এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • গরম -- উফ্ থেকে আহ্... এবং... কিছু কথা

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৯ মে ২০২৫ | ৫০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • গরম - উফ্ থেকে আহ্…এবং … কিছু কথা।

    কথাটা শুধু আমার বা আপনার নয়, আম আদমির মনের কথা। ভারতের মতো ক্রান্তীয় মন্ডলের একটা দেশে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়; তবে ইদানিং তার বৃদ্ধির হার একেবারে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা মানে হোমো স্যাপিয়েন্সরাই যে অনেকটাই দায়ী সে কথা ঠারেঠোরে সকলেই জানিয়েছেন। আমরাও জেনেছি।

    ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই সব সমস্যার কথা আলোচনা করতে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকেও হাজির ছিলেন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সার্বিক সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, এখন থেকে সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র সর্বতোমুখী প্রয়াস করবে যাতে করে বার্ষিক ২° সেলসিয়াস হারে তাপমাত্রা বেড়ে যাবার প্রবণতাকে ঠেকিয়ে তাকে প্রাক্ শিল্প বিপ্লবের সময়কালের ১.৫° সেলসিয়াসে বেঁধে রাখা যায়। সবাই মিলে এমনটা করা সম্ভব হলে বিপজ্জনক ভাবে তেতে ওঠা পৃথিবী খানিকটা স্বস্তি বোধ করবে। আর কে না জানে যে পৃথিবীর স্বস্তি মানে আমাদের সকলের স্বস্তি, প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি! এই সিদ্ধান্তে ভারতের পক্ষ থেকেও যে সায় মিলেছিল। তা বলা বাহুল্য।

    আজ ঠিক এক দশক পরে (২০১৫-২০২৫) ভারতের তাপচিত্র সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়া যাক্। সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে ১৯৫০ এর পরবর্তী সময়ে ভারতের গড় পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা ১° সেলসিয়াস হারে বেড়ে ২০২৩ সালে এসে পৌঁছেছে ২৫.০২° সেলসিয়াসে। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমাদের দেশের অর্থনীতির উদারীকরণ। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের হাত ধরে ভারতবর্ষ সাবেকি সমাজবাদী মিশ্র অর্থনীতির হাত ছেড়ে মুক্ত বাজার অর্থনীতির দরজার কড়া নাড়তে লাগলাম। দরজা পুরোপুরি খোলার আগেই ভোগবাদী অর্থনীতির বেনো জলের জোয়ারে ভেসে গেল আমাদের এতাবৎ কালের যাপনের সমস্ত রক্ষণশীলতা। আর সেই সূত্রেই বিগত ৩৩ বছরে ভারতের গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ০.৫° সেলসিয়াস। রীতিমতো আৎকে ওঠার অবস্থা।

    গতবছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভারতের মেটিরিয়োলজি ডিপার্টমেন্ট দেশজুড়ে ৭৭টি হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে যার ক্রমযৌগিক দিন সংখ্যা ছিল ৫৩৬ দিন। এই বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকেই ওড়িশা রাজ্যের বিস্তৃত অংশ জুড়ে প্রবল তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ মার্চ ওড়িশার বৌধের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৬° সেলসিয়াস। মাত্র দুদিন আগে ওড়িশার ঝারসুগুদাতে তাপমাত্রা ছিল ৪৬.২° এবং মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরাতে ৪৫.৮° সেলসিয়াস। ভাবা যায়! সদ্য পেছনে ফেলে আসা ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪° সেলসিয়াস,যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩৪°সেলসিয়াস বেশি। আমাদের ভারতবর্ষ‌ও এই মুহূর্তে একটি জতুগৃহে পরিণত হয়েছে।

    এমন অসহনীয় অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী? প্রথম উপায়টি একান্তই প্রাকৃতিক – বর্ষা এলে এই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে সেই জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। প্রাক্ বর্ষার নিম্ন চাপের ঘূর্ণী বৃষ্টিপাতের ফলেও তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নেমে আসে বটে তবে সেসবের দেখা পাওয়াটাও এখন সৌভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অত‌এব তাপদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার দ্বিতীয় পন্থা হলো ঘরে বসে ফ্যান বা ঠাণ্ডা মেশিনের আরাম উপভোগ করা। কিন্তু এখানেও কথা আছে।

    বাইরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে ইলেক্ট্রিসিটি বা বিদ্যুতের চাহিদা। দ্য সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি বা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কৃত্যক তাদের এক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালে সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ২৫০ গিগা ওয়াট। এবছর তা আরও ২০ গিগা ওয়াট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭০ গিগা ওয়াট। অর্থাৎ আমার আপনার স্বস্তি বা আরামের জন্য পরিষেবা ক্ষেত্রের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

    মানুষ এখন নিত্যনতুন স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ ব্যবহার করতে ক্রমশই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঠাকুমা দিদিমাদের আমলের তালপাতার পাখা বিদায় নিয়েছে কোন্ কালে! হিসেব বলছে দেশটার নাম ভারতবর্ষ বলেই হয়তো এখনও দেশের শহরাঞ্চলের ৯০% বাড়িতে এবং গ্রামাঞ্চলের ৮০% পরিবার এখনও তাপের দাপট থেকে রেহাই পেতে সিলিং ফ্যানের ওপর ভরসা করে। উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৫% বা ১/৪ ভাগ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে স্বাচ্ছন্দ্যের সীমা তো এখানেই শেষ নয়। আর তাই ঘরের বা কর্মস্থলের বাতাবরণকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে এখন, এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র‌ই একমাত্র ভরসা। আর সেই কারণেই নাগরিক সমাজে এখন এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা ক্রমবর্ধমান।

    ন্যাশনাল ফেমিলি হেল্থ সার্ভের সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের প্রায় ২৪% পরিবারের সদস্যরা এয়ার কন্ডিশনার অথবা এয়ার কুলার ব্যবহার করেন। শহরের তুলনায় গ্রামীণ পরিবারে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার এখনও যথেষ্ট কম। শহুরে পরিবারগুলোর ৪০% এবং গ্রামীণ ১৫% পরিবারে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ফারাকটুকু সত্ত্বেও গ্রাম ভারতের পরিবারগুলো (২০০ মিলিয়ন) এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শহরের পরিবার সংখ্যাকে ( ৮৮ মিলিয়ন) অনেকটাই ছাপিয়ে গেছে। সুতরাং বলা যায় যে গরমের জ্বলুনির হাত থেকে স্বস্তির জন্য গোটা দেশ জুড়েই একটা সমবন্টনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়টাকে যদি দেশের মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম মানক হিসেবে ধরা হয় তাহলে বলতে হবে যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৯০%) এবং প্রতিবেশী চিনের থেকে (৬০%) এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়েই আছি।

    গরমের দাপট থেকে রেহাই পেতে নতুন বাতানুকুল প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এয়ার কন্ডিশনারের বেচাকেনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে এদেশে ৯.৪ মিলিয়ন রুম এ.সি. বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো। এই সংখ্যাটা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫% বেশি। এয়ার কন্ডিশনার

    যন্ত্রের ব্যবহার এমন দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি অন্যদিকে বেড়েছে গৃহস্থালি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিদ্যুতের অনুপাত। এই মুহূর্তে দেশের উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ১/৪ ভাগ গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয়। এর ভেতর কেবলমাত্র ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বাতানুকুল প্রযুক্তিতে কাজে লাগে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৬.৬ %। ভারতের বিপুল জনসংখ্যার সাপেক্ষে মাথা পিছু বিদ্যুতের ব্যবহার নগণ্য হলেও এর পরিমাণ আগামী দিনে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। যেভাবে গ্রীষ্মকালীন দাবদাহের তীব্রতা বেড়ে চলেছে তাতে এর প্রভাব থেকে নিজেদের খানিকটা স্বস্তি দিতে সাধারণ মানুষ এয়ার কুলার বা এয়ার কন্ডিশনারের ওপর‌ই ১০০% নির্ভর করবে। ফলে একদিকে যেমন বাড়বে এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা, বিক্রি, ঠিক সেভাবেই বাড়বে গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতে বিদ্যুতের চাহিদা। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অনুমান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৮% কেবলমাত্র এয়ার কন্ডিশনার সচল রাখতে ব্যবহার করা হবে। চমকে দেয়ার মতন তথ্য সন্দেহ নেই। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বাতানুকুল প্রযুক্তির প্রয়োজনে বিদ্যুতের ব্যবহার এভাবে বাড়লে আগামী দিনে কী হবে তা ভাবলে রোমাঞ্চ অনুভব করছি।

    ভারতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে একথা মেনে নিয়েও বলা যায় যে রাজ্য‌ওয়াড়ি এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সুষম হারে হচ্ছে এমনটা কখনোই নয়। রাজ্যগুলোর মধ্যে পাঞ্জাবে ৭০% পরিবারে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়,যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে এর পরিমাণ মাত্র ৫%। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো এই, যে সমস্ত রাজ্যে গ্রীষ্মকালীন তাপদাহের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাটে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়ভাবে কম। এইসব ঘুমন্ত উপভোক্তারা জেগে উঠলে চাহিদার পরিমাণ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ?

    পরিবার পিছু ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনারের সংখ্যার মধ্যেও অনিবার্যভাবে কিছু ফাঁক আছে। একালে সব‌ই ভাঙাচোরা। পরিবারগুলোও তাই। আর সেই কারণেই এক বাড়িতে থাকা একটি পরিবারের চার ঘরে চারটি এয়ার কন্ডিশনার গমগমিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরফলে তরতরিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে আগামীদিনে জাতীয় ইলেকট্রিক গ্রিডের ওপরে আরও চাপ বাড়বে। তবে ভৌগোলিক ও আবহিক বিভিন্নতার কারণে অঞ্চলভেদে সর্বোচ্চ চাহিদার মাত্রায় কিছু পার্থক্য ঘটবে।

    ভারতে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা জলবায়ুর পরিবর্তনের পেছনে ক্রমশই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। সুতীব্র দাবদাহের হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরে ঘরে এখন এয়ার কন্ডিশনারের উজ্জ্বল উপস্থিতি। আমাদের দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন একান্ত ভাবেই কয়লা নির্ভর। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ওপর আমাদের নির্ভরতা যত বাড়বে ততই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা, ততই বাড়বে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুতের উৎপাদন, ততই বাড়বে বাতাসে তাপ বৃদ্ধিকারক গ্রীন হাউস গ্যাসের সংযোজন, ততই বাড়বে পৃথিবীর উষ্ণতা। এ এক দুষ্ট চক্র বা Vicious Circle যার সূচনা পৃথিবীর বর্ধমান উষ্ণায়নের ফলে। এই পাকচক্রের শেষ কোথায় তা বোধহয় কেউ জানেনা।

    কয়লা থেকে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে। কয়লার পরিবর্তে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়লেও, গ্রীষ্মকালীন বর্দ্ধিত বিদ্যুতের চটজলদি চাহিদা পূরণ করা তাদের পক্ষে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই অগত্যা মধুসূদন কয়লাই ভরসা। গরমের সময় দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৭৫% আসে কয়লা পুড়িয়ে। সুতরাং অসহনীয় গরমের দাপট বাড়ার অর্থ‌ই হলো কয়লা দহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।

    বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে জানিয়েছেন যে একটি এয়ার কন্ডিশনার গরমের চারটি মাসে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে চললে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ইউনিট পিছু ২.৭৮ কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের পক্ষে এই কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে সময় লাগে কম বেশি ৫০ দিন। এই মুহূর্তে ভারতে চালু সমস্ত স্তরের এয়ার কন্ডিশনার থেকে ২০২,০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মিশছে যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে অধিশোষণের জন্য ২৭ মিলিয়ন পূর্ণবয়স্ক গাছের প্রয়োজন। এই হিসেবে অবশ্য গরমের চারটি মাসে গৃহস্থালি বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ১৬০০ কিলোওয়াট ঘন্টা ধরে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়লে যে এই হিসাব সম্পূর্ণ ঘেঁটে যাবে তা বলা বাহুল্য।

    আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি বলা হয় – এসো, এয়ার কন্ডিশনারগুলো সব বাতিল করে দিই, তাহলে লোকজন তেড়ে আসবে। আমরা একদিকে সাসটেইনেবল জীবন যাপনের কথা বলছি, আর অন্যদিকে এমন এক যাপনে নিজেদের অভ্যস্ত করে ফেলেছি যা আমাদের অস্তিত্বের সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে। এই দ্বিবিধতা নিয়েই আমাদের জীবন, আমাদের বেঁচে থাকা। মেলাবেন তিনি মেলাবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৯ মে ২০২৫ | ৫০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e0:16:bef7:8000::***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ০৮:৩০731758
  • তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।অনেক কথা জানতে পারলাম।
    না,দেওয়ালে পিঠ না ঠেকলে বিলাস যাবেনা। ঠেকলেও যাবে কিনা সন্দেহ।
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী। | 2405:201:8016:6b:f8e4:483e:3615:***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ১৭:১০731776
  • এখন সত্যি কারের গরমের দাপটে আমাদের নাভিশ্বাস দশা। রাস্তাঘাটে সর্বত্র এই নিদারুণ গরম ই আমাদের মুখ্য আলোচ্য বিষয়। বাইরের কাজ কর্ম সেরে এসি র হাতে নিজেকে সমর্পণ করাই আমরা মনে করি একমাত্র  বাঁচার রাস্তা। লেখকের তথ্য নির্ভর রচনা আমাদের বাস্তব পরিস্থিতি টিকে অবগত করালো।এই উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ গুলিকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তবেই আমাদের মুক্তি।
  • সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। | 2409:40e0:1037:a3eb:8000::***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ১৭:১৪731777
  • বিদ্যুতের বিকল্প উৎসের ব্যবহার আর বিদ্যুত সাশ্রয়ী শীতাতপনিয়ন্ত্রন যন্ত্রের উদ্ভাবন আমাদের ভবিষ্যতের আংশিক সুরাহার পথ। 
  • m | 45.148.***.*** | ৩০ মে ২০২৫ ১৮:২৪731778
  • বিজ্ঞানীদের মতে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমাদের দেশের অর্থনীতির উদারীকরণ।
     
    - কোন বিজ্ঞানীদের মতে?
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:3a15:c52c:3b45:dc47:593:***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ১৯:২৮731783
  • Can't stop people from using modern amenities. Solution lies in extending the green cover. There's no other way. The elephants in North Bengal and Assam are gradually losing the battle for survival! Highways, new railway connectivities, dams are all, in a way, responsible! Keep planting and keep protecting the existing green cover. If you people want to survive, of course! 
  • #+: | 2405:201:8000:b11b:3889:3b52:2dda:***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ২৩:০৫731789
  • খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । এজন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাই। আসলে আমরা মানে শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন ক্রমশই একটা বিলাসী যাপনকে বেছে নিচ্ছি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার অজুহাতে। মনে পড়ে বহুদিনের টেলিভিশন সেটটাকে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলাম কেবলমাত্র সামাজিক অবমাননার ভয়ে। টেকনোলজি দ্রুত বদলে যায়, সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যায় চেনা জীবনের সুখ গুলোকে। এরপর আমরা সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা চাইবো। এর শেষ কোথায়? 
    লেখক সভয়ে পাততাড়ি গুটিয়েছেন। আমরা আজ এক সীমান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। 
  • অভ্রদীপ | 1.73.***.*** | ০১ জুন ২০২৫ ০৩:৫০731816
  • গুরুত্বপূর্ণ লেখা। কিন্তু অনেকগুলো প্রশ্নের উদ্রেক হলো। প্রথমত পরিসংখ্যান সংক্রান্ত প্রশ্ন। 

    ১. বার্ষিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে কোন তাপমাত্রা বাড়ার কথা বলেছেন শুরুতে? এই বৃদ্ধির হার সম্পূর্ণ অসম্ভব! "১৯৫০ এর পরবর্তী সময়ে ভারতের গড় পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা ১° সেলসিয়াস হারে বেড়ে ২০২৩ সালে এসে পৌঁছেছে ২৫.০২° সেলসিয়াসে" : তার মানে ১৯৫০ এ গড় পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা ঋণাত্মক ৪৮ ডিগ্রি ছিলো! নাকি গড় পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা মোট ১ ডিগ্রি বেড়েছে? যেখানে গুগল বলছে দেশের গড় তাপমাত্রা বিগত ১১৮ বছরে বেড়েছে মোট ০.৭ ডিগ্রি। যদিও ০.৭ ডিগ্রি একেবারেই হেলাফেলার বিষয় নয়। যার প্রভাব দেখছি প্রতিবছরের প্রবল দাবদাহে। 

    ২. এবারে পরের কথা। যে ভয়ানক দাবদাহ চলছে, তাতে শীতাতপ যন্ত্রের দরকার পড়ে বৈকি! কিন্তু সত্যি বলতে সেটা বছরের কয়েকটা দিন মাত্র। তাই শীতাতপ যন্ত্র ব্যবহার করা বন্ধ নয়, নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সচেতনভাবে বিলাসিতার নিয়ন্ত্রণ। এখন আর এসি থেকে সিএফসি তৈরির উদ্বেগের অস্তিত্ব নাই নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে। একইভাবে নতুন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তির এসিও বিদ্যুৎ চাহিদার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি কতোটা কার্যকরী তার ছোটো একটা উদাহরণ দেই আমার অভিজ্ঞতা থেকে। পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত আমরা বাড়িতে বিশ বছরের পুরানো ফ্রিজ ব্যবহার করতাম। তাতে গরমে বিল আসতো গড়ে ১২০০ টাকা মতো। ২০২০ তে একটা নতুন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কিনি, আরও বড়ো আরও শক্তিশালী। এখন গড় বিল আসে ৭৫০ টাকা। 

    ৩. দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১/৪ অংশমাত্র গৃহস্থালিতে ব্যয়িত হয়। এসির চাহিদা বৃদ্ধিতে এই অনুপাতে কতোটা প্রভাব পড়েছে বা পড়তে পারে তার একটা ধারণা থাকলে ভালো হতো। নয়তো এটা পরিষ্কার না যে দেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ গিগাওয়াট বৃদ্ধি কীসের কারণে? কেবল এসি, না জনসংখ্যার বৃদ্ধি, না ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন। আর শিল্পায়নের বিরোধিতা করা হবে কিনা, বা শিল্পে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দাবি তোলা হবে কিনা সেটা পৃথক আলোচনার বিষয়। 

    ৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চিনের বেশি এসি ব্যবহার করার দুটো কারণ মনে হয়। অর্থনৈতিক উন্নতি, আর দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল শীতল ও উষ্ণ জলবায়ু। এসি শীত গ্রীষ্ম উভয়েই কার্যকরী। এই প্রসঙ্গে আরেকটা উদাহরণ দেই। আমার জাপানের ঘরে এসি নাই, ইলেকট্রিক হিটার আছে। তাই গ্রীষ্মে আমার বিল খুবই কম আসে, কিন্তু প্রবল শীতে প্রতিদিন মাত্র আট ঘণ্টা হিটার চালালেও বিল আসে প্রায় ১৫-২০ গুণ! আর যাদের এসি আছে, তাদের বিল আসে প্রায় ৫-৭ গুণ। অর্থাৎ শীতপ্রধান এলাকায় এসি তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। 

    ৫. "একটি এয়ার কন্ডিশনার গরমের চারটি মাসে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে চললে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ইউনিট পিছু ২.৭৮ কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের পক্ষে এই কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে সময় লাগে কম বেশি ৫০ দিন।" : অর্থাৎ সহজ হিসেবে এসির সংখ্যার অর্ধেক সংখ্যক গাছ সমসময়ে এসি হতে নির্গত CO২ শোষণ করতে সক্ষম। দেশে গাছের সংখ্যা এসির তুলনায় অনেক অনেক গুণ বেশি নিঃসন্দেহে। যদিও গাছের বণ্টন উদ্বেগের বিষয়। 

    ৬. অনেক লেখা হয়ে গেলো! ছোটো কথায় বলতে গেলে, আমার মতে নজর বেশি দেওয়া উচিৎ বরং শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিকে, কারণ শিল্পপতিরা নিজেদের লভ্যাংশ বজায় রাখতে পারে শ্রমিককে শোষণ করে ও অন্যান্য পদ্ধতিতে। কিন্তু গৃহস্থালির বিদ্যুতের খরচ যায় জনগণের নিজের পকেট থেকে। পকেটে টান পড়লে সাশ্রয়ও করবে নিজে থেকেই।
  • Somnath mukhopadhyay | ০১ জুন ২০২৫ ১১:৩৮731822
  • মতামতের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো লাগলো বলে ছেড়ে না দিয়ে এই যে মনখুলে আলোচনা তা অনেক কার্যকরী। এরফলে লেখক ও পাঠকদের মধ্যে একটা মতবিনিময়ের পরিসর তৈরি হয়। কিছু বিভ্রান্তি ছিল। সেই ফাঁক দিয়েই প্রশ্ন ছুটে এসেছে। সেগুলো যথাসম্ভব পরিমার্জন করা হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই আবারো।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:d19f:704d:e9fe:***:*** | ০১ জুন ২০২৫ ১৩:০২731823
  • প্রবল গরমে স্বস্তি পেতে মানুষ এসি কেনে। তার জন‍্য electricity লাগে, তাকে জোগান দিতে গিয়ে কয়লা আর তেল পোড়ানো চলতে থাকে, তার থেকে নির্গত গ্যাস জমা হয় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে নির্গত তাপ আটকে যায়, ভূপৃষ্ঠের তাপমান বাড়ে, গরমের প্রকোপ বাড়ে, স্বস্তি পেতে এসি কিনতে হয়। 
    এখন সমস‍্যার সুরাহা পেতে গেলে সকলের আগে তেল কয়লা পোড়ানো কমিয়ে ফেলতে হবে, আমাদের জীবনযাত্রা আরো সহজ করে ফেলা চাই, ভোগবাদী জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, সূর্যালোক, হাওয়া, জল থেকে শক্তি আহরণ করা চাই, শহরের গ্রামের বাড়িঘরের ডিজাইন বদলানো দরকার, খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জামাকাপড়, মানুষের ঘরবাড়ি, পশুপাখি গাছপালার সহাবস্থান, জঙ্গলকে বাঁচিয়ে, গাছ বাঁচিয়ে, তেল জাতীয় জ্বালানি দিয়ে চালানো বাইক আর গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন, বা অন‍্য রকমের শক্তির উৎসের পরিবহণ -- তা সে কী আর হবে?
     
     
  • Somnath mukhopadhyay | ০১ জুন ২০২৫ ১৩:১৩731824
  • ধন্যবাদ অরিন বাবু। এমন একটা যাপনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি যার দার্শনিক ভিত্তিটা নব্য ভোগবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বৈকল্পিক জীবন পথের পথিক হবো কিনা তা আজ খুব ভেবে দেখার প্রয়োজন। পথের খোঁজ চলুক। ভাবনা ছড়িয়ে পড়ুক।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০১ জুন ২০২৫ ১৭:৫৮731829
  • এখানে একটা প্রশ্ন আছে। এখানে অনেকেই বলছে এসির জোগান দিতে যে বিদ্যুৎ লাগে , তা উৎপাদন করতে কয়লা আর তেল পোড়াতে হয় , তাঁর থেকে নির্গত গ্যাস উষ্ণায়নের প্রকোপ বাড়ায়।
    কিন্তু এটা তো শুধু এসির ক্ষেত্রে সত্যি নয়। এটা ফ্রিজ ,টিভি , অয়াশিং মেশিন , এমনকি লাইট বা ফ্যানের ক্ষেত্রেও সত্যি। তাহলে তো সমস্ত আধুনিক দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ করতে হয় , সেটা আজকের দিনে অসম্ভব। 
    কাজেই এসি বন্ধ সম্ভব না। বরং একদম শ্রমজীবী মানুষ , যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই ,তাঁদের জন্য কমিউনিটি এসির ব্যবস্থা করা উচিত 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:d19f:704d:e9fe:***:*** | ০২ জুন ২০২৫ ০৪:৪৩731837
  • এসি বন্ধ বা পাখা বন্ধ করার কথা হচ্ছে না, বরং যেটি করলে কাজে দেবে শক্তির উৎস নিয়ে বিশেষ করে renewable energy র প্রয়োগ ও ব‍্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনার অবকাশ রয়েছে। এর দুটো দিক। এক, জীবনযাত্রার একটি পর্যালোচনা করা, যাতে demand কিছুটা কমানো যায়, দুই, শক্তির উৎস নিয়ে ভাবনা চিন্তা যেখানে greenhouse gas নির্গমন যতটা কমিয়ে আনা যায়। 
  • DrSouravM | 2409:40e1:3088:ad4d:c0e3:f02b:98c4:***:*** | ০৪ জুন ২০২৫ ১৩:৩১731881
  • Sleeping consumers wont get up to start consuming as economy is going down!!!
    And things should start decentralizing to avoid the "heat islands" as highlighted in another article by the author. 
    And yes the summers are becoming more horrible, the monsoon is drier and winter is losing its chilling essence and it is sad
  • DrSouravM | 2409:40e1:3088:ad4d:c0e3:f02b:98c4:***:*** | ০৪ জুন ২০২৫ ১৩:৩২731882
  • Sleeping consumers wont get up to start consuming as economy is going down!!!
    And things should start decentralizing to avoid the "heat islands" as highlighted in another article by the author. 
    And yes the summers are becoming more horrible, the monsoon is drier and winter is losing its chilling essence and it is sad
  • DrSouravM | 2409:40e1:3088:ad4d:c0e3:f02b:98c4:***:*** | ০৪ জুন ২০২৫ ১৩:৩৩731883
  • Sleeping consumers wont get up to start consuming as economy is going down!!!
    And things should start decentralizing to avoid the "heat islands" as highlighted in another article by the author. 
    And yes the summers are becoming more horrible, the monsoon is drier and winter is losing its chilling essence and it is sad.
    And as things are not in my hand, I follow the ultimate truth i.e. "Survival of the fittest" with a bit modification to "Survive till others perish" because after that things will start normalizing. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন