এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০০৬

  • ফুডপ্লাজা

    সুমেরু মুখোপাধ্যায়
    ইস্পেশাল | পুজো ২০০৬ | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৬৫১ বার পঠিত
  • কাঁকলাড়ু: মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায় রুলিয়া গ্রামের পুজোয় দেবীর পুজো হয় স্থানিয় বিলের পদ্মফুল আর দত্তবাড়ির কাঁকলাড়ু দিয়ে।

    কাঁকলাড়ু
    ---------
    পদ্মফুলের বীজ হালকা তাওয়া বা কড়াইতে শুকনো করে নেড়ে হামনদিস্তায় ফেলে সামান্য ভেঙে নিতে হয়। একটা কড়াইতে পরিমানমত দুধ যখন ফুটে ঘন হয়ে আসবে তার মধ্যে চিনি আর ভাঙা পদ্মফুলের বীজ মিশিয়ে প্রচন্ড নাড়তে হয়। সেটা শুকিয়ে এলে নামিয়ে হাতে চালের ড়ো নিয়ে নাড়ু বানাতে হয়ে। অবস্থাপন্ন বাড়িতে পদ্মের বীজ ঘিয়ে ভেজে নেয়। দুধের মধ্যে অনেক সময় ক্ষোয়া ক্ষীর মেশানো হয়। কিশমিশ এলাচ এসব জিনিসও মেশানো হয়।

    আপনারা পদ্মবীজের বদলে পাকা কুমড়োর বীজ বা পাতি বাদাম দিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন। এখানকার পুজোয় দশমীর দিন দিনের বেলা গরুর ছুট হয় আর রাতে হয় বাইচ খেলা। কাঁকলাড়ু সহযোগে বিজয়া দশমী খুবই রোমাঞ্চক।


    সিদ্ধির কচুরি: বর্ধমান জেলার পাল্লা রোডের নিকটবর্তী হাঁফানিয়া গ্রামে দুর্গাপুজোয় অন্য সকল বৈশিষ্ঠ থেকে চোখে পড়ে বিজয়ার অনুষ্ঠান। বস্তুত ঠ্যাঙাড়েদের গ্রাম হাঁফানিয়ায় দশমীর দিন প্রতি ঘরে তৈরী হয় সিদ্ধির কচুরি।

    সিদ্ধির কচুরি
    ------------
    ময়দা ময়ান দিয়ে নিয়ে তৈরী করে রাখতে হবে। একটা জায়গায় সিদ্ধি সাথে কচি নারকোলের শাস, ড়ো দুধ বা ছাতু, আখের ড়, হিং, ইত্যাদি সহযোগে ভাল করে বেটে ছোট ছোট লি তৈরী করতে হবে। তারপর ময়দার লেচির মধ্যে খাস্তা কচুরির মত পুর করে ভাজতে হয়। এর সঙ্গে খাওয়া হয় সাধারণত পায়েস বা নারকোলের চাটনী।

    প্রতিমা বিসর্জনের পরেই শুরু হয়ে যায় লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও সিদ্ধির কচুরি খাওয়া। কখনও কখনও শোনা যায় সারারাত্তির ধরে চলতে থাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কচুরি খাওয়ার উৎসব। তবে বাইরের লোকেদের সেখানে এϾট্র নেই। এমনিতেই বিকেল পাঁচটার পর বহিরাগতদের পক্ষে ঐ গ্রামে থাকা খুব একটা নিরাপদ না।


    মাছঢাক: মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার বংশীবাটি গ্রামে দুর্গাপুজোর নাম রাজরাজেশ্বরী পুজো। ষষ্ঠি সপ্তমী নবমী দশমী দেবীর ভোগ তৈরী হয় মাছঢাক বা মাছশাক দিয়ে।

    মাছঢাক
    -------
    বড় সাইজের রুই বা কাতলা মাছ ভেজে নেওয়া হয় আর একটি বড় পাত্রে সমপরিমান ছোলার ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। ভেজানো ছোলার ডাল বেটে নিতেও হয় আর এই রান্নার জন্যে দরকার সুলভ কয়েকপ্রকার শাক। যেমন কলমি শাক, ব্রাহ্মী শাক, কচুর পাতা, নটে শাক, ডাঁটা শাক, বেতো শাক প্রভৃতি। এবার পাত্রে তেল দিয়ে তার মধ্যে পাঁচফোড়ন, শাকের মিশ্রন ও ডালবাটা দিয়ে নাড়া হয়। পরিমানমত লবন ও হলুদ দিয়ে কড়াইয়ের উপর ঢাকনা চাপা দেওয়া হয়। মিনিট দশ-পনের বাদে ঢাকনা নামালে দেখা যায় শাক থেকে জল বেরিয়ে এসেছে তখন মাছগুলো তার মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফুটে উঠলে নামিয়ে নেওয়া হয়। দেবীর ভোগ বলে এতে কোন লংকা দেওয়া হয় না।

    গ্রামের দক্ষিণদিকে এক বিরাট দীঘি আছে তার নাম আজহুয়া। বর্তমানে প্রচলিত নাম রাজুয়া। কথিত আছে এই দীঘির মাঝখানে দেবীর বসবাসের জন্যে একটি পাকা ঘর আছে সেইজন্য কেউ পুকুরে নামে না বা মাছও ধরে না। কেবলমাত্র বছরের এই ক'টি দিনে এক অদ্ভুত উপায়ে মাছধরা হয়ে থাকে। দীঘির চারপাশে প্রায় সত্তর আশিজন ঢাকি ক্রমাগত ঢাক বাজাতে থাকে। মাছেরা লাফিয়ে লাফিয়ে পাড়ে এসে পড়ে। কেউ জলে নেমে মাছ ধরে না। প্রয়োজন মত মাছ সংগ্রহ হলে ঢাক বাজনা বন্ধ হয়। সম্ভবত এই জন্য এই পদটির প্রচলিত নাম মাছঢাক। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা প্রবাদের উৎস আমারা খুঁজতে চাই না আর।

    যোগাযোগ- দিবাকর মন্ডল +৯১ ৩৪৮৩ ২৬৭৮৯১


    মায়েস: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি অঞ্চলে মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম জীবন্তি। জীবন্তিতে মাত্র দুই ঘর হিন্দু আর তাদের মধ্যে দুর্গাপুজো হয় কেবল মিত্রবাড়িতে। দুর্গাদালানটি মুসলিমদের দান করা আর পুজোর বিশেষ প্রসাদ মায়েস গ্রহন করে সকলেই।

    মায়েস
    -------
    এখানে কোন পশুবলি হয় না। হয় ফল ও মিষ্টি বলি। প্রায় কুড়ি তিরিশ রকমের পাঁচমিশেলি মিষ্টি আর আট দশ রকমের ফলের টুকরো মিশে একটি জিনিস তৈরী হয়, তাকে বলে মাচার। সেই মাচারকে একটা হাড়িতে পুরে তার দ্বিগুণ পরিমাণ দুধ ঢেলে দীর্ধক্ষণ ফোটানো হয়। মিষ্টিগুলো গলে বেশ ঘন হয়ে আসে এমনকি ফলগুলো ও সেদ্ধ হয়ে যায়। একেই বলা হয় মায়েস।

    প্রকান্ড সব হাড়িতে করে নবমীর দিন তৈরী হয় মায়েস। তৈরী করেন মুসলমান রাঁধুনিরাই। দশমীর সকাল থেকে মায়েস খাওয়ার পড়ে লম্বা লাইন।

    যোগাযোগ- আনন্দকুমার মিত্র +৯১ ৯৪৩৪২৪০১৩২


    তামাকভোগ: নদিয়া জেলার সদর মাজদিয়া বাসরুটে শিবনিবাস ষ্টপেজে নেমে যেতে হবে পাবাখালি। অবশ্য রানাঘাট গেদে ট্রেনরুটের মাজদিয়া ষ্টেশনে নেমেও শিবনিবাসে আসা যায়। এই শিবনিবাসে আছে এশিয়ার উচ্চতম শিবলিঙ্গ। একসময় নদীয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল এই শিবনিবাস। পাবাখালির রায়চৌধুরীরা পুজো করেন দ্বিভূজা দুর্গার। দুর্গার জন্য থাকে সকালে খিচুড়ি ভোগ, দুপুরে পান্তাভাতভোগ, বিকেলে অন্নভোগ, রাতে পায়েসান্নভোগ। কিন্তু মহাদেবের জন্যে প্রতিবেলাতেই বরাদ্ধ থাকে তামাকভোগ।

    তামাকভোগ
    ------------
    মাখাতামাক, গোলাতামাক, বেনারসিতামাক, এমনকি তাতে পড়ে কিঞ্চিত গঞ্জিকাও। সমস্ত মিশ্রণ একসঙ্গে তৈরী করে তার ভেতর এলাচদানা আর কর্পুর যোগ করা হয়। বড় বড় হুঁকোয় জলের ফিল্টারের ভেতর দিয়ে গ্রামের প্রাপ্তবয়স্করা সকলেই গ্রহণ করে সেই প্রসাদ। মহিলারা সকলের সামনে তা গ্রহণ না করলেও অন্দরমহলেও যে তার দু চার টুকরো যায় না তা বলা যায় না।

    দশমীর দিন তামাকভোগের পরিমান থাকে সবচেয়ে বেশি। চুর্ণী নদী পর্যন্ত বিসর্জনের করুণ বাজনার সাথে সাথে চলতে থাকে তামাকভোগ সেবন।

    যোগাযোগ: পিনাকী রায়চৌধুরী +৯১ ৩৪৭২ ২৭৬২৫২


    শিব বোঁদে: দক্ষিণচব্বিশ পরগণার সোনারপুর ছড়িয়ে মল্লিকপুর। ছোট্টগ্রাম, হিন্দু মুসলমান মিলিয়ে ১০০ঘর লোক। এদের বিজয়া দশমীর একটি মিষ্টি খুব বিখ্যাত। এরা বলেন শিব বোঁদে।

    শিব বোঁদে
    ---------
    মিষ্টির দোকান থেকে অল্প খামি কিনে আনতে হয়। খামি জিনিসটা হল জিলিপি তৈরিতে যেটা ব্যবহার করে টকটক স্বাদ আনা হয়, ইস্ট গোত্রের কিছু মিশ্রিত বাসি ময়দার গোলা। সেই খামিতে জল ছাড়ানো ছানা,গুড়ো ময়দা সমান সমান ফেলে প্রচুর চটকাতে হবে। সব মিশে গেলে প্রয়োজন মত দুধ দিয়ে পাতলা করে নিতে হয়। অনেকে এর মধ্যে সামান্য নুন দেন। গরম তেলের উপর ঝাঁঝরি করে বোঁদের মতন ভাজতে হবে। ভাজার পরে সামান্য চিনি দিয়ে তৈরি পাতলা চিনির রসে ডুবিয়েই তুলে ফেলতে হয়।

    কেউ কেউ এর মধ্যে ক্ষোয়া ক্ষীরের পুটুলি ভরে দেন। ক্ষীরের সাথে কোথাও মেশানো হয় বড় এলাচ, কোথাও থাকে সিদ্ধির স্পর্শ।

    যোগাযোগ: মিতালী চক্রবর্তী +৯১ ৩৩ ২৫৮১২০৯৪


    গুলিচপ: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার খড়ার গ্রামের গুলিচপ প্রসাদটি তাদের একান্তই নিজস্ব। খেতে না ইচ্ছে হলে নাই খেতে পারেন কিন্তু কর্মকান্ডটি অবশ্যই দেখুন।

    গুলিচপ
    -------
    প্রচুর পরিমানে গুগলি লাগে। গ্রামের প্রায় কুড়িটা পুকুরে ছোট নেটের জাল ফেলে তোলা হয় গুগলি। এর সাথে মেশান হয় ছোট চুনো মাছ, যেমন চিংড়ি আর বেলে। এগুলো জালেই ওঠে, বড় মাছ ছেড়ে দেওয়া হয় পুকুরে। সমস্ত গুগলি ও মাছ ভালো করে বেছে তার মধ্যে নুন হলুদ মৌরিবাটা প্রচুর পরিমানে আদাবাটা ও পেঁয়াজকুচি মেশানো হয়। আতপ চাল আগেরদিন থেকে ভেজানো থাকে, সেটা বেটে মেশানো হয় গুগলির মিশ্রনের মধ্যে। ছাঁকাতেলে সেটা ভেজে তৈরি হয় দেবীর প্রসাদ, মুড়ি আর ঘুগনীর সাথে।

    অপনি গুগলির বদলে শুধু চিংড়ির পাকোড়া করার সময় লট্টে মাছ সিদ্ধ করে মিশিয়ে দিন বা ঢেঁড়স কুচি করে মিশিয়ে দিন, দেখবেন গন্ধ বাদে টেস্ট প্রায় একই রকম।


    খোশবাস: রাজা বল্লাল সেনের কোপ থেকে বাঁচবার জন্যে বাচস্পতি মিত্র আশ্রয় নেন তান্ত্রিকদের কাছে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার খোশবাসপুর গ্রামে দ্বিভূজা দেবী দুর্গার প্রচলন আছে তান্ত্রিক মতে। সমস্ত বলি হওয়া মাংস পোস্ত সহযোগে রান্নাকে বলা হয় খোশবাস।

    খোশবাস
    ---------
    পাঠার মাংস, ভেড়ার মাংস, হাঁসের মাংস ও কচ্ছপের মাংস খোশবাসের মূল উপকরণ। সমস্ত মাংসের মিশ্রণ পরিস্কার করে গরম জলে ভাপিয়ে নেওয়া হয় তারপর কড়াইতে তিলতেল দিয়ে নুন হলুদ, লংকা বাটা, আদা বাটা সহযোগে (মাংস) কষা হয়। মাংস কষা হয়ে গেলে তাতে পরিমানমত বাটা পোস্ত নারকোলের দুধ ও গরম মশলা বাটা ও ঘি দিয়ে একদম শুকনো শুকনো করে রান্না করা হয়।

    বাচস্পতি মিত্রের পঞ্চম পুরুষ ছিলেন সবাই কাপালিক। ব্রহ্মানন্দ, বামানন্দ, শিবানন্দ ও ভবানন্দ। দুর্গাবেদীতে থাকত সব হাড় কঙ্কাল আর এরা তর্পন করতেন মাথার খুলি দিয়ে সুতরাং এদের পুজোয় নরবলি হত নিশ্চিত কিন্তু খোশবাসে তার ভাগ পড়ত কি না তা জানা নেই। আর এখন খোশবাসে কচ্ছপও প্রায় মুছে এসেছে, দশ পনেরটা দেওয়া হয় লুকিয়ে চুরিয়ে, পুজোটা কোনক্রমে চালিয়ে যাওয়ার জন্যে।


    আরসে: বাঁকুড়া জেলার একরত্তি জঙ্গলের মধ্যে পড়ে প্রাচীন গ্রাম চাঁচর। গ্রামে মানুষের সংখ্যার দশগুণ সাপের বাস। গ্রামের এককোণে মনসামাড়োর প্রাচীন বটগাছে বাসা বেঁধে আছে প্রায় এক হাজার সাপ। সেই গ্রামে দুধ-কলা দিয়ে খাবার রান্না হবে, এ আর নতুন কথা কি? তবে আরসে চলে দুর্গাপুজোর কদিন।

    আরসে
    ------
    নাম শুনলেই মনে হয় পিঠে পিঠে। পিঠে না হলেও এটা ঠেকুয়া গোত্রিয় এবং মিঠে। চালবাটার ভেতর গুড়, পাকা কলা আর দুধ একসাথে ভলো করে চটকে মেখে কড়াইতে ছ্যাঁকা তেলে ভাজতে হয়। ভাজার পর কিছুক্ষণ রাখলেই তা শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায়। চাঁচরে পুজোর আগে থেকেই চলতে থাকে আরসে তৈরি। দেবীর প্রসাদও হয় আরসে দিয়ে।

    যোগাযোগ: +৯১ ৩৩ ২২৫৯৩৯৮৭


    পটলের মিষ্টি: বীরভূম জেলার নানুর থানার সন্নিকটে কীর্ণাহার।কীর্ণাহারের মন্ডপতলার পুজোর পরে বিজয়ায় ঘরে ঘরে তৈরি হয় পটলের মিষ্টি। এরই একটা ভার্সান মিষ্টি কলকাতায় এখন চলে। টেস্ট কিন্তু একেবারে আলাদা , যদিও কলকাতার ধারেকাছে সে নয়।

    পটলের মিষ্টি
    -----------
    এই সময় খুব একটা ভলো জাতের পটল জমিতে থাকে না। বেশির ভাগই পাকা বা মরা গাছের পটল। ভেতর থেকে বীজ সব বার করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে পরিস্কার করে নেওয়া হয়। তার ভেতর কিসমিস ছানা আর চিনি ভরে মুখ ময়দা/ আটা দিয়ে আটকে, ভাপে সিদ্ধ করা হয়। অনেকে এটাকে গাঢ় চিনির রসে ও জ্বাল দেয়।

    যোগাযোগ: +৯১ ৩৪৬৩ ২৬৭৩০১


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৬৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন