এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • অমৃত 

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৭৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  •  
    ---পথ ভুল করে এসেছে মালটা!
    চোখ রগড়াতে রগড়াতে ভাবলা কালু।
     রোজকার মত পথের ধারে জঞ্জালের মত পড়ে ছিল কালুমাতাল। রাত তখন বারোটা। হঠাৎ সে  ঈশ্বরের দেখা পেল। ----প্রথমে নিজের ইন্দ্রিয়ের রসিকতা ভেবেছিল ব্যপারটা। পঞ্চেন্দ্রীয়র শিরমনির কল্যাণে এতদিন ধরে গভীর রাতে কত কিছুই সে দেখেছে। দেখেছে ফুটপাতের প্রেম, অবৈধ সোহাগ, ছেলে-চুরি, দেহ ব্যবসা, ধর্ষকের উল্লাস, লাশ বিক্রি, এনকাউন্টার। দেখেছে উলঙ্গ দাদার দাঁতাল হাসি, পতিতার কান্না, জারজের মৃত্যু। সে দেখেছে গভীর অন্ধকারে রজনীর উন্মুক্ত দেহ আর বিধাতার যন্ত্রণা। ------এসব দেখে নেশা ছুটে যেত কালুর। মনে পড়ত মা টার কথা, মা টা কষ্ট করে করে মরে গেল। ধর্ষনেই জন্ম হয়েছিল তার। মা বীর্যবানের নাম জানত, তাই জিভ কেটে নিয়েছিল ওরা। জোয়ান বয়সে শক্ত শরীর টাকে কিছুতেই সোজা করতে পারত না কালু! । নুইয়ে পড়া শিরদাঁড়া নিয়ে নেশার ভান করে পড়ে থাকত। তারপর এক সময় ঘুমিয়ে পড়ত। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওসব রাতের স্বপ্ন বলে মনে হত।
     চোখ রগড়ে আর একবার ভালো করে দেখল সামনের দিকে।
    -----ঈশ্বর ঠাকুর না! তুমি এদিকে! 
    ঈশ্বরকে দেখে কালু এক বুদ্ধি আঁটলো, এতদিন তো অনেক বাংলা, ইংরাজি নর্দমার জল খেয়েছি, এই সুযোগে অমৃত চেয়ে নেব। 
    এই ভেবে অমৃত চাইল। ঈশ্বর মৃদু হেসে বললেন, 
    –সে তো আমরা কবেই খেয়ে সব শেষ করে দিয়েছি। তোমাদের জন্য কিছুই আর অবশিষ্ট নেই । 
    --ভালো জিনিস পেয়ে ওমনি সাবার করে দিলে? আমাদের কথা একটুও ভাবলে না!
     -ভাগে অকুলান হত যে। বৈমাত্রেয় ভ্রাতারাও বঞ্চিত হয়েছে। 
    তবে কালু মাতাল ছাড়বার পাত্র নয়। নেশা করলেও মস্তিষ্ক আড়ষ্ট হয়নি তার।---দেখা যখন হয়েছে একটা জব্বর বর চেয়ে নিতেই হবে।
    --তোমার তো অনেক ক্ষমতা! মাথা চুলকে বলল- আমাকে এমন আশির্বাদ কর আমি যেন অমর হয়ে যেতে পারি। আমাকে অমর করে দাও ঠাকুর ! 
     বৃষ্টি ভেজা পাকা ফসলের মতো ঈশ্বরের পায়ের কাছে নুইয়ে পড়ল কালু। 
    কালু ছোট থেকেই জানে কিছু হাসিল করার জন্য আনুগত্য সব চেয়ে বড় দাওয়াই। আর এটা তো অমৃত না খেয়েই অমর হওয়ার বর.... একবার অমর হতে পারলে আর কোনো চিন্তা নেই। যতই মদ খাও লিভারও পচবে না, পাকথলিও পচবে না। সারা জীবন মনের সুখে বাংলা, ইংরাজি, গাঁজা, ভাঙ সব খাও আর ক্ষিদে ভুলে , ব্যাথা ভুলে চিৎ হয়ে পড়ে থাকো! 
    ঈশ্বর মৃদু হেসে কালু মাতালকে বললেন “তথাস্তু”। ঈশ্বরের আশীর্বাদ শুনে তাঁর দিকে চেয়ে হাত জোড় করে প্রণাম করতেই চোখের সামনেটায় ঝলসে উঠল হাজার পাওয়ারের হ্যালোজেন, বায়োস্কোপের মত হল সব!
     
     কালুমাতাল সে এক অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে এসে পড়ল।  অতি ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী আগুন। পড়বি পড় একটা জ্বলন্ত ঘরের চাল ভেঙে ঘরের মধ্যে । প্রচন্ড রেগে গিয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য স্ত্রীর সম্পর্ক ধরে দুই অক্ষরের গালাগালি দিতে লাগল। ঘরের মধ্যে দেখল বৌটা ছোট্ট মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে গুটিশুটি মেরে বসে আছে। আগুনের তাপে আর আতঙ্কে চোখগুলো পাকা করমচার মত লাল। বের হবে কি, কেঁদেই চলেছে।  দুজনকেই বাইরে নিয়ে এসে দেখল অগুন্তি মানুষ তখনও দাঁড়িয়ে হা-হুতাশ করছে ---কেউ বুক চাপড়াচ্ছে, কেউ মাথাকুটছে। সর্বহারা মানুষের আর্তনাদ আর বিধ্বংসী আগুনের গর্জনে কালু দিশেহারা হয়ে গেল। ততক্ষণে নেশার ঘোর কেটে গেছে কালুুর। পাশের বাড়ির মেয়েটা চিৎকার করে কাঁদছিল, বই পুড়ে যাচ্ছে তার। বোর্ডের এডমিট কার্ডটাও বইয়ের মধ্যে আছে যে! মেয়েটির কান্না বেশি কানে বেজেছে কালুর। চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটা আজ এত বড়ই যে হত!
    কালু কোমরের গামছাটা মাথায় বেঁধে  ঘরে ঢুকে বইয়ের ব্যাগটা কোনও রকমে বের করে আনল। যারা বাইরে আছে তারা কেউ এগিয়ে গিয়ে কাউকে বাঁচানোর সাহস করছে না। 
    আশপাশের ঘর থেকে আরও ছ -সাত জনকে বার করে আনল। ওর গায়ের ছেঁড়া জামাটা পুড়ে গেছে, গা টাও। ভয়ংকর আগুনের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাইল , কিন্তু পারল না। আগুন যেন ক্ষণে ক্ষণে বেড়েই চলেছে। শেষে  ঘর থেকে যেই বেরোতে যাচ্ছে  ওমনি  গোঙানির আওয়াজ ভেসে এল। বুড়ো লোকটা বিছানায় শুয়ে গোঙাচ্ছে, ওঠার ক্ষমতা নেই যে তার! বৃদ্ধকে কোনো রকমে কোলে তুলে নিয়ে ঘরের বাইরে আসার আগেই  চাল সমেত ঘরটা ভেঙে পড়ল। কালু গলন্ত লাভার বেগে বৃদ্ধকে কোলে নিয়ে অর্ধদগ্ধ হয়ে বেড়িয়ে এল।
      দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছে না!  সারা গ্রাম জ্বলছে। এতক্ষণে বুঝল ঈশ্বর কোথায় ফেলেছে! পাশের ধান ক্ষেতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আসলে সেখান থেকেই আগুনটা গ্রামে ছড়িয়েছে। সবাই ভেবেছিল গোয়ালঘরের সাঁঝাল থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কিন্তু না, ধানের ক্ষেতে ক্ষেত্রলক্ষ্মী তো জ্বলছে!  ইউনিফর্ম  পরা  রোবটগুলো পাকা ধানে আগুন লাগিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে, কেউ যাতে আগুন নেভাতে না পারে।
     কালু ছুটে গেল ক্ষেতের মাঝে। আরকেউ গেল না। নারী, পুরুষ, ছেলে, বুড়ো সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে ,কাঁদছে, আর্তনাদ করছে, ছবি তুলছে, শেয়ার করছে, লাইক দিচ্ছে ,কমেন্টস করছে কিন্তু কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করছে না। কালুমাতাল তমশা-বিদীর্ণ কণ্ঠে চিৎকার করল-
    - খেতে আগুন লাগালে কেন? আগুন নেভাও! 
     দৌড়ে জ্বলন্ত ক্ষেতের মধ্যে ঢুকে পড়ল সে। চট চট করে পাকা পাকা ধান পোড়ার শব্দ হচ্ছে তখন। তাতে আবার ক্ষেত্রলক্ষ্মী পোড়ার চিমসে গন্ধ । ধানের বীজ পুড়ে খই হয়ে আগুনে পড়ছে --সে খইও পুড়ছে। রোবট গুলো ছুটে এসে কালুুুকে আটকাল। কালু চিৎকার করে বলল- 
    - এ খেত আমার, এ মাটি আমার, এদেশ আমার, এ ক্ষেত্রলক্ষ্মী আমার মা ---আমার বোন ,আমার মেয়ে, তোমরা ওকে পোড়াচ্ছো কেন? 
    অগ্নিদগ্ধ পাকা ধান আর ক্ষেত্রলক্ষ্মীর পোড়া হাড়, মাংস, শাড়ি বুকে জড়িয়ে ধরল । ওর গলে যাওয়া বুকের চামড়ায় একটি ধান আটকে গেল। রোবটগুলো কালুর মাথায় রুলের বাড়ি দিলে সব অন্ধকার  হয়ে গেল। দুঃশাসনের মতো টেনে হিঁচড়ে  ক্ষেতের বাইরে নিয়ে এল ওরা।
    কালুর মনে পড়ে গেল ভগবানের বরদানের কথা। ----যা করার আমাকেই করতে হবে। ওরা মারুক-আমার কিছু হবে না। --ভেবে আবার উঠে দাঁড়াল । জমির আলের পাশের কচাগাছ উঁপড়ে কালু একাই লড়াই করল পাঁচ জনের সঙ্গে। ওরা সবাই  রিভালবারের বাঁট দিয়ে কালুর মাথায় মারতে লাগল। কালুর কণ্ঠ কালোকে বিদীর্ণ করে  চলেছে- 
    -এ মাটি আমার, এদেশ আমার,---ক্ষেত্রলক্ষ্মী আমার মা, আমার বোন, আমার মেয়ে। ---দূরে সবাই তখনও হা -হুতাশ করছে, ছবি তুলছে, শেয়ার করছে,লাইক দিচ্ছে, কমেন্টস করছে, আবার শেয়ার করছে, আবার লাইক দিচ্ছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করছে না।
     একটি গুলি কালুর বুকে লাগল। রিভলবার কেড়ে নিয়ে সব গুলি ওদের দিকে ছুঁড়ে দিল কালু--  নিজে আর সহ্য করতে পারল না। চিরতরে চোখে অন্ধকার দেখল-
    এদিকে যে বৃদ্ধকে কালু আগুন থেকে বাঁচিয়েছিল সেও মৃত্যুর কোলে মাথা রেখে শান্তি পেল। 
     
    ওপরে গিয়ে কালুর একমাত্র কাজ ঈশ্বরকে খুঁজে বের করা।  ঈশ্বরের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করতেই হবে। আশীর্বাদ করার নামে ঠকানো! ঈশ্বরকে খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ সেই বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা হল। 
     - আমি তো এমনিতেই মরতে বসেছিলাম আমার মত অপদার্থকে সমাজে যার কোনো প্রয়োজন নেই, সেই আবর্জনাটাকে তুমি আবার সেদিন বাঁচাতে গেলে কেন? 
    - তাই বলে একটা জীবন্ত মানুষকে জ্বলতে দিই কেমন করে বল? দেশটা তো তোমরাই গড়েছ। এখন অকেজো হয়েছ বলে আবর্জনা ভাবলে তো হবে না। আমি তো আর ওদের মতো পিশাচ ছিলাম না!
     কালুমাতালের বুকে একটি ধান আটকানোর চিহ্ন তখনও  স্পষ্ট ।
     ঐ দিকে চোখ যেতেই বৃদ্ধ বলল, -জানো? ঐ ধানের জমিটা একদিন আমার ছিল। নিজে হাতে ধান রোঁয়াতাম। ওরা আমারই জমিতে আমাকে হাত, পা, বেঁধে মেরে জমিটা দখল করেছিল। মুখ বেঁধে গলাটায় ফাঁস দিয়ে জমিটা কেড়ে নিল। শিরা চেপে গেল,ওরা আমাকে পঙ্গু করে দিল। 
    -সব ঐ শালা ঈশ্বরের কাজ। দেখলে না আমার সঙ্গে কেমন ছল করল। শয়তান গুলো তো ওর হাতের তৈরি! 
     -ঈশ্বরের আর দোষ কী! তিনি তো সবাইকে মানুষ করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ওরা ওখানে গিয়ে নিজের কর্তব্য ভুলে যাচ্ছে। নিজেদেরকে ঈশ্বরের অজুহাতে  নতুন নতুন দলে ভাগ করে নিচ্ছে । এখান থেকে একবার মানুষ হয়ে নিচে যেতে পারলে আর হুঁশ থাকে না! ভুলে যায় মানুষ হওয়ার কর্তব্য। প্রতিবাদ করতেও ভুলে যায়। ছোটবেলায় আমার মৌলবি -নানা’র মুখে শুনেছিলাম, নবাব সিরাজ উদ দৌল্লা’কে খুন করার পর শয়তান গুলো নাকি ওনার মৃতদেহটা নিয়ে সারা নগর ঘুরেছিল। সেদিন নগরের হাজার হাজার মানুষ নীরবে দাঁড়িয়ে শুধু দেখেছিল। নানা বলতেন, ”সেদিন যদি সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ত তাহলে ঐ’কটা দেশি  বিদেশি  শয়তানকে চেপে মেরে ফেলতে পারত ঐ নগরবাসীরাই।“ কিন্তু ওরা তা করেনি। ভিন দেশ থেকে কটা লোক এসে নিজের দেশের ছেলেকে মেরে ফেলছে জেনেও চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখেছিল। কেন জানো? মনের জোর আর একতার অভাব। সেকালেও যা হয়েছে আজও তাই হচ্ছে।
     
    মাস ছ’য়েক খোঁজাখুঁজির পর ঈশ্বরের দেখা পেল কালু। কালু সব রাগ উগরে দিয়ে বলল,
     -এই যে ঈশ্বর ঠাকুর! তোমার এজেন্টদের মুখে কত লেকচার শুনেছিলাম, তোমাদের দর্শন পাওয়া নাকি পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। তোমরা নাকি কাউকে খালি হাতে ফেরাও না! অথচ আমাকে অমর না করে অমনি আগুনে পুড়িয়ে মেরে দিলে? এটা কেমন হল? 
    ঈশ্বর মৃদু হেসে নিচের দিকে দেখতে ইশারা করলেন।
     
    কালু দেখল দেশটা পুরোটাই একটা ক্ষেতে পরিনত হয়েছে। শুধু মাঠ আর মাঠ । সবুজে সবুজ হয়ে আছে চারিদিক। হালকা হাওয়ায় নতুন ফসলের কচি কচি পাতাগুলো দোল খাচ্ছে । সবুজ শাড়ি পড়ে ক্ষেত্রলক্ষ্মী বসে বসে একটা মূর্তি গড়ছে। মূর্তিটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ভালো করে দেখল, মূর্তিটা অনেকটা ওর মত দেখতে। মূর্তির নিচে লেখা আছে “প্রতিবাদী, লড়াকু-শহিদ কালাচাঁদ নিয়োগী অমর রহে।“ মনে পড়ল পিতৃ পরিচয়হীন কালুকে “নিয়োগী” পদবিটা ভোটার কার্ড করার সময় ওয়ার্ডের বাবুরা দিয়েছিল।
    কালু ক্ষেত্রলক্ষ্মীর মুখটা দেখার চেষ্টা করল। অনেক চেষ্টার পর মুখটা দেখতে পেল---- ভালো করে দেখল,---ঠিক যেন তার চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়ের মুখ-- 
    চোখের পলক তুলে কচি ধানের পাতার মতো নরম আলোয় ভরা আর একটা নতুন সকাল দেখল কালু।
    ***********************   

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৭৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবানন্দ পাল | 103.85.***.*** | ৩০ মে ২০২১ ২১:০৩106644
  • বাহ্ চমৎকার লাগলো।

  • Lipikaa Ghosh | ০৭ জুলাই ২০২১ ১৯:২৫495661
  • ধন্যবাদ নেবেন

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন