আলোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গয়ে উঠলো নতুন সরকার। তারপর বদলালো বিন্যাস, কি করে তা কারো জানা নেই। গঙ্গার পাড় ও জি টি রোড ধরে ত্রিপলের ঘর বাড়লো। সেখানকার বাস্তুতন্ত্র বদলাবে স্বাভাবিক। জুটমিল কিংবা সুতোকল সবেই পরিবর্তন দোরগোড়ায় এসে ঠেকলো। কীভাবে হঠাৎ করে শিং গজিয়ে ওঠে মাথায়। তারপর আর কে আটকায়? কী দুর্দান্ত সে বেগ। এখন মাহেশে বৃষ্টির রাতে রথের মেলা থেকে ফিরলে রাধারাণীর বাড়ি ফেরা নিশ্চিত মনে হয় না। খটির বাজারে বড়ো করে গেট করা আছে তারপর থেকে রিষড়া অবধি বাংলার বাইরে।সে পথের মাঝে একটুকরো বাঙালি হলো রামকৃষ্ণ আশ্রম। যেই অঞ্চলে রাম নবমীর মিছিল জুড়ে উত্তেজনা, হেডলাইন হতে পারতো শিখরে শ্রীরামপুর। যাগগে, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা রামমন্দিরে সমস্যা ছিলনা বাঙালি পুজো করে যেত দুবেলা। এখন সেখানে হাবিজাবি ভাষার নামাবলী পরিহিত পন্ডিত (রবিশঙ্কর নয়)। ... ...
কখনও একটা গোটা বাজারকে প্রাণভয়ে দৌড়োতে দেখেছেন? আজ তাই দেখতে হলো। আট থেকে আশি সবাই দৌড়াচ্ছে। দেখলাম এ দৌড়ের কোনও জাত নেই, ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, বয়স নেই, লিঙ্গ পরিচয় নেই – কিচ্ছু নেই, বিশ্বাস করুন কিচ্ছু নেই। থাকার মধ্যে আছে কেবল ভয়, প্রাণের ভয়। সবকটা লোক তেড়ে পালাচ্ছে। ... ...
গতকাল যখন পার্ক সার্কাসের একটি খাবারের দোকানের সামনে জমায়েত হচ্ছিলেন বেশ কিছু এনআরসি বিরোধী কর্মীরা, তখন পুলিশ এসে বলে ওই স্থানে জমায়েত করা যাবে না। কারণ, ওই জমায়েতের নাকি কোনও অনুমতি নেই। অথচ নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রাপ্ত অনুমতিপত্র দেখানো হলেও তাঁরা বলেন, অনুমতিতে বলা নেই যে ঐ স্থানে জমায়েত হয়ে মিছিল শুরু করা যাবে। আর কথা বাড়ালে গ্রেপ্তার করা হবে। কোনও কথা বাড়ানোর সুযোগই দেওয়া হল না, সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হলো প্রসেনজিত বসু, মনজর জমিল, ইমতিয়াজ আলি মোল্লা, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ দশজনকে। ঘটনাচক্রে আমরা কয়েকজন তখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে। পুলিশ এসে আমাদের বলল, এইখানে জমায়েত করা যাবে না। আমরা উল্টে বললাম, দু’জন মানুষ কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে কথা বলাও অপরাধ নাকি? এটা কি উত্তরপ্রদেশ? ... ... ...
গত শুক্রবার বাবা মারা গেছেন। মেডিকেল কলেজ নন-কোভিড দের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় বাবার চিকিৎসাও বন্ধ ছিল। গরীবের তো অ্যাপোলো নেই৷ ৪ দিন হস্পিটালে ভর্তি ছিল বাবা। কিন্তু তাতে রোগের চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিলো না। ভেন্টিলেশনের পেশেন্টের ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট বেসরকারি ল্যাব থেকে যতদিনে আসার কথা তার আগেই পেশেন্ট মারা যাচ্ছে। রাত ১২ টায় একটা হস্পিটাল পেশেন্টকে বের করে দিতে চায় ভেন্টিলেশন নেই বলে। না, কোনোরকম ব্যবস্থা করে দিতেও তারা চায়নি। অবশেষে ৫ ঘন্টা টানাপোড়েনে ভর্তির ব্যবস্থা হয় অন্য হস্পিটালে। ... ...
২০১৯ সালের ২১শে জুন, আমার ছেলের মৃত্যুর দু-ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ মিডিয়াকে জানায় যে তারা এই মৃত্যুতে মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখছেনা। আমার ছেলে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঐ বাড়ির অ্যাকসেস আমার ছেলের ছিলো না। ছাদে যেতে গেলে আলাদা অ্যাকসেস লাগে। আজ অবধি পুলিশ আমাকে জানায়নি কে আমার ছেলেকে ছাদের দরজা খুলে দিয়েছিলো। ছাদে একটা সুইমিং পুল আর জিম আছে, দুটোই বড়োদের জন্য। সেই দিনটা শুক্রবার ছিলো, সময়টা গ্রীষ্ম। একটা গোটা বছর ধরে পুলিশকে চাপ দিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় ছাদে একটি পরিবার ছিলো, যাঁরা পুলিশের কাছে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলো। কিন্তু পুলিশ আমাকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। ঐ বাড়িতে বা আসেপাশে বাড়িতে থাকা বেশ কিছু লোক আমার ছেলের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। পুলিশ তাঁদের কারোর স্টেটমেন্ট নেয়নি। ... ...
আপনাদের যদি মনে হয় লক ডাউন উঠে এসেছে সব কিছু আবার আগের মতন স্বাভাবিক হয়ে যাবে, খুব ভুল ভাবছেন, আমার উদাহরণ বাদ দিলাম কিন্তু মানুষের হাতে আর একদম পয়সা নেই, এদিকে সরকারের রান্নাঘর গুলিও সব বন্ধ হয়ে গেছে, একটা অদ্ভুত বিচ্ছিরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপনাদের মনে হবে বাড়িয়ে বলছি কিন্তু বিশ্বাস করুন লক ডাউন এর সময় তাও বা যারা খেতে পাচ্ছিল এখন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ... ...
সাতজেলিয়া, মোল্লাখালি, পাখিরালা, রাঙাবেলিয়া, বাগনা-এর অনেক মানুষ তাই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন (নাম অপ্রকাশিত) – “বাবুরা এমনভাবে বোটের উপর থেকে ত্রাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেয়, মনে হয় জঙ্গলের পশু-পাখি কে খাবার দিতে এসেছিল। আমরা ভিখারী নই, আমরা চাষ না করলে, মাছ-কাঁকড়া না ধরলে বাবুদের সাদা চামড়ার ফুটানি বের হয়ে যাবে। আমাদের সারাবছর যেভাবে খাটতে হয়, তখন এই দু-একদিনের চাল-ডালের মাধ্যমে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না।" ... ...
গত তিন দশকে এমন মারাত্মক ভোট আর দেখেনি ত্রিপুরা। এরপরও ত্রিপুরায় বহু ভোট হয়েছে। অনেক ভোট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গীদের বন্দুকের নলের নিচে ভোট হতেও দেখেছে ত্রিপুরার মানুষ। ২০০০ সালে ত্রিপুরা স্বশাসিত জিলা পরিষদের ভোটে কিছু কিছু অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীরা নিজেরাই ভোট করেছিল। ভোটের আগে সিপিএম প্রার্থীর পরিবারের লোকজনদের, এমনকি সিপিএম নেতাদের সেবার অপহরণ করেছিল জঙ্গীরা। কিন্তু এ ধরনের আতঙ্ক কায়েম হলেও তা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে নি। অন্য অংশে মানুষ প্রতিবাদী হয়ে নিজের মত নিজে প্রকাশ করেছিলেন। কখনো কখনো সিপিএমের দিকে ভোটে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। তাও কিছু কিছু পকেটে। কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা তাদের এলাকায় জোর করিয়ে ভোট করিয়ে জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরায়। কিন্তু রাজ্যের ইতিহাসে তারা কেউ একবারের বেশি স্থায়ী হন নি। পাঁচ বছর পরেই মানুষ তাদের বিদায় দিয়ে দিয়েছেন। ... ...
বৃহস্পতিবারের জন্য অন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল শাসকদল। তারই প্রতিফলন দেখা গেল গোটা দিন জুড়ে। বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের রাস্তা থেকেই বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পোলিং বুথে শাসক দলের কর্মীরা পিছন থেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন কে কাকে ভোট দিচ্ছে। এরকম বেশকিছু ছবি উঠে এসেছে। যা বলে দিচ্ছে কেমন নির্বাচন হল রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে ভোট শুরু হতেই জিরানীয়া, মজলিশপুর, মান্দাই, বক্সনগর, রাজনগর, মোহনপুর, বড়জলা এসব স্থান থেকে বাম পোলিং এজেন্টদের আক্রমণের খবর আসতে থাকে। প্রথম দিকে যা ছিল ছোটখাট ঘটনা তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় আকার ধারন করতে থাকে। বাম পোলিং এজেন্টদের পাশাপাশি চিহ্নিত বাম ভোটারদেরও লাইন থেকে বের করে দেবার খবর আসতে থাকে। অনেক জায়গায় বাম ভোটারদের বাড়ি থেকেই বের হতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ আসে। ... ...
"লিখতে বসে বেশ গুরুগম্ভীর ভূমিকা লিখব ভাবছিলাম। ফ্যাসিবাদ, মানুষের অধিকার নিয়ে বড়সড় কিছু লিখব ভাবছিলাম। হল না। তাই যা দেখেছি তাই লিখেছি। ব্যক্তি মানুষের দেখার চোখের কিছু ভুল ত্রুটি থেকে গেল হয়তো। কুড়ি মার্চ বিকেলে প্রেস ক্লাব প্রথম যাই। হোলির সপ্তাহ। পরিবারের সাথে সময় কাটাবো বলে তিনটে দিন ছুটি নিয়েছিলাম। একুশ তারিখ নেহাত ই উৎসুক হয়ে দেখতে গেছিলাম এস এস সি র অনশন মঞ্চে। শোস্যাল মিডিয়া তে কদিন ধরে বিভিন্ন পোস্ট থেকে অনশন র কারণ অথবা এই কদিনে অনশনের জন্য বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা কানে আসছিল।..." -এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রত্যক্ষদর্শীর প্রতিবেদন ... ...
৭ই ফেব্রুয়ারী আন্দোলনরত ছাত্ররা এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে। এনাইটির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ৪০ জন ছাত্র। এরপর ৯ তারিখ এনআইটি-র ডিরেক্টর মৌখিকভাবে একটি আলোচনাসভার প্রস্তাব রেখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্গাপুরে অবস্থানরত ছাত্ররা সেই মর্মে তাদের সহপাঠী এবং অভিভাবকদের ওইদিন দুর্গাপুরে আসার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এই আলোচনাসভা শেষ অবধি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিনা বা হয়ে থাকলেও সেখানে কি আলোচনা হয়েছিল, কোনো সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছিলো কিনা সেসব জানা যাচ্ছে না। তবে জানা যাচ্ছে যে দুর্গাপুরের আন্দোলন নিয়ে ৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিলো ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে। তার মধ্যে একটি 'এই সময়' এবং একটি 'আনন্দবাজার পত্রিকা'-য়। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনটিতে একটি আলোচনাসভার উল্লেখ রয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে ওই আলোচনাসভায় সমাধানসূত্র মেলেনি। ... ...
মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্তৃপক্ষের অপরিসীম উদাসীনতা তাদের ঠেলে দিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথে। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ এবং মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিস্ময়কর নীরবতার কারনে সাধারন মানুষের কাছে তাদের সমস্যা এবং এবং কার্যকলাপ অনেকটাই অজ্ঞাত। আন্দোলনকারী ছাত্র আলমগীর খান তাদের সাম্প্রতিক অবস্থা এবং পরিকল্পনা জানিয়েছেন এই লেখায়। ... ...
বাংলাদেশে গত ২৯ জুলাই জাবালে নূরের দুটি বাসের রেষারেষির মধ্যে একটি বাস ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের এমইএস এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একদল শিক্ষার্থীর উপর উঠে যায়। এতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই নিহত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাদের সহপাঠীরা। ধীরে ধীরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকার সব রাজপথে গড়ে তোলে “নিরাপদ সড়ক আন্দোলন”। অভূতপূর্ব এই স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন খুব শিগগিরই স্ফূলিঙ্গ থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় শহর থেকে বন্দরে, নগর থেকে নগরে, সারা বাংলাদেশে। শিক্ষার্থীরা রোদ-বৃষ্টি, পুলিশ ও ছাত্রলীগের লাঠিপেটা উপেক্ষা করে ট্রাফিকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বুঝিয়ে দেয় সিস্টেমের গলদ। ... ...
আমরা গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনীয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ছাত্রছাত্রীরা মালদা থেকে এখন আপনার পথে পথে। সেই পথে পথেই ঘুরছি, পথেই অবস্থান, পথেই রাত কাটাচ্ছি। বারো দিন হয়ে গেল। কিন্তু, কেন? আমাদের ডিপ্লোমার বৈধ সার্টিফিকেট ও উচ্চশিক্ষার দাবিতে বিটেক এ লাটেরল এন্ট্রি তে ভর্তির দাবি নিয়ে আমরা লড়ে যাচ্ছি বহুদিনধরে। রাজ্যের কারিগরি সংস্থা আমাদেরকে তিন বছরের ডিপ্লোমার সিলেবাস পড়ার পর দুবছরের ডিপ্লোমা দিতে চাইছে যেটা কোনো সরকারি,বেসরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষাই ভর্তির জন্য বৈধ নয়।আমরা লাটেরল এন্ট্রিতে ডিপ্লোমায় ভর্তি হয়েছিলাম স্টেট কাউন্সিল এর আন্ডার এ রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম আমাদের সব ডাটা ও ডকুমেন্টস আপলোড করেছিলাম তারপরেও আমাদের দুবছরের ডিপ্লোমা দিচ্ছে যদিও স্টেট কাউন্সিল অন্যান্য ইনস্টিটিউট কে তিন বছরের ডিপ্লোমা দেয়। ... ...
কেরালার বন্যাবিধ্বস্ত বিভিন্ন অঞ্চলে দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা। তাঁদেরই মধ্যে একটি দল কাজ করে চলেছেন কেরালায় কাজ করা লক্ষ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য। এঁরা এসেছেন বিহার, ওড়িশা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গের মত সুদূর রাজ্যগুলি থেকে। সহদেবন এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধটি লিখে আমাদের পাঠিয়েছেন সুমগ্না ভৌমিক। ... ...
৯ টা জেলায় শতকরা বাতিল আবেদনপত্রের সংখ্যা হল একেবারে এক, ১২.৫ (দশমিকের পরে প্রথম ঘর অবধি কাছাকাছি পূর্ণসংখ্যা ধরে)। ১১ টা জেলায় এই সংখ্যা হল ৭.৫ (কাছাকাছি পূর্ণসংখ্যা ধরে) আর ৪ টে জেলায় ১৭.৫ এর কাছাকাছি। প্রত্যেক জেলার আবেদনকারীর সংখ্যা আলাদা আলাদা, বাতিল আবেদনের সংখ্যাও তাই। এদের অনুপাত এবং তার শতকরা হিসেবও সেইরকম আলাদা আলাদা হওয়া উচিত। অর্থাৎ ৩৩ টা জেলার থেকে ৩৩ টা আলাদা সংখ্যা আসা উচিৎ যাদের মধ্যে দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে প্রায় কোনো মিল বা পুনরাবৃত্তি বা সম্পর্ক থাকার কথাই নয়। তাহলে এতগুলো জেলার বাতিল আবেদনকারীর সংখ্যার শতকরা হিসেব কি করে একই রকম হল ! ... ...
আজ অবধি কোথাও কোনো চেষ্টাই হয়নি মালদা জিকেসিআইইটি-র ঘটনাপরম্পরা লিপিবদ্ধ করে রাখার। এদিকে আন্দোলন শুরু হয়ে ২ বছরের ওপর ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। এর মধ্যে নানান ঘটনা ঘটে গেছে। এইসব ঘটনার সংখ্যা এতই বেশি যে বর্তমানে আন্দোলনরত ছাত্ররাও সঠিকভাবে দিনক্ষণ, তারিখ বা নাম উল্লেখ করতে পারছে না। সমস্তটাই "ওই ঘটনাটা ঘটার ৬ দিন পর মোটামুটিভাবে ধরা যায়" জাতীয় বাক্য হিসেবে আসছে। সেখান থেকে সঠিক তথ্য ছেঁকে তোলার জন্য দরকার নির্ভরযোগ্য প্রমান। অর্থাৎ কিনা, সেই সময়কার ফেসবুক পোস্ট, কলেজ কর্তৃপক্ষের তারিখ নির্দেশ করা চিঠি (যার কিনা সূত্র পুনরায় ফেসবুক পোস্টই) অথবা সংবাদপত্রের প্রতিবেদন। এই দু'বছরে বেশ কিছু প্রতিবেদন আবার হারিয়েও গিয়ে থাকতে পারে অ্যালগোরিদম-এর দৌলতে। ... ...
এটা ভালো লক্ষণ যে এবারের আন্দোলনে কলকাতা সহ আরো বহু বাইরের অঞ্চলের মানুষের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। এই সমর্থনের প্রক্রিয়ায় যদি তাঁরা বুঝতে পারেন যে বন্ধ বাগান আর তাতে অনাহার মৃত্যুর বাইরেও চা বাগানের সমস্যাটা অনেক গভীর, তাহলে একটা কাজের কাজ হবে। মালিকদের ভয়াবহ মুনাফাখোরি নীতি, ফাটকাবাজ মালিকদের দৌরাত্ম্য আর তাতে সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন আর উদাসীনতাই যে মূলতঃ চা শিল্প আর শ্রমিকদের বিপর্যয়ের মূল কারণ, এই ভিত্তিটায় দাঁড়ানো দরকার। বন্ধ বাগান বা অনাহারে মৃত্যু সমস্যায় একটা সামান্য অংশ, ন্যূনতম মজুরি না দেওয়ার মত চা বাগানের সার্বজনীন সমস্যাগুলো ছড়িয়ে আছে কমবেশি সমস্ত বাগান জুড়ে। ... ...
ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক নিরাপত্তা ও বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার বিচার চেয়ে সরকারের কাছে নয় দফা দাবি জানায়। তারা রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, গুলশান সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকার মহাসড়ক অবরোধ করে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় তারা লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন বাস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা মহাসড়কের প্রত্যেকটি গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা শুরু করে। লাইসেন্স না দেখাতে পারলে তারা গাড়িগুলোর চাবি রেখে দেয় এবং বাজেয়াপ্ত করে। লাইসেন্সহীন ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ট্রাফিক সার্জেন্টের মাধ্যমে মামলা দেয়। ... ...
প্রথম দফায় অনশন চলাকালীন যখন একের পর এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং কোনো সরকারি মেডিক্যাল টিমকে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের দেখভালের জন্য সেই অবস্থায় ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার আব্দুল রাজ্জাক। তাঁরই উদ্যোগে ডাক্তার আসে জিকেসিআইইটিতে। আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি নৈতিক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাশেই ছিলেন। হঠাৎ শোনা যায় আব্দুল বাবুকে জিকেসিআইইটি থেকে সরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এনআইটি দুর্গাপুরে। স্বভাবতই ছাত্ররা এই খবরে ষড়যন্ত্রের আভাস পায়। আবারও তৈরী হয় আন্দোলনের পরিস্থিতি। এনআইটির তৎকালীন ডিরেক্টর শ্রী অশোককুমার দে-র বক্তব্য অনুযায়ী অবশ্য এর সমস্তটাই অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ... ...