এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • রাজ্য বোর্ড ক্রমশ ইয়ার্কিতে পরিণত হচ্ছে কি? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ১০ মার্চ ২০২৩ | ৩৭২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৬ জন)
  • রাজ্যের আট হাজার ইশকুল তুলে দেবার কথা শুনে সেই বহুচর্চিত মার্কেটিং এক্সিকিউটিভদের গপ্পের কথা মনে পড়ে। জুতো কোম্পানির দুই বিপণন বিশেষজ্ঞকে পাঠানো হয়েছে, কোনো এক প্রাচীন উপজাতি এলাকায়, ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে। একজন দেখে এসে জানালেন, ব্যবসার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ ওই এলাকায় কেউ কোনো জুতো পরেনা। আর দ্বিতীয়জন এসে জানালেন, প্রথমজন ডাহা ভুল। ওখানে ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা, কারণ, ওই এলাকায় কেউ এখনও একটাও জুতো বেচেনি।
    তা, এই হল বাজার-বিশেষজ্ঞতা, যা দিয়ে যেকোনো রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়। সোজা সিদ্ধান্তটা হল, রাজ্যের আট-হাজার ইশকুল তুলে দেওয়াই উচিত, কারণ সেখানে কেউ ভর্তি হয়না। আবার উল্টোদিক থেকে দেখলে, সেটাই দেখা উচিত, যে, ইশকুলগুলোর বিপুল সম্ভাবনা, কারণ, সারা রাজ্যেই ছাত্রছাত্রী বা সম্ভাব্য ছাত্রছাত্রী প্রচুরের চেয়েও বেশি। অবৈতনিক শিক্ষা কোনো বাজারি বিপণন প্রক্রিয়া না, কিন্তু স্রেফ বাজার দিয়ে চিন্তা করলেই এরকম ভাবা উচিত। আমি শিক্ষা, বিশেষ করে বিদ্যালয় শিক্ষা নিয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল নই, কিন্তু চারদিকের চিত্রটা দেখলে মনে হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই লাইনেই ভাবছে। যে, ছাত্রছাত্রী প্রচুর, ধরে এনে বেওসা করতে হবে।  আর রাজ্য সরকার ভাবছে, প্রথম বিশেষজ্ঞের লাইনে, অর্থাৎ কীকরে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে নিজের হাত তুলে নেওয়া যায়।
    চার দিকের কী দেখে এরকম মনে হচ্ছে? আবারও, আমি শিক্ষাবিশেষজ্ঞ নই। এবং আমার দৌড় কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি। সেটাও নেহাৎই মধ্যবিত্ত বৃত্তে। সেই বৃত্তে আমি কী দেখছি? আমার পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা প্রায় কেউ তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজ্য বোর্ডের ইশকুলে পড়াননা। যাঁরা রাজ্য বোর্ডের শিক্ষক, তাঁরাও না। তার নিশ্চয়ই অনেক কারণ আছে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি, এই যে তিরিশ কিলোমিটার এলাকা, স্যাম্পল সার্ভে না করেই বলতে পারি, যে, রাজ্য বোর্ডের ইশকুল গুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ তো নয়ই, বরং অগতির-গতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আমরা যে ইশকুলগুলোয় পড়েছি, যেগুলো নামী ইশকুল বলে জেনেছি, সেগুলো সমেত। দুর্নীতি, ইশকুল-বন্ধ করে দেওয়া, এই ব্যাপারগুলো দিয়ে এই দুচ্ছাইকরণ প্রক্রিয়াটাকে ক্রমশ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
    এর ঠিক উল্টোদিকে আছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের ইশকুলগুলো। সেগুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ। গরীবরাও পারলে ওখানেই পাঠান। এদের পিছনে তৈরি করা হয়েছে এক জ্যোতির্বলয়। একে তো ঝকঝকে। তার উপর হিন্দি-ইংরিজি শেখায়। এবং আজ পর্যন্ত কোনো মিডিয়ায় এদের সিলেবাস, শিক্ষাপদ্ধতি, খরচ, এ নিয়ে কোনো সমালোচনা দেখিনি। অথচ সব কটা নিয়েই সমালোচনার জায়গা আছে। খাজা কেন্দ্রীয় বোর্ডের ইশকুল গুচ্ছের আছে। খরচ, শিক্ষকদের মান, ব্যবসা সব নিয়েই বলার আছে। এবং সবার উপরে বলার আছে সিলেবাস নিয়ে। কিন্তু কোথাও এ নিয়ে কোনো টুঁ শব্দটি দেখিনা। কেন্দ্রীয় বোর্ড এক গৌরবময় ব্যাপার, এটা মোটামুটি সুপ্রতিষ্ঠিত। 
    এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, নানা অ্যাপ, অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা। সেসবেও বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ। আর রাজ্য বোর্ডের নিয়োগে অজস্র দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এই সবকটা জিনিস দেখেশুনেই মনে হয়, দুর্নীতি-টুর্নিতি নেহাৎই উপরিতলের ব্যাপার। কোনোক্রমে হাত ঝেড়ে ইশকুল এবং তার নিয়োগ-পদ্ধতি ব্যাপারটাই তুলে দিতে পারলে সরকার বেঁচে যায়। অন্যদিকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখলেও একই রকম লাগে।যে, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপারটাই ভুলভাল, ঝেঁটিয়ে বিদেয় করলেই ভালো। এবং এই দুইই এক জায়গায় এসে মেলে শেষমেশ। কেন্দ্রীয় বোর্ড ভালো, বেসরকারি শিক্ষা ভালো। ব্যবসা ভালো, হিন্দি-ইংরিজি ভালো। ওগুলোই চালু হোক। এবং জল সেই দিকেই গড়িয়ে চলেছে।
    জল অবশ্য ওদিকেই গড়াবে, এটা ভবিতব্য না। এর উল্টোদিকে দাবী হতেই পারত, এবং পারে, যে, কেন্দ্রীয় বোর্ড বিকল্প না। ব্যবসা বিকল্প না। যদি বিপুল ছাত্রসংখ্যা সত্ত্বেও ইশকুল বন্ধ হয়ে যায়, তার কারণ ছাত্রের অভাব না, রাজ্য বোর্ডের অক্ষমতা। কিছুটা ইশকুল এবং শিক্ষকদেরও। বেশিরভাগটাই অবশ্য এঁদের না। এর সঙ্গে রাজ্য বোর্ডকে, বাংলা ভাষাকে, ভূমিসন্তানদের, চাকরি এবং উচ্চশিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া একটা সরকারি অ্যাজেন্ডা, সেটা একটা সরকারি প্রকল্প হবার কথা, সেটা একেবারেই বোর্ডের বা ইশকুলের বা শিক্ষকদের দায় না। এগুলোকে নিয়ে রাজ্য সরকার স্রেফ ছেলেখেলা করছে বললেও কম বলা হয়। 
    আরও অদ্ভুত লাগে, চারদিকে এত আন্দোলন হচ্ছে, তাতে বিষয়গুলো জোরগলায় দেখিনা কোথাও। হয় থাকেইনা, থাকলেও ক্ষীণ গলায়। শিক্ষায় দুর্নীতি একটা জরুরি বিষয়, কিন্তু সেটা তো স্রেফ কান। বড় ব্যাপারটা, অর্থাৎ মাথাটা হল, গোটা ব্যবস্থাটাই লাটে উঠে যাবার দিকে এগোচ্ছে। রাজ্য বোর্ড উঠে যাওয়া মানে, অবৈতনিক বা কম খরচে শিক্ষার ধারণা উঠে যাওয়া, মাতৃভাষায় শিক্ষার ধারণা উঠে যাওয়া, এবং বস্তুত শিক্ষা ব্যাপারটাই রাজ্যের হাত থেকে উঠে যাওয়া। এছাড়াও আগেকটা বিষয় হল শিক্ষার মান। কী এমন ঘটেছে, যাতে মধ্যবিত্তরা বোর্ডের ইশকুলেই আর বাচ্চাদের পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন না? এই গুলো নিয়ে শিক্ষকরা আওয়াজ তুললে ভালো লাগত। কারণ রাজ্য বোর্ড তো স্রেফ কিছু কর্মসংস্থানের জায়গা নয়। এটা গোটা একটা প্রজন্মকে তৈরি করার বিষয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ মার্চ ২০২৩ | ৩৭২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • প্রশ্ন  | 173.49.***.*** | ১০ মার্চ ২০২৩ ১৯:১১517226
  • এখানে অন্য অন্য রাজ্যের লোকেরা তো রয়েছেন। জানতে মন্চায় তামিলনাড়ু কর্নাটক তেলেঙ্গানা মহারাষ্ট্র হরিয়ানা গুজরাট বিহার - ইত্যাদিতে কি স্থানীয় ভাষায় পড়াশুনা লাটে তুলে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় পাঠক্রমের চাষ হচ্ছে? 
    কেরালার কথা জিজ্ঞাসা করলাম না, ধরেই নিয়েছি সেখানে ইন্রিজি রাষ্ট্রভাষা। ভুল হলে জানতে চাই। 
     
    মনে হয় আসল প্রশ্নটা এই লড়াই লড়ার কোমরের জোড় বঙ্গদেশে কোনো পার্টিরই কি আছে? 
  • কী এমন ঘটেছে, যাতে মধ্যবিত্তরা বোর্ডের ইশকুলেই আর বাচ্চাদের পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন না? | 173.49.***.*** | ১০ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৪517227
  • মাতৃভাষায় চপের দোকান, ইন্রিজি হিন্দিতে চটপট বেসরকারি বা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি। বাংলা জেনে চাকরি কই? 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১০ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩৭517229
  • একান্ত নিজের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, বাংলা মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ইংরেজি ভাষায় সড়গড় না থাকায় ভালো ভুগেছি।
     
    বেশি বেতনের চাকরির জন্য আমাদের সময়ে ইংরেজিতে দক্ষতা অবশ্যই সাহায্য করত, দরকারি ছিল। এখন তার সাথে হিন্দীও জানতে লাগে। 
     
    সন্তানকে পড়তে পাঠানোর সময় আগে যতজন অভিভাবক এই নিয়ে ভাবতেন এখন নিশ্চয়ই তাদের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
  • একক | ১০ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৬517233
  • সরকারি ইস্কুলে স্টুডেন্ট -টীচার রেশিও বেশ খারাপ। এটা কেন খারাপ - কেন নিয়োগ হয়না সময়মত সেসব প্রশ্ন জায়েজ কিন্তু প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি নিজের বাচ্চাকে জেনেশুনে গোয়ালে ভত্তি কত্তে কেও চাইবে না। 
     
    প্রাইভেটে টীচারের কোয়ালিটি বিশাল ভালো তা নয়। ব্যাটারা চাকচিক্যে যত খরচ করে মাইনে দিতে মোটেই তা করে না , কাজেই   প্রাইভেটে পড়ানো  মোটেই অন্যান্য প্রাইভেট চাক্রির মত অত লুক্র‍্যাটিভ নয়। ভালো টীচারের অভাবে ভোগে প্রাইভেট ইস্কুল গুলো। কিন্তু ওই, তাদের স্টুডেন্ট - টীচার রেশিও বেটার। লোকে সেটাই দ্যাখে।
     
    প্রতিবেদনের মূল বক্তব্যের সঙ্গে একমত যে সরকার চায় শিক্ষা থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে তাই সিস্টেমেটিক্যালি খারাপ কে আরও খারাপ করা হচ্চে।
  • dc | 2401:4900:1cd0:d170:50ed:cb51:d56e:***:*** | ১০ মার্চ ২০২৩ ২২:১২517241
  • তামিল নাড়ুতে দুটো ট্রেন্ডই একসাথে দেখছি। 
     
    প্রথমত, গার্জেনদের প্রথম আর দ্বিতীয় প্রেফারেন্স ইংরেজি মাধ্যম, সিবিএসই বা আইসিএসই। যাঁদের প্রাইভেট স্কুলে পড়ানোর সাধ্য নেই, তাঁরাও চেষ্টা করেন কোনরকমে যদি ছেলেমেয়েকে প্রাইভেটে ভর্তি করানো যায়। একেবারে অপারগ হলে সরকারি স্কুল, যা কিনা তামিল মিডিয়াম আর তামিল নাড়ু বোর্ড। 
     
    অন্যদিকে, তামিল নাড়ু সরকার বেশ খানিকটা চেষ্টা করছে যাতে সরকারি স্কুলগুলোর পরিকাঠামো ভালো হয়, পড়াশোনা ভালো হয়। চেন্নাই এর কর্পোরেশান স্কুলগুলোর অনেকগুলোতে স্মার্ট ক্লাসরুম ইত্যাদিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এতো সব সত্ত্বেও, মাবাবারা মরিয়া চেষ্টা করেন যাতে ছেলেমেয়েরা ইংরেজি মাধ্যমে যায়। সরকারি ইস্কুল হলো অগতির গতি। 
  • - | 141.98.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০২:০৫517249
  • সমাজমাধ্যমে বহুল প্রচারিত একটি ভিডিও। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিছু মেয়ে কাঁদছে। সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করেছেন, “পরীক্ষায় গার্ড কেমন দেওয়া হয়েছে আজ?” মেয়েরা বিলাপ করছে, “গার্ড একদম ভাল দেওয়া হয়নি। খুব বাজে গার্ড দেওয়া হয়েছে”। ক্রন্দনরত মেয়েটি যখন আকুলভাবে বলে, গার্ড একদম ভাল ছিল না, সুস্থ বুদ্ধির দর্শকের ধারণা হওয়ার কথা, গার্ডরা কাজে গাফিলতি করেছেন, সৎভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করেননি। কিন্তু একটু পরেই বোঝা যায় ঘটনা তা নয়। কারণ মেয়েগুলি বলে, তারা কঠিন প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারছিল না কারণ ওঁরা “গার্ড লুজ” করছিলেন না। পিছন ঘুরে দেখতেও পারছিল না, কারণ ওঁরা এসে বকে দিচ্ছিলেন। আরেকটি মেয়ে বলছে, “আমি পাশেরজনেরটা দেখছি বলে আমায় এসে বলছে, কেন তুমি ওরটা দেখছ? দূরে সরে বসো। আচ্ছা, কোশ্চেন এত কঠিন এসেছে, আমরা দেখে লিখব না কেন?”

    https://nagorik.net/society/education/education-sector-going-through-silent-epidemic/
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০২:১৩517250
  • প্রাইভেটে খরচাপাতি কেমন? (পড়াশুনো কোথাওই হয় না, ঐ কিছু ফট ফট করতে শেখায়। কিন্তু ওই ব্র‌্যান্ডনেমটি আরকি, ওটিরই তো মূল্য। ওটা কিনতে কত গচ্চা পড়ে? )
    প্রাইভেট ব্যাটারা একেবারে ডাইনে বাঁয়ে গালে থাপড়িয়ে ভুষি গছিয়ে যাচ্ছে। করবেই। গোপাল পেলে হরি হরি হর হর করে হরবেই।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০২:১৭517251
  • তার উপরে সরকারকে পেয়েছে সুবিধায়। সরকার দায়িত্ব নিয়ে সরকারী স্কুল লঙ্গরখানা করে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে লেখাপড়ার কথা ভাবাই অন্যায়। ছেলেপিলেরা সব আসবে, জেল-খিচুড়ি খাবে, বাড়ি চলে যাবে।
  • lcm | ১১ মার্চ ২০২৩ ০২:৫৪517252
  • কোভিড ইমপ্যাক্ট আছে - উত্তরপ্রদেশে অবশ্য উল্টো !
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৪৫517255
  • চেন্নাইতে প্রাইভেট কয়েকটা স্কুল জানি, এগুলোতে ভালোই পড়াশুনো হয়। (ইন্ডিয়ান স্কুল এডুকেশান সিস্টেম, কারিকুলাম, টিচিং পদ্ধতি ইত্যাদি সমস্তই অতি মাধাতার আমলের আর অতি জঘন্য, পুরোটাই পাল্টানো উচিত, সে একেবারে অন্য গল্প)। চেন্নাইতে সরকারি দুয়েকটা স্কুলেও বেশ ভালো পড়াশুনো হয়। সব স্কুলেই শিক্ষকরা নিয়মিত সিলেবাস শেষ করেন, নিয়মিত ক্লাস হয়, পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট বেরোয়, নানা অনুষ্ঠান ইত্যাদি হয়। 
     
    কিন্তু আমি যা দেখেছি, পড়াশোনার কোয়ালিটি ডিসাইডিং ফ্যাক্টর নয়। ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হলো আর্থিক সংগতি। চেন্নাইতে দলমত নির্বিশেষে অভিভাবকরা প্রথম ও দ্বিতীয়ত ছেলেমেয়েকে প্রাইভেট স্কুলে, অর্থাত ইংরেজি মিডিয়াম, সিবিএসই বোর্ডে পড়াতে চান। একেবারে অপারগ হলে সরকারি স্কুলে পড়ান। সরকারি স্কুলে যারা পড়ান, তাঁদের যদি চান্স দেওয়া হয় তো ততক্ষনাত অন্তত ৯০% অভিভাবক প্রাইভেট স্কুল ট্রান্সফার করিয়ে নেবেন। যদুবাবুর টেবিলে দেখছি, ২০১১ তে প্রায় ৬০% বাচ্চারা প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি হতো। এখন বোধায় এই পার্সেন্টেজটা আরেকটু বেড়েছে। অথচ তামিল নাড়ু সরকার থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারি স্কুলের পড়াশোনা, পরিকাঠামোর মান উন্নত করার। কিন্তু অভিভাকরা সাড়া দিচ্ছেন না। কেন? 
  • যদুবাবু | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৩517256
  • এই নীচের pocast/আর্টিকল-টাও থাক, কথা হচ্ছে যখনঃ 
    https://idronline.org/podcasts/on-the-contrary-podcast-social-impact/government-schools-or-private-schools-what-is-india-choosing/

    এতে দুইজন লোক-ই অনেকগুলো ইন্টারেস্টিং কথা বলছেন, যার মধ্যে এক, বাবামা যখন ছেলেমেয়েদের স্কুল ঠিক করেন, শুধু অ্যাকাডেমিক পারফর্মেন্স দিয়ে করেন না, অন্য অনেক কারণ থাকে, যেমন টিচারের এনগেজমেন্ট, হোমওয়ার্ক দিচ্ছে কি না, স্কুলের নিরাপত্তা (দরজা বন্ধ করে কি না), এমন কি রোজ নখ কাটা হয়েছে কিনা ইত্যাদি ... 
     
    আরো বলছেন, 
     
    ১) পাবলিক-প্রাইভেটের ডেলিভারির ফারাক ততো নয়, যতো মনে হয়। সোশিও-ইকনমিক স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করার ব্যাপারটা দরকারী, কারণ একজন সম্পন্ন ঘরের ছেলেমেয়ে হয়তো বাড়িতে শেখার বা অন্য প্রিভিলেজে এগিয়েই আছে।("ASER data has shown that, adjusting for socio-economic differences, private and public are actually delivering at the same levels. Unfortunately, that’s not the perception in the market.")
     
    ২) কোথাও খারাপ কিছু হলে, সেটাকে ডিসপ্রোপোর্শনেটলি হাইলাইট করার একটা চল আছে বা হয়েছে, যেমন ঐ ছাতা বানান বা এই টুক্লি বা মিড-ডে মিল ...  ("Two is, any district in the country runs about 2000 schools. Two thousand schools, half a million children; you will be serving midday meals half a million times. Even at a Six Sigma level, there will be a possibility that one of those meals is infected in one of six days of the week. But that will be blown out of proportion by the media, [saying] “government does not work”. On the other hand, the private schools give ads in the local media, saying “My child got 98 percent, 97.6 percent, and 97.2 percent”. And governments don’t give ads in the paper. So systematically there is a belief that the government does not work and that private works.")
     
    ৩) আর আমাদের দেশের সরকারী স্কুলটিচারদের মাইনে পার ক্যাপিটা ইনকামের তুলনায় ভালোই বেশি, পার ক্যাপিটা ইনকাম কম মেনেও এটা একটা দেখার মত ব্যাপার। ("And there’s research done by the UN itself on the average government schoolteacher salary vis-à-vis the per capita income of countries across the world. For example, the ratio in France is 1.2. Meaning the average teacher actually earns 1.2 times more than the average person in the country per capita income. Do you want to guess what the ratio is for India? It’s 13. Thirteen times more than the per capita income; this is the highest in the world. Even the so-called capitalist countries don’t offer that.")

    (এগুলো কিন্তু আমার কথা নয়, ওঁদের কথা।) 
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৩517257
  • "প্রাইভেটে খরচাপাতি কেমন?"
     
    প্রাইভেটে খরচাপাতি অনেক অনেক অনেক বেশী, সরকারি স্কুলের তুলনায়। কিন্তু প্রাইভেট আর সরকারি স্কুলের পড়াশুনোর মান আর পরিকাঠামোর মধ্যে অতোটা বড়ো গ্যাপ নেই। অন্তত চেন্নাইএর কর্পোরেশান স্কুলগুলোর মান বেশ ভালো, অন্যান্য দুয়েকটা শহরেও, যেমন কোয়েম্বাতুর, যা শুনেছি, ভালো। অথচ, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তামিল অভিভাবকরা চাইছেন সিবিএসই বা আইসিএসই বোর্ডে ছেলেমেয়েকে পড়াতে, অনেকে শুধুমাত্র খরচের কারনে পারছেন না। 
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৮517258
  • "১) পাবলিক-প্রাইভেটের ডেলিভারির ফারাক ততো নয়, যতো মনে হয়। সোশিও-ইকনমিক স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করার ব্যাপারটা দরকারী, কারণ একজন সম্পন্ন ঘরের ছেলেমেয়ে হয়তো বাড়িতে শেখার বা অন্য প্রিভিলেজে এগিয়েই আছে।"
     
    "৩) আর আমাদের দেশের সরকারী স্কুলটিচারদের মাইনে পার ক্যাপিটা ইনকামের তুলনায় ভালোই বেশি, পার ক্যাপিটা ইনকাম কম মেনেও এটা একটা দেখার মত ব্যাপার।"
     
    এই দুটো কারনের সাথে ১০০% সহমত। নিজের চোখে এগুলো দেখছি। এবং এটাও দেখছি, অনেক সময়েই অভিভাবকরা মোটামুটি জানেন যে পাবলিক আর প্রাইভেটের কোয়ালিটিতে সেরকম তফাত নেই। তা সত্ত্বেও দেখছি, তামিল বোর্ডে পড়ানোয় তীব্র অনীহা, সিবিএসই বোর্ডে পড়ানোর তীব্র ইচ্ছা। 
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৯517259
  • *এই দুটো পয়েন্টের সাথে 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৮517261
  • নিজেরা যারা সরকারী স্কুলে টিচার হিসেবে ঢোকেন, তারা আপন সন্তানদের ভর্তি করেন প্রাইভেট স্কুলে। প্রায় সবাই। একজন দুজন ব্যতিক্রম বাদ দিলে।
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৯517262
  • হ্যাঁ। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:১০517263
  • তাতেই বোঝা যায়, খুবই সিরিয়াস কারণ আছে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের সন্তানদের প্রাইভেট স্কুলে সরিয়ে নেওয়ার।
  • যদুবাবু | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:১৫517264
  • ডিসি, অ্যাণ্ডরঃ তাহলে আরেকটু স্প্যাম করেই যাই। এইটাও IDR এর একটা রিপোর্টইংলিশ মিডিয়াম-টা খুব বড়ো ফ্যাক্টর মনে হচ্ছে। 



     
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৩517265
  • স্প্যামের কোন প্রশ্নই নেই, বিশেষত ডেটা দেখতে পেলে তো আমার আরও ভালো লাগে :-) হ্যাঁ, ইংলিশ মিডিয়াম একটা বড়ো কারন। আরও দেখুন, খরচটাও আরেকটা বড়ো কারন। (ধরে নিচ্ছি খরচ ফ্যাক্টরটা রিভার্স কোডেড)। আর এ দুটোর ক্রস কোরিলেশান বার করতে পারলে সেটারই, যদ্দুর মনে হয়, সবথেকে বড়ো এফেক্ট সাইজ হয়ে দাঁড়াবে। যদ্দুর মনে হয়, সারা ভারতেই বেশীর ভাগ অভিভাকরা চান ছেলেমেয়েকে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াতে, কিন্তু শুধুমাত্র খরচ বহন করতে পারেন না বলে সরকারি স্কুলে পড়ান। জানিনা এই জেনারালাইজেশানটা ভুল করলাম কিনা।  
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৯517266
  • বা এভাবেও দেখা যায়ঃ খরচ যদি কন্ট্রোল করা যায় (কারন খরচ হলো সোশিও ইকোনমিক স্টেটাস এর সবচেয়ে বড়ো ডিটারমিন্যান্ট), তাহলে হয়তো ৮০% এর বেশী ভেরিয়েবিলিটি কনট্রিবিউট করবে ইংরেজি মিডিয়াম ফ্যাক্টরটি। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১০:২৩517268
  • সরকারি স্কুলগুলো ইংলিশ মিডিয়াম হয়ে গেলেও  এঁরা সন্তানদের সেখানে ভর্তি করবেন বলে মনে হয় না। নিজেরা টিচার ওখানে, এঁরা তো হাড়ে হাড়ে জানেন কী ব্যাপার 
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১০:৩৫517269
  • "সরকারি স্কুলগুলো ইংলিশ মিডিয়াম হয়ে গেলেও  এঁরা সন্তানদের সেখানে ভর্তি করবেন বলে মনে হয় না" - সেটা নাও হতে পারে। ইংলিশ মিডিয়াম একটা খুব বড়ো চাহিদা। ফলে, সরকারি স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম হলে হয়তো অনেকেই সেখানে ভর্তি করাতে চাইবেন। 
     
    এমনকি, গতকালই এক জায়গায় গেছিলাম, আমার সাথে দুজন তামিল আর একজন হিন্দিভাষী বন্ধু ছিলেন। গাড়িতে আমরা চারজন মিলে এই ব্যাপারটা নিয়েও আলোচনা করছিলাম। ওনারাও বলছিলেন, এমনকি বাড়িতেও মাবাবারা চেষ্টা করছেন ছেলেমেয়েদের সাথে তামিলের বদলে বা তামিলের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে। কাজেই ইংরেজি জানা / বলতে পারা একটা খুব বড়ো চাহিদা। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১০:৪২517270
  • সরকারি স্কুলগুলোকে  ইংলিশ মিডিয়ামে পরিণত করার ব্যবস্থা করলেই তো পারে তাহলে 
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১০:৫২517272
  • কিন্তু সেটা তো সলিউশান নয়! বিভিন্ন রাজ্য সরকার থেকে তো চেষ্টা করা হচ্ছে নিজের নিজের রাজ্যের ভাষার ওপর জোর দিতে! :-)
  • lcm | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:০২517274
  • "প্রাইভেটে খরচাপাতি কেমন?"
    -- প্রাইমারি লেভেলে পশ্চিমবঙ্গের শহরতলী/মফস্বলের স্কুলে মাসে ৫০০ থেকে ২০০০, নানা রেঞ্জের স্কুল আছে 
  • lcm | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৪517275
  • "... সরকারি স্কুলগুলোকে ইংলিশ মিডিয়ামে পরিণত করার ব্যবস্থা করলেই তো পারে ..."

    এটা শুরু হয়েছে। যেমন, হিন্দু স্কুলের একটা সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়াম শাখা তৈরি হচ্ছে রাজারহাটে।
  • দীপাঞ্জন | 223.19.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:১২517276
  • দিল্লীতে সরকারি স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম করে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।
     
    আরেকটা জোরদার কারণ মনে হয় সরকারি স্কুলে যেহেতু সমাজের সমস্ত শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা ভর্তি হতে পারে , মধ্যবিত্তরা সেটা এড়িয়ে গিয়ে চান তাদের ছেলেমেয়েরা একটা এলিট স্কুলে পড়ুক। উচ্চবিত্তদের লা মার্টস আর দুন স্কুলে তাদের প্রবেশাধিকার নেই, অগত্যা ডিপিএসে ঘোলের স্বাদ দুধে মেটানো।
  • dc | 2401:4900:1f2b:c113:75b5:623d:8f6a:***:*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৮517277
  • হিন্দু স্কুল আর দিল্লির স্কুলের কথা জানতাম না। সরকারি স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম করলে প্রায় সব রাজ্যেই ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। তাহলে বোধায় এটাও একটা সলিউশান হতে পারে। 
  • PM | 118.179.***.*** | ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩০517279
  • সাবল্টার্ন  গভর্ন্যান্স ভাই।  এককালে গুরুর পাতায়  এর  চাহিদায় কান পাতা যেত না  --- উপভোগ করুন 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন