এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • ধ্যান কেন বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হতে পারে তাই নিয়ে দু চার কথা 

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১২ জুলাই ২০২৪ | ৯৪৩ বার পঠিত
  • “এবার তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি করে 
    রস জমে এই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে”
    (সুকুমার রায় )

    কোন এক সময়ে এই লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা ।  তবে প্রদীপ জ্বালাবার আগে যেমন সলতে  পাকাতে হয় তেমন এই লেখাটিতে ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে লেখার আগে ধ্যান কেন বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয় এবং ধ্যান ব্যাপারটিকে কেন কেবলমাত্রই আধ্যাত্মিকতার নজরে দেখা হয় না তাই নিয়ে দু চার কথা লিখে বরং শুরু করা  যাক, আমরা তার পর পর্যায়ক্রমে দেখব যে ধ্যান নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কোথায় স্নায়ুবিজ্ঞানের অবদান ।  
     
    ধ্যান কথাটির আক্ষরিক অর্থ মনোযোগ । যার জন্য ধ্যান সবাই করেন, এবং ধ্যান করার জন্য কাউকে আধ্যাত্মিক বা ঈশ্বরভক্ত হবার প্রয়োজন পড়ে না, বা ধ্যান শুধুই পুজো ইত্যাদি পর্যায়ের কিছু বিষয় নয় । কারো মনে হতে পারে যে ধ্যানের সঙ্গে আধ্যাত্মিক ব্যাপার জড়িত | আধ্যাত্মিক নয়, আসলে এঁরা হয়তো বলতে চান ধর্মের ব্যাপার জড়িত, সে আধ্যাত্মিক হতেও পারে নাও হতে পারে, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার পারস্পরিক সম্পর্ক বিচার করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়, অতএব  সে বিজ্ঞানের বিষয় হতে  পারে না । অনেকে এও মনে করেন যে ধ্যান মানে যেহেতু চুপ করে বসে থাকা, তাই যদি হয়, তাতে করে সত্যিকারের কিছু হবার কথা নয়, বড়োজোর  এক ধরণের "মন ভালো" করা (placebo ) ধরণের কিছু হতে পারে, ও সেই সূত্রে ধ্যান নিয়ে বিজ্ঞানের চর্চা  অপবিজ্ঞানের চর্চা করা, অনেকটা  টেলিপ্যাথি, জ্যোতিষবিদ্যার মতন । তাই  ধ্যান এর সঙ্গে বিজ্ঞানকে জড়ালে এক ধরণের প্রতারণা করা হয় । আরো কয়েকজন মনে করেন যে, ধ্যান করলে মানুষের মানসিক বা শারীরিক অবস্থার আদৌ যদি কোন উন্নতি হয়ও তাকে  স্বাস্থবিজ্ঞানের অন্যান্য যে প্রচলিত গবেষণার উপায়   রয়েছে, তাদের সূত্রে দেখান  অসম্ভব। ধ্যানের যদি কোন প্রভাব থেকেও থাকে,  সে প্রভাব এতো বেশি কিছু হবার কথা নয় যাতে করে বলা যেতে পারে যে ধ্যানের "কারণে" মানুষের মনে বা শরীরে পরিবর্তন হয় । এখন এই ধারণাগুলো একটিও ঠিক নয়, যদিও একথা অনস্বীকার্য যে ধ্যান নিয়ে বহু তথাকথিত “ধর্মের" মোড়কে অনেকে ব্যবসা করেন, মানুষকে প্রতারণা করেন । যে কারণে মনে হয় ধ্যানের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও ধ্যান ব্যাপারটিকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে যে তঞ্চকতা করা হয় সেগুলো যে এক নয়, এই ব্যাপারটা সাধারণ, এমনকি বহু বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের পক্ষেও বুঝে ওঠা দুঃসাধ্য । তার ওপরে ধ্যানের মনের, স্নায়ুর, ও মস্তিষ্কের ওপর কি প্রভাব, তাই নিয়ে অতি জটিল গবেষণা অপেক্ষাকৃত নতুন এবং অপেক্ষাকৃত অল্প কয়েকজন গবেষকের মধ্যে সীমাবদ্ধ । ফলে হঠাৎ করে ধ্যান নিয়ে "neuroscience " জাতীয় কথা লিখতে গেলে শুরুতে ধ্যান যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়, ব্যাপারটিতে যে কোন রকম ধর্মগোছের অবৈজ্ঞানিক প্রতারণার কিছু নেই, তাই  নিয়ে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে না লিখলে এই লেখাটির উদ্দেশ্য অসফল হবে । ব্যাপারটা ভেবে দেখা যাক ।
     
    ধ্যান একটি প্রক্রিয়া, তার সঙ্গে ধার্মিক ক্রিয়াকর্মের সম্পর্ক থাকতে পারে এবং এই ধার্মিক ক্রিয়াকরনের উৎস হয়তো আধ্যত্মিক । হয়তো এই কারণে লিখলাম যে সে নাও হতে পারে, কারণ ধার্মিক মাত্রেই আধ্যাত্মিক নন বা অধার্মিক মানে যে তিনি আধ্যাত্মিক নন তা নয়, আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই আধ্যাত্মিক কথাটি এখানে ব্যবহার করছি না । তা হলেও ধ্যান ব্যাপারটি  মানুষের আর চার পাঁচটা কাজের থেকে আলাদা কিছু নয় । আমরা যেমন খাওয়াদাওয়া করি, খেলাধুলো, নাচ, গান করি, তেমনি, ধ্যান ব্যাপারটিও তাই, ধ্যান নামক ক্রিয়াকর্মটির উদ্দেশ্য "কোন কিছু"র ওপর "মন দেওয়া" । এই মন দেওয়ার বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে  বিজ্ঞান ও ধর্ম  ধ্যানের ব্যাপারে পৃথক হয়ে গেছে। ধর্মে ধ্যান প্রক্রিয়াটির  সঙ্গে সম্পর্কিত  শব্দ,  ছবি , বা মন্ত্রটিই প্রধান, ধ্যানের মানসিক বা শারীরিক ব্যাপারসমূহের গুরুত্ব নেই ।  ধর্মে শব্দ, বা মন্ত্রের ব্যাপারটি মুখ্য, ধ্যানে মনোনিবেশ করার প্রক্রিয়াটি  গৌণ ।  অন্যদিকে ধ্যান নিয়ে যাঁরা বিজ্ঞানের চর্চা করেন, তাঁদের সংজ্ঞায় ধ্যানে  মন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি মুখ্য, মন্ত্রের বা শব্দের বা ছবির  কোন তাৎপর্য নেই, বা থাকলেও গৌণ, বস্তুত mindfulness ব্যাপারটিতে মন্ত্রের ব্যাপারটি  নেই, সেখানে নাকে  স্বাস প্রস্বাসের যাতায়াত  ব্যাপারটি দেখা হয় । এই তারতম্যটি গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের আলোচনাও এই "মন দেওয়া", "মনোনিবেশ" ব্যাপারটির প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে । এখন মনে হতে পারে যে এই আপাত সরল  ব্যাপারটি, মন দিযে  মনকে "দেখলে" বা শরীরকে বা কোন শারীরিক প্রক্রিয়াকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করে দেখলে তাতে  এমন কি হতে পারে যে তাতে শরীরের বা মনের উপকার হয় । সেটা পরের কথা ।

    আমরা আজকের দিনে যাকে ধ্যান বলে অভিহিত করি, সেই ধরণের ধ্যান মানুষ কবে থেকে শুরু করেছিল তার নির্দিষ্ট কোন হদিশ পাওয়া যায় না, তবে মনে রাখতে হবে যে  ধ্যান শুধু ভারতবর্ষে নয়, সারা পৃথিবীতে প্রায় সমস্ত জনগোষ্ঠী এবং ধর্মের সংস্কৃতির অঙ্গ,  কিছু না হলেও ৫০০০ বছরের পুরোনো প্রথা, কারো কারো মতে হয়তো  এক লক্ষ বা তারও বেশি পুরোনো, যেমন  আগুনের পাশে আদিম মানুষের বসে থাকার সূত্রেও শুরু হয়ে থাকতে পারে [১]  ।

    https://positive.b-cdn.net/wp-content/uploads/2022/11/History-of-Meditation-Timeline.png

    [১]: https://positivepsychology.com/history-of-meditation/

    কাজেই ধ্যান কোনো অপ্রাকৃতিক  বিষয় বলে মনে করার কারণ নেই । একই রকম ভাবে, বিজ্ঞান ব্যাপারটিও মানুষের জীবন বহির্ভূত কোন অপ্রাকৃতিক বিষয় নয় । যাঁরা ধ্যান ব্যাপারটিকে  অবৈজ্ঞানিক বলে মনে করেন, তারা খুব সম্ভবত ধ্যান ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গে পরিচিত নন । যে কারণে অনেকে হোমিওপ্যাথি বা জ্যোতিষ সম্বন্ধে বুজরুকি কথাটি ব্যবহার করেন, সেই একই কথা ধ্যান সম্পর্কিত গবেষণা সম্বন্ধে খাটে না । 
     
     ইতিপূর্বে লিখেছি, একথা অনস্বীকার্য যে ধ্যানকে নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা একটি “প্রণালী” রূপে দেখে তার অনুসন্ধান করতে চান, কিন্তু ধর্মের প্রেক্ষিতে ধ্যানকে আচার হিসেবে ধরা হয় ।  আচার বিচারের ব্যাপারটি যদি আমরা সরিয়ে নিয়ে ভাবি, তাহলে দেখা যাবে যে  ধ্যান ব্যাপারটির যে প্রক্রিয়া তাতে কিন্তু এমন ধরণের কিছু দাবি করা যাবে না, বা সচরাচর যারা ধ্যান নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণা করেন তাঁরা দাবি করেন না যাতে করে ব্যাপারটি সহজ বুদ্ধিতে অবাস্তব বলে মনে হতে পারে । যেমন ধরুন, ধ্যান করার অর্থ মনোনিবেশ করা. এতে যদি মনে করা হয় যে মনের প্রতি মনোনিবেশের ফলে মনের অবস্থার পরিবর্তন হবে , সেই ধারণা এবং তার সম্পর্কিত প্রশ্ন কিন্তু যুক্তিসঙ্গত, যে কারণে  ধ্যান ব্যাপারটিতে  বৈজ্ঞানিক প্রথাগতভাবে যুক্তিসহকারে চর্চা করার  সুযোগ রয়েছে । এর বিপ্রতীপে ভেবে দেখুন, জ্যোতিষ নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা যে ধরণের বক্তব্য পেশ করেন, তাকে সাধারণ যুক্তি দিয়ে বিচার করতে পারবেন না, যেমন ধরুন জ্যোতিষীদের মতে নভোমণ্ডলে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান  মানুষের বাস্তবিক প্রাত্যহিক বা ব্যবহারিক জীবনের সম্পর্ক  নির্ণয় করে । এইরকম একটি ধারণাকে কখনোই বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কেউ আনেও না ।  
     
    কাজেই ধর্মের ধ্যান এবং বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিকের ধ্যান দু রকমের ব্যাপার, এগুলো কে এক করে ফেললে মুশকিল, তখন আর আলোচনার জায়গাটা থাকে না । তবে ও ঠিক যে  ধ্যানকে কেন্দ্র করে একটা অন্য ধরণের  সমস্যা আছে, যার জন্য এই অপবিজ্ঞান জাতীয় চর্চার প্রশ্নগুলো উঠছে ।  "ধ্যান নিয়ে যাঁরা Wellness " এর ব্যবসা যারা করেন, তাঁরা ধ্যানের বৈজ্ঞানিক গবেষণাপ্রসূত ফলাফল গুলো গ্রহণ করেন বটে তবে সে সব প্রচারের জন্য,  সেগুলোর অপব্যবহার করেন । তার সঙ্গে একথা অনস্বীকার্য যে , ধ্যান বিষয়টি এমন জটিল যে তাকে নিয়ে  প্রচুর অসৎ, ভুল মেথডের গবেষণাও  বিস্তর হয়, ফলে কোনটা দুধ আর কোনটা জল, এই ব্যাপারটি অনেক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছেই অনেক সময় স্পষ্ট রূপে প্রতিভাত হয় না । কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যারা বেছে বেছে এই অবৈজ্ঞানিক বিষয়গুলোকে নিয়ে ধ্যান সংক্রান্ত যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয় তাদেরকে দোষারোপ করতে থাকেন । কাজেই ধ্যান করলে কি হয়, এবং বৈজ্ঞানিক চর্চার কারণ কি তাই নিয়ে প্রাথমিক কথা আলোচনা করাটা ধ্যানের neuroscience নিয়ে আলোচনার শুরুতে করা প্রয়োজন  । 
     
    ধর্মের ধ্যান যেমন আছে,  ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যানও আছে । ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যান ব্যাপারটি অন্তত ভারতবর্ষে বুদ্ধদেবের জন্মের আগের আমল থেকে চলে আসছে,  দু-আড়াই হাজার বছর ধরে ভারত ও অবশিষ্ট এশিয়ায় মানুষ ধ্যান করেছে, তার সবটাই কেবল অবৈজ্ঞানিক ধর্মীয় উন্মাদনার বশে করে নি । তখন প্রশ্ন উঠবে যে ধ্যান নাম দিয়ে যে ব্যাপারটির চর্চা করা হয়, সেটি আসলে কি বা কিসের চর্চা করা হয়? কোন ব্যাপারটা ধ্যান আর কোন ব্যাপারটাকে ধ্যান বলা যাবে না? এবং এর সঙ্গে যে প্রসঙ্গটি ওঠে, ধ্যান যদি মানুষ পাঁচ হাজার বছর ধরে সব সমাজে করে থাকে, তাহলে এতো সমাজ ও দেশ থাকতে হঠাৎ বৈজ্ঞানিকরা কেনই বা হিন্দু বা বৌদ্ধ ধ্যান নিয়ে গবেষণায় উৎসাহিত? এ সব প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে ধ্যান বা মনের দিকে নজর দেওয়া নিয়ে যে গবেষণা তার একটি অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের দিকে দেখা যাক ।

    https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/9/9c/William_James_b1842c.jpg
    উইলিয়াম জেমস এর ছবি উইকিপিডিয়া থেকে 

    ১৮৯০ সালে  মার্কিন মনোবিদ উইলিয়াম জেমস Principles of Psychology বইতে লিখেছিলেন,
    • Attention, implying a degree of reactive spontaneity, would seem to break through the circle of pure receptivity which constitutes 'experience,' and hence must not be spoken of under penalty of interfering with the smoothness of the tale. But the moment one thinks of the matter, one sees how false a notion of experience that is which would make it tantamount to the mere presence to the senses of an outward order. Millions of items of the outward order are present to my senses which never properly enter into my experience. Why? Because they have no interest for me. My experience is what I agree to attend to. Only those items which I notice shape my mind − without selective interest, experience is an utter chaos. Interest alone gives accent and emphasis, light and shade, background and foreground − intelligible perspective, in a word. It varies in every creature, but without it the consciousness of every creature would be a gray chaotic indiscriminateness, impossible for us even to conceive. 

    (বইয়ের ২০৪ এর পাতায় দেখুন) [২]
    [২]: http://www.public-library.uk/ebooks/50/61.pdf

    উইলিয়াম জেমস যে সময় attention বা মনোনিবেশের কথা কথা নিয়ে লিখছেন, সেই সময় অন্তত আমেরিকায় চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে বা মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রাচ্যে যে ধরণের ধ্যান প্রচলিত ছিল, তাই ; নিয়ে কোন ধারণা ছিল না বা থাকার কথা নয় । পাশ্চাত্যে প্রথম হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত focused attention জাতীয় ধ্যানের প্রচলন করেন স্বামী বিবেকানন্দ, কিন্তু সে ব্যাপারও অন্তত ১৮৯৩ সালের আগে হয়নি, কাজেই উইলিয়াম জেমসের মনোবিজ্ঞানে বই লিখে ধ্যান ব্যাপারটির অবতারণার সঙ্গে ধর্মের যে বিশেষ সম্পর্ক নেই, বলা যেতে পারে, বরং মনোবিজ্ঞানের একটি সম্পর্ক রয়েছে । 

    এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের প্রথা নিয়ে দু একটা কথা বলা যেতে পারে । বিজ্ঞান চর্চা বলে আমরা যাকে মনে করি, তার চার পাঁচটি প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে : (১) কোন ব্যাপারকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করা ; (২) সে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এক বা একাধিক তত্ত্ব উপস্থাপিত করা ; (৩) সেই তত্ত্ব কে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন করা যেগুলো কে “উপতত্ত্ব” বা hypothesis বলা যেতে পারে ; (৪) এর পর সেই হাইপোথিসিস কে কেন্দ্র করে একাধিক পরীক্ষা করা (experiment ) করা ; এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি তত্ত্বকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করা, কিন্তু যদি দেখা যায় যে প্রচলিত ধারণার তুলনায় নতুন যে তত্ত্ব দাঁড় করানো হলো সেটিকে ভুল প্রমান করা যাচ্ছে না, তখন সেটিকে গ্রহণ করে আবার নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা । এখন এই এক থেকে পাঁচ নম্বর প্রক্রিয়াগুলো চক্রাকারে চলতে থাকে, এবং ক্রমান্বয়ে একেকটি নতুন তত্ত্ব উপস্থাপিত হয়, তাকে কেন্দ্র করে হাইপোথিসিস, তারপর তাদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং নতুন তত্ত্বের উপস্থাপনা, এইভাবেই বিজ্ঞান এগোতে থাকে । এখন ধ্যান ব্যাপারটিকে নিয়েও এই একই কাজ হয়েছে ও হচ্ছে । যার জন্য একটা সময় হয়তো শুধু মানুষের মনের ওপর কি প্রতিক্রিয়া হয় তাই নিয়ে গবেষণা হত , এখন তার পরিধি আরো ব্যাপ্ত, ধ্যান কে কেন্দ্র করে স্নায়ুবিজ্ঞানের জটিল পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়, এমনকি নতুন ধরণের গবেষণা যেমন Interoception (বা, একটু আলগা ধরণের অনুবাদ করলে যাকে বলা যেতে পারে অন্তর্দর্শন), তাই নিয়েও বিস্তর গবেষণায় মেতে রয়েছেন অনেকে । তো সেসবের মধ্যে প্রবেশ করার আগে, আরেকটু ইতিহাস ঝালিয়ে নেওয়া যাক ।

    এখন এ সমস্ত তো ভালো কথা কিন্তু ধ্যান এমন একটি ব্যাপার, যাকে প্রথাগত বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক প্রথা দিয়ে মাপা হয়তো সম্ভব কিন্তু এতে একটা মস্ত সমস্যা আছে যার তল পাওয়া সহজ নয় । প্রথাগত বিজ্ঞানে অবজেক্টিভ reality র একটা ব্যাপার আছে, যেমন ধরুন যে রংটা লাল, সেটা আপনার কাছেও লাল, আমার কাছেও লাল (ধরে নিচ্ছি আমার আর আপনার রঙ দেখা নিয়ে কোন অসুখ নেই), কিন্তু এই ব্যাপারটি যখন মনের অন্দরের হাল হকিকত যেন তাকে নিয়ে গবেষণা করতে যাওয়া হবে, তখন ধরে নেওয়া যাবে না । মনে করুন ধ্যানের মাধ্যমে গবেষণা করা হচ্ছে ধ্যান করে মানুষের মনে কি পরিবর্তন হয়, কি ধরণের ধারণা উদয় হয় । এখন এই ব্যাপারটি প্রতিটি মানুষের নিজের ব্যক্তিগত, তাকে আলাদা করে অন্য একজন (এক্ষেত্রে গবেষক) “দেখতে” পাবেন না, তাঁকে মানুষটির ওপর নির্ভর করতে হবে ।  কিন্তু তাহলেও অন্যান্য নানান যন্ত্রপাতির সূত্রে মানুষ যা মুখে বলছেন তাঁর মনের হাল বা হদিশ দিতে আর মনে করুন EEG বা MRI করে যা পাওয়া গেলো তার একটা সাযুয্য খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে । 

    যেমন মনে করুন আপনি একটি বাদুড় সম্বন্ধে জানতে চাইছেন  । তা আপনি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে বাদুড় কিভাবে ওরে, কিভাবে সে প্রাণী রাতের অন্ধকারে খাবার খুঁজে পায় , জঙ্গলের মধ্যে গাছে না ধাক্কা খেয়ে উড়তে পারে, তার সম্বন্ধে সবই জানলেন, তবুও বাদুড় বাদুড়ের চোখ দিয়ে দুনিয়াকে কিভাবে দেখে তার কিছুরই হদিশ পাবেন না । সে হদিশ একমাত্র বাদুড় ছাড়া আপনাকে আর কেউ দিতে পারবে না । আপনাকে বাদুড় হয়ে বাদুড়ের সম্বন্ধে জানতে হবে, এই নিয়ে টমাস নাগেলের একটি অনবদ্য প্রবন্ধ আছে, পরে সে নিয়ে আলোচনা করা যাবে, আপাতত এইটুকুই থাক । তবে সৌভাগ্যের বিষয়, মানুষের ওপর গবেষণা করতে গেলে একরকম উপায় আছে যাতে করে এই সমস্যাটির সমাধান সম্ভব ।

    https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/cf/Francisco_Varela.jpg
    (ফ্রন্সেস্কো ভ্যারেলার ছবি, উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে)

    কাজটা সম্ভব তবে সহজ নয় । এই দুরূহ কাজটিকে আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞানের আওতায় আনার কৃতিত্ব দিতে হয় চিলি দেশের জীববিজ্ঞানী ফ্রন্সেস্কো ভ্যারেলাকে । তাঁর কাজ ও neurophenomenology ব্যাপারটি নিয়ে আরো বিশদে পরে লিখবো, আপাতত বিষয়টি কি তাই নিয়ে দু কথা বলে শেষ করি । কারণ তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে (যদিও অতি প্রয়োজনীয়), আর এ লেখা শেষ করে উঠতে পারবো না । তো ফ্রন্সেস্কো ভারেলা যে পথটির কথা বলেছিলেন তাকে সংক্ষেপে স্নায়ুবিদ্যার সঙ্গে প্রপঞ্চবিদ্যার একটি সংমিশ্রন বলা চলে, যার ইংরেজি নাম “neurophenomenology “, তাকে বর্ণনা করতে গিয়ে এবং তাকে নিয়ে ভারেলা’র অবদান সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে Renzo Lanfranco  লিখছেন,

    ফ্রান্সেস্কো ভ্যারেলা এবং neurophenomenology  
    • Neurophenomenology requires researchers to deal with qualitative data (e.g. phenomenological descriptions) and quantitative data (e.g. EEG signal) while giving each of them equal importance, care, and rigour. By mutually constraining both sources of data, neurophenomenology allows researchers to find mutual determinations between experience and neural mechanisms, which in turn helps exploring the transitions between contents of consciousness. Therefore, neurophenomenology addresses consciousness using a non-reductive approach that treats experience and neurobiology as equally important sources of data.


    [৩]: https://journals.sagepub.com/doi/epub/10.1177/10597123221080193
     
     ব্যাপারটা কেমন জানেন? মনে করুন আপনি ধ্যানে যে মানুষের মনের stress নিরসন হয়, তাই নিয়ে গবেষণা করবেন মনস্থ করেছেন । এখন stress ব্যাপারটার আপনার কাছে হয়তো একরকমের ব্যাখ্যা আছে, এবং তাকে আপনি প্রশ্নাবলী দিয়ে মানুষের কাছ থেকে এক ধরণের মাপজোক করবেন বলে স্থির করেছেন । শুধু তাই নয়, আপনি stress  হলে পরে ও ধ্যান করলে মানুষের মস্তিষ্কে কি ধরণের পরিবর্তন হতে পারে তাকে জানার জন্য EEG (electroencephalography ) করে দেখবেন । কিন্তু তাতেও মানুষটির মনের ভাব বা তাতে কি পরিবর্তন হলো সেটি শুধু মানুষটি বা সমবেত জনসমষ্টির মধ্যে একেকজন মানুষ একেকরকমভাবে তাকে নিজের মতো করে দেখবেন । সেইটার হদিশ  পাবেন কি উপায়ে ? তাই  প্রপঞ্চবাদ । মানে মনে যা যখন যে ঘটছে, সেই ঘটমান অবস্থাকে মানুষ পর্যবেক্ষণ করছে, তাকে হয়তো একটি ডাইরিতে লিখে রাখছে, আর আপনি পরে তাকে বিশ্লেষণ করছেন এবং আপনার অন্যান্য যে উপায়ে গবেষণা করবেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন । একটি জটিল বিষয়ের জটিলতাকে অতি সরলীকৃত না করে তাকে “দেখছেন” । 
     
     
     (চলবে) 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ১২ জুলাই ২০২৪ | ৯৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • kk | 172.58.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৫:৫৬534518
  • চলুক। মন দিয়েই পড়ছি। এই নিয়ে অন্য সিরিজটাও পড়ছিলাম। আশা রাখি ওটাও সম্পূর্ণ হবে।
  • অরিন | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৬:২৮534519
  • kk, অজস্র ধন্যবাদ!
     
    অন্য সিরিজটায় এই কথাগুলো লিখে না শুরু করার জন্য একটু চাপ হয়েছিল, যার জন্য এটা আলাদা করে খুলতে হল ।
    আসলে এখন আমার যাকে বলে "firing  on all cylinders " দশা, কাজের চাপে পাগলের প্রায় অবস্থা, দেবাশিসবাবুকে কথা দিয়েছিলাম ধ্যানের কি উপকার তাই নিয়ে কি ধরণের "বৈজ্ঞানিক" কাজ হয়েছে লিখব, সেই প্রতিজ্ঞা রাখতে গিয়ে এই করতে হল, :-)
    মনে হয় প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার নাগাদ আপডেট করব, না হলে পারবো না ।
  • kk | 172.58.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৭:০৫534520
  • না না, আপনি সময় নিয়ে লিখুন। তাড়াহুড়োর কোনো দরকার নেই।
  • :) | 2605:6400:30:f51a:f826:ecfc:47b6:***:*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪৩534521
  • মনে হয় না ট্রোলরা সহজে ছেড়ে দেবে। আপনি অনেকের বিশ্বাসে ঘা দিয়েছেন।
  • dc | 74.82.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৯534522
  • ধ্যান নিয়ে অরিন্দমবাবু একটা সিরিজ লিখছিলেন, সেটা কি শেষ হয়ে গেছে? অনেকদিন ঐ টইটা পড়া হয়নি। 
  • অরিন | 202.36.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৪534523
  • @dc, আপনি এটা থেকে শুরু করতে পারেন। আমি পরে সবকটাকে লিঙ্ক করব। ব্যাপারটা জট পাকিয়ে গেছে।
     
    @:-), ট্রোলদের নিয়ে আর মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই,ভেবে দেখলাম। যেটা লেখার স্পষ্টভাবে বলাই ভাল।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:1157:9af6:bbdc:***:*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৯534524
  • "ট্রোলদের নিয়ে আর মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই,ভেবে দেখলাম। যেটা লেখার স্পষ্টভাবে বলাই ভাল"
     
    ১০০% একমত। 
  • ar | 71.174.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৩534525
  • আরে আপনি আগের লেখাটা থামালেন কেন?
    দেখুন ধ্যান বলতেই লোকে ধর্মাধর্মের সাথে এক করে ফেলে, বিশেষ করে আমার মতন অ্যান্টাই-চাড্ডি বা প্রকৃষ্টবীরবাদী হলে তো করেই!! কিন্তু ধ্যানকে যদি আমরা এক ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া বলে ধরে নি, তাহলে মানুষের দেহে ধ্যানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে চর্চা করা যেতেই পারে। যেটা আপনি খুব সুন্দরভাবে শুরু করেছিলেন। এই নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। oxygen consumption এ প্রভাব ফেলে, লোকে এমনকি age-matched control নিয়ে প্রোটিওমিকস করেও পেপার ছেপেছে। দীর্ঘদিন যোগাভ্যাসের ফলে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে, এইটাই ওনাদের বক্তব্য।
    https://www.science.org/doi/10.1126/science.167.3926.1751
    https://www.thelancet.com/journals/ebiom/article/PIIS2352-3964(22)00210-9/fulltext#seccesectitle0027
    ট্রায়াল করাটা একটু চাপের ব্যাপার, কারণ সেই age-matched control। আবার, short-term effect ভার্সাস long-term effect না দেখলে যথেষ্ট ডেটা পাবেন না। বা এই ব্যাপারটা হয়ত প্রথাগত পদ্ধতির (standard method) এর বাইরে গিয়ে চর্চা বা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
    কিন্তু ধ্যান বা যোগাভ্যাস বিজ্ঞান চর্চার বিষয় হতে পারে না, এইটা একেবারেই ঠিক নয়।
  • ট্রোল নয়  | 173.62.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৭534526
  • বাপ্পো! হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম। তিন দিন ধরে ভাট পড়ে ভাবছিলুম এটা কি উনি ঠিক কল্লেন! সময় নেই, পরে লিখবেন একটা ব্যাপার, আর লোকে ট্রোল করছে বলে হাত তুলে দিলে তো পাঠকের মনে সংশয় আসে! 
     
    মাদুর পাতা রইল। 
  • ধ্যানারু | 103.249.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৬534530
  • সহমত। তাছাড়া ধ্যান তো শুধু কেবল একটা ক্রিয়া নয়, ধ্যন হল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আর ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের চোখে চোখ রেখে ভারতীয় সংস্কৃতির একটা সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ। অনেক যুক্তিবাদীর এগুলো শুনলেই গা ঘিনঘিন করে, তাঁরা দেশের ঠাকুর ফেলে বিদেশের কুকুর নিয়েই বাঁচতে চায়। তাঁদের কথায় পাত্তা দেবেন না, লেখাটা চলতে থাক। দেখবেন, আপনার লেখা যত এগোবে, তথাকথিত স্বঘোষিত যুক্তিবাদীদের আস্ফালনও কমে আসবে।
  • Debasis Bhattacharya | ১২ জুলাই ২০২৪ ১১:৫৭534531
  • এটাকে কি ওই সিরিজের একটি পর্ব হিসেবে ধরতে হবে, না আলাদা একটা স্ট্যান্ড-অ্যালোন লেখা?
  • অরিন | ১২ জুলাই ২০২৪ ১২:০৪534532
  • দেবাশিসবাবু , আপনি এটাকে stand alone লেখা হিসেবে ধরুন, কারণ আগের লেখাগুলো থেকে এটা স্বতন্ত্র এই কারণে আমি আরো গোড়ার থেকে শুরু করছি । আসলে এই সময়টায় আমার অসম্ভব কাজের  চাপ,যার জন্য লিখতে দেরি হল, আমি প্রতি শুক্রবার (আমাদের শুক্রবার) আপডেট করবো, যেমন পারব । 
  • Debasis Bhattacharya | ১২ জুলাই ২০২৪ ১৩:০০534534
  • ঠিক আছে, সেভাবেই ধরব। ধীরেসুস্থে সময় নিয়ে লিখুন। তাড়াহুড়োর কী আছে?
  • অরিন | ১২ জুলাই ২০২৪ ১৪:২২534537
  • ধন্যবাদ  দেবাশিসবাবু। ধীরেসুস্থেই লিখবো, তবে নিয়ম করে প্রতিদিন একটা সময় বার করে লিখতে হবে (স্বগতোক্তি), আলসেমি করলে লেখাটা হয়ে ওঠে না ।
     
    @ar , অসম্ভব important দুটো লিংক আর কতগুলো পয়েন্ট লিখলেন । এগুলো যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য একটা লিটারেচার ডাটাবেসে তুলে রাখতে হবে, এবং পরে এগুলো  একত্র করে লিস্ট করে রাখার দরকার  ।
     
    @ধ্যানারু ও @ট্রোল_নয় , সদর্থক কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ , :-), না না, হাত তুলে দিইনি । এই কয়েকটা মাস বেদম কাজের চাপ, সব সামলে লেখা । তবে এই লেখাটা লিখতে গিয়ে প্রচুর পড়াশোনা হল এবং হচ্ছে, এটা মস্ত লাভ । 
  • kk | 172.58.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ২০:১৯534547
  • ধ্যানারুর এগারোটা ছেচল্লিশের পোস্ট পড়ে খুব মজা পেলাম। আগের টইতে আপনিই অন্য নাম নিয়ে ঠিক এর উল্টো কথা বলেছিলেন না? এই যে --
    • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:২৮533316
    • শ্রদ্ধেয় দেবাশিসবাবুকে অনেক ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন, বিজ্ঞানের মোড়কে ছদ্ম বিজ্ঞান প্রচারের পথ রুখে দেওয়ার জন্য। আর বিভিন্নভাবে যারা দেবাশিসবাবুর মত প্রাজ্ঞ এক্টিভিস্টকে ছোট করছেন ও গালি দিচ্ছেন, টোন কাটছেন বা বাঁকা কথা বলছেন, তাঁরা কি নিজেদের কাছে নিজেরাই ছোট হচ্ছেন না? ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:877:87e9:a72d:***:*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ২২:৩৪534552
  • "ধ্যান কেন বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হতে পারে" - এরকম স্টেটমেন্ট নিয়ে আমার একটু দ্বিমত আছে। ধ্যান কেন, ভগবান, ভুত, জ্যোতিষী, হোমিওপ্যাথি ইত্যাদি সবকিছুই বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হতে পারে কারন বিজ্ঞান একটা ফ্রেমওয়ার্ক, সেই ফ্রেমওয়ার্কের নিয়ম মেনে যেকোন কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। 
     
    বিজ্ঞান নামক ফ্রেমওয়ার্ক, বা সায়েন্টিফিক মেথড, হলো কোন ন্যাচারাল ফেনমেনন অবসার্ভ করা, সেরকম বেশ কিছু ফেনমেনন একত্রিত করে থিওরি তৈরি করা, সেই থিওরির ওপর বেস করে ফলসিফায়েবল হাইপোথিসিস বানানো, তারপর সেটা টেস্ট করে একটা কনক্লুশানে আসা। যদি নাল হাইপোথিসিস রিজেক্ট করা যায় তাহলে সেই থিওরি ব্যবহার করে প্রেডিকশান করা, তারপর দেখা যে সেই প্রেডিকশান মেলে কিনা। এই ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে ধ্যান নিয়ে নিশ্চয়ই কাজ করা যায়। 
     
    তবে একটা ব্যাপার হলো, অরিন্দমবাবু এখনও বোধায় "ধ্যান" এর কোন অপারেশনাল ডেফিনিশান দেননি (বা "ধ্যান" নামের কনসেপ্টটিকে অপারেশনালাইজ করেননি)। হয়তো অন্য টইতে করেছেন, তবে মাঝখানে কিছুদিন টই ফলো করিনি বলে দেখতে পাইনি। এই টই যেহেতু প্রোলগ হিসেবে পড়তে বলেছেন, তাই এখানে একটা পরিষ্কার ডেফিনিশান দিয়ে রাখলে ভালো হয়। 
     
    "ধ্যান কথাটির আক্ষরিক অর্থ মনোযোগ" - এটা আমার কাছে বড্ডো ব্রড বা ভেগ ডেফিনিশান মনে হলো। ধ্যান এর কি স্পেসিফিক কিছু ক্যারেকটারিসটিক আছে যা দিয়ে সেটা মেজার করা যায়? এমনিতে তো আমি পরোটা আর পাঁটার মাংসও মনোযোগ দিয়ে খাই, তবে সেটাকে ধ্যান মনে হয় কেউই বলবে না। তাহলে ধ্যান ঠিক কি, যার বেসিসে ফলসিফায়েবল হাইপোথিসিস বানানো যায়? 
  • Debasis Bhattacharya | ১২ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৩534555
  • kk,
     
    হ্যাঁ, বিষয়টা অদ্ভুত বইকি। ডিসি অনেক আগেই এটা লক্ষ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। মনে হচ্ছে কোনও রসিক ব্যক্তি উভয় পক্ষকেই উস্কে দিয়ে তর্ক জমিয়ে তোলবার চেষ্টা করছেন। প্রচেষ্টাটি যে মাঝে মাঝে একটু বেশি উদ্ভট হয়ে যাচ্ছে, সেটা হয়ত উনি খেয়াল করছেন না। 
  • Debasis Bhattacharya | ১২ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৬534556
  • ডিসি-র শেষতম প্রশ্নগুলো পার্টিনেন্ট। হ্যাঙ্গিং অন। 
  • kk | 172.58.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৪534558
  • ডিসি,
    মনোযোগ দিয়ে পরোটা ও পাঁটার মাংস খাওয়াকে ধ্যান বলবেনা কেন? আমিই বলবো। মাইন্ডফুল ঈটিং একটা চালু মেডিটেশন প্র্যাকটিস। যা কিছু সম্পর্কে আপনি অ্যাওয়ার থাকছেন সেটাই সেই মূহুর্তে ধ্যান। এগুলো টেকনিক্যাল পরিভাষায় 'ইনফর্ম্যাল মেডিটেশন', যা সারাদিনে অনেকবার ছোটছোট মূহুর্তে করা যায়। আপনার পোস্টের বাকি অংশ সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই। এবার ওভার টু অরিনবাবু।

    দেবাশীষবাবু,
    সেই। অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি তা। মজা লাগে। ইনি আলুসেদ্ধ ও পেয়াঁজকুচি খেতে বিশেষ ভালোবাসেন। সেও লক্ষ্য করেছি :-)
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:877:87e9:a72d:***:*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ২৩:১৬534561
  • মাইন্ডফুল ইটিং অবশ্য আমি খুব ভালো পারি :-)
  • | ১২ জুলাই ২০২৪ ২৩:২৭534562
  • এটা ওই  guru নিজে যে লেখে সেই। ডিসি একদমই ঠিক ধরেছিলেন। লগিন করা নিক বা নামটাও ঠিক। সেইটা আবার সৈকতের লেখায় আমারই মন্তব্যের উত্তর অতি উৎসাহে দিতে গিয়ে ধরা পড়ে। 
    এখন ব্যপারটা পুরো নষ্টামির পর্যায়ে চলে গেছে।
  • Debasis Bhattacharya | ১২ জুলাই ২০২৪ ২৩:৫৩534565
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক ঠিক, আমিও শুনেছি বটে। কোথায় যেন মাইন্ডফুলনেস না ভিপাসনা কী একটা কোর্স-এ খুব ধীরে ধীরে কিসমিস খেতে বলে। কিসমিস খুবই ভাল জিনিস, তবে কিনা, টাকা পয়সা যা নেয় সেটা কিসমিস-এর দামের চেয়ে অনেক বেশি। ওটাই পব্লেম।
     
    আলুসেদ্ধ আর পিঁয়াজকুচি? মন্তব্যের মধ্যে এইসব লিখেছেন নাকি? লক্ষ করিনি তো! ও তো আমিও ভালবাসি। দেখতে পেলে ওনার সঙ্গে কিঞ্চিৎ চর্চা করা যেত এ নিয়ে! 
  • kk | 172.58.***.*** | ১২ জুলাই ২০২৪ ২৩:৫৬534566
  • মন্তব্যের মধ্যে নয়। ভাটিয়ালিতে একেকদিন একেক খাবারে নাম নিক হিসেবে নিয়ে লিখছিলেন। তার মধ্যে এইদুটো খাবার একাধিক বার এসেছে। তাই বললাম আর কী।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০০:০৩534567
  • টাকাপয়সা একেবারে না দিয়েও কিসমিস খাওয়া যায় অবশ্য। আমি প্যালুজে (palouse) নামে একটা ওয়ার্কশপ করেছিলাম MBSR এর। আট সপ্তাহের কোর্স। পুরোটাই ফ্রী। লিংক টিংক আর সাতপাঁচ ভেবে দিলামনা। যাক গে, আলোচনা চলুক। আমি এবার চুপ করলাম।
  • Debasis Bhattacharya | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০০:১৩534568
  • আট হপ্তা বিনে পয়সায় কিসমিস? এইসব খবর খালি আপনি পান কেন? আমার মতন অভাগাগণ এইসব খবর খালি সব হয়ে যাবার পরে পায় ক্যানো! ইনসাফ কাঁহা হ্যায়, হুজৌর!  
  • নিন্নিছা | 95.153.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০০:১৪534569
  • নিকের আড়ালে কুচ্ছো গাওয়ার কথা তুললে সে তো দেবাও ঔপনিবেশিক ন্যালাখ্যাপা নামে এলবোর পবন্দে দলবল জুটিয়ে খিস্তাতো। যুক্তিবাদীর নিজের পোঁদে হাগু নিয়ে অন্যের ব্যাপারে ছুঁচিবাইপনা না মারানোই ভাল।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০০:২৫534573
  • আহা, আমি একা কেন পাবো? এই যে দেখুন এই লিংক -- https://palousemindfulness.com/
    এটা যে কেউ যেকোনো সময় করতে পারে।
  • Debasis Bhattacharya | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০১:৪০534575
  • ধন্যবাদ, কেকে! 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৫:২৭534576
  • dc, kk একেবারেই স্পট অন।
    ধ্যানের কোন rigid definition সম্ভব নয়, কারণ ধ্যান একটি framework যার জন্য একটি umbrella term যে
     ধ্যান == মনোযোগ (double equality)
    এবার ধ্যানের নানান সাবটাইপ, তাদের প্রিসাইজ definition যেমন mindfulness meditation, যাকে এক কথায় বলে "moment to memont intronsic nonjudgmental awareness", মানে প্রত্যেক "ক্ষণে" মনে যা উদিত হচ্ছে তাকে কোন বিচার না করে তাতে মন দেওয়া। এবার তার সাবটাইপ আরো preisely defined, অনাপনসতী (পালি), যে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের পর্যবেক্ষণ।
    যে কারণে কেকে'র কিসমিস মেডিটেশন এই ফ্রেমওয়ারকে আসে।
    আচ্ছা, এবার testable hypothesis, এইটা meditation research এ অসম্ভব জটিল, যে কারণে neurophenomenologyর কথাটা উঠছে, তার কারণ ধ্যানের observation subjective, objective নয়। ফলে আপনি যে পজিটিভিস্ট rationalist lens দিয়ে দেখতে চাইছেন হয়ত পুরোপুরি পারবেন না। যে কারণে empirical research, এগুলোর কথা উঠছে, আগের লেখাটায় দেবাশিসবাবুর সঙ্গে খুব ভাল আলোচনা হচ্ছিল।
    যে কারণে meditation research এ কিছু ক্লিনিকাল আউটকামের বাইরে আর কিছু দেখতে পাওয়া যায় না, এমন কিছু আউটকাম, যেগুলো হয় objectively মাপা যায়, নয়ত যার মাপবার instrument validated যেমন stress inventory। এ বাদ দিলে fMRI আর magnetoencephalography, EEG, সে আরেক গল্প, সেইসব বলার জন্যেই শুরু করেছিলাম, অতএব চলবে।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৫:৩৭534577
  • "কিসমিস খুবই ভাল জিনিস, তবে কিনা, টাকা পয়সা যা নেয় সেটা কিসমিস-এর দামের চেয়ে অনেক বেশি। ওটাই পব্লেম।"
     
    দেবাশিসবাবু, বিপস্যনা মেডিটেশনে কিন্তু এক পয়সাও নেবার কথা নয় কারো কাছে।  এটা দেখুন,
     
     
    আমাদের দেশ নিউজিল্যান্ডেও তাই, বিপস্যনা করতে গেলে কাউকেই একটি পয়সাও খরচা করতে দেওয়া হয় না। নতুন যারা শুরু করে, তাদের কাছে তো পয়সা নেওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। 
     
    তবে রিট্রিটের নম করে একদল লোক ব্যবসা করে, তাদের মনে হয় চড়া ফি'র ব্যাপার।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন