এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • আমেরিকা -- ঘটছে টা কী

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ জুন ২০২০ | ৮৩৬২ বার পঠিত
  • আমেরিকার অবস্থাটা বাইরে থেকে ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। টিভিতে যা পাওয়া যাচ্ছে, শুধু ভব্য বয়ান। কমিক রিলিফও আছে। প্রেসিডেন্ট একবার বলছেন 'লুটিং স্টার্টস, শুটিং স্টার্টস', আরেকবার হাতে বাইবেল নিয়ে ফোটোশুট করছেন। সিএনএন এ ক্রিস কোমো দাঁত খিঁচিয়ে ট্রাম্পকে গাল দিয়ে চলেছেন। কিন্তু এসব বাদ দিলে টিভি যা ঘটনা দেখাচ্ছে তা মূলত ভব্যতার প্রতিমূর্তি। কিছু ইটপাটকেল ছোঁড়া, কাঁদানে গ্যাস আছে। সে তো সব বিক্ষোভেই হয়ে থাকে। কিন্তু মূল ন্যারেটিভ হল সাদা পুলিশের হাতে কালো মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকা পথে নেমেছে। সর্বত্র বিক্ষোভ, জনজাগরণ। হোয়াইট হাউস ঘিরে ফেলেছে জনতা, বাইরে টহল দিচ্ছে আর্মার্ড কার। সিভিল রাইটস আন্দোলনের পর এই প্রথম আমেরিকা কাঁপছে। ইত্যাদি।

    কিন্তু ভিতরে বসে দেখলে অবস্থা এত আশাপ্রদ কিছু নয়। আমেরিকা কাঁপছে ঠিকই, কিন্তু ভেঙে পড়ার জন্য কিনা কেউ জানেনা। বহু শহরে রাত্রিকালীন কার্ফু। প্রেসিডেন্ট ন্যাশানাল গার্ড নামাতে বলেছেন সমস্ত গভর্নরদের। না নামালে নিজেই সৈন্য নামিয়ে দেবেন বলেছেন। আমেরিকায় বসে এই মুহূর্তে সেটা শুধু ফাঁকা আওয়াজ মনে হচ্ছেনা। কারণ প্রতিবাদের চেয়েও হিংসা ছড়াচ্ছে বেশি গতিতে। তার চেয়েও বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে 'খবর'। ছড়াচ্ছে ফোনে, ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়, ছড়াচ্ছে ফিসফিসিয়ে। আমাদের পাড়ার নেটওয়ার্কে মেয়রের সাবধানবাণী জ্বলজ্বল করছে। 'নির্ভরযোগ্য' সূত্রের খবর দিয়ে লোকজন পোস্ট করছে, আজ রাতে বাসে করে দাঙ্গাবাজরা আসছে। সতর্ক থাকুন। ইঙ্গিত ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার আর অ্যান্টিফার দিকে। লোকজন বন্দুক বাগিয়ে তৈরি হয়ে থাকছে। বন্ধুবান্ধব, পরিচিতরা ফোন করে খোঁজ নিচ্ছে।

    এ সবই অমূলক, তা কিন্তু একেবারেই নয়। পাড়ার ওয়ালমার্টে কালই হামলা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দোকান। মিসিসিপি টপকালে ওপারে কালই গুলিতে দুজন মারা গেছে। শিকাগোর কাছে বহু শহরে লুটপাটের তাজা খবর আসছে। ব্যাঙ্কে, মলে হামলা হয়েছে। এর কোনোটাই বানানো নয়। সর্বত্রই গল্পটা একই। শুরু হচ্ছে অহিংস বিক্ষোভ দিয়ে। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে লুটপাট। একবার লুট শুরু হয়ে গেলে, তারপর ফ্রি পাস। দোকানে ঢুকে লোকে অবাধে তুলে নিয়ে যাচ্ছে জিনিস। বড় চেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এক এক করে। কোভিডের উপদ্রবেও যারা খোলা ছিল।

    কোভিড, পুরো বিষয়টাকেই একটা অন্য মাত্রা দিয়ে দিয়েছে। মুখোশ এখন নতুন স্বাভাবিক। আগে শুধু ডাকাতরা মুখোশ পরত, এখন প্রতিবাদকারীরাও পরে। তার আড়ালে কে কোথায় এসে লুটপাট শুরু করে দিচ্ছে বোঝা মুশকিল। মানি-হেইস্ট খ্যাত গাইফক্স আর দালি মুখোশও দেখা যাচ্ছে এদিক ওদিক। কোভিড, ভাবা গিয়েছিল, নজরদারির নতুন যুগের সূচনা করছে। কিন্তু এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে, মুখোশ অনেকটা আড়ালও দিচ্ছে। অন্তত একটি শহরে, দেখা গেছে একজন সাদা মানুষ হিংস্রতা শুরু করে। বাকি সবই মুখোশের আড়ালে। লুটপাটও।

    সব মিলিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি যেমন হয়, অবস্থা তার কাছাকাছি। শুধু আন্দোলন চলছে, মানুষ একজোট হচ্ছে, ব্যাপার একেবারেই তা নয়। লোকে ভয় পাচ্ছে। দাঙ্গায় যেমন হয়। সাদারা 'কালো দাঙ্গাবাজরা চলে এল রে' বলে ভয় পাচ্ছে। কালোরা তো এমনিই ভয় এবং রাগের তুঙ্গে। অবিশ্বাস সর্বত্র। গুজব ছড়াচ্ছে। এবং মানুষ তাতে বিশ্বাস করছে। ভয় পাচ্ছে। ঠিক দাঙ্গার আগে যেমন হয়। এর আগের কোনো আন্দোলনে এ জিনিস হয়নি। খুব সম্ভবত ব্ল্যাক প্যান্থার জমানার পর এই মাত্রার হিংসাও হয়নি।

    মিডিয়ায় খবর দেখাচ্ছে, জনতা হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে। সেটা মিথ্যে নয়। টিভিতে দেখা যাচ্ছে, নানা শহরের প্রতিবাদে সাদারাই সংখ্যাধিক্য। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে সবাই উত্তেজিত। সবাই গায়ের রঙের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। শহরে, প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সেটা হয়তো ভুল নয়। কিন্তু শহরের প্রতিবাদকারীরাই শেষ কথা বললে তো ট্রাম্পের জেতারই কথা নয়। এই তীব্র আন্দোলনের পর, পরেরবার আর ফিরে আসার সম্ভাবনাও শূন্য। কিন্তু পরিস্থিতি একেবারেই তা নয়। দাঙ্গায় যেমন শান্তিমিছিল থাকে প্রকাশ্যে, আর সর্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ায় চুপিচুপি, চোখের আড়ালে, এ বস্তুও খানিকটা তেমনই। আতঙ্কের মাপজোক এই মুহূর্তে করা মুশকিল, কিন্তু আতঙ্ক আছে। বিভাজন বাড়ছে। হয়তো অবাধ লুটপাট হবেনা। থেমে যাবে। কিন্তু এই অবিশ্বাস, ভয়, এর বাইরে কীকরে যাওয়া যাবে বোঝা মুশকিল।

    মিডিয়া দেখাচ্ছে, আমেরিকার মানুষ ইতিহাস তৈরি করছে। আন্দোলনে কাঁপছে আমেরিকা। কিন্তু অবস্থা একেবারেই অত সুবিধের না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ জুন ২০২০ | ৮৩৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 103.195.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১০:৩১93881
  • এটা এমন কিছু ব্যপার না, ওয়ার্ল্ড অর্ডার চেঞ্জ হওয়ার সময়ে প্রতিবারই এরকম হয়। পাওয়ার সেন্টার শিফট হতে শুরু করেছে, হয়তো বছর দশেক লাগবে নতুন সেন্টার এমার্জ করতে। তারপর আবার সবকিছু সেটল করে যাবে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১১:৩২93883
  • দশ বছরে ওসব নতুন সেন্টার এমার্জ হ্যানা ত্যানা সব হয়ে সেট্ল নাহয় হলো, কিন্তু যা চলছে চাদ্দিকে, নিজে দশ বছর টিকতে পারলে হয়. সেটা নাহলে আর আমার কি লাভ.
  • S | 2620:7:6001::ffff:c759:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ১১:৪৪93884
  • ভালো লাগলো লেখা। কিন্তু সৈকতদাও আজকাল মাইকেল মুরের মতন হয়ে গেছে। অনেক কথা বলে (এক্ষেত্রে লেখে), কিন্তু আসল কথা আর কিছুতেই বলে না। যেটা শুনতে চাই।
  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ১১:৪৭93885
  • আসল কথাটা আপনিই বলে ফেলুন।কি এমন কঠিন কাজ!দাঙ্গা চলছে।কেউ না কেউ তো উস্কাচ্ছে। সেইডা কেডা!

  • anandaB | 50.35.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১২:১৫93886
  • যেটা হচ্ছে (আমি যা বুঝছি)
    লুঠতরাজ, রায়ট এগুলো অত্যন্ত পরিকল্পনা করে করা হচ্ছে যাতে করে এক ঢিলে অনেক পাখি মারা যায়, যেমন

    ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বা আরও আনুষঙ্গিক জায়েজ ক্ষোভ গুলিকে টেররিস্ট (বা কাছাকাছি) ছাপ্পা মারা যায়. মুখোশ তো এখন এমনিতেও আলাদা করে লাগছে না

    সেনা নামানো ইত্যাদি পদক্ষেপ গুলো লেজিটিমেসি পায়, দু একটা সুইং স্টেট এর ওয়ার্কিং ক্লাস সাদাদের পেড়ে ফেলতে পারলেই মোটামুটি নিবার্চন বৈতরনী পার হওয়া খুব মুশকিল হয় না. এমনিতেই মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, কিছুটা ওহাইও এবং হয়তো উইসকনসিন ও একবার সাধিলেই খাইবো অবস্থায় রয়েছে

    কালো, বাদামি - সোজা কথা যারা সাদা নয় তাদের জীবন মোটামুটি যতটা দুসঃহ করে তোলা যায়. COVID একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল, কাজে লাগানো যায় নি এমনকি ডিপ স্টেট আমদানি করেও. এই নতুন সুযোগ এতো হেলায় নষ্ট হবে বলে মনে হয় না
  • dc | 103.195.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১২:৩০93887
  • এবার দ্রি কিছু স্পুটনিক লিংক আনুন, নাহলে ডিপ স্টেটটা ঠিক জমবে না।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1a5:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ১২:৪৩93888
  • আমেরিকাতে এই বিভাজন বাড়ছে বিগত ২৫ বছর ধরেই। তার আগে সত্যি বলতে দুই দিকের মধ্যে তেমন কিছু রাজনৈতীক বিভাজন ছিলনা। যেকারণে পুরোনো লোকেরা এখনো বুঝে উঠতে পারেনা যে হলটা কি? একটা উদাহরণ দিই।

    পপুলার টিভি শো রোজেনের মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করা রোজেন বার যখন কুড়ি বছর পর সেই শোকেই রিভাইভ করার জন্য ফিরে এলেন, তখন তিনি প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন জানায় (২০১২ তে নিজে প্রেসিডেন্টের জন্য লড়েন এবং ওবামাকে ভোট দিয়েছিলেন) এবং বেশ কিছু আজেবাজে কথাবার্তাও বলেন (যার মধ্যে একটি কুখ্যাত টুইট ছিল, যার জন্য শো ক্যানসেল হয়ে যায়)। টক শো হোস্ট জিমি কিমেল তাকে প্রশ্ন করে যে তিনি এত একস্ট্রিম হয়ে গেছেন কেন? তাঁর উত্তর ছিল যে আমি একই জায়্গাতেই আছি, তোমরাই সড়ে গেছ।

    এই যে রাজনৈতীক বিভাজনের কথা বলছি, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা না বুঝলে আজকের এই পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। প্রথমদিকে এই বিভাজন ছিল অল্প। চট করে চোখে পরত না। কিন্তু ওবামার সময় এই বিভাজন খুব চোখে পড়তে শুরু করে। এর মূল কারণ ছিল দুটোঃ ইরাক যুদ্ধ এবং অর্থনৈতীক মন্দা। লোকের মধ্যে অসন্তোষ চরমে। একদিকে অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট হচ্ছে, অন্যদিকে টি পার্টির সদস্যপদ বাড়ছে। একদল বলছে এর জন্য দায়ী ক্যাপিটালিজম, বড় ব্যান্ক আর ইনভেস্টমেন্ট ব্যান্কদের দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইমিগ্রেশান, আউটসোর্সিং, সোশাল ওয়েলফেয়ারকে (যার অন্যতম বেনিফিশিয়ারি কালো-লাতিনো সম্প্রদায়) দায়ী করা হচ্ছে। ফলে ক্লাস স্ট্রাগল-সেপারেশানকে রেসিয়াল টেনসনে পরিণত করা হয়।

    প্রেসিডেন্টের গায়ের রং কালো হওয়াতে এই ব্যাপারটা করতে আরো সুবিধা হয়। এইসব ওয়েলফেয়ার আসলে কালোদের জন্য - এইরকম কথা ছড়াতে অসুবিধা হয়্না। তাছাড়া ওবামা বহু রেগুলেশান নিয়ে আসে, ওবামাকেয়ার নিয়ে আসে, ট্যাক্স হলিডে এক্সপায়ার করিয়ে দেয়। এগুলো বিলিয়নেয়ার-্ক্যাপিটালিস্ট ক্লাসের অপছন্দের ব্যাপার। তাদের ভয় যে সাধারণ আমেরিকাররা একবার ফ্রী এডুকেশান ফ্রী হেল্থকেয়ার স্বাদ পেয়ে গেলে সেখান থেকে বার করা মুশকিল হয়ে যাবে। ফলে ক্যাপিটালিস্ট ক্লাস প্রচুর পয়সা ঢালে ওবামা এবং ওবামাকেয়ারকে ডিসক্রেডিট করার জন্য। বহু লোক যারা ওবামাকেয়ার থেকে বেনিফিটেড হয়েছে, তারাও বিরোধীতা করে বসে। ফক্স নিউজ থেকে অ্যালেক্স জোন্স কাজে নেমে পড়ে। ফক্স নিউজে বেশ কয়েকবার আলোচনা হতে শুনেছি যে ডেমোক্র‌্যাট পার্টির ডিবেট মানেতো শুধু সবকিছু ফ্রীতে দেওয়ার লিস্টি।

    ২০১২ তে ওবামার রি-ইলেকশনের ফলে এমনিতেই বহুলোকের ঘুম ছুটে গেছিল। তাহলে কি আর ডেমদের হোয়াইট হাউস থেকে সড়ানো যাবেনা? অন্যদিকে ওবামা ডাকা নিয়ে আসায় রেসিয়াল টেনশন বাড়াতে সুবিধা হয়। ইমিগ্রেশান নিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। মনে আছে ২০১৪র ওয়ার্ল্ড কাপের সময় ফক্স নিউজে একজন বলেছিলেন যে সকার নিয়ে মাতামাতি করাটা আনামেরিকান।

    এর মধ্যেই অশ্বেতাঙ্গ লোকেদের উপর পুলিশি নিগ্রহের খবর বাড়তে থাকে। এই পুলিশের দ্বারা আনার্মড নির্দোষ কৃষ্ণাঙ্গকে মেরে ফেলা নতুন কিছু নয়। এবারে জাস্ট ভিডিও কোয়ালিটি বড্ড ভালো পাওয়া গেছে। তাই আর স্পিন করার তেমন সূযোগ পাচ্ছে না। নইলে তেমন সূযোগ থাকলে হাতে একটা পেনসিল শার্পনারের মতন মারনাস্ত্র বা মরার আগে একজন আনার্মড ভিক্টিমের কথায় ভয় পেয়ে ৪ জন অস্ত্রধারী অফিসার এইসব কাজ করে ফেলেছে বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। সেটি এবারে হচ্ছে না।

    দুটো স্পষ্ট ফ্যাক্টার কাজ করছে। অর্থনীতি আর রেসিজম। সোশাল ওয়েলফেয়ার যাতে না প্রতিষ্ঠিত হয় তার জন্য জিওপি আর মডারেট ডেম কঙ্গ্রেস আর ট্রাম্পের মতন প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন। যার অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের বড় অ্যাচিভমেন্ট মিলিয়নেয়ার-বিলিয়নেয়ার-্কর্পোরেশানদের বিশাল ট্যাক্স কাট দেওয়া। সেটা করার জন্য এরাও প্রচুর পয়সা খরচ করতে রাজী আছে।

    সেই প্রয়াসের একটা খুব বড় পার্ট হল রেসিজম। কারণ এই ব্যাপারটাতে আমেরিকার একটা বড় সংখ্যক লোকজনের এখনও বেশ সমর্থন রয়েছে - প্রচ্ছন্ন বা প্রকাশ্য (ট্রাম্প গদিতে বসার পর সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে)। ট্রাম্পও রেসিজমকে এফেক্টিভলি ইউজ করতে পেরেছে, তাই ভোট পাচ্ছে।

    এই রেসিজমেরই আরেকটা কাজ হল সিস্টেম্যাটিকালি কালো-লাতিনোদের পার্জ করা। ঘৃণা ছাড়াও ভোটার লিস্ট থেকে নাম সড়ানোর জন্য। সেটা সোশাল ওয়েলফেয়ার কমিয়ে, কোরোনার সময় স্কুল-বাজার-হাট খুলে দিয়ে, বা সোজা খুন করে করা হচ্ছে। যদি সেসব নাও হয়, তাহলে অন্তত একবার হাজতে পুড়ে দিলেও অনেক রাজ্যে ভোটাধিকার চলে যায়। তাই কালো লোক কেন ঘুমোচ্ছে, কালো লোক কেন কফি শপে রয়েছে, কালো লোক কেন পাখি দেখছে, কালো লোক কেন নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে এইসব উপলক্ষ করে মাঝে মধ্যেই পুলিশ ডাকা হয়। যদি পুলিশ এসে কোনও অজুহাতে মেরে টেরে দেয়, সেই আশায়।

    ফলে এই বিভাজন কিছুতেই কমার নয়। কারণ এই বিভাজনের উপর দাঁড়িয়েই ট্রাম্প এবং ট্রাম্প ভক্তরা রি-ইলেকশানের স্বপ্ন দেখছে। দেশকে তারা ফিরিয়ে নিতে চায়।
  • anirban | 86.2.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১২:৪৫93889
  • হিংসা বলতে কিন্তু দোকানপাট ভাঙা, জিনিস লুঠ, কাঁচ ভাঙা. মানুষ পেটানো নয়. মানুষ পেটানোর হিংসা এখনো এক তরফা পুলিশের. সাংঘাতিক মারছে .
  • lcm | 99.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১৩:০১93890
  • Minorities in U.S. set to become majority by 2042

    The census calculates that by 2042, Americans who identify themselves as Hispanic, Black, Asian, American Indian, Native Hawaiian and Pacific Islander will together outnumber non-Hispanic whites.

    The main reason for the accelerating change is significantly higher birthrates among immigrants. Another factor is the influx of foreigners according to projections based on current immigration policies.

    "No other country has experienced such rapid racial and ethnic change," said Mark Mather, a demographer with the Population Reference Bureau, a research organization in Washington.
  • সাত্যকি সেন ওহায়ো | 185.9.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১৮:১৯93893
  • ওই মহা কালুয়া গুলোকে কোনো অধিকার দেয় কে?

    আমাদেরএখানে কাল হেব্বি হুজ্জতি মারিয়েছে 

  • চিত্রদীপ | 185.9.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ১৮:২৬93894
  • আমেরিকায় যে কারনে আন্দোলন হচ্ছে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন যে কোনো সচেতন মানুষের থাকা উচিত। বর্ণবৈষ্যম্যবাদ কখনই কাম্য নয়৷ 

    কিন্তু আমেরিকার এই আন্দোলনের খবরে যারা লাফাচ্ছেন তার কতটা বর্ণবৈষম্যবাদের প্রতি ঘৃণার কারণে আর কতটা 'আমেরিকা হেব্বি টাইট খাচ্ছে' এই আনন্দের কারণে সেটা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান৷ আমেরিকার প্রতি আমাদের অনেকেরই রাগ আছে, ঈর্ষা আছে (যদিও আমেরিকাকে গালাগাল দেওয়া অনেক বিপ্লবীই আমেরিকায় একটা জম্পেশ চাকরির সুযোগ পেলে বিপ্লবকে অবাঞ্ছিত শিশুর মত ডাষ্টবিনে ত্যাগ করে উর্ধবাহু হয়ে দৌড়াবেন একথা ভালোই জানি)। এই রাগ বা ঈর্ষা ব্যক্তিগত রাগ বা ঈর্ষা নয়, এটি একটি সমষ্টিগত রাগ বা ঈর্ষার উদাহরণ। সমষ্টিগত ঈর্ষার বহু প্রকার হয়, যেমন জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মগত, এলাকাগত, রাষ্ট্রগত ইত্যাদি। রাষ্ট্রগত রাগ বা ঈর্ষা এমন একটি ঈর্ষা যা একটি এগিয়ে থাকা রাষ্ট্রের প্রতি একটি পিছিয়ে থাকা রাষ্ট্রের অধিবাসীদের থাকে। সেই ঈর্ষারই প্রতিফলন ঘটেছে এই ঘটনায়। একটি উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কোনো এলাকায় যদি সবাই নিম্নবিত্ত হয় ও মাত্র একটি উচ্চবিত্ত বাড়ি থাকে তাহলে উচ্চবিত্ত বাড়িটির প্রতি এলাকার সবার একটা ঈর্ষা ও তজ্জনিত ক্ষোভ থাকে৷ এখন কোনো একদিন যদি পুলিশ এই উচ্চবিত্ত বাড়ির কর্তাটিকে কোনো অপরাধের চার্জে, ধরা যাক তহবিল তছরূপের চার্জে গ্রেপ্তার করে তাহলে দেখা যাবে পাশের নিম্নবিত্ত বাড়ির প্রত্যেকে খুব আনন্দিত৷ এই আনন্দ এই কারণে নয় যে তারা খুব সৎ এবং এতদিন বাড়ির পাশেই একজন অসৎ লোকের অস্তিত্ব তারা মেনে নিতে পারছিলো না৷ এই আনন্দ আসলে এই কারণে যে এতদিন ঈর্ষা থাকা সত্ত্বেও উক্ত পরিবারের কোনো ক্ষতিই করা সম্ভব হচ্ছিলো না, উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি দেখে নিজে জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়া ছাড়া। এখন পুলিশের এই গ্রেপ্তার তাদের ঈর্ষাকাতর মনে একটু আনন্দ এনে দিয়েছে। শত্রুকে বেকায়দায় দেখে তারা এখন উল্লসিত। নিজের অবদমিত ঈর্ষা রিলিভড হবার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাস এইটুকুই। এই আনন্দ কোনো আদর্শের কারণে নয়, এই আনন্দ স্রেফ ব্যক্তিগত হিসাব মেটাবার আনন্দ। 

    আমেরিকার প্রশাসনের নাস্তানাবুদ হওয়াটিকেও সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাই ভালো৷ তাছাড়া সাময়িক ঢেউ তুলে দুদিন পর এই আন্দোলন মিটেও যাবে। আবার সব যেমন চলছিলো তেমনিই চলবে। আমাদের হাতে থাকবে যে কাঁচকলা সেই কাঁচকলাই। আর আমেরিকায় কমিউনিজম কোনোদিনই তেমন জনপ্রিয় নয়৷ সম্ভবত আগামী পঞ্চাশ বছরের নির্বাচনেও কোনো কমিউনিষ্ট পার্টি মাত্র দশটি সিট জোগাড়  করতে পারবে না, বিপ্লব হওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার। কাজেই পাশের গ্রামের কোনো দুর্নীতিবাজ নেতার বাড়িতে আগুন লেগেছে বলে আমার আনন্দে লাফালাফি না করাই ভালো৷ কিছুক্ষন বাদে দমকল ডেকে ওরা নিজেদের আগুন নিজেরাই নিভিয়ে ফেলবে। তারপর আগের মতই সব যেমন চলছিলো তেমন চলবে। আমাকে আগুন নেভাতেও ডাকবে না বা দুদিন পর সব ঠিক হয়ে গেলে তাদের ছেলের বিয়েতেও আমাকে নেমন্তন্ন করবে না। আমার স্থান তাদের বৃত্তের বাইরে। কাজেই ওদিক নিয়ে না মাথা ঘামিয়ে আমি বরং আমার নিজের বাড়ির খড়ের ছাদ ফুটো হয়ে যে জল ঢুকছে তা নিয়ে মাথা ঘামাই। এন.আর.সি, আমফান, লক ডাউনের কারণে দেশজোড়া বেকারীত্ব, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামাই। আগে নিজের দেশ বাঁচাই৷ আমেরিকাকে নিয়ে ভাবার পরে অনেক সময় পাওয়া যাবে। তেমন বড়সড় কোনো ইস্যু হলে (যেমন গুলি চালিয়ে আন্দোলনরত কয়েকশো শ্রমিককে মেরে ফেলা ইত্যাদি) অবশ্যই আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবশ্যই সামিল হওয়া যাবে৷ কিন্তু আপাতত নিজের ঘর বাঁচাই। 

    কথাতেই বলে 'আপনি বাঁচলে বাপের নাম...'

  • sm | 2402:3a80:a85:b0ae:0:4d:bd46:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ১৯:৪১93895
  • পোষ্ট টা ভালোই।এই বাজারে,যা পাওয়া যায়।মোটামুটি হিংসা,রাগ, রেসিজম,আমেরিকা,ভারত,করোনা,পায়ে হাঁটা শ্রমিক,দাঙ্গা, মার পিঠ,আগুন,দমকল, ছাদ ফুটো,গরীব - বড়নোক,এন আর সি,রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা, বেসরকারী করন,আন্দোলনরত শ্রমিক,গুলি বন্দুক--- সব কিছুই কভার হয়ে গেছে।

    কলিযুগ, যদা যদা হি ধর্মস্য, ছোলা মুড়ি,আলুকাবলি,বলিউড,তারকা, হিন্দি গান, শেয়ার মার্কেট,অঙ্কের মাস্টার ,নারী বিদ্বেষ, অর্ণব গোস্বামী, উম্পুণ,চিনা মাঞ্জা, বিশ্ব কবি,নিখিল বিশ্ব,ব্ল্যাকহোল,বিরিয়ানির রেসিপি -- এই সামান্য কিছু টপিক বাদ পড়ে গেছে। দ্বিতীয় পোস্টে জম্পেশ করে লিখুন দেখি।আমরা সঙ্গে আছি।চালিয়ে খেলুন।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ২০:০০93896
  • আরেকটা ইমপিচমেন্ট এর কথা কেউ বলেনি?
  • > | 103.124.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ২০:০১93897
  • -
    লাখ কথার এক কথা, এখানেই ব্ড় বুলি দেওয়া সজ্জন অনেক আছেন - বিপ্লবের আগুনে যারা রোজ হাত সেঁকে থাকেন
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8802:c7b5:81f6:9aed:fa89:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ২১:১৮93898

  • কোন পোস্ট টার কথা বলছেন?
  • চিত্রদীপ | 178.209.***.*** | ০২ জুন ২০২০ ২২:১৭93899
  • (যদিও আমেরিকাকে গালাগাল দেওয়া অনেক বিপ্লবীই আমেরিকায় একটা জম্পেশ চাকরির সুযোগ পেলে বিপ্লবকে অবাঞ্ছিত শিশুর মত ডাষ্টবিনে ত্যাগ করে উর্ধবাহু হয়ে দৌড়াবেন একথা ভালোই জানি)।

    এই জায়গাটা যে SM কে মর্মে আঘাত করবে ও কাউন্টার পোস্ট নামাতে বাধ্য করবে বুঝতে পারিনি 

    তাড়াহুড়োয় অবশ্য কোন পোস্ট স্পেসিফাই করার থেকে মনের জ্বালা মেটানো অনেক সময় প্রেফারেন্স পায় , অনেকেই কোন পোস্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে লেখা সেটাই মেনশন করতে ভুলে যায় 

  • sm | 2402:3a80:a85:b0ae:0:4d:bd46:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ২৩:৪৬93900
  • আরে না না, চিত্র দীপ বাবু।আম্রিকা নিয়ে আলাদা কোন মোহ নেই।আপনার পোস্ট খুব এনজ়য় করেছি।করেছি বলেই, একটা ছোট রসিকতা করে পোস্ট করেছি।

    আপনার লেখাটি খুবই ভালো হয়েছে।সব দিক কভার করেছে। জার্গণ নেই।যাকে বলে সিধা 'মরমে আঘাত করিলো'। অন্য কিছুর জন্য মর্মে আঘাত পাই নি। আরো লিখুন। আপনি লিখলে, সত্যিই আনন্দ পাবো।

  • sm | 2402:3a80:a85:b0ae:0:4d:bd46:***:*** | ০২ জুন ২০২০ ২৩:৪৮93901
  • তবে একটা ফুট কাটছি।পাড়ার একমাত্র বড় লোকের ওপর আলাদা হিংসা বা ঈর্ষা নেই। তাকে পুলিশ ধরলেও নেই।

    কিন্তু বিজয় মালিয়ার মতো লোক কে ধরলে,আলাদা তৃপ্তি পাবো।

  • চিত্রদীপ | 193.182.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ০০:০৯93902
  • ফুট কাটা ভালো যতক্ষণ না নিজের ফুটিফাটা হচ্ছে , ইয়ে মানে কপালের কথা হচ্ছে 

    তৃপ্তি পাওয়া র আরো সোজা রাস্তা আছে তো 

    জগুবাবুর বাজারে চলে যান , সস্তাও পর্বে 

    হে হে 

  • sm | 2402:3a80:a85:b0ae:0:4d:bd46:***:*** | ০৩ জুন ২০২০ ০০:২৩93903
  • আরে লিখুন না মশায়।আমরা অপেক্ষায় আছি।

  • চিত্রদীপ | 193.182.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ০০:৪৫93904
  • হবে হবে মহায় 
    সবুর করুন না একটু 
    মেওয়া ঠিক ফলবে 

  • lcm | 2607:f140:800:1::***:*** | ০৩ জুন ২০২০ ০২:০৪93905
  • বিপ্লব রহমান | ০৩ জুন ২০২০ ০৫:০৮93906
  • মার্টিন লুথার কিং 'কে মনে পড়ছে। "আই হ্যাভ আ ড্রিম"...

  • Amit | 121.2.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ০৫:১৭93907
  • পোলারিজশন বেশি হলে হয়তো ট্রাম্প এর সুবিধাই হবে নভেম্বর ভোটে. যেমন মোদী শাহ এর হয়. যত বেশি ডিভাইড, তত বেশি হিন্দু ভোট. তাহলে হিংসায় মদত তো ওর হোয়াট সুপ্রিম্যাসিস্ট দলবলেরই বেশী দেওয়ার কথা. কদিন আগেই এদের দলবল বন্দুক নিয়ে এন্টি লক ডাউন মিছিল করছিলো, US পুলিশ তখন প্রায় হাত জোর করে বাবা বাছা করছিলো ওদেরকে. আর এখন পিসফুল প্রোটেস্ট এ টিয়ারগ্যাস চালাচ্ছে যাতে ট্রাম্পবাবু হাতে বাইবেল নিয়ে পোজ দিতে পারেন.

    অদ্ভুত অবস্থা চলছে পুরো দুনিয়ায়, জাস্ট লসিং অল হোপস. মোদী, ট্রাম্প, বরিস, পুতিন, বোলসেনের, দূতেরতে, - চাদ্দিকে এতগুলো চ্রম এক্সট্রিমিষ্ট লিডার একসাথে ক্ষমতায়. লাস্ট টাইম এই রেটে চাঁদের হাট বসেছিল হয়তো 1930-40-এ. তার ফল তো সবার ই দেখা.
  • অনিরুদ্ধ সেন | 2a0b:f4c2::***:*** | ০৩ জুন ২০২০ ০৫:২৮93908
  • হোয়াইট আমেরিকানরা যেভাবে প্রটেস্টে নেমেছে তাতে ট্রাম্পের মুশকিল আছে - মিনোসোটায় ৮৪%, মিনিয়াপোলিশ শহরে ৬০% হোয়াইট। অন্যান্য জায়গাতেও হোয়াইটারা রাস্তায় নেমেছে লক্ষ্যণীয়ভাবে। আমি যেখানে আছি - ক্যানসাসে - সেখানে হোয়াইট মেজরিটি, তারাও রাস্তায় নেমেছে।
  • ar | 71.174.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ০৭:২০93911
  • U.S. Army UH-72 Lakota helicopters, as well as UH-60 Black Hawks, one possibly belonging to the Federal Bureau of Investigation, have been flying extremely low-level show-of-force maneuvers over areas of Washington, D.C. in obvious attempts to try to disperse groups protesting the police killing of George Floyd in Minneapolis, Minnesota last week. Some of the helicopters have held a hover right over groups of people, hitting them with their rotor wash and the deafening sound of their rotors and engines.



    https://www.thedrive.com/the-war-zone/33802/military-helicopters-descend-on-washington-in-bizarre-very-low-altitude-show-of-force
  • dc | 103.195.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ০৮:৩৭93913
  • ২০১৬ র আমেরিকার ইলেকশান নাকি রাশিয়া ইনফ্লুয়েন্স করেছিল, মানে কেউ কেউ সেরকম বলে। দেখা যাক ২০২০ র ইলেকশানও রাশিয়া আর চীন ইনফ্লুয়েন্স করে কিনা। বহু দশক ধরে আমেরিকা অন্যান্য দেশে যে ওষুধ প্রয়োগ করেছে, সেটা এখন আমেরিকায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটা বেশ ভালো ব্যাপার।

    দ্য পাওয়ার অফ সোশ্যাল মিডিয়া ইন ব্রিংইং অ্যাবাউট রেজিম চেঞ্জ - এ নিয়ে নিশ্চয়ই আরও অনেক গবেষণা পত্র লেখা হবে।
  • debu | 170.213.***.*** | ০৩ জুন ২০২০ ১২:০২93917
  • চিন কিন্তু খুব এনজোয় কোরছে
  • | ০৩ জুন ২০২০ ১৩:১৩93919
  • পরশুদিন যখন ডিসিতে টিয়ার গ্যাস চলছিল তখন সোয়ান স্ট্রীটের বেশ কিছু বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিল বাড়ির বাসিন্দারা প্রতিবাদকারীদের আশ্রয় দেবার জন্য। রাহুল দুবে তেমনই একজন প্রথম প্রজন্মের ইমিগ্র‌্যান্ট, সফল ব্যবসায়ী রাহুল চান তাঁর ১৩ বছরের সন্তান যেন প্রতিবাদকারীদের মত মানুষ হয়। ।

    ছ্যাঁচ্চোর বাঙালির বেনামে এসে খেউড় মারা রিয়্যকশান দেখতে দেখতে রাহুল দুবের কথা জেনে কেমন অবাক লাগে!

    Upper caste, rich, businessman, first generation immigrant living the American Dream. Wants his 13-year-old son to grow up like the protesters.

    https://www.esquire.com/news-politics/a32742452/rahul-dubey-dc-black-lives-matter-protesters-shelter/?fbclid=IwAR0heEKoYzIZOYrTSJ4p5Ww8Or2jv6p45NhHFWYnz3Pdh21xvUp8_ZvqM0E
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন