এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গড় আয়ু আর সময়ের দাম !

    Debasis Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • “তোমাদের দেশে সময়ের দাম নেই বুঝি?” বা “আমাদের বাজারে সময় এখন ভয়ানক মাগ্যি। এতটুকু বাজে খরচ করার জো নেই! এই তো, ক’দিন খেটেখুটে চুরি-চামারি করে খানিকটে সময় জমিয়েছিলাম, তাও তোমার সঙ্গে তর্ক করতে করতে অর্ধেক খরচ হয়ে গেল।”

    (হ য ব র ল’র) শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচের এই উদ্ভট প্রশ্নে কিশোর হয়তো অবাক হয়ে ভাবতে শুরু করেছিল সময়ের দামের হিসেব কিভাবে পাওয়া যায়! ‘৭ দুগুনে ১৪’র তো নামে চার, হাতে কি থাকে ?’ হাতে যে পেনসিল ছাড়া আর কিছু থাকে না কাকেশ্বর কুচকুচের সেই হিসেব ১৯২২ সালে ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় উঠে আসার পর থেকে অনেকের মনেই গুঞ্জরিত হচ্ছিল ওই প্রশ্নটি। হাতে যদি কোন সময় রাখা যেত! চুরি-চামারি করে না হোক খেটেখুটে যদি কিছু করে সময় জমানো যেত রোজ! এই ভাবনা থেকেই উঠে আসছে উদ্বৃত্ত সময়কে চিহ্নিত করার কাজ, তারপর সেটিকে জমিয়ে রাখা বা বাঁচিয়ে রাখা।

    তাহলে আগে আমাদের জন্যে বরাদ্দ সময় কতটুকু, তার থেকে কতটুকু সময় বাঁচানোর জন্যে থাকবে সেই হিসাবটা বুঝে নেওয়ার দরকার। পরে না হয় এই সময়টাকে কিভাবে জমিয়ে রাখা যায় সে খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসরা চাঁদে জমি কিনে বসত তৈরি করছেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজ ঈর্ষনীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেই যুগে বসে আমরা সময় জমানোর কোন মেশিন বা কোন বাক্স তৈরি করতে পেরেছি কি!

    আসবো, আমরা সেই প্রসঙ্গে আসবো, তবে তার আগে দেখে নিই আমাদের মোট কতটুকু সময় বরাদ্দ, সেই বরাদ্দ সময় খরচের হিসেব আর তারপর কাকেশ্বর কুচকুচের মতন কতটুকু সময় তার থেকে আমরা বাঁচাতে পারি!

    জ্ঞানগম্মি হওয়ার পর থেকে যতটুকু স্মরণ করতে পারি, উঠতি বড়লোকের মতন দুহাতে প্রচুর সময় বাজে খরচা করে ফেলেছি আমরা। স্কুল ফাঁকি দিয়ে খেলার মাঠে দৌড়ানো, ঘন্টার পর ঘন্টা খেলার মাঠে বসে থাকা সাইড লাইনের ধারে, যদি কোন প্লেয়ার উন্ডেড হয় আর তার বদলে যদি আমাকে চান্স দেয়! প্রেমিকা ল্যাং মেরে দেওয়ার পরে গালে হাত দিয়ে উদাস হয়ে ঝিলের পাশে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেছি! দিনের বেলা তো বটেই রাতেও বিছানায় শুয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে ভিডিও গেম অথবা কোন না কোন সিনেমা দেখে গেছি! বিয়ে থা হওয়ার পরে ইএমআই এর কিস্তির টাকা কিভাবে জোগাড় করে ব্যাংকে জমা করা যায় সে জন্যে ঘন্টার পর ঘন্টা ভেবে গেছি! অপচয়িত সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শিখিনি আমরা। কিন্তু কখনো ভাবি নি, আমাদের এই জীবন মেরে কেটে গড়ে চার হাজার সপ্তাহের!

    হিসেব চাই ?

    ঠিক আছে! দেওয়া যাক! আপনার গড় আয়ু ৮০ বছর মানে ৯৬০ মাস। মানে ৯৬০ গুণিতক চার সপ্তাহ, অর্থাৎ ৩৮৪০ সপ্তাহ। মানে ২৬৮৮০ দিন বা প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ঘন্টা! ৮০ নয়, আপনি আরো একটু বেশি বাঁচবেন? বেশ! আরো ১৬০ সপ্তাহ যোগ করে দিলাম। তাহলে ৪০০০ সপ্তাহ হলো তো? তাহলে এই যে বিপুল আয়তনের জীবন, এটা আমরা কিভাবে খরচা করি ? বাজে খরচগুলোই বা কি রকম? দেখা যাক! এই জীবনের কত ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটাই আমরা?
    — ২৬ বছর। হ্যাঁ! ২৬টি বছর আমরা স্রেফ ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিই!

    জীবনের এই এক তৃতীয়াংশই শুধু নয়, আশি বছরের জীবনকালের সাত সাতটা বছর আমরা কাটিয়ে দিই স্রেফ ঘুমের চেষ্টা করে! হ্যাঁ! ঘুম নয়, ঘুমের চেষ্টা করে! শোওয়া মাত্রই যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে এত সমস্ত ঘুমের ওষুধের কোম্পানি, এত সমস্ত সাইক্রিয়াটিস্ট, এই বিশাল ফার্মা ইন্ডাস্ট্রির হাড়ে হলুদ হয়ে যাবে না! আপনার নিদ্রাহরণ করার জন্য তাই দুনিয়ার টেনশন, মোবাইল বা ল্যাপটপে নীল আলোর সিনেমা… রাজসিক আয়োজন তো রয়েইছে!
    এবার প্রশ্ন,
    — ঘুমের হিসাব তো হল, এবার জিজ্ঞাসা থাকে রিক্রিয়েশন বা বিনোদন কতক্ষণের ?
    — জীবৎকালের আট বছর তিন মাস কাটে টিভি, মোবাইলের সামনে আর সিনেমা হলের সিটে বসে।

    ব্যাংকের কাউন্টারে, রেল স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায়,রেশন দোকানে বা ওষুধের দোকানে লাইন দিয়ে বা ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থেকে থেকে হাই তুলতে তুলতে কেটে যায় ২৩৫ দিন। তবে সুনীল গাঙ্গুলীর মতন তেত্রিশ বছর না হলেও অপেক্ষা করেই প্রায় এক বছর কেটে যায় আমাদের!
    — বাপরে! বেশ! আরেকটা প্রশ্ন আছে –জীবনে বেঁচে থাকার মূল কাজটাই তো হচ্ছে খাওয়া দাওয়া! সেটারও কোন হিসেব হয়েছে নাকি ?
    — হ্যাঁ! গড়ে চার বছর কাটিয়ে দিই শুধু খাবার খেয়েই!
    — আঁ! শুধু খেতেই লেগে যায় চার ঘন্টা! তাহলে শরীরচর্চা?
    — ফু:! টাইম কই? পুরো আয়ুষ্কালের মধ্যে মাত্র এক বছর তিন মাস ওই কাজটা বাধ্য হয়ে করতে হয়। তাও ডাক্তার বললে তবেই বাধ্য হয়ে এক দু’মাস করি!
    — তাহলে কাজকর্ম করেন কতক্ষণ?
    — ৬০ বছর বয়েসে তো বসে যেতেই হবে। তবু, ওই যে কদিন শরীর চলে ততদিনই করি। গড়ে ১৩ বছর আমরা কাজকর্ম করি।
    — স্ত্রী বা ইয়েদের সঙ্গে ভাব ভালোবাসা বা আমোদ আহ্লাদে কদিন যায় ?
    — ১১৫ দিন। জীবনের ১১৫ দিন শুধু আমরা হেসে বা ফুর্তি করে কাটিয়ে দিই!
    — আর কিছু হিসাব আছে নাকি?
    — এই ব্যাপারটাতে পুরুষ নারীর একটু প্রভেদ আছে। মহিলারা ১৩৬ দিন কাটান শুধুমাত্র কোথাও বেরোনোর আগে তৈরি হওয়ার কাজে, সেক্ষেত্রে পুরুষদের লাগে ৪৬ দিন। সুতরাং স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার আগে তাগাদা মারবেন না!
    — ও! তাহলে আর কি বাকি থাকে!
    — বাকি আছে! পেনসিল না, এরপরেও আমাদের হাতে থেকে যায় ২ হাজার ৯৯৭ দিন বা আট বছর দু মাস! এটাই আমাদের অভিনিবেশের কেন্দ্রে! এই বিপুল বাড়তি সময়টাই যদি জমিয়ে রাখা যেত!

    উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে ব্যাংকে গিয়ে জমিয়ে রাখা যায়। উদ্বৃত্ত সময় জমানোর জন্য কোন ব্যাংক যদি থাকতো! হ্যানো ব্যাংক, ত্যানো ব্যাংক তো প্রচুর, কোন টাইম ব্যাংক কি নেই?

    ১৯২২ সালে কাকেশ্বর কুচকুচের ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রায় একটি শতাব্দী অতিক্রান্ত হল। ২০১১-১২ নাগাদ সুইজারল্যান্ডের Federal Ministry of Social Security র তত্ত্বাবধানে বিশ্বের প্রথম টাইম ব্যাংক স্থাপিত হল। ক্রমে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, জাপান, সাউথ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড তাইওয়ান, সেনেগাল, আর্জেন্টিনা, ইসরাইল, স্পেন এবং ভারত প্রভৃতি বিশ্বের কমবেশি চৌত্রিশটি দেশে এই টাইম ব্যাংক তৈরি হল।

    এখন প্রশ্ন হল, এই টাইম ব্যাংকটি কি করে, কত টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়? এখানে কত পার্সেন্ট সুদ দেয়! কারা এই টাইম ব্যাংকের গ্রাহক হতে পারে?

    এখানে টাকার কোন লেনদেন হয় না, টাইম জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। সুদ–টুদের কোন ব্যাপারই নেই! সংশ্লিষ্ট দেশের যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাস্থ্যবান নাগরিকই এই ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে তাঁর উদ্বৃত্ত সময়টুকুতে অন্য যে কারুর প্রয়োজনে তার পাশে থাকবেন। দুর্বল বা রোগগ্রস্ত গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক পছন্দ করে কিনা জানা নেই অবশ্য।দুর্ভিক্ষে বা রাষ্ট্রবিপ্লবে না হলেও হাসপাতালে বা ডাক্তারখানায় রুগীর পাশে অথবা এই ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজে নিযুক্ত থাকবেন এই ব্যাংকের গ্রাহক। তিনি কতক্ষণ সময় ধরে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিলেন সেই সময়টুকু চিহ্নিত হবে ব্যাংকের কোন রেজিষ্টারে। এভাবে মানুষটি যতদিন কর্মক্ষম থাকবেন ততদিন তাঁর প্রদত্ত সময় তাঁর নামে জমা থাকবে। এবার ইনি যখন কর্মক্ষমতা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়বেন তখন অন্য কেউ এসে তাঁর পাশে থাকবে। এই গ্রাহকটি যাঁদের বিপদের সময় পাশে রইলেন তাঁরাই অসহায় অবস্থায় তাঁর এসে পাশে দাঁড়াবে তা নাও হতে পারে! উপকারের প্রত্যুপকার না না, যে কেউ এসে এই উপকার করতে পারে। তিনি করবেন এই প্রত্যাশায় যে তাঁর বিপদের সময় আবার অন্য কেউ এসে পাশে দাঁড়াবে। এ যেন আপনি কতটা পরোপকারী, সেই মতন আপনিও উপকৃত হবেন! প্রত্যুপকার যাতে আপনি পান সে ব্যাপারটা লক্ষ্য রাখবে টাইম ব্যাংক। সুইজারল্যান্ডে যেমন সরকারি তত্ত্বাবধানে ব্যাপারটা হয়ে থাকে, গ্রেট ব্রিটেন এমনকি ভারতের জয়পুরও তাই মান্য করা হয়।

    খানিক আগে উদ্বৃত্ত সময়ের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, সেই উদ্বৃত্ত সময়ের সদ্ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই এই টাইম ব্যাংকের জন্ম। আজকের এই পণ্যমুখর পৃথিবী যত বুড়ো হচ্ছে ততই মানুষ নিঃসঙ্গ হচ্ছে! এখনকার বৃদ্ধাবাস এবং গৃহকোণও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দীর্ঘনিঃশ্বাসের ভারী বাতাসে ভর্তি! সময় কাটানোর সঙ্গী তো দূরের কথা, হাসপাতালে রোগীর শয্যার পাশে রাত জাগার এমনকি চলচ্ছক্তিহীন মানুষটিকে একবেলা হাঁটানোরও কেউ নেই! এই ভারতেই কত হাজার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাড়ির চৌকাঠের বাইরে পা বাড়াতে পারেননি বহুকাল! এটা প্রচলিত কহাবত বা বাগধারা আছে, ‘যৌবনে যেমন কাজকম্ম করবে বুড়ো বয়সে বা অশক্ত অবস্থায় সেরকম ফল তুমি পাবে! পাপ–পুণ্যের বিচার এখানেই হবে! ভগবান সব বসে বসে লক্ষ্য রাখছেন। ভগবানকে তো দেখতে পাচ্ছি না! পাচ্ছি টাইম ব্যাঙ্ককে। সুস্থ সবল অবস্থায়, যৌবনকালে আরেকজনের জন্য তুমি যতটুকু সময় খরচা করবে, তোমার অসহায় অবস্থায় অন্য কেউ এসে সেই পরিমাণ সময়টুকু তোমার পিছনে খরচা করবে। সে হাসপাতালে তোমার বিছানার পাশে রাত জাগাই হোক, কি তোমাকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে বা কোলে করে নিয়ে ডাক্তারখানায় গিয়ে লাইন দেওয়াই হোক কিম্বা বুড়ো বয়সে তীর্থ করতে যাওয়ার শখ জাগলে পাশে থাকার নির্ভরযোগ্য মানুষ তুমি পেয়ে যাবে। না ভগবান তো চোখের আড়ালে,আপনি বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য কত সময় খরচা করছেন দস্তুরমত টাইম ব্যাংকের রেজিস্টারে তা লিপিবদ্ধ হয়। হ্যাঁ! গ্রেট ব্রিটেনে যেমন ৩০০ খানা আবার আমেরিকায় যেমন ৫০০ খানা টাইম ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে, ভারত বা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সে পরিমাণ বিস্তার লাভ করেনি। ২০১৯ সালে শেষের দিকে ভারতের জয়পুরের নিকটবর্তী একটি শহরে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত যতটুকু তথ্য আমাদের হাতে আছে তাতে আমরা বলতে পারি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ কেরালা ও মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতেও এক বা একাধিক শাখা খোলা হয়েছে। আমেরিকা গ্রেট বৃটেন প্রভৃতি ধণতান্ত্রিক দেশগুলির তুলনায় ভারতে এই ব্যাংকের বহুল প্রচার হয়নি কেন! ভারতে ‘ওল্ড এজ হোম’ কনসেপ্ট ইদানিং দ্রুত বিস্তার লাভ করলেও বৃদ্ধ বাবামাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভ্যাস এখনও বহুল প্রচলিত নয়! তবে আজকের প্রজন্ম যেভাবে বাড়ির বাইরে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা রুটিরুজির জোগাড়ের জন্য ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হচ্ছে তাতে বৃদ্ধ বাবা-মাদের দেখভাল করার জন্য ওল্ড এজ হোমই তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় বলে বিবেচ্য হতেই পারে। না, ক্যারিয়ার গড়ে তোলবার তাড়নায় আমরা তাদের পরের জন্য কিছু করার শিক্ষা দিতে পারিনি। “সকলের তরে সকলে আমরা /প্রত্যেকে আমরা পরের তরে /’’ বা “পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি / এ জীবন মন সকলি দাও /তার মত সুখ কোথাও কি আছে?/ আপনার কথা ভুলিয়া যাও /” এসব আগে স্কুল পাঠ্য বাংলা টেক্সট বইয়ে থাকতো, ছাত্র-ছাত্রীদের তার মানে বুঝে নিতে হতো। এখন ওসব স্কুলের সিলেবাস থেকে উঠে গেছে। জ্যাক আর জিল পাহাড়ের চুড়োয় উঠে গিয়ে কি করলো, তা নিয়ে ব্যস্ত আজকের শৈশব ও কৈশোর! নিঃসঙ্গ, একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ফ্ল্যাটের ভিতর মরে পড়ে থাকেন, তিন চারদিন পর পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে আশেপাশের ফ্লাটের বাসিন্দারা দরজা ভেঙে সে দেহ উদ্ধার করে সদগতি করে!

    ##############
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন