এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নাকের বদলে নরুন: আর্য্যামি বনাম দ্রাবিড়ামি

    Samir Karmakar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩০৮ বার পঠিত
  • ইংরেজিতে ২০২৪, আর বাংলায় ১৪৩১, বছরটি বাঙালির বড় গর্বের। বড় গৌরবের। বাঙালির যে ভাষায় সুখ দুঃখ, ক্ষোভ বিক্ষোভ, হাসি কান্না এতদিন ধরে প্রকাশ পেয়ে এসেছে – সেই ভাষা কারুর কারুর অক্লান্ত পরিশ্রমে আর সরকারের সদিচ্ছায় ধ্রুপদী হয়ে গেছে। ধ্রুপদী শব্দের উৎপত্তি ধ্রুবপদ থেকে। ধ্রুবপদ সংক্রান্ত বা সম্বন্ধী তাই ধ্রুবপদী – যা থেকে ধ্রুপদী। ধ্রুব শব্দের মানে চিরকালীন – যা নিত্য এবং সনাতন। অর্থাৎ, যাস্ক বর্ণিত এবং বার্ষায়নী প্রস্তাবিত ভাববিকার যাকে স্পর্শ করতে পারে না। এই রকম একটা ভাববিকার-রহিত বিষয়ের প্রস্তাবনা ও প্রণয়ন ভারতীয় জ্ঞানতত্ত্বের সনাতনী রূপরেখা তৈরিতে বহুকাল ধরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে - দেশের ও দশের কল্যাণের জন্য। সরকারি কৈফিয়তের বয়ানটি অন্তত সেই রকম কথাই বলছে: “The designation of a language as classical is intended to recognize its historical significance and its role as a guardian of Bharat’s rich cultural and intellectual heritage. These languages have been essential in preserving and transmitting India's ancient knowledge systems, philosophies, and values across generations for thousands of years. By recognizing these languages as classical, the government acknowledges their deep-rooted antiquity, vast literary traditions, and their invaluable contribution to the cultural fabric of the nation. This recognition highlights the significant cultural and linguistic contributions these languages have made to India’s heritage. It will not only elevate their stature but will also facilitate efforts toward the promotion, preservation, and further research of these languages, ensuring their continued relevance in the modern world.” 

    ২০০৪-এর দপ্তরী বয়ানটিতে ধ্রুপদীয়ানা নির্ধারণের জন্যে তিনটি প্রমাণের কথা বলা হয়েছিল: (১) ভাষাটিতে হাজার বছরেরও পুরনো লিপিবদ্ধ ইতিহাস / প্রাচীন পুঁথি থাকতে হবে; (২) প্রাচীন সাহিত্য বা পুঁথি থাকতে হবে – যা সেই ভাষা ব্যবহারকারী মূল্যবান ঐতিহ্য বলে মনে করেন; এবং, (৩) সাহিত্যিক ঐতিহ্যটিকে মৌলিক হতে হবে – যে কোনো ধরনের মিশ্রণ বা ঋণ রহিত হতে হবে। এই সব প্রমাণ দিতে পারায় দক্ষিণে তামিলের কপালে ধ্রুপদীয়ানার জয়তিলক জোটে। তামিল দ্রাবিড়ীয় গোত্রভুক্ত। 

    এক বছর পরেই ২০০৫-এ চতুর্থ একটা প্রমাণের কথা জোড়া হল: (৪) ধ্রুপদী ভাষা ও সাহিত্য আধুনিক ভাষাগুলির থেকে আলাদা হওয়ায়, “ধ্রুপদী”র সাথে ‘আধুনিক” অসন্ততি (discontinuity) সম্পর্কে থাকতে পারে। সেই সঙ্গে প্রাচীনতার পুনর্বিবেচনা হিসেবে বলে দেওয়া হল লিপিবদ্ধ পুঁথি বা ইতিহাস যেন দেড় থেকে দুই বছরের পুরনো হয়। ২০০৫-এ সংস্কৃত ধ্রুপদী হল ভারতীয়-আর্য্যর প্রতিনিধিত্ব করতে। ২০০৮-এ তেলেগু, কন্নড়; ২০১৩-তে একা মালয়ালম; ২০১৪-য় ওড়িয়া। দ্রাবিড়ের চার বনাম ভারতীয় আর্যর দুই। তারপর, লম্বা বিরতি (কিংবা, খেলা)! ২০২৪-এ কিছু সংশোধনী যুক্ত করা হল; তিন নম্বরের বক্তব্য সংশোধন করে বলা হল: জ্ঞানের পাঠ, বিশেষ করে কাব্যের এবং বিভিন্ন ধরনের প্রত্নলেখ, শিলালিপির পাশাপাশি গদ্যরূপও প্রমাণ বলে বিবেচিত হবে। এছাড়াও আরো কিছু পরিমার্জন আছে – যার আলোচনা এই লেখায় আপাতত মুলতবী থাকলে বিশেষ অসুবিধে হবে না। আগ্রহীরা অন্তর্জালে, ভারত সরকারের সংস্কৃতি দপ্তরের অধীন পত্র সূচনা কার্যালয়ের চব্বিশে অক্টোবর দুইহাজার চব্বিশের “Status of Classical Language: An Explainer” শীর্ষক নথিটি পড়ে নিতে পারেন। এইবারের সাম্প্রতিকতম সংযোজন – পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া, বাংলা আর মারাঠি। দ্রাবিড়ীয় বনাম ভারতীয় আর্যর সমীকরণ চার-দুই থেকে বদলে এক ধাক্কায় চার-সাত হয়ে গেল। বাকিরা এন্ট্রিই নিতে পারেনি; তাই, দর্শকাসনে। 

    বাংলার বাংলা হয়ে ওঠার পেছনে নির্দিষ্ট কোন এক গোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল – এমনটা নয় বলেই গবেষকদের ধারণা। বিভিন্ন সময় পর্বে বিভিন্ন ভাবে আরো অনেক ভাষার উপাদান মিশে গেছে বাংলার শরীরে। বাংলা তাই কেবল আর কথোপকথনের মাধ্যম নয়। বাংলা হয়ে উঠেছে একটি জাতির একটি দেশের জাদুঘর – যেখানে রক্ষিত আছে সহস্রাধিক বছরের অভিজ্ঞান। এই সমস্ত পর্যায় জুড়েই যে বাংলার একই রূপ ছিল তা নয়। সময়ের সাথে সাথে বাংলা ভাষার রূপও বদলেছে। কিছু কিছু সময়পর্বের বাংলার রূপ এতটাই আলাদা যে পাঠোদ্ধারে আজকের বাঙালিকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। উদাহরণ হিসেবে চর্যাগীতির পদগুলির কথায় ধরা যেতে পারে। সাহিত্যিক এবং ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে চর্যাগীতির পদগুলো যতটা গুরুত্বপূর্ণ, আজকের বাংলায় বার্তালাপ চালানোর ক্ষেত্রে ততটাই অনুপযোগী। ফলত, পদগুলোর সাহিত্যিক এবং ভাষাতাত্ত্বিক মূল্যায়নে হাতে গোনা কতিপয় বিদ্যানুরাগীর আগ্রহ দেখা গেলেও ব্যবহারিক জগতে চর্যাগীতির বাংলা যে ব্যবহারের অযোগ্য সে নিয়ে বোধ হয় কোন বাঙালিই দ্বিমত পোষণ করবেন না। শ্রেণীকক্ষ আর জাদুঘরের চৌকাঠ টপকে সেই সকল বাংলার রূপগুলির যাপনের জগতে হয়তো বা কেবলই আবেগ আর অহমিকার পুঁজি হয়েই রয়ে যাবে। এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে অন্ধ জাত্যাভিমানের তুষে আগুনও হয়ে উঠতে পারে।

    ধ্রুপদী তকমা পেতে “মৌলিক“তার যে গ্যাঁড়াকলটির কথা বলা হয়েছে – সেটিও কম সমস্যার নয়। ভাষার মৌলিক অবিকৃত বিশুদ্ধ রূপ সংক্রান্ত এক প্রসঙ্গে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় “বাঙলা ভাষার কুলজী”তে লিখেছিলেন, “আর্য্যভাষা দ্রাবিড়ের ও অন্য অন্-আর্য্যের মুখে ব’দলেই প্রাকৃত; আর অর্বাচীন সংস্কৃতে আর প্রাকৃতে ধ্বনিগত পার্থক্য থাকলেও উভয় ভাষা একই জাতির চিন্তার ফল। একথা তাদের বাক্যরীতির সাম্যে দেখা যায়।” শুধুই কি প্রাকৃত, মারাঠির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মাধব দেশপাণ্ডে তাঁর Nation and Region: A Sociolinguistic Perspective on Maharastra  শীর্ষক প্রবন্ধে বলছেন, “... people belonging to different racial stocks and different language families arrived in India from different places at different times, and through their historical contacts, conflicts and compromises was built the unity and diversity of India as we know today”। ভাষা সংযোগ ও সরণের প্রসঙ্গে, সুনীতিবাবু বা সুকুমার বাবুর অনুসারী হয়ে যদি বলি প্রাচীন ভারতীয় আর্য্য থেকে উদ্ভূত তদ্ভব শব্দাবলী ও অন্-আর্য্য ঢঙের বাক্য রচনা প্রতীত্যসমুৎপাদের বক্তব্যকে লঙ্ঘন করে নয়, তাহলে মৌলিকত্বের সরকারি বয়ান কতোটা বাস্তবসম্মত?

    ধ্রুপদী ব্যাপারটা প্রমাণ সাপেক্ষ। তার একটা দাবিদার লাগে। প্রামাণ্য বিষয় আশয় খুঁজে পেতে হয় দাবীটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। তাই, লিপি হল দ্বিতীয় গ্যাঁড়াকল। শুধু লিপিবদ্ধ হলেই হবে না। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যার ধরনটিও জরুরি। আজ থেকে দেড় দুই হাজার বছর পূর্বের নথি প্রামাণ্য বলে বিবেচিত হবে তখনই যখন তা লিপি-বদ্ধ। উদাহরণ স্বরূপ, সুকুমার সেনের “বাঙালীর প্রাক্ ও প্রত্ন ইতিহাস” শীর্ষক লেখায় ঋক বেদ সংহিতার অষ্টম মণ্ডলের শেষের দিকের একটি প্রকীর্ণ সুক্তের চতুর্দশ ঋকের প্রসঙ্গে ঐতরেয় আরণ্যকের ব্যাখ্যার উল্লেখ ও ব্যবহার লক্ষণীয়। কিংবা, প্রতীহার রাজবংশের রাজা মিহির ভোজের আনুমানিক নবম শতকের সাগরতাল শিলালিপি বা চোল বংশের রাজা প্রথম রাজেন্দ্রর আনুমানিক দশম বা একাদশ শতকের তিরুমলয় লিপি, অথবা একাদশ শতকের তাঞ্জৌরে প্রাপ্ত লিপিগুলিতে বঙ্গদেশ নিবাসী বাঙালিদের যে উল্লেখ পাওয়া যায় – তার নিরিখে বঙ্গের পুরাতনী চরিত্রটিকে তুলে ধরা যেতে পারে। আরো পুরোনো নথিতে বাংলার উল্লেখ পাওয়ার নিদর্শন আছে। যেমন, আনুমানিক তৃতীয় শতাব্দীর চৈনিক পুঁথি wei-lueh গঙ্গাবর্ত (xan-gywat) রূপে বঙ্গের (pan-yueh) উল্লেখ করেছে। তবে সকল ক্ষেত্রেই কি “বাংলা ভাষা” হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে? নাকি, অঞ্চল হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে? অঞ্চল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকলে বাংলা কোন বিশেষ ভাষাগোষ্ঠীর যেমন নয় ঠিক তেমনই কোন একটি নৃগোষ্ঠীর দ্বারা অধিকৃত দেশ নয় – এমনটাই বুঝতে হবে। জন অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে তার প্রাচীনতা অবশ্যই প্রশ্নাতীত। 

    প্রাক্/প্রত্নের তাত্ত্বিক ও যৌক্তিক চিত্রায়ন পাঠ সাপেক্ষ বিষয়। আরো একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট করে বুঝতে সুবিধা হবে। ঐতিহাসিক ভাষাতত্ত্বের তুলনামূলক পদ্ধতির অনুযায়ী শব্দের অনুশীলন করে অধ্যাপক সেন তৈরি করতে চেয়েছিলেন এমন একটা সরণী যা আজকের বাংলাকে জুড়বে সুদূর অতীতের কোন এক প্রাক্ ও প্রত্ন রূপের সাথে। বাংলার ধ্রুপদীয়ানা এই নির্মাণ ও নির্মিতিকে অতিক্রম করে নয়। ফলত তা পদ্ধতি সাপেক্ষ। এই রকম এক পদ্ধতির রূপরেখা দিতে গিয়ে অধ্যাপক সেন লিখছেন, “যদি এই কথা প্রমাণ করা যায় যে, এই প্রাকৃত-সংস্কৃতের ভিতর অস্ট্রিক ভাষার শব্দ ও পদরচনারীতির প্রভাব আছে (হয় তাহা নিছক অস্ট্রিকরূপে, অথবা সংস্কৃতকরণের ছদ্মবেশে) তাহা হইলে বুঝিতে হইবে আর্য্যভাষাভাষী লোকদের আদিমতর স্তরে অস্ট্রিকভাষাভাষী লোকের বাস ছিল এবং এ তথ্যও ধরা পড়িবে যে, অস্ট্রিকভাষী লোকের যে বিস্তৃতি আমরা আগে দেখিয়েছি তাহাপেক্ষাও তাহাদের বিস্তৃতি আরও ব্যাপক আরও গভীর ছিল। ঠিক এই তথ্যটাই সুপ্রমাণিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করিতে প্রয়াস করিয়াছেন পশিলুস্কি-ব্লক-লেভী-বাগচী-স্টেন কোনো-চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি পণ্ডিতেরা”। বলে রাখা ভালো অস্ট্রিক বা ভোট-বর্মি বংশজাত কোন ভাষার আপাতত ধ্রুপদী বা সনাতনীর সম্মান প্রাপ্তি প্রায় অসম্ভব যদি না চাপে পড়ে সরকার শর্ত বদলায়। মৌলিকতার পাশাপাশি লিপি সত্যিই একটা বড় সমস্যা।

    সরকারি কৈফিয়ত অনুযায়ী, কোন একটি ভাষার ক্ষেত্রে ধ্রুপদীয়ানা হলো প্রাচীন সাহিত্য ও ভারতীয় কৃষ্টির (বি)নির্মাণে সেই ভাষাটির অবদানের স্বীকৃতি। অন্য ভাবে বললে, এক প্রাচীন সনাতনী ভারতকে আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক করে তোলার লক্ষ্যে দলীয় ভাবে উদ্বুদ্ধ সরকারি প্রয়াস। ধ্রুপদীর ধোপদুরস্ত সরকারি কেতার বাইরে ভিড় করে কথারা বয়ে চলে –  “আর্য্যামি” বা “দ্রাবিড়ামি”র তোয়াক্কা না করেই। সবুজ পত্রের সুনীতিবাবুর বক্তব্যকে একটু নিজের মতো করে বললে: আর্য্যামি, দ্রাবিড়ামি, বা আরো অন্য কোন এক “আমি”র চক্করে “পারিপার্শ্বিকের জ্ঞান হারালে, কি ভাষাতত্ত্ব, কি ইতিহাস, সমস্তরই আলোচনা অসম্পূর্ণ হবে – সত্য নির্ধারণের প্রধান এক পথ রুদ্ধ হ'য়ে যাবে”।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন