এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রাষ্ট্রের চমক ও নাগরিক সুপারিশ

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ এপ্রিল ২০২০ | ৫০৮৫ বার পঠিত
  • লকডাউন এবং নোটবন্দী - দুগালে যেন দুই বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় ভারতের মুখে। কোন ভারত ? না, যে ভারতের পেটে ভাত নেই, মাথার ওপর ছাদ থাকলেও না আটকায় রোদ, না বৃষ্টি। যার শিক্ষা, কর্মসংস্থান চিকিৎসা কোন সুযোগই নেই। যে ভারতে এমনকি মৃত্যু হলেও সবার কপালে সম্মানজনক শেষকৃত্য জোটে না।যে ভারত অনাহারে অর্ধাহারে, দারিদ্রে, অপুষ্টি আর রোগে ব্যতিব্যস্ত।

    এক থাপ্পড়ের রেশ ভালোমতো না কাটতেই এবার যেন আর এক থাপ্পড়। আমি বর্তমান শাসককে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করতে চাই না, কারণ পরবর্তীতে ইতিহাসচর্চা দেখিয়ে দিয়েছে তুঘলক প্রজারঞ্জক ছিলেন।
    তার সমস্ত কল্যাণমুখী কার্যকলাপ নষ্ট হয়ে যায় যত না তাঁর অদূরদর্শিতায়, তার থেকে বেশি অন্য অন্য কারণে, যার মধ্যে সুলতানের মন্দভাগ্যও একটি। আমাদের বর্তমান শাসক তুলনাহীন, একমেব অদ্বিতীয়ম !

    নোটবন্দীর সময়ের কথা মনে আছে তো ? কিরকম হাহাকার পড়ে গেছিল চারদিকে ? সবচেয়ে বেশি অসুবিধেয় পড়েছিল এই গরীবগুর্বোরাই, যারা এখন প্রাণ হাতে করে পথ হাঁটছে। রুজি হারিয়ে অনাহারক্লিষ্ট তাদের কান্না এখনো কানে বাজে। ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়েই ঢলে পড়েছে কতো লোক।
    এবার আবার এই লকডাউন।

    আর কী উপায় আছে, বলে যতোই আমায় মারতে আসুন, আগে একথা তো স্বীকার করুন এ দেশে সম্পূর্ণ লক ডাউন করতে পারে একমাত্র সচ্ছলরাই যাদের ব্যাঙ্কে যথেষ্ট টাকা আছে, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং চালানোর মতো বড়সড় বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে। আর আছে চব্বিশ ঘন্টা জল সরাবরাহ। যারা দিন আনে দিন খায় তারা কি পেটে গামছা বেঁধে থাকবে, না কি তারা ফুটপাথের সুরম্য ইঁট সরিয়ে রক্ত জল করা টাকা জমিয়ে রেখেছে ? ফুটপাথে তাও বিচ্ছিন্নতা অনুশীলন করা সোজা, কিন্তু বস্তির ঘরগুলিতে ? ছ সাত জন বা তারও বেশিজন মিলে গাদাগাদি করে থাকা শুয়োরের খোঁয়াড়ের মতো ঘরে আবার বিচ্ছিন্নতা কী বস্তু ? সেখানে ঐ দশ ফুট বাই দশ ফুটেই প্রজনন, জন্ম, মৃত্যু, এই সবই নির্বিবাদে সমাধা হয়ে থাকে। এতোবার হাত ধোয়াই বা কী করে সম্ভব যেখানে টাইম কলের সামনে দীর্ঘ লাইন আর কে আগে জল নেবে তাই নিয়ে ঝগড়া মারামারি। ফুটপাথের বাসিন্দারা স্নান, শৌচকর্মের জল পায় না

    তাদের ভিআইপিদের দেখানো স্টাইলে কনুই অব্দি ঘষে ধোবার কথা বললে বাছাই করা বিশেষণে ভূষিত হবার চান্স আছে।
    তাই বলে এতো পরিপক্ক রাজনৈতিক মাথাদের মনেই থাকবে না যে এ দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মজুর, যারা আবার বেশিরভাগই পরিযায়ী পাখির মতো ফসলের মরশুমে আনাগোনা করে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ?

    এরাই লক ডাউনে পায়ে পায়ে পাড়ি দিচ্ছে শত শত কিলোমিটার। কখনো দিল্লী পুলিশের তাড়া খেয়ে হাঁটছে উত্তর প্রদেশের সীমান্তের দিকে, আবার সে রাজ্যে ঢোকার ঠিক আগের মূহুর্তে উত্তর প্রদেশের পুলিশের লাঠি খেয়ে সোজা উল্টোবাগে ঘুরে ফের হাঁটা শুরু করছে দিল্লীর দিকে। রাস্তায় শাস্তি পেতে হচ্ছে নীল ডাউন হয়ে বা পায়ে হাঁটার বদলে ব্যাঙ লাফ দিতে দিতে কিলোমিটার খানেক গিয়ে। কিসের শাস্তি জিজ্ঞাসা করলে মানুষগুলো হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে নিশ্চয়।ভাগ্যবানেদের ব্লিচিং স্নান করানো হচ্ছে। আরো ভাগ্যবানেরা, তাদের সংখ্যা নাকি ২১, এই ধকল নিতে না পেরে সোজা পরপারের দিকে যাত্রা করেছে। খালি পেটে খর রৌদ্রে তিন চারদিন ধরে হাঁটলে যা হয় আর কি !

    যারা করোনার সময় নিজের পৃষ্ঠদেশ বাঁচাবার জন্য এবং পুলিশের মাথায় আবার ফুল ছড়াবার চান্স পাবে বলে পুলিশকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর গুলি চালাবার উপদেশ দিচ্ছে, তাদের কাছে সরাসরি প্রশ্ন, না হেঁটে এরা করবে কী ? খবরে যা উঠে এসেছে কাজ হারাবার পর ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কেটে , মেরেধরে এদের অস্থায়ী আস্তানা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সরকার সেসব আটকায়নি, বাস বা অন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। কাজ নেই, ফলে আয় নেই। এইরকম পরিস্থিতিতে তারা একমাত্র যেতে পারে যেখানে, নিজের দেশগাঁয়ের ছোট্ট কুঁড়েটিতে, সেখানেই যাবার চেষ্টা করছে। অপরাধ কোথায় ? আপনিও তো খাওয়া পরা চিকিৎসার গ্যারান্টি থাকা সত্ত্বেও আপনার বিদেশে পাঠরত সন্তানকে চলে আয় বাবা, চলে আয়, বলে বার বার গৃহের নিরাপত্তায় ফিরতে উৎসাহ দিয়েছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলা আটকাতে তার ফিরে আসার কথা পাঁচ কান করতে চাননি। তাহলে এই অভুক্ত গরীব মানুষগুলো অসহায় অবস্থায় ঘরে ফিরতে চেয়ে কী এমন অপরাধ করে ফেলেছে যে তার জন্য পুলিশের গুলির নিদান দেওয়া হচ্ছে ? তবে কি এরা টু শব্দটি না করে রাস্তার ধারে পুলিশের লাঠি সহযোগে অনাহারে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিলেই আমরা খুশি হতাম ?

    এরা নির্বিবাদে সব কিছু মেনে নিলেই কি ভারতে করোনা চিকিৎসার পথ সুগম হতো? আমাদের দেশ স্বাস্থ্য খাতে যতো টাকা খরচ করে তা পৃথিবীর সমস্ত দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। লাস্ট প্রাইজটা আমাদের জন্য বাঁধা। একটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটি কতো হাস্যকর তা বোঝা যাবে।

    ধরা যাক একটি জন স্বাস্থ্য অভিযান এস্টিমেটের কথা।
    ২০ লক্ষ জনসংখ্যার কোন জেলা শহরে ২০০০০ করোনা রোগিকে চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পনাই সার, বাস্তবে সে হাসপাতালে যথেষ্ট বেড থাকবে না, স্বাস্থ্যকর্মী থাকবে না। একটি ভেন্টিলেটর থাকলেই ভাগ্য মানতে হবে। বড়লোকেদের জন্য প্রাইভেট হাসপাতাল আছে, তেমন তেমন অসুখে সেখানে মধ্যবিত্তের ঘটি বাটি চাটি হতে পারে, কিন্তু গরীবের করোনা হলে তো তাকে জন স্বাস্থ্য অভিযানের কৃপাপ্রার্থী না হয়ে উপায় নেই। প্লেনে চাপা দামী পোশাক পরিহিতের দ্বারা বাহিত হয়ে করোনা এলো এদেশে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হবে শ্রমিক, পথবাসী, বস্তির হাভাতে কাগজকুড়ুনি, রিক্সাওয়ালা, হকার, এ কিরকম কথা !

    এই হতভাগ্যদের মধ্যে কেউ কেউ যাতে করোনার সঙ্গে যুঝতে পারে সেজন্য দয়ালু সরকার বাহাদুর প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রেশন তুলতে গেলে পরের ৩ মাস বাড়তি ৫ কিলো চাল বা আটা পাওয়া যাবে। ওই সময়ের জন্যই ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে জনধনযোজনার অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের। আর ৩ কোটি বিধবা ভাতা প্রাপ্ত, সিনিয়র সিটিজেন, দিব্যাঙ্গদের জন্য তিন মাসের পেনশন এডভান্স। ২০০০ টাকা বরাদ্দ প্রত্যেক MGNREGA কর্মীর জন্য। এদের কারোরই কিন্তু কোনো মেডিক্যাল ইনসিওর‍্যান্স করা নেই। শুধুমাত্র এই টাকা, এই খাবারের ব্যবস্থা যদি আমাদের জন্যও করা হতো, তারপর আমার আপনার মেডিকাল ইন্সিওর‍্যান্স বাতিল ক'রে করোনা রাক্ষসীর সঙ্গে লড়তে বলা হলে কেমন লাগতো ?

    দেখে নেওয়া যাক পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারের হালের ঘোষণা কী।
    মিঠে কথায় পয়সা লাগে না। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার নানা ওষ্ঠ সেবা( lip service)-র আয়োজন রেখেছে। তাতে আশ্রয়, খাবার এসব মামুলি ব্যবস্থা তো আছেই, এমনকি শ্রমিকের মানসিক সুস্থতা কিভাবে বজায় রাখতে হবে সে কথাও বলা আছে। গাইডলাইন ইস্যু করে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে তার আশঙ্কা, ভয় ইত্যাদি " উপলব্ধি" করে যেন পুলিশ তার সঙ্গে " মানবিক ব্যবহার" করে।

    জায়গায় জায়গায় রিলিফ ক্যাম্প বসাতে হবে, সেখানে জল, খাবার, সুস্থিতি সব পরিযায়ী শ্রমিকের পাওনা। স্বাস্থ্য পরিষেবাও। মন্ত্রক থেকে আরো বলা হয়েছে কাউন্সেলিং করে বা সব ধর্মের ধর্মগুরুদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে পরিযায়ী শ্রমিকদের মন মাথা ঠান্ডা রাখতে।

    সমাজসেবীরা বলছেন, এই ভাবনাগুলো আগে ভাবলে লাভ ছিল। হুট করে লক ডাউন জারি করবার আগে পরিযায়ী শ্রমিক আর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের ওপর তার প্রভাব কী হবে সেটা নিয়ে এতো তালেবররা কেউই মাথা ঘামালো না ? দুম করে কাজ চলে গেলে, ক্ষিধের আগুন দাউদাউ জ্বলতে থাকলে মানুষজনের কী অবস্থা হতে পারে নোটবন্দী থেকে তার শিক্ষা নেয়নি শাসক ? বোঝেনি করোনিভাইরাসের সঙ্গে যোঝা আরো দুষ্কর হবে, কারণ দুর্বল বুকের খাঁচায় জেঁকে বসা ভাইরাস নিয়ে শ্রমিক ছড়িয়ে যাবে দূর দূরান্তরের গ্রামে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা দুর্বল থেকে দুর্বলতর ?

    অন্দর জুড়ে অজস্র হাভাতের ভিড় আর বাইরে লক্ষ লক্ষ অভুক্ত মানুষের অবিশ্রান্ত হাঁটার আওয়াজ বলে দিচ্ছে লক ডাউন ছাড়া যদি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আর কোনো রাস্তা নাও থেকে থাকে, তবু হঠাত ডাকা এই লক ডাউন, অগ্র পশ্চাত বিবেচনাহীন এই লকডাউন, মানুষকে যমযন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দেওয়া এই লক ডাউন ব্যর্থ, সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

    তাহলে কী করা উচিত ছিল এ প্রশ্ন উঠলো বলে। যেহেতু দেশ এখনও অন্তত নামে গণতন্ত্রী, ভাবতে এবং বলতে এখানে সবাই পারে, নির্ভয়ে নয় যদিও । যারা শুনলে কাজ হতো তারা শুনবে না জেনেও বলতে হবে। কারণ এদেশে এখনও পুলিশের বন্দুক সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে এরকম বিশ্বাস অনেকেরই নেই। ফলে পরবর্তী লক ডাউনের আগে সরকার যেন নাগরিকদের এই সুপারিশগুলো নিয়ে ভাবে।

    ১) যতোদিন লক ডাউন চলবে অসংগঠিত ক্ষেত্রে সবাইকে ততদিন ন্যুনতম মজুরি হিসেব করে অর্থসাহায্য করতে হবে। পরেও, অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া অব্দি। ৩০০ জন অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী রেখেছেন যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মোট ৩৮ কোটি জনধনযোজনার গ্রাহকদের মাসে ৬০০০ টাকা ন্যুনতম তিন মাস দিতে হবে। সরকার সরাসরি এই টাকা তাদের একাউন্টে পাঠাবে।

    ২)পেনশনে চিকিৎসা বরাদ্দ ঢুকিয়ে তা বৃদ্ধির পর প্রাপক যাতে হাতে হাতে পায় তার ব্যবস্থা করা।

    ৩) বিনেপয়সায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠাতে হবে বস্তিতে। রেশন ব্যবস্থা অনেক উন্নত করতে হবে এবং কেরলের মতো দরজায় দরজায় দিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৪)গৃহহীনদের আশ্রয় যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়, আলো বাতাস খেলে, রোগে বিচ্ছিন্ন থাকা যায়।

    ৫) জেলে বিচারাধীন বন্দী, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী কাউকে গাদাগাদি করে রাখা চলবে না। খুব গুরুতর কেস ছাড়া আপৎকালীন মুক্তি এদের পাওনা।

    ৬)সবচেয়ে বড় কথা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়াতে হবে। জরুরী অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতাল বা এইধরণের ব্যবস্থাকে সরকার অধিগ্রহণ করতে পারবে। ঠেলার নাম যে বাবাজী স্পেন তা দেখিয়ে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সেখানে সব প্রাইভেট হাসপাতাল পাবলিকে রূপান্তরিত হয়েছে।

    ৭) শেষ কিন্তু শেষ নয় যে দাবী তা হল দেশ জাতির ভাগ্য নিয়ে সংক্ষেপিততম সময়ে ছিনিমিনি খেলার আগে দুবার ভাবতে হবে। সময় দিতে হবে। নোটবন্দী ও লক ডাউনের ফলে মানুষের চূড়ান্ত হয়রানি থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

    যারা প্রশ্ন করবেন টাকা আসবেন কোত্থেকে তাদের মনে করাব শাসকদলের সঙ্গে দহরমমহরমের পর যে শিল্পপতিরা পলাতক, তাদের সম্পত্তি ব্যবসা ক্রোক করে সব পাওনা উশুল করা হোক। আর্থিক দুর্নীতির সঙখ্যা অগুন্তি। রাফায়েল তাদের মধ্যে হিমশৈলচূড়া। এইসব ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখানো হোক। সাধারণ নাগরিককে বঞ্চিত করে ক্রমাগত কমছে ব্যাঙ্কের সুদের হার। এবার থাবা স্বল্প সঞ্চয়ে, তাও অভূতপূর্ব হারে। পৃথিবী জুড়ে তেলের দামে মন্দা, এখানে যাতে তেমন কমাতে না হয় তার জন্য কতো ছলাকলা ! কেন কমানো হয় কর্পোরেট ট্যাক্স ? শিল্পে কোন মন্দার মোকাবিলা করা গেছে তা দিয়ে ? এখুনি জরুরি ভিত্তিতে সম্পদ কর চালু করা হোক। বড়লোকেরদের ১% এর ওপর সঠিকভাবে সম্পদকর লাগু হলে এখনই হু হু করে উঠে আসবে বিপুল পরিমাণ টাকা।

    এতো নষ্ট পয়সা কুড়িয়েবাড়িয়ে এক করলে করোনাযুদ্ধের খরচ উঠে আসবে না ?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ এপ্রিল ২০২০ | ৫০৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০৯:৩৩91981
  • সবচেয়ে অসহায় মানুষগুলোর জন্য একান্ত জরুরী এই সুপারিশগুলোর একটাও হয়ত কেঊ রাখবেনা। তবু সেগুলো জানিয়ে রাখাটা জরুরী।
  • শিবাংশু | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১১:১৪91988
  • আমরা সবাই এই কথাগুলো যথাসম্ভব চেঁচিয়ে বলতে চাইছি। কিন্তু আমাদের স্বরে কোনও শব্দ নেই।

    বিহারের লোক। পরিযায়ী শ্রমিকদের বেদনা খুব কাছের থেকে দেখেছি। ঐরকম অভাগা, নিঃস্ব, সর্বহারা, কিন্তু আপোসহীন পরিশ্রমী মানুষ, জানিনা পৃথিবীর আর কোথাও আছেন কি না? কৃষি, নির্মাণশিল্প, অসংগঠিত শ্রমভিত্তিক ভারিশিল্পগুলি, সব ওঁদের কাঁধে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা আজকে সমাজবিরোধী অপরাধীদের মতো ব্যবহার পাচ্ছেন দেশপ্রেমী দেশবাসীদের থেকে। জানিনা, এই পাপ বহন করার শক্তি 'গণতন্ত্রে'র আছে কি না?
  • অলকানন্দা | 162.158.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:১৬91989
  • একদম সঠিক এবং সময়োপযোগী লেখা যেখানে শুধু সমালোচনা না করে নির্দিষ্ট পথনির্দেশের চেষ্টাও করা হয়েছে।
  • শেখর সেনগুপ্ত | 162.158.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪৯91992
  • অত্যন্ত সময়োপযোগী লপখা এবং সমস্যার মোকাবিলার জন্য  সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশও আছ। চোর ধর্মের কাহিনী না শুনলেও বলে যাওয়া দরকার।

  • শেখর সেনগুপ্ত | 162.158.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪৯91991
  • অত্যন্ত সময়োপযোগী লপখা এবং সমস্যার মোকাবিলার জন্য  সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশও আছ। চোর ধর্মের কাহিনী না শুনলেও বলে যাওয়া দরকার।

  • Subhra Sundar Goswami | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৩৯91993
  • যথাযথ লিখেছেন! তুঘলকি নয়, জোকারের রাজত্ব চলছে!
  • হাবীব | 162.158.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১৬:২৩91995
  • ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে । রাষ্ট্র নাগরিকদের অধিকার রক্ষাতে শুধু অবহেলাই করছে তা নয় বরং অপ্রয়োজনীয়ও মনে করছে । অতিসত্বর নাগরিকরা যদি অধিকার সচেতন না হয়ে তা সুনিশ্চিত করতে না পারে তবে অনেক শক্ত পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ।
  • দ ঘ | 162.158.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৭92000
  • খুব সুচিন্তিত লেখা ।
    লেখিকা মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ ।

    অধমের কেবল একটু আপত্তি আছে "নোটবন্দী" শব্দটায় - ওঠাতে কেমন যেন হিন্দি হিন্দি গন্ধ । তার বদলে কি "নোটবাতিল" অথবা "অনর্থকরণ" ব্যবহার করা যায় না ?
  • দ ঘ | 162.158.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০২92001
  • খুব সুচিন্তিত লেখা ।
    লেখিকা মহাশয়াকে অনেক ধন্যবাদ ।

    অধমের কেবল একটু আপত্তি "নোটবন্দী" শব্দটায় ।
    ওটাতে কেমন যেন হিন্দি হিন্দি গন্ধ । তার বদলে কি "নোটবাতিল" অথবা "অনর্থকরণ" ব্যবহার করা যায় না ?
  • Prativa Sarker | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ১৮:১৮92016
  • তেলের দামের হিসেবটা এখানে দিয়ে রাখা ভালো। সারা বিশ্বের বাজারে ৮০ ডলার থেকে ২০ ডলারে নেমেছে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম। আমাদের সরকার দু তিন টাকা বাড়িয়ে কমিয়ে সেই পার লিটার ৭৩ টাকাতেই থমকে রেখেছে। ভাবা যায় শুধু এই একটি ক্ষেত্রেই লাভের কড়ি কতো ?
  • কল্লোল | 162.158.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২২92018
  • হেলথকেয়ারে খরচ ৫।৩% থেকে বড়িয়ে অন্ততঃ ১০১২% করতে হবে।
  • রেশন যেভাবে দেওয়া হচ্ছে | 162.158.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২০ ১০:২৫92157
  • কয়েকটা কথা বলি । আমরা এ পি ডি আর এর পক্ষ থেকে লক ডাউন ঘোষণা হওয়ার আট নয়দিন পর থেকেই ত্রাণ দিতে শুরু করি । প্রথমদিকে এই দায়িত্ব পালন করতে পারব কিনা সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ সংশয় থাকলেও সংগঠনের সাথী ও শুভাকাঙ্খীরা ছাড়াও ফেসবুকের বন্ধু ও স্থানীয় মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে করে আমাদের অসুবিধা কিছু হয়নি বরং আত্মবিশ্বাসের সাথে এই কাজ করতে পেরেছি । পাশাপাশি যুক্ত হয়ে গেছেন আমাদের অন্যান্য বন্ধুরাও যারা সমস্তকাজের দায়িত্ব নিতেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ও কাজ ও করেছেন । আমরা আশা করেছিলাম , রেশন দেওয়া শুরু হলে এই ত্রাণের প্রয়োজন কমবে । কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন । বাস্তবে দেখা যাচ্ছে , ত্রাণের প্রয়োজন উত্তরোত্তর বাড়ছে । কোনো কোনো গ্রাম থেকে যদিও এমন ও জানা যাচ্ছে যে রেশন দেওয়া শুরু হয়েছে তাই তারাই আমাদের জানিয়েছেন যাদের অবস্থা আর ও খারাপ তাদের ই ত্রাণ দিতে । সেই গ্রাম বা পরিবারগুলির এই সহমর্মিতা মনে রাখার মত কিন্তু ঘটনা হল যে যে গ্রাম থেকে এমন সাড়া পাওয়া গেছে সেই গ্রামগুলি মূলত কৃষিপ্রধান , এমনকি কারোর কারোর অল্প বিস্তর জমিও আছে । ফলত ধান , গম ও কিছু পরিমাণ শাক সবজির প্রয়োজনে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ । কিন্তু যারা এর বাইরে থাকলেন অর্থাৎ দিন মজুর , হকার , টোটো ওয়ালা , রিক্সাওয়ালা, গৃহশ্রমিক এঁরা চলবেন কি করে ? রেশন পাচ্ছেন কিনা জানতে চাওয়ায় তারা প্রত্যেকেই জানালেন বি পি এল কার্ডে দুই কেজি চাল আর এক কেজি গমের বেশি কিছু পাওয়া যাচ্ছেনা । দশ - পনেরোটা রেশন ডিলারের উপভোক্তাদের কাছে জানতে চাওয়ায় উত্তর এক ই এল । অতএব , ধরে নেওয়া যেতেই পারে সব ডিলাররাই এই পরিমাণ রেশন দিচ্ছেন । এরপর জানতে গেলাম ডিলারদের কাছে । জানতে চাইলাম তারা কেন সরকার নির্ধারিত রেশন না দিয়ে কম পরিমাণ দিচ্ছেন ? তারা জানালেন , তাদের কাছে পূর্নাঙ্গ রেশন এসে পৌঁছয়নি , গাড়ি চলছেনা তার ওপর রেশন তোলা পারার কাজ করেন যে শ্রমিকরা তারা ও আসতে পারছেন না । তাহলে যে মমতা ব্যাণার্জী বললেন , রাজ্যে একজন ও না খেয়ে থাকবেন না !! না খেয়ে যেন কারোর মৃত্যু না হয় তা তিনি দেখবেন !!! প্রসঙ্গত বলি , কোরনা পূর্ববর্তী সময়েও এরাজ্যে অনাহারে মৃত্যু ঘটেছে (সাতজন শবরের অনাহারে মৃত্যু আশা করি আমাদের মনে আছে) আর এই পরিস্থিতিতে অনাহার মৃত্যু যে জাল ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের ই আশেপাশে তা থেকে মুক্তি কোথায় ? রোজ ই আমাদের কাছে যে ত্রাণের তাগাদা আসছে তা থেকেই বা মুক্তি কোথায় ? প্রশ্ন এটাও যে , এই রেশন কি মানুষকে মানুষ জ্ঞান করে দেওয়া হচ্ছে ! শুধু চাল আর গম দিয়ে দিনপাত করাটা কি বেঁচে থাকা !!! তবে যে শুনলাম ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারক খাবার খেতে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী , বলছেন সাবান দিয়ে হাত ধুতে অথবা মাস্ক পরতে !! ওহ ! ওগুলো বুঝি মধ্যবিত্ত - উচ্চবিত্তের জন্য বলেছিলেন !! এর বাইরে যারা আছেন তারা নেহাত ই ... । যাহোক , যেকথা বলছিলাম , ত্রাণ দেওয়া হবেনা সেকথা একবার ও বলছিনা দেওয়া হচ্ছে , হবেও । প্রশ্ন হল , সবার পেটে ভাত দেওয়ার দায়িত্ব সরকার কেন নেবেনা ? কেন পৌঁছবেনা পর্যাপ্ত পরিমাণ রেশন অথবা কেন দেখভাল করা হবেনা উপভোক্তারা সঠিক পরিমাণ রেশন পাচ্ছেন কিনা ? সহনাগরিক হিসেবে আমরা এই দায়িত্ব পালন করছি , করব ও কিন্তু তাই বলে সরকার এই দায় এড়াবে কেন ? শুধু পলিটিক্স অফ পাবলিসিটি দিয়ে পেট ভরবে কার ? এবার আসি পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে । ইতিমধ্যে বারম্বার আমাদের কাছে যোগাযোগ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । তারা এই বাংলা থেকেই গেছেন ভিন রাজ্যে কাজ করতে । আগামি 15 তারিখ লক ডাউন উঠে যাওয়ার আশায় তারা বুক বেঁধে ছিলেন । যেসব রাজ্যে আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন আছে তারা এই শ্রমিকদের খাবার দাবার দিয়ে শ্রমিকদের প্রভূত সাহায্য করেছেন । এই দূর্দিনে তাদের ভূমিকা মানুষ মনে রাখবেন । এখন সেই শ্রমিকরাই দেশে ফিরতে চাইছেন এবং যেহেতু কাজ হারিয়ে তারা আজ নিঃস্ব তাই তাদের ফেরানোর ব্যবস্থাও আমাদের ই করতে হচ্ছে , এমনকি আমাদের শহরে আটকে পরা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় অঞ্চলের মানুষ। যেটা বলতে চাইছি তা হল , সরকার কেন এঁদের ফেরানোর দায়িত্ব নেবে না ?? প্রশ্নগুলো রাখলাম । কারণ সমস্যার গভীরতা ভেবে অস্থির লাগছে । আমাদের যখন এই লক ডাউনেও রোজ কিছু না কিছু এইরকম প্রয়োজনে বেরোতে হচ্ছে তখন ও ডি এম এর কাছে পাস এর আবেদন নিয়ে গেলে তিনি পাঠিয়ে দেন এস ডি ও র কাছে ।আর এস ডি ও সাহেব তার বিস্তর ব্যস্ততার অজুহাতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিতে গিয়ে বোধহয় ঘুমিয়ে পরেছেন ! তাহলে মানুষ যদি পরিমাণমাফিক রেশন না পান , টাকার অভাবে ফিরতে না পারেন তার দায়িত্ব যে এই আধিকারিক ও সরকার কিরকম দেখভাল করবেন সেকথা সহজেই অনুমেয় । যদিও হাল আমরাও ছাড়ছিনা ।

    - মৌটূলি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন