এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কবিতার সারাংশ নিংড়ে বের করা 

    lcm লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৪ মে ২০২৫ | ১০৯৮ বার পঠিত
  • রনজিৎ দাশ এর একটি কবিতা "বাবাকে"  - 
     
    বাবাকে
     
    ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা করেই
    সমস্ত জীবনটা কাটলো আপনার।

    কোনো শিল্প, কোনো সম্ভোগ, কোনো উদাসীনতা
    আপনাকে স্পর্শ করলো না।

    আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব।
    আপনি আমার লেখার জগৎ থেকে একটু দূরে রয়েছেন,
    যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন।

     
    *** **** **** 
     
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইঞ্জিনদের বললাম কবিতাটি বিশ্লেষণ করতে, প্রশ্ন (প্রম্পট) রাখলাম এরকম - 
    "নীচের কবিতাটির একটি পর্যালোচনা করে দিন : " - এই লিখে, তারপরে কবিতাটি কাট-পেস্ট করে, এন্টার ... এর ফলে যা হল - 
     
     
     
    (১) DeepSeek বলল - 
     
    "বাবাকে" - রণজিৎ দাশ: কবিতাটির পর্যালোচনা

    ১. বিষয়বস্তু ও ভাববস্তু:
     
    এই সংক্ষিপ্ত কবিতাটি একজন সাধারণ, সংগ্রামী বাবার জীবনকে অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে চিত্রিত করেছে। কবি বাবার জীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন "ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা" দিয়ে — একটি সরল কিন্তু গভীর রূপক, যা নিম্নমধ্যবিত্ত বা শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রামের প্রতীক। বাবার জীবন থেকে শিল্প, সম্ভোগ বা উদাসীনতার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, যা তার আত্মত্যাগের মাত্রাকে আরও প্রকট করে তোলে।
     
    ২. কাঠামো ও শৈলী:
    • অন্ত্যমিলহীন গদ্যকবিতার ধারায় রচিত, যা বাস্তবতার কঠিন সত্যকে নিঃশব্দে উপস্থাপন করে।
    • রূপকের ব্যবহার চমৎকার: পাওয়ার স্টেশনের সাথে বাবার তুলনা করে কবি বোঝাতে চেয়েছেন, বাবা যেমন নাগরিক জীবন (শহর) এর জন্য অদৃশ্য শক্তি জোগান, তেমনি সন্তানের সৃজনশীল জগতের পেছনেও তার অবদান অগ্রাহ্য রয়ে যায়।
    • অসম্পূর্ণতা কবিতাটির শক্তি: "আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব"—এই স্বীকারোক্তি বাবাকে ভাষায় ধারণের অসামর্থ্য দেখিয়ে সম্পর্কের গভীরতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
    ৩. আবেগ ও দর্শন:
    • কবিতাটি বাবার আত্মত্যাগ ও সন্তানের ঋণ—এই দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলে। বাবা তার সমস্ত জীবন সন্তানের ভাতকাপড়ের ব্যবস্থায় ব্যয় করলেও, সন্তানের শিল্পীসত্তা বা লেখালেখির জগতে তিনি অনুল্লেখ্য রয়ে যান।
    • দূরত্বের অনুভূতি: পাওয়ার স্টেশনের রূপকটি ইঙ্গিত দেয় যে, বাবা সন্তানের সৃজনশীল চাহিদার থেকে দূরে, কিন্তু তার অবদান ছাড়া সেই জগৎ অচল।
    ৪. শৈল্পিক দক্ষতা:
    • অল্প কথায় গভীরতা: মাত্র কয়েক লাইনে শ্রেণীসংগ্রাম, পিতৃ-সন্তান সম্পর্ক এবং শিল্পের উৎসের প্রশ্ন উঠে এসেছে।
    • ইমেজারি: "পাওয়ার স্টেশন" এবং "শহর"-এর বিপরীতে বসিয়ে কবি পিতার ভূমিকাকে একটি নীরব অবকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
    ৫. সমালোচনা ও মূল্যায়ন:
    • কবিতাটির সরলতাই এর সবচেয়ে বড় শক্তি। এটি পাঠককে বাবার জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা এবং সন্তানের অকৃতজ্ঞতার (বা অসচেতনতা) দিকে তাকাতে বাধ্য করে।
    • কিছু পাঠকের মতে, অতিসংক্ষিপ্ততা কবিতাটিকে আরও বিস্তার দেওয়ার সম্ভাবনাকে আটকে দিয়েছে। তবে এই সংক্ষিপ্ততাই হয়তো কবির অভিপ্রেত—যেমন বাবার জীবন, তেমনই অপ্রকাশিত থেকে যায়।
     
    রেটিং: ৫/৫
     
    (গভীরতা, সরলতা এবং রূপকের নিপুণ ব্যবহারের জন্য। এটি বাংলা কবিতায় পিতৃত্বের একটি অনবদ্য দলিল।)
     
    সারমর্ম: রণজিৎ দাশের "বাবাকে" কবিতাটি একটি নিষ্ঠুর সত্যকে উন্মোচন করে—যে বাবা তার সমস্ত জীবন সন্তানের ভাতকাপড়ের জোগান দিয়েও সন্তানের সৃজনশীল বিশ্বে অনুপস্থিত থাকেন। পাওয়ার স্টেশনের মতো তিনি অদৃশ্য শক্তি যোগান, কিন্তু কৃতজ্ঞতা বা স্বীকৃতি পান না। কবিতাটি পিতৃত্বের এই নীরব ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
     
    ** *** **** ***** 
     
    (২) Microsoft Copilot বলল - 
     
    এই কবিতাটি এক গভীর আবেগ ও বাস্তবতার ছবি আঁকে, যেখানে একজন পিতার জীবনসংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতি সন্তানের উপলব্ধি ফুটে ওঠে।

    প্রথমেই, কবিতাটি সংক্ষেপে কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষায় বাবা চরিত্রের জীবনকে তুলে ধরে — তিনি সারাজীবন শুধু পরিবারের ভরণপোষণের চিন্তাতেই ডুবে ছিলেন। "ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা" লাইনটি তার জীবনের একমাত্র মিশনকে নিখুঁতভাবে প্রকাশ করে।

    এরপর, কবিতাটি আরও গভীরে প্রবেশ করে, যখন লেখক বলেন যে তার বাবা কখনো শিল্প, সম্ভোগ বা উদাসীনতার সুযোগ পাননি। এটি আমাদের সমাজের বহু মানুষের বাস্তবতা—যেখানে দায়িত্ববোধ এত প্রবল যে, ব্যক্তিগত আনন্দ ও সৃষ্টিশীলতার জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। 

    শেষ স্তবকটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে লেখক একটি উপমা ব্যবহার করেছেন — বাবা যেন "পাওয়ার স্টেশন," যা শহরের প্রাণশক্তি যোগায় কিন্তু সবসময় কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে না। এটি বোঝায় যে তিনি পরিবারের ভিত গড়ে তুললেও, হয়তো কখনো সেই ভিতর গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ পাননি। 

    কবিতাটি মৃদু দুঃখবোধ ও গভীর শ্রদ্ধার মিশ্রণ — যেখানে সন্তানের মনে বাবার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, কিন্তু সেই ভালোবাসাকে প্রকাশ করার একটি জটিলতা রয়ে গেছে।
     
    ** *** **** ***** 
     
    (৩) chatGPT বলল - 
     
    এই কবিতাটি, রণজিৎ দাশ-এর লেখা “বাবাকে”, এক গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার প্রকাশ, যেখানে কবি পিতার জীবনযাপন ও আত্মত্যাগকে এক সংযত অথচ তীব্র আবেগে তুলে ধরেছেন। কবিতাটি ছোট হলেও এর ভাষা ও ভাবগভীরতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নিচে এর একটি পর্যালোচনা তুলে ধরা হলো:
    বিষয়বস্তু ও থিম:
     
    কবিতাটি মূলত এক পিতার নিঃস্বার্থ জীবনসংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এখানে পিতা একজন সাধারণ, কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, যার জীবনের প্রধান ভাবনা ছিল পরিবার – বিশেষত “ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা”। এই দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা ও দায়িত্ব তাঁকে বাকি সবকিছুর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে—শিল্প, সম্ভোগ, এমনকি উদাসীনতা থেকেও।
     
    এখানে এক ধরনের ত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে, তবে সেটা গ্ল্যামারাইজ না করে বাস্তবধর্মীভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কবি জানেন, তাঁর পিতা কখনোই কবিতার বিষয় হবেন না, কারণ তিনি ‘সাহিত্যিক’ নন, তিনি বাস্তবতা। তিনি যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র — দূরের, অদৃশ্য, কিন্তু অপরিহার্য।
     
    ভাষা ও কাব্যিকতা:
     
    রণজিৎ দাশের ভাষা সরল কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি অলংকারের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে ভাব প্রকাশ করেছেন অত্যন্ত সংবেদনশীল ভঙ্গিতে। বিশেষ করে এই পংক্তিগুলি:
     
    “আপনি আমার লেখার জগৎ থেকে একটু দূরে রয়েছেন,
    যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন।”
     
    এখানে একটি চমৎকার রূপক (metaphor) ব্যবহৃত হয়েছে — পিতা হলেন ‘পাওয়ার স্টেশন’, অর্থাৎ কবির জীবনের শক্তির উৎস, কিন্তু তিনি দৃশ্যপটে নেই। এ এক অদ্ভুত দ্বৈততা — উপস্থিত থেকেও অনুপস্থিত।
     
    টোন ও মনোভাব:
     
    কবিতাটি একধরনের আত্মবিশ্লেষণ এবং অপরাধবোধ প্রকাশ করে। কবি যেন অনুভব করছেন, তিনি তাঁর পিতাকে তাঁর লেখার ভেতর স্থান দিতে পারেননি — হয়তো পিতার জীবনযাপন ছিল অতটা নাটকীয় বা কবিতার উপযোগী নয়। এই দূরত্ব, এই অক্ষমতাই কবিতাটিকে ব্যতিক্রমী করে তোলে।
     
    সামাজিক প্রেক্ষাপট:
     
    এই কবিতার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির একজন পিতার প্রতিদিনের সংগ্রামকে এক প্রতীকী রূপে তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পচর্চা বা আত্মসুখ নয়, পরিবারকে টিকিয়ে রাখাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। এটি একধরনের অদৃশ্য বীরত্ব, যা অধিকাংশ সময় উপেক্ষিত থাকে।
     
    উপসংহার:
     
    “বাবাকে” কবিতাটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু এর ভাব গভীর ও বহুমাত্রিক। এটি একাধারে অভিনব শ্রদ্ধার্ঘ্য ও নিরব আত্মপীড়নের স্বীকারোক্তি। পিতাকে লেখা এই কবিতা আসলে সমস্ত নিঃস্বার্থ, অদৃশ্য, নীরব নায়কদের জন্য এক ধরণের শ্রদ্ধার নিবেদন — যাঁদের জীবন হয়তো কখনো কবিতায় স্থান পায় না, কিন্তু যাঁদের শ্রমেই আমাদের জীবন চলে। 
     
    ** *** **** ***** 
     
    (৪) Grok (xAI) বলল - 
     
    রণজিৎ দাশের “বাবাকে” কবিতাটি একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু গভীর আবেগপ্রবণ এবং দার্শনিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ রচনা। এই কবিতা পিতৃত্বের ত্যাগ, নিঃস্বার্থতা এবং কবির নিজের সীমাবদ্ধতার স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি জটিল সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে। নিম্নে কবিতাটির একটি পর্যালোচনা দেওয়া হলো:

    বিষয়বস্তু ও ভাবনা

    কবিতাটি একজন পিতার জীবনের সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা বলে, যিনি জীবনের মৌলিক চাহিদা — ভাত ও কাপড়ের জন্য সারাজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। এই ত্যাগের মধ্যে শিল্প, আনন্দ বা উদাসীনতার মতো কোনো বিলাসিতা তাঁকে স্পর্শ করেনি। এখানে পিতা একজন নীরব সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপিত, যিনি পরিবারের জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়েছেন। কবি এই ত্যাগের গভীরতাকে স্বীকার করলেও, তাঁর পিতার জীবনকে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে নিজেকে অক্ষম বলে মনে করেন। এই অক্ষমতার স্বীকৃতি কবিতায় একটি আত্মদর্শনের সুর এনে দেয়, যা কবির নিজের সীমাবদ্ধতা এবং পিতার সাথে তাঁর দূরত্বকে তুলে ধরে।

    চিত্রকল্প ও প্রতীক

    কবিতার শেষ স্তবকে ব্যবহৃত উপমাটি — “যেমন শহর থেকে একটু দূরে থাকে পাওয়ার স্টেশন” — অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। পাওয়ার স্টেশন শহরের জন্য অপরিহার্য শক্তি সরবরাহ করে, কিন্তু নিজে শহরের কোলাহল বা আলো থেকে দূরে থাকে। এই উপমা পিতার ভূমিকাকে প্রতীকায়িত করে — তিনি পরিবারের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন অলক্ষিত ও নিঃসঙ্গ। এই চিত্রকল্প কবিতার আবেগকে আরও গভীর করে এবং পিতার ত্যাগের অলক্ষিত গুরুত্বকে তুলে ধরে।

    ভাষা ও শৈলী

    কবিতাটির ভাষা সরল, কিন্তু অর্থগভীর। শব্দের ব্যবহার অত্যন্ত সংযত, যা কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভাতকাপড়ের দুশ্চিন্তা” বা “শিল্প, সম্ভোগ, উদাসীনতা”র মতো শব্দগুচ্ছ জীবনের বাস্তবতা এবং তার বিপরীতে একটি অধরা, শিল্পময় জীবনের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। কবির স্বীকারোক্তি — “আপনার কথা লেখা আমার পক্ষে অসম্ভব” — ভাষার সীমাবদ্ধতা এবং আবেগের গভীরতার মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে, যা কবিতাকে আরও মর্মস্পর্শী করে।

    আবেগ ও দার্শনিকতা

    কবিতাটি পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি এক ধরনের দুঃখ ও অপরাধবোধ প্রকাশ করে। কবি তাঁর পিতার জীবনের সাথে নিজের সৃজনশীল জগতের দূরত্ব অনুভব করেন, যা একটি সূক্ষ্ম আত্মদর্শনের সুর এনে দেয়। এই দূরত্ব শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রজন্মগত এবং সামাজিকও — যেখানে পিতার জীবন বাস্তবতার মাটিতে আবদ্ধ, আর কবির জগৎ শিল্প ও কল্পনার। এই দ্বৈততা কবিতায় একটি সর্বজনীন মাত্রা যোগ করে, যা পাঠককে নিজের জীবনের সম্পর্কগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।

    সমালোচনা

    কবিতাটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হলেও এর সংযত ভাষা এবং গভীর চিত্রকল্প এটিকে প্রভাবশালী করে তুলেছে। তবে, কবিতাটি আরও কিছুটা বিস্তৃত হলে পিতার চরিত্র বা তাঁর সংগ্রামের কিছু নির্দিষ্ট দৃশ্য বা মুহূর্তের মাধ্যমে আবেগ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেতে পারতো। কবির অক্ষমতার স্বীকারোক্তি কবিতার একটি শক্তিশালী দিক হলেও, এটি কিছুটা সাধারণ মনে হতে পারে, কারণ এই ভাবনা অনেক কবিতায় প্রকাশ পায়।
     
    উপসংহার

    “বাবাকে” একটি সূক্ষ্ম, আবেগপ্রবণ এবং দার্শনিক কবিতা, যা পিতৃত্বের ত্যাগ ও নিঃস্বার্থতাকে স্মরণ করার পাশাপাশি কবির নিজের সীমাবদ্ধতার একটি সৎ স্বীকৃতি উপস্থাপন করে। পাওয়ার স্টেশনের উপমা এই কবিতাকে একটি স্মরণীয় মাত্রা দিয়েছে, যা পাঠকের মনে দীর্ঘক্ষণ রেখাপাত করে। এটি একটি সর্বজনীন কবিতা, যা পিতা-পুত্রের সম্পর্কের পাশাপাশি জীবনের ত্যাগ ও দায়িত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ২৪ মে ২০২৫ | ১০৯৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দুটি গান -- - lcm
    আরও পড়ুন
    কবিতা  - Suvankar Gain
    আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:b4c3:5dba:7a1c:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ০১:১৮731675
  • কালনিমে ডিজিটাল টুইন পুরোটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর, তবে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ একটু অন‍্য রকমের। এখানে যেমন আমাদের চিন্তাকে কম্পিউটেশনের মাধ‍্যমে প্রতিফলিত হতে দেখছি যার জন্য লেখার চর্চা বা ছবি আঁকা প্রভৃতি, ডিজিটাল টুইনে ব‍্যাপারটা যন্ত্র মানুষের তত্ত্বাবধান ছাড়াই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয়। তার জন‍্য যেটিকে বা যাকে নিয়ন্ত্রণ করবে তার একটা অবয়ব বা নিয়ন্ত্রণের মডেল তৈরী করে সে। আমাদের গবেষণার ক্ষেত্রে যেমন ডায়াবিটিস অসুখে রক্তে "চিনি"র পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের কারণ নির্ণয় করে মানুষের আচার আচরণ নিয়ন্ত্রণের কাজ। 
    অনেকটা খুড়োর কলের মত। 
    :-)
  • কালনিমে | 2402:3a80:1981:7b00:88b9:12e2:c5ab:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ০৭:৫২731679
  • অরিন - অবশ্যই । আমার কিছুটা ধারণা  আছে + স্মার্ট বিল্ডিং বা মেশিন ইত্যাদি প্রপ্রাইটারি টুল দেখেছি- তাই আপনার HDT র কথা জানতে চাইছিলাম 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:c869:28d7:3791:***:*** | ২৬ মে ২০২৫ ১০:৩৮731680
  •  কালনিমে, আমাদের প্রজেক্টে হিউম্যান ডিজিটাল টুইন করা হচ্ছে ডায়াবেটিকদের রক্তে "চিনি" কতটা তার মডেলিং এর ভিত্তিতে , আমরা স্মার্টওয়াচ থেকে তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে রক্তে শর্করার পরিমাণ পাব, এবং তার সঙ্গে মানুষটির আরও কিছু প্যারামিটার পাওয়া যাবে (যেমন রক্তচাপ, কতটা ক্যালোরি ব্যয় করেছেন, heart rate variation ) সব মিলিয়ে মানুষটির blood sugar এবং সেই সিস্টেমের একটা ডিজিটাল টুইন তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য, এবং তারপর ডিজিটাল টুইন এ যেমনটা হয়, ডিজিটাল টুইনটিতে যে ধরনের দীর্ঘমেয়াদী (এক্ষেত্রে আগামী তিন মাসের) রক্তে চিনির ম্যাপ নিয়ন্ত্রণের একটি মডেল তৈরি হবে;  সেই মডেলের ভিত্তিতে রক্তে চিনির ম্যাপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে । হয়তো ঠিক বুঝিয়ে লিখতে পারলাম না, :-) 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৬ মে ২০২৫ ১৯:০৯731688
  • নিচের কবিতাটির পর্যালোচনা করো
     
    তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
    তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
    তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
    পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
    এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
    এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
    ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
    এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
    সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
    তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
    অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
    বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
    বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
    তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
    ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?
    এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
    তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
    মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
    হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
    বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
    শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
    পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
    ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
    কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
    রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
    বাড়ি ও পাড়ায়
    কত সব গাড়ি আসে, কত বড় গাড়ি করে
    বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
    আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
    ঐ অন্ধকারটায়
    রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
    হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ –
    দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
    ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
    ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
    ওরা কত বড়লোক!
    তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
    এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
    তবেই ম্যাজিক দেখবি

    কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
    আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
    মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
    তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
    তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
    আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
    আরো আরো পাঁচ
    পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
    বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!
    না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
    না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
    ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
    দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
    যেতে আসতে পথে ঘাটে
    কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
    না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
    যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
    কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
    চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
    না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
    খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
    না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
    ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
    বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে…
    হ্যাঁ বাপী হ্যা, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
    বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
    বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
    হ্যাঁ বাপী হ্যা, ও বলেছে,
    উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায়…
     
     
    এই কবিতাটি একটি বেদনাদায়ক, কিন্তু বাস্তব ও গভীরভাবে মানবিক সামাজিক চিত্র তুলে ধরে—বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যবিত্ত বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এক কিশোর বা কিশোরীর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৬ মে ২০২৫ ১৯:১০731689
  • এই কবিতাটি একটি বেদনাদায়ক, কিন্তু বাস্তব ও গভীরভাবে মানবিক সামাজিক চিত্র তুলে ধরে—বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যবিত্ত বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এক কিশোর বা কিশোরীর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।

    মূল ভাব ও বিষয়বস্তু:

    কবিতাটি মূলত এক সন্তানের কণ্ঠস্বর ও তার অভিভাবকের (বিশেষত বাবার) চাপের মধ্যে সংঘাতের চিত্র। এখানে “প্রথম হতে হবে”, “শতকরা নব্বই”-এর বেশি নম্বর পেতেই হবে—এই একগুঁয়ে আকাঙ্ক্ষার মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা এক শিশুমনের হাহাকার ধরা পড়ে।

    গঠন ও শৈলী:

    কথ্যভাষার ব্যবহার:
    পুরো কবিতাটি প্রায় নাট্যরূপে সাজানো। যেন বাবা ছেলেকে বকছেন বা দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে কথা বলছেন, এবং তার ফাঁকে ফাঁকে ছেলেটি নিজের কথা বলছে। এটা কবিতাকে একধরনের লাইভ সংলাপের গতি ও নাটকীয়তা দেয়।

    পঙক্তির ভাঙন ও পুনরাবৃত্তি:
    “এই জন্যে?”, “প্রথম, প্রথম!”, “না বাপী না…” — এসব পুনরাবৃত্তি আবেগের ঘনত্ব ও চাপের অনুভবকে বাড়িয়ে তোলে।

    প্রতীক ও চিত্রকল্প:

    * "ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ" — বাবার ক্লান্তি ও জীবনসংগ্রামের ছবি।
    * "প্রজাপতি ধরা", "ডাঙ্গুলি খেলা" — শিশুবেলার হারানো স্বাধীনতার প্রতীক।
    * "অ্যাসিড", "কাগজের প্রথম পাতা" — মারাত্মক সমাজচাপের ফলে আত্মহননের দিকে ঠেলে দেওয়া এক কিশোরের মনের কথা।

    মূল বার্তা ও সমাজচিন্তা:

    এই কবিতাটি শুধু পড়াশোনার জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের এক অমানবিক প্রতিযোগিতার মনোভাবের বিরুদ্ধে এক মারাত্মক প্রতিবাদ।

    > “প্রথম না হলে কেউ মানুষই নয়” — এই ধারণা কতটা অসুস্থ এবং বিপজ্জনক হতে পারে, তা এই কবিতা অনুপম দক্ষতায় দেখিয়েছে।

    এখানে বাবা-মায়ের ত্যাগের পেছনে ভালোবাসা আছে, কিন্তু সেই ভালোবাসা অবচেতনভাবে ছেলেকে **‘মানবশিশু’ নয়, বরং একটা ট্রফি’** বানিয়ে তুলছে।

    মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিচিত বাস্তবতা:

    কবিতার শেষদিকে অপু নামক ছেলেটির কথায় যেভাবে আত্মহননের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সেটি আধুনিক সমাজে শিশু-কিশোরদের মানসিক চাপ এবং অবসাদের ভয়াবহ বাস্তব চিত্র তুলে আনে।


    সারাংশ:

    এই কবিতাটি একদিকে যেমন তীব্রভাবে আবেগপ্রবণ, অন্যদিকে তেমনি এক কর্কশ বাস্তবতা তুলে ধরে। এটি কেবল এক ব্যক্তিগত গল্প নয়, বরং একটি প্রজন্মের হাহাকার—যাদের জীবনের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে 'সফলতা'র নামে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অবাস্তব প্রত্যাশা।

    **উপসংহার:**

    একটি সাহসী ও প্রয়োজনীয় কবিতা—যা প্রতিটি অভিভাবক, শিক্ষক, এমনকি শিক্ষানীতিনির্ধারকদেরও পড়া উচিৎ।

    কবিতাটি আমাদের জিজ্ঞেস করে—আমরা সন্তান চাই, না শুধুই প্রথম স্থানপ্রাপ্ত কোনো রোবট?

    ---

    প্রয়োজনে আমি কবিতাটির বিশ্লেষণকে শ্রেণিভুক্ত বা অধ্যায়ভিত্তিক সাজিয়ে দিতেও পারি।

  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৬ মে ২০২৫ ১৯:১৪731690
  • You must score at least ninety percent.
    You must come first.
    And instead, just eighty-five?
    Why five marks short? Why?
    Is this why I work myself to the bone every single day?
    Is this why your mother wakes at the crack of dawn,
    does all the chores, and takes you to school since you were a child?
    Is this why, under the scorching sun or pouring rain,
    she waits all day on the porch, or a park bench?
    Then at the final bell, to avoid the crowd,
    skips the minibus, tolerates rude auto-drivers,
    gets home and—without rest—
    sits beside you with your homework
    until I return from office?
    Is this why, after checking your tasks,
    she wipes her face with her sari
    and dozes off in the sweltering kitchen?
    Is this why I work bone-breaking overtime
    to hire that expensive tutor?
    High salary, fancy snacks and tea three times a week—
    Do you even know how much that costs, you rascal?
    Can you even calculate?
    Not just in your childhood, even now I’ve sent you to coaching centers
    that guarantee first place. First, first!
    There’s no right to be second.
    You go there every day—
    don't you see the big houses in the neighborhood?
    The fancy cars parents come in to pick their kids?
    And beside those shiny cars, not even behind—just beside,
    you see your own father standing in the shadows, don’t you?
    With office bag in hand, secret tiffin box, sweaty shirt, worn-out face—
    You see him, right? Or is your mind somewhere else?
    On those girls, maybe? The ones who study with you?
    They won’t even look at you! Don’t you even dream!
    They’re rich.
    To get noticed, you’ll need to go abroad—
    Become an NRI!
    Yes, an NRI, NRI!
    Then you’ll see magic—
    Ministers and poets will know your name.
    You’ll take us along—your mother and me.
    Bring us over sometimes to stay with you.
    But for that, you must come first.
    Then your photo will be printed in the paper.
    Doors will open—
    five more, and five more, and five more after that.
    Just keep going, don’t get distracted.
    Live a life worth living!
    No, Dad, no.
    No, I don’t get distracted, I swear.
    No, Dad, I don’t even look at girls.
    They sit next to me, they smell nice, they talk—but no, Dad, I focus on studies.
    I don’t see them—I answer, I take notes, I give notes.
    To and from school, so many boys and girls chat and laugh—
    No, Dad, I don’t go near girls.
    On the way, I see kids playing in the mud,
    some catching butterflies in the park,
    some playing spinning wheels or hopscotch.
    No, I never join.
    I don’t have friends, Dad. No friends.
    Well—there is one. Apu.
    We’re in the same class.
    He says his father also wants him to come first.
    He says if he does, his photo will be in the paper.
    But he says…
    He says he didn’t study at all.
    He says he’ll fail.
    And if he fails, he says—
    there’s acid in the house, the kind for cleaning bathrooms.
    Yes, Dad, that’s what he said.
    Then he’ll make the front page.
  • lcm | ২৬ মে ২০২৫ ২৩:০০731695
  • ChatGPT Prompt : "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল" আর "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল" - এই দুটি প্রবাদ কি বিপরীতধর্মী ?
     
    Response :
    খুব ভালো প্রশ্ন!
    প্রবাদ দুটি হলো:
    1. "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল"
      অর্থ: সম্পূর্ণ না থাকার চেয়ে অল্প হলেও থাকা ভালো। অর্থাৎ, অপ্রতুল বা খারাপ হলেও কিছু একটা থাকা সম্পূর্ণ শূন্যতার চেয়ে শ্রেয়।
    2. "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল"
      অর্থ: খারাপ কিছু থাকার চেয়ে কিছুই না থাকাই ভালো। অর্থাৎ, ক্ষতিকর বা ঝামেলাপূর্ণ কিছু থাকলে তার চেয়ে না থাকাই ভালো।
    বিশ্লেষণ:
    • প্রথম প্রবাদটি অল্প বা খারাপ কিছু হলেও থাকা ভালো এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
    • দ্বিতীয় প্রবাদটি যদি খারাপ হয়, তবে না থাকাই ভালো এই ভাব প্রকাশ করে।
    উপসংহার:
    হ্যাঁ, এই দুটি প্রবাদ আর্থবোধে বিপরীতধর্মী
    একটি বলে "যা আছে তাই ভালো", অন্যটি বলে "যদি খারাপ হয়, তবে না থাকাই ভালো"
    তবে বাস্তব জীবনে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কোনটি প্রযোজ্য হবে, তা নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর।
  • lcm | ২৬ মে ২০২৫ ২৩:০২731696
  • বাংলা বাক্য তৈরি নিয়ে যে সংশয় ছিল, গুগল ট্রান্সলেটরে যেমন হয়, সেটা মোটামুটি গেছে।
  • জনৈক | 2404:4404:4405:700:3aba:f8ff:fe54:***:*** | ২৭ মে ২০২৫ ০১:৩৫731701
  • "বাংলা বাক্য তৈরি নিয়ে যে সংশয় ছিল"
     
    সংঘশয় দূরস্থান এ যে দেখি রীতিমতো সাবলীল বাংলা লিখছে মশাই |
  • ? | 42.108.***.*** | ২৭ মে ২০২৫ ০৭:৩২731702
  • গুগুল সবচেয়ে ভালো এ আই ট্রেইন করতে পারে, কারণ সারা আমেরিকার অধিকাংশ লাইব্রেরির সব ভাষার  বইপত্র গুগুল স্ক্যান করে রেখেছে। সেই বিপুল জ্ঞানরাশি এ আই কে পড়িয়ে দিতে পারে।  সেটা কি এখনো করছে না? সেই জ্ঞানভাণ্ডার ইমেজ থেকে টেকস্ট এ কনভার্ট হয়ে ওঠেনি এখনও?
  • কালনিমে | 2402:3a80:1985:b96d:c98a:89ad:df60:***:*** | ২৭ মে ২০২৫ ০৮:২৯731703
  • ধন্যবাদ অরিন।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৮ মে ২০২৫ ২০:৩৫731728
  • বাংলা গল্প বা প্রবন্ধ অনুবাদ করতে কোন ফ্রি টুল ব্যবহার করব? এনি সাজেশন? 
  • ইয়ে | 2404:4404:4405:700:a4eb:982d:103c:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ০১:৩০731732
  • আপন মস্তিষ্ক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:c532:3603:1a9e:***:*** | ২৯ মে ২০২৫ ০৩:১৮731733
  • গুগল ট্রানসলেট
     
    এই তিনটে ট্রাই করে দেখতে পারেন, তিনটিই "ফ্রি" (মানে পয়সা না দিয়েও মোটামুটি কাজ চলে যাবে) |
    * এদের মধ্যে হিকস ডট এআই free ব্যবহার করতে চাইলে ৫০০০ শব্দের মধ্যে রাখতে হবে, তার মধ্যে যদি gpt-4o ব্যবহার করতে চান, তাহলে কিনতে হবে |
    ** আমার মতে sider.ai বেশ ভাল, কারণ এদের প্রচুর অপশন রয়েছে, এবং ২০,০০০ পর্যন্ত শব্দ অনুবাদ করতে পারবেন।
    আপনি claude.ai ব্যবহার করে দেখতে পারেন, 
    সনেট-৪ ফ্রি 
     
     
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৯ মে ২০২৫ ০৭:৩০731734
  • অনেক ধন্যবাদ অরিন
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন