
বাস থেকে নামলাম যখন বেলা তখন একটা, রাঢ় বাংলার ধু ধু রোদ। এই আষাঢ় মাসে বৃষ্টির দেখাই নেই। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছি আমি আর ভাই। এবারে ঈদ বেশ ভালো দিনে পড়েছে...শনি রবি ছুটির পরে সোমবার ঈদ। একটু ছুটি না থাকলে ভারী সমস্যা। ঈদ তো একদিনেই শেষ, কিন্তু ঐ ঈদের তৈয়ারী চলে একমাস ধরে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ঈদের।
ছোটোবেলায় ঈদ নিয়ে আলাদা নস্টালজিয়া ছিলো... ঈদের কেনাকাটা, নতুন জামা, জুতো, বন্ধুদের সাথে হুল্লোর, সাজুগুজু সব মিলিয়ে ভারী জমজমাট ব্যাপার। এখন সেসব থেকে অনেকটা দূরে, বুকের ভিতর হা হা করা কৈশোর বেলা হারানোর শূন্যতা। আজ সব আছে কিন্তু কিছুই নেই।
ছোটোবেলায় ঈদের একটা জামার জন্য কতো হা পিত্যেশ করে বসে থাকতাম। কবে আব্বু টাকা পাবে , আমাদের জামা কিনে দেবে। সারা বর্ধমান ঘুরে ঘুরে সস্তায় সবথেকে সুন্দর ফ্রক দুটো কেনা হতো। ফ্রিল দেওয়া ফ্রক। দুবোনের একই জামা, জুতো, হেয়ার ব্যান্ড... যমজ বোনের মতো হাত ধরে ঘুরে বেড়াতাম।
এখন দুজন দেশের দুপ্রান্তে... উহুঁ পৃথিবীর দুই প্রান্তে..নিউ মানে আমার বোন অফিসের কাজে সানফ্রান্সিসকো গেছে। এবারের ঈদ ওর বিদেশেই হবে। কাল ফোন করে বলছিলো ওর বুকের ভিতরটা হু হু করছে বাড়ির জন্য। যতই হোক, ঈদের সময় বাড়ি না এলে যত নিয়ামতই মিলুক না কেন, মন খারাপ তো করবেই। পৃথিবীর সবথেকে নিয়ামতের জিনিষ বোধহয় বাড়ির বিছানাটুকু। আহা কি আরাম।
একবছরে আমরা বড়ো হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বর্ধমান শহরের প্রচন্ড পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ছোট্টো মিষ্টি শহরটা আরো একটু আধুনিক হয়েছে। শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, পিৎজা, কোল্ড কফি, স্কুটির কৃত্রিম শহর হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। তবু চোখ বুজলেই আমার ছোটোবেলার শহরটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। সাইকেল করে আমরা কজন...
এসব ভাবতে ভাবতে টোটোটা কখন যেন উদয়ন মিষ্টির দোকানের সামনে চলে এসেছে। সামনে প্রচন্ড জ্যাম লেগেছে। এই আর এক জ্বালা... সবার জীবনে কিসের যে এতো তাড়া কে জানে, সবাই চেষ্টা করছে আগে যেতে... ফলশ্রুতি জ্যাম ছাড়ার লক্ষণ নেই। টোটো থেকে নেমে পড়লাম এটুকু হেঁটে নেবো। সব্জিবাজারের ভিতর দিয়ে পাশ কাটিয়ে হাঁটছি। প্রতিবারের মতো চারপাশে সার সার সিমাই, লাচ্ছার দোকান। মুনাফকাকু, বাঁকিকাকুর দোকানে প্রচন্ড ভীড়। সবাই ব্যস্ত শেষবেলার কেনাকাটি করতে। লাল হলুদ সবুজ রঙে রাঙানো লাচ্ছা, মিহি কাঁচা সিমাই, ধবধবে গাওয়া ঘিতে ভাজা লাচ্ছাতে বাতাস ম ম করছে। এই জ্যামের মধ্যে খানেই লাইট ফিটিংস চলছে। পুরো এলাকা আজ আলোর সাজে সাজবে।
একটু পরেই চত্ত্বরটা পুরো বদলে যাবে তেলেভাজা, খাবার দোকানের সমারোহে। এই রোজা মাসটা এই তেঁতুলতলাবাজার চত্ত্বরে হেন খাবার নেই যে পাওয়া যায়না। মাংসের পুরওলা সমোসা, নাদরুটি, কলাইবুনা, কাবাব কে নেই!
বাড়ির সামনের রাস্তায় দুদুটো প্যান্ডেল। একটা ছানাপোনাদের জন্য আর একটা বড়োদের জন্য।
পুরো পাড়া জমজমাট... সবাই খুশি... আমারো কেমন যেন মনখারাপ করা খুশি হচ্ছে... ঈদ আসছে তবে , সত্যিই ঈদ আসছে।
ঈদ আসবো আসবোটাই ভালো। চলে আসলেই শেষ, আবার একবছর অপেক্ষা করো।
আগে ঈদ মানেই ছিলো নতুন জামার মোহ। পাড়ার কার জামাটা সবথেকে সুন্দর তার কম্পিটিশন। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই সন্ধ্যে বেলায় নিউয়ের আবদার শুরু হতো... আম্মু আমরা কবে ঈদের বাজার করবো? সবার জামা হয়ে গেলো আমাদের এখনো হয়নি। আম্মু বলতো আগে আগে জামা কিনে নিলে সবাই দেখে ফেলবে তাই একটু দেরী করেই কিনতে হয় মা। কিন্তু এখন বুঝি, আম্মু আসলে ছোটো শিশুদের বুঝতে দেয়নি এখন টাকাপয়সার টানাটানি, আব্বুর হাতে টাকা না আসলে কি করে জামা কিনে দেবে? এখন ভাবি আমরা কি স্বার্থপর ছিলাম তখন। কখনও ভাবিনি আব্বু আম্মু ঈদে নতুন কি জামা কিনলো? নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। আমার আম্মু তখন পুরোনো শাড়ীতেই ঈদ কাটাচ্ছে কিংবা খুব বেশি হলে একটা সূতির ছাপা শাড়ী। আব্বু বেচারার তো কিনে দেওয়ার কেউ ছিলো না। নিজের জন্য বোধহয় ঈদে কিছু কিনতোও না। এখন আমার আব্বু আম্মু দুজনকেই আমরা দুইবোন নতুন জামাকাপড় কিনে দিই... কিন্তু সব জিনিষের একটা বয়স থাকে । আমার আম্মু আজকে আর হয়তো নতুন চুড়ি বা শাড়ী দেখে উচ্ছ্বসিত হবেনা যতটা আজ থেকে কুড়ি বছর আগে হতে পারতো!
এটাই হলো জীবন... কিছু না পাওয়া থাকবেই।
ক্লাবের সামনে একটা বড়ো ঝাড়বাতি লাগিয়েছে আর ক্লাবের সব গাছগুলো সবুজ আলোতে ঝকঝক করছে।
ছোটোবেলায় আরো একটা মজা ছিলো... তখন ঈদ হঠাৎ করে হতো। কখনো কখনো গুজব উঠতো যে এবার ঈদ ঊনত্রিশ রোজায় হবে, কেউ বলতো না না ত্রিশ! কখনো কখনো মিলতো, কখনো মিলতো না। রাত বারোটায় হঠাৎ করে খবর কাল ঈদ হবে। রিকশায় বাঁধা মাইকে করে পাড়ায় পাড়ায় ঈদের নামাজের সময়সূচী জানিয়ে দেওয়া হতো। সবার বাড়ি থেকে হুল্লোড় উঠতো কাল ঈদ কি মজা!
সেই রাত বারোটাতেই মোমস, জুঁই সবার বাড়িতে সবার আনাগোনা শুরু হয়ে যেতো। আরে মেহেন্দিই পড়া হয়নি এখনো, কাল যে ঈদ! কি হবে এবার?
মেহেন্দি পরতেই হবে ঈদে, নইলে ঈদ বড্ডো বেমানান। ফুল পাতার নকশা, কলকের ডিজাইনে হাত ভরে উঠতো মেহেন্দিতে। একবার পাড়ায় ইটিভির রিপোর্টার এসেছিলো। আমি তখন নিউকে মেহেন্দি পরাচ্ছি... দুহাত ভরা মেহেন্দির ছবি নিয়ে গেলো। সন্ধ্যেই টিভিতে নিউকে দেখে আমাদের কি উল্লাস। পাড়ার সবাই বলছে আজকে নিউকে দেখলাম টিভিতে....সে বিশাল হৈ রৈ ব্যাপার।
পুরো পাড়াটা আলো , শামিয়ানা, ঝিলমিলি দিয়ে সেজেছে। আমার পুরোনো পাড়াটাকে পুরো রাজকন্যা লাগছে... বিকেলে আম্মু আব্বু কচির সাথে ইফতারি খুললাম। এই রেজার মরশুমে কচির এটা প্রথম ইফতারি... চারিদিকে হৈ হুল্লোড় হচ্ছে বেশ...রাস্তায় কারোর সাথে দেখা হলেই প্রথম প্রশ্ন ঈদের শপিং কমপ্লিট? কি কিনেছো?
আমি যবে থেকে চাকরি করছি সেই ২০১১ সাল থেকে নিজেই নিজের ঈদ শপিং করি... সবাইকে কিনে দিই। নিউ অবশ্য প্রতিবারের মতো এবারেও নতুন জামা কাপড় পাঠিয়েছে। ভাই বোন থাকার এই এক সুবিধা। মনে হয় পৃথিবীতে আমি একা নই, আমার বোন আছে ভাই আছে। ঝগড়া হোক, মারপিট তবুও দিনের শেষে স্নেহ, ভালোবাসায় মোড়া রক্তের টান।
মনটা খারাপ লাগছে খুব। নিউ এবার কানাডাতে ঈদ করবে। বাড়িটা কেনন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কি আর করা যাবে, আমরা সবাই নিজের নিজের জীবনে আস্তে আস্তে ভারী ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের ঈদ এখন আগের মতো নেই... সময়ের সাথে সাথে তা বদলাচ্ছে।
বাড়ির সামনে কতগুলো বাচ্চা হুল্লোড় করছে... হাতে মেহেন্দি... নিজের ফেলে আসা শৈশবটটা চোখের সামনে দেখছি। এইভাবেই বোধহয় সময়ের সাথে সাথে ভবিষ্যতের কান্ডারীদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয় না চাইতেও...
আর একদিন মোটে বাকি... তারপরেই খুশির ঈদ...
আল্লাহ যেন সবাইকে খুশি দেন... আমি জানি না আল্লাহ আছেন কি নেই...তর্কেও যেতে চাইনা। যদি থাকেন তাতেও অসুবিধা নেই। উনি যদি কারোর সম্বল হন, কারোর খুশির কারণ হন আমার তাতে বিরোধ করার কোনো অধিকার নেই। যে লোকগুলো একমাস রোজা রেখে অধীর আগ্রহে খুশির ঈদের জন্য অপেক্ষা করছে তাদের খুশিতেই আমার খুশি...
ঘরদোরগুলো একটু ঝাড়পোঁছ করতে হবে ঈদের আগে... ঝাড়ু আর মোছার কাপড় নিয়ে ঘর পরিস্কার করছি।
এই এক অতি বিরক্তিকর কাজ, অবশ্য পৃথিবীতে কোন কাজটা বিরক্তিকর নয়? সবই আসলে কারোর না কারোর কাছে বিরক্তিকর, তবু আমাদের কাজ করতে হয়...
রবিবার সকাল থেকেই হৈহুল্লোা বাড়ছে...শেষ মূহুর্তের প্রিপারেশন। বাড়িতে রাশি রাশি সিমাই, লাচ্ছা, কাজু, কিশমিশ, পেস্তা, দুধ , ঘি, মাংস চলে এসেছে। আম্মু দুধটাকে জ্বাল দিয়ে ঘন করছে.. পায়েস হবে।
আমি ঘরদোরগুলো গুছিয়ে ফেলেছি অলমোস্ট। সবার বাড়িতে সবাই ব্যস্ত। ঈদের আগে কাচাকুচি, ঘরদোর পরিস্কার করে সবকিছু চকচকে করে তুলতেই হবে। এটাই নিয়ম, চলে আসছে বহুযুগ ধরে।
এখন তো রেডিমেড সিমাই পাওয়া যায়... আগে ঈদের সময় আম্মুরা সিমাই বানাতো বাড়িতেই... সিমাই বানানোর মেশিনে করে... এখন সেসব আর ব্যবহার হয়না, আলমারির এক কোণে তা অব্যবহৃত পরে আছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আরো উন্নত হচ্ছি , পিছনে তাকালে পড়ে থাকে অকৃত্রিম একটা যুগ... যেখানে সবাই মিলে যৌথ পরিবারে হৈ হৈ করে একমাস ধরে ঈদের প্রস্ততি হতো।
বিকেলে জুঁইয়ের সাথে বেরোলাম বাজারে... শেষ মূহুর্তের ঈদ কেনাকাটা। আমি আর জুঁই শাড়ী পরবো ঈদে... ম্যাচিং গহনা চাই... তারপর মেহেন্দি পরবো। শহর ছাড়িয়ে নার্স কোয়ার্টারের দিকে যাচ্ছি। ঝিমঝিমে বৃষ্টি পরছে। যা বৃষ্টি হওয়ার আজকেই হয়ে যাক বাবা, কালকের দিনটা আর বৃষ্টি না হোক। ম্যাচিং করে কটা হার, দুল কিনলাম, মেহেন্দিও। আমি নিজেই মেহেন্দি পরতে পারি, যদিও আজকাল আর উৎসাহ নেই। যদিও বাড়ির সবার বিয়েতে অলিখিত ভাবে মেহেন্দি পরানোর ভার আমার হাতেই থাকে। জুঁইকে বলেছি একটু কমের মধ্যে মেহেন্দি লাগিয়ে দিস হাতে। ঈদের আর আছেটা কি? ঐ মেহেন্দির লাল রঙে রাঙানো হাত, কাঁচের রংবেরং চুড়ি আর খাওয়াদাওয়া।
তাতেই কি মজা...
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি একা একা ... প্রিয় শহরটাকে দেখছি নিজের চোখে প্রাণ ভরে। আলোয় ঝলঝল করছে শহরের আনাচ কানাচ... চারিদিকে খুশি, শেষ মূহুর্তের ঈদের বাজার।
একটা গরীব কাপল ফুচকা খাচ্ছে , তাদের দুজনের বাজেট দশটাকা। দশটাকায় ছটা ফুচটা.. তিনটে ছেলেটা খাবে, তিনটে মেয়েটা। মেয়েটার হাতে লাল চুড়ি, খিলখিল করে দুজনে হাসছে। বহুদিন পরে দুজনে বোধহয় ফুচকা খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু বেশি খরচা হলোই না হয়...
একটা বাচ্চা অনেকক্ষণ ধরে জগটা মুখে করে জল খাওয়ার চেষ্টা করছে। বাচ্চার মা ফুচকা খেতে ব্যস্ত। বাচ্চাটার মাকে আমি চিনি। আমাদের পাড়ায় মধ্যবিত্তদের মাঝে সযত্নে লুকানো একটা বস্তিপাড়া আছে , মেয়েটা ঐখানের মেয়ে।
বহুআগে মেয়েটার মা আমাদের বাড়িতে কাজ করতো... মেয়েটা কি আমাকে চিনতে পারছে? কে জানে...
বাচ্চাটার মুখে জগটা ধরে জল খেতে সাহায্য করলাম। বাচ্চাটা ঝালে লাফাচ্ছে, বাচ্চার মায়ের হ্যাঁতকোৎ নেই। সে দাঁড়িয়ে একজনের সঙ্গে নতুন চুড়ি নিয়ে গল্প করছে।
চুড়ির রিনরিন শব্দ আমার খুব ভালো লাগে। আমি খেয়াল করে দেখেছি মুসলমান এয়োতিরা হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি পরে...বিশেষত গ্রামের দিকে কিংবা গরীব ঘরে। এটাই এয়োতির চিহ্ন!
আমার কেমন জানি মন খারাপ করছে... অদ্ভূত রকম মন খারাপ। উৎসবের দিনগুলোতেই আমার প্রিয় হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা বড়ো বেশি মনে পড়ে। তারা ভালো থাকুক ভীষণ ভীষণ রকম।
ধর্ম জিনিষটা বড়ো অদ্ভুত। কখনো তা ভাইয়ের রক্ত বইতে সাহায্য করে , কখনো বা মিলন ঘটাতে সাহায্য করে।
ঈদ পুজো এই ধর্মীয় উৎসবগুলোতে গরীব বড়োলোক সবাই নিজের সাধ্যমতো আনন্দ করে, কদিনের জন্য দুঃখ গুলো সরিয়ে রেখে !
এই ঈদেই হয়তো কত বাবা মায়ের নতুন জামাটাও হয়নি .. সব টাকা বাচ্চাটার পছন্দের জামা কিনতে শেষ। কারোর বা এবছর কোনোই জামা হয়নি।
তাদের জন্য ঈদটা খুশির ঈদ হবে?
বর্ধমান হোমের বাচ্চাদের মুখগুলো মনে পড়ছে... কাল ঈদে ওদের নতুন জামাও হয়নি, ওরা কিছু ভালোমন্দ খেতেও পাবেনা হয়তো।
এরকম কত শত বাচ্চা আছে, যাদের এবারে ঈদেও জামা হয়নি। তৃষিত নয়নে তারা চেয়ে থাকবে ঝাঁ চকচকে কাঁচের দরজা দেওয়া দোকানগুলোতে।
কাল ঈদ হোক সবার জন্য, সবাই ভালো থাকুক... সব্বাই।
আমি নামাজ পড়েছি গতবছর অবধি। জায়নামাজে দুহাত তুলে দোয়া করেছি ... সবাইকে ভালো রেখো প্লীজ।
এবছর নামাজ পড়বো না... আল্লাহর উপর রাগ অনেক...অভিমানের রাগ। যেদিন মিটে যাবে আবার না হয় জায়নামাজে দুহাত তুলে সিজদায় বসবো।
আমার ঈদ শুরু হবে হোমের বাচ্চাদের সঙ্গে। জুঁইকে ফোন করে বললাম কাল হোমে একটু সিমাই, লাচ্চা নিয়ে যাবো। জুঁই লাচ্চা নিয়ে যাবে বলছে, আমি সিমাই। মিষ্টিও কিনতে হবে দু তিনরকম। খুশির ঈদে যটা বাচ্চার মুখে হাসি ফোটাতে পারা যায়... এর বেশি ঈদে আমার চাহিদা কিচ্ছু নেই।
সবাই ভালো থাকুক। ঘৃণা, দ্বেষ মিলিয়ে যাক পবিত্র ঈদের চাঁদের আলোয়...
সরু একফালি চাঁদ উঠেছে আকাশে... ঈদের চাঁদ। জ্যোৎস্না ছড়িয়ে পরুক কোণায় কোণায়, মুছে যাক সব অন্ধকার।
ঈদ আসছে, খুশির ঈদ।
Sourav Bhattacharya | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০২:০৮82945
প্রতিভা | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৪82946
Azhar | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৫:৪৪82947
Rabaahuta | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৬:০৫82948
আসিক.... | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৭:৩৩82949
Mou | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৮:১৮82950
d | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:০৮82942
অনিমিত্র চক্রবর্তী | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:৩০82951
রোবু | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১২:০৮82943
সেখ সাহেবুল হক | unkwn.***.*** | ০৩ জুলাই ২০১৭ ১২:২৯82944
নাভিদ আঞ্জুম | unkwn.***.*** | ০৪ জুলাই ২০১৭ ০২:২১82953
তাজ | unkwn.***.*** | ০৪ জুলাই ২০১৭ ০৭:০৮82954
Sk Ajmat Ali | unkwn.***.*** | ০৪ জুলাই ২০১৭ ১২:৩২82952
সৌরভ দত্ত | unkwn.***.*** | ০৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫১82955
krisna banerjee | unkwn.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪৭82956
সুকি | unkwn.***.*** | ০৮ জুলাই ২০১৭ ০১:৫৫82957
আয়নুল সেখ | 2409:4061:21f:46f9:fc1e:6d65:3b3a:***:*** | ২৬ মে ২০২০ ০৯:৪৫93703দারুন সুন্দর। আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। খুব মিস করি।