এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞানের পদ্ধতি : পর্ব তিন: সাধনা ও নিষ্ঠা

    Abhijit Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩৩৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • পর্ব তিন: সাধনা ও নিষ্ঠা

    এই পর্বে ঢোকার আগে আরেকবার মনে করে নেওয়া যাক কাদের জন্য এই লেখাটা লিখছি। এই লেখা বিজ্ঞান বা গবেষণার ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়। তাদের জন্য হলে একটু অন্যভাবে লিখতাম। এই লেখা মূলত যাঁরা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন তাঁদের জন্য।

    তাঁদের কি দায় পড়েছে, এই লেখাটা পড়বার? কেনই বা আমি চাইছি যে তাঁরা এই লেখাটা পড়ুন? আসলে এই করোনার সময় দেখলাম যে আমাদের চারপাশে বিজ্ঞানের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা খুব একটা পরিষ্কার নয়। এমন কী যাঁরা গবেষণা করেছেন বা করছেন, তাঁরাও একেক সময় এমন কিছু বলছেন, যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যে মৌলিক চরিত্র রয়েছে, তার পরিপন্থী। সেই দোষ হয়তো তাঁদের নয়। বিজ্ঞানই হোক বা ইতিহাস,আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের মুখের সামনে রান্না করা খাবার গরস করে তুলে দিয়েছে। রান্নার প্রকরণ ও পদ্ধতি শেখায় নি। আমরা জেনেছি, পানিপথের যুদ্ধতে অমুক জিতেছিল। কিন্তু সেটা আজকের দিনে বসে আমরা কী করে জানলাম, সেটা শেখানো হয় নি। তাই আজ যখন কেউ এসে বলে যে পানিপথের যুদ্ধে আসলে অমুক নয়, তমুক জিতেছিল, তখন খুব সহজেই আমরা সেটা মেনে নেই। একই জিনিষ হয় বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও, বিশেষত চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে। যে যা পারে এসে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। আমরা সেই বলা কথাটা বিশ্বাস করব কি করব না, সেটা নির্ধারণ করি যে বলে গেল তার ওজনের ওপর। সে ওজন কখনও ডিগ্রীর, কখনও চেয়ারের, কখনও বা বাচনক্ষমতার। আমরা ভুলে যাই যে বিজ্ঞান নৈর্ব্যক্তিক। বিজ্ঞানের কোনও দাবী নির্ভর করে না, দাবীটা কে করেছে তার ওপর। কথাটা আইনস্টাইন বলেছেন না হরিদাস পাল, তার থেকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল কথাটার পেছনে আদৌ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে কি নেই। আর যদি আমাদের সেই বিচার করতে হয়, তবে আমাদের জানতে হবে বিজ্ঞানের আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে কী কী গ্রাহ্য, আর কী কী নয়। সেই দুধ-জল আলাদা করার জন্যই এই লেখা।

    গত পর্বে কথা বলেছিলাম হাইপোথেসিস নিয়ে। এটাও বলেছিলাম যে পর্যবেক্ষণ, তার ওপর ভিত্তি করে বানানো হাইপোথিসিস, সেই হাইপোথিসিস টেস্ট করা, এই পুরো পদ্ধতিটিই হল বিজ্ঞান গবেষণা। ধরুন, আপনি চা বানানোর পর সেটা মুখে দিয়ে দেখলেন বিস্বাদ লাগছে। এটা হল পর্যবেক্ষণ। আপনি মনে করলেন যে এই বিস্বাদ লাগার কারণ চিনি কম হওয়া। চায়ে আরেকটু চিনি দিলে স্বাদটা ঠিক হয়ে যাবে। এটা হল আপনার হাইপোথিসিস। এবার আপনি চায়ে আরও এক চামচ চিনি মিশিয়ে আবার চা-টায় চুমুক দিলেন। এটা হল হাইপোথিসিস টেস্টিং। এবার যদি স্বাদের উন্নতি হয়, তাহলে আপনার প্রাথমিক হাইপোথিসিস ঠিক ছিল। আর যদি তা না হয়, তবে বুঝতে হবে আপনার প্রাথমিক হাইপোথিসিসে গলদ ছিল। তখন আপনাকে আবার নতুন করে হাইপোথিসিস বানাতে হবে। বিজ্ঞান গবেষণার এই পদ্ধতিটির পোষাকি নাম হাইপোথেটিকো-ডিডাকটিভ মডেল।

    এইবার এখানে একটা মজা আছে। সেটা হল এই মডেলে নৈর্ব্যক্তিক পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ, পর্যবেক্ষণ ও তৎপরবর্তী সিদ্ধান্ত যদি ব্যক্তিবিশেষের বা পর্যবেক্ষকের আবেগের ওপর নির্ভর করা শুরু করে, তবে এই মডেল ফেল করে যাবে। পরীক্ষার ফলাফল আমার হাতে যা হয়েছে, আরেকজনের হাতেও তাই হতে হবে। আমার নিজের ধ্যান-ধারণা আমার যুক্তিকে আচ্ছন্ন করলে চলবে না। গবেষণার ফলের কাটাছেঁড়া করতে হবে নির্মোহভাবে।

    এইখানেই আসে একজন গবেষকের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। নিজে চা বানিয়েছি বলেই তাকে ভাল বললে চলবে না। তা যদি খারাপ হয়, তবেতাকে খারাপ বলতে হবে। নিজের হাইপোথেসিস সবার কাছেই খুব প্রিয় হয়। প্রায় সন্তানতুল্য। কিন্তু আদর্শ বাবা-মা যেমন সন্তানের অপরাধ ঢাকাচাপা না দিয়ে, তা সংশোধনের চেষ্টা করেন, একজন গবেষককেও সেভাবেই এগোতে হয়। আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের বলি যে এক্সপেরিমেন্ট করার সময় তাকে বুক দিয়ে ভালবেসে করতে হবে। কিন্তু যখন এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট হাতে আসবে তখন সেই রেজাল্টের সাথে নিজের একটা মানসিক দূরত্ব তৈরী করে নিতে হবে। সেই দূরত্ব বজায় না রাখলে বিচার করার সময় নির্মোহ হওয়া যাবে না। এই অ্যাটাচমেন্ট-ডিটাচমেন্টের মধ্যে নিয়ত স্থান পরিবর্তনই গবেষণার দর্শন ও একজন গবেষকের সাধনা।

    এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্যণীয়। বিজ্ঞান গবেষণার অন্তর্লীন সুরটাই হল ক্রমাগত আত্মসংশোধন। বিজ্ঞান নিজের ভুল নিজেই শুধরে চলে। তাতে তার মহত্ব খর্ব হয় না, বরং আরও বাড়ে। আমরা যারা এই প্রসেসটার বাইরে তারা মধ্যে মধ্যে বিরক্ত হই। এ কি রে বাবা, আজ বলে ডিম খেও না, কাল বলে খাও। আজ বলে মানুষ থেকে মানুষে করোনা ছড়ায় না, কাল বলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখো।এরা বৈজ্ঞানিক না পাগল! আসলে এই ক্রমসংশোধনের নামই বিজ্ঞান। যদি পরিবর্তিত, সংশোধিত না হত, তবে সে আর স্বচ্ছতোয়া স্রোতস্বিণী থাকত না, সংস্কারের বদ্ধ জলায় পরিণত হত।

    বলছিলাম, হাইপোথেটিকো-ডিডাকটিভ মডেলের কথা। তবে সব সময় যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এ মডেল মেনে চলে, এমন নয়। অনেক সময় আমরা শুধুমাত্র তথ্য জড়ো করি বিষয়টাকে জানবার জন্য। সেরকম গবেষণায় প্রাথমিক হাইপোথিসিস থাকে না। যেমন ধরুন, করোনা ভাইরাসের জিনের গঠন। বিজ্ঞানীরা যখন এ বছরের গোড়ায় এটা জানার চেষ্টা করছিলেন, তখন কিন্তু তাঁদের হাতে কোনও হাইপোথিসিস ছিল না। তাঁরা নিতান্তই তথ্য জড়ো করছিলেন। এরকম ভাবেই প্রাচীনকালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরম নিষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করতেন তাঁদের পর্যবেক্ষণ। সেই সব সম্মিলিত পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে আজকের অ্যাসেট্রোনমি। শুধু অ্যাস্ট্রোনমিই বা বলি কেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখাই প্রাথমিকভাবে পুষ্ট হয়েছে এইসব একাগ্র সাধক-সাধিকার পর্যবেক্ষণের সমাহারে। এই কাজ করার জন্য তাঁরা অনেক সময় বাজী রেখেছিলেন নিজের জীবন, নিজের সামাজিক সম্মান। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যাচ্ছে এক শিল্পীর কথা। তিনি শিল্পী হলেও বৈজ্ঞানিক। যে সময় শব ব্যবচ্ছেদ অবজ্ঞার চোখে দেখা হত, সেই সময় তিনি একের পর এক শবদেহ কেটে দেখে চলেছিলেন মানবদেহের গঠন, শিরা-উপশিরার চলন, মাংসপেশির অবস্থান। শিরা-উপশিরার মধ্যে তরল মোম ঢেলে কপি করেছেন তাদের স্ট্রাকচার। তারপর সেই মোমের ওপর স্তর দিয়ে বানিয়েছেন কাচের শিরা। কাচের স্ট্রাকচার তৈরী হয়ে যাওয়ার পর সেই মোম গলিয়ে বার করে নিয়ে তৈরী করেছেন মানবদেহের শিরা উপশিরার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম্য স্বচ্ছ মডেল। তারপর জলের সাথে মিশিয়েছেন ঘাসের বীজ। কাচনির্মিত শিরা উপশিরার মডেলের মধ্য দিয়ে সেই ছোট ছোট ঘাসের বীজ মেশানো জল প্রবাহিত করে দেখেছেন মানবদেহে রক্তস্রোতের প্রবাহ। শুধু দেখাই নয়, নিঁখুত ছবিসহ তিনি লিপিবদ্ধ করে গেছেন তাঁর সেইসব পর্যবেক্ষণ। সেই পর্যবেক্ষণ এতই বিস্তারিত ও ত্রুটিহীন যে তা দেখে আজও বিজ্ঞানীরা চমৎকৃত হন।

    সেই বিজ্ঞানসাধক শিল্পীর নাম লিওনার্দো দা ভিঞ্চি।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩৩৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৩০101155
  • অভিজিতবাবু,


      আমার মত গোদা পাঠক যা বুঝেছেঃ


    ১ প্রথমে গবেষক তাঁর (এবং অন্যদের) পর্য্যবেক্ষণের ডেটার ভিত্তিতে কোন একটি(বা একাধিক) ফেনোমেননএর মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক অনুমান করে একটা মডেল বানান, সেটা হাইপোথিসিস।


    ২ এই খানে অবরোহী যুক্তির প্রয়োগ হয়, অর্থাৎ একটি সাধারণীকৃত প্রেমিস থেকে একটি বিশিষ্ট কেসে প্রয়োগ। 


    ৩ তারপর সেই হাইপোথিসিসকে যাচাই করতে প্রায় সমান অবস্থায় বারবার পরীক্ষা করে রিডিং নেয়া হয়, ল্যাব টেস্ট। এবং বিপরীতটিও খতিয়ে দেখা(যেমন ভ্যাকসিনে প্ল্যাসিবো দেয়া)।


    ৪ এখানে আরোহী যুক্তি ( অনেক সমানধর্মী ঘটনার থেকে সাধারণসূত্র বের করা) প্রয়োগ করে এবং স্যাম্পলের সাইজ ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পর যদি হাইপোথিসিসে বলা কার্য-কারণ সম্পর্ক মোটামুটি সঠিক মনে হয় তখন ওটি থিওরিতে উত্তীর্ণ হয়, নইলে বাতিল হাইপোথিসিস হয়ে তাকে তোলা হয়।


    ৫  প্রথমটি বাতিল হলে আবার ওই ফেনোমেননের জন্যে নতুন করে তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হাইপোথিসিস দাঁড় করাতে হয়। এ এক নিরন্তর প্রক্রিয়া। এবং বিজ্ঞান কখনই অন্তিম বা চরম পরমের দাবি করেনা। বিজ্ঞানের সত্য সবসময়ই আপেক্ষিক অর্থাৎ নতুন তথ্যের আলোকে পরিবর্তনযোগ্য।


      আমি আর্টসের ছাত্র। একটু সাহস করে এত কথা লিখলাম।


    ভুল হলে শুধরে দেবেন।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন