এটা কোনো "ভয় দেখানোর" এবং "হয়েছিল" গল্প না। এখোনো, আমার বাড়িতে, আমার শোবার ঘরের দরজাটা জোরে বন্ধ করলেই তার পাশে লাগোয়া বাথরুমের দরজাটা একটু খুলে যায়। কখোনো ভয় পাই নি। পাবো??? রিমি???
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৪৯ | 143.111.109.1
এই ভুতটা, যেটা আসলে রিমি ভাবছে ও বানিয়ে বলেছে, সেই সত্যি ভুতটাই পরে ঐ কাগজের ছবি হয়ে শোধ তুলেছিল।
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৪৭ | 173.26.17.106
রিমিঃ))
rimi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৩৯ | 168.26.215.135
এই ভূতের ভয় দেখানোর গপ্প। ভয় দেখানোয় আমার আবার ছোট্টো থেকেই বিশাল প্রতিভা।
সেই লুইজিয়ানাতেই, কোনো এক সময় আমার রুমমেট ছিল অরুণা নামের এক দক্ষিণী কন্যা। আমি আর ও একটা নতুন অ্যাপার্টমেন্টে মুভ করেছিলাম। অরুণার বেজায় ভক্তি। ওর ঘরে সাঁইবাবা থেকে শুরু করে শিব পর্যন্ত সব ঠাকুরের একখানা করে ফটো ছিলো। ও ভূতে বিশ্বাস করে কি না আমি কখোনো ওকে জিজ্ঞেস করি নি। ওর সঙ্গে আমার একটা ঠান্ডা যুদ্ধের মতন সম্পর্ক ছিলো।
রোজ সন্ধ্যেবেলা অরুণা লিভিং রুমে বসে বিশাল চিৎকার করে ফোনে কারুর না কারুর সঙ্গে গল্প করত। আমার খুব অসুবিধা হত। বিশেষত আরো অসুবিধা হত কারণ কথা বলত ও তেলেগু কিম্বা তামিল ভাষায়। অতএব আমার নামে পিএনপিসি করছে কি না আমি বুঝতে পারতাম না। আমার গা পিত্তি জ্বলতে থাকত ওর রোজকার ঐ ফোনের গপ্পে। একবার হল কি, রাতে আমি আমার ঘরে পড়ছিলাম। আমার ঘরের দরজা অর্ধেকটা বন্ধ ছিল। আর অরুণা যথারীতি লিভিং রুমে ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাং তুলে বসে চিল্লিয়ে গপ্প করছিল। আমার ইচ্ছে হচ্ছিল গিয়ে মুখে একটা সেলোটেপ আটকে দিয়ে আসি। কিন্তু সে তো আর করা যায় না! শেষ পর্যন্ত ওর গল্প তো শেষ হল। ও নিজের ঘরে গিয়ে দড়াম করে দরজা বন্ধ করল। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার ঘরের আদ্ধেক খোলা দরজাও দুম করে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেল।
আমি অরুণার ঘরে গিয়ে নক করে ওকে ডেকে খুব চিন্তিত মুখে জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি কি আমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে?" অরুণাঃ"না তো?" আমিঃ"সেকি?? আমার ঘরের দরজা তো বন্ধ হয়ে গেল নিজে থেকে!"
অরুণার গোল চোখ আরো গোল হল। আমি আরো চিন্তিত হয়ে বললাম "তবে কি যা শুনেছি তা সত্যি?" অরুণাঃ"কি শুনেছ?" আমিঃ"শুনেছি যে এই ঘরে কেউ একজন আত্মহত্যা করেছিল।" অরুণাঃ"তুমি তো বল নি আগে একথা আমাকে? এই অ্যাপার্টমেন্ট নিলে কেন তবে?" আমিঃ"আরে এটার ভাড়া এত কম, নেব না কেন? তাছাড়া আমি তো ভূতে বিশ্বাস করি না।" অরুণা বেজায় রেগে গেল। "কিন্তু আমি ভূতে বিশ্বাস করি। এই অ্যাপার্টমেন্টের সব ব্যবস্থা তুমি করেছ, তোমার আমাকে এটা বলা উচিত ছিল।" আমি খুব নরম করে বললাম, "তুমি ফিজিক্সের ছাত্রী। তুমি ভূতে বিশ্বাস করবে এতো আমি ভাবতেই পারি নি!" অরুণা রেগে চৌচির হল। "ফিজিক্সের সঙ্গে ভূতের কি সম্পর্ক? এইমাত্র যে ভূতে দরজা বন্ধ করল, সেটা তো নিজেই দেখলে? " অরুণা দুপদাপ করে ঘরময় হেঁটে বেড়াল কিছুক্ষণ। তারপরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিশাল জোরে জোরে একঘেয়ে সুরে কি সব কবিতার মতন একটানা বলে গেল প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে। সম্ভবত পূজো করল। আর আমি ফিক ফিক করে হাসলাম ঘন্টা খানেক ধরে। ঃ-))
বলা বাহুল্য, অরুণা মাস তিনেক বাদেই অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে গেল। শুধু অ্যাপার্টমেন্টই নয়, ইউনিভার্সিটি ছেড়েই চলে গেল ও। তখন ইরাক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাজেট কাটের ফলে ওর গ্রাজুয়েট অ্যাসিসট্যান্টশিপের কাজটাই চলে গেছিল।
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৩৮ | 173.26.17.106
পাই মনে হয় আর নাম্বার ডায়াল করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে নি- বাক্স বগলে 'দৌড়ে' বাড়ি চলে গেছেঃ)
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৩৩ | 143.111.109.1
পাই কি "ওগো" কে ফোন করতে গিয়ে ভুতেদের নম্বর ডায়াল করে?
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:৩১ | 173.26.17.106
ঃ)))))))))))))))
pi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:২২ | 128.231.22.89
হ্যাঁগো, তা আর বলতে !!! ঃ(((((
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:২০ | 173.26.17.106
'ওগো' র নাম্বার টা ঠিক করে দেখে দিতে ভুলো নাঃ)))))
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:২০ | 173.26.17.106
প্রত্যেক টা থামে একটা করে কংকাল - ওফ্ !!!
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৮ | 143.111.109.1
ধুস sartre
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৭ | 143.111.109.1
একি সা®?Ñর ভুত নাকি!
pi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৬ | 128.231.22.89
হুঁ, 'ওগো' কে বলবো 'এসো' । ঃ)
pi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৫ | 128.231.22.89
*মেপল গাছের ওপরের চারটে ডালে
রিমিদি, তখন করোডোরে একটা জিনিশ খেয়াল করোনি হয়তো। খেয়াল করলে দেখতে পেতে লাল কালির exit লেখাগুলো সব no exit হয়ে গেছে। এরকমটাই হওয়ার কথা। এরকমটাই হয়ে থাকে। এয়ারকণ্ডিশনড বিল্ডিং এর ভিতর যখন দমকা হাওয়ার ঝোঁকা অনুভূত হয়। সবাইকেই বলে রাখলাম। ভবিষ্যতে এরকম কখনো হলে খেয়াল করতে ভুলোনা।
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৩ | 143.111.109.1
কটার সময় গেছ? রাত নটা দশটার পর গেছ?
ঐ লম্বা করিডোর, এদিক থেকে ওদিক দেখা যায়না, একেবারেই টিমটিমে আলো, তখন গেছ?
গেলে, আর যেওনি। ভালো কথা শোনো। সায়েন্স কলেজের প্রতিটি থামের পেছনে একটা করে মৃতদেহ থাকতে পারে। এক্কেরে সত্যি কথা। মাক্কালি। একটা বেরিয়েছিল। ল্যাব রেনোভেট করতে গিয়ে, একটা বীমের সাথে একসাথে রাখা, কঙ্কাল। কে বলতে পারে আরো কটি এরকম আছে?
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১৩ | 173.26.17.106
@ইপি
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১২ | 173.26.17.106
তাড়াতাড়ি 'ওগো'কে ফোন করে দাওঃ)
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১০ | 173.26.17.106
রিমির গল্পের শেষটাই তো আমার খুব ভাল্লাগলোঃ) আমি গেছি, কেন?
rimi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১০ | 168.26.215.135
আরে অক্ষ, আমি জানি যে শেষটা পড়লে লোকের অবধারিত মনে হবে কফি মিশেছে। কিন্তু এইটা সত্যিই হয়েছিল। অবশ্যই কাকতালীয়। ঐ ক্যাঁচ কোঁচ শব্দেরও কোনো কারণ আছে নিশ্চয়ই। ভূতে আমার কোনো বিশ্বাসই নেই।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে যাবো না কেন? বহুবার গেছি আড্ডা মারতে আর প্রেম করতে/তবে ভূত দেখি নি।
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:০৫ | 143.111.109.1
রিমির গপ্পটা কেমন যেন মনে হচ্ছে লাস্ত প্যারাটায় একটু কফি মিশেছে ঃ-)) নইলে বাকিটা ঠিকই ছিল।
আচ্ছা তোমরা কেউ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ গেছ?
pi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০১:০০ | 128.231.22.89
আমাদের এখানে আজ আর্লি সন্ধে নামছে। যে রকম পাহাড়প্রমাণ মেঘ জমেছে, সূর্যবাবু আজ বেশ তাড়াতাড়ি কেটে পড়বেন বলে মনঃস্থ করেছেন।
এই একটু আগে একটা মিটিং ভাঙলো। একটা প্যান্ডেমোনিয়ামের মধ্যে দিয়ে, অ্যাজ ইউজুয়াল। কোনো সিদ্ধান্ত না হয়ে মিটিং যেভাবে ভাঙ্গে আর কি। মিটিং এর ভেন্যু টাও এক ই, ঐ যেখানে রোজ হয়। খালি একটা ব্যাপার ই রোজের মত না। ল্যাবের জানলার পাশে তিনটে ন্যাড়াবোঁচা মেপল গাছে এই শীতের সিজনে মিটিং শুরু হয় মোটামুটি সাড়ে তিনটে নাগাদ, প্লাস অর মাইনাস দশ মিনিট।
আজ প্রিপোনড হয়ে পৌনে দুটোয়। কারণটা আর কিছুই না, ঐ আর্লি সন্ধে ।
তা,এত সব বকবক ক্যানো করছি? কারণ ছাড়া তো আমি বকবক করিনা। কারণটা না বুঝে থাকলে আরো পষ্ট করে বলি। আমার এদিকের অফিসমেটরা আজ গেছে অন্য ক্যাম্পাসে, ওয়ার্কশপে। অতএব আমি একা। অতএব, ঐ আর্লি সন্ধে নামার পর ল্যাবের ঈশান, নৈঋত, অগ্নি ইত্যাদি , মানে অধঃ বাদ দিয়ে সব কটি কোণে নিয়নবাতি জ্বললেও আমাকে এসব কথা পড়তে হোক, তা চাইনা।
এই ist হিসেবে আর ঠিক দেড় ঘণ্টা দিলাম, মানে রাত দুটো। প্লাস অউর মাইনাস পনের মিনিট। তার মধ্যে যার যা যান ভৌতিক কথাবার্তা বলার আছে, সব সেরে ফ্যালো। তারপর আর একদম না। ভুলেও না। আর হ্যাঁ, মনে করে তারপর আরো এক পাতা ভাট অন্তত এগিয়ে দিয়ে যাবেই, খাঁটি নন-ভৌতিক লাইনপত্তর দিয়ে। রিফ্রেশ করলে যেনো এইসব কথাবার্তা চোখে না পড়ে। এও বলে রাখলুম।
অনেক আগে থেকে ডেডলাইন জানিয়ে দিলাম, আমাকে আবার বাজে ম্যাঞ্জার বলে গাল পেড়ো না।
rimi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৫৮ | 168.26.215.135
আমি এক্কেবারে ছোট্ট থেকে ভূতে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিইচি। অথচ ভৌতিক ব্যপারস্যপার একাধিকবার ঘটেছে জীবনে। তার মধ্যে একখানা এই ফাঁকে লিখে দিই।
তখন আমি ছাত্র ছিলাম, আম্রিগাতে। আমার রুমমেট নিরু সামারে একটা কাজ পেল ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে। ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ। ওর বস এক সপ্তাহের জন্যে কোথাও গেলেন। যাবার আগে অফিসের চাবিটি দিয়ে গেলেন নিরুর হাতে, আর একগাদা কাজ দিয়ে গেলেন। নিরু বাড়ি এল লাফাতে লাফাতে। কেন এত আনন্দ? হায়, সেই পুরাতন যুগে ইন্টার্নেটের এমন ঘনঘটা তো ছিল না। আর বাড়িতে কম্পু কেনার কথা ভাবতেই পারতাম না। শুধু তাই নয়, আমি ছিলাম টিএ, আমার আপিসের কম্পুতে ইন্টার্নেট কানেকশন এত বাজে ছিল যে কহতব্য নয়। নিরুর বসের অফিসে চমৎকার সব কম্পু, তেমনই দুর্দান্ত ইন্টার্নেট স্পিড। আমরা ঠিক করলাম, রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে ওর ল্যাবে যাবো, সারা রাত ল্যাবে ইন্টার্নেটে চুটিয়ে সার্ফ চ্যাট ইত্যাদি করব। সামারে এমনিতেই ক্যাম্পাস বেশ ফাঁকা থাকে। বেশ মজা হবে।
ডিনারের পরে, রাত নটা নাগাদ, নিরু আর আমি সাইকেলে চড়ে রওনা হলাম। আমাদের গাড়ি ছিল না। ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের বিশাল বিল্ডিং একদম ফাঁকা, খাঁ খাঁ করছে। আমরা বাইরে সাইকেল পার্ক করে চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম, চারিদিকে মৃদু আলো। কেউ কোত্থাও নেই। নিরুর বসের অফিস একেবারে চারতলায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠলাম। তখন তাজা রক্ত, এমন এলিভেটরে চড়ার বদভ্যেস হয় নি, আর এলিভেটরের জন্যে অপেক্ষা করার ধৈর্য্যও ছিল না। নিরুর বসের অফিসে ঢুকলাম। দুটো ঘর নিয়ে বেশ একটা অফিস। একটা বড় ঘরে চারটে কম্পু, আর পাশের ছোটো ঘরটায় কিচেন। আমরা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখি যে সেখানে কফি বানানোর সব সরঞ্জাম তো বটেই, এমন কি এক প্যাকেট কুকি পর্যন্ত আছে। আমরা কফি বানিয়ে কুকি নিয়ে দুজনে দুটো কম্পু দখল করে বসলাম। ঘন্টা খানেক পর হঠাৎ শুনি খুট করে চাবি ঘোরানোর শব্দ, তারপরে ক্যাঁচ করে দরজা খোলার শব্দ। মনে হল নিরুর বসের অফিসের মেন দরজাটাই কেউ খুলল। আমরা লাফ দিয়ে দেখতে গেলাম। বলা বাহুল্য, ভূতের কথা আমাদের মাথাতেও আসে নি। কিন্তু কেউ নেই। দরজা কেউ খোলে নি। আমরা ভাবলাম হয়ত পাশের ঘরে কেউ ঢুকেছে। আবার কম্পুর সামনে বসলাম। আবার পাঁচ মিনিট পরেই প্রথমে খুট, তারপরে ক্যাঁঅ্যাঁচ। আবার আমরা লাফিয়ে দেখতে গেলাম। কেউই নেই। এবারে দরজা খুলে বাইরেটা দেখলাম। বাইরে লম্বা করিডোরের দুপাশে সারি সারি বন্ধ দরজা, আর একেবারে শেষে সিঁড়ি। কিন্তু কেউ কোথাও নেই। আমরা আবার ভিতরে গিয়ে বসলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদে বাদেই সেই এক শব্দ। ঠিক যেন কেউ দরজা খুলছে আর বন্ধ করছে। আর শব্দটা আমাদের একেবারে পাশে, ঠিক মনে হচ্ছে আমাদের দরজাতেই হচ্ছে শব্দটা। সমানে এই শব্দ চলতে লাগল। আমরা আবার বাইরে এলাম, করিডোরের পুরোটা ঘুরে দেখে এলাম, এমন কি সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে "ইজ এনিবডি দেয়ার?" ইত্যাদি বলেও চ্যাঁচালাম। বিরাট বিল্ডিংএ প্রতিধ্বনি হল, কিন্তু কোনো উত্তর এল না। তখন আমাদের খানিক ভয় হল। আমরা অফিসে ঢুকতেই আর সাহস পেলাম না। কম্পু টম্পু অন রেখেই সোজা সিঁড়ি দিয়ে দুদ্দাড়িয়ে নিচে নেমে এলাম। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া মতন, আর অমনি কোত্থেকে একটুকরো কাগজ উড়ে এসে আমার হাঁটুতে জড়িয়ে গেল। কাগজটা তুলে দেখি, একটা রুলটানা খাতার কাগজে বাচ্চাদের মতন কাঁচা হাতে একটা মানুষের মুখ আঁকা, সেই মানুষের চোখ দিয়ে জল পড়ছে। আর নিচে একটা ক্রস। আমরা তখনও বিলিডিংএর ভিতরেই, এয়ারকন্ডিশন্ড বিল্ডিংএর মধ্যে এরকম দমকা হাওয়া কি করে কোত্থেকে আসবে? চারিদিকে তাকিয়ে কোথাও কিছু দেখতে পেলাম না, খালি আলো ছায়া ছাড়া। "বাপ রে" বলে নিরু আর আমি এক দৌড়ে বাইরে গিয়ে সাইকেল চড়ে পালালাম। বিল্ডিংএর বাইরেও সেই অন্ধকার রাস্তা, নির্জন ক্যাম্পাস। ঐ বিল্ডিং থেকে আমাদের বাড়ি অবধি দশ মিনিট লাগে। ঊর্দ্ধশ্বাসে বাড়ি পৌঁছলাম।
নিরুর বসে আফিসের কম্পু অন ছিল। পরের দিন কাকডাকা ভোরে দুজনে আবার সেই অফিসে গিয়ে কম্পুগুলো অফ করে কফির কাপগুলো ধুয়ে রেখে এলাম লোকজন আসার আগেই। তখন কিন্তু কিছুই দেখিনি বা শুনি নি।
tkn | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৫৩ | 122.163.77.166
ঃ-) এইটা জিগাইনি কখোনো। তবে ওদের বেড়ালের মুখ আর থাবা চাটা দেখে নুনের তারতম্য বোঝার ক্ষমতা ছিল না ঃ-)))
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৪২ | 143.111.109.1
যেদিন রান্নায় নুন বেশি/কম হত, সেদিন কিছু হতনা?
tkn | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৩৪ | 122.163.77.166
আহা অক্ষ, তুমি বললে সেই থান-ভূত খেতেও চাইত না। আমি ভাবলাম সে নিজেই খাবার নিয়ে খেত, তাইলে কাপড়ও নিজেই কাচবে তো ঃ-)))
তবে, এটাও আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা। গ্রামে ভটচাজদাদুদের বাড়ির ডানদিকের পুকুরের বাঁশঝাড়ের পাশে রোজ এক থালা ভাত, কোনো একটা তেতো, ডাল আর কুচো মাছের ঝাল/ঝোল টাইপের কিছু সাজিয়ে রেখে আসত ওদের কাজের দিদি। আর ভটচাজদিদুরা (তিন জা, সকলেই দিদু) কেউ একজন একটু দূর থেকে বলতেন "খেয়ে নিও বৌমা"... বাড়ির বৌটি ভাত বেড়ে রেখে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে আর ফেরেন নি। তাকে ওভাবে রোজ ভাত বেড়ে না দিলে নাকি সে রাতে মড়াই থেকে মুঠো মুঠো ধান বার করে ছড়িয়ে দিত উঠোনময় নয়ত রান্নাঘরের শিকেয় রাখা মোয়া নাড়ু সব মাটিতে ফেলে দিত... আমার আর আমার মামাতো বোনের খুব ইচ্ছে করত ঐ মাছের ঝালটা দিয়ে ভাতটা মেখে খাওয়ার, কিন্তু সাহসে কুলোয় নি কখোনো ঃ((
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৯ | 143.111.109.1
এই দেখ, গল্পে থাকবে ডিটেল্স। তবে সে না গল্প বলিয়ে? কত পাওয়ারের বাল্ব, ঈশান কোণ না নৈঋত কোণে উনুন, খস্খস্ টিম্টিম্ গন্গন্। তব্বে না ;-)?
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৬ | 173.26.17.106
এটা ঠিক ভুতের গপ্পো না,একদিন সকাল বেলা,তখন আমরা ক্যানসাসে- কোথা থেকে যেন একটা কুকুরের কান্না ভেসে আসছিলো। আমার কেন জানি না, গুড্ডুর কথা খুব মনে হলো।কি একটা আশংকায় তখনি বাড়িতে ফোন করে শুনলাম গুড্ডু তার কিছুটা আগেই মারা গেছে।
tkn | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৪ | 122.163.77.166
না, দিদুর বোনেদেরও এ অভ্যেস থাকে।
দিদু রুটি বেলছিলেন জামালপুরের রেল কোয়ার্টারের রান্নাঘরে। শীতের রাত, বাইরে আওয়াজ নেই কোনো। দশটা আটান্নর ট্রেনটা বেরিয়ে গেছে একটু আগেই। দাদুর ফেরার সময় হল। দুটো উনুনের গনগনে আঁচের সামনে দিদু একটায় বেগুন পোড়াচ্ছেন, আর অন্যটায় রুটি ফোলাচ্ছেন। পিছনে দরাজ দরজার পাল্লা একটু ভেজানো, টানা বারান্দার এক কোনে টিমটিমে ৪০ পাওয়ারের আলোর বাল্ব কোনোরকমে জেগে আছে। একা নিজের মনে রুটি বেলতে বেলতে দিদুর মনে হল কেউ যেন আছে ঘরে.... পিছন ফিরে দেখলেন.. কেউ নেই.... সামনে ফিরে রুটি তাওয়ায় দিচ্ছেন, আবার কাপড়ের খসখস্স্স... আবার পিছন ফিরলেন ... ....... দরজার ঠিক পাশটিতে পা ছড়িয়ে মাথায় অল্প ঘোমটা টানা পরিষ্কার হাসি মুখে বসে আছেন মেজদিদু, দিদুর মেজদি... ঐ সময়েই কলকাতায় লেডি ডাফরিন হাসপাতালে মারা যান মেজদিদু, কয়েকদিন পরে টেলিগ্রামে খবরটা পৌঁছেছিল...
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৩ | 143.111.109.1
সমস্ত বনেদী বাড়িতে একটা করে ভুত থাকে। ফ্যামিলিতে ভুত না থাকা মানে তোমার কোনো পেডিগ্রি নাই। তুমি উঠতি। ঐ আপওয়ার্ডলি মোবাইল কিসব। স্যা স্যা। কোনো আভিজাত্য নাই। রক্তের রং লাল। এহ্!
m | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:১৯ | 173.26.17.106
আমি রক্তারক্তি কোনোদিন ই দেখতে পারি না।তাই বলে বুকে গুলি,পেটে চাকু নিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে বলা শেষ সংলাপ শুনলে ঠাসিয়ে ( মনের তখনকার অবস্থার ওপর হাসি মুখে না গম্ভীর মুখে টা নির্ভর করে)চড় দিতে ইচ্ছে করে।
aka | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:১৬ | 168.26.215.13
ভাগ্যিস আমার বাবার জেঠামশায় ছিল না।
pi | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:১৫ | 128.231.22.89
এটা কি সব বাবার জ্যাঠামশায়দের ই গল্প হয় ?
মনাই, বাবাই আর কাজের মাসি বাদ দিলে আমার বাবার জ্যাঠামশায়দের গল্পটাও হুবহু। মায় ঐ পাঁচ মিনিট টাও টায়ে টায়ে মিলে গ্যালো।
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:১৩ | 143.111.109.1
ধেত, লুল্লু কে কেনা চেনে? একদম বেকার ভুত। আর বড্ড অগোছালো। যেখানে যাবে কাগজ পত্র উড়িয়ে দেবে, মনে হবে খুব জোরে হাওয়া বইল বুঝি, আসলে ওটা লুল্লু।
আর ঘোঁঘো? ওর কথা যত কম বলা যায় তত ভালো। এরকম নিশ্চয়ই হয়েছে আপনাদের সাথেও, ঘর দোর মুছে গেলেন, ফিরে এসে দেখলেন কাদা কাদা ছাপ। বাড়ির কুকুর, কুকুর না থাকলে ছোট যে, তাকে দু ঘা লাগিয়ে দিলেন, জানলেনও না যে ওটা ঘোঁঘো ছিল। ঘোঁঘো একদম নচ্ছার, বাচ্চাদের পেছনে লাগে। ঘোঁঘোর থেকে সাবধান। তবে লুল্লু বেকার, কিন্তু ভালোমানুষ। একটু গঁদের আঠা, পাকা চুল, আর কড়ে আঙ্গুলের কাটা নখ পেলেই সে খুশি।
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:০৯ | 143.111.109.1
এইটা তো একদম সত্যি ভুতের গল্প।
বাবার জ্যাঠামশাই, খুব অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন, বাড়ির বড়রা সব সেখানে। শেষ সময়। খালি একজন কাজের লোক বাড়িতে আর দুই ভাইপো। এই ভাইপোরা আমার বাবার কাজিন। এরা খুব ছোট আর ঐ অসুস্থ জ্যাঠামশাই, যিনি নিঃসন্তান ছিলেন তার খুব আদরের। মনাই আর বাবাই বলে ডাকতেন। তো এরা রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে কাজের মাসির কাছে গল্প শুনছে। হঠাৎ দুজনেই এক দৌড়ে ওপরের সিঁড়ির গোড়ায় গিয়ে দাঁড়াল। কাজের মাসি কি হল বলে উঠতে যাবেন, এমন সময় ফোন বেজে উঠল, উনি সেই ফোনটা ধরে ফিরে দেখে দুই ভাইপো সিঁড়ি দিয়ে উঠে ওপরের ঘরে জ্য়্ঠার ঘরে। কি ব্যাপার? "কেন জ্যেঠু ডাকছে তো, ঐ যে ওপরে দাঁড়িয়ে ডাকল।"
ঐ ফোনটা এসেছিল হাসপাতাল থেকে, তার ৫মিনিট আগে জ্যাঠামশাই মারা গেছেন।
aka | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:০৭ | 168.26.215.13
নেই নাকি! ভূতেদের এজেন্সি আছে, মুরুব্বি আছে। মানুষ মরলে ভূতেদের মুরুব্বি এজেন্সি মারফত কোন এক বেকার ভূতকে সেই মানুষের ভূতগিরি করতে পাঠায়। বিশ্বাস না হয় ভদ্র, সব্য, নব্য ভূত লুল্লুকে জিগ্যেস কর। লুল্লুকে কোথায় পাবে? সে জিগ্যেস করতে হবে ঘোঁঘো কে। আবার জিগ্যেস করে বসো না ঘোঁঘো কে? ভূতের তেল কি? এত প্রশ্নের উত্তর ফোকটে দেওয়া যাবে না।
a x | ২৭ জানুয়ারি ২০১০ ০০:০২ | 143.111.109.1
টিকেন যে কি বলে। ভুতে নাকি কাপড় কাচে! এরপর বলবে বাসন ধোয়, ঘর মোছে, ওদের এজেন্সি আছে।
আরে ম, আমারও একদম ভয় করেনা ভুতের সিনেমা বা হরর মুভি তে। খুব বাজে ব্যপার এটা। খুব চাই ভয় পেতে, বেশ দম আটকে রুদ্ধশ্বাসে, একটা পাতা নড়লে চমকে উঠতে এইরকম, কিস্যু হয়না। আর বি-গ্রেড হরর মুভি মানে যেখানে রক্তারক্তি সেগুলো দেখলে বিরক্তি লাগে।
m | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৯ | 173.26.17.106
তোমার মুখটা আমি কল্পনা করে নেবোখনঃ) একটা বয়সে ভুতের কথা ভাবতে ভালো লাগে, ভয় নয়, একটা শিরশিরে ছমছমে ভাব- দুপুরে বাঁশ গাছে শনশনে হাওয়ায় শব্দ করে নড়ে ওঠা পাতারা- রাতে একটা নিস্তব্ধ পুকুর,কিম্বা চাঁদের আলোয় অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাওয়া একটা ফাঁকা মাঠ- ভাবতে দিব্যি ভাল্লাগে কিছু একটা আছেঃ)
tkn | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৭ | 122.163.77.166
ঃ-((((((((((( শেষ লাইনে ভুল লিখলাম.. 'মধু বলল- ছাড়লি কেন? আর একটা তো তুই"
অক্ষ, সাদা থানটা কাচার সময়ও তাঁকে দেখা যেত না?
tkn | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫২ | 122.163.77.166
যদু বলল 'কি রে মধু, পরীক্ষাটা কেমন দিলি? পঞ্চভূত কি কি লিখ- এ প্রশ্নটা লিখেছিলি? মধু বলল 'লিখব কি ছাই, মানে যায় না বোঝা যদু বলল 'কি বলিস রে! এটা তো খুব সোজা.. একটা ভূত ব্রহ্মদত্যি, একটা গোভূত, আর পেত্নী একটা, তিনটে হল, শাঁকচূন্নী চার আর একটা ভূত ছেড়েই দিলাম, নম্বর তো দুই যদু বলল "ছাড়লি কেন!! আর একটা তো তুই!"
- ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
kc | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৪০ | 89.203.49.18
ইটিভিতে অধ্যাপক জিতেন মহান্তির সাক্ষাৎকার দেখাল। সম্ভবত কালকে ভারতের টাইম সকাল আটটাতে রিটেলিকাস্ট করবে। যাঁরা উৎসাহী, মিস না করলে দেখুন।
a x | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৩৫ | 143.111.109.1
টই খুলতেই পারছিনা। ভয়ংকর স্লো।
আরে ম, আমাকে তোমার মুখ দেখতে হবেনা, তোমাকে আমার মুখ দেখতে হবে। শুধু কথায় কি হবে নাকি?!
যাকগে, আমাদের বাড়িতে একটা ভুত ছিল। সবাই দেখেছে তাকে। তাকে মানে তার থানকে। আর কিছু দেখা যেতনা, শুধু সাদা থান। হঠাৎ করে এ'ঘর থেকে ও ঘর চলে গেল। কিন্তু নিরীহ ভুত, কিচ্ছু বলতনা, খেতেও চাইতনা।
Ri | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৩৫ | 121.247.233.146
এই ছড়াটা কোথায় যেন পড়েছিলাম ভুলে গেছি। গবু বল্ল কিরে হবু পরীক্ষা টা ক্যামন দিলি 'পঞ্চভুত কি কি লিখ' এপ্রশ্ন টা লিখেছিলি? (হবু বল্ল) একখানা তো ব্রহ্মদত্যি একটা গোভুত আর তিননম্বর একানোড়ে(?) শাকচুন্নি চার পঞ্চম টা ছেড়েই দিলাম নম্বর তো দুই গবু বল্ল ছাড়লি কেন আরেকটা তো তুই।
m | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫৮ | 173.26.17.106
তোর কথা শুনে কালো ছাতা হাতে অনেক 'কচিকাঁচা'সহ সেই অ্যাডের বাবাটার কথা মনে পড়ে গেলোঃ)
I | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫৩ | 59.93.205.63
যাবো। কাল। কচিকাঁচাদের নিয়ে।
m | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫২ | 173.26.17.106
বইমেলা গেলি?
I | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫২ | 59.93.205.63
আরে ন্না। সে সুখ নাই। এরা ভাটপাতা নুংরা করবে, সেখেনে কুনি-বুনি গজাবে।
m | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫০ | 173.26.17.106
ভুত হয়ে ঐ দুজনের লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যাবে বলছিস!!! কি কান্ড!!
I | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৫০ | 59.93.205.63
ঘরের কোণের নোংরা, ধুলো, মাকড়সার ঝুল, ছেঁড়া ন্যাকড়া, চুলের নুটি থেকে কুনি ( নাকি বুনি?) জন্মায়। আর নোংরামত ঝোপজঙ্গলে জন্মায় বুনি(কিংবা কুনি)। এরা দুই পেত্নী বোন। কাজেই নোংরা হইতে সাবধান। ভাটিয়ালিতে ফুটকি ও ভিকিরে ঢুকতে দেবেন্না। এরা বড় ঘরদোর নোংরা করে। মানুষের রেচন পদাত্থ নিয়ে কথা বলে। আমারে বলবেন। সাবাং নিয়ে আসবোখন।
m | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৪৯ | 173.26.17.106
কল্পনা করে নিও, আমি চোখ গোল্লা গোল্লা করে বসে আছি। আজকাল একমাত্র ভুতের সিনেমা দেখলে 'বাজে' লাগে( ছেলেকে বলেছি আমি কিছুতেই ভয় পাই না)।গা ছমছমে ভুতের গপ্পো পড়লেও কিছু মনে হয় না- কল্পনা শক্তি কমে গেছে মনে হয়ঃ(
I | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৪৮ | 59.93.205.63
ঘরের কোণের নোংরা, ধুলো, মাকড়সার ঝুল, ছেঁড়া ন্যাকড়া, চুলের নুটি থেকে কুনি ( নাকি বুনি?) জন্মায়। আর নোংরামত ঝোপজঙ্গলে জন্মায় বুনি(কিংবা কুনি)। এরা দুই পেত্নী বোন। কাজেই নোংরা হইতে সাবধান। ভাটিয়ালিতে ফুটকি ও ভিকিরে ঢুকতে দেবেন্না। এরা বড় ঘরদোর নোংরা করে। মানুষের রেচন পদাত্থ নিয়ে কথা বলে। আমারে বলবেন। সাবাং নিয়ে আসবোখন।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন