এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • যে প্রশ্ন ডিলিট হবে না

    ধীমান মন্ডল লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ মে ২০২০ | ২০৯৭ বার পঠিত
  • সমগ্র পৃথিবীতে এই পাঁচ মাস ধরে সবচেয়ে বেশী মানুষের মুখে সবচেয়ে বেশীবার উচ্চারিত শব্দটি "করোনা"। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় সাম্রাজ্য জয়ের তিলক কোন শব্দের কপালে সাঁটা হয়নি। কোন শব্দ হিন্দু- মুসলমান -বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান -ইহুদী সবার ঘরে এত স্বচ্ছন্দে বসত গড়তে পারেনি। সাদা-কালো-মোটা- পাতলা-বেঁটে-লম্বা সবার মনেই জায়গা আদায় করে নিল অনায়াসে। শ্রমিক-পুঁজিপতি-চাকুরীজীবী ব‍্যবসায়ী-দলিত-সুবিধাভোগী,শোষক-শোষিত সবাই একটি শব্দের কাছেই জব্দ হয়ে গেল। একজন ধনী অন‍্যকে ছুঁতে ভয় পাচ্ছে ,একজন তথাকথিত উচ্চ বর্ণের মানুষ অন‍্যকে ছুঁতে চাইছে না, একজন মুলনিবাসীও ছুঁতে ভয় পাচ্ছে,একজন দরিদ্রও ছুঁতে চাইছে না। এ "ভয়ঙ্কর সাম‍্যবাদ" একমাত্র করোনাই প্রতিষ্ঠা করেছে।সব ভাষার, সব রঙের, সব জাতির, সব ধর্মের মানুষের মুখে-মুখে ঘুরছে একটিই শব্দ "করোনা"। রাস্তা-ঘাট,গ্রাম-শহর,বাড়ির আলোচনা -সোস‍্যাল মিডিয়া সব 'করোনা'ময়।
    প্রকৃতি এর আগেও বিপর্যয়,অতিমারি, মহামারি কতকিছু ঘটিয়েছে, ঘটিয়ে চলেছে অহরহ,ভবিষ‍্যতেও ঘটাবে। কিন্তু করোনার মতো চোখে আঙুল দিয়ে আর কে দেখিয়ে দিয়েছে এতকিছু। করোনাই বুঝিয়ে দিল বাপেরও বাপ আছে,দাদারও দাদা থাকে। করোনা দেখিয়ে দিল পৃথিবীর উপর অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ছড়ি ঘোরানো দাদাও কিভাবে লেজে গোবরে হতে পারে, একসময় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেশ শোষণকারী দেশও কিভাবে মুষড়ে পড়তে পারে। দেখিয়ে দিল কি করে পৃথিবীশুদ্ধ মানুষকে ঘাড় ধরে ঘরে বন্দি করে দেওয়া যায়। করোনা না এলে আমরা কি জানতাম আমাদের হাতে এত সময় আছে যা খরচ করতেই পারছি না! আমরা কি বুঝতাম 'হাড়ভাঙা বিশ্রামে'র কি মর্ম! করোনাই বুঝিয়ে দিল কেউ-কেউ নয় আমরা সকলেই কবি, লেখক, গীতিকার,গায়ক,আবৃত্তিকার।আমাদের ম‍ধ‍্যেই ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলাম প্রতিভার নানা খুঁটিনাটি, ভালো লাগা অভ‍্যাসদের। আমাদের মধ‍্যে এত সর্বোজ্ঞ-বিশেষজ্ঞও ছিল। মাঝে পড়ে কিছু অজ্ঞরা বুঝতেই পারছি না কে যে ঠিক কে ঠিক নয়। ধূমপান করা করোনার জন‍্য ভালো শুনে তো ভোম্বল বিড়ি এখন মুড়ির মত চিবিয়ে খাচ্ছে। একজন বলছে মাস্ক সবার না পরলেও চলবে আবার আর একজন বলছে মাস্ক পরা বাধ‍্যতামুলক। W H O বলছে করোনা বিশ্ব মহামারি আবার Indian Helth Ministry বলেছে করোনা ভারতের জন‍্য অতোটা বিপদজনক নয়। কোনটা মানবো আর কোনটা মানবোনা, কোনটা করব আর কোনটা করব না সত‍্যিই ঠিক করা বড় সমস‍্যা।
    চরম সংকটের সময়ে মানুষের নিকৃষ্টতম এবং উৎকৃষ্টতম দুটি দিকই খুব ভালো করে টের পাওয়া যায়। পেলামও। দেখলাম অনেক কিছু,দেখার বাকি আছে আরও অনেক কিছু।দেখলাম কালিদাসের বসে থাকা ডালটিকে কাটার মহান বুদ্ধিটাকে আমাদের মগজের তন্ত্রীতে কি মোহময় সুরে বাজিয়ে চলেছি। যে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ‍্যকর্মীদের উপর আমাদের বাঁচামরার অনেকটাই নির্ভর করছে তাদেরকে হাসপাতালে ভগবান বলছি আবার তাঁর নিজের পাড়ায় তাঁর দিকে জেল ফেরৎ খুনী আসামীকে দেখার ভঙ্গিতে তাকাচ্ছি, চুড়ান্ত হেনস্তা করছি।যে পুলিশ আমাদের জন‍্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মাঠে নেমে লড়ছে তাদেরকে আক্রমন করছি। মানুষের অসহায়তাকে পুজি করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। একটা মাস্ক পরিয়ে তিনজন মিলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছি,দু কেজি চালের থলে ছুঁয়ে পাঁচজন মিলে ছবি তুলছি। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নেতাবাবু হাজির কিন্তু মিডিয়া আসেনি বলে বিলি করা যাচ্ছেনা। এসব দেখছি।দেখেছি রাস্তায় চকখড়ির দাগ কেটে কত সহজে মানুষের মনে আঁচড় কাটা যায়।দেখলাম কত সুকৌশলে নিপুন ভাষনের যাদুদন্ড দেখিয়ে দেশের কোটিকোটি দর্শককে ধর্মের মায়াজালে বেঁধে রাজনীতির থালা বাজানো যায়। দেখলাম রাষ্ট্র কিভাবে করোনা আক্রান্তদের গায়েও ধর্মের স্টিকার সেঁটে আলাদা বেডের ব‍্যবস্থা করেছে। আমাদের এই চরম বিপদের দিনে এসব আমরা দেখলাম।
    এখনও কত ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়তো দেখব। জানিনা এ যাত্রায় কত জন টিকে যাব। আমার যে বন্ধুটি উত্তরবঙ্গের কোন এক হাসপাতালে চিকিৎসারত সে কত আতঙ্কের মধ‍্য আছে জানিনা, অনুভব করিনা সুন্দরবনের প্রত‍্যন্ত‍ ব্লক হাসপাতালে ডিউটি করা বোনটির এক বছরের বাচ্চাকে সাপ্তাহের পর সপ্তাহ না দেখার যন্ত্রণা। থ‍্যালাসেমিয়া আক্রান্ত যে বাচ্চাটিকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হয় তার এই মাসে কি হবে জানা নেই।দেশের হাসপাতালগুলোতে ভিড়ে গিজগিজ করত সেসব রুগীদের এখন কি হচ্ছে। অন‍্যান‍্য রুগী তো নামমাত্র দেখা হচ্ছে। কাকে কখন কিভাব করোনা ভালোবেসে জড়িয়ে ধরবে জানিনা। যদি ধরে কোথায় যাব, কে নিয়ে যাবে? হাসপাতালে বেড নেই,ঠিকঠাক যাতায়াতের ব‍্যবস্থা নেই,আপনজনদের মধ‍্যেও ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে চাইলেও সবাই কাছে আসতে পারবে না। পুলিশের ভয়ে মুহূর্তের মধ‍্যে পাততাড়ি গুটিয়ে জুয়া খিলাড়িদের মত করোনা একদিনে পালাবেও না। পুলিশ চলে গেলে যেমন আবার আসর জমায় লকডাউন চলে গেলে আবার ভয়ানক রূপ ধরবে না কে বলতে পারে!
    আমাদের দেশে এর পরে করোনা আর সাম‍্রাজ‍্য বিস্তার করলে হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি তো দূরের কথা বাইরে দাঁড়ানোরও জায়গা থাকবে না।দেশের হাসপাতালগুলোতে এগারো হাজার মানুষ পিছু মাত্র একটা বেড। দাদা- দিদি আগে-ভাগে ঘুরিয়ে হাত তুলেই দিয়েছে।

    করোনা রেখে যাবে একরাশ আতঙ্ক,আশঙ্কা,কাঁড়ি-কাঁড়ি প্রশ্ন। ক্ষুধাসূচকে ১০২ তম স্থানের গৌরবের ভার নিয়ে আমরা ভেঙেপড়া অর্থনীতিকে দাঁড় করাতে পারব তো? কয়েক কোটি দিন আনা দিন খাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পেট চলবে কি করে? বেসরকারি সেক্টরে কাজ করা লাখলাখ কর্মীর ভবিষ্যৎ কি?
    রাষ্ট্রের প্রতি এক গুচ্ছ প্রশ্ন প্রকট হয়ে ওঠে। দেশ বলতে কি শুধু একটা ভৌগলিক সীমারেখা? শুধুই একটা সরকার? দেশের উন্নয়ন বলতে রাস্তা-ঘাট,মন্দির,স্টাচু বানানো,বুলেট ট্রেন চালানো? দেশের উন্নয়ন বলতে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ‍্যের উন্নয়ন নয়? চিন,ভিয়েতনাম,কিউবা,কোরিয়া কি শুধু বুকের পাটা দেখিয়ে করোনার মোকাবিলা করেছে বা করছে?চিন সবচেয়ে বেশী লোকসংখ‍্যার দেশ হয়েও, প্রথম আক্রান্ত দেশ হয়েও রুখে দিয়েছে করোনাকে। আজ চিন, কিউবা বিদেশে ডাক্তার পাঠাচ্ছে, চিকৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে।না কোন যাদু ছিলনা,ভাষনেও হয়নি,থালা বাজিয়েও হয়নি, অকাল দীপাবলি করেও নয়। উপযুক্ত পরিকাঠামো'ই সম্ভব করেছে। উহান প্রদেশে প্রতিদিন ১কোটি ৫০ লক্ষ অনলাইনে করা অর্ডার অনুযায়ী খাবার সহ নিত‍্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের দেশে ন‍্যুনতম মাস্ক টুকুও হাতের কাছে পাইনি। দিল্লি থেকে সাংসদের স্ত্রীকে প্লেনে করে,কোটা থেকে লাক্সারি বাসে হীরের টুকরো নিজের জেলার নাম বলতে না পারা ছাত্রদের ফেরানো হলেও হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ট্রেন ভাড়া কেন্দ্র না রাজ‍্য সরকার দেবে এখনও তা নিয়ে তরজা চলছে। ১কোটি ৩০ লক্ষের দেশে শিক্ষা খাতে মাত্র জিডিপি'র ২.৫ শতাংশ, ৬৭৪৮৪ কোটি এবং স্বাস্থ‍্যখাতে জিডিপি'র ৫ শতাংশ ৯৯৩১১কোটি টাকা বরাদ্দের তামাসা করা হয়েছে যেখানে একটা স্ট‍্যাচু বানাতে ৩০০০ কোটি এবং সংসদ ভবন ও তার আশপাশের রাস্তা সংস্কার করতে ২০০০০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

    রাষ্ট্র জনগণকে নিয়ে তামাসা করছে। মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করা সরকারের একটা অঘোষিত পলিসি। রাষ্ট্র সেটা করছে, করবে। আমরা রাষ্ট্রকে সমালোচনা করছি, প্রশ্ন করছি। কিন্তু আমাদের কি কোন দায় নেই? আমরা তো সেই শাসন পাবো যেটা আমরা পাওয়ার যোগ‍্য। অভিনেতা সেই অভিনয় করবে যা দেখে আমরা হাততালি দিই। আমরা আমাদের সন্তানকে "কিরনমালা" "সাধক বামাক্ষ‍্যাপা","বাবা লোকনাথে"ভুলিয়েছি পাঁচ জন বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম সে কি করে বলবে?যে জ‍্যোতিষ বাবাজী মাতাজীরা দিনের-সপ্তাহের-মাসের-বছরের ভবিষ‍্যৎ কেমন যাবে বলে দেন কিন্তু করোনার খবর বলতে পারেননি তাদের চেম্বারে হত‍্যে দিয়েছি, I P L জুয়ায় মেতে টিম মালিকের ঘরে টাকার পাহাড় তুলেছি। সেলিব্রেটির বাড়ির পোষ‍্যটিকেও সেলিব্রেটি বানিয়েছি।গবেষকদের খোঁজই রাখিনি। গরুর চামড়ার জুতো পরে এসে "গো-মাতার" গলায় মালা পরিয়েছে,আমরা ধন‍্যধন‍্য করেছি।আমরা মানুষের মৌলিক সমস‍্যার কথা শুনতে চাইনা, আমরা হাততালি দিই "গুলি মারো শালোকো" শুনে। কেন অভিনেতা পোষাক দেখে অপরাধী চিনবেন না? কোন পাকিস্থানির আমাশা হলে আনন্দ পেয়েছি,সর্দি হলে আনন্দে বগল বাজিয়েছি,কেন ভোটের আগে পুলওয়ামা ঘটবে না? আমরা ঘরের ভিতরে, রাস্তার মোড়ে শহরে নগরে মন্দির-মসজিদ গুলোতে কপাল ঠুকে কালো দাগ করে ফেলেছি। কেন রাত ন'টায় ন' মিনিট বাতি জ্বালিয়ে উপাসনা করার নিদান আসবে না?

    করোনা'র দিন একদিন শেষ হবেই। মাড়ি-মড়ক- মহামারিকে হারিয়ে সভ‍্যতা এগিয়ে চলবে। লকডাউন উঠে যাবে। রাস্তা -ঘাট,বাজার, স্টেশন আবার আমরা ধূলি-ধূসরিত করে তুলব, মাঠে ফসল বুনব,ফুল ফোটাব আবার আমরা শেতলা পূজা -মহোৎসব,দূগ্গা পূজা,নামাজ -আজান নিয়ে মেতে উঠব,পাল ঘরে সাধু হত‍্যার প্রতিশোধ নেব। আবার ভোট উৎসবে মেতে উঠব। আবার NRC র জিগির তুলে আধপেটা ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে। আবার হিন্দু-মুসলিম খেলায় মাতিয়ে বেকার ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে,আবার দেশপ্রেমের পেটেন্ড দেখিয়ে ফসলের মুল‍্য না পাওয়া শরীর নিংড়ানো কৃষকের ভারতবর্ষকে ভোলানোর চেষ্টা হবে। সীমান্তে গোলাবারুদের ধোঁয়ায় হাজার হাজার মাইল পায়ে হাঁটা ভারতবর্ষকে ঢেকে দেওয়া হবে। আমরা শান্তশিষ্ট ভদ্রলোকেরা টিভিতে মহাভারত দেখতে-দেখতে "আচ্ছে দিন" আসার স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব। প্রশ্ন গুলোর উত্তর আসবে না। ডিলিটও হবেনা, থেকে যাবে সময়ের আর্কাইভে। "যাহাদের কথা" সবাই ভুলে যায় ইতিহাস তার কিছুই ভোলেনা,প্রশ্ন কিন্তু থাকবেই যতদিন এই পচাগলা ব‍্যবস্থার শব আমরা বয়ে চলব !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৩ মে ২০২০ | ২০৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ মে ২০২০ ০৫:০৮92989
  • করোনা বিদায়  নিলে সবকিছুই হয়তো আগের মতো চলবে না,  অনেক শিক্ষা দিয়েই  এই রাক্ষুসির প্রস্থান হবে। 

    আর আপনার প্রশ্নগুলোও জারি থাকছে। 

    লেখাটি ঈষৎ সম্পাদনা করে ইংরেজি হরফগুলো বাদ দিয়ে বাংলা উচ্চারণে কথাগুলো লিখলে চোখের আরাম হবে। চলুক                  

  • ধীমান মন্ডল | ০৪ মে ২০২০ ১৮:৪৭93019
  • বিপ্লব রহমান ধন‍্যবাদ আপনার মন্তব‍্যের জন‍্য।

    # এই লেখাটার আর সম্পাদনা করলাম না।পরে লেখার সময় খেয়াল রাখব।

  • লালন ফকির | 162.158.***.*** | ০৪ মে ২০২০ ১৯:২৯93022
  • , দোগ্গ্য স্পূন । । ।
  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৫ মে ২০২০ ০০:২৫93036
  • খুব ভালো লাগলো। বাস্তবটা দেখিয়ে দিলেন। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন