এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সাংস্কৃতিক বিনিময়, নাকি আগ্রাসন?

    সেখ সাহেবুল হক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৩১৮৮ বার পঠিত
  • ঈদের সময় ঈদকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান টিভিতে প্রায় থাকেই না। নিদেনপক্ষে ধর্মীয় প্রেক্ষাপট তুলে ধরা বা ঈদের আড্ডা টিভি চ্যানেলগুলোতে বসে না। ঠিক যেমনভাবে দুর্গাপুজোয় হয়। বিভিন্ন নামী পুজোর ইতিহাস ইত্যাদি নিউজ চ্যানেলগুলো তুলে ধরে, কিন্তু নামী মসজিদের ঈদের নামাজের ইতিহাস বা হেভিওয়েট নেতা কিংবা সেলিব্রিটিরা কোথায় নামাজ পড়লেন সেভাবে প্রকাশ্যে আসে না। কোনও প্রথমশ্রেণীর দৈনিক ঈদ সংখ্যা বের করে না! দু একটি ফিচারেই দায়সারা সান্ত্বনা পুরস্কার।

    চণ্ডীপাঠের সুর বাজে চারিদিকে, কিন্তু “রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটাও রেডিওতে বাজে না।

    ঈদের নানান রেসিপি নিয়ে রান্নার শো গুলোর খুব মাতামাতি নেই। পুজোয় ছুটি বেশি, ঈদে দুদিন ছুটি দিলেই তোষণ থিওরি চলে আসে। সরকার প্রতিমা বিসর্জন সংক্রান্ত দূষণ নিয়ে যতটা চিন্তিত, কুরবানিতে তেমন ব্যবস্থা নিলে অনেক অভিযোগের অবকাশ থাকে না। এইসব বহুকালের ব্যক্তিগত অভিযোগ স্বজাতি বাঙালীর কাছে, বাঙালী হিসেবে খানিক আত্মসমালোচনার।

    ঈদ নিয়ে মিডিয়ার হইচই নেই, বিজ্ঞাপনদাতাদের দাপাদাপি নেই, এমনকি জরুরী খবর ছেড়ে উৎসব কভার হয় না। যদিও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে ভাইচারার জায়গাটা থাকে।

    মুসলমানরা পুজোয় অঞ্জলি দেন না ঠিকই, মুসলিমদের সহযোগিতাপূর্ণ অংশগ্রহণ নতুন কিছু নয়। অথচ দুঃখের বিষয় সেটিকে উপপাদ্য আকারে প্রমাণ করতে হয়। কখনো মন্ডপে টুপিওয়ালা কিশোরের ছবি, কিংবা মন্ডপের সামনে কর্মরত দাড়িওয়ালা মুসলমান বৃদ্ধের ছবি সহকারে বর্ণনা দিয়ে। নতুন করে প্রমান করার কিছু নেই! পশ্চিমবঙ্গের অনেক পুজোর কমিটিতে মুসলমানদের অংশগ্রহণ বহুকাল থেকেই। সারা পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি মুসলিম প্রধান এলাকা গাডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় মুসলমানরাই পুজোর দায়িত্ব নেন।

    মণ্ডপসজ্জায় জন্য শিল্পীর ইন্টার্ভিউ নেওয়ার পাশাপাশি কুটিরশিল্পীদের বাড়ি গিয়ে উঁকি মারলে দেখা যাবে গরীব মুসলমান বাড়িতে তৈরী হচ্ছে দেবীর অলংকার, কেশদাম, নকল অস্ত্রসস্ত্র ইত্যাদি। জামাকাপড়ের পাইকারি ব্যবসার অনেকটাই মুসলিমদের হাতে থাকে। মেটিয়াবুরুজের হাটে গেলে অনুধাবন করা সম্ভব। সেই জামাকাপড় ব্যবসায়ী মারফত ছড়িয়ে পড়ে হাওড়ার হাটে, কাকদ্বীপ থেকে কাঁথিতে। পুজোটাকে ধর্ম হিসেবে না দেখে উৎসব হিসেবে শামিল হওয়া মুসলমানরা বলেন - “চাঁদা দিই, উৎসবের জন্য। হইহুল্লোড় হবে, মানুষ খুশি হবে। এতে সমস্যা কোথায়। আমার নিয়েত ফিস্ট হিসেবে দেখা, মূর্তিপূজা নয়…”।

    কলেজ পড়ুয়া হোন বা চাকুরিজীবি, ধর্মটাকে ধর্মের জায়গায় রেখে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ান। এই উৎসবমুখর মেলামেশার সুযোগ দুর্গাপুজো করে দেয়। পুজোর সাজসজ্জা, আলোর রোশনাই সবার। রোলে কামড়, চাউয়ে ডিমের কুচি, বন্ধুর বাড়িতে রাতে থাকার মধ্যে দারুণভাবে মিশে যাওয়া যায়। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ বা মন্ডপে আশা ভোঁসলের ‘কথা হয়েছিলো’ গানের আবেগ হিন্দু মুসলমানে পৃথক হয় বলে জানা নেই। পুজোর মন্ডপে গানের জন্য সারাবছর অপেক্ষা। কৈশোরে রেডিওয় সনৎ সিংহের গান, স্কুলে ‘আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে…’ গানে বাচ্চাদের নাচ, তাতে ধর্ম খুঁজতে বসা সাম্প্রদায়িকতার নামান্তর।

    প্রীতমের পুজোর প্ল্যান অসম্পূর্ণ থাকে সইফকে ছাড়া। পূজাবার্ষিকীতে তৈমুর খান কবিতা লেখেন, তৌসিফ হকের আঁকার জাদুতে প্রচ্ছদে জীবন্ত হন দশভুজা, নুসরাত জাহানের সিনেমা আসে, পুজো উদ্বোধন করেন উস্তাদ রশিদ খান। স্কুলে আগমনী সংখ্যা সম্পাদনা করতে গিয়ে পেয়েছি একরাশ শিউলির ছুঁয়ে যাওয়া, কাশেদের দলবদ্ধ নাচ, ঢাকের বাদ্যি...। অন্তমিলের ছড়ায় বাঙালী সংস্কৃতি।

    পুজো আসলে বিপুল কর্মসংস্থান, কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার ছুতো, আড্ডা-তর্ক-গান, নতুন উপন্যাসে বুঁদ হয়ে যাওয়া। যা উটকো নাক সিঁটকানির বাইরে সব সংস্কৃতিকেই কাছে টেনেছে। দেবীর টানা চোখ বা সাজসজ্জায় মুগ্ধ হওয়া মধ্যে ধর্ম নেই, যদি থাকে এক অমোঘ সৃষ্টি। সেই সৃষ্টিতে হানাহানি নেই, বিজেপি-আর.এস.এস নেই, তোষণ-সিদ্দিকুল্লাহ নেই। মন্ডপের ভিড়ে দাঁড়িয়ে বুকের রেডিওয় বেজে ওঠে - “মাতলো রে ভুবন…”। এই শ্রদ্ধা শিল্পকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা। এখানেই দুর্গাপুজোর ব্যাপকতা আর বিস্তার।

    তুলনামূলকভাবে দুর্গাপুজো এবং ঈদে গ্রহণযোগ্যতায় বৈষম্য অস্বীকার করার জায়গা নেই। ঈদুজ্জোহায় (কুরবানি ঈদ) গোমাংসের উপস্থিতি অমুসলিমদের সমস্যার কারণ। কিন্তু ঈদুল ফিতর নিয়েও হিন্দুসমাজ সহযোগিতা বা অংশগ্রহণের দিক থেকে ততোটাও স্বতঃস্ফূর্ত নয়। লাচ্ছা-সিমুইয়ের দাওয়াত ছাড়া ঈদকে শিল্পের পর্যায়ে তুলে ধরতে ব্যর্থ বাঙালী সমাজ। অনেক হিন্দুভাই রাস্তায় আধঘণ্টা ঈদের নামাজে প্রকাশ্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন, কিন্তু মুসলিমভাইরা রাস্তার ধারে প্যান্ডেল বা টানা মাইক বাজানো নিয়ে অভিযোগ করেন বলে জানা নেই। বিদ্বেষকারী বিচ্ছিন্নতা এড়াতে দুটো ধর্মের উৎসবে আরো বোঝাপড়ার রাস্তাই আসল সমাধান। গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত মুসলমানদের একটা অংশের মধ্যে ‘পুজোয় যাব না’ এমন মানসিকতা বিরল। কিছু না হলে মেলা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মিলনসূত্র মুক্তচিন্তার মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গ্রামের ফতেমা বিবির মণ্ডপে আসা হয়ে ওঠে না, আব্বাসউদ্দিন পুজোয় খেলনা বিক্রি করলেও তার কাছে পুজোটা ব্যবসার সময়, উৎসব নয়।

    বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া বাঙালীয়ানা, বাঙালী জাতির নিজেস্বতার বাতি জ্বেলে রেখেছে। সিরিয়াল, বাংলা সিনেমার গানের লিরিক্সে, বিজ্ঞাপনে যখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিন্দি আগ্রাসন। দুর্গাপুজো বাঙালী উৎসব সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। সাম্প্রতিককালে পুজো নিয়েও নানান অবাঙালী ফতোয়া শুধু অবাঙালী কালচারের অনুপ্রবেশ নয়, বাঙালী কালচারে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা।

    দুর্গা, গনেশ, কার্তিক, লক্ষ্মীরা এই বাংলায় কোনওদিনই মাটির অবয়ব হয়ে রয়ে যাননি। উৎসব ফুরিয়ে গেলে দুর্গা আমার বন্ধুর মা, কখনও লক্ষ্মী আমার পরিচিতা বোন, গণেশ আমার মেসের বন্ধু। নিজেই কতবার প্রেমিকার কাছে ক্যাবলা কার্তিক হয়েছি। বারেবারে জীবন্ত হয়ে উঠেছেন এইসব নাম। মর্তে এসে সংসার করে ধন্য হয়েছেন দেবতারা। মানবজন্ম নিয়ে আমাদেরও ধন্য করেছেন। দুর্গা আসেন আনন্দের চারটে দিন নিয়ে, ফিরে যান চারপাশ খালি করে। ঠিক যেন বাঙালী মেয়ের ছেলেপুলে নিয়ে বাপের বাড়ি ঘুরতে আসা। ব্যস্ত উড়নচণ্ডী স্বামীটি অফিসের কাজে আসতে পারেননি। এই সাংসারিক যোগসূত্র দুর্গাপুজোকে জীবনের সাথে জুড়েছে। ‘আসছে বছর আবার হবে’ কথাটিতেই অপেক্ষার প্রহর গোনা।

    পুজোকেন্দ্রীক মানুষের উন্মাদনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই। তবুও এই কর্মকাণ্ড কিছু অংশে পয়সাওয়ালাদের। মুর্শিদাবাদ থেকে ছুটে আসা ঢাকিরা দুটো পয়সার জন্য খুশি হতে পারেন, কিন্তু তাঁদের পুজো অন্যরকম। হতদরিদ্র পরিবার, পথশিশুদের কাছে উৎসবের সংজ্ঞা আলাদা। সমাজের দলিত এবং নিম্নবর্ণের গরিবের পুজো আজও ক্ষুধার উপাসনাতেই কাটে। সাঁওতাল শ্রেণীর মানুষের পরব নিয়ে হাতেগোনা বাঙালী আগ্রহ দেখান। দুর্গাপুজোকে পুরোপুরিভাবে সার্বজনীন হতে গেলে সর্বস্তরের মানুষকে কাছে টানা প্রয়োজন। তবেই দেবীর ত্রিশুলে বাড়তে থাকা অনাচার, দুর্নীতি, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির ধ্বংস সম্ভব।

    পুজোর সাথে মহরমকে জুড়ে যতোই সাম্প্রদায়িকতার উন্মাদনা ছড়ানো হোক বা রাজনৈতিক ফায়দার চেষ্টা হোক, উৎসবের উপচে পড়া আজও ভিড়ে মানুষের স্রোত দেখা যায়। একডালিয়া, ম্যাডক্স, মহম্মদ আলির ভিড়ে আলাদা করে যেদিন হিন্দু মুসলমান চেনা যাবে সেদিন বাঙালীর উৎসব বলে কিছু থাকবে না।

    #হককথা


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৩১৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Du | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০১৮ ০২:৩৯82010
  • খুশির ইদ নয় এই অজুহাত দিয়ে কাল সকালের অনুষ্ঠানে মোদী মমতা রাখী দেখাতে শুরু করলো ইদের কিছুই না দেখিয়ে। অন্তত নামস্জই দেখাক। আঅগে কিন্তু দেখাতো সেই এক চ্যানেলের দিনে।
  • র২হ | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০১৮ ০৯:০২82008
  • এটা আজ তুলে দিই
  • সব্যসাচী | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৩০82009
  • Ipsita, নচিকেতার গানের কথা দিয়েই বলি-

    ৮২প্রহর সংকীর্তন-
    মাইকে প্রবল চিৎকার,
    রাষ্ট্র হেঁসে বলেন-
    এ যে গণতান্ত্রিক অধিকার...

    এটি পশ্চিমবঙ্গ চিত্র;

    ৩দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিল-
    মাইকে প্রবল চিৎকার,
    রাষ্ট্র হেঁসে বলেন
    এ যে গণতান্ত্রিক অধিকার...

    এটি বাংলাদেশ চিত্র;

    অর্থাৎ, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু ফ্যাক্টর কে অস্বীকার করার সুযোগ নেই; বাংলাদেশে আসুন, থাকুন, দেখুন কারো কাছে শুনতে বা কারো লেখা পড়তে হবেনা, নিজেই বুঝতে পারবেন; সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, মার্কেট সবই এখন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণে; ইউনিলিভারের মতো কোম্পানি হিজাব শ্যাম্পু, এমনকি হিজাবি পোশাক কে প্রমোট করছে অ্যাড-এর মাধ্যমে; পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পর মনে হয়েছে সনাতনীদের আখড়ায় প্রবেশ হলো, রাস্তায় রাস্তায়, অলিগলিতে মানুষ চোখে না পড়লেও মন্দির, আর বাবাজি মাতাজির অভাব পড়বেনা; ঠিক বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইসলামিক উপাদানের খামতি পাবেননা; প্রহর ব্যাপি সনাতনীদের অনুষ্ঠানে বিধর্মীদের বিষয়ে কথা তেমন হয়না বললেই চলে, কিন্তু ওয়াজ মাহফিলে পাবেন এমন অনেক গল্প; ধর্ম বহুপূর্বেই আমাদের বা বাঙালিদের খেয়ে নিয়েছে...!
  • | ***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৫82014
  • আাদিত্য বোস বোস নিকের পেছনে এই দুপেয়েটা এখানে ঢুকেছে কেন?? এ তো সভ্যতার প্রাথমিক পাঠই শেখে নি!
  • Du | ***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫০82015
  • এরকম লোক ধারে কাছে আছে ভাবলে ঘৃনা বোধ হয়।
  • আদিত্য বোস | ***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:০১82011
  • তুমি যে একটা ছুপা জেহাদি সেটা তোমার পা চাটা কিছু লোকজন ছাড়া আমরা মোটামুটি জানি।
    তবে ঠিক বলেছ পুজোর মা দুর্গা থেকে লক্ষ্মী সরস্বতী কার্তিক গণেশ এরা আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে। এটা অস্বীকার মুসলিমরাও করতে পারে না।
    তবে আশেপাশের কাউকে হজরত মহম্মদ ভাবতে ঘৃণা হয়। তাই ঈদ আপন না।

    পুজোতে শিল্প দেখো। ভালো। ঈদে কি শিল্প দেখব! তোমাদের ছাগল দাঁড়ি? তোমাদের দুর্বোধ্য আরবী চিৎকার।
    হ্যাঁ, তোমাদের সেমুই লাচ্ছা ভালো খেতো। তবে তার জন্য তোমাদের মসজিদে দৌড়তে বাঙালি কোন যুগেই interested ছিল না। আর Interested হবেও না। তাই তোমাদের ঈদে কেন দুর্গাপুজোর মত আনন্দ করবে না বাঙালি, এই সব বলে বাল বিচি বকা বন্ধ করো!
  • b | ***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১৫82012
  • স্ক্রীণশট ইত্যাদি নিয়ে এইরকম পাবলিকদের এগেন্সটে কম্প্লেন করা যায় না?
  • r2h | ***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০৪82013
  • চারদিকে এরকম বিদ্বেষ ছড়ানো রক্তপিপাসুদেরই ভিড় বেড়েই চলেছে।

    আইনে প্রভিশন থাকলে অভিযোগ করাই উচিত, আর কিছু না হোক প্রতিবাদটা লিপিবদ্ধ থাকবে।

    মুশকিল হলো, এই যে আমি বললাম অভিযোগ করা উচিত, এবার আমি নিজে কি আর সেসব করবো, বা তার জন্যে থানা পুলিশ আদলাতে যাবো? তা যাবো না, অন্য কেউ যাবে সেই অপেক্ষায় থাকবো, আর এরা আমার ও আমার মত আরো অনেকের, যারা এই ঘৃণা প্রচারের বিরোধী কিন্তু অ্যাক্টিভিস্ট নই, তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে বিষ ছড়াবে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন