এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সুমনা এবং...

    সেখ সাহেবুল হক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ | ১৬৮৪ বার পঠিত
  • চার বছরের শিশুর সহপাঠীর উপর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। খবরটা শুনে বারবার মনে হচ্ছিলো ক্লাস ফোর হলেও ব্যাপারটা কি বিশ্বাস করতে পারা যায়!

    ছোটবেলা থেকে প্রচুর অল্পবয়সে পেছোনপাকা ছেলে দেখেছি। কামড়ে দেওয়া, জামাকাপড় টেনে খুলে দেওয়া, অনুসন্ধিৎসু হয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়ার প্রবনতা বা দেখে অবাক হওয়ার ঘটনা অনেকসময় নজরে এসেছে। তাইবলে ধর্ষণ! ‘ধর্ষণ’ শব্দটা লিখতেই রুচিতে বাধছে।

    সুমনা আমার বান্ধবী। বাড়িতে টাকাপয়সার টানাটানি না থাকলেও নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন পড়ায়। সন্ধেয় বাড়িতে সিরিয়ালের দাপাদাপিতে বড্ড বোরিং লাগে বলে বাড়ি থেকে কিছু দূরে দুই যমজ ভাইকে পড়াতে যায়। প্রথম দিন থেকেই বাচ্চাগুলোর মধ্যে অদ্ভুত অস্বাভাবিক ব্যাপার লক্ষ্য করে। ‘মিস তোমার মিমি দেখবো’, ‘মিস তোমার পোঁদু দেখাবে?’ জাতীয় আবদার পাঁচ বছরের বাচ্চাদের কৌতুহল ভেবে সে ছেড়ে দিয়েছে প্রথমপ্রথম। আমায় বলাতে, আমি হেসে উড়িয়ে বললাম কিছু কিছু বাচ্চারা অমন একটু দুষ্টুমি করে। ইগনোর কর। তুই ওইসব কথা বলার সুযোগই দিবি না। তবে সাবধানে থাকিস।

    কিন্তু সুমনা অবাক হয় ওদের দিনের পর দিন বাড়তে থাকা দুষ্টুমিতে। “মিস আজ ওড়না পরে আসেনি, মিমি দেখা যাবে রে ভাই”। একজন আরেকজনকে এমন বলছে। সুমনা অবাক, পাঁচ বছরের পুঁচকে বাচ্চারা সচেতন যে গৃহশিক্ষিকা ওড়না পরে আসেনি তার স্তন দেখতে পাবে।
    এছাড়াও বাচ্চাগুলোর মধ্যে হিংস্র মানসিকতা প্রবল। কখনও গৃহশিক্ষিকার পিঠে পেনসিল ফুঁটিয়ে দেওয়া, চুল ধরে টেনে ধরায় তাদের অন্যরকম আনন্দ।
    ‘মিস তোমার গলা খাবো’, ‘মিস তোমার মুখ খাবো’। প্রথম প্রথম সুমনা বুঝতে পারতো না। তারপর বুঝলো গলা খাওয়া মানে গলায় চুমু খাওয়া, মুখ খাওয়া মানে ঠোঁটে চুমু...। খুব হাসলেও ব্যপারটা নিয়ে তদন্ত শুরু করলো।
    - “কোথায় শিখেছিস এসব? কে শিখিয়েছে?”
    - “দেব অমন গলা খায়, মিস তুমি দেখোনি? ভাই দেখ মিস দেখেনি”। বলেই ভাইয়েভাইয়ে জড়াজড়ি চালু!

    সবকিছু শুনে পরামর্শ দিলাম, ‘ছেড়ে দে টিউশন। তোর তো পড়াতেই হবে মানে নেই’। সুমনা একগাদা দায়িত্ববোধ নিয়ে বললো, ‘ছেড়ে তো আমি দিতেই পারি। কিন্তু বাচ্চাগুলোর মা-বাবা চাকরি করেন। ঠাকুমা শুয়েই কাটান। আমি কদিন চেষ্টা করি ওদের সামলানোর। না হলে ছেড়ে দেবো’।

    তারপরেও বাচ্চাগুলোর দুষ্টুমি বাড়তে থাকে। ‘নোংরামি’ শব্দটি লেখা যায় কিনা আমার জানা নেই। ‘প্যান্ট খুলে প্রাইভেট পার্ট হাতে নিয়ে নাড়াতে নাড়াতে দুই ভাইয়ের অসভ্যতা। ভাইদের একে অন্যকে চুমু খাওয়া এবং আরো কিছু বাজে ব্যাপার সুমনা আমাকে জানালে আমি ওদের বাড়িতে জানাতে বললাম।

    সুমনা হাবেভাবে বোঝাতে চাইলেও মায়ের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। উল্টে সুমনার নামে বদনাম করলো বাচ্চাগুলো। ‘মিস পড়ায় না...’ ইত্যাদি।

    সুমনা বাচ্চাগুলোর কাছে জেনেছিলো তারা টিভি দেখে শিখছে। কিন্তু এই বয়সে ওইভাবে প্যান্ট খুলে নগ্নতা প্রদর্শন, শিক্ষিকার শরীরের প্রতি আকর্ষণ বা ভাইয়ে ভাইয়ে যৌনতার চেষ্টা স্বাভাবিক নয়।

    ‘মিস তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পেটুপেটু করো?’, ‘ভাই চল আমরা পেটুপেটু করি’।
    এই ‘পেটুপেটু’ করার টনটনে আগ্রহ আগামীতে কি পরিস্থিতির সঞ্চার করতে পারে জেনে ভয় হয়। পেনসিল ফোঁটানো বা ওড়না এবং চুল টানার চেষ্টাগুলো সুমনার মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করে।

    একটা বাড়িতে বাবা মায়ের ছদিন অনুপস্থিতি। গৃহশিক্ষিকার সুস্থ শিক্ষাকে ঢেকে দিতে তৎপর পুলিশ ফাইলস, ক্রাইম পেট্রোল বা সত্যঘটনা অবলম্বনে ওদের মনে প্রভাব ফেলছে তা বলাই বাহুল্য।
    সিরিয়ালে কোন হিরো কোন হিরোইনকে ‘পেটুপেটু’ করেছে, তাও নাকি ওদের আলোচনার বিষয়।

    টিভিতে ধর্ষণের চিত্রায়ন, হিংস্রতার পাঠ সুমনার ওদের সুস্থপথে চালানোর চেষ্টাকে হয়তো গিলে নেবে।

    গত দুমাস ধরে এসব ঘটে চলা ঘটনা লিখবো ভাবছিলাম। কিন্তু কি বার্তা যাবে ভেবে লিখিনি। চারবছরের শিশুটির ঘটনাটি পড়ে মনে হলো এসব সামনে আনা দরকার। সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি ঠিক কি তদন্ত প্রয়োজন। বাচ্চাদের আরো সময় দেওয়া, টিভির হিংস্রতা থেকে দূরে রাখা, যৌনতার পাঠ খুব সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো ইত্যাদি।

    ভাবতে ভালোলাগে সুমনা আমার বান্ধবী। যে বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে দেয়নি। যতটুকু সময় পায় ওদের সুস্থশিক্ষার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করছে।

    সুমনা একটা কথা প্রায়ই বলে - “না দেখলে আমিও বিশ্বাস করতে পারতাম না। এই বাচ্চাগুলোর কথা ওদের বাবামাও বিশ্বাস করবে না। উল্টে লোকজন আমার ক্যারেক্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলবে…”।

    জানি না কি ঘটছে চারপাশে!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ | ১৬৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:০৬60021
  • জানিনা, কী কারণ হতে পারে। এদের তো সত্যিই মনস্তত্ত্ববিদের কছে নিয়ে যাওয়া খুব দরকার।
  • de | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:৩৪60022
  • এক্কেবারে একইরকম একটা ঘটনার কথা মনে পড়িয়ে দিলো -

    ক্যাম্পাসের মধ্যের একটা স্কুলে গত বছর খুবই হইচই হয়েছিলো। ক্লাস টুয়ের দুটো বাচ্চা ছেলে তাদেরই ক্লাসের মেয়েদের নানাভাবে হ্যারাস করছিলো। কারোকে মুখ চেপে টয়লেটে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো, কারোর স্কার্টের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছিলো, জোর করে চুমু খাচ্ছিলো- মেয়েদের কমপ্লেনে মায়েরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে দল মিলে গিয়ে প্রিন্সিপ্যালকে বলে। প্রিন্সিপ্যাল সেই ছেলেদের বাবা দুজনকে ডেকে পাঠালে বাবারা খুবই ক্যাজুয়ালি বলে যে লেড়কালোগ থোড়া অ্যায়সাহি হোতে হ্যায় - অর কিয়া ভি ক্যা হ্যায়, থোড়াসা ছেড়ছাড়হি তো কিয়া! দুই ফ্যামিলিই ইউপির - মায়েরা (যাদের অনেকেই আমার জুনিয়র বন্ধু) তারা কি করবে ভেবে না পেয়ে প্রিন্সিপ্যালকে বলেছিলো - এই দুইবাচ্চা আর তাদের পুরো ফ্যামিলি শুদ্ধ কাউন্সেলিংয়ে না পাঠালে স্কুলে বাচ্চাদের আর পাঠাবো না। এই দুটো বাচ্চা অন্য বাচ্চা ছেলেদের সঙ্গেও খুবই খারাপ ব্যবহার করে, তবে সেটা ওই মারধোর এবং টয়লেটে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া গোছের। স্পেসিফিক্যালি মেয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে এরা একেবারেইঅন্যরকম অ্যাবিউজিভ। বাড়িতে দেখেই তো বাচ্চারা শেখে- এদের বাবাদের দেখলেই তা বোঝা যায়!
  • রৌহিন | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২৫60024
  • শিশুদের যৌনতাবোধ নিয়ে কিন্তু আমাদের ধারণা খুবই কম - এবং আমরা অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ দেখলেও ট্যাবু প্রসূত ডিনায়ালে চলে যাবার চেষ্টা করি। শিশু-মনস্তত্ত্ববিদদের উচিৎ এই বিষয়গুলি এড়িয়ে না যাওয়া। আমার ব্যক্তিগত ধারণা ছয়-সাত বছর বয়সের পর থেকেই শিশুদের যৌনবোধ তৈরী হতে শুরু করে - যদিও তা সচেতনতার রূপ নিতে আরো দু-তিন বছর লেগে যায়। কাজেই ফোর-ফাইভের বাচ্চাদের কিন্তু যৌনতাবোধ মোটামুটি থাকেই। এবারে যৌন হিংস্রতা অনেকটাই বাচ্চার বেড়ে ওঠার পরিবেশের ওপর নির্ভর করে - তারা কী দেখছে, কী শুনছে, বাড়িতে কী পরিবেশ পাচ্ছে, কতটা ট্যাবুর শিকার হচ্ছে এগুলোই যৌন বিকৃতির মাত্রাকে নির্ধারণ করে। বস্তুতঃ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও যৌনবিকৃতি আসলে একধরণের ছেলেমানুষী - যৌনতাকে ঠিকভাবে বুঝে উঠতে বা হ্যান্ডল করতে না পারার ফল।

    জ্যোতি সিং ধর্ষণকান্ডে আমরা দেখেছি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটিই সবথেকে বেশী হিংস্রতা দেখিয়েছে। এবং এটা নতুন কিছু নয় - ধর্ষণের অভিযুক্তরা যে বয়সেরই হোন না কেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের যৌন অভিজ্ঞতায় ঘাটতি রয়েছে। এগুলি নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। অল্প বয়স থেকে যৌন শিক্ষা খুবই প্রয়োজনীয় - এবং তা যথাসম্ভব ট্যাবু-বর্জিত হওয়া প্রয়োজন। এটা স্বীকার করা দিয়েই শুরু হোক যে ক্লাস ফোরের বাচ্চার মধ্যে অবশ্যই যৌনতার বোধ থাকতে পারে - স্বাভাবিকভাবেই পারে। সেটাকে অ্যাড্রেস করা একটা প্রাপ্তবয়স্ক সমাজের দায়ীত্ব
  • পাই | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:৪০60025
  • ক্লাস ফোর আর বয়স ফোরের মধ্যে কিন্তু অনেক তফাত।
  • রৌহিন | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:১৭60026
  • সেটা একশোবার - চার বছরে হলে সেটা অস্বাভাবিক তো নিঃসন্দেহে। তবে খুব অসম্ভব নয় - ব্যতিক্রমী হলেও
  • Anjan Bhattacharya | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ১২:০৬60023
  • অসভ্য লোকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩২60028
  • এই সব ফ্র‍্যাকেস্টাইন আমরাই তৈরি করছি! :/

    https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1411488
  • amit | ***:*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২৯60027
  • খুব খারাপ লাগলো পড়ে আপনার বন্ধুর জন্য। কিন্তু মনে হয় আপনার বন্ধুকে বলুন হয় সরে আসতে , নাহলে সম্ভব হলে লুকিয়ে ফোন এ রেকর্ডিং করে রাখতে। দিনকাল যা, উনি ভালো করতে গিয়ে নিজে ফেঁসে যেতে পারেন।
  • Ishan | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:০৯60032
  • ওহো ভাটে এই লেখাটার কথা বলছিলাম। নাম্টাই এমন, যে বুঝতে পারিনি, এটাই সেটা। :-)
  • ch | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১৩60029
  • সময়োপযোগী লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর শুধু ইউ পি-বাসীদের কথা বলে আর কি হবে, ফেবূ-তে চোখে পরলো তথাকথিত শিক্ষিত বাঙ্গালীর দল (অনেকে আবার গুরুভাই গুরুবোন-ও বটেন) এই ঘটনার পক্ষে অনেক সুন্দর যুক্তি খাড়া করেছেন। কেউ বলছেন "এসব ডাক্তার-ডাক্তার খেলা, অনেকেই শিশুকালে খেলে থাকে" !!!! কেউ বলেছেন "মেয়েটি-র উচিত ছিলো চিত্কার করা" - কয়েক্জন আবার এসব তত্ত্বের প্রবক্তাদের পক্ষে যুক্তি সাজাতে ব্যস্ত - জানিনা নিজেরা পুত্র সন্তানের পিতা মাতা হবার সুত্রে এই ব্যাখ্যান নাকি সত্যিই কিছু বাঙ্গালীও তথাকথিত ইউ পি-বাসীদের মতই বিকৃত মানসিকতার।
    শিক্ষা সর্বদা চেতনা আনেনা তাহলে ঃ-(
  • Arindam | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৫০60030
  • একেবারে সময়োপযোগী লেখা ।
    " গৃহশিক্ষিকার সুস্থ শিক্ষাকে ঢেকে দিতে তৎপর পুলিশ ফাইলস, ক্রাইম পেট্রোল বা সত্যঘটনা অবলম্বনে ওদের মনে প্রভাব ফেলছে তা বলাই বাহুল্য।" এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে Social Media র সঙ্গে অবাধ সংযোগ - বিশেষতঃ youtube এর। আজকাল দেড়-দু বছরের শিশুদের ও বায়না সামলানো, ভুলিয়ে খাবার খাওয়ানো ইত্যাদির অছিলায় স্মার্ট ফোন ও ট্যাবলেটে করে এই বিষ হাতে তুলে দিচ্ছি আমরা - আধুনিক gadget savvy/ freak বাবা-মায়েরা। কোনও রকম censor ছাড়াই এরা হাতের নাগালে পাচ্ছে হিংস্রতার পাঠ - nursery rhymes এর মোড়কে ( এ একেবারে আমার প্রত্যক্ষ করা সত্য)।
    আমাদের নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যত্‌ প্রজন্মের ব্যাপারে আরও যত্নশীল, আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত্‌, কিন্তু busy schedule এর বাইরে এসে এদেরকে দেওয়ার মত সময় বা স্পৃহা আমাদের কোথায়?
  • pi | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৫৩60031
  • নার্সারি রাইমসের মোড়কে হিংস্রতার পাঠ বলতে ?
  • esrb | ***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:০৬60035
  • esrb বলে একটি অর্গানাইজেশন আছে (আমেরিকা), তারা ভিডিও গেমস এর বয়স অনুযায়ী রেটিং করে থাকে, অর্থাৎ কোন গেমে কোন বয়সের নিচে খেলা উচিত নয়। ইউরোপ ও সেরকম organization আছে, pegi । এখন ভিডিও গেম এ ভায়োলেন্স আছে, সে তো টিভি সিরিজ বা মুভিস ও আছে। বাচ্চা সেক্স, ভায়োলেন্স etc যুক্ত টিভি বা মুভি দেখছে কিনা, সেটা দেখা যেমন বাবা মা এর দায়িত্ব, তেমনি ভিডিও গেমস এর ও তাই। সেটা নিয়ে বাবা মা দের (ভারতীয়) আরো এডুকেটেড হতে হবে।
  • Arindam | ***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৪60033
  • pi এর প্রশ্নের উত্তরে - youtube এ বেশ কিছু এমন content আছে যেখানে nursery rhymes এর গানের audio পরিবেশিত হচ্ছে সম্পূর্ণ সঙ্গতিহীন video এর অনুষঙ্গে( recommended search এর মাধ্যমে চলে আসে) যে video তে সুপারহিরো রা বিভিন্ন উপায়ে সুপারভিলেনদের দুরমুশ করছে অথবা Tekken জাতীয় গেম এর clippings ব্যবহৃত হচ্ছে। youtube এ এগুলি filter করা দুঃসাধ্য আর একটা দেড় - দুই - আড়াই বছরের শিশুর পক্ষে violence এর পাঠ হিসাবে এগুলি যথেষ্ট "উপযোগী"।
  • Blank | ***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:০৩60036
  • এই তো esrb লিখে দিয়েছেন
  • ঈশান | ***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪০60037
  • অপ্রিয় কথা হবে, তবুও লিখি। প্রথম কথা হল, এই মহিলার পড়ানোর পদ্ধতি একেবারেই ঠিক না। আমি কোনোদিন কোনো ইশকুলে পড়াইনি, তবু বলতে পারি, যে, এই "বন্ধুর মতো" নামক একটি পড়ানোর/বাচ্চা বড়ো করার গপ্পো শুরু হয়েছে, এটি আদ্যন্ত গোলমেলে। বস্তুত বাচ্চা পড়ানো, বিশেষ করে এত ছোটো বাচ্চা পড়ানো মানে তাকে ট্রেন করা। তার বন্ধু হওয়া নয়। ট্রেন করতে করতে বন্ধুত্ব হয়ে যাবারই কথা, কুকুরের ট্রেনারের সঙ্গে বোধহয় কুকুরেরও হয়, কিন্তু সেটা পদ্ধতির ফলাফল, পদ্ধতি নয়। ট্রেন শব্দটার উপর জোর দিচ্ছি, কারণ, বুড়োদের চেয়েও বাচ্চারা সবসম্যই অনেক বেশি ম্যানিপুলেটিভ। তাদের উপরে যদি একটি সীমারেখা আপনি আরোপ করার চেষ্টা করেন, তো তারা সর্বদা নানা উপায়ে সেটা টপকানোর চেষ্টা করবে। আপনি যদি বলেন, এই মোবাইলটা ধোরোনা, তাহলে প্রথমে এক-আধবার ধরার চেষ্টা করে দেখবে, ফলাফল কী হচ্ছে। বকাঝকা খেলে মিষ্টি হেসে ভুলিয়ে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করবে। তাতেও না হলে অঝোরে কেঁদে-কেটে, ঠোঁট ফুলিয়ে দেখবে কী হয়। এইগুলোকে "বন্ধুর মতো" হ্যান্ডল করা যায়না। একটা শৃঙ্খলা আরোপ করতে গেলে কজ অ্যান্ড এফেক্ট দিয়ে করতে হয়। যদি মোবাইলে হাত দাও তো তোমার প্রিয় বইটা এক ঘন্টা পাবেনা। বা ঘরের কোনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাক্তে হবে ১০ মিনিট। পুরোটাই অথরিটি এবং সেটা আরোপ করার গল্প। "বন্ধুর মতো" বুঝিয়ে সুঝিয়ে "বাবা মোবাইলটা ধোরোনা" বলে কোনো বাচ্চাকে আজ পর্যন্ত বিরত করা যায়নি, যাবেনা।
    এটা অবশ্যই পড়াশুনো প্রসঙ্গে না। পড়া বোঝানোর সঙ্গে অথরিটির কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে সবরকম প্রশ্ন এনকারেজ করাই উচিত। কিন্তু "মোবাইল হাতে নেবেনা", "বদকম্মো করবেনা" এগুলোতে অথরিটি ছাড়া অন্য কিছু কাজে লাগেনা।
    তা এই মহিলা, যেটা দেখছি, বেসিক অথরিটিটাই স্থাপন করতে পারেননি। আমাদের সময় হলে এইসব করলে ঠেঙিয়ে আধমরা করে দিত। সেটা খুব ভালো পন্থা নয়। নানা কারণে। কিন্তু তাতে অথরিটিটা বজায় থাকত। কোনটা কোথায় করা যায়, আর করা যায়না, সেই বোধটা তৈরি হত। এখন ঠ্যাঙানি উঠে যাবার মানে এই নয়, যে, অথরিটির প্রয়োজন ফুরিয়েচে। এখন স্রেফ বন্ধু বন্ধু খেলা। তা একেবারেই না। অথরিটিটা এখন অন্যভাবে এস্টাবলিশ করার কথা। পড়ে যা বুঝলাম, বাচ্চাগুলোর নানা আচরণ রীতিমতো সহ্য করা হয়েছে। প্রথমেই যেখানে "এগুলো চলবেনা" এই বাউন্ডারিটা তৈরি করার কথা ছিল। সেটা একেবারেই হয়নি। বরং সহ্য করা হয়েছে, কৌতুহল প্রকাশ করা হয়েছে। বাচ্চারা উৎসাহ পেয়েছে। যেহেতু ম্যানিপুলেটিভ, এবার তার মাত্রা বাড়তেই থাকবে। বাড়ছেও। এতে করে কারোঅই কোনো উপকার হচ্ছেনা। ওরা এইসব "বন্ধুর মতো" আচরণে কিছু শেখেনি। শিখবেও না। সীমারেখা না টানায় সেটাও শিখছেনা। এই না শেখার দায় টিভির না, বহির্জগতের না, সম্পূর্ণ শিক্ষিকার।
    তার মানে এই না, যে, বহির্জগতের কোনো দায় নেই। এবং শিক্ষিকা সম্পূর্ণ চোখ বুজে থাকবেন। শিক্ষিকার সমস্যা হল, সীমারেখা না টানায়। অথরিটি প্রতিষ্ঠা না করায়। সীমারেখাটা বাচ্চারা শেখেনি। এবং সীমারেখাটা টপকে বাড়াবাড়ি করতে বস্তুঅ একরকম করে তিনি উৎসাহিতও করেছেন (মানে পড়ে যা মনে হল)। কিন্তু আচরণগুলো তিনি শেখাননই। সেগুলো বাইরে থেকেই শিখেছে। ফলে সেখানে বাইরের জগতের দায় আছে। শিক্ষিকা সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন, সেটাও ভালো উদ্যোগ। আগেকার দিনে ঠ্যাঙানি দেবার ফলে এইসব জিনিসে বাচ্চারা মুখ খুলতেই সাহস পেতনা। ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অন্ধকারে থাক্তেন। সেটা মোটেই ভালো জিনিস না। ফলে জানাটা দরকার। কিন্তু সেটা দূরত্ব থেকে। একটা অথরিটির জায়গা থেকে। ডাক্তার যেমন পেট কামড়াচ্ছে কিনা জানে, কিন্তু তার জন্য রোগির সঙ্গে বন্ধুত্ব করার দরকার হয়না, সেইরকম।

    এক কথায়, কর্পোরাল পানিশমেন্ট উঠে যাবার মানে এই নয়, যে, বাচ্চাদের বকাঝকা শাসন করা যাবেনা। সেটা করা দরকার। নইলে বস্তুতই তারা সীমারেখা শিখবেনা। এবং মাথায় উঠে নাচবে। এখানে যেমন হয়েছে।
  • পাই | ***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১০:২৮60034
  • উপস। এমনিতেও নানা ভিডিও গেম্সের আমার খুব বেশি ভায়োলেন্স থাকে মনে হয়। বেশ কিছু কার্টুনেও।
    এবার সেখানে আবার সেই তর্ক চলে আসবে, ঠাকুর্মার ঝুলি জাতীয় আমাদের ছোটদের রূপকথার নিষ্ঠুরতা নিয়ে।
  • | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৫২60041
  • এখানেই দিই নাকি?
    http://www.tehelka.com/2017/11/seven-year-old-girl-sets-herself-ablaze-to-imitate-fire-dance-dies/

    হ্যাঁ খাইল মানে ঈশানের পোস্টটা। ঐ সীমারেখা টানার কথা বহুদিন আগে রঙ্গন বলেছিল, যথেচ্ছা যা খুশী করতে দিলে, একটুও বারণ/বকাবকি না করলে বাচ্চাদের উপরে তার ফল খতরনাক হয়ে দাঁড়ায়, এরকম কিছু একটা। একেবারে কথাগুলো মনে নেই। যাই হোক তারপরে গত কিছু বছর বাচ্চাদের সাথে "বন্ধুদের মত মিশতে' হয় এই ফ্রেজটা খুব চলছে। 'এই সময়', আনন্দবাজারে এই নিয়ে উপদেশ ইত্যাদি দেখেছি। আর এইটা নিয়ে আমি প্রচন্ডরকম চুকলিবাজি চলতে দেখেছি একটা সার্কলে। মানে কেউ কেউ সত্যিই এটা বিশ্বাস করেন, নিজ জীবনে হয়ত পালনও করেন। আর পেরেন্টিঙ্গ নিয়ে লোকের ম্যালা গম্ভীর মতামত থাকে, কাজেই সেসব বলেও থাকেন। আর সেই নিয়ে ঐ চুকলিবাজির বাড়াবাড়ি।

    এইবার ঈশান এই বন্ধুর মত মেশার একেবারে উল্টোদিকে গিয়ে একটা বক্তব্য রাখল, যেটায় অভি, বিয়িং আ বিশেষজ্ঞ, 'ক' দিয়েছে। তা আমার কিরম সন্দেহ হচ্ছে এইবার ঈশানের বক্তব্য নিয়েও ঐরকম কিছু একটা হবে। অভির 'ক' নিয়ে বোধহয় কিছু হবে টবে না।
  • pi | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:০২60042
  • হুম্ম। কিন্তু চুকলিবাজিটা কী ধরণের ? মানে বকাবকি করলেই খুব খারাপ , এরকম ?

    আমিও সকালে ঐ খবরটা পড়ে আঁতকে উঠে ভাটে দিলাম।

    যাহোক, অভি শুধু ক না দিয়ে একটু বড় করে লিখুক, সেদিন ভাটে যেটা লিখছিল, ঐ চার বছরে ক্রাইম করা যায় না ইমিটেশনই কেবল হতে পারে, সেসব নিয়েও। অভি মনে হয় এর আগে কোন একটা লেখাতে, দমদির লেখাতেই কি, প্যাম্পারিং , ওভারপ্রোটেকশনের ( বা অন্য কিছু ছিল, ক্কিন্তু সম্পর্কিত বিষয়) ফল নিয়ে কিছু স্টাডির কথা লিখেছিল ?
  • Du | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:৩০60043
  • এটাও জানতে চাই কেন নিজের ওপর কনসিকোয়েন্স হলেই তারা বুঝবে? অপর পক্ষ যে হার্ট বা বিরক্ত হচ্ছে বা ঐ ছোট বাচ্চা মেয়েটা যাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে সেটা সরাসরি বোঝা বা বোঝানো কি অসম্ভব?
    আরেকটা প্রশ্ন আমার ছেলেকে ঐ তিন নাগাদ সুপারমার্কেট এ আড়ালে লাথি মেরেছিল এক ছেলে গিয়ে দেখি জলভরা চোখে দাড়িয়ে আছে -দাদা লাথি মেরেছে। তারপরে ওকে সেল্ফ ডিফেন্স শেখানো হয় এবং দেখলাম যতই টিছারকে বলা ইত্যাদি থাকুক (যেতা কেউ ধারে কাছে থাকলে করতে বলতাঅম)উল্টো মারটাই বুলিদের মহৌষধ। চার বছরেই কি এই বুলি হবার প্রক্রিয়াটা সম্পুর্ন হয়ে যায়?
  • | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:১২60039
  • খাইসে!
  • ঈশান | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৩১60044
  • দয়া-মায়া সেন্সিটিভিটি এগুলো তো শিখতে হয়। একটা বাচ্চাকে হাতে প্রজাপতি ধরিয়ে দিন, ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। ফেলবেই এমন না, তবে ফেললে কোনো বিকার হবেনা। রক্ত দেখলে তারা ভির্মি খায়না, বরং একটু চেটে দেখতে পারে। হাতে বুলবুলি ধরিয়ে দিলে মুন্ডু ছিঁড়ে নিতে পারে, এবং তার জন্য কোনো অপরাধবোধ হবেনা। আমি দুই বছরের নিচের বাচ্চাদের কথা বলছি।

    এগুলো কোনোটাই 'নিষ্ঠুরতা' নয়। দয়া-মায়ার মতো নিষ্ঠুরতাও শিখতে হয়। যেমন ধরুন মশা মারা নিষ্ঠুরতা নয়, কিন্তু বেড়াল মারা নিষ্ঠুরতা, এ তো বাইরে থেকে কেউ শিখিয়ে না দিলে বোঝা অসম্ভব। পিঁপড়ে মারা সামান্য ব্যাপার, বাঘ মারা বীরত্ব, আর বাঘের মতো কুকুরের গায়ে হাত বোলাতে হয় -- এও খুব জটিল ব্যাপার। এমনকি আমাকে চিমটি কাটলে আমার ব্যথা লাগে, অতএব অন্যকে চিমটি কাটলে তারও লাগবে, এই লজিকাল কলক্লুশনও সহজ ব্যাপার নয়। আয়নায় নিজেকে দেখছি, এটা শিখতেই বাচ্চার অনেক সময় লাগে, অন্যরা মোটামুটিভাবে আমার প্রতিবিম্ব এ তো রীতিমতো ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস।

    এই শেখার পদ্ধতিটা অন্তত বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত চলতেই থাকে। চার তো অতি সামান্য ব্যাপার।
  • avi | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২৩60038
  • ক।
  • pi | ***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২৯60040
  • কীসে খাইল ?
  • aranya | ***:*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৩60046
  • বাচ্চার সাথে বন্ধুর মত ব্যবহার -ব্যাপারটা এমন সরলরৈখিক নয় তো।
    কর্তৃত্ব আর ব্ন্ধুত্ব দুটো ই থাকার কথা, সন্তানের সাথে মা-বাবার ব্যবহারে। আর অফকোর্স স্নেহ, মমতা এসব তো আছেই।

    বাচ্চার বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবা-মা অথবা অভিভাবকের ব্যবহারে কতৃত্ব কমে, বন্ধুত্ব বাড়ে
  • aranya | ***:*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৪60047
  • অভি আবার লিখতে শুরু করায় খুবই খুশি হয়েছি
  • avi | ***:*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৪৯60045
  • ব্যাপার মোটামুটি এরকমই। লার্নিং এবং ট্রেনিং চলেই। বস্তুত এই কগনিটিভ এবং ইমোশনাল পরিণতি আসতে দেরি হয়, এবং এদের মধ্যে একটা মিসম্যাচ থাকে - এটাই বাচ্চাদের আলাদাভাবে ট্রিট করা এবং প্রটেকশন দেওয়ার বেসিস। কগনিটিভ পরিণতি বলতে আমার ব্যবহারের কী কী ফলাফল হতে পারে বোঝা এবং সেটা সোসাইটি মেনে নেবে কিনা আন্দাজ করা। ইমোশনাল পরিণতি অর্থে অন্যের শরীরী ভাষা বুঝে তার অনুভূতি বিষয়ে বোঝা, আঘাত দিলে লজ্জা ও অপরাধবোধের অনুভব। প্রথমটা সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে আসে, দ্বিতীয়টা আরো পরে, ফিক্সড সময় নেই, আরবিট্রেরি আঠারো বছর ধরা হয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। মানসিক দিক থেকে এগুলো হচ্ছে child, adolescent আর adult -এর সীমানাজ্ঞাপক চিহ্ন। অবশ্যই, সব বাচ্চার হুবহু এরকম হবে না। আবার ফ্লিন এফেক্ট মানলে প্রজন্মান্তরে সাক্সেসিভ কোহর্টে সেটা এগিয়ে আসতেই পারে। পরিবেশের ফ্যাক্টরও রয়েছে। উইকেন্ডে বিস্তারে আসছি।
  • Shakhawat Babon | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:১৭60048
  • যথাযথ শাস্তি হচ্ছে না বলেই এই অবস্থা । ধর্ষণের শাস্তি হোক নুনু কেটে ফেলা । দেখবেন সব বন্ধ হয়ে যাবে ।
  • | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৫০60049
  • কিন্তু নুনু কাটলে তো সেক্যুয়াল আর্জ কমে যায় না। তখন নুনুকাটা ধর্ষকেরা পেন্সিল পেন আরো সব হোয়াট নট থিংস ব্যবহার করতে থাকবে না? সেটা আরো বেশী ডেন্জারাস হবে না?
  • | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৫১60050
  • সেক্শ্যুয়াল আর্জ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন