঞ্চাশ বা তার বেশি লোক লাগবে। ষাঁড়ই বোধয় লাগবে পাঁচটা। এঁরা মানুষের ডাক্তার না ষাঁড়ের, কীকরে মানুষকে চিকিৎসা করার অধিকার পেলেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসে গেছে। এবং এই ঘোড়া বা ষাঁড়ের ডাক্তাররা আইএমএ বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের মাথায় কী করছেন, জানা নেই। তবে এই সংগঠগুলিকে এর দায় নিয়ে বা এঁদের ঝেড়ে ফেলে বিষয়টা পরিষ্কার করা উচিত। কারণ ​​​​​​​ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ ​​​​​​​না ​​​​​​​হয়েও ​​​​​​​এইটুকু ​​​​​​​আমরা ​​​​​​​বলতেই ​​​​​​​পারি, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​"ময়নাতদন্তে ​​​​​​​অমুক ​​​​​​​আছে" বলার ​​​​​​​পর ​​​​​​​যদি ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যায়, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​ময়নাতদন্তে ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​তো ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​ডাহা অসত্যভাষণ। 

    শুধু ​​​​​​​ডাক্তাররা ​​​​​​​নন। ​​​​​​​শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়াও নয়। প্রিন্ট মিডিয়াও এর তালিকায় ​​​​​​​আসবে। আনন্দবাজার ​​​​​​​পত্রিকায় শুভাশিস ​​​​​​​ঘটক ​​​​​​​এবং শান্তনু ঘোষ, পরপর ​​​​​​​অনেকগুলি ​​​​​​​প্রতিবেদন ​​​​​​​লেখেন। ​​​​​​​সিরিজের প্রথমটায়, ​​​​​​​২৫ শে সেপ্টেম্বর, লেখা ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​তদন্তকারীরা ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করছেন, ​​​​​​​আবছা ​​​​​​​আলোয় ময়নাতদন্ত ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ওই দিন ময়নাতদন্তে উপস্থিত দু’জন ডোমকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়না তদন্তে গাফিলতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, “সেমিনার হলে মৃতদেহ থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে নানা গাফিলতি ধরা পড়েছে। এ বার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গিয়েও রহস্যজনক পরিস্থিতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।”  পরের ​​​​​​​দিন ​​​​​​​২৬ ​​​​​​তারিখ, ​​​​​​​শান্তনু ​​​​​​​ঘোষ ​​​​​​​লেখেন, ​​​​​​​ভিডিওগ্রাফি ​​​​​​​অস্পষ্ট। ​​​​​​​কল্যাণী ​​​​​​​এবং ​​​​​​​দিল্লি ​​​​​​​এমসের ​​​​​​​বিশেষজ্ঞদের ​​​​​​​দেখিয়েও ​​​​​​​স্পষ্ট ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​বোঝা ​​​​​​​যায়নি। 
    ২৭ তারিখ, শুভাশিস ঘটক লেখেন, শুধু ময়নাতদন্তই নয়, সুরতহালেও বহু ত্রুটি পেয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয় "২৬ বছরের চাকরি জীবনে এত অবহেলায় তৈরি রিপোর্ট দেখিনি।"  এছাড়াও তদন্তকারী সূত্রের দাবী, বিভিন্ন রিপোর্টের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ঠাণ্ডা মাথায় সুকৌশলে ধাপে ধাপে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে। 
    ২৮ তারিখ শুভাশিস আরেকটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন। ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে এক সিবিআই কর্তাকে উল্লেখ করে জানানো হয়, "সবেতেই গাফিলতি হয়েছে"। কী গাফিলতি? সেটাও সূত্রের খবর অনুযায়ী এই, যে, একজন ডোমকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি, চিকিৎসকরা নিজেরাই করেছেন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল, সূত্র বলছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। এবং এই সিরিজের সর্বশেষ প্রতিবেদন অক্টোবরের ৩ তারিখে। শুভাশিস ঘটক লেখেন, মৃতার দেহে ২৪ টি ক্ষত ছিল। মার দেওয়া হয়েছিল গণপ্রহারের ধাঁচে। এবং এক সিবিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, "একার পক্ষে অসম্ভব"। খুন করাই আততায়ী বা আততায়ীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, তদন্তে ইচ্ছাকৃত ধোঁয়াশা আনতেই ধর্ষণের ঘটনাটা সামনে আনা হয়, এটাও বলেন তদন্তকারী সূত্র। এর সঙ্গে প্রমাণ লোপাট, খারাপ ভিডিওগ্রাফি, ময়নাতদন্তে গাফিলতি, এগুলিও আবার বলা হয়। 

    সব মিলিয়ে এই গোটা সিরিজ থেকে তৈরি হয়েছিল একটা ন্যারেটিভ। যেখানে, গণপিটুনির ধাঁচে খুন করা হয়, যা একার পক্ষে অসম্ভব। সেটাকে ঢাকতে খারাপ ময়নাতদন্ত। বাজে ভিডিওগ্রাফি। এবং সবশেষে প্রমাণ লোপাট। 

    এবার দেখা যাক, এই নিয়ে চার্জশিট কী বলছে। চার্জশিট অসম্পূর্ণ। তবে তারপরেও কিছু জিনিস স্পষ্ট করে বলা আছে। ময়নাতদন্ত, সুরতহাল এবং ভিডিওগ্রাফি, এতে কি কোনো গোলমাল আছে? সিবিআই এগুলো নিয়ে দুদফায় ক্রসচেক করায়। চার্জশিটেই লেখা আছে, এইমস কল্যাণীর এফমটি প্রধান একটি বিশেষজ্ঞ বোর্ড তৈরি করেছিলেন, যারা সুরতহাল এবং ময়নাতদন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি পরীক্ষা করে দেখবেন এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভিডিওগ্রাফির সঙ্গে মিলছে কিনা এই নিয়ে মতামত দেবেন। তাঁরা মতামত দিয়েছেন, এবং তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "দেখা গেছে, উল্লিখিত সুরতহাল প্রক্রিয়া এবং ময়নাতন্তের সময়ের ভিডিওগ্রাফি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে সুসমঞ্জস" ।  

    এছাড়াও এটা নিয়ে আরেকটা বোর্ডও তৈরি হয়। সিবিআই এর অনুরোধে ডিরেক্টর জেনারাল অফ হেলথ সার্ভিস মেডিকো-লিগাল মতামত দেবার জন্য, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকাল বোর্ড গঠন করেন, যাতে এইমস দিল্লি, রামম্নোহর লোহিয়া, সফদরজঙ সহ দিল্লির অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা আছেন। এইমসের ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ আদর্শ কুমার এর চেয়ারম্যান। তাঁরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে অনেকগুলি পয়েন্টের মধ্যে একটি হল, "সুরতহাল ময়নাতদন্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।" 

    এছাড়াও ফরেনসিক সাক্ষ্য নিয়ে সিবিআই ক্রসচেক করে মোট তিনটি জায়গায়। ১৪ তারিখে ক্রাইম সিন থেকে নেওয়া তথ্য, আরজিকরের নানা জায়গার ডিভিআর, অভিযুক্তর ফ্রেশ নানা স্যাম্পল, ময়নাতনন্তের সময় নেওয়া নির্যাতিতার নানা নমুনা, নির্যাতিতার মোবাইল ল্যাপটপ, অভিযুক্তের মোবাইল, পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা ব্লুটুথ নেকব্যান্ড,  সবই সিএফএসএল কলকাতা, দিল্লি এবং চণ্ডীপড়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাতে যা ফলাফল পাওয়া যায়, সংক্ষেপেঃ 
    ক। অভিযুক্তর মূত্রনালীতে বীর্য আছে। সেটা অভিযুক্তের। 
    খ। স্তনবৃন্তে লালা আছে। সেটা অভিযুক্তর। 
    গ। ক্রাইম সিন থেকে পাওয় চুল। অভিযুক্তর। 
    ঘ। অভিযুক্তর মোবাইল এবং ঘটনাস্থলের ব্লু টুথ। পেয়ারিং হয়েছে। 

    অর্থাৎ ময়নাতদন্ত দুবার এবং ফরেনসিক তিনবার ক্রসচেক করা হয়েছে। তারপরেও হয়তো এগুলো সবই ভুল হতেই পারে। ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের সমস্ত বিশেষজ্ঞদের এই চক্রান্তে যুক্ত থাকতে হবে। আছেন কিনা সেটা আমরা জানিনা, মনে হয় সম্ভাবনা খুবই কম। হয়তো শুভাশিস ঘটক বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা যেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে, সিবিআই সূত্র অমুক বলেছে বলে  তিনি যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো মিথ্যা। সিবিআই ওরকম কিছু বলেনি, ঠিক উল্টো কথা বলেছে, সে তো চার্জশিটেই দেখা যাচ্ছে। 

    সাংবাদিকতা আগে দুরকম হত। এক, সূত্র উল্লেখ করে খবর পেশ করা। সেখানে সূত্র যদি বলেন সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে, তো দায় সূত্রের। আরেকটা হত সূত্রের নাম উল্লেখ না করে খবর দেওয়া। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকরা পরিবেশনের দায় নিজের কাঁধে নিতেন। এবং অসম্ভব সতর্কতা অনুসরণ করতেন। ওয়াটারগেট থেকে স্নোডেন অবধি, এরকম নানা বিস্ফোরণ আমরা দেখেছি, কোনোটাই মিথ্যা বলে দেখা যায়নি। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তিন নম্বর একটা সাংবাদিকতা আমরা দেখেছি। সূত্র উল্লেখ না করে সম্পূর্ণ গুল দিয়ে দেওয়া। সুধীর চৌধুরি বলেছিলেন মোদীর নতুন নোটে চিপ লাগানো আছে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। রীতিমতো গ্রাফিক টাফিক দিয়ে। নিঃসন্দেহে, সেটা ডাহ মিথ্যা। এবং এই করে সুধীর চৌধুরি সাংবাদিকতার জগতে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেন। শুভাশিস ঘটক, যদি কোনো ব্যাখ্যা না দেন, তো তিনিও ওই হল অফ ফেমে জায়গা পেতে চলেছেন। খুব কৌতুহলোদ্দীপক যেটা, শুভাশিস বা সুবর্ণ যেভাবে লিখেছেন বা বলেছেন, সেটা কীকরকম একই সূত্রে গাঁথা মনে হয়। যার একমাত্র প্রতিপাদ্য হল, গণধর্ষণ হয়েছে, নৃশংসতা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই আছে, অথবা রিপোর্টটাই ভুল। এর চেয়ে কমে কিছু হতে পারেনা। তাহলে কি কোনোভাবে এগুলো এক সুতোয় গাঁথা? সুতোটা গাঁথছেন তবে কে? এই প্রশ্ন থাকবেই। 

    প্রশ্ন উঠবে সিবিআইয়ের দিকেও। তারা কি সাংবাদিকদের বোকা বানিয়েছে, ভুল জিনিস লিক করে? হতে পারে। তাতে সাংবাদিকের দায় কমেনা, কিন্তু অনৈতিক কাজের জন্য আঙুল সিবিআইয়ের দিকেও ওঠে। তদুপরি, প্রায় দুমাস পরে তারা একটা চার্জশিট দাখিল করেছে, যা বস্তুত কলকাতা পুলিশের ২৪ ঘন্টা কাজের ফসল। নতুন কিচ্ছু দেয়নি। দুটো অত্যন্ত জরুরি প্রশ্নের উত্তর নেই চার্জশিটে। এক, খুনের মোটিভ কী। নিশ্চয়ই স্রেফ যৌনতা নয়। খুনি তো পতিতাপল্লীতে গিয়েছিল, যৌনক্ষুধা মেটায়নি। তাহলে কী? দুই, খুনি চারতলার একটা একলা ঘরে একাকিনী মহিলার উপস্থিতির কথা জানল কীকরে? হঠাৎ করে পৌঁছে খুন-ধর্ষণ করে ফেলল? 

    এই দুটো খটকা আছে, থাকবে। অন্য কেউ প্রশ্ন না করলেও আমরা করে চলব। এই নিয়েও প্রচুর সংবাদ বেরিয়েছে। মৃতের সঙ্গে সঙ্গম, লাশ-পর্নো চক্র, লাশপাচার, পরীক্ষাচক্র, জাল ওষুধ চক্র, জৈব বর্জ্য চক্র, এবং টাকার জন্য খুন। সেগুলো সত্য না মিথ্যা এখনই বলা যাবেনা। কারণ সিবিআই মোটিভ নিয়ে কিচ্ছু বলেনি। কিন্তু সেদিকেও নজর থাকবে। খবর এলেই খুঁটিয়ে দেখা এবং প্রশ্ন করা, এটা আমরা ছাড়বনা। এটা সুবিচারের দাবী নিয়ে শুরু হয়েছিল, সেই দাবীটা মুখ্য হয়ে থাকবে।

    সূত্রঃ 
    সুবর্ণ গোস্বামীর বক্তব্যঃ
      
    রঞ্জন ভট্টাচার্যর বক্তব্যঃ 

    আনন্দবাজারের সূত্র সংকলন শুভাশিস ঘটক এবং শান্তনু ঘোষ প্রণীতঃ
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79781_32815737_4_71_25-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79797_24358683_4_71_26-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79809_25121205_4_71_27-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79829_33913252_4_71_28-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79903_31417215_4_71_30-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79955_3249574_4_71_03-10-2024_0_i_1_sf.html

    চার্জশিটের সংক্ষিপ্তসারঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=31232

    আনন্দবাজারে সোমা মুখোপাধ্যায়ের লেখাসমগ্র, যা মূলত মোটিভ অনুসন্ধান করে, যার উপর নজর থাকবেঃ 

     https://epaper.anandabazar.com/imageview_79671_43530355_4_71_21-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79699_41453328_4_71_22-09-2024_0_i_1_sf.html
    https://epaper.anandabazar.com/imageview_79745_31131881_4_71_23-09-2024_0_i_1_sf.html
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • X | 202.78.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৩538413
  • দুটো খটকার ব্যাপারে এরকম ভাবা যায়? 
    ১। পতিতাপল্লীতে সঞ্জয় যৌনতা করতে পারেনি কারণ তার কাছে টাকা ছিল না । 
    ২। তারপর সে হাসপাতালে ফেরে কারো একটা সার্জারির ব্যাপারে খোঁজ করতে । এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে সেমিনার হলে পৌঁছে ঘুমন্ত ডাক্তার কে দেখতে পায় ।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪১538414
  • ১৫০ গ্রাম বীর্যের গল্প যিনি বা যাঁরা ছড়াতে শুরু করেছিলেন, মানে প্রথম যে এক বা দুজন এই গল্পটা বানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। আইএমএর তো এথিক্স কমিটি আছে বোধায়, সেই কমিটির তদন্ত করা উচিত, তদন্তে কিছু পেলে এই একদুজনের বিরুদ্ধে শোকজ বা ওরকম কিছু স্টেপ নেওয়া উচিত। কারন এই বিশেষ গল্পটা গোটা ইন্ডিয়াতে ছড়িয়ে গেছিল, এটা নিয়েই শুরুতে ভয়ানক রিপারকাশন হয়েছিল। 
  • মালবিকা | 2402:3a80:1978:362a:857c:dc8a:5bf0:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৫৫538416
  • মূল গল্পটার উৎস জনৈক সোমা মুখার্জির অডিও ক্লিপ। যেখানে সমস্ত গল্পের মসলা। এরপর এই গল্পটাকে ধরেই শাখা প্রশাখা ছড়িয়েছে সুবর্ণ বাবু বা শুভাশিস বাবুরা। ওই অডিওর উৎস সন্ধান ও সোমা মুখার্জিকে চিহ্নিত করার এখনো কোন চেষ্টা হয়নি। ওখানে ই ঘটনার মোটিভ।
  • @All | 51.159.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৪538418
  • "" ক। যোনিপথে বীর্য আছে। সেটা অভিযুক্তের। ""
    --- এই প্রতিবেদনে লেখা এই বাক্য, যা চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে বলে লেখা, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছড়ানো। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। প্রাথমিক ভিত্তিটাই মিথ্যা হওয়ায় বাকিটারও গুরুত্ব থাকে না। আবার নতুন করে লিখতে হবে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৫538420
  • মেরেছে, ক পয়েন্টটা মিথ্যা নাকি? আমি অবশ্য চার্জশিট পড়িনি। কিন্তু গুগল করে এইটা দেখলাম, এটারও সত্যিমিথ্যে জানিনাঃ 
    Semen, saliva, hair: CBI cites evidence linking Sanjay Roy to RG Kar rape case
     
    According to the chargesheet, forensic tests have confirmed the presence of Roy’s semen on the victim's body. An urethral swab taken from the victim was sent to the Central Forensic Science Laboratory (CFSL) in Kolkata for analysis, and results confirmed the semen belonged to Roy.
  • b | 117.194.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৭538426
  • এটা তো  সি বি আইয়ের, অর্থাৎ বাদীপক্ষের বক্তব্য, তাদের মতানুসারে ঘটনার ক্রমবিকাশ ।   এগুলোই যে ধ্রুব সত্য তার কোনো মানে নেই।  এর প্রতিটি পয়েন্ট সম্ভবত : এদেরকে প্রমাণ করতে হবে ( যদি ভুল করি , আইন কানুন নিয়ে পড়াশোনা করা লোক একটু জানিয়ে দেবেন )  , উল্টোদিকে থাকবেন অভিযুক্তের উকিল, যিনি এগুলোকে খন্ডন করার চেষ্টা করবেন। 
    ধরুন এখনো ​​​​​​​অবধি ​​​​​​​দাঁড়িপাল্লার ​​​​​​​দুটো ​​​​​​​দিকই ​​​​​​​সমান ​​​​​​​। ​​​​​​​কোনদিকে ঝুঁকবে ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​বিচারের ​​​​​​​রায় ​​​​​​​বেরোলে ​​​​​​​জানা ​​​​​​​যাবে . 
     
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৬538430
  • একদম ঠিক, প্রতিটা পয়েন্ট সিবিআইকে কোর্টে এসটাব্লিশ করতে হবে। আর সে করতে গিয়ে অনেক সময়েই সিবিআই ছড়ায়, কোন কোন ক্ষেত্রে ইচ্ছে করে ছড়ায় যাতে দোষী ছাড়া পেয়ে যায়, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কাউকে ফাঁসাতে চায় কিন্তু প্রমান যোগাড় করে উঠতে পারে না বলে "দোষী" ছাড়া পেয়ে যায়। এই কেসে কি হয় দেখা যাক। 
     
    তবে সৈকতবাবু ক, খ, গ, ঘ দিয়ে যে চারটে পয়েন্ট বলেছেন সেগুলো বোধায় সিবিআই ফরেনসিক অ্যানালিসিস এর বেসিসে ফ্যাক্ট হিসেবে দাবী করছে। (অবশ্য ওপরে অরিত্র বা অন্য কেউ বললেন সৈকতবাবু ক পয়েন্টে মিথ্যে লিখেছেন। আমি চার্জশিট পড়িনি, তবে খবরে পড়েছি যে সিবিআই ওরকমই কিছু দাবী করেছে)। 
  • @All | 51.159.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫০538432
  • বিষয়টাতে সত্যিই আগ্রহ থাকলে চার্জশিটটা নিজেকে পড়তে হবে, ভাটিয়ালিতে কেউ লিংক দিয়েছিল। অনুবাদের নাম করে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটা বাংলায় বলে বেশি লোক ইংরেজি ছেড়ে বাংলাটা পড়েই বিশ্বাস করবে ও মতামত তৈরি করবে, হোয়াটস্যাপ / ফেসবুকে ছড়াবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তা বৃথা নয়, dc-ই প্রমাণ। ইউরেথ্রাল সোয়াবটা ভিকটমের নয়,অ্যাকিউজড-এর। এক্সহিবিট B-5, 10-08-24 তারিখে সকালে অ্যাকিউজড-এর MLC তে প্রাপ্ত। সেই সোয়াবে ভিকটিমের ডিসচার্জজনিত DNA পেলে তাও কিছু প্রমাণ হত,
     
    ব্যক্তিগত মনে হওয়াটাও লিপিবদ্ধ রাখা যাক।
    ১) চার্জশিট মানে তদন্তের সমস্ত পরম্পরা ও সিদ্ধান্তের লিপিবদ্ধকরণ নয়, একজনকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণ একত্র নথিবদ্ধ করা, যাতে তাকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়। সুতরাং এতে এমন কিছু লেখা চলে না যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো কেস ঘেঁটে যায় বা কোনো কনফিউশন তৈরি হয়। সেটা করার দায়িত্ব মামলা চলার সময় অভিযুক্তের উকিলের।
    ২) চার্জশিটে লেখা আছে (16-25, last line) মাল্টি ইনস্টিটুশনাল মেডিকাল বোর্ড (MIMD)-এর চূড়ান্ত মতামত এখনও আসেনি। হতে পারে সেটা আসার আগে চার্জশিট জমা করতে হয়েছে বলে আরও কিছু প্রমাণ (মূলত সিমেন সংক্রান্ত) পরে যোগ করা হবে।
    ৩) চার্জশিটে ভ্যাজাইনাল সোয়াব, ওয়েট ভালভার মপ, বা ভিসেরা (মূলত ভ্যাজাইনা) কোথাও সিমেন আছে কিনা এবং তা অভিযুক্তের কিনা (বা একাধিক জনের কিনা) সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। এটা একটু দৃষ্টিকটু, বিশেষত ধর্ষণ ও খুনের মামলায়। এর কারণ যা হতে পারে, (২) নং ছাড়া) --
    ক) ৯ তারিখের সংগৃহিত নমুনা ১৩/১৪ তারিখে ল্যাবে পাঠানোয় কিছু প্রমাণ নষ্ট হয়েছে, যা সিমেন সংক্রান্ত হতে পারে।
    খ) ভিকটিমের দেহে পাওয়া সিমেনের অ্যানালিসিস চার্জশিটে কনফিউশন তৈরি করতে পারে। কেন, সেটা স্পেকুলেশন :
    ০) হতে পারে মারামারি করে খুন করার সময় জেনিটালসের ফোর্সফুল পেনিট্রেশনের ক্ষত তৈরি করা হয় মোটিভকে রেপ-এর দিকে ঘুরিয়ে যাওয়ার জন্য। বা,
     i) হতে পারে পেনিট্রেশন হয়েছিল, কিন্তু তা হয়েছে ফিঙ্গারিং এর মাধ্যমে। বা পেনিট্রেশনের পর মারামারি ও খুন করতে গিয়ে ইজাকুলেশন আর হয়ে ওঠেনি। 
    ii) হতে পারে দেহের ভিতরে ইজাকুলেশন হয়নি, কিন্তু দেহের বাইরে বা পোষাকে, ম্যাট্রেসে কোথাও সিমেন পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব যে আদৌ পাওয়া গেছে বা তা অভিযুক্তের সঙ্গে মিলেছে, তেমনও চার্জশিটে লেখা নেই। 
    iii) হতে পারে খুনের সময় ইজাকুলেশন হয়নি, পরে অভিযুক্ত মাস্টারবেট করেছিল। সেইজন্যেই MLC-তে অভিযুক্তের ইউরেথ্রাল সোয়াবে সিমেন মিলেছে। এটা অন্তত অভিযুক্তের উকিল বলতেই পারে।
    iv) হতে পারে ভিকটিমের দেহে একাধিক ব্যক্তির সিমেন পাওয়া গেছে, কিন্তু সেটা লিখলে প্রশ্ন উঠবে বাকিরা কে বা কারা? আর যতক্ষণ সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না অভিযুক্তের চূড়ান্ত শাস্তি হবে না, কারণ এমন হতেই পারে একাধিক লোক থাকলে, বাকিদের আইডেন্টিফাই না করা অবধি খুনটা যে অভিযুক্তই করেছে, বা একা করেছে তা প্রমাণ করা যাবে না। কোনো একটা চ্যানেলের প্রচার থেকে এমনটাও ধারণা করা যেতে পারে, সেইজন্যেই স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে এনে সোর্স আইডেন্টিফাই করা অসম্ভব এরকম সিমেন ভ্যাজাইনাতে ঢালা হয়েছিল (ইনজেক্ট করা মানেই ইঞ্জেকশন দিয়ে ঢোকানো নয়, প্লান্ট করাও হতে পারে), যাতে পরে একাধিক ব্যক্তির সিমেনের উপস্থিতিতে আদালতে আসামীর উকিল বাকিদের উপস্থিতির সম্ভাবনায় মামলা ঘেঁটে দিতে পারে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে যতক্ষণ অবধি পারা যায় ভ্যাজাইনাতে পাওয়া সিমেনের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করাই চার্জশিট দাখিলকারী সংস্থার পক্ষে সুবিধের। একাধিক ব্যক্তির সিমেন থাকলে অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে রেপ / খুনের সঙ্গে অন্য ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সিমেনের অন্য ডিএনএ-র তথ্য কোনো কাজের নয় (হাসপাতাল-কলেজের সকল ছাত্র-শিক্ষকের ডিএনএ নিয়ে ম্যাচ করানোর চেষ্টা অসম্ভব।), মামলা ঘেঁটে দিয়ে কড়া শাস্তি হবে না বুঝে অভিযুক্ত আরও মুখ খুলবে না। বরং সেসবের উল্লেখ না করলে, একা অভিযুক্ত হিসেবে মামলা চলাকালীন ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হতে চলেছে বুঝলে সে মুখ খুলতেও পারে।

    গলা টিপে খুনে গলায় নাকে মুখে চেপে বসা আঙুলের দাগ থেকে যায়, সেরকম কিছুর উল্লেখ নেই ইনকোয়েস্ট বা পোস্ট মর্টেম-এ অথচ সেগুলো যথেষ্ট ডিটেইলড নয় এমন কোনো অভিযোগ সিবিআই-এর তরফে এখনও নেই। বলপূর্বক পেনিট্রেশন হলে অভিযুক্তের পেনিসে ব্রুসিং থাকবে, সেরকম কিছুর উল্লেখ চার্জশিটে বর্ণিত অভিযুক্তের MLC (মেডিকো লিগাল এগজামিনেশন)-তে নেই। অভিযুক্তের অন্তর্বাস বাজেয়াপ্ত বা ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়নি এটা আশ্চর্যের। আর একটা ব্যপার, পুল অফ ব্লাড (16-2) এল কী করে? ঘুমন্ত ভিকটিমের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও গলা মুখ নাক টিপে মারার মধ্যে কেটে ছড়ে যাওয়া ইত্যাদি হয়েও কত বেশি রক্ত বেরোনো সম্ভব? আর যা বেরোবে তা জেনিটালস থেকে। অধিকাংশ রক্তক্ষরণ কোন্‌ অংশ থেকে হয়েছে আর সেই ক্ষত কীভাবে করা হয়েছে, দেওয়ালে ঠুকে বা অন্য কোনো ভারি বস্তুর আঘাতে সে বিষয়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বা চার্জশিট নীরব।
    সৌরভ খেলেও সঞ্জয় ৮ তারিখ রাতে মদ খায়নি, শুধু বিয়ার খেয়েছে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সুস্থ থাকতে হবে সেটা তার মাথায় ছিল। পতিতাপল্লীর ঘরে ঢোকেনি। রাতে রেপ করার মত প্রস্তুত থাকতে হয়েছিল। টাকা থাকবেনা কেন? দুপুরে যে টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়নি সে টাকা তার কাছেই থাকার কথা, কারণ টাকাটা যার অ্যাকাউন্টে জমা করার তাকে সে-ই রিপোর্ট করে, যদি না সৌরভও তাকে রিপোর্ট করে আর যদি না সে টাকা সৌরভ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে থাকে। সেটা সৌরভকে জেরা করেই জানা সম্ভব। দুপুর থেকে রাত পৌনে এগারোটা অবধি হাসপাতালে সঞ্জয় কী করছিল, কোথায় ছিল, কাদের সঙ্গে কথা বলেছে? সেসব তথ্য সিসিটিভি দিয়ে সাপোর্ট করা গেছে? জানা যাচ্ছে না। সিবিআই জানলেই ভালো, লিক করলে আবার বাকিরা সাবধান হয়ে যাবে।
    ঘটনার রাত সাড়ে তিনটেয় হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের দোতলায় সে শুভ দে-র বাড়ির লোককে দেখতে পায়নি। ভালো কথা। কিন্তু তারপর সে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে গিয়ে পাঁচতলা থেকে চারতলা কী/কাকে খুঁজতে খুঁজতে ঘুরছিল? প্রথমে কলকাতা পুলিসকে সে জানিয়েছিল, ব্যঙ্গের সুরেই, শিকার। অর্থাৎ কাউকে রেপ করার মতো পাওয়া যায় কিনা খুঁজছিল। এটা তার নিয়মিত প্র্যাকটিস হতে পারে না। নইলে বিগত তিন বছরে একই পদ ও প্রোফাইলে থাকাকালীন সে এই হাসপাতালে আরও রেপ করে থাকত, যদি না আয়াদের সঙ্গে তার সেরকম সম্পর্ক থেকে থাকে। সে হঠাৎই একদিন ঝোঁকের বশে এই কাজ করে ফেলে বিশেষ করে, তারই সঙ্গে যে সমসময়ে প্রাতিষ্ঠানিক করাপশনের কাছে থ্রে্ট হয়ে উঠছে, এতখানি সমাপতন বিশ্বাস করা একটু কঠিন। এইটা আমার ব্যক্তিগত অবস্থান।

    আমার ধারণা তাকে এই খুন করার বরাত দেওয়া হয়। সম্ভব হলে রেপ করারও স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এ কাজে তাকে সাহায্য করার বা প্রমাণ লোপ তথা প্যাথলজিকালি মামলাকে কনফিউজ করে কড়া শাস্তি থেকে বাঁচানোর অঙ্গীকারও করা হয়। সাহায্য স্বভাবতই সিসিটিভি ক্যামেরা বাঁচিয়ে, যা হাসপাতালের/কলেজের ভিতরের লোক ছাড়া বাইরের লো্কের পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন আর জি করের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার অবস্থান মনে রেখে সেগুলোর নজর বাঁচিয়ে চলাফেরা করা তারকাটা সঞ্জয়ের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যেহেতু এ রাজ্যে বর্তমানে সাধারণভাবেই রেপ জিনিসটাকে ধামাচাপা ও প্রমাণ লোপ করে শাসকদের লজ্জা ও নিন্দার হাত থেকে বাঁচানোর সংস্কৃতি বহুদিন ধরেই চলছে। ওয়েল কানেক্টেড হওয়ার সুবাদে সেই কাজ সরকারী সহায়তায় সুসম্পন্ন করার আত্মবিশ্বাস সন্দীপ ঘোষ ও থ্রেট কালচারে জড়িত তার অনুচর ও সাঙ্গোপাঙ্গোদের ছিল।
     
    আপাতত ভিকটিমের বুকে অভিযুক্তের লালা পাওয়া এবং অভিযুক্তের জিনস ও স্যান্ডেলে ভিকটিমের রক্ত পাওয়াটাই সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ। তাতেও আক্রমণ, মারামারি প্রমাণ হলেও খুন করাটা প্রমাণ হয় না। এটা সমস্যার। ভিকটিমের নখের কাটিং ও স্ক্র্যাপিং-এ এবং ব্যবচ্ছিন্ন জেনিটালসে অভিযুক্তের ডিএনএ দেখানো গেলে আরেকটা প্রমাণ হবে। গলায় আঙুলের ছাপ না রেকর্ড করা হয়ে থাকলে সেটাও সরাসরি খুনের নয়। ক্রাইম সিন গাদা লোক গিয়ে ঘেঁটে না ফেললে মেঝে থেকে অভিযুক্তের স্যান্ডেলের ছাপ টাপ বা আঙুলের ছাপটাপ বেরোতো হয়তো, সেটা চুলোয় গেছে, যাকগে।
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৩538433
  • না রে বাবা আমার অতোটাও আগ্রহ নেই যে সিবিআই এর চার্জশিট পড়তে বসবো। দুনিয়ায় হাজারটা কাজ পড়ে আছে, সেসব ছেড়ে সিবিআই এর চার্জশিট? ইন জেনারাল সৈকতবাবুর এই ফ্যাক্ট চেকিং উদ্যোগটা ভালো লেগেছে, তাই পড়ি। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৫538434
  • "আমার ধারণা তাকে এই খুন করার বরাত দেওয়া হয়"
     
    আরে! আমারও প্রথমে এরকম সন্দেহ হয়েছিল, সেকথা আমি সৈকতবাবুর কোন একটা টইয়ে লিখেওছিলাম, কিন্তু তারপর সৈকতবাবু বললেন ওনার এরকম মনে হয়না। তাই আমিও চুপ করে গেলাম :-( যাই হোক, আদালতে যখন কেসটা উঠবে, তখন সিবিআই এর উকিল সব প্রমান, লিক ইত্যাদি সহ সবকিছু খুলে বলবে। তখন বোঝা যাবে সত্যি কি হয়েছিল। 
     
    (যদি না কপু আর সিবিআই দুজনে মিলে প্রমান লোপ না করে থাকে, মানে লাস্ট অবধি যদি সিবিআই বলে যে খুনটা সঞ্জয় রাইই করেছিল আর তাকে কোন সুপারি দেওয়া হয় নি, তাহলে হয়তো অনেকের মনে হবে কপু আর সিবিআই এর মধ্যে সেটিং হয়েছে)। 
  • r2h | 165.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৭538435
  • এই সন্দেহগুলি নিয়ে সিবিআইকে চাপ দিতে বলা হোক। তদন্তভার যখন সিবিআইয়ের কাছে, বিচারও তো কেন্দ্রের কাছেই চাওয়া উচিত। স্লোগান ধর্না, দিল্লিতে বা অন্তত কলকাতায় সিবাই অফিসের সামনে দেওয়া হোক। রাজ্যপালের কোয়ার্টারের সামনে দেওয়া হোক। এমনিতেও রাজ্যপাল নিজেও যৌন হেন্স্তার অভিযোগে অভিযুক্ত। সেসব অনেক বেশি কার্যকরী হবে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২০538436
  • সঞ্জয়কে সুপারি দেওয়া হয়েছিল, সিবিআই এরকম কিছু লিক করে কিনা দেখা যাক। তবে রিসেন্টলি সিবিআই এর লিক রেট অনেক কমে এসেছে :-( দুবেলা সুগার এর ওষুধ খাচ্ছে বোধায়।  
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৮538437
  • অল নামে যিনি লিখছেন, তিনিই ঠিক লিখেছেন। আমি ভুল। মানে মানে মৃতার শরীরে অভিযুক্তর ডিএনএ পাওয়া গেছে, আবার অভিযুক্তের প্যান্টে রক্তের দাগ ছিল সেটা মৃতার, এতে কোনো ভুল নেই। কিন্তু যে পয়েন্ট থেকে আমি টুকেছি, সেখানে স্যাম্পলটা অভিযুক্তরই। লালা, চুল, সবই ঘটনাস্থল বা নির্যাতিতার শরীরের। কিন্তু এই স্যাম্পলটা অভিযুক্তর। অ্যাকিউজডের নিজের স্যাম্পলে নিজের বীর্য পাওয়া যাবে, সেটা কেন রিপোর্টে থাকবে, এটা মাথায় ছিলনা, তাই ওটা ভুল করেছি। তাতে অবশ্য মূল পয়েন্ট কিছু বদলাচ্ছে না। কিন্তু ধরিয়ে দেবার ​​​​​​​জন্য ​​​​​​​ধন্যবাদ। 
     
    আমি রিপোর্টটা এখনই তুলতে পারবনা। তবে অন্য কেউ তুলে দিলে বাকিরা পড়ে দেখতে পারেন। একটা যখন ভুল হয়েছে, আরও এক-আধটা থাকতে পারে। ধরে দিলে ঠিক করে নেব। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩০538438
  • হুঁ, অরিজিনাল রিপোর্টের একটা পিডিএফ বানিয়ে গুগল ড্রাইভে তুলে রাখলে ভালো হয়। সময় পেলে পড়ে দেখবো। 
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৩538439
  • পাপাঙ্গুল | ১২ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৯ 528141
    মেয়েটি যে চারতলার ওপরে কনফারেন্স রুমে ঘুমোচ্ছে এটা বাইরের লোকের জানার কথা নয়। ধৃত সন্ধ্যে না রাত্তিরবেলা একবার হাসপাতালে এসেছিল। মনে হয় তাকে ফোন করে ডেকেছিল কেউ বা কারা , টাকাপয়সা দিয়েছিল এবং বলেছিল ওই সময় মেয়েটি ওখানে ঘুমোবে। তারপর ধৃত বাইরে গিয়ে মদ খেয়ে ফেরত আসে। 
     
    আমার খটকাটাও এরম ছিল। বস্তুত ক খ গ ঘ ধর্ষণের প্রমাণ , খুনের না। আদালতে প্রশ্ন উঠবে। 
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:b5f0:b1bb:96a6:***:*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৪538440
  • তাহলেই দেখুন, ছোটবেলায় কাঁড়ি কাঁড়ি গোয়েন্দা গল্প কি এমনিই পড়লাম? কোনান ডয়েল, আগাথা ক্রিস্টি, রেমন্ড চ্যান্ডলার, রুথ রেন্ডেল, কাউকে বাদ রখিনি। গন্ধ শুঁকেই বলে দিয়েছি মাছটা কোন নদীর।  
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৩538443
  • ধর্ষণেরই বা প্রমাণ কেন? ওগুলো তো নেহাৎই যৌন সংসর্গের প্রমাণ। 
     
    বিশেষজ্ঞদের মতামত, যে, যৌন সংসর্গটা জোর করে হয়েছিল। এবং এ মোটামুটি এসটাবলিশড, যে, ওই সময়েই খুন হয় (সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জানিনা)। এবং মোটামুটি সেই সময়ই অভিযুক্ত ঘটনাস্থলে ছিল। এগুলোকে যদি সারকমস্ট্যানশিয়াল বলেন তো তাইই। এবার সঞ্জয় কী বলবেন জানিনা।
  • @All | 51.159.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৫538444
  • তা কেন, অভিযুক্ত ঘরে ঢুকে দেখে পুল অব ব্লাডের মধ্যে নিরাবরণ নারী শরীর পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখতে যায়, চপ্পলে রক্ত লেগে যায়। ঝাঁট চুলকায়, দুটো লোম খসে পড়ে। পাশে ভিকটিমের জামা পড়ে ছিল, শোভনতা বা সৌজন্যবশত সেটা পরিয়ে দিতে যায়। শরীর ছোঁয়ার সময়, কেউ দেখছে না দেখে লোভে পড়ে সদ্যমৃত শরীরের বুকে মুখ দেয়। এইসব করতে গিয়ে জিনসে রক্ত লাগে। তারপর সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে মাস্টারবেট করে। তার নিজের শরীরের ব্লান্ট আঘাতের চিহ্ন এর মধ্যে বন্ধুবান্ধব বা অন্য কারোর সঙ্গে হাতাহাতির সময় সৃষ্ট। এটাই তার উকিলের বয়ান হবে। সিমেনের উল্লেখ বা ভিকটিমের নখের মধ্যে অভিযুক্তের স্কিন টিস্যুর ডিএনএ পাওয়া না গেলে এর বেশি তাকে জড়ানো সম্ভব না।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১১ অক্টোবর ২০২৪ ২২:২৪538445
  • অর্থাৎ তার উপস্থিতি এবং শারীরিক সংযোগ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। এর পর আছে সিসিটিভি। খুনের মোটামুটি সময় আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কিনা, সেও তো জানাই যাবে। এ তো কঠিন কিছু না। 
     
    নখে এভিডেন্স বা বীর্য পেলেও যৌন সংসর্গ প্রমাণ হবে। খুন তো না। 
  • @All | 51.159.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৭538452
  • "তাতে অবশ্য মূল পয়েন্ট কিছু বদলাচ্ছে না।"
    -- পুরোটাই বদলাচ্ছে। সিবিয়াই এই চার্জশিটে ভিকটিমের দেহে সিমেন সংক্রান্ত কিছু এখনও বলেনি। সুতরাং সিবিআইয়ের এই চার্জশিট থেকে ওমুকতমুক রিপোর্টিং মিথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেল এই পুরো লেখাটাই দাঁড়ায় না।

    "খুনের মোটামুটি সময় আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কিনা, সেও তো জানাই যাবে। এ তো কঠিন কিছু না।"
    -- জানা যাবে না। খুবই কঠিন।

    খুনের মোটামুটি সময় +/-দু-তিন ঘন্টা অর্থাৎ আসলে সোয়া চারটেতে (সঞ্জয় ঢোকে চারটেতে, বেরোয় সাড়ে চারটেয়) খুন হলে ফরেনফিক মতে দাঁড়াবে রাত ১টা থেকে ভোর ৭টার মধ্যে খুন হতে পারে।

    সিবিআই চার্জশিটে সিসিটিভির সাক্ষ্য দিয়ে এটা প্রমাণ করেনি যে রাত একটায় ভিকটিমের চারজন বন্ধু বেরিয়ে যাওয়ার পরে (বেরিয়ে গেছিল সেটাও প্রমাণ করেনি) সকালে মৃতদেহ আবিষ্কার পর্যন্ত সেমিনার রুমে আর কেউ ঢোকেনি। 
    প্রমাণ করা সম্ভবও নয়, কারণ কোনো সিসিটিভিতেই সেমিনার রুমের দরজা দেখা যায় না। (গেলে সেই ক্যামেরার সাক্ষ্যই রাখা হত সঞ্জয়ের ঢোকা বেরোনো প্রমাণ করতে।) ক্যামেরায় দেখা যায় ওয়ার্ডে ঢোকার মুখটুকু, সম্ভবত ওঠানামার সিঁড়ির পাশে (সঞ্জয় পাঁচতলা থেকে চারতলায় নেমেছিল। তারপর ওয়ার্ডে ঢোকে।)। আরজিকর আমি দেখিনি, তবে পুরোনো বেশ কিছু সরকারী হাসপাতাল দেখেছি। মোটামুটি সব ওয়ার্ডেই একাধিক এন্ট্রি একজিট ওয়ে থাকে। সেমিনার রুমে ঢোকার জন্য অন্য সিঁড়ি বা লিফটও ব্যবহার করা যায় বলেই মনে হয়, এবং সেটা কোনো একটা রিপোর্টিংয়ে ছিলও। আর সেটা স্বাভাবিকও, কারণ প্রোফেসর ও ছাত্রছাত্রীরা পেশেন্ট পার্টির যাতায়াতের পথে নিয়মিত সেমিনার রুমে লেকচার দিতে এবং শুনতে আসবেন এটা অস্বাভাবিক।

    (ক্যামেরা লিফটের পাশেও হতে পারত, কিন্তু একটা ফ্লোর নামার জন্য লিফট ব্যবহার করার কথা নয়, সে কাউকে বা কিছু খুঁজছিল। নিশ্চিত লক্ষ্যে গেলে লিফট নিত। যেমন প্রথমে এমার্জেন্সির একতলা থেকে পাঁচতলায় সম্ভবত লিফটে উঠেছিল। লিফট আর সিঁড়ি অধিকাংশ হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিংয়েই পাশাপাশি থাকে না পুরোনো আমলের বড় চওড়া সিঁড়ির পাশে নতুন লিফট বসানোর মত জায়গা বেশিরভাগ সরকারী হাসপাতালেই না থাকায় নতুন ফাঁকা জায়গা দেখে লিফট বসানো হয়ে থাকে, যার বেশিটাই ডাক্তারদের ব্যবহারের জন্য।)।

    রাতে ডিউটিরত ডাক্তাররা কোথায় বিশ্রাম নেয়, মোটামুটি যারা নিয়মিত রাতে হাসপাতালে যায় তাদের জানা থাকার কথা। যেমন স্লিপ/স্টাডি রুম (যেখানে অর্ক আর সৌমিত্র ঘুমিয়েছিল), ইনটার্ন রুম (যেখানে শুভদীপ ঘুমিয়েছিল)। আমার ধারণা এগুলোর কোনোটা বা এরকম কোনোটা পাঁচতলায় আছে, সঞ্জয় সেখান থেকে খোঁজা শুরু করে। নাইট ডিউটি করে বেশি রাতে ঘুমালে সাড়ে তিনটে - চারটে নাগাদ গাঢ় ঘুমের অতলে টার্গেটকে পাওয়া যাবে এরকম হিসেব করা ছিল। 

    খুনের পরে কুর্তি আবার পরিয়ে দেওয়া হয়। গলা মুখ সরাসরি হাত দিয়ে চেপে না ধরে ব্ল্যাংকেট দিয়ে চেপে ধরলে খুন করার চিহ্ন পাওয়া মুশকিল। খুনের খবর পেয়েই দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সঞ্জয়কে তুলে নিলে অনেক বেশি প্রমাণযোগ্য এভিডেন্স পাওয়া যেত মনে হয়। ক্রাইম সিন থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়েছে এমন কোনো তথ্য নেই। এটা আশ্চর্যের। বিশেষত সেমিনার রুমের দরজা নিশ্চয় খুনের সময় বন্ধ করা হয়, পরে খোলা হয়। দরজা থেকে তো পাওয়াই যেত। ডায়াস থেকেও।
  • চার্জশিট নিয়ে সঞ্জয় ভদ্র | 2409:40e0:1048:5306:d822:9aff:feeb:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৭538453
  • Am back with another R G Kar related post
  • দীপ | 2402:3a80:431c:7b34:878:5634:1232:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৭538454
  • ঘটনা ঘটার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কলকাতা পুলিশ একের পর এক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে! আর কলকাতা পুলিশের দেওয়া প্রমাণ থেকে সিবিআই তদন্ত করে অপরাধীদের ধরবে! 
    সেটিং বুঝতে কি খুব কষ্ট হয়?
  • চার্জশিট নিয়ে সঞ্জয় ভদ্র | 2409:40e0:1048:5306:d822:9aff:feeb:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৪538455
  • আগের পোস্টটি আসেনি।
     
    সঞ্জয় ভদ্রের পোস্ট। জি র ইনপুট হেড।  আশা করি এইবার আসবে। 
     
    Am back with another R G Kar related post

    After reading the chargesheet, I could not resist laughing on a few points. Sharing one such contradiction of CBI before all. (Will highlight others shortly) 

    I have shared two documents here. The first one is a part of the chargesheet filed and second one is the first remand letter of former OC Tala PS Abhijeet Mondal. 
    Facts shared in two separate documents by CBI itself contradict their own claim. 
    How? 
    Let me put it for you. 
    One first document(chargesheet of the R G Kar rape and murder case) CBI mentions that a SIT (special investigation team) was formed by Kolkata Police and Smt Rupali Mukherjee of WG Cell took over charge of the IO on the intervening night of August 9 and 10. 
    This written submission by CBI proves that SIT has taken over the charge of the investigation on the intervening night of Aug 9 and 10. 
    The document further mentions that the accused Sanjoy Roy was arrested at 10 am of August 10. That means SIT was in charge of the probe when Sanjoy Roy was arrested. 

    Now have a look at the remand submission of CBI of Abhijeet Mandal. Apart from several flimsy grounds(will elaborate soon on those points on social media), the KP officer is charged with allegation of “unnecessary delay of 2 days was caused in seizure of clothes/belongings of accused Sanjoy Roy whereas his role in commissions of crime has emerged on 10.08.24 morning.” 

    Now my understanding: 
    How come any procedural lapse, if any, that has happened after August 10 morning becomes liability and responsibility  of the former OC Tala when the probe which was taken over from Tala PS on Intervebing night of August 9 and 10? 
    All these informations and relevant documents were with the CBI since August 14 but while writing remand submission of the arrested OC, the CBI simply misled the court with wrong information and tried to put onus on Abhijeet Mondal on a false ground just to add fat to the remand paper!!! 

    Is it a good example of professional organisation like CBI? It actually shows how confused the CBI probe team is! And how the Holy Cow gets away with every funny mistakes they commit. 

    আসলে রিমান্ড পেপার লিখতে হবে তাই যা ইচ্ছে তাই কারন লিখে দে। কেউ প্রশ্ন করবে না। পরে দেখা যাবে যখন trial এর সময় খাস্তা হব।
    This is how the probe seems to inch forward with such casual approach on such a sensitive case! কিছু বলার নেই। 
    আরোও বেশি করে সিবিআই চাই সিবিআই চাই হোক আদালতে। রাজ্য/কলকাতা পুলিশ কিছু পারে না। সিবিআই শুধু সব পারে। এই তার নমুনা একটা। 
     
    পোস্টের লিঙ্ক: 
  • দীপ | 2402:3a80:196b:792d:678:5634:1232:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৯538464
  • আমাদের দেশে কোনোকিছুই প্রমাণিত হয়না! তাই বলে ঘটনাগুলো মিথ্যা হয়ে যায়না! অবশ্য পণ্ডিতেরা এসবকেও গুজব বলতে পারেন! 
    কোনো সভ্য সমাজ হলে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জেলে ঢোকানো হতো!
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২০538465
  • ১। "তাতে অবশ্য মূল পয়েন্ট কিছু বদলাচ্ছে না।"
    -- পুরোটাই বদলাচ্ছে। সিবিয়াই এই চার্জশিটে ভিকটিমের দেহে সিমেন সংক্রান্ত কিছু এখনও বলেনি। সুতরাং সিবিআইয়ের এই চার্জশিট থেকে ওমুকতমুক রিপোর্টিং মিথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেল এই পুরো লেখাটাই দাঁড়ায় না।

     
    -- একেবারেই না। ব্যাপারটা এরকমঃ 
    "আমি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখেছি ১৫০ গ্রাম লিকুইড স্যাম্পল সিমেন সহ সংগ্রহ করা হয়েছে" - মোটামুটি এইটা ছিল স্টেটমেন্ট 'ক'। 
    এবার ময়নাতদন্তে দেখা গেল, ওরকম লিকুইড স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়নি। তারপর চার্জশিটে দেখা গেল ময়নাতদন্ত ঠিকই আছে। অতএব স্টেটমেন্ট 'ক' ভুল। 
    এরপর সিবিআই সিমেন পেতে পারে, না পেতে পারে, ভবিষয়ে জানাতে পারে, কিন্তু ১৫০ গ্রাঅ লিকুইড স্যাম্পল যে ভুল, এটা তো বটেই। 
     
    ২। "খুনের মোটামুটি সময় আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কিনা, সেও তো জানাই যাবে। এ তো কঠিন কিছু না।"
    -- জানা যাবে না। খুবই কঠিন।
     
    -- এ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। যা বলেছেন, হতেও পারে, নাও পারে। ওটা গোয়েন্দাদের কাজ। তাঁরা বিশদ দিলে দেখে নেব। 
     
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:a4f3:8d80:d966:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫০538466
  • অরিত্র নাকি অন্য কেউ অ্যাটল নিক থেকে ১০ঃ৫৭ তে যা যা লিখেছেন, তার পুরোটাই এখনও অবধি স্পেকুলেশান। সিবিআই এখনও অবধি এরকম কিছু লিক করেনি। কোর্টে যখন শুনানি শুরু হবে তখন দেখা যাবে সিবিআই ফাইনালি কি বলে। কিন্তু লাস্ট অবধিও যদি সিবিআই বলতে থাকে যে একজনই ধর্ষন ও খুন করেছে, তাহলে এই স্পেকুলেশান গুলো দিয়ে সেটিং তত্ত্ব দাঁড় করিয়ে দেওয়া যাবে। 
  • সিমেন গোস্বামীর ফেকবাজি | 2409:40e0:1008:c9f5:5087:cdff:fe7c:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২১:২১538468
  • 'এবার ময়নাতদন্তে দেখা গেল, ওরকম লিকুইড স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়নি। তারপর চার্জশিটে দেখা গেল ময়নাতদন্ত ঠিকই আছে। অতএব স্টেটমেন্ট 'ক' ভুল। 
    এরপর সিবিআই সিমেন পেতে পারে, না পেতে পারে, ভবিষয়ে জানাতে পারে, কিন্তু ১৫০ গ্রাঅ লিকুইড স্যাম্পল যে ভুল, এটা তো বটেই। '.
     
    এতকিছুর আগেই সুবর্ণ গোস্বামীর ১৫০ গ্রাম সিমেন ফেক প্রমাণিত হয়ে গেছে। কারণ উনি বলেছিলেন, পিএম রিপোর্ট উনি দেখেছেন, তাতে লেখা আছে ১৫০ গ্রাম সিমেন আছে। এটাই তো ডাহা মিথ্যা। কারণ সেই পিএম রিপোর্ট ঠিক হোক বা ভুল, তাতে এই কথা লেখাই ছিল না। ১৫০ গ্রাম এসেছিল অন্য প্রসঙ্গে। ডা: গোস্বামী হয় পিএম রিপোর্টের এই বেসিক জিনিস পড়তেই জানেননা ( যেটা সত্যি হলে ওঁর ডাক্তারি এবং সাধারণ জ্ঞান নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে যায়), নয় ইচ্ছে করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।  উনি এটাও বলেননি যে পিএম রিপোর্ট ভুল,  ১৫০ গ্রাম অরগানের ওজন ভুল করে লেখা। তাই ডাহা গুল মেরেছেন বা পাতি কিস্যু জানেন না।
     
    এরপরেও ময়নাতদন্ত সঠিক না হওয়া বা তাতে অন্য সমস্যা থাকতেই পারত।  অনেকের সিমেন পাওয়া গেছে কিন্তু ময়নাতদন্তে তার উল্লেখ নেই, এও ফরেনসিকে ধরা পড়তে পারত।  তাতে ময়নাতদন্ত আর কোলকাতা পুলিশ ভুল প্রমাণিত হলেও ( যেটা সিবিয়াই র এই চার্জশিট অনুযায়ী হয়নি) সিমেন গোস্বামী ঠিক হতেন না। কারণটা,  ওই উপরে যা বলা। 
     
    খুবই আশ্চর্যজনকভাবে, ডাক্তাররা এই ফেকটাকে সেভাবে না চালালেও ( নারায়ণ ব্যানার্জি,  কুণাল সরকার - তিনি তো আবার ময়নাতদন্ত আর ছবি অনুযায়ী পেলভিক বোন ভেঙ্গে দিয়েছিলেন, আরো কয়েকজন বাদে), এটা ফেক বলে বিবৃতিও দেন নি। উলটে সিনিয়র ডাক্তাররা এঁদের সমর্থনে মিছিল করেছেন। এর জবাবদিহি করার দায় ডাক্তারদের আছে।
     
    এই ১৫০ গ্রাম সিমেন আর পেলভিক বোন ভাঙাই এক নারকীয় ন্যারেটিভ তৈরি করে দেয়, যা আজো বহু লোকের মনে বদ্ধমূল গেঁথে আছে আর বিপুল জনরোষের প্রাইমারি ফ্যাক্টরও বটে, কিম্বা অনুঘটকও বলা যায়।
     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন