অভিজিতবাবু,
আমার মত গোদা পাঠক যা বুঝেছেঃ
১ প্রথমে গবেষক তাঁর (এবং অন্যদের) পর্য্যবেক্ষণের ডেটার ভিত্তিতে কোন একটি(বা একাধিক) ফেনোমেননএর মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক অনুমান করে একটা মডেল বানান, সেটা হাইপোথিসিস।
২ এই খানে অবরোহী যুক্তির প্রয়োগ হয়, অর্থাৎ একটি সাধারণীকৃত প্রেমিস থেকে একটি বিশিষ্ট কেসে প্রয়োগ।
৩ তারপর সেই হাইপোথিসিসকে যাচাই করতে প্রায় সমান অবস্থায় বারবার পরীক্ষা করে রিডিং নেয়া হয়, ল্যাব টেস্ট। এবং বিপরীতটিও খতিয়ে দেখা(যেমন ভ্যাকসিনে প্ল্যাসিবো দেয়া)।
৪ এখানে আরোহী যুক্তি ( অনেক সমানধর্মী ঘটনার থেকে সাধারণসূত্র বের করা) প্রয়োগ করে এবং স্যাম্পলের সাইজ ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পর যদি হাইপোথিসিসে বলা কার্য-কারণ সম্পর্ক মোটামুটি সঠিক মনে হয় তখন ওটি থিওরিতে উত্তীর্ণ হয়, নইলে বাতিল হাইপোথিসিস হয়ে তাকে তোলা হয়।
৫ প্রথমটি বাতিল হলে আবার ওই ফেনোমেননের জন্যে নতুন করে তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হাইপোথিসিস দাঁড় করাতে হয়। এ এক নিরন্তর প্রক্রিয়া। এবং বিজ্ঞান কখনই অন্তিম বা চরম পরমের দাবি করেনা। বিজ্ঞানের সত্য সবসময়ই আপেক্ষিক অর্থাৎ নতুন তথ্যের আলোকে পরিবর্তনযোগ্য।
আমি আর্টসের ছাত্র। একটু সাহস করে এত কথা লিখলাম।
ভুল হলে শুধরে দেবেন।