#পুস্তকালোচনা — #রাতের_ট্রেনের_সঙ্গী — #অভিজ্ঞান_রায়চৌধুরী
বই = রাতের ট্রেনের সঙ্গী (গল্প সঙ্কলন)
লেখক = অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী
প্রকাশক = শিশু সাহিত্য সংসদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা = ১৬০
মুদ্রিত মূল্য = ৮০ টাকা (প্রথম সংস্করণ)
১) রাতের ট্রেনের সঙ্গী —— ট্রেনে চড়ে রোমের রোমা টার্মিনি স্টেশনে যাওয়ার সময় এক ম্যাজিশিয়ানের সাথে আলাপের ভৌতিক গল্প।
এমনিতে ভৌতিক গল্পে যুক্তি/বাস্তবতা খুঁজতে যাওয়া উচিত নয়, কিন্তু একটা সেতু ভেঙে একটা ট্রেনের কয়েকটা কামরা (কোচ/বগি) পড়ে গেলো, আর আপনি সেই একই ট্রেনের অন্য কামরায় (যেটা সেতুতেই রয়েছে) থেকেও সেটা বুঝতে পারলেন না, এটা খুবই অবাস্তব লেগেছে। বাকি গল্পটি ঠিকই আছে।
২) লোকটার ডান হাতটা ছোটো —— একটি গ্রামের এক চিত্রকরের আঁকা ছবিকে নিজের নামে চালাতে চেষ্টা করার কী ফল হয় তার ভৌতিক গল্প।
ছবিটি প্রদর্শনীর আগে যখন একজন চিত্র সমালোচকের কাছে দেখানো হয়েছিলো, তখন তার চোখে ছবিটিতে থাকা একটি বৈশিষ্ট্য কেন ধরা পড়লো না সেটা বুঝিনি, ভৌতিক কান্ড (!) হয়তো। বাকি গল্পটা ঠিক আছে।
৩) চাণক্য —— একজন প্রকৌশলী, এক বিজ্ঞানী ও একটি গুপ্তচর রোবটের কল্পবিজ্ঞান গল্প।
বিজ্ঞানী ঐ রোবটকে সরকারের গবেষণাগার থেকে কীভাবে বার করলেন তার কোনো ব্যাখ্যা গল্পে নেই, দেশের সুরক্ষা যেখানে জড়িত সেখানে এত সহজে কাজ ছেড়ে এবং রোবট সমেত পালিয়ে আসা মুশকিল। এছাড়া বিজ্ঞানীর কথা অনুযায়ী প্রথমে রোবটটি বাজারে যেত বা সাধারণ মানুষের সাথে মিশত, কাজেই পরে একজন যখন বলেছেন যে সবাই ঐ রোবটের গল্প শুনেছে কিন্তু কেউ দেখেনি; তখন সেটা আগের দাবীর বিরোধী ও সামঞ্জস্যহীন। এছাড়া বিজ্ঞানী পালিয়ে আসার পরে তার রোবটটিকে সবার সামনে বার করেনই বা কীভাবে, কারণ সেক্ষেত্রে দেশের সরকার সেটির খোঁজ পাবে এবং সরকারের টাকায় ঐ রোবটটি তৈরী করায় তার উপর নিজের দাবী জানাবে। আবার গল্প অনুযায়ী! রোবটটি যদি সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা না করে তাহলে সে সাধারণ মানুষের সাথে কীভাবে ব্যবহার করবে সেটা শিখতে পারবে না।
বাকি গল্পটি ঠিক আছে।
৪) ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট —— পৃথিবী থেকে মার্কাস গ্রহে একটি মহাকাশযানের মাধ্যমে ঔষুধ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই মহাকাশযানে অবাঞ্ছিতভাবে একজন ঢুকে পড়ায় মহাকাশযানটি যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারবে কি না সেই নিয়েই সমস্যা তৈরী হয় আর তার সমাধান কীভাবে হয় তাই এই এই কল্পবিজ্ঞান গল্পটি লেখা।
এই গল্পটিতে একাধিক জায়গায় অযৌক্তিক ও সামঞ্জস্যহীন বিষয় ঢুকে গল্পটির বারোটা বাজিয়েছে। মহাকাশযানে একজন কীভাবে ঢুকল তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা লেখক নিজেই দিতে পারেননি (যে ঢুকেছে তার চেনা একজন ওষুধ পাঠানোর সংস্থায় কাজ করে বলে বলা হয়েছে কিন্তু তার পক্ষে একটি মহাকাশযানের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে কাউকে ঢোকানো অবাস্তব কারণ সেটা হলে এইরকম জ্ঞান থাকা যেকোনো লোক সেই মহাকাশযানে যা কিছু ঢুকিয়ে দিতে পারেন।)।
গল্প অনুযায়ী, যেখানে মহাকাশযানের ওজন অভিযান সম্পূর্ণ করার জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশী ওজন হলে যাত্রা শুরুই হবেনা — এইরকম ব্যবস্থা থাকার কথা। হঠাৎই খেয়াল হওয়ার কথা নয়।
একইভাবে বাড়তি ওজন থাকার জন্য এমনিতেই মহাকাশযানটি আগেই থেমে যাবে, সেখানে মাঝে চার ঘন্টা সময় কাটলো বা নাই কাটলো তাতে কি আসে যায়?
আর রোবট নিয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলোও খুবই অযৌক্তিক, একটা রোবটের হাতে-পায়ে যেসব যন্ত্র থাকে তার থেকে মূল দেহে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র থাকবে, কারণ যে জিনিসটা যত বেশী নাড়াচাড়া করবে তার ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা তত বেশী, তাই স্থির অংশে বেশী জটিল যন্ত্র রাখাই যুক্তিযুক্ত।
সবমিলিয়ে পুরো জিনিসটাই ঘেঁটে গেছে।
৫) ও কি আমি? —— একটি পুরোনো বাড়িতে একটি অল্পবয়সী ছেলের সমবয়সী ভূত দেখার গল্প (শেষে একটি চমকও আছে)।
গল্পটি ভালো লেগেছে, তবে একটি কথা বলে রাখি, সম্যক জ্ঞান না থাকলে একটি বাচ্চার কঙ্কাল দেখেই সাধারণ মানুষের পক্ষে কঙ্কালটির সঠিক লিঙ্গ নির্ধারণ করা অসম্ভব।
৬) নতুন মানুষ —— সেরা খেলোয়াড়ের ক্লোনের সাথে একটি মানুষের ব্যাডমিন্টন ম্যাচ আর সেই মানুষের নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়ানোর কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটিতেও একাধিক অযৌক্তিক ও অবাস্তব জিনিস ঢুকে গল্পটির বারোটা বাজিয়েছে। যেখানে নতুন মানুষদের সেরা খেলোয়াড়দের Clone করে তারপর তাদের ক্লান্তি কমানো হয় এবং মনঃসংযোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, সেখানে সেই ক্লোনড মানুষটিই সহজে জিতবে। ফলে বাজি ধরা হলে গল্পানুযায়ী প্রথমেই যেখানে যন্ত্রগণক জানাচ্ছে যে সাধারণ মানুষটির জেতার হার এক শতাংশ সেখানে তার পক্ষে বাজির দর অনেক বেশী হবে, এক টাকা দিলে নিরানব্বই টাকা পাওয়া যাবে — এইরকম হতে পারে। তাই প্রথম দিকে যারা বাজি খেলবে তারা যেটায় টাকা জেতার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত সেদিকে অর্থাৎ ক্লোনড মানুষটির উপরে খেলবে। ফলে খেলার প্রথম থেকেই বাজির কারণে সমর্থন করতে হবে তারা ক্লোনড মানুষটিকে করবে। এটি হঠাৎ করে বদলানোর কথা নয়।
এছাড়া যে খেলোয়াড় তার থেকে ভালো খেলোয়াড়এর কাছে পর্যুদস্ত হচ্ছিল, সেই খেলোয়াড় চোট পাওয়ার পরে আরো ভালো খেলে কীভাবে তার থেকে বহুলভাবে উন্নত খেলোয়াড়কে হারাতে শুরু করে এটাও যুক্তির বাইরে।
আর দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে গোপন তথ্য নিতে গেলে খেলার প্রথমেই সেগুলো নিয়ে তার সাহায্যে তাকে হারিয়ে দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। বা প্রথমেই সেগুলো জেনে নিয়ে পরে প্রয়োজনমতো প্রয়োগ করা যেতে পারে। এখানেও হাল্কা অবাস্তব বলে বোধ হয়েছে।
আর নিজের ক্লোনের বয়স আট বছর কম হলেও তাকে দেখেই নিজের যমজ ভাই বা গল্পের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লোন বলে চিনে নেওয়ার কথা। গল্পে সেটা হতে যে দীর্ঘ সময় লেগেছে বলে দেখানো হয়েছে সেটি অবাস্তব লেগেছে।
তাছাড়া দ্বিতীয় বার ক্লোন তৈরীর কারণটিও বেশ জোলো লেগেছে।
৭) জাঁ রেনোর ব্রেন ট্রান্সপ্লান্ট —— মস্তিষ্ক সংস্থাপনের মাধ্যমে এক বিজ্ঞানীর একদল মানুষকে অন্যদের মস্তিষ্কের অধীনে রাখতে চাওয়া এবং সেই থেকে অর্থোপার্জন করে ধনী হতে চাওয়া - এই বিষয়ের উপর কল্পবিজ্ঞানের গল্প (এটিতে অনিলিখা চরিত্রটি উপস্থিত)।
খুব পরিষ্কার ভাবে সালের উল্লেখ নেই, তবে এই বইটির প্রথম প্রকাশ ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দে, আর গল্পের পরিবেশ থেকে মনে হয় যে সেটি সেইসময়ের বা তারও পরের, ফলে বিদেশ থেকে চিঠি আসার জায়গায় e-mail আসাটাই স্বাভাবিক। আর যদি কেউ বলতে চান যে অপরাধী কোনো ডিজিটাল প্রমাণ রাখতে চায় না, সেক্ষেত্রেও গোপনভাবে ইমেইল করা যায়। প্যারিসের স্হপতিবিদের মৃত্যুর খবর কলকাতার সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় আসাটাও বেশ অবাস্তব, সংবাদপত্রে আসতেই পারে কিন্তু বিদেশের এইরকম খবর প্রথম পাতায় সাধারণত আসে না। পাঁচ বছর ধরে যার সাথে যোগাযোগ নেই; সে হঠাৎ বিদেশে যাওয়ার, থাকা-খাওয়ার খরচ দিচ্ছে (এক্ষেত্রে অনিলিখা তার ঘরে গিয়েই থাকছে) — এটা বেশ অদ্ভুত। এছাড়া অনিলিখা তখনও এটাও জানে না যে রেনো তখন কী নিয়ে গবেষণা করছে (গোটা গল্পেই সেটার উল্লেখ নেই।)।
গল্প অনুযায়ী এটা মেনে নেওয়া গেলো যে, আমরা সাধারণত একই দেখতে দুই জন লোকের মধ্যে চট করে পার্থক্য করতে পারি না, কিন্তু যেহেতু গাড়িটির কোনো একজন (বা দুইজনই) চালক অনিলিখার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলেন, সেই জন্য অনিলিখার মনে সংশয় তৈরী হওয়া উচিত এবং সেক্ষেত্রে চালক বদলে গেলে তার খেয়াল করারই কথা।
অনিলিখা নিজে Human Trafficing করা ক্ষমতা রাখেন কি না সেটা গল্পে কোথাও উল্লেখ নেই, এদিকে বিদেশী রেনো কিন্তু তাকে সেই কাজেরই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নিজের ঘরে ডেকেছেন; এটা বেশ অযৌক্তিক।
নিউরোটক্সিন খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে ঢুকলে সেটার শরীরে ঢুকলে দেহ সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসেবেই গণ্য করবে এবং তার ফলে তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরী করবে। তবে যেহেতু এটি কোনো নতুন বিষ, ফলে এটিকে চিহ্নিত করার মত কোনো forensic marker নাও থাকতে পারে, সেই ক্ষেত্রে শরীরের এই বিষের উপস্থিতি ধরা যাবে না, কিন্তু আলাদা একটি পদার্থ যে শরীরে উপস্থিত এটা পরীক্ষায় পাওয়া যাবে।
আর এইভাবে বিষ প্রয়োগ করার ফল কতক্ষণ পরে কতটা দেখা যাবে সেটা গল্পে লেখা নেই। এমনকি শারীরিক বলের দ্বারা অনিলিখা রেনোকে ঐ বিষের প্রতিষেধক দিতে বাধ্য করতে পারবে কি পারবে না, সেটাও এই গল্পে লেখা নেই।
গল্পে প্যারিসের মাত্র একটি দুর্ঘটনার উল্লেখ আছে, কিন্তু মাঝখানে এসে অনিলিখার মন্তব্য অনুযায়ী সেটা বহুসংখ্যক হয়ে গেছে; ফলে পরবর্তী কালে করা দাবীটিকে যথার্থ বলে প্রমাণ করতে গেলে তার আগে আরো কয়েকটি দুর্ঘটনার উল্লেখের প্রয়োজন ছিলো।
আর গল্প অনুযায়ী ধরে নিলাম যে একজন অধিক বুদ্ধিমান মানুষের মস্তিষ্কের কিছু অংশ একজন কম বুদ্ধিমান মানুষের শরীরে সংস্থাপন করলে প্রথম ব্যক্তিটি একটি নতুন দেহ পাবেন। কিন্তু এইটি বার বার করা যাবেনা, কারণ সেটি হলে একাধিক মস্তিষ্ক যুক্ত হতে থাকবে। তাছাড়া বয়স বাড়লে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে, ফলে প্রথম ব্যক্তিকে প্রৌঢ়ত্বের আগেই মারা যেতে হবে।
সবমিলিয়ে গল্পটা বেশ দুর্বল।
৮) অরিজিতের একটি দিন —— একজন মানুষের পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়ার কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটিতে বিজ্ঞান ও যুক্তির পুরোপুরি বারোটা বেজে গেছে। যে জগতে মানুষের ক্লোন করা হয় সেখানে Genetic Code এর কার্ড কোনো কাজে দেবে না কারণ সমস্ত ক্লোন করা মানুষের Genetic code একই থাকবে। আর যদি ক্লোনগুলি সামান্য পার্থক্য রেখে বানানো হয় তাহলে সেই পার্থক্য কিছু চিহ্ন (জেনেটিক Marker) রেখে বানানোর কথা, যেগুলো সহজে চেনা যাবে। আর একটা রোবট খামোখা মিথ্যা কেন বলবে তার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা গল্পে নেই।
এই গল্পটা সম্পূর্ণ ঘেঁটে গেছে।
৯) পৃথিবী ছাড়ার দিন —— নিয়ম মেনে একটি মানুষের পৃথিবী ছেড়ে অন্য জায়গায় বাসস্থান পরিবর্তনের কল্পবিজ্ঞান গল্প।
গল্পটি ভালোই লেগেছে, তবে আমার মনে হয়েছে রোবটটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নিজস্ব যুক্তি প্রয়োগের ফল।
১০) ফিরে এল অনুপম —— এক লেখকের মেরে ফেলা একটি বিখ্যাত চরিত্রকে নিয়ে মনোবৈজ্ঞানিক গল্প।
গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে, কিন্তু অচেনা মানুষকে সাধারণত এতো তথ্য কেউ জানায় না, ঐ অংশে আরো একটু ব্যাখ্যা থাকলে ভালো লাগতো।
১১) দূরত্ব —— ভবিষ্যতের পৃথিবীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটি খুব ভালো হয়েছে।
১২) অচেনা —— একটি Apartment একজন নুতন ব্যক্তির আগমন নিয়ে গল্পটি লেখা হয়েছে।
একটু অবাস্তব হলেও গল্পটি ভালো।
১৩) জল চুরি —— একজন মানুষের ঘর থেকে জল চুরি করার কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটি ভালো হলেও চোর যে কারণে ঘরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে সেটা সম্ভব হলে প্রতিটি ঘরেই চুরি হওয়ার কথা।
১৪) বন্ধ জানলা —— ভেনিস শহরে গিয়ে এক চিত্রকরের এক ভাড়াবাড়িতে হওয় ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প।
এই গল্পে থাকা করুণ সুরটি মনখারাপ করে দেয়।
১৫) আমরা নেই —— ভিনগ্রহে নিজেদের অস্তিত্বের কথা জানিয়ে ও তাদের অস্তিত্ব জানতে চাওয়ার কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটি সবমিলিয়ে দুর্দান্ত সুন্দর হয়েছে।
১৬) খুঁজে পাওয়া —— এক বাবার তার "হারিয়ে যাওয়া" ছেলেকে খোঁজার কল্পবিজ্ঞান গল্প।
এই গল্পটিও খুবই ভালো। তবে ছেলেটির বাবার সাথে মায়ের চরিত্রটিও যুক্ত থাকলে গল্পটি আরো ভালো হতো।
সবমিলিয়ে বইটি ভালোই।
আরে! আপনাকে এখানে দেখে হেব্বি খুশী হলাম। লিখুন লিখুন। সেইসব আলোচনাগুলোও দিন যেগুলো পড়ে লোকে খচে ব্যোম হয়ে যায়। :-))
আসবে আস্তে আস্তে। চিন্তা নেই।