পেশাগতভাবে শিক্ষানীতি ও তার প্রয়োগকৌশল নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে চর্চা করে চলেছি, ফলত, যে নথিপত্রটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা (Ministry of Human Resource Development) ২৯ জুলাই, ২০২০[i] জাতীয় পরিসরে হাজির হয়েছে, সেই শিক্ষানীতি নিয়ে দু-কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। আমি উচ্চশিক্ষা নিয়ে কিছু বলব না, কারণ আমার বিশেষ দক্ষতা প্রাথমিক শিক্ষায় তাই আমি শুধু দৃষ্টিনিবদ্ধ করব, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা এবং শেষের চারটি পাতায়। আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে, এই সীমিত পরিসর থাকা সত্ত্বেও কিছু সমস্যা থাকবে, যেমন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোনার কথা এভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়।
ঠিক দু'বছর আগে কোলকাতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন এডুকেশন বিভাগ-এর অধ্যাপকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, আমি জিজ্ঞেস করছিলাম শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা কবে রূপায়িত করা যায়? আমার অতর্কিত প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে অতি শীতলকণ্ঠে একমুহূর্ত না ভেবে তাঁরা বললেন, “মা, একশো বছর লাগবে।” আমি ভাবছিলাম, এই উপলব্ধি যাঁদের তাঁরা দীর্ঘদিন এই পরিবেশে কাজ করছেন, ওঁরা শিক্ষাতত্ত্ব বিশ্লেষণ করছেন ছাত্রদের, ওঁদের কাছে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা কেন অকল্পনীয়? নিজেদের ফাঁকি দিয়ে, শুধুমাত্র পশ্চিমি অনুকরণ তকমা দিয়ে আধুনিকীকরণকে উড়িয়ে দিতে পারি না। হতে পারে, মানসিকভাবে আমরা প্রস্তুত নই, দীর্ঘবছর ধরে চলে আসা একটা ধারায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা।
নতুন কাঠামো চিন্তা করা, তার বাস্তবায়ন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে সময়, বিশ্লেষণ করতে হবে কোথায়, কীভাবে, কেন ও কোন্টা দরকারি। যদি আমরা পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে দেখি, কোনো নতুন কাঠামো প্রতিটি জেলাতে সমানভাবে উপযুক্ত নয় ভিন জায়গায় ভিন্ন চাহিদা এবং ভিন্নভাবে তার অধিরোপণ কৌশল। সময় বিনিয়োগের প্রশ্ন তখন আবার উঠবে যখন কৌশলগুলি গভীরে পরীক্ষা এবং ব্যাখ্যা করতে। দরকার সুগঠিত পরিচালনা, সুস্পষ্ট নির্দেশ, ব্যবস্থা করতে হবে প্রশিক্ষণের। তাই নতুন কাঠামো, নতুন নীতি রূপায়িত করতে প্রচুর লোকবল, প্রচুর পরিষদ, প্রচুর অনুসন্ধানের প্রয়োজন। আর সবকিছুর ঊর্ধ্বে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ আর্থিক সংস্থান। এই সহজ বিষয়গুলি আমরা সবাই জানি। আর তাই জন্যই আমরা মানসিকভাবে একটা অপ্রত্যাশিত রূপান্তরকে গ্রহণ করতে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু আমরা যদি তলিয়ে দেখি, তাহলে এই নতুন কাঠামো অবাস্তব নয়, এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এই পদক্ষেপ জরুরি।
বর্তমানের একটি উদাহরণ হল, দিল্লি রাজ্য বোর্ড, যেখানে আতিসি মারলেনা (রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক কর্মী এবং দিল্লির বিধায়ক) যিনি ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে শিক্ষার বিষয়ে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর নিজের চেষ্টায় শিক্ষা পরিকাঠামোর রূপান্তর ঘটিয়ে বিশাল সাফল্য নিয়ে আসতে পেরছেন ( কুমার, ২০১৯)[ii]।
আমার নিজের অন্বেষণের জন্য পড়ছিলাম কিছু গবেষণপত্র, নিবন্ধ, প্রবন্ধ এবং সর্বত্রই শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত এবং তার বাস্তবায়নের আকুতি ফুটে উঠেছে অনেকদিন ধরে যেমন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে, অন্য বোর্ডের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় ব্যাপক আধুনিকীকরণের প্রয়োজন (ধর, ২০০৫)[iii]। প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য প্রয়োজন সংশোধিত পরিকাঠামোর কথা প্রতীচী ইন্সিটিউটের রিপোর্টে[iv] ২০১৮-তে আলোচনা করা হয়। শিক্ষা আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে, যে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং অর্থ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বারবার তুলে ধরেছেন যে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা, অভিভাবকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা হয়েছে মূল্যায়ন নিয়ে।
আর বাস্তবে যাঁরা কোলকাতায় ক্লাসে বসে ছাত্রছাত্রীর কাছে শিক্ষাতত্ত্ব (education theory) পরিবেশন করছেন আর যে মানুষটি রোজ ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে তিনঘণ্টা দৌড়ে স্কুলে পৌঁছে একটা ছোটো বাচ্চার ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সাধনা করছেন তাঁদের দর্শন এবং মতামত কিন্তু আলাদা। ভাগ্যবশত দু-বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলার বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে মতামত আদানপ্রদানের সুযোগ পেয়েছিলাম, সীমিত সুবিধা, সীমিত সংস্থান, সীমিত অর্থ সংস্থানের মধ্যেই, প্রত্যহ অনেক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করেই তাঁদের অপ্রতিহত যাত্রা এবং সাফল্য। সেখানে পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল যে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত পরিকাঠামো অবশ্য প্রয়োজন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে আমার আলোচনার একটা বড়ো অংশ জুড়েছিল, ‘Authentic learning'-এর প্রসঙ্গ, এই প্রক্রিয়ায় স্কুলে শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে inquiry based learning, project based learning কীভাবে প্রয়োগ করা যায়? কারণ, এইধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনী শক্তি ও সামগ্রিক বিকাশ শিক্ষার্থীর মধ্যে গড়ে তুলবে আত্মবিশ্বাস, গর্ব, এবং ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সময় অন্যদের সে আর পিছিয়ে থাকবে না। এই যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনী শক্তি ও সামগ্রিক বিকাশের নিয়মিত প্রয়োগ কিন্তু এখনও সামগ্রিকভাবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনুপস্থিত। যদিও আমরা যদি একটু পিছনফিরে তাকাই, তাহলে লক্ষ করব, ১৩০২ সালের বৈশাখেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘আমাদের বিদেশী গুরুরা প্রায়শই খোটা দিয়া বলেন যে, এতদিন যে তোমরা আমাদের পাঠশালে এত করিয়া পড়িলে কিন্তু তোমাদের উদ্ভাবনী শক্তি জন্মিল না, কেবল কতগুলো মুখস্থবিদ্যা সংগ্রহ করিলে মাত্র, ধারণা যখন অস্পষ্ট ও দুর্বল থাকে তখন উদ্ভাবনী শক্তির আশা করা যায় না।’[v] এই শিক্ষানীতিতে সূত্রপাত করা হয়েছে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার। স্পর্শ করা হয়েছে আলোচনাভিত্তিক, সমস্যাভিত্তিক, পাঠক্রমের এবং একটি সামগ্রিক শিক্ষার কথা তুলে ধরা হয়েছে যাতে সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, শারীরিক কসরত, কারুশিল্প সবকটি বিষয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। স্বীকার করা হয়েছে পাঠক্রমকে উপভোগ্য করে তুলতে হবে বলে।
শেষ জাতীয় শিক্ষানীতিটি ১৯৮৬-তে প্রকাশিত হয়েছিল, এরপর ব্যাপক একটি রদবাদল নিয়ে, ২৯ জুলাই, ২০২০-র শিক্ষানীতিটি সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে, এই কোভিড ১৯-পরিস্থিতির মধ্যে একটি এই ঘোষণাটি করা নিয়ে অনেকভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে, যার মধ্যে আমরা ঢুকছি না। নতুন শিক্ষানীতির প্রকাশের আগে একটি প্যানেলও কিছুদিন কাজ করেছেন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান করতে থিরুমানিলায়েরের তত্ত্বাবাধানে ২০১৫-তে গঠিত হয়েছে একটি কমিটি, সেই কমিটিটি ২০১৭ সালের জুন মাসে একটি রিপোর্ট পেশ করে, এবং ২০১৯ সালে ৪৮৪ পৃষ্ঠার একটি খসড়া প্রকাশিত হয়, Draft_NEP_2019[vi] নামে। এরপর ২৯ জুলাই, ২০২০, ৬০ পৃষ্ঠার শিক্ষানীতিটি ঘোষিত হয়।
ষাট পাতার শিক্ষানীতিটি খুঁটিয়ে পড়লে বোঝা যাবে, সেখানে দেশের ভবিষ্যতের কথা, ভবিষ্যতের অর্থনীতির কথা, পরের দশকের কথা বারবার উঠে এসেছে, এই যে সচেতনভাবে ভবিষ্যতের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে আর তার জন্য অনেক পরিসংখ্যান এবং গবেষণার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এবং লক্ষ্য হিসেবে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে সর্বোচ্চমানের শিক্ষার কথা। পৃষ্ঠা ৩-এ বলা হয়েছে যে এই নীতি জোর দেবে, প্রতিটি ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনার বিকাশে। প্রতিটি ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনার বিকাশে ‘The National Education Policy lays particular emphasis on the development of the creative potential of each individual, in all its richness and complexity’ (p: 3, NEP 2020). এই ‘creative potential’ নিয়ে অনেক যুক্তিতর্ক রয়েছে, যেমন, কিছু গবেষকের মন্তব্য হল সৃজনশীলতাকে যদিও ‘একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম একটি দক্ষতা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবুও এই ধারণাটি মাঝেমাঝেই ভ্রান্ত বলে হিসেবে প্রমাণিত হয় (বেরবট এট আল)।[vii] শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে যে এই সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা অর্জন প্রক্রিয়াটি জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপে গ্রহণ করে করতে হবে ‘The aim must be for India to have an education system that ensures equitable access to the highest-quality education for all learners regardless of social and economic background. To achieve this, actions must be taken now and with urgency’ (p: 3, NEP 2020).
কেন এই পদক্ষেপ জরুরিভিত্তিতে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থান এখনও ঠিক কোন্ জায়গায়? কোন কিছুক্ষেত্রে ভারতীয় শিক্ষার প্রয়োগে এখনও দেখা যায় ‘Behaviourism’ ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। ১৯৯০-এর সময় থেকে এখনো পর্যন্ত Social Constructivism ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, যদিও আরও অনেকগুলি শিক্ষাতত্ত্ব জনপ্রিয় ও প্রচলিত হয়েছে, উল্লেখযোগ্য হল, Social Learning Theory (SLT). Multiple Intelligence (MI), Brain Based Learning (BBL) এবং Meta-cognition। এই পর্যায়ে আমি আপনাদের শিক্ষাবিজ্ঞানের ঐতিহাসিক পটভূমি ও ১৯০০ সাল থেকে শিক্ষাতত্ত্ব বিকাশের রেখাটি একবার মনে করিয়ে দিই, মোটামুটি এরকম একটা ধারণা করা যেতে পারে, যদিও এর মধ্যেও তর্কবিতর্ক রয়েছে। আমি এই তত্ত্বগুলির বিশদ বিবরণে যাচ্ছি না, কারণ তাহলে আলোচনার গতিপ্রকৃতি বিঘ্নিত হবে। তথাপি, এই তত্ত্বগুলি একনজরে তুলনা করে দেখতে চাইলে নীচের ছবিটি দেখতে পারেন। জানিয়ে রাখি, এটি আমার তৈরি তুলনা নয়, গুগল ইমেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।
Behaviourism | Humanism | Cognitivism | Cognitivist Constructivism | |||
1900-1960 | 1960-1970 | 1970-1980 | 1980- 1990 |
এই পর্যায়ে এক ঝলক এটাও দেখে নিই, বর্তমান ইউরোপের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক স্কুলে কী কার্যকর হয়? মুলত ফিনল্যান্ডের কয়েকটি উদাহরণ যেমন আমরা এখানে তুলে ধরতে পারি, কারণ ফিনল্যন্ডই এখন ইউরোপের শিক্ষাব্যবস্থায় শীর্ষস্থানে, যাকে ‘Finnish miracle’ বলে আভিহিত করা হয়[viii]। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে দেখা যায়:
১। একটা নিরুদ্বেগ ও স্বচ্ছন্দ বাতাবরণ রাখা হয়
২। মেধাভিত্তিক পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয় না
৩। প্রতিটি শিশুকে আলাদা করে মূল্যায়ন করা হয়
ইউনাইটেড কিংডমের স্কুলগুলিতেও একইভাবে প্রতিটি শিশুকে আলাদা করে মূল্যায়ন করা হয়। আমি এখানে ‘Summative and Formative Assessment’-এর গভীরতায় ঢুকছি না। কিন্তু প্রতিটি শিশুকে আলাদা করে মূল্যায়ন শব্দগুলিকে সবার দৃষ্টিগোচর করতে চাইছি এই কারণে যে, এই পৃষ্ঠা ৩-এই বলা হয়েছে, each individual-এর জন্য এই শিক্ষানীতিটি চিন্তা করছে, যে পদ্ধতিটি এখন সারাবিশ্বে অনুশীলন করবার চেষ্টা করা হয়।
অতএব, পৃষ্ঠা ৩-এই, একটা ছোটো অনুচ্ছেদেই আমি তিনটে বিষয় দেখতে পাচ্ছি যে শিক্ষানীতিতে সর্বোচ্চমানের শিক্ষা (highest-quality education), individual education এবং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে জরুরিভিত্তিতে এই পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেটি অস্পষ্ট যে highest-quality education), individual education বলতে কী নির্দেশ করা হচ্ছে? এবং কীভাবেই বা এই পদক্ষেপ জরুরিভিত্তিতে নেওয়া যাবে?
এ ছাড়াও, এতদিন ধরে যা অবহেলিত হয়ে এসেছে, এই শিক্ষানীতিতে সেই দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে বলা হয়েছে, যেমন শিক্ষার সঙ্গে দারিদ্র্য ও পুষ্টির কথাও মেলানো হয়েছে, আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত জেলাতে বিশেষ উদ্যোগ নেবার কথা বলা হয়েছে। ১৮ থেকে ২৩ পৃষ্ঠা জুড়ে শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। খুব প্রাসঙ্গিকভাবে এটিও স্বীকার করা হয়েছে এই নীতি এত সহজে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তাই চেয়ে নেওয়া হয়েছে সময়। একজন নিরপেক্ষ শিক্ষাব্রতী হিসেবে দেখলে চমৎকার এক অভীষ্ট কিন্তু বাস্তবে এর মধ্যে জড়িয়ে আছে কিছু সমস্যা যা আমরা পরের কিস্তিতে আলোচনা করব।
সংগে আছি।