এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মায়ের কাজ

    Durba Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২০৮১ বার পঠিত
  • আমি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত স্বনির্ভর মহিলা। অন্য পরিচয় আমি একজন স্কুল পড়ুয়া শিশুর মা। রাজনীতিতে আগ্রহ থাকলেও সক্রিয়ভাবে কখনো কিছু করে ওঠা হয়নি। তবে বামপন্থী বাড়িতে বড় হবার সুবাদে শ্রেণী সংগ্রাম শব্দবন্ধটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। যত বয়স বাড়ছে তত বেশি করে রাজনীতির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শ্রেণীর মানুষজনের মধ্যে কাজকর্ম, সুযোগ সুবিধা, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই দুচার কথা লিখতে বসা।

    আমাদের দেশে মেয়েদের বড় করা হয় শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর জন্য। না, শহুরে শিক্ষিত পরিবারের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের অন্যথা বিশেষ হয় না। ছোট থেকেই দেখেছি পরিবারের ঘেরাটোপে আমরা সবচেয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করি। আমার মা চাকরি করতেন না, বাবা সাধারণ চাকরি করতেন আর এতো বেশি আর্থিক দায়দায়িত্ব সামলাতেন যে ছোটবেলাটা আমাদের বেশ অনটনে কেটেছে। মা ঘর আর সন্তান সামলাতেন। পরিবারকে একটি একক ভাবলে আর্থিক আর সাংসারিক দায়ভার ভাগ করে নেবার এই বন্দোবস্তকে আপাতদৃষ্টিতে খারাপ মনে হয়না।

    নিশ্চিন্তির এই জীবন হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় এলোমেলো হয়ে গেল আর আমিও এক লাফে অনেকটা বড় হয়ে গেলাম। তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। বাবার অফিসে গোলমাল। ইউনিয়নের সঙ্গে মালিকপক্ষের মামলা চলছিল। সেই মামলায় ব্যাংক কর্মীরা হেরে গেলেন। বাবা বদলি হয়ে গেলেন বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সে সময় আমার মা অন্তঃসত্ত্বা। তাতে আমাদের বাড়িতে আমার আর মায়ের পক্স হয়েছিল। এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে অসুস্থ মা আর আমাদের ফেলে বাবাকে বিহারে চলে যেতে হল চাকরি বাঁচাতে। বাবা বরাবর পেটের অসুখে ভুগতেন। তাই তাঁর খাওয়া দাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু যেখানে বদলি হয়ে গেলেন, সেখানে যা পেতেন তা প্রায় সবই তাঁর খাওয়া বারণ ছিল। এক সময় সাংঘাতিক অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সহকর্মী সঙ্গে করে বাড়িতে দিয়ে গেলেন। সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন। নিজের হাতে জলের গ্লাসও ধরে খেতে পারতেন না। এদিকে ছুটি শেষ। মাইনে বন্ধ হয়ে গেল। আমরা অথৈ জলে পড়লাম। বাবার ডাক্তার মাকে বললেন, লোকটাকে আবার ফেরত পাঠালে মরে যাবে, আপনি কি কিছু একটু করতে পারেন না? মা বাবার অফিসে, আত্মীয় স্বজনের দরজায় দরজায় ঘুরল। কিছুই সুরাহা হল না। শেষমেশ বাবার ডাক্তার ব্যাংকের চেয়ারমানকে চেনার সুবাদে অনুরোধ করে বাবার কলকাতায় বদলির ব্যবস্থা করেন। আমাদের পরিবার কোনমতে বেঁচে যায়।

    এই ঘটনাটা আমাদেরকে অনেকটা বদলে দিয়েছিল। ভাল ছাত্রী, নিজের ভাল লাগা বিষয়ে কিছু করতে চাই বলে নয়, আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতেই আমাদের তৈরী করা হয়। যাতে মায়ের মত অবস্থায় আমায় পড়তে না হয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরেই বিয়ের কথা ভাবা হয়। এই অবধি গল্পটা আমার জন্য মন্দ ছিল না।

    আমাদের দেশে মাতৃত্ব একটু বেশি মাত্রায় গৌরবান্বিত। সন্তানের জন্ম দেওয়া এক অতি স্বাভাবিক কাজ। তাতে যে কি করে আমরা এতো মহৎ হয়ে যাই কে জানে। সন্তানের জন্মের পর মা বাড়ির বাইরে কাজে গেলে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারে, যেখানে বাবার আর্থিক সঙ্গতি আছে, ভীষণ ভাবে সমালোচিত হন। অনেকেই মনে করেন কর্মরতা মায়েরা সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তাই সন্তান অবহেলিত হয়।

    আমার নিজের গল্পটা একটু অন্যরকম। গৃহ হিংসার কারণে দীর্ঘ ৬ বছরের বিয়ে ভেঙে আমি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। আত্মসম্মানের কারণেই প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে একটি কপর্দকও নিয়ে আসিনি। আমার ক্ষেত্রেও সন্তানের মুখ চেয়ে এই সম্পর্কটিকে বজায় রাখতেই আমায় সবাই উপদেশ দিয়েছিল। অথচ আমার ৩ বছরের ছেলের মানসিক অবসাদ ধরা পড়ায় নামজাদা ডাক্তাররা আমায় অবিলম্বে বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে পরামর্শ দেন। ভেবে দেখুন, সন্তানের ভাল বলতে আমরা যা জেনে এসেছি তার অনেক কিছুই কিন্তু ভুল। একলা মায়ের সঙ্গে থেকে আমার সন্তান এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।

    না আমার গল্পটা খুব একটা বিচ্ছিন্ন গল্প কিন্তু নয়। আমাদের দেশে বহু মা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর নন বলে সন্তানকে নিয়ে গৃহ হিংসার অসুস্থ পরিবেশে পড়ে থাকতে বাধ্য হন। সন্তানের ওপর সেই পরিবেশের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। সন্তানের কাছে এর মানেটা দাঁড়ায়, যে কোনো মূল্যে বিয়ে বা পরিবার বাঁচিয়ে রাখাটা জরুরি। কাল যদি সন্তানের জীবনেও এরকম একটি অঘটন ঘটে, সে বেরিয়ে আসার সাহস পাবে কোথা থেকে? একজন স্বনির্ভর মা সে সাহস জোগাতে পারেন। নিজের জীবন দিয়ে।

    একলা মায়ের ক্ষেত্রে নাহয় আর্থিক স্বনির্ভরতা একান্তই জরুরি। তাহলে কি স্বামী স্ত্রী এক সঙ্গে থাকলে সন্তানের মায়ের রোজগার করতে যাবার প্রয়োজন নেই ? অবশ্যই আছে। আজকের দিনে বেশির ভাগ মানুষ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। অর্থাৎ রোজগার সম্পূর্ণ ভাবে বাজার নির্ভর। যে যোগ্যতার মাপকাঠিতে আজ আমরা ভাল চাকরি করছি, কাল হয়তো সেই যোগ্যতা বাজারে মূল্যহীন হয়ে পড়তে পারে। নিয়মিত খবরের কাগজে চোখ রাখলেই দেখবেন, মন্দা আর মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। বাজারের সঙ্গে তাল রাখতেই পরিবারে একাধিক রোজগেরে মানুষ থাকলে সুবিধে।

    এবার আসি মহিলাদের কাজের গুরুত্ব প্রসঙ্গে। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারে শাশুড়ি বৌয়ের টানাপোড়েন অতি পরিচিত ছবি। সংসারের চাবির দখল নিয়ে এই যে লড়াই, তার কারণ মূলত মহিলাদের নিজস্ব একটি পরিচিতির অভাব। আমরা সবাই অমুকের মেয়ে, অমুকের বৌ, অমুকের মা হয়ে থাকতে অভ্যস্ত। আমরা সবাই কিছু না কিছু পারি। আমরাও কিন্তু রাঁধুনি, শিল্পী, শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী কোন না কোন পরিচিতি পেতেই পারতাম। ঘর চালাতেও আমরা মহিলারা দিব্যি জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ শিখে নিই। নিজের উপার্জন থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, সঙ্গে আয় ব্যয় সঞ্চয়ের হিসেব নিকেশ আয়ত্তে আসে। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবার ক্ষমতা বাড়ে। যেহেতু আমাদের মেয়েদের দীর্ঘদিন ধরে পুরুষতন্ত্রের যাঁতাকলে মগজ ধোলাই হয়েছে, তাই বাইরের পৃথিবীটা নিজেদের চোখে সরেজমিনে দেখে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। নইলে মেয়ে বলে আমাদের যা যা করতে হয় বা করতে নেই, তার কোনটা কতটা যুক্তিসঙ্গত আদৌ জানা যাবে না।

    এবার আসি সন্তানের প্রসঙ্গে। কর্মরতা মায়েরা সন্তানকে সারা দিন সময় দিতে পারেন না এটা ঠিকই। কিন্তু তাতে সন্তানকে অবহেলা করা হয় কিনা দেখতে হবে। বাড়িতে থাকলেই সন্তানকে ভাল করে মানুষ করা যায় কি? আমার মা বাড়িতে থাকতেন, কিন্তু সমসাময়িক বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকায় আমায় সেভাবে তৈরী করতেই পারেননি। বাজার থেকে গেরস্থালি, ব্যাংকের কাজ থেকে অন্যান্য অফিসের কাজ, যৌন হেনস্থা থেকে গৃহ হিংসা কোন বিষয়টা কি ভাবে সামলাতে হয় আমায় শেখাতে পারেননি। অথচ এর একটাও না জানলে আমাদের চলে না।

    আমার সন্তান কর্মরতা মায়ের কাছে বড় হচ্ছে। কাজ সেরে বাড়ি ফিরলে যে মা ক্ষুধার্ত ক্লান্ত থাকে, মুখের কাছে এক গ্লাস জল এনে দিলে শান্তি পায় এই বোধটুকু তার শৈশবেই তৈরী হয়ে গেছে। অথচ আমাদের বাড়িতে থাকা মায়েদের ক্ষেত্রে আমরা এইটুকুই বুঝতে অনেক সময় নিয়েছি। আশা রাখি ভবিষ্যতে আমার সন্তানের কর্মরতা স্ত্রী বাড়ি ফিরলেও আমার সন্তান একই ভাবে তার পাশে থাকবে। খরচ আর পরিশ্রম, দুটো বিষয়েই চাকুরিরতা মায়ের সন্তানেরা অনেক বেশি ওয়াকিফহাল। আমাদের সব যুদ্ধ তো ওদের জন্যই। সেই যুদ্ধে ওরা যদি ছোট থেকেই আমাদের পাশে থাকে, তাতে বোঝাপড়া মজবুত হয়। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে শেখাও ভবিষ্যতে স্বনির্ভর হতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ঘরে থাকা মায়েদের আদর যত্নে আমরা অনেকেই সময়মতো সেসব শিখিনি।

    আমাদের মত কর্মরতা মায়েদের সন্তানেরা হয়তো নিত্য ভাল মন্দ রান্না খেতে অভ্যস্ত নয়। কিন্তু পুষ্টির জন্য আদৌ সেসব জরুরি কি? তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি বিষয়ে চাকুরিরতা মা তাকে সাহায্য করতে পারেন। আমাদের মত মায়েদের নিজেদের একটি জগৎ থাকায় সন্তানের জগতে বেশি জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাতে পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে সহাবস্থান সুবিধাজনক হয়।

    পরিসংখ্যানের বিচারেও আমার পরিচিত মহলে দেখি কর্মরতা মায়ের সন্তানেরা জীবনযুদ্ধে যথেষ্ট সফল। লিঙ্গ রাজনীতির দিক দিয়ে দেখলেও কর্মরতা মায়ের সন্তানেরা মহিলাদের সম্পর্কে অনেক বেশি সংবেদনশীল হন। দেশের গৃহ আর যৌন হিংসার সংখ্যার নিরিখে এই বিষয়টার গুরুত্ব অপরিসীম। মনে রাখতে হবে আজ দেশে যত পুরুষ মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচারের দায়ে দোষী, তারা সবাই কোন না কোন মায়ের সন্তান, মায়ের আদর যত্নে বড় হয়েছেন। এই মানসিকতা বদলাতে হলে আগে মায়েদের মনের প্রসার প্রয়োজন।

    সব মিলিয়ে বলতে পারি যত মেয়ে রোজগার করে স্বনির্ভর হবেন, তত সমাজ উপকৃত হবে। মহৎ মাতৃত্বের মেকি মুকুটটি আসলে পুরুষতন্ত্রের একটি চালাকি মাত্র। মহিলারা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন তত ভাল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২০৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুশান | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৪65402
  • গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
    সহজ ভঙ্গিতে সমস্যাটা ধরেছেন।
    পুরনো চিন্তাধারা আমাদের মধ্যে ষোল আনা জাঁকিয়ে বসে আছে। এই প্রাচীন চিন্তাধারার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন।
    ধন্যবাদ।
  • জগদীশ মাইতি | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৬65403
  • এইজন্যই উচিত, সব বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার পাশাপাশি, স্বনির্ভরতার পাঠটাও দিন ! বিশেষ করে কন্যাসন্তানদের ক্ষেত্রে ! আজ আপনি স্বনির্ভর বা মনের অসাধারণ জোর ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন ! তাদের কথা ভাবুন তো , বিয়ে দিয়ে যারা হাত ধুয়ে ফেলেছে !
    সেই মেয়েগুলি যাবে কোথায় ? তাদের আর মা-বাবা-ভাই-বোন কেউ নেই যে ! তাই আপস করতে তারা বাধ্য হয় ! এটাই নিয়তি বলে মেনে নিয়ে এক রোবোটিক জীবন যাপন করতে করতে একসময় মরে যায় !
    পুত্রসন্তানদেরও যদি প্রকৃত শিক্ষা শৈশব থেকেই না দেওয়া যায় , তাদের মধ্যেও অপরাধপ্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে , যা আমরা প্রথম প্রথম শিশুসুলভ বলে আমল দিইনা , কিন্তু বড় হয়ে তারই বহিঃপ্রকাশ বিভিন্ন মাত্রায় হতে থাকে ! প্রভুত্ব , লাম্পট্য , নেশাসক্তি , অত্যাচারপ্রবণতা -- এই অপরাধমূলক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বীজ শৈশব-বাল্য-কৈশোর থেকেই তাদের মনে বোনা হয়ে যায় , আমাদের লক্ষ্যে বা অলক্ষ্যে , আমরা প্রথমে দেখেও দেখিনা, যখন দেখি, তখন আর ফেরার বা ফেরানোর পথ থাকেনা --- এটাই দুঃখের !
  • pi | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫১65404
  • এইজন্য বলে না, মেয়েদের এমনিতেই স্বনির্ভরতার পাঠ দিন। ছেলেদের যেমন দেওয়া হয়, ঠিক তেমন। কারণ ছেলে আর মেয়ে আলাদা নয়, খুব সিম্পল এই কারণটার জন্যেই দিন।
  • | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪১65405
  • চমৎকার আন্তরিক লেখা। দু এক জায়গায় খুব সামান্য দ্বিমত, সে পরে কখনো আলাপ করা যাবেখন।
  • রাম শঙ্কর ভট্টাচার্য | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:০৯65406
  • এটি একটি বাস্তব এবং জ্বলন্ত সমস্যা। বহু মহিলা এই সমস্যার ভুক্তভোগী। আমার পরিচিত অন্তত দু’জন মহিলা শিয়াল কুকুরের ঝামেলা এড়াতে আবার বিয়ে করেছেন। তাদের জীবন থেকে জেনেছি বিশেষ সমাধান কিছু হয় নি। আমার জানা নেই সমস্যার সমাধান।
  • deera | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:০৭65395
  • ধন্যবাদ , অত সহজ ভাবে এই কথাটা বলর জন্য।
  • স্বাতী | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:৩৩65396
  • এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে এই কথা গুলি বলার জন্য Durba Mukherjee তোমায় অনেক ধন্যবাদ। একেবারে মনের কথাগুলিই বলেছো।
  • amit | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:০৯65397
  • খুব ভালো লাগলো পড়ে।
  • প্রতিভা | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:১৫65398
  • একেবারে ভেতর থেকে লেখা ! কঠিন সমস্যার কথাগুলো এত সহজে বলা যায় !
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৩০65399
  • নিজের অভিজ্ঞতা নিংড়ে লেখা। খুব ভালো লাগল। লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    সব অভিমতগুলোর সঙ্গে একমত নই - কর্মরতা মায়ের সন্তানেরা জীবনযুদ্ধে যথেষ্ট সফল বা লিঙ্গসাম্যের বিষয়ে বেশী সংবেদনশীল, এটা একটু বেশী সরলীকরণ বলে মনে করি ।

    তবু মাতৃত্বকে নিয়ে বেশী মাতামাতি না করে নিজের জগত এবং নিজের আয়ের পথ খোলার বিষয়ে কথাগুলো যত বেশী হবে তত ভাল।
  • সিক্তা | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৩৫65400
  • খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ সহজ কথা সহজ ভাবে বলার জন্য।
  • সুতপা | ***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৪৬65401
  • লেখাটি সুন্দর, যৌক্তিক আলোচনার অনুসারী। কিন্তু সব যুক্তির উর্ধে এক একক কর্মরতা মা হিসেবে আমি অপরাধবোধে ভুগি। আমার পঁচিশ বছরের মেয়েটি বাইরের দুনিয়ার কাজ এত নিঁখুত শিখছে আর সাংসারিক কাজে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে যে নিজের সাংসারিক জীবনে একঘেঁয়ে না বোধ করে, হাঁপিয়ে না ওঠে! পরিবারে যারা বড় হয়ে ওঠে সে বাচ্চাদের এনার্জি এভাবে ড্রেনড হতে দেখি না। আমার মতে, মা হিসেবে আমাকে রিলিফ দিতে গিয়ে আদতে মেয়ে শোষিত হচ্ছে।
  • | ***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:৪৯65407
  • জীবনের অভিজ্ঞতা প্রসূত অত্যন্ত সৎ লেখা অথচ এতটা খারাপ মানে র প্রবন্ধ খুব বেশি গুরুচ তে আগে পড়িনি।যদিও মেয়েদের-মায়েদের নিজের আর্থিক স্বনির্ভর তার এবং মাতৃত্বে অকারণ গুরুত্ব মহিমা প্রণয়ন এর সম্পর্কে প্রকাশিত অবস্থান দুটি অন্তত আমার রাজনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী সমর্থন যোগ‍্য।
  • Suhasini | ***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:২২65408
  • চমৎকার লেখা। দু:খজনক হলেও কিন্তু এক্কেবারে সত্যি কথা যে মা হওয়াকে একই সঙ্গে গৌরবান্বিত করা আর তার সাইড এফেক্ট হিসেবে মায়ের মধ্যে অপরাধবোধ চারিয়ে দেওয়ার দিন ফুরোতে এখনও অনেক দেরি। নিজের উদাহরণ টেনেই বলতে পারি - 'আহারে, মা চাকরি করে, বাচ্চাটা নিজে নিজেই বড় হচ্ছে' জাতীয় ভাবনা আমার ছেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে খুব আপনজনদের মধ্যেও দেখেছি। এখন মনে হয় ভাগ্যিশ এই সব আটকানোর জন্য অনেক আগের থেকেই ছেলেকে তৈরী করছিলাম। বছর পাঁচেকের ছেলেকে একদিন উত্তর দিতে শুনলাম, ছুটির দিনে মা আমার ফেভারিট খাবার বানায়, আমাকে বেড়াতেও নিয়ে যায়!
  • রুখসানা কাজল | ***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৫৪65409
  • স্বনির্ভরতা নারীর শক্তি। আর বাস্তবতা থেকে জেনেছি সন্তানরা মাকে শক্তিময়ী দেখতেই ভালোবাসে। ভালো লেখা।
  • Tim | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:১৩65410
  • পড়লাম। সৎ, আন্তরিক লেখা। মোটের ওপর সহমত।
  • ইন্দিরা চক্রবর্তী। | ***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৫২65411
  • খুব সুন্দর লেখা। গৃহহিংসাকে নরমালাইজ করা আর মাতৃত্বকে অতিগৌরবান্বিত করে মায়েদের অসম্মান আর অত্যাচারের মধ্যে আটকে রাখা যে ভবিষ্যৎ জেনেরেশনের পক্ষে ক্ষতিকর তার উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ। এ কেবল মেয়েদের ইস্যু নয়, মেয়ে-পুরুষ নির্বিশেষে সামাজিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, আমাদের তা বোঝার সময় এসেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন