আপনি কেমন হরিদাস পাল যিনি লেখাটার ছত্রে ছত্রে এহেন ছড়িয়ে ছত্তিরিশ করে রেখেছেন?
শিবনাথ শাস্ত্রীকে নিয়ে লিখছেন অথচ তাঁর বড়মামা দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণকে অবলীলায় বাবা বানিয়ে দিচ্ছেন! তাঁর পিতা হরানন্দ ভট্টাচার্য। শিবনাথ কোন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি? ওটা কি গোল গোল সমসত্ত্ব জাতীয় কিছু নাকি? প্রথমে কেশবপন্থী, পরে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ। তাহলে "সমসাময়িক কালের আধুনিক চিন্তা ভাবনার যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য, সেই ব্রাহ্ম ধর্মের প্রভাবে" শব্দগুলোর কী অর্থ?
শিবনাথ 'আনন্দবাদী দল' গঠন করেছিলেন কিন্তু "'ঘন নিবিষ্ট' নামে ১৮৭৭ সালে একটি সংগঠন" তিনি যে করেছিলেন তার রেফারেন্স কী? তাঁর 'সমদর্শী' পত্রিকার সম্পাদনার প্রসঙ্গটিই বা অনুল্লিখিত কেন?
আব্দুল করিমের বানানেই বা এহেন ভিন্নতা কেন?
আর এগুলো একটু ব্যাখ্যা করুন দিকি ---
১. উনিশ শতকের নব চেতনার উন্মেষ
২. উনিশ শতকের নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায় তাঁর চিন্তা ভাবনার জগতকে প্রসারিত করবার লক্ষ্যে মধ্যকালীন ভারতের সমন্বয়ী চিন্তা-চেতনার প্রতিভূ ইসলামীয় ভাবধারার অংঙ্গীভূত 'মুতাজিলা সম্প্রদায়ে' র যে প্রভাব আত্মস্থ করেছিলেন, উনিশ শতকের নবজাগরণের প্রতিরোধের ভেতরে এই বহুত্ববাদী চিন্তা-চেতনার সমার্থক ভাবনা কিন্তু একমাত্র দেখতে পাওয়া যায় রামমোহনের ভিতরে।
৩. পরবর্তীতে আধ্যাত্বিকতার ভেতর দিয়েই নিজের জীবনকে প্রতি বাহির অতিবাহিত করা শ্রীরামকৃষ্ণের ভেতরে এই সমন্বয়ী চেতনা সব সময়েই প্রকট থেকেছে।
"উনিশ শতকের সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম দুটি স্তম্ভ ব্রাহ্মসমাজ ও শ্রীরামকৃষ্ণের পরিষদের ভেতরে থেকে সামাজিক চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার অভিজ্ঞান মুখী ভাবনার প্রসারণের যে উদ্যোগ,--"
রামকৃষ্ণদেবের উনিশ শতকের বঙ্গসমাজে বিশেষ গুরুত্ব অনস্বীকার্য, কিন্তু "সামাজিক চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার অভিজ্ঞান মুখী ভাবনা" ও রামকৃষ্ণদেবকে কেমন করে মেলাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। রামকৃষ্ণদেবের জীবনচর্যা ও শিক্ষায় আধুনিকতা? প্লীজ, একটু ভেঙে বলুন কী বলছেন।