২০ অক্টোবর মাসের প্রয়াত হলেন জেমস র্যান্ডি। তাঁর আসল নাম র্যান্ডল জেমস হ্যামিল্টন জুইঞ্জ, জন্ম কানাডায় ১৯২৮ সালের ৭ আগস্ট। জীবনের অনেকটাই কাটিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। The Amazing Randi এই নামে মঞ্চে ম্যাজিক দেখাতেন। জাদুকর হিসেবে তিনি বিখ্যাত ছিলেন, কিন্তু সে জন্য এখানে তাঁকে নিয়ে লিখতে বসিনি। তিনি ছিলেন scientific sceptic অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক সংশয়ী। জ্যোতিষী বা সাইকিক অর্থাৎ অলৌকিক শক্তির দাবিদারদের বুজরুকি ফাঁস করে তিনি বেশি পরিচিত হয়েছিলেন; এই কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁর ডাক আসত। ইজরায়েলের সাইকিক উরি গেলারের মুখোশ খুলে দিয়ে র্যান্ডি সারা পৃথিবীতেই যুক্তিবাদীদের মধ্যে বেশ বিখ্যাত হয়েছিলেন। এই উরি গেলার খুব নাম করেছিল আলতো করে ঘষে, চাপ না দিয়েই ‘অতীন্দ্রীয়’ ক্ষমতায় স্টিলের চামচ, হাতা, চাবি ইত্যাদি বেঁকিয়ে দেওয়া দেখিয়ে। এই ধরনের বুজরুকি ফাঁস করা নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন—সেগুলিতে কখনও নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন, কখনও বা খুবই বিখ্যাত কোনো ঘটনার বিশ্লেষণ করেছেন।
তথাকথিত অলৌকিক ঘটনার পিছনে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে উঠেছিল একটি সংস্থা, কমিটি ফর দি সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশন অফ দি ক্লেমস অফ দি প্যারানর্মাল, পরবর্তীকালে যা নাম পালটে হয়েছে কমিটি ফর স্কেপটিকাল এনকোয়ারি। র্যান্ডি ছিলেন তার এক উৎসাহী ও সক্রিয় সদস্য। অবাস্তব অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার দাবির বিরোধিতা করতে তিনি তৈরি করেছেন জেমস র্যান্ডি এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন। কেউ কোনো অলৌকিক ঘটনা বা অতিপ্রাকৃতিক শক্তির প্রমাণ দিতে পারলে তিনি দশ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন, পরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় দশ লক্ষ ডলারে। তা সত্ত্বেও এই চ্যালেঞ্জ নিতে কেউ এগিয়ে না আসায় পুরস্কারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
র্যান্ডি বুঝেছিলেন আমরা এই সমস্ত বুজরুকিতে বিশ্বাস করতে চাই বলেই বিশ্বাস করি। গেলারের সহকারী তাঁর লোক ঠকানো কাজে অংশ নিতেন, তা সত্ত্বেও তিনি র্যান্ডিকে বলেছিলেন যে তিনি গেলারের অতীন্দ্রিয় ক্ষমতাতে বিশ্বাসী। জ্যোতিষের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গণনা সম্পর্কে র্যান্ডির প্রথম অভিজ্ঞতা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। তাঁর এক বন্ধু একটা পত্রিকা প্রকাশ করবেন, র্যান্ডিকে কিছু লিখতে বললেন। র্যান্ডি ঠিক করলেন একটা পরীক্ষা করবেন। তিনি একটা জ্যোতিষের পত্রিকা কিনে তার থেকে বেশ কিছু রাশিফল কেটে নিয়ে এক জায়গায় মেশালেন। তার থেকে খুশিমতো বাক্য তুলে নিয়ে সেগুলোকে পরপর লিখে নতুন রাশিফল বানালেন। Zo-ran এই নামে তা প্রকাশিত হতে থাকল। অসাধারণ গণনার প্রশংসা করে পত্রিকাতে চিঠিপত্র আসতে শুরু করল, র্যান্ডি নিজের কানেও শুনলেন Zo-ran-এর গুণগান। তিনি রাশিফল লেখা বন্ধ করে দিলেন, তাঁর তখন বয়স সতেরো।
সারা জীবনে আরও অনেকবার এই রকম ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন র্যান্ডি, তার একটার কথা বলি। বিভিন্ন সময়ে নানা টিভি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন বা নিজেও পরিচালনা করেছেন র্যান্ডি। সেরকমই এক অনুষ্ঠানে কোনো এক জ্যোতিষী জন্মের মুহূর্ত বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যদ্বাণী করবেন, র্যান্ডি আগেই নিজের ও তাঁর সেক্রেটারির জন্মের মুহূর্ত পাঠিয়ে দুটি কোষ্ঠী বানিয়ে নিলেন, শর্ত ছিল নাম লেখা থাকবে না। শ্রোতাদের বললেন যে তাঁদের কয়েকজনের জন্মমুহূর্ত পাঠালে তিনি জ্যোতিষীর কাছ থেকে তাঁদেরও কোষ্ঠী বানিয়ে দেবেন, তাঁরা মিলিয়ে দেখতে পারেন। জনৈক ইচ্ছুক শ্রোতা তাঁর জন্মমুহূর্তটি পাঠালেন, র্যান্ডি তাঁকে তাঁর নিজের কোষ্ঠীটি পাঠালেন। কয়েকদিনের মধ্যে রিপোর্ট এল যে অসাধারণ মিল। র্যান্ডি ক্ষমা চেয়ে বললেন যে ভুল করে নিজের জন্মপত্রিকাটি পাঠানো হয়েছে, সঠিকটা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আরও কয়েকদিন পরে ফোন পেলেন, এবারে মিলের পরিমাণ আরও বেশি। র্যান্ডি এবার পাঠিয়েছিলেন তাঁর সেক্রেটারির কোষ্ঠীটি! এইরকম নানা উপায়ে র্যান্ডি দেখিয়েছেন যে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করি।
র্যান্ডির লেখা বইয়ের মধ্যে আছে Flim-Flam!, The Faith Healers, The Mask of Nostradamus, An Encyclopaedia of Claims, Frauds, and Hoaxes of the Occult and Supernatural ইত্যাদি। সেই সমস্ত বই থেকে র্যান্ডির কাজের পরিচয় পাওয়া যায়, এই লেখার তথ্যগুলি আমি মূলত প্রথমটির থেকেই নিয়েছি। নানা অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার কথা আমাদের দেশে প্রায়ই শোনা যায়, কেমনভাবে সেই সমস্ত দাবির পিছনের সত্যকে উদ্ঘাটন করতে হয় সে বিষয়ে উৎসাহী পাঠকরা বইটি পড়লে উপকৃত হবেন সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশে দেশে পার্থক্যটাও চোখে পড়ার মতো। প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই র্যান্ডি পরীক্ষা করছেন ল্যাবরেটরিতে বা টিভি ক্যামেরার সামনে—আমাদের দেশে কোনো অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদারকে সেইরকম পরিবেশে তাঁর ক্ষমতা দেখাতে রাজি করানো যাবে বলে মনে হয় না।
Flim-Flam! বইটি লেখা ১৯৮০ সালে, তাতে অনেকগুলি ঘটনার উল্লেখ আছে যাদের কথা এখন হয়তো প্রায় কারও মনে নেই। শার্লক হোমসের স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েলকে আমরা অনেকেই যুক্তিবাদী ভাবতেই অভ্যস্ত, যদিও তাঁর প্রফেসর চ্যালেঞ্জারের গল্পে শেষ পর্যন্ত তিনি প্ল্যানচেট ইত্যাদির সমর্থনই করেছেন। সেই কোনান ডয়েল কয়েকটি পরির ফটোগ্রাফকে আসল বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন! এ অবশ্য র্যান্ডির জন্মের আগের কথা। সেই ঘটনার আলোচনা করেছিলেন র্যান্ডি; পুরানো ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে বা ফটোগ্রাফারদের বক্তব্য আলোচনা করে দেখিয়েছেন জালিয়াতি কীভাবে করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলতে হয় যে তিনি যেরকম যত্ন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তা সত্যিই শিক্ষণীয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রথম পর্যায়ে আমরা অ্যানি বেশান্ত প্রতিষ্ঠিত থিয়জফিক্যাল সোসাইটির সম্পর্কে পড়েছি, কিন্তু সেই বইতে লেখা নেই যে তার পাশাপাশি তার সদস্যরা অন্ধবিশ্বাস প্রচারেও ব্যস্তছিলেন; কলকাতার অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিও তার শিকার হয়েছিলেন। কোনান ডয়েল ফটোগ্রাফের সত্যতা পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেই থিয়জফিক্যাল সোসাইটির এক কর্মকর্তাকে! শুধু কোনান ডয়েল নয়, অনেক বিজ্ঞানীও এই ধরনের লোক ঠকানো কারবারের পিছনের জালিয়াতিটা ধরতে পারেননি; প্রায়ই তাঁদের ম্যাজিশিয়ানদের সাহায্য নিতে হয়েছে। র্যান্ডি যদিও বলেছেন যে সাধারণ বুদ্ধি ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকলেই এই বুজরুকিগুলো ধরা সম্ভব, কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় যে সাধারণভাবে র্যান্ডির মতো ম্যাজিশিয়ানরা এ ব্যাপারে অনেক বেশি সফল হবেন।
চল্লিশ বছর আগে আমেরিকাতে লেখা এই বইয়ের কয়েকটি বিষয় এখনও আমাদের দেশেও প্রাসঙ্গিক। কয়েকদিন আগে এক পরিচিত স্কুলছাত্রী আমাকে বার্মুডা ট্র্যাঙ্গল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। বার্মুডা ট্র্যাঙ্গল সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচিত হয় চার্লস বার্লিজের লেখা বই থেকে, বাংলাতে তার অনুবাদও হয়েছিল। একাধিক লেখক দেখিয়েছেন যে কতকগুলো খুব সাধারণ ঘটনাকে ইচ্ছামতো বিকৃত করে বা সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বার্লিজ রহস্যের সৃষ্টি করেছেন, সেই বইগুলি অবশ্য বাংলাতে অনূদিত হয়েছিল কি না জানি না। এরিক ফন দানিকেন একসময় মিশরের পিরামিড বা পেরুর প্রাচীন সভ্যতার পিছনে ভিনগ্রহের প্রাণীদের হাত (বা শুঁড়) খুঁজে পেয়ে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত বই বাংলা ভাষাতে পাওয়া যায়, অনেকেই এখনও হয়তো কেনেন। দানিকেনের জালিয়াতি ধরিয়ে দেওয়া বইগুলিরও বাংলা কোনো অনুবাদ আমার চোখে পড়েনি। খুব সংক্ষেপে র্যান্ডি এই দুই তথাকথিত রহস্য নিয়ে আলোচনা করেছেন, দেখিয়েছেন যে এদের পিছনে আছে শুধুই বই বিক্রি বাড়ানোর প্রয়াস। আমেরিকাতে মহেশ যোগীর ট্রান্সেডেন্টাল মেডিটেশন একসময়ে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল, এখনও হয়তো দেশবিদেশে তার অনেক বিশ্বাসী আছেন। এই ধরনের দাবিগুলিকে কেমনভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিচার করতে হয়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন র্যান্ডি।
এখানে একটা ব্যক্তিগত কথা বলি। বহু জালিয়াতি ছাড়াও দানিকেনের বইয়ের বিজ্ঞানের তথ্যে এমন সমস্ত ভুল থাকে যা স্কুলের ছাত্রছাত্রীর কাছেও আশা করা যায় না, কয়েকবছর আগে তাই নিয়ে লেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। র্যান্ডি দেখিয়েছেন যে ইউরোপের বাইরের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের পিছনে দানিকেন গ্রহান্তরের প্রাণীর অবদান খুঁজে পেলেও সমসাময়িক ইউরোপীয় কীর্তি নিয়ে দানিকেন কখনও সন্দেহ প্রকাশ করেননি। শ্বেতাঙ্গরা নিজেরা সভ্যতা সৃষ্টি করতেই পারে, কিন্তু দানিকেনের মতে কালো বাদামি বা হলুদ চামড়ার মানুষের পক্ষে তা অসম্ভব! ঔপনিবেশিক বর্ণবৈষম্যবাদী মনোভাবের এই প্রকাশ আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।
বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান বা অবিজ্ঞানের প্রচার বহুদিন ধরেই দেখা যায়, অনেক সময় বিজ্ঞানীরাও জেনে বা না জেনে তার সমর্থন করেছেন। এই রকম কয়েকটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন র্যান্ডি, যেমন জ্যোতিষ, প্যারাসাইকোলজি বা বায়োরিদম। শেষের বিষয়টি নিয়ে আজকাল বিশেষ কথাবার্তা শুনি না, কিন্তু প্যারাসাইকোলজি বা পরামনোবিদ্যা এবং জ্যোতিষকে বিজ্ঞানের পোশাক পরাতে উদগ্রীব লোকের সংখ্যা এখনও কম নয়। টেলিপ্যাথি, টেলিকাইনেসিস, সিক্সথ সেন্স বা এক্সট্রা-সেন্সরি পারসেপশন—পরামনোবিদ্যাতে এধরনের নানা দাবির কথা শোনা যায় কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এই সমস্ত অপবিজ্ঞানের সমর্থকরা পরীক্ষাগারে তাঁদের দাবি প্রমাণের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে যে রকম উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেন, তার এক ভগ্নাংশও পরীক্ষাগুলিকে ‘ফুলপ্রুফ’ করার কাজে লাগান না।
র্যান্ডির বইগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। নানা ঘটনাকে অত্যন্ত মজাদার ভাবে প্রকাশ করেছেন র্যান্ডি; তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করতে গণিত এবং সম্ভাবনাতত্ত্বকে সফলভাবে ব্যবহার করেছেন। অথচ পাঠকমহলে চাহিদা থাকলেও প্রকাশক একসময় Flim-Flam ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন, এমনকি শর্ত অনুযায়ী যতগুলি ছাপার কথা ছিল তার অর্ধেকও ছাপা হয়নি। অলৌকিক ক্ষমতা বা জ্যোতিষ জাতীয় বিষয়ে বই শুধুমাত্র বিক্রয় সংখ্যার কারণেই অগ্রাধিকার পায়, পিছিয়ে পড়ে সেই সমস্ত মিথ্যার মুখোশ খুলে দেওয়ার প্রয়াস।
ওয়াশিংটন স্টার সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়তে একবার র্যান্ডিদের কুসংস্কার বিরোধী কার্যকলাপকে মশা মারতে কামান দাগার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল, বলা হয়েছিল সাইকিকদের দাবিকে মজা হিসেবেই নিতে হবে। র্যান্ডি বা তাঁর মতো লোক সমস্ত দেশেই আছেন; আমাদের দেশেও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করা লোকের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা কি ছায়ার সঙ্গে কুস্তি করে গায়ে ব্যথা করছেন? র্যান্ডির উত্তর তুলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমাদের নিজেদের দেশের অভিজ্ঞতা কি তাই বলে? কুসংস্কার ও অপবিজ্ঞান যে সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর তা নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কি? অলৌকিক ক্ষমতাবলে রোগ সারানোর কথা Flim-Flam-এ আছে, পরে The Faith Healers-এ র্যান্ডি কোটি কোটি ডলার মুনাফা করা সেই ব্যাবসার মুখোশ খুলে দিয়েছিলেন। সেই বইয়ের সূচনাতে র্যান্ডি লিখেছিলেন, ‘This book is written by an angry man’। র্যান্ডি লোক ঠকানোর নানা কারবার দেখে ক্রুদ্ধ, সরকার বা সমাজের উপরের তলা যে এই মিথ্যার বেসাতির বিরোধিতা করছে না তাতে র্যান্ডি ক্রুদ্ধ, শুধুমাত্র নিজেদের গ্রাহক বা দর্শকসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংবাদমাধ্যম যেভাবে এই সমস্ত অবাস্তব দাবির প্রচার করে তা দেখে র্যান্ডি ক্রুদ্ধ। সেই অ্যাংগ্রি ম্যান দীর্ঘ পঁচাত্তর বছর ধরে নিজে যা বিশ্বাস করেছেন তাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন, কোনোরকম লোভ বা ভয় দেখানো তাঁকে তাঁর পথ থেকে সরাতে সক্ষম হয়নি।
ভালো লাগল খুব,
এই বইটি এবং র্যান্ডিকে নিয়ে একদিন লিখব ভাবছিলাম, ভালোই হল লিখলেন, উনার প্রতিটি বইই আমার ভালো লাগে
প্রিয় লেখক প্রসঙ্গে স্বচ্ছ প্রতিবেদন। ভালো লাগলো। অন্যদের কথা জানিনা, তবে সহজ কথা বলতে গিয়ে আমার অনেক বন্ধু-আত্মীয় বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। ২০১৪র বহু আগে থেকেই...
Randi দারুন লোক। ওনার বেশ অনেক কটা ভিডিও টেড টক শুনেছি। ভারতবর্ষের মতো দেশে ও নার মতো লোকের বেশি প্রয়োজন ছিল। তবে এ খা নে হলে ওনাকে আরো বেেেশি কাঠি করা হত।। জ্যোতিষের ad র রমরমা থেকেই মালুম হয়
এনিয়ে কিছুই জানতাম না।FlimFlam ডিজিটাল কিনে আজ পড়া শুরু হল।
লেখক ও গুরুকে ধন্যবাদ।
আচ্ছা একটা কথা আগের পোষ্টে লিখতে ভুলে গেছি। আমি নিজেও জানতাম না, কিছুদিন আগে র্যান্ডিকে নিয়ে আবার ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখলাম।
এই মিলিয়ন ডলার প্রাইজ চ্যালেঞ্জটা আর ভ্যালিড নেই - ২০১৫ সালে এটার পরিসমাপ্তি হয়েছে। এটা মনে হয় মূল লেখায় উল্লেখ করে দিলে ভালো হবে।
ওনার নাম কোনান ডয়েল কোনাল নয়।
একটা কথা বলা দরকার। সত্তর আশির দশকে শ্রীলংকার ডঃ কোভুর এবং বেংগালুরুর ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের ড ঃ নরসিমহাইয়া র্যাশনালিস্ট সোসাইটির তরফ থেকে এ নিয়ে প্রচার করতেন। ওঁরা শিরোনামে এসেছিলেন সত্য সাঁইবাবার হাতের মুঠো থেকে আংটি ও ফটো থেকে ভস্ম বের করার ম্যাজিক দেখিয়ে। সাঁইবাবা ওদের ঢুকতে দেননি এবং গালাগাল দিয়েছিলেন। কোলকাতার কাছে প্রবীরবাবু এই কাজ করেছেন, বইও লিখেছেন। ছত্তিসগড়ের রায়পুরে অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির ইউনিট আছে। পরিচালক একজন আই-স্পেশালিস্ট ।
মুম্বাইয়ে একই কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকর। ওঁর ছেলে হামিদ এবং অন্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বইও প্রকাশিত হচ্ছে। আগামীতে কখনও গুরুর পাতায় ওঁর একটি বইয়ের রিভিউ করার ইচ্ছে আছে।
ভাল লেখা, জরুরি লেখা । শেয়ার করলাম ।
amra ja otindriyo khomota niye alochona korchi...ta classic level e sotyo.....kintu Quantum Physics er dristi vongi diye dekhle kintu onek obishasyo ghotona cholhe porbe jar byakhya classic physics e nei.....amader deep concious level e ki kando ghote, ba amra jokhon swopno dekhi tokhon nijer sotta ke tar modhey ki kore onuvob kori.....abar real life e ki kore swopno vule jai....er somosto kichu r byakhya future e Quantum physics dite parbe.......tai Otindriyo khomota ache ki nei er dondo mimangsha korar somoy ekhono ase ni