এধরণের চটজলদি রেসিপিটাইপ লেখাগুলো ব্লগে না দেওয়াই ভাল। এগুলো খুব একটা ভ্যালু অ্যাড করে না। না প্রবন্ধ হিসেবে, না সাহিত্য হিসেবে। আমার মতে ব্লগে লিখতে পারাটা একটা প্রিভিলেজ, যা সবাইকে দেওয়া হয় না বলেই জানি। তাই সেখানে লেখার ক্ষেত্রে গুণমান সম্বন্ধে একটু সচেতন আর সিলেক্টিভ হওয়া কাম্য। রোজ একটা করে ব্লগ পোস্ট করতেই হবে, বা যেকোনো সামাজিকভাবে আলোচিত বিষয় নিয়ে চটজলদি একটা লেখা ব্লগে পোস্ট করে দিতেই হবে, এই সংস্কৃতিটা গুরুতে খুব একটা এনকারেজ করা হয়না বলেই আমার ধারণা।
অসংখ্য ধন্যবাদ। মতামত জেনে খুব ভালোলাগল সাথে একটু আশ্চর্যও হলাম অবশ্য...
অবশ্যই প্রিভিলেজ "গুরু" তে থাকা ও লেখাও...আমি এটা সবসময় মেনে এসেছি। আর এটা আজ দেওয়া হয়ে গেল, নইলে দেখতে পারেন ১ মে পর কাল পোস্ট করা।
আর আজকের লেখাটা একটা খারাপলাগা থেকেই...
নো প্রব্লেম, আই উইল টেক কেয়ার। থ্যাংকিউ সো মচ্...
ম্যাডাম বিশ্বাস
আপনি কি সরকারি হাসপাতাল অথবা বেসরকারি হাসপাতাল এর সঙ্গে যুক্ত মনোবিদ ? অনুগ্রহ করে চেম্বার এর যোগাযোগ এর নম্বরটা একটু দেবেন ? এক প্রিয় বন্ধুর জন্য খুব জরুরি দরকার
প্রণব বাবুকে বলছি
আর পাঁচটা রোগের মতো ডিপ্রেশনও একটা রোগ। এবং আর পাঁচটা রোগের মতো এরও চিকিৎসা দরকার। মনের জোরে বা কাজে ব্যস্ত থেকে বা বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব করে আপনি একে সারাতে পারবেন না৷ ঠিক যেমন আপনার কলেরা হলে আপনি তাকে মনের জোরে বা কাজে ব্যস্ত থেকে বা বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব করে তাকে সারাতে পারবেন না, ঠিক সেরকম। এরজন্য প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতেই হবে আপনাকে। দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।
হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, যোগ, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ইত্যাদির চক্করে পড়ে সময় নষ্ট না করে সোজা কোয়ালিফায়েড সাইকিয়াট্রিস্ট বা কাউন্সেলারের সাহায্য নিন।
মন খারাপ লাগলে আমার সাথে গল্প করুন' জাতীয় গুরুমুখী পোষ্টে গলে গিয়ে কারো কাছে নিজের মন খারাপের ঝাঁপি খুলে বসতে যাবেন না৷ সাধারণ টুকটাক মন খারাপ হলে ঠিক আছে৷ কিন্তু আপনার যদি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন থাকে তাহলে এসব অজ্ঞ আলতু ফালতু লোকের সাহায্য সর্বতোভাবে বর্জনীয়, তা তিনি গুরুচন্ডালি কবি হোন বা ফিজিক্সের প্রফেসর৷ মনে রাখবেন মনস্তত্ত্ব বিষয়ে এদের জ্ঞান জিরো, বা বড়জোর শখে দু চারটে মনস্তত্ত্বের বই পড়া অবধি এদের দৌড়৷ এদের উপদেশমত চলতে গেলে ভালোর চেয়ে খারাপ হবার সম্ভাবনাই অধিক। একজন বাংলার প্রফেসরকে যদি এরোপ্লেন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আপনি ভরসা পাবেন সেই প্লেনে উঠতে? একজন কেমিষ্ট্রির অধ্যাপককে যদি হার্ট সার্জারির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আপনি ভরসা পাবেন তার কাছে নিজের হার্টের সার্জারির দায়িত্ব দিতে? পাবেন না তো? ঠিক সেরকমই কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বও যাকে তাকে দেবেন না, যদি না তার প্রথাগত ট্রেনিং থাকে। এবং বিশ্বাস করুন, কাউন্সেলিং করাটা এরোপ্লেন চালানো বা হার্ট সার্জারির মতোই অত্যন্ত জটিল একটা বিষয়। কাজেই সাধু সাবধান। ফ্রিতে সবকিছুর সমাধান হবার ধান্দা ছেড়ে গাঁটের পয়সা খরচ করে একটু প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
যারা এই ধরনের লেখা দিচ্ছেন তাদেরও বলি, নিজের সীমারেখায় থাকুন। যেটা আপনার কাজ নয় সেটা হিরো বা হিরোইন সাজার জন্য করতে যাবেন না। আপনার অবিমৃষ্যকারীতার বলি হতে পারে কিন্তু একটা তাজা প্রাণ
দয়া করে ডিপ্রেশনের রোগীদের নিয়ে জনসেবা করার উৎকট আকাঙখাটা পরিত্যাগ করুন৷
তাই ডিপ্রেশন হলে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহন করুন। অযাতিত পরামর্শ দেওয়া ও নেওয়া উভয় থেকে বিরত থাকুন। রোগীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
তবেই একমাত্র এর প্রকৃত নিরাময় সম্ভব।
কল্লোল আপনাকে,
আপনি আমার খুব প্রিয় লেখক, ইনফ্যাক্ট প্রথম দিন গুরুচন্ডালির সাইটে "কল্লোল লাহিড়ী খুঁজে" পড়েছি। তাই আপনিই ধরে নিয়ে বললাম।
ঠিক কিংবা ভুল বলছি না, কারণ সে নিয়ে কথা হবে আরো...
তবে এটুকু বলব, মন ভালো থাকার এই মন্ত্রটা অনেকের কাজে লাগবে। আমারও।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
"খবর দিও হঠাৎ কান্নাটান্না পেলে"-এরা অনলাইন ইউনিভার্সিটি'র সাইকোলজি ও সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক।ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে এদের শরণাপন্ন হবেন না।আমি ঠকেছি, আপনিও ঠকবেন।
শোনা ও দেখা ঘটনা,সো কল্ড অনলাইন মনোবিদরা তুমি খুশি আছো কি না শিওর হতে সেল্ফি চাইবে।এন্ড,দ্যাট ইজ দ্য এন্ড অফ বিগিনিং।তারপর,চলবে জঘন্য টু-লাইনার পাঠানো,গান গেয়ে অডিয়ো পাঠানো,নাচ করে ভিডিয়ো পাঠানো ইত্যাদি।মেসেঞ্জারে টেক্সট করে বলবে-"হ্যালো,কি জানি মনে হচ্ছে তোমার ভেতরটা ফাঁপা নাহ!ইউ ক্যান টক টু মি,আমি আগে এরকম অসংখ্য ডিপ্রেসড মেয়েকে ঠিক করেছি।"কথাবার্তা ধীরে ধীরে এগোবে,পাতি কথা ও তোমার সঙ্গে প্রেম করতে চাইবে;প্রেমের এন্ড ঘুরতে চলো একসঙ্গে দিঘা,মন ভালো হয়ে যাবে,সব ডিপ্রেশন হাওয়া হয়ে যাবে নাকি!এগুলো অনলাইন ইউনিভার্সিটি'র সাইকোলজিস্টদের থেরাপির এন্ড পার্ট।আমার একজন বান্ধবী'র কাছে এক নামি অনলাইন বিশেষজ্ঞ কাম মনোবিদ থেরাপি শেষে বলেছিল-"ন্যুড দেবে?"
সুতরাং,এসব আলবাল পাবলিকের থেকে মনোবিদ্য সংক্রান্ত জ্ঞান শোনার আগেই ব্লক মারা উচিত।সাইকিয়াট্রি'র ডিগ্রি পেতে মিনিমাম সাড়ে আট বছর লাগে(এমবিবিএস ও এমডি মিলিয়ে),ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে পিএইচডি করলেও প্রায় এরকম সময় লাগে।অতএব,ফ্ল্যাটে ডেকে বিপ্লব করা অনলাইন সেলেব আপনার ডিপ্রেশন সরানোর মতো যোগ্যতা ও জ্ঞান নেই,বুঝতেই পারছো।তাঁর সঙ্গে মনোরোগ নিয়ে আলোচনার চেয়ে বালোচনা বেশি হবে।
হয় দেখে শেখো নইলে ঠেকে শিখবে।ধন্যবাদ
নেট থেকে সংগৃহিত এক নারীর অভিজ্ঞতা