এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • জিড্ডু কৃষ্ণমূর্তি

    ইমরান কাজি
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ জুলাই ২০০৭ | ৬১২ বার পঠিত
  • জানিনা জিড্ডু কৃষ্ণমূর্তি (জে কে) কে নিয়ে এখানে কোনো আগ্রহ আছে কিনা। অনেকেই পড়েছেন হয়তো, কেউ কেউ পড়েননি। যাঁরা পড়েছেন তাদের প্রাসঙ্গিক লেগেছে কিনা, কিভাবে দেখেন তাঁরা জে কে . র দর্শন আমার তা জানার ইচ্ছে প্রবল। কারন, জেকে আমাকে যেরকম প্রভাবিত করেছে আর কোনো ব্যক্তিই বোধহয় ততোটা করেনি। কেমন করে করেছে বা কেন করেছে সেসব বলার আগে, ছোটো করে জে কে র জীবন।

    জে কে . র জন্ম ১৮৯৫ সালে অন্ধ্র প্রদেশের মদনেপল্লির এক গোঁড়া ব্রাহ্মন পরিবারে। বাবা সরকারী পাতি কেরানী, ১১ সন্তানের মধ্যে ৬ জন বেঁচে থাকে। ছোটোবেলায় জে কে . বোকা, উদাসীন এক্‌জন বালক বলে পরিচিত, যে স্কুলে পড়া পারতনা, তার জন্য মারও খেতো। জে কে . র বাবা ব্রাহ্মন হয়েও থিওসফিকাল সোসাইটির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার সুত্রে কেরানীর চাকরি থেকে রিটায়ার করর পর থি . সো তে চাকরি নিয়ে মাদ্রাজের আদিয়ার বলে জায়গায় যান। তখন থি . সো-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন অ্যানী বেসান্ত আর লীডবীটার বলে আরেক ওকাল্টিস্ট ওখানে উপস্থিত।

    তো, আদিয়ারের সমুদ্রতীরে বাচ্চা জে . কে কে দেখে লীডবীটার মনে হয় এর মধ্যে ক্রাইস্ট এর পুনরাবির্ভাবের এর বাহক বা মৈত্রেয় হবার পূর্ণ সম্ভাবনা আছে। তারপর জে কে . র লেখাপড়ার ভার থি . সো নিয়ে নেয়, কয়েক বছর পর রীতিমতো ইংল্যান্ডে গিয়ে গ্রুমিং হয়। ১৯১১ সালে Order of the Star নামে থি . সো তত্বাবধানে একটা অর্গানাইজেশন তৈরি হয়, যেটা ঐ মৈত্রেয় বা World Teacher এর আগমনের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করছিলো। সে এক এলাহি কেস। ১৯২০র আশপাশের সময় থেকে ওনার ঐ Order of the Star এর বাৎসরিক ক্যাম্পে বক্তৃতা দেওয়া শুরু।

    আর ১৯২৯ এ এসে শেষ। ততদিনে ভক্ত/আ বা শিষ্য/আ সংখ্যা লাখের উপর। এই এতো লোকের আশা-উদ্দিপনার মূলকেন্দ্রে থাকাকালীন হলান্ডে Order of the Star এর ক্যাম্পে একদিন ঘোষণা করলেন তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পুর্ণ ভেঙ্গে দিতে চান, আর এরকম কোনো প্রতিষ্ঠান বা বিশ্বত্রাতার গল্পের মধ্যে থাকতে চাননা। আর এখান থেকেই জে কে . র জে কে . হয়ে ওঠ যেরকমটা আমরা চিনি।

    তারপর, বাকিজীবন একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে মানুষজনের সাথে কথা বলা, এবং আক্ষরিক অর্থে কপর্দকশূন্য অবস্থায়। ওনার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা যেখানে যেতেন সেখানকার বন্ধুরা করতো। নিজের বোধহয় ২-৩ টে জামা ছিল, আর মাঝে মাঝে চেনাজানাদের কাছ থেকে নিয়ে crime-thriller পড়তেন।

    সে যাকগে, এবার দেখা যাক কি বলেছিলেন জে কে . ।

    অন্য যেকোনো সৎউচ্চারনের মতো জে . কের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট। প্রধানত মানবজাতির সঙ্কট, যুদ্ধ, দ্বেষ, ভালোবাসা ইত্যাদি ক্লিশে(?!) হয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে ওনার বক্তব্য। প্রথাগত কোনো পাঠগ্রহনের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য ওনার হয়নি বলে, ওনার সমস্যার মূলে পৌছানোর বা বিশ্লেষণ করার পদ্ধতিগুলো চর্চাদীর্ণ শব্দমালার ঝুটোমুক্তো নয়। জে কে . র ভাষা (কথা বা লেখা, দুটো ই এক) যেকোনোরকম প্যাঁচালমুক্ত, সহজ, কিন্তু যুক্তি ছাড়া একবিন্দু এগোনো যাবেনা সেটা প্রতিমুহুর্তে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। আর জে . কে অনুরোধ করেন সেই নির্ভার যুক্তিমালাকে গ্রহন/বর্জন করতে, সম্পুর্ণ( actually ) ভাবে, শুধুমাত্র বুদ্ধিগ্রাহ্যরূপে( intellectually ) নয়। জে কে . মানুষের সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন মানুষের মধ্যে। আমরা যা দেখি, বুঝি, পড়ি, শুনি, বলি তার পিছনে প্রধান ভূমিকা আমাদের মনের। তাই, জে কে . র বিশ্লেষণের সুচনাবিন্দু হিসেবে থাকে মন। কিন্তু, মনোবিজ্ঞানের মতো সমস্যার কোনো সাময়িক সমাধান দেওয়া হয়না এক্ষেত্রে। তার বদলে কিরকম বলা হয়, সেটা পরে দেখে নেবো। মোটকথা, জে কে . র বক্তব্য যে প্রশ্নগুলো তোলে সেগুলো মনোবিজ্ঞানের সাথে জড়িত আর তার সাথে ফিজিক্সের সাথেও জড়িত। কথাটা কেমন বোকার মতো শোনালো, কারন এই বিজ্ঞানের খুপরিগুলো একটা লেভেল এর পর সব মিলেমিশে যায় ........ সে যাক, তারপর যা বলছিলাম, জে কে . র সাথে কথা বলেছেন যারা, তাদের মধ্যে সাধারন মানুষ তো আছেনই, বিখ্যাত মানুষদের মধ্যে Aldous Huxle , David Bohm (ইনি বিখ্যাত কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট, আইন্‌স্‌টাইনের সহকারী, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যরকম মতের প্রবক্তা যেটা তখন লোকে তেমন পাত্তা দেয়নি, আর সেই সূত্রেই জে কে . র সাথে যোগাযোগ) , Jonas salk (বিখ্যাত ভাইরোলোজিস্ট, পোলিও ভ্যাকসিনের আবিষ্কর্তা, Salk Institute for Biological Studies এর স্থপতি), এ ছাড়াও প্রচুর বিভিন্ন পেশার কৃতি মানুষজন আছেন।

    এর পরের কাজ, আমার পক্ষে সহজ, জে কে . র বক্তব্যর কপি-পেস্ট, কারন জে কে . র টীকাকার লাগেনা, বোঝার হলে বুঝবেন, না হলে নয়, হাত ধরে ঝোলাঝুলি করতে হবে না। তাহলে প্রথমে দেখা যাক, সেদিন কী বলে উনি Order of the Star এর জমায়েতে অতো লোকের মধ্যে দুম করে সব ভেঙ্গে বেরিয়ে এলেন, অ্যানী বেসান্ত(ছেলের মতো ভালোবাসতেন ওনাকে) ওতো দু:খ পেলেও নিজের পথ থেকে সরলেন না। আমি কিছুটা উঠিয়ে দিচ্ছি:
    " .....I maintain that Truth is a pathless land, and you cannot approach it by any path whatsoever, by any religion, by any sect. That is my point of view, and I adhere to that absolutely and unconditionally. Truth, being limitless, unconditioned, unapproachable by any path whatsoever, cannot be organised; nor should any organisation be formed to lead or coerce people along any particular path. If you first understand that, then you will see how impossible it is to organise a belief. A belief is purely an individual matter, and you cannot and must not organise it. If you do, it becomes dead, crystallised; it becomes a creed, a sect, a religion, to be imposed on others.
    ..... This is no magnificent deed, because I do not want followers, and I mean this. The moment you follow someone you cease to follow Truth. I am not concerned whether you pay attention to what I say or not. I want to do a certain thing in the world and I am going to do it with unwavering concentration. I am concerning myself with only one essential thing: to set man free. I desire to free him from all cages, from all fears, and not to found religions, new sects, nor to establish new theories and new philosophies. Then you will naturally ask me why I go the world over, continually speaking. I will tell you for what reason I do this; not because I desire a following, not because I desire a special group of special disciples. (How men love to be different from their fellow-men, however ridiculous, absurd and trivial their distinctions, may be! I do not want to encourage that absurdity.) I have no disciples, no apostles, either on earth or in the realm of spirituality.
    ......For eighteen years you have been preparing for this event, for the Coming of the World Teacher. For eighteen years you have organised, you have looked for someone who would give a new delight to your hearts and minds, who would transform your whole life, who would give you a new understanding; for someone who would raise you to a new plane of life, who would give you new encouragement, who would set you free - and now look what is happening! Consider, reason with yourselves, and discover in what way that belief has made you different - not with the superficial difference of the wearing of a badge, which is trivial, absurd. In what manner has such a belief swept away all unessential things of life?.... No man from outside can make you free; nor can organised worship, nor the immolation of yourselves for a cause, make you free; nor can forming yourselves into an organisation, nor throwing yourselves into work, make you free. You use a typewriter to write letters, but you do not put it on an alter and worship it. But that is what you are doing when organisations become your chief concern. .....'

    যারা পুরোটা পড়তে ইচ্ছুক: http://www.kinfonet.org/Biography/dissolution.asp

    আমার জে কে . কে খুঁজে পওয়া আকস্মিক ভাবে, অ্যাক্সিডেন্টালি। বইমেলায় স্টলে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম Ending of Time: Dialogue between J. Krishnamurti & David Bohm । Bohm কে অল্প চিনতাম, তার সাথে এক ভারতীয় দাদু সময় থেমে যাওয়া নিয়ে কি বলেছেন, ভাবলাম spirituallity কম relativity বেশি হবে, তাই কিনে ফেললাম ( spirituallity কে বড়ো ডরাই)। তখোনো আমার আগ্রহ Bohm কে ঘিরে, জে কে . কে চিনিইনা। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম, এই প্রথম দর্শনের কোনো বক্তব্য আমি এতো কম প্রতিরোধ ছাড়া গ্রহন করতে পারছি, আর এই প্রথম মানুষের সমস্যা ব্যাখ্যা এইভাবে পাচ্ছি। জে কে . এখানে মূল বক্তা বোহম শ্রোতা। আরো অনেকে শ্রোতা ছিলেন, মাঝে মাঝে কেউ প্রশ্ন করছেন, সবাই মিলে উত্তর দিতে চেষ্টা করছেন, ব্যাপারটা এরকম। তবে বইয়ের শেষে গিয়ে আমার প্রায় খেই হারিয়ে যায়, common ground বা mutation of mind জাতীয় ব্যাপারস্যাপার ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। তাই আমার মনে হয় জে কে . শুরু করার জন্য এই বইটা ঠিক উপযোগী না।

    আচ্ছা, জে কে . প্রথম বক্তব্য কপি-পেস্ট করা হয়ে গেছে, এবার বাকি দুটা দেখা যাক। মাত্র দুটো ই বাকি কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, এ আমার মনে হওয়া, পরে আরো মনে পড়লে লিখবো। আসলে বাকি দুটো বক্তব্য আমার মতে জে কে . র সমগ্র চিন্তার সারাৎসার। অবশ্য এ দুটো-ও একটা আরেকটার সাথে জড়িত।

    প্রথম) Time is the enemy । একলাইনে শেষ। যারা আজকাল প্রবল ব্যস্ত এক্ষুনি বলে উঠবেন হক কথা বলেছেন। না জে কে . ক্রোনোলজিকাল টাইম এর কথা বলেননি। যে সময় দিয়ে আজ আর কালকের দিনের তফাৎ করি, না করি না, তফাৎ আছে সেটা ক্রোনোলজিকাল টাইম। আরেকরকম আছে, স্কুলের হাফপ্যান্টু ছেড়ে কলেজে উঠে বিড়ি ফোঁকার মধ্যে এই অনুভব : কত্তো বড়ো হয়ে গেলাম, এটা সাইকোলজিকাল টাইম (বাকি আর যা যা হয়ে ওঠা, হওয়ার ইচ্ছেকে বড়ো করে তোলা আছে, এর সাথে মিলিয়ে নিন)। জে কে . ঐ সাইকোলজিকাল টাইমের কথা বলেছেন। ওনার বক্তব্য : আমদের বেঁচে থাকা, চাওয়া পাওয়া, আশা আকাঙ্খা সব অতীত নির্ভর। আমরা আসলে বর্তমানে বাঁচি না, আমাদের কন্ডিশনিং, প্যাটার্ন মেনে চলা আমাদের সামনের ঘটমান বর্তমানকে দেখতে বাধ্য করে পুর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। তাই আমরা অতীতে বাঁচি। আর এই অতীত আর বর্তমানে ভাগাভাগিটা আমরা করি আমাদের হয়ে ওঠার ( becoming ) নীরিখে। এই কিছু হয়ে ওঠাটা অসলে কোনোদিনই সম্ভব হয়্‌না, পরিবর্তন যদি আসে তা তৎক্ষনাৎ। gradual changing আসলে ভাঁওতা। তাই, চিন্তাপদ্ধতি বোঝো আর সময়ের জাল ছিঁড়ে বলো আমার কিছু হয়ে ওঠার নেই, কারন হয়ে ওঠা বলে কিছু হয় না, সেটা আমি জেনে গেছি।

    বিজ্ঞাপন বিরতির মাঝে হাক্সলি কি বলিলেন জে কে . সম্বন্ধে :

    ....From prayer we pass to yoga, and yoga, we find, is another of the things which Krishnamurti does not offer. For yoga is concentration, and concentration is exclusion. "You build a wall of resistance by concentration on a thought which you have chosen, and you try to ward off all the others." What is commonly called meditation is merely "the cultivation of resistance, of exclusive concentration on an idea of our choice". But what makes you choose? "What makes you say this is good, true, noble, and the rest is not? Obviously the choice is based on pleasure, reward or achievement; or it is merely a reaction of one?s conditioning or tradition. Why do you choose at all? Why not examine every thought? When you are interested in the many, why choose one? Why not examine every interest? Instead of creating resistance, why not go into each interest as it arises, and not merely concentrate on one idea, one interest? After all, you are made up of many interests, you have many masks, consciously and unconsciously. Why choose one and discard all the others, in combating which you spend all your energies, thereby creating resistance, conflict and friction. Whereas if you consider every thought as it arises?every thought, not just a few thoughts?then there is no exclusion. But it is an arduous thing to examine every thought. Because, as you are looking at one thought, another slips in. But if you are aware without domination or justification, you will see that, by merely looking at that thought, no other thought intrudes. It is only when you condemn, compare, approximate, that other thoughts enter in. ........ '

    দ্বিতীয়) Observer is the Observed । একলাইনে শেষ। ধরা যাক একটা গাছ দেখছেন। এবারে কূট প্রশ্ন : আসলে কি আপনি ঐ গাছটাই দেখছেন? ভাবলেন শুরু হয়ে গেলো দার্শনিকসুলভ অনর্থক ভাট। শ্বশুর- ভাশুর জাতীয় ঝামেলায় না গিয়ে উত্তর : গাছ দেখছি বটে, কিন্তু মনে আছে ঘরের পাশে তেঁতুল গাছটা, অনেকটা তার মতো দেখতে লাগছে, তাই হয়তো ভালো লাগছে। আবার গাছ শব্দটা উচ্চারন করলে কেমন পালং শাকের কথা মনে পড়ে ইত্যাদি/প্রভৃতি লে হালুয়া।
    এটা একটু বেশি মাজাকি হয়ে গেলো, তাই পরবর্তী প্রশ্ন বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড, প্রেমিক/প্রেমিকা এইরকম গোছের। এবার প্রশ্ন : আপনি কি আপনার বয়ফ্রেন্ড(বাকিগুলো ইমপ্লায়েড) যার নাম xyz তাকেই দেখছেন? এবার কি প্রশ্নটা তেমন ভাট মনে হলো নাকি শরীর বেয়ে কেমন শিরশিরানি বোধ করলেন? আমরা কোনো সম্পর্ক বাঁধা হয়ে যাওয়ার আগে বা পরে আসলে কাকে দেখি? আমরা কি আমাদের স্মৃতি থেকে একটা মূর্তি গড়ে নিই না, আর প্রতিবার চেষ্টা করে যাই ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া মানুষের গায়ে আমার ঐ এক মূর্তি, এক প্যাটার্ন্টাকে সেঁটে দিতে। আমরা ভালোবাসি ছক মিলিয়ে, আমাদের বর্তমানের মধ্যে এসে পড়ে আমাদের স্মৃতির ভার। তাই আমরা বুঝিনা আমাদের দৃশ্যপট গড়ে ওঠে দ্রষ্টাকে নিয়েই, আমরা ভাবি আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া কীর্তি আমরা শুধু দেখে যাই, আসলে আমরাই ঐ ঘটনার অংশ, আমাদের বাদ দিয়ে কিছু হয়না। জে কে . র বক্তব্য যেদিন আমরা এই Observer আর Observed এর conflict থেকে মুক্ত হতে পারবো, সেদিন আরো স্পষ্ট করে দেখতে পারবো জগৎটাকে।

    বাকী কথা:

    জে . কে র জীবনের একটা অপরিচিত বা কিছুটা কুখ্যাত অধ্যায় নিয়ে কিছু কথা। ১৯৯১ সালে Lives in the shadow of j.Krishnamurti নামে একটা বই বেরিয়েছিল। লেখিকা রাধা রাজাগোপাল রস। জে . কের সহকারী ও সেক্রেটারি রাজাগোপাল রস ও রোজালিন্ড রস এর কন্যা। তা, এই রোজালিন্ডের সাথে জে . কের বেশ কয়েকবছরের অ্যাফায়ের ছিল, এমনকি কয়েকবার রোজালিন্ড কে অ্যাবর্ট করতেও হয়। জে . কের জীবদ্দশায় এ নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। জে . কের জীবনীকার ম্যারী লুট্যিয়েন্স এটাকে মিথ্যা প্রমান করার চেষ্টা করলেও ঘটনাটা যে সত্যি তার অনেক প্রমান অনেকে দিয়েছেন।

    ও আরেকটা জিনিস বাকি, একটা ওয়েবসাইট আছে যেখানে অরবিন্দ,বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে জেন সব কিছু মধ্যে যৌন কেচ্ছা আবিষ্কার করা হয়েছে, তবে কোরান দিয়ে বিবর্তন ব্যাখ্যা বা আইনস্টাইন তত্ত্ব ভুল প্রমান এর সাইটের মতই এর যুক্তি/তথ্য কোকখেকো আমেরিকান। সেখানে জে . কে ও স্থান পেয়েছেন।

    যার যেটা ইচ্ছে দেখুক/পড়ুক/না দেখুক/না পড়ুক। সাইটটা হল
    http://www.strippingthegurus.com/

    জুলাই ১৫, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ জুলাই ২০০৭ | ৬১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন