byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৬ | 122.178.253.135
ইসে আমার প্রথম প্রেম গৌতম সরকার ক্লাস টুতে। ফোরে এসে অবিশ্যি সুব্রত ভচ্চাজ্যির প্রেমে পড়লাম আর সিক্স থেকে পাকাপাকিভাবে ফেলুদার।
hu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৬ | 24.13.11.220
মেয়েদের মা-বাপেরা শাঁখা-সিঁদুর পরতে চাপ দেন না?
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৫ | 75.76.118.96
আহা হুচে কি প্রশ্নখানাই করেছে। উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৫ | 75.76.118.96
পাই ভয় পাচ্ছে, ভাবছে আকা আর আমার মধ্যে এবার ক্যালাকেলি হবে। স্রেফ ভয়ে পালালো ঃ-))
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৫ | 122.178.253.135
রিমির ৮ঃ১০এর পোস্টটিতে n+1 ক্ক দিলুম। আমার যে এই অভিজ্ঞতা কতবার হয়েছে, কী বলব!
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৩ | 75.76.118.96
আকা তুই কাকে বলছিস এসব? ব্যাং না আমি? আমি মোটেও তেরো বছরে প্রেম করলে ছেলেকে কেলিয়ে পাট করব না। আমি নিজেই দশ বছর বয়স থেকে প্রেম করে আসছি । প্রেমের মূল্য আমার থেকে কে ভালো জানে?
আর সত্যি কথা কি ভাবে বলতে হয়, অন্যকে না চটিয়েও নিজের মত কি ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সেই নিয়ে পড়াশুনো করছি তো। ছেলেকেও শিখিয়ে দেব, সত্যি কথা বলার জন্যে ওর চাকরি যাবে না।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৩ | 122.178.253.135
মোটেই না। আমার খুব শখ ছেলে ছাত্রাবস্থাতেই একটি কন্যের হাত ধরে এসে উপস্থিত হবে, আর আমি মহাআহ্লাদে তার জন্য নানারকম জামাকাপড় আর সাজের জিনিস কিনতে ছুটব। দুজনে কেমন একসঙ্গে খেয়ে স্কুল-কলেজে যাবে! অবিশ্যি সে গুড়ে বালি। কমল মিত্তির বাপটি থ্রেট দিয়ে রেখেছেন একুশের আগে বিয়ে করলে থানায় নালিশ ঠুকবেন বলে।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১৩ | 75.76.118.96
এই যে কোন লেখিকা জানি বলেছেন যে যার নিজের ম্যাও নিজে সামলাও। কে জানি, কি জানি নাম?
hu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১২ | 24.13.11.220
সবই বুঝলাম। কিন্তু গোঁড়া অবুঝ মানুষকে কি ভাবে বোঝাতে হয় সে বিষয়ে এনি টিপস? যে যুক্তি বোঝে তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো যায়। যে শ্রোতা তাকে চুপ করে বসিয়ে শোনানো যায়। কিন্তু কেউ যদি শুনতেই রাজি না হয়? আর ইমোশানাল ব্ল্যাকমেলিং চলে তার সাথে?
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:১০ | 75.76.118.96
হ্যাঁ ব্যং খুব ভালো করেই জানি রে।
পাই, মিষ্টি করে বোঝালেও সবসময় কাজ হয় না। উল্টোপক্ষের যুক্তিও তেমনি মিষ্টি করেই আসতে থাকে, "তবুও শাঁখা সিঁদুরটা হাতে রেখো বৌমা, ক্ষতি কি?" কিম্বা, "নোয়াটা মা আমার কথা ভেবেই না হয় না খুল্লি"। আর মাঝের ব্যক্তিটিও মিষ্টি করেই বোঝাতে থাকেন, "বাবা মার মনে দুঃখ নাই দিলে?"
তখন কি করবি বল? সবথেকে ভালো হয় মাঝের ব্যক্তি যদি নিজের বাপ মাকে নিজে বোঝানোর ভার নেন। কিন্তু বাঙালী ছেলের তেমন সাহস খুব কম।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৯ | 122.178.253.135
কেন রে পাই,তক্কো কর না এই নিয়ে একটু। আমি আজ হেব্বি তক্কো করার মুডে।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৯ | 75.76.118.96
;)
ওঃ হ্যাঁ প্রেমও করে উঠতে পারবে না। তোকে ঢপ দিতে পারবে না, আবার ওদিকে ১৩ বছরে প্রেম করতে গেলে তুইই কেলিয়ে পাট করে দিবি।
উঃ কি কঠিন।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৮ | 122.178.253.135
আরে ব্যাঙাচির জীবনেও পৈতে নেওয়ার আগ্রহ হবে না। তাকে তার বাবার পৈতের ফটো দেখিয়ে রেখেছি আমি। ক্লাস ফোরের বাবা, করুণমুখে নাপিতের হাতে মুন্ডুটিসঁপে দিয়েছেন, নাপিত হাফমাথা অলরেডি কামিয়ে ফেলেছে। আর ক্লাস ফোরে বাবাকে গিরে তার একগাদা ভাইবোনরা বসে আছে আর হাসছে তার অবস্থা দেখে। আর সেই হাসাহাসিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্লাস ফোরে পড়া বাবাটির কলেজে পড়া দিদিরা। সেই ছবি দেখে ব্যাঙাচিই উল্টে বাবাকে প্রশ্ন করেছিল - তোমাকে দেখে সবাই হাসছিল, তবুও তুমি চুপ করে বসে ন্যাড়া হচ্ছিলে!! বলতে পারনি, হব না?
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৭ | 72.83.92.218
বইকে বউ পড়েছিলাম। :|
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৬ | 75.76.118.96
ওক্কে নতুন বইয়ের আইডিয়া - আর্ট অফ গেমবাজি, ফ্রম ফ্যামিলি টু ইটারনিটি বাইলেন ওয়ার্ক।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৫ | 72.83.92.218
না না, মেয়েরাও খুব করে। ঃ) কিন্তু আমি আর এই তক্কে নেই ! ঃ))
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৪ | 75.76.118.96
মুখের ওপর সত্যি বলা। বাপরে একদম শেখাস না প্রথমদিনই চাকরি যাবে, আবার পৈতেও থাকবে না, জজমানি করেও খেতে পারবে না।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৩ | 122.178.253.135
আমিও, রিমি। এবং এখানে আমি একটা কথা না বলে পারছি না - বড়রা দুঃখ পাবেন বলে বহু আপত্তিকর জিনিস মেনে নেওয়া এবং নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে ছলচাতুরি করা এই ব্যাপাআরে সবচেয়ে বেশি কম্প্রোমাইজ ছেলেরা করে।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৩ | 72.83.92.218
পরের ছেলের বাবা মা কেও মিষ্টি করে বোঝানো উচিত। ঐ এঁটো তোলা হোক কি নিজের বাড়ি যাওয়া নিয়ে হোক। এটাই সেদিন থেকে বলছি ঃ)
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০৩ | 75.76.118.96
উপাচার্য্য হলেন যিনি পুরুতের নির্দেশ মতন পৈতে দেওয়ান, বালকটির উপদেশদাতা ইত্যাদি।
এসব ভাবিস কেন। আমার গোঁড়া দাদুও আমাকে একদিনের বেশি বন্ধ ঘরে থাকতে দেয় নি। মানে যেদিন পৈতে হল সেদিন রাতটা। পরের দিন গঙ্গায় গিয়ে চান করে এলাম, দাদু মন্ত্র পড়ে দিল। কানও ফোটাতে হয় নি, শুধু টাচ করিয়ে তুলে রাখা হয়েছিল। নিয়মের জন্য মন্ত্র আছে, আবার নিয়ম ভাঙতেও মন্ত্র আছে, শাস্তর বাওয়া। ভালো করে জানতে হয় সব।
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০১ | 75.76.118.96
কেন? পয়সা খরচ করে পৈতে দিয়ে লুরুতে এসে খুলে নিলে ছেলেকে কি শেখানো হবে?? মানিয়ে নাও, লুকিয়ে নিজের কাজ সিদ্ধি করো। এইভাবেই ছেলেপুলে লুকিয়ে মদ সিগ্রেট খেতে শিখেছে।
আমি আমার ছেলেকে শেখাতে চাই, এবং শেখাচ্ছিও, সাহসের সঙ্গে সোজাসুজি সত্যি কথা বলার এবং তার যা ঠিক মনে হবে সেই কাজ করার।
বহুকাল আগে কারোর লেখায় পড়েছিলাম, নিচু জাতের কারুর হাতে জল খাওয়া প্রসঙ্গে, "খেলে মাকে কষ্ট দেওয়া হবে, না খেলে মার চেয়ে যিনি বড় (অর্থাৎ ঈশ্বর) তাঁকে কষ্ট দেওয়া হবে।" এভাবে বাবা মাকে বোঝানো যায় না?
আমি আকার এই নিজের মূল্যবোধের বিনিময়ে বাবা মার মনে দুঃখ না দেবার ফিলোসফিতে একেবারেই বিশ্বাস করি না।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৯ | 122.178.253.135
হ্যাঁ রে আকা, এই উপাচার্য্য ব্যাপারটা কী রে? আমার এই ব্যাপারে ফান্ডা হল, যে কচি ছাগলটির পৈতে হল তিনি সাতদিন সুয্যি দেখবেন না, একটি ঘরে বন্ধ হয়ে থাকবেন সেই উপাচর্য্যর সঙ্গে এবং দুজনে মিলে হবিষ্যি রেঁধে খাবেন। এটা কি সত্যি? তাহলে তো উপাচার্য্যটিরও কঠিন চাপ। আর উপাচার্য্য আর ভিক্ষেবাবাও কি একই লোক?
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৯ | 75.76.118.96
আরে ঐ একবছরের নিয়মটি ভালো, সত্যি।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৮ | 75.76.118.96
মূল্য ধরে দিলে ন্যাড়া হওয়া বাদ দিয়ে দেব। উপাচার্য্যর আদেশে সব হয়।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৬ | 122.178.253.135
পাই, এমনিই বড় করে জন্মদিন পালন করলেই হয়। কিন্তু পৈতের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে বড় করে জন্মদিন, এটা মানতে আমার কেমন যেন ... । সে তোমরা আমাকে যতই গোঁড়া বল।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৬ | 75.76.118.96
অভ্যু পৈতে নিবি আমি তোর উপাচার্য্য হব। এক্সপেরিয়েন্স আছে। এথেন্সেই তোর পৈতে দেই। লোক ডাকবি, যাগ হবে, খাওয়াবি। আর উপাচার্য্যকে সারাজীবন মেনে চলবি।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৪ | 122.178.253.135
জানি রে রিমি, সেগুলো আমি অলরেডি তাকে বুঝিয়ে বলেছি, সেই শুনে থেকে সে মাঝে মাঝেই নিজের বাবাকেও বলে পৈতেগাছা খুলে ফেলতে। এদিকে তার বাবার কঠিন চাপ। তিনি যতবার কোলকাতা থেকে ফিরতেন, তিনি নিজের পৈতে খুলে ফেলতেন। কিন্তু গতবছর নিজের বাবার শ্রাদ্ধর সময়ে তার পৈতে নেই দেখে তার মা দুঃখ করায় তিনি শেষ পৈতেটি কিছুতেই খুলে উঠতে পারছেন না।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৪ | 72.83.92.218
ব্যাঙদি,রিমিদি, আমার প্ল্যানটা কে-ম-ন ?
Abhyu | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫৩ | 97.81.72.210
দূদ্দূর - আমি ঠিক করেছি আমার ছেলে হলে পৈতে দেবো, এমনকি মেয়ে হলেও দিতে পারি। আমার নিজের নেই কিনা, ভারি দুঃখ।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫২ | 72.83.92.218
তবে রামকৃষ্ণ মিশন হবার জন্য কিনা জানিনা, এই জাতিভেদ টেদ নিয়ে আমাদের প্রচুর জ্ঞান দেওয়া হত। সারা স্কুল জীবন ধরেই। শিশুদের বিবেকানন্দ জাতীয় বই টই গুলো থেকে তো সেই হুঁকো টানার গল্প টল্প পড়িয়ে পড়িয়ে কান পচিয়ে দিয়েছিল।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫১ | 75.76.118.96
এত ভাবিস কেন? আমিও হেব্বি নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ ছিলাম। এখনও বাড়ি গেলে আমার নিষ্ঠা দেখে আমিই অবাক হয়ে যাই। লুরুতে এলে খুলে দিস, ছেলেকেও বুঝিয়ে দিস, হ্যাঁ বিভীষণকে দলে নিতে একটু ভালোবেসে কথা বল। ভালোর জন্য একটু আধটু গেম খেলতে আমার বাঁধে না। মাইরি।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫১ | 122.178.253.135
রিমি, প্লিজ আকাকে বছরে প্রতি তিনমাসে একবার করে মাথা নেড়িয়ে পৈতে দিয়ে দিস তো! আকার গ্রোথ আরো ভালো হবে।
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৫০ | 75.76.118.96
ব্যাং!!!!!! খবরদার আকার কথায় কান দিবি না।
শুধু বাজে খাবারের ব্যপার নয়, ছেলেকে বুঝিয়ে বল পৈতের গোড়ার কথা কি, কি ভাবে মানুষকে ডিস্ক্রিমিনেট করা হায়, কেন এটা সত্যি উঠে যাওয়া উচিত। আমি কিন্তু অলরেডি সাম্পানকে এসব বলে দিয়েছি, ওকে আর কেউ জীবনে টলাতে পারবে না ঃ-)))
খাওয়া দাওয়া গিফট পাওয়া এসব করতে হলে জন্মদিনেই করা যায়।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৯ | 75.76.118.96
সামাজিক ব্যাধি, ভালোবাসা এবং দর কষাকষি এই সংক্রান্ত একটি বই লিখব ভাবছি। বোঝাই যাচ্ছে হেব্বি কাটতি হবে।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৯ | 72.83.92.218
রিমিদি, হুঁ। তবে এটা বোধহয় শিক্ষকদের উপরও ডিপেন করে। আমাদের বাংলার দিদিমণি বড় ভাল ছিলেন। এভাবেই পড়াতেন।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৯ | 122.178.253.135
সরি, আকা, সে নিজেকে আলাদা জেনে গলায় একগাছা সুতো ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে, এটা মেনে নিতে হেব্বি আপত্তি আমার।
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৭ | 75.76.118.96
ব্যাং আমার জীবনেও এই একটি সম্ভাবনা ছিল, আমি তা গোড়াতে বিনষ্ট করেছি। ছেলের পৈতে আমি কিছুতেই দেব না। এছাড়া ছেলে নিজেকে আমেরিকান বলে জানে (আমরা বলি নি কিন্তু, স্কুলের শিক্ষা), অতএব সে নিজেই পৈতে নিতে রাজি হবে না। ঃ-))
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৬ | 75.76.118.96
পৈতে তো ভালো। ইনফ্যাক্ট ঐ একবছরের নিয়মে আমার হেবি গ্রোথ হয়েছিল। শরীর শক্তপোক্ত হল, তার আগে প্যালারাম ছিলাম। মাঝামাঝি গ্রাউণ্ডে আয়, পৈতে হোক, কিছু জিনিষ ইমপ্লিমেন্ট করে নে, ভালো করে নেগোশিয়েট করে নে এই সুযোগে, পৈতেতে কি কি চলবে কি কি চলবে না। কত যে শিক্ষে দেব এই নাদান বালিকে দের। আর পারি নে।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪৬ | 72.83.92.218
হ্যাঁ, বলা হয়নি। নিজের পৈতে না হওয়া নিয়ে দুঃখ না হবার মূল কারণ ঐ ন্যাড়া হওয়া। ওটাই বলতে থাকো। ভালো ডিসিন্টেন্সিভ।
ঐ তো বল্লাম। কায়দা করে একটা স্পেশাল জন্মদিন লাগিয়ে দাও। আত্মীয়স্বজন বলা নিয়ে আপত্তি না থাকলে সেটা পৈতের স্কেলেই করে ফ্যালো। হৈ হুল্লোড় ও হবে, অ্যাত্ত অ্যাত্ত খেলনা, গল্পের বই ও হবে। নো ন্যাড়া বিজিনেস, নো কাঁচকলাসেদ্ধ। মজা আনলিমিটেড।
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪২ | 75.76.118.96
পাই, ঠিকই, বিয়ের সময়ে দেনাপাওনার কথা কেই বা মনে রাখে? এর কারণ আমাদের দেশের শিক্ষা বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন। বেশির ভাগ লোক বই পড়ে, নোট মুখস্ত করে প্রশ্নের উত্তর লেখে, কিন্তু তারপরে সেসব নিয়ে কোনো চিন্তা না করেই ভুলে যায়।
চিন্তা করানো - সেটা আমাদের শিক্ষায় কোথায়?
সোভিয়েতের এক স্কুলের এক সাহিত্যের শিক্ষকের পড়ানো সম্পর্কে কোনো এক লেখায় পড়েছিলাম, তিনি কোনো উপন্যাস পড়াতে পড়াতে ছাত্রদের প্রশ্ন করতেন, অমুক চরিত্রের জায়গায় তুমি হলে তুমি কি করতে? এই একটা সিম্পল প্রশ্ন ছাত্রদের অনেক কিছু বাস্তব নিয়ে ভাবতে সাহায্য করত।
আমাদেরও যদি দেনাপাওনা নিয়ে পরীক্ষায় "নিরুপমা কেন বাবাকে আসিতে বারণ করিল" টাইপের প্রশ্ন না করে বলা হয়, "নিরুপমার স্বামীর জায়গায় থাকলে তুমি কি করতে?" তাহলেই অনেক ছেলে মেয়ে অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য হয়।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪১ | 122.178.253.135
এবং বিয়ে থেকে এই সম্প্রদানের নিয়মটি ইমিডিয়েট উঠিয়ে দেওয়া উচিৎ।
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৪০ | 122.178.253.135
পাই আকা, জানিস তো, আমার শ্বশুরবাড়িতে এই নিয়ে একটি মহাঝামেলা লাগতে চলেছে। ব্যাঙাচির তো আট হল, তো গতবার যখন কোলকাতা গেছিলাম গরমের সময়ে, তাকে কয়েকজন লোভ দেখাচ্ছিলেন, - পৈতে হলে এই হবে, সেই হবে, অ্যাত্তো অ্যাত্তো খেলনা পাবি, ক্রিকেট ব্যাট পাবি, গল্পের বই পাবি। আর আমি তাকে বলতে থাকি - পৈতে হলে মাথা ন্যাড়া করে দেয়, কানে দুল পড়িয়ে দেয়, সাতদিন নিরামিষ, তাও আবার কাঁচকলাসেদ্ধ ভাত। আর অম্নি সেও বলে - পিন্ডি আমি খেতে পারব না।
aka | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৩৬ | 75.76.118.96
একাদশী থাকবে কি?
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৩৫ | 72.83.92.218
তা, এই পৈতে উঠিয়ে সবার জন্য দশ বছর বয়স হলেই একটা স্পেশাল জন্মদিনের বন্দোবস্ত করলেই হয়। সেটার নামই নাহয় পৈতে, না না, অন্য ভাল কিছু নামও দেওয়া যেতে পারে।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৩৪ | 72.83.92.218
আমি ওটাই লিখতে যাচ্ছিলুম। পৈতের খাওয়া দাওয়া আর অত্ত অত্ত উপহার পাওয়া এগুলো বেশ ভাল। অ্যাকচুয়ালি ছোটোবেলায় এটা তেমন ডিস্ক্রিমিনেশন মনে হয়নি। কারণ এক তো পৈতেবাড়ির সব মজা টজা, খাওয়া দাওয়া সবই করতে পারতুম। মামার বাড়িতে সবাই মিলে হৈ হুল্লোড়। আর গিফে্ট যে প্রচুর প্রচুর ভাল গল্পের বই আসতো , তার ভাগ পেতুম। কে কাকে প্রণাম করছে না করছে, কী করতে হয় এগুলো তখন কোনোদিন দেখিইনি। এখনও দেখি তা না। না দেখেও মোটামুটি চলে গেছে। কোন অনুষ্ঠানেরই কোন খুঁটিনাটি ডিটেইল্স , আচার-উপাচার, নিয়মকানুন আমি কোনোদিন সেভাবে খেয়াল করিনি। এখানে কতজন কত অনুষ্ঠান নিয়ে আল্পনার সূক্ষ্ণ কারুকাজের মত ডিটেইলিং দ্যায়। আমি অবাক হয়ে পড়ি আর ভাবি এনিয়ে রচনা আসলে আমি তো গোল্লা পেতুম।
তাই এই সব অনুষ্ঠানপত্তরের অনেক কিছুই খুব অসহ্যও লাগেনি। এই সব অনুষ্ঠান মানে অনেক ভাই বোন এক জায়গায় হওয়া আর খুব হুল্লোড়, খুবসে অনিয়ম, এসব মজাই খালি মনে পড়ে।
উৎসব,অনুষ্ঠান মানে আসলে আনন্দ করার একটা অজুহাত, এরকমই ভেবে এসেছিলো। এরকম ভাবতেই ভালো লাগে। ঃ)
byaang | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:৩৪ | 122.178.253.135
রিমি থ্যাংকিউ। আমার কাছে এই মেনে নেওয়ার ব্যাপারটাই আপত্তিকর। যে সবাই জানছে, মানছে যে এই ব্যাপারগুলো সুবিধের না, কিন্তু তবুও এটা কে হয়ে যেতে দেওয়াটা। আর কেউ আপত্তি করলেই তাকে পুরনো ধ্যানধারণার মানুষদের দুঃখ না দেওয়ার উপদেশ!!!
rimi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:২৯ | 75.76.118.96
হু ঠিক। এখন আমারো মনে পড়ছে, আমার মার স্কুলের টিচারের ছেলের পৈতেতেও একই ব্যপার হয়েছিলো। এটা নিয়ে পরে টিচার্স রুমে কথাও হয়েছিল, আর আশ্চর্য্যের ব্যপার, অধিকাংশ টিচারেরই মত ছিল এই যে, এতে তো কারুর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, এই নিয়ম চালু থাকলে অসুবিধা নেই অতএব।
ক্ষতি হচ্ছে না, অতএব পুরোনো নিয়ম চালু রাখতে হবে - এই যুক্তি আরো বহু ব্যপারে বহু সময়ে শুনেছি। বিয়ের পরে শাঁখা সিঁদুর পরা নিয়ে, শাড়ি পরা নিয়ে, এমনকি পৈতে নিয়েও হামেশাই বলা হয়ে থাকে। এভাবেই ব্যপারটা প্রোজেক্ট করা হয় যে কোনো ক্ষতি তো হচ্ছে না, সামান্য জিনিষ, এই নিয়ে বাড়ির "গুরুজনদের" মনে দুঃখ দেবার দরকার কি? মেনেই নাও। নিজের ইচ্ছা না থাকলেও এরকম বেশ কিছু ব্যপার মেনে নিতে হবেই। এই মেনে নেওয়াটা অনেকের কাছে খুব স্বাভাবিক হলেও, যার বেসিক মূল্যবোধকে এটা আঘাত করে, তার কাছে এটা অপ্রেশন।
pi | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:২২ | 72.83.92.218
রিমিদি, টেক্সট বইয়ের ব্যাপারটা ভালো। তবে জাতিভেদ নিয়ে তো ভালোমতনই আছে বলেই মনে পড়ছে।
আর টেক্সট বই দিয়ে যে কত কী হয় , সে নিয়েও খুব আশাবাদী লাগেনা আর। দেনাপাওনা পড়ার পরেও পণপ্রথা রিলেটেড খুন আর আত্মহত্যায় পঃবঙ্গের অগ্রণী স্ট্যাট দেখার পর থেকে বেশ ঘাবড়ে আছি।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন