sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:৩৬ | 115.242.189.183
ঃ-( খুব ঘুম্পাচ্ছে।
Netai | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:৩৩ | 182.64.11.4
আতঙ্কে হাড় হিম হয়ে যায়
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:৩০ | 115.242.189.183
"কী হয়েছে রে তোর? জ্বর আসছে নাকি?' বন্ধুর গলা কোনওরকমে কানে আসে। ও বলে, একটু ঘুমোই এখন। উপরে উঠে আসে। মাটিস সিঁড়ি, মাটির বাড়ি। কেমন আচ্ছন্ন হয়ে এলিয়ে পড়ে বিছানায়। চোখ বন্ধ হওয়ার আগে দেখে ওর সামনে একটা বাচ্চা মেয়ে, বছর দশ-বারো হবে। মুখটা কেমন ফ্যাকাশে ....
মুখে কেমন কষা স্বাদ। বোঝে, বাইরে ঝোড়ো বাতাস বইছে। আর আকাশে চাঁদ নেই। ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। গোটা বাড়ি নিঃস্তব্ধ। পাশে হারিকেন কমিয়ে রাখা, তার পাশে খাবার ঢাকা দেওয়া। মাথাটা ভার। কিছু ভোলেনি সে। সিঁড়ি দিয়ে বেড়ালপায়ে নীচে নামে। উঠোন পেরিয়ে ওদিকটায় গেলেই টানা বারান্দা। তার পিছনে বন্ধ দরজা। দরজার কাছে পৌঁছোনোর আগেই কানে আসে জলের শব্দ। বৃষ্টি? না তো, এ তো যেন কেউ স্নান করছে! এতো রাতে, বাড়ির এদিকটায়! নাঃ, শোনার ভুল। আবার কান পাতে। নিঃসন্দেহ হয়। ওদিকটায় কেউ আছে। এবার বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। বারান্দার শেষমাথায় যেখানে পতিত জমির শুরু আর লম্বা লম্বা ঘাস, সেখানে একটা কুয়ো। তার পাড়ে দাঁড়িয়ে বন্ধুর বাবা হুড়হুড় জল ঢালছেন গায়ে। পরণের ধুতি আর পৈতের সাদায় আলাদা করে চেনা যাচ্ছে অবয়ব। ওর আর পা সরে না। কেমন আটকে যায় ঐখানেই। এমন সময় ঘুরে তাকায় ওর দিকে সেই দীর্ঘ মূর্তি। চোখের কোটরে জ্বলজ্বলে দৃষ্টি, লাল আভা। হুংকার ছাড়েন, তুই আবার এসেছিস? আয়! এদিকে আয়! ও পালাতে চায়। চীৎকার করে। অবাক হয়ে শোনে ওর গলার স্বরে মেয়ের আতঙ্কিত আর্তনাদ। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে মুখের সামনে সেই ভয়ঙ্কর চোখ ...
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২০ | 12.149.39.84
বাপরে এই লোকটা তো বেম্ভদত্যির সাহস রাখে--তাপ্পর তাপ্পর---
hu | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১৯ | 12.34.246.73
তার্পর?
Tim | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১৬ | 198.82.25.234
হুইস্কিপিং?
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১১ | 115.242.189.183
একটা বন্ধ খিড়কীর দরজা। পুরনো মরচে ধরা তালা ঝুলছে। চাবির কোনও হদিশ নেই ধারেকাছে। সে বুঝে যায়, বন্ধুকে চাইলে চাবি পাওয়ার আশা কম। কিন্তু ওটা কী! দরজার পাশে একটা কুলুঙ্গী। তাতে একটা পিতলের ঘটির মত কিছু, বিবর্ণ লাল কাপড় জড়ানো। ভাবে, হাত দেওয়া ঠিক হবে না। পরক্ষণেই মনস্থির করে। দেখবোই। নামায় ওটা। মাকড়সার জাল আর বহুবছরের ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে কাপড়ে হাত লাগাতে ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়তে থাকে কাপড়। ভেতরে হাত ঢোকায়। হাতে উঠে আসে মসৃণ সাদা ছাইয়ের মত কিছু। আর একটা পুরনো তাবিজ। যেমনটা গ্রামের দিকে সবাই হাতের উপরে পরে। কিছু না ভেবে পকেটে রাখে সেটা। আর যথাস্থানে ঘটিটা। ভেতরের ঘর থেকে অনেকক্ষণ এদিকে এসেছে। এবার হয়ত ওকে খুঁজতেই শুরু করল। আলোও কমতে শুরু করেছে। যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েও কী ভেবে ফিরে আসে দরজাটার কাছে। তালাটা চেয়েচিন্তে খোলা যাবে না। আর আজ রাতে বাইরেটা না দেখলে শান্তি নেই। খুঁজেপেতে একটা লোহার শিক পায়। পুরোনো তালা। আড়াআড়ি ঢুকিয়ে একটা চাড় দিতেই খুলে যায়। কাঠের আগলটা সরানো ওর কাছে কিছুই না। অল্প খোলে। আর সঙ্গে সঙ্গে ওকে মাটিতে ফেলে দেয় একটা হা হা দমকা হাওয়া। কোনওরকমে চেপেচুপে বন্ধ করে ফিরে আসে। মাথাটা কেমন টলমল করছে।
pi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:১১ | 128.231.22.133
স্কিপ । স্কিপ। স্কিপ। স্কিপ।
খালি যেটা বলব বলব কিনা কিন্তু কিন্তু করছিলাম, সেটা বলেই যাই।
আমি কখনো কাঁঠাল খাইনি। কাঁঠালের গন্ধও শুঁকেছি বলে মনে হয়না। তবে আমার বদ্ধমূল ধারণা ওদুটো খুব বাজে হবে। এসব ব্যাপারে আমার সিক্স্থ সেন্স খুব কাজ করে। ইলিশের বেলায় তো তাই হল। প্রি কনসিভড বাজে ধারণা পুরো অক্ষরে অক্ষরে সত্য হয়েছে। যাহোক, এতদ্বারা আমিও এখানে একটা সেমি সুপারন্যাচারাল পাওয়ার সংক্রান্ত রেলিভ্যান্ট পোস্ট রেখে গেলাম।
Netai | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০৯ | 182.64.11.4
ভয় পেতে কেমন ভয় লাগে। ভালোও লাগে। তাই নিয়ে লোকে আবার পিছনেও লাগে।
Netai | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০৮ | 182.64.11.4
নিশির ডাক অবশ্য এখনো আছে। তবে তাতে লোকে আর তেমন ভয় খায় না।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০৬ | 12.149.39.84
ধ্যেত্তেরি সান্দা, আর কত আস্তে আস্তে পা বাড়াবে--হাওড়া স্টেশনে পৌছে যাবে এবার --খালি খালি কাজ ছেড়ে এখানে আসছি---আমার ঘাড় এবার বস-ভূত মটকালো বলে--আর নেত্য, এই বস-ভুত আবার ভেরি মাচ বর্তমান ঃ-((
Netai | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০৩ | 182.64.11.4
ভুতের গল্প সবই ঐতিহাসিক। ঐতিহাসিক ভুতের গল্প। বর্তমান বলে কিচুই নেই আর ভবিষ্যতও অন্ধকার।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০০ | 12.149.39.84
আহারে টিম্ভাই, হারাণবাবুকে খামোখা মেরেই ফেল্লি--হাড়গোড় ভেঙে আবার কেয়ং সেরে উঠতেন--আর সব্বাইকে এই গপ্পোটা বলতেন--লোকে অবশ্য পাগলা মাষ্টার ডাকত তাহলে --
সান্দা তাপ্পর??
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৫৪ | 115.242.189.183
বালিশের নীচে রাখা টর্চটা নিয়ে জ্বালাতে যায়। একবার জ্বলে উঠে কেটে যায় বাল্বটা। বন্ধুর মা। "এত রাতে জেগে আছো কেনো? যাও ঘুমিয়ে পড়ো। পাশে জল রাখা আছে'। কী অবাস্তব পাথর পাথর মুখটা! কোথায় দেখেছে ওই মুখ? পরেরদিন সকালে বেশ তাড়াতাড়িই ঘুম ভাঙে। রাতে বোধহয় বৃষ্টিও হয়েছিল। মাটি ভেজা। মাঠের আল ধরে হাঁটতে থাকে। আড়াআড়ি একটা কুঠিবাজার। ছাদটা ভাঙা। যেখানে পশার সাজিয়ে হয়ত বসত সব বাজারিরা এককালে সেখানগুলোয় কেমন সিঁদুরে মাটি। কাঠের পাটা লাগানো দেওয়াল খুঁটিয়ে দেখে। ছ্যাঁত করে ওঠে বুক। অজস্র ভাঙা নখ বিঁধে আছে কাঠের ফাঁকে ফাঁকে। সব কাঠগুলো পোড়া-আধপোড়া। আর থাকতে পারে না। ফিরে এসে শোনে বন্ধুর বাবা-মা বেরিয়েছে, সন্ধ্যের পর ফিরবে। যেদিন এসেছিল তার পর থেকে ওর মনে হয়েছে বাড়ির পিছনতলাটা দেখবে একবার। সেদিন দেখতে চাইতে বন্ধু বলল, যাসনা। ওদিকটায় অনেকদিন যায়নি কেউ। এখন পা বাড়ায় আস্তে আস্তে।
kc | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৫৩ | 178.61.96.29
সবাই পালিয়েছে। ভীতুর ডিম কোথাকার।
Tim | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪৬ | 198.82.25.234
এমন সময় কড় কড় করে বাজ পড়লো কাছেই একটা তালগাছে, আর সেই তীব্র আলোয় হারানবাবু দেখলেন চারদিকের দৃশ্য পাল্টে গেছে। পায়ে চলা সরু পথটা উধাও, যেদিকে দুচোখ যায় রাশি রাশি গাছ, তাদের একটাও পাতা অবশিষ্ট নেই। ওদিকে ভাঙা দেউলের মধ্যে থেকে একটা চাপা গোঙানির শব্দ আসছে, যেন কাউকে মুখ বেঁধে কুপিয়ে কাটা হচ্ছে, আর সে প্রাণপণে চিৎকার করছে। এমন সময় মানুষের বুদ্ধি কাজ করেনা। হারানবাবু দৌড়োলেন। কোনদিকে যাচ্ছেন, সেসব ভাবার মত সময় ছিলোনা। অন্ধকারে কতবার হোঁচট খেয়ে পড়লেন ইয়ত্তা নেই। প্রায় আধঘন্টাটাক দৌড়োবার পরে একটু হুঁশ ফিরলো। বৃষ্টি তখনও পুরোদমে চলছে। আবার বিদ্যুৎ চমকালো, আর হারানবাবু দেখে অবাক হলে, সেই ভাঙা দেউলের সামনেই এখনও দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। পরের দিন সকালে স্থানীয় ডানপিটে যুবকদের একটা দল হারানবাবুর লাশ একটা পোড়ো জমির মধ্যে খুঁজে পায়। চোখ বিস্ফারিত, সারা শরীরে একটা হাড়ও আস্ত নেই, মুখ সাদা, রক্তশূণ্য।
nk | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪৪ | 151.141.84.194
পূর্বপুরুষেরা এসে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ঐ থালার ভাতের জন্য, এই গল্প জানি। ঃ-)
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪৩ | 115.242.189.183
শহুরে ছেলে গ্রামে বেড়াতে গেছে। বন্ধুর বাড়ি। প্রত্যন্ত গ্রাম। বিদ্যুতের কারবার নেই। টিমটিম কূপি জ্বলে। আধো অন্ধকারে কোনওরকমে দেখা যায় লোকগুলোর মুখ। সন্ধ্যে নামলে শেয়াল কুকুরগুলোও কেমন গর্তে গিয়ে সেঁধোয়। দরজায় খিল পড়ে যায়। ভাতের হাঁড়িতে মাটি লেপে রসুইঘর নিকিয়ে বন্ধুর মা উঠোনে থালাভর্তি খাবার রাখে কার জন্য যেন। বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করে। বন্ধু বলে, পূর্বপুরুষের জন্য উৎসর্গ। শুনে অবাক লাগে অতিথীর। আর কিছু বলে না। রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শোনে অদ্ভুত করুণ কান্নার স্বর। ঠান্ডার শিরশিরানিও কেমন যেন অন্যরকম। দড়াম করে একটা শব্দ হয়। নীচের দরজাটা কি! উঠতে গিয়েও থমকে যায় সে। সিঁড়ি দিয়ে কে উঠে আসছে .....
nk | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪১ | 151.141.84.194
মায়া আমার মেইল জানলো কেমনে? ঃ-? আমি তো নেই!
pipi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩৫ | 129.74.191.152
অপ্পন, হাতেখড়ি পাইকে দাও বরংঃ-)
Tim | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩৪ | 198.82.25.234
নাহ্ নীনাদি শুনতে চাইছে। বলেই যাই।
.... যেইনা ভাবা, অমনি দেখলেন পথের পাশে এক ভাংআচোরা দেউল। তার চতুর্দিকে মাকড়শার জাল, ছাদ অর্ধেকটা ভেঙে পড়েছে, তায় আবর্জনায় ছয়লাপ। কিন্তু দালানের একটা দিকে খানিকটা অক্ষত থাকায় মাষ্টারমশাই ( ধরে নিন তাঁর নাম হারানবাবু) সেদিকে গিয়ে দাঁড়ালেন। বড়োজোর বেঁচে গেছেন, এই ভেবে ছাতাটা একপাশে নামিয়ে রেখে চারদিকটা একবার দেখে নিলেন হারানবাবু। বলা তো যায়না, জায়গাটা খারাপ, ডাকাতি হতে পারে, তাছাড়া সাপখোপের ভয় তো আছেই। তো, হলো কি, ইতিউতি চাইতেই বিদ্যুতের ঝলকানিতে পায়ের কাছে একটা ছোট সাদা মত কি যেন নজরে এলো। এই ধরেন ইঞ্চিদুয়েক লম্বা। হাতে তুলতে গিয়ে চক্ষিস্থির! দেখেন, একখানি আঙুলের হাড়। তর্জনীই হবে, তাতে সবুজ পাথর বসানো আংটি পরা। হারানবাবুর সাহস খুব একটা কম নয়। তাও কেমন থমকে গেলেন। ডাকাতের কাজ তো এমন হয়না। তবে কি বন্য শ্বাপদ? কিন্তু সেসব তো এ তল্লাটে নেই!....তবে কি.... ( এরপর আগামী সংখ্যায়)
aranya | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩৩ | 144.160.226.53
লন্ডনের এই dungeon-ট্রিপটায় গিয়েছিলাম বটে।
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩২ | 115.242.189.183
পিপি কিসে ডরায়! সম্ভবই না। উল্টোটা হতে পারে। আর কেকে, পাই - এরা ফ্রাইডে দ্য থার্টীনথ্ সিরিজ দেখেনি?
টিম, শেষ কর।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩২ | 12.149.39.84
পাই রান্নাঘরে পালিয়েছে ঃ-))
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩০ | 12.149.39.84
উফ! * এই জন্যে বলি সান্দা ( ঐ কাটা মুন্ডু খেয়ে ফেলছে অক্ষরগুলো)
জ্যাক দ্য রিপার যখন কাঁধে আলতো করে হাত রাখবে .... ;-)
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৯ | 12.149.39.84
এই জি্ন্য় বলি সনা খুউব ভাল--যেটা শুরু করে সেটা শেষ ও করে--তিমিটা নিজের গল্পের ভয়ে নিজেই পালায়!ঃ-x
aranya | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৮ | 144.160.226.53
হ্যাঁ, বেড়ানো-ই জীবন। অতিপ্রাকৃত অ্যাডভেঞ্চার শুধু বিশেষ দিন ক্ষণে, যেমন হ্যালো উইনের রাতে কবরখানায়, শনিবার অমাবস্যা পড়লে মাঝরাতে শ্মশানে - সঙ্গে অবশ্যই পাইকে নিয়ে যেতে হবে ঃ-)
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৭ | 115.242.189.183
মায়া মেমসাব, বেশ বেশ।
একটা আধপোড়ো বাড়ি। লোকে বলে গভীর রাতে একটা আলো জ্বলে ভেতরের কোনও একটা ঘরে। তারপর গোটা ঘরময় আলোটা হেঁটে বেড়ায় মাথাসমান উচ্চতায়। বাড়ির সামনে তালদীঘি। হাঁড়িতালের গাছ। যেমন তাল পড়ে ঝপাস ক'রে পুকুরের জলে। পথচলতি লোকটা ভাবে, তালটা নিয়েই যাই। জলে নামে। যতই তালের দিকে সাঁতার কাটে, তালও তত সরে সরে যায়। প্রায় মাঝখানে। দেখে একটা শাড়ি ভেসে আছে। দুহাতে করে সেটা সরায়। দেখে শুধু কালো লম্বা চুল। আর ভেসে থাকা তালটার পাশেই ডুবকি খাচ্ছে একটা কাটামুন্ডু। চোখগুলো তখনও খোলা। মুখে পৈশাচিক হাসি। কোনওরকমে পালাতে পেরেছিল প্রাণ নিয়ে।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৬ | 12.149.39.84
আর গুচ্ছ রেডনেক-অম্রিগানগুলো--পিপি--সেদ্ধ সাদা মুখ, পিটপিটে কটা চোখ--হাতে বন্দুক---মুখে তামাকপাতা?-
hu | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৫ | 12.34.246.73
টিমের গল্পের শেষে একটা ঠান্ডা খসখসে গলা মাস্টারমশাইয়ের কানের কাছে বলে যাবে - মাস্টারমশাই, আপনি কিন্তু কিচ্ছু দেখেন নি।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৫ | 12.149.39.84
না না যায় নাই পাই--শুধু চোখটা বন্ধ--কানটা খোলা---
pipi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৪ | 129.74.191.152
হ্যাঁ, দুরন্ত ভাল জায়গা। কর্ণফিল্ড, বরপ, বৃষ্টি আর যীশুখ্রীষ্ট!
Tim | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৩ | 198.82.25.234
যাহ পাই চলে গ্যালো। আর তবে কেই বা এর কদর করবে?
ppn | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৩ | 122.252.231.10
মিড-ওয়েস্ট তো ভালো জায়গা পিপি। খালি বরপ আর বরপ। ঃ)
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২৩ | 12.149.39.84
আহা, পাই এমন আঁধার রাতের ছবি তুলে রাখ----চিড়িক চিড়িক সবুজ কখনো নীল ঝলকানি----তাপ্পর--টিম??
pipi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২২ | 129.74.191.152
এখানে এসে থেকে শুনছি প্রায়ই নাকি টর্নেডো, ঝড়-বৃষ্টি হয়। সব কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। শুনেই তো ফুত্তির প্রাণ তেপান্তরের মাঠ হয়ে গেছিল। কি বলব, আজ অবধি টর্নেডোর টিকিও দেখলুম না। খালি সাইরেন বাজে, ওয়ার্নিং দেয় বাকী সব ভোঁ-ভাঁ! এচ্চেয়ে দেশের মনসুন ছিল ভাল। কেমন রেনিডে হয়ে যেত।
hu | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২১ | 12.34.246.73
অরণ্যদা, আগে বাকি যা সব দেখার আছে দেখে নি, তারপর এইসব অতিপ্রাকৃতিক অ্যাডভেঞ্চার করব ঠিক করেছি।
Tim | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২১ | 198.82.25.234
শুনবেন? নিতান্তই শুনবেন সে কথা? তয় শোনেন। অশীতিপর বৃদ্ধ মাষ্টারমশাই বাড়ি ফিরছিলেন। ঝড়জলের রাত, জল থই থই পুকুর-নদী। অন্ধকার এমন, জেন চিমটি কাটলে হাতে আলকাতরার দাগ লেগে যাবে। শুধু মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকালে এদিকসেদিক দেখা যাচ্ছে। অস্পষ্ট গাছগাছালির মধ্যে দিয়ে পায়েচলা সরু পথ। বৃষ্টির তোড়ে কাকভেজা হতে হতে মাষ্টারমশাই ভাবলেন, কোথাও একটু দাঁড়ানো যাক। (চলবে)
kk | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:২০ | 107.3.242.43
আরে বাপ, এরা আবার শুরু করলো। পামিতাদি-ই-ই-ই-ই। দেখে যাও সব কি লাগিয়েছে-এ-এ।
Maya | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৮ | 59.93.209.176
সায়নবাবু, তবে শুনুন। এক কাপালিক একটা ছোট্ট ছেলের মড়া জোগাড় করে তার বুকে বসে শবসাধনা করছিলেন। এদিকে এক পিশেচেরও নজর ছিল ঐ ছেলেটার মড়ায়। কিন্তু কাপালিকের সাধনার তেজে পিশেচটা কাপালিকের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারছিল না। তখন পিশেচটা করলো কি... ছোট্ট মড়ার বুকে বসা কাপালিকের চারপাশে গন্ডি কেটে গোল করে আগুন জ্বালালো, আগুন এগিয়ে এগিয়ে যখন মড়া আর জ্যান্ত কাপালিক দুজনকেই পুড়িয়ে দিল, তখন সেই পোড়া মড়াদুটো খেয়ে নিলে পিশেচটা।
pipi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৮ | 129.74.191.152
অরণ্য, মিড-ওয়েস্টে থাকলে বুঝতেন পিপি কাঁদে কেনঃ-(
pi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৮ | 128.231.22.133
টাটা।
হ্যাপ্পি পিচাশপালা লিখন।
pipi | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৮ | 129.74.191.152
বুঝছি না। এই ছেলেভুলানো গুল্পগুলো কাকে শোনান হচ্ছে? মানে, কাউকে ভয় পাওয়াতে হবে বুঝি?
aranya | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৮ | 144.160.226.53
পিপি কাঁদে কেন? হুচের লিংকটা ভাল, halloween-এ বেনিন গেলে হয়।
Nina | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৬ | 12.149.39.84
না না সে ঘোর অন্যায় হবেক বটে! দেবীপক্ষে তেনাদের কতা কইতে নেই। সে যতই দেবীসম প্রেতীনি হোন না কেন--যতই তাঁদের একজন নাকি--কোলের ছোট্ট ছেলে রেখে পাড়ি দিয়েছিলেন ঐ লোকে--আর তিনি নাকি ছেলেটির দুধের বাটিতে চিনি মেশাতেন অদৃশ্য হাতে --সেই পরিবারের চিনির শিশি নাকি খালি খালি শূণ্যে পাক খেত ঃ-০
hu | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৬ | 12.34.246.73
আহা! এরকমটা দেখতে আমারও সাধ হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সবকটা টর্ণেডোতেই ঝড়-বৃষ্টিই দেখেছি শুধু।
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৫ | 115.242.189.183
টইটার নাম কী ছিল যেন কেউ প্লিজ একটু উস্কে দাও।
sayan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১৪ | 115.242.189.183
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন