অভি বাবু, অনুবাদটি ভালো লাগল। বিনোদ শুক্লর কবিতা সম্বন্ধে জানতাম না। মূল ও অনুবাদ, দুটিই ভালো লাগলো।
বিশেষ করে, 'চুপ' কথাটাকে যে আপনি as it is, রেখেছেন, কোনও প্রতিশব্দ ব্যবহার করেন নি 'নীরবতা' জাতীয়, তাতে আমার আরও ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ, । আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন।
বিনোদ কুমার শুক্ল আমাদের ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর শহরের কবি, বড় কবি। ছত্তিশগড় রাষ্ট্রীয় স্তরে তিনজন বড় কবির জন্ম দিয়েছে। প্রথমে নাম আসবে গজানন মাধব 'মুক্তিবোধ'এর । রাজনীতিতে মার্ক্সবাদী, কবিতার ঘরাণা সুকান্ত-সুভাষের নয়, বরং বিষ্ণু দে-অরুণ মিত্র ঘরাণার। এঁর বিশিষ্ট কাব্যগ্রন্থ 'চাঁদ কা মুঁহ টেড়া'। কবিতা 'সতহ সে উঠতা হুয়া আদমী' নিয়ে চিত্র পরিচালক মণি কৌল সিনেমা বানিয়েছিলেন। আর একটি বিশিষ্ট কবিতা 'অন্ধেরে মেঁ'।
তারপর আসবেন বর্মা।
তারপর বিনোদ শুক্ল। কবিতা ছাড়া এঁর 'নৌকর কী কমীজ' ও পুরস্কারপ্রাপ্ত গদ্যরচনা।
অভি,
আপনার অনুবাদ ভালো লেগেছে, বিশেষ করে শেষ স্ট্যাঞ্জার অনুবাদ। কিন্তু দুটো কথা বলতে চাই।
আপনি অনুবাদে কোথাও যতিচিহ্ন ব্যবহার করেননি। অথচ, বিনোদজীর মূল কবিতাতে কয়েকটি ভাঙা লাইনের পর একটি করে পূর্ণ বিরাম বা দাঁড়ি। আসলে দুটো দাঁড়ির মাঝখানে একটা সম্পূর্ণ শব্দপ্রতিমার নির্মাণ। সেই জোরটা কোথাও কোথাও হারিয়ে গেছে।
দুই,
এই পংক্তিটি দেখুনঃ
'গলত পর ঘাত লগাকর হমলা করনে কে সন্নাটে মেঁ
মেরা এক চুপ--
চলনে কে পহলে
এক বন্দুক কা চুপ'।
"ভুলের ভেতর আঘাত হানার ইচ্ছেয়
আমার এই ছোট্ট চুপ
যেন বন্দুকের ট্রিগার টেপার আগের এক চুপ"
ক) এখানে দাঁড়ি না দেয়ায় বক্তব্যটি পরের লাইনে বন্দুক নিয়ে আলাদা বক্তব্যের সঙ্গে মিশে গেছে।
খ) এখানে 'গলত' শব্দের ব্যঞ্জনা আদৌ ভুল নয়, বরং 'অন্যায়' বা অবিচার। 'গলতি' হোল 'ভুল'।
আর 'ঘাত লগাকর হমলা' মানে খালি 'আঘাত হানা' নয়, বরং 'অ্যাম্বুশ' বা 'ওঁত পেতে ঘাপটি মেরে হঠাৎ আক্রমণ।
-অন্যায়ের উপর ওঁত পেতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগের নৈঃশব্দ।
একদম। রঞ্জনবাবু, আপনি ঠিকই ধরেছেন। আসলে বিনোদজীর কবিতাপাঠের মুগ্ধতা থেকে সরাসরি, এক আবেগের বশে, এটা করে ফেলা। আমাকে আরো যত্ন নিয়ে করতে হতো। আপনার মূল্যবান মতামত আমি নিশ্চিত খেয়াল করবো। পরে যদি অবশ্য সাহস করে করি।
অভি
সাহস করে এগিয়ে যান। আপনার বাংলাভাষায় ভালো দখল, এবং কবিত্বশক্তিও আছে যা নাহলে কবিতার অনুবাদ দুষ্কর।
আপনি পারবেন।