
নয়া কৃষিনীতি ইদানিং চর্চা, বিতর্ক, বিরোধিতার কেন্দ্রে। তবে, সেপ্টেম্বর ২০২০-র অনেক আগেই আজকের কৃষিনীতির একটা খসড়া আলোচনা চলছিল। সে নিয়ে কথা না বলে বর্তমান নীতির কথায় যাওয়া মনে হয় সমীচীন নয়, সেই আলোচনা ব্যতিরেকে বিরোধিতার পরিসরও সঙ্কুচিত হয়ে যায়।

জরুরী লেখা।
সত্যি কথা, সরকার সমর্থন মূল্য তুলে দিতে চাইছে এবং বড় হাউস গুলোর লাগামছাড়া হোর্ডিংএর সুবিধে করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আন্দোলন। যদি এই বিলগুলোতে সমর্থন মূল্যের নীচে ফসল কেনা যাবেনা এবং কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং এ সরকার গ্যারান্টি থাকবে ( যেমন এমএসএমই'ঢ় ব্যাংক লোনে হয়েছে) এমন ধারা যুক্ত হত তাহলে আন্দোলন হত না।
আসল কথা ষাটের দশকের শেষে সবুজ বিপ্লবে যখন অর্গানিক সার ও ট্র্যডিশনাল বীজধানের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল বীজ ,ফার্টিলাইজার ( সুপার ফসফেট ইউরিয়া পটাশ ইত্যাদি) এবং তার সঙ্গে পেস্টিসাইডের ব্যবহার শুরু হল তখন উৎপাদন ব্যয় গেল বেড়ে। তাতে চাষী যাতে গড়পড়তা ব্যয়ের চেয়ে কমদামে ফসল বেচতে বাধ্য না হয় তার জন্যে কৃষি মূল্য সম্পর্কিত কমিশনের সুপারিশে এল ন্যুনতম সমর্থন মূল্য বা এমএসপি। স্বামীনাথন কমিশনও বর্তমান বাজারদরের হিসেব করে নতুন এমএসপি ( ব্যয়ের ১৫০% ) ঘোষণা করতে বলেছেন । সরকারের টালবাহানার কারণে গত কয়েকবছর ধরে চাষিরা পথে নামছে।
তুলি