আরে স্যান যে ! ইতিহাস পড় ইতিহাস পড়, ইতিহাস না পড়লে, নিজের শেকড় কি করে চিনবে ?? ঃ)))
san | ১২ মার্চ ২০০৯ ১০:১৯ | 12.144.134.2
অ, প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা হচ্ছে !
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ১০:১৬ | 70.64.8.206
না না, কালীচরনের সিরিজটা ১-০ হয়েছিলো। ৫টা টেস্টের মাদ্রাজে কেবল জেতে, তাও কস্ট করে। বাকি গুলোতে সবাই দেদার সেন্চুরি ডবল সেন্চুরি মেরেছিলো, গাভাস্কারের ৩৪ টার, ৪টে সেই সিরিজে-ই হয়।
pepe | ১২ মার্চ ২০০৯ ১০:১২ | 74.192.194.238
কিসব পুরোনো ব্যাপার স্যাপার
dri | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫৬ | 75.3.201.245
তবে সে ছিল ক্রিকেটের গুপ্তযুগ। গাভাসকার তখনও গাওস্কর হয় নি। স্কাল ক্যাপ পরাও ধরে নি। ওয়ান ডে ক্রিকেট তখনও জাতে ওঠেনি। লাঞ্চে আর টিতে তখনও ব্যাটিং টিমের ক্যাপ্টেন নিয়মিত হেভি রোলার নিত। সেই প্রি-থার্ড-আম্পায়ার যুগে বোলাররা মুখে সাদা পেইন্ট লাগাত না, গালিতে ফিল্ডার সানগ্লাস পরত না। স্ট্রাইক রেট ফ্রেজটা তখনও আবিষ্কৃত হয় নি। যেকোন ব্যাটিং টীমের প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যান অনায়াসে একদিন ধরে ব্যাট করতে পারত, চাহে ততক্ষণে সেঞ্চুরী নাও করে। না, স্পীড ছিল না। ছিল প্রি-ইন্টারযুগের মন্থরতা। টেস্টে ছিল একদিনের রেস্ট ডে।
rokeyaa | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫৫ | 203.110.243.21
আর আমি কিনা ৮৬ তে জন্মেইছি!
pi | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:২৭ | 128.231.22.145
আর ম-দি,'আসল জিনিস' তো লোক এ লিখেই দিয়েছে। ভাবো , ভাবো ! ;-)
pi | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:১৯ | 128.231.22.145
ন্যাড়াদার লেখা পড়ে বুঝলাম আমার ছোটোবেলাটাও এখন আপন আ টাইমের জিনিস হয়ে গেছে। বেশিরভাগ কথাই তো মনে হচ্চে, আমি যখন ছোটো ছিলাম, আমি ও দেখেছি, শুনেছি, পড়েছি ইত্যাদি। ঐ ইস্কুল থেকে বন্ধুরা মিলে মেট্রো চড়তে যাওয়া, তিরাশি সালে গভীর অব্দি ঐ বাসনকোসনের বাদ্যি, পটকা আর নেড়িকুত্তার সিমফনি শুনতে শুনতে মশারির চিতর থেকে বিনির বোলিং দেখা, সেই কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অবাক হয়ে রুমাল জোড়া মেস্কিকান ওয়েভ দেখা.. সল্টলেক স্টেডিয়ামের ই তো, দাদা মোটেও টেস্টের আগে পাশের পাড়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে পারবে না, এইরকম কোন কড়ারে কোন এক বিশ্বকাপের প্রাক্কলে বাড়িতে কালার টিভি আসা.. এ সব ই তো আমারো ছোটোবেলার কথা। পার্থিব আমারো যেন মনে হচ্ছে সেই তো সেদিন বেরোতো ! আর সবচেয়ে বড় কথা, ছিয়াশিতে, ছিয়াশিতেই আমিও বড় হয়ে গেসলুম। হারুদার রিক্সা ছেড়ে অমলদার বাস। সিঁথির মোড়, চিড়িয়া মোড়, পাঁচমাথার মোড় পেরিয়ে কত দূর, নতুন ইস্কুল। বড় হয়ে যাইনি ? পিছনের সিটে বসে চোখ গোল গোল করে স্কুলবাসের দিদিদের রবি শাশ্ত্রী, বরিস বেকার আর মামাতো দাদার উপর ব্যথা খাবার গপ্প শুনছি। বড় হয়ে যাইনি ? ন্যাড়াদা আরামসে আমাকে পাইনি ছেড়ে পাইদি বলতে পারেন ঃ)
lcm | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:১৪ | 69.236.185.129
হিট উইকেট হয়েছিল বাক্কাস, কানপুর টেস্টে, ২৫০ র ওপর রান করে ঘাউড়ি-র বল হুক করে ছক্কা মারতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে উইকেটের ওপর পরেছিল।
dri | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৯:১০ | 75.3.201.245
এই কালীচরনের সিরিজটা আমার স্মৃতিতে নেই। এই সিরিজটাই কি ৩-২ হয়েছিল?
nyara | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৫১ | 64.105.168.210
হিলডিচ আউট হয়েছিল? হবেও বা। আমার স্মৃতি এসব ব্যাপারে বেশ চুক্কি দেয়।
আনন্দবাজারে আরেকটা ল্যাটা হাঁটুগেড়ে পুলের ছবি বেরিয়েছিল ফাউদ (?) বাক্কাসের। কালীচরণের টিমে এসেছিল। কোন টেস্টে যেন ২৫০ মেরেছিল। তখন আনন্দ গ্রুপ থেকে স্পোর্টসওয়ার্ল্ড বেরোত। আর কর যেন স্পোর্টসস্টার বের করত। তাতে অনেক ভাল আর পরিষ্কার ছবি থাকত।
বাইনরিদা, এইটিথ্রি ওয়ার্ল্ডকাপের আগেন্যর আমি সিডিতে চলে গেছি।
dri | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৪৭ | 75.3.201.245
জাস্ট অ্যান অ্যাসাইড, ঈশেনের প্রফেসি কিন্তু বিশ্রিভাবে ফ্লপ করল। ভারত ওয়ান ডেতে কিউয়িদের হারিয়ে দিল।
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৪৫ | 70.64.8.206
ক্রীস ওল্ডের একটা ব্যাপক রান আপ ছিলো, প্রতিবার প্রতিটা স্টেপ একজায়গায় পড়ত।
ক্রিস ওল্ড! পরম রূপবান সেই যুবক!!! আর আসিফ ইকবাল ......... হায়!
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৩৮ | 70.64.8.206
৭৮-এ ইডেনে গাভাস্কার দু ইনিংসে-ই সেঞ্চুরি মারল। ভেঙ্গসরকার-ও ২ইনিংসে। ওঃইন্ডিজের ৩য় সারির টিম এসেছিলো, সক্কলে ঝুরিঝুরি রান করলো। তার্পর শেষ দিনে শিউশিবনারায়ন বলে একটা প্লেয়ার, মাঝে মাঝে-ই প্যাড গ্লাভস খুলে টাইম নষ্ট কত্তে লাগল, আর ওঃইন্ডিজের ৯ উইকেট পড়ে-ও সেই টেস্টটা ড্র হয়ে যায়।
৩য় দিনে গাভাস্কারের ৪বছরের ছেলে ড্রিংসের সময় মাঠে নামে, টুপি পরে ব্রিজেস প্যাটেল-এর হাত ধরে, যে এখন রোহন গাভাস্কার
তখন ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানে ভুরি ভুরি এল্বিডাব্লু আউট হত, অবশ্য-ই ভিজিটিং টীমের, আম্পায়ার যে দেশী।
Arpan | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৩৪ | 122.252.231.12
পিএন্টি কোয়ার্টার থেকে নাক বরাবর ইসি ব্লক তো আম্মো দেখেছি। কলেজে পড়ার সময়ও।
পাড়ায় সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছিল (হপ্তাতিনেক) ৯২ সালের শীতকালে। ডিসেম্বর মাসে। স্কুল কলেজ অফিস কাছারি সব বন্ধ। বাইরে সবকিছু তখন জ্বলছে।
dri | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৮:৩২ | 75.3.201.245
কিম হিউজের টীম মানে তো সেই কবেকার কথা! মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য্য। সেই প্যাকারে সিরিজে ভালো ভালো প্লেয়ার চলে গেল বলে অস্ট্রেলিয়ার বি টীম এসেছিল। প্যাকারে ছিল এইসব আই সি এল আই পি এলের প্রিকার্সার।
এই ইয়ালপ একটা টেস্টে হিট উইকেট হয়েছিল না? বর্ডার তখন তরুন তুর্কী। ম্যাড্রাস টেস্টে বোধায় সেঞ্চুরী করেছিল। আনন্দবাজারে বর্ডারের হাঁটু গেড়ে একটা পুল করার ছবি ছেপেছিল। কি বিশ্রি গ্রেনি সেই ছবি। আজকালকার ছবির কোয়ালিটির কথা ভাবলে হাসিই পায়। রডনি হগ বলে একটা পেস বোলার ছিল না? ঠিক আগের সিরিজে ইংল্যান্ডের সাথে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের সাথে বিশেষ সুবিধে করতে পারে নি। আর ডিমক বলেও আরেকটা পেস বোলার ছিল যদ্দুর মনে পড়ছে। আর ইয়ার্ডলি বলে একটা স্পিনার ছিল না? ঐ সিরিজে ভারতের স্পিনার শিবলাল যাদবের ডেবিউ ছিল। যে টেস্টে ভারত জিতেছিল তাতে শিবলালের কϾট্রবিউশান ছিল। কোন টেস্ট যেন?
Tirthang | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৭:৫৬ | 128.103.187.223
ন্যাড়াদা, আমার যেন মনে হচ্ছে ইনিংসের শুরুতে কপিলের বলে কিরমানির হাতে খোঁচা দিয়েছিল অ্যান্ড্রু হিলডিচ, ইয়ালপ নয়। ইয়ালপ দেড়শোর ওপর রান করে দ্বিতীয়দিন সকালে আউট হয়। অ্যালান বর্ডার তিন নম্বরে এসে হাফ সেঞ্চুরী করেছিল।
arjo | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৬:২৭ | 24.42.203.194
আমাদের ছোটবেলায় শ্যামনগর থেকে কলকাতার দূরত্ব অনেক বেশি ছিল। এবেলা ট্রেনে চাপলে ওবেলা গিয়ে পৌঁছতে হত। তার ওপর ৮১ সালে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে গিয়ে সেই কূখ্যাত অ্যাকসিডেন্টে আহত পাড়ার বিশুদা ৬ মাস হাসপাতালে। আমাদের ছোটবেলায় দুটো জিনিস বারণ ছিল এক, মাঠে গিয়ে খেলা দেখা, দুই, মোটরবাইক চড়া - না কারুর পিছনেও না। বলেই মনে পড়ল একটু বড় যেমন আমার দাদাদের এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় যাওয়াও বারণ ছিল। বড্ড পেটোবাজী হত তখন। আমার খেলার পরিচয় টিভিতেই। প্রথম মনে থাকা সিরিজ হল ভারতের পাকিস্তান সফর - ৮১ তেই না? ইমরান খান বলকে কথা বলাচ্ছে। অফ স্টাম্পের ওপর অনেক বাইরে থাকা একটা বল বিশ্বনাথ জাজমেন্ট নিয়ে ছেড়ে দেবার পর বোল্ড হয়েছিল। সিরিজটা ভারত জঘন্য ভাবে হারে। কিন্তু কিছু মনে হয় নি কারণ ভারত যে হারবে সেতো জানাই ছিল। কারণ ক্রিকেটে ভারত জিততে পারে না। সেই ধারণাই পাল্টে গেল তিরাশিতে। আর ক্রিকেটের প্রেমে পড়লাম ১৯৮৫ র বেনসন অ্যান্ড হেজেসের ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশিপ দেখে। সেই প্রথম দেখলাম মাঠে বোলার বল করার পরে বা ব্যাটসমান মারার পরেও পরিস্কার বল দেখা যায়। সাথে রিচি বেনোর ধারা বিবরণী। শাস্ত্রী চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে অডি গাড়ি পায়। কিন্তু আমরা কেউ পছন্দ করতাম না। একটা রান নেওয়ার পরেই শাস্ত্রীর হাত দেখানো দেখে আমরা মস্করা করতাম নির্ঘাত কংগ্রেসের সাপোর্টার। সেই সিরিজের হিরো ছিল কপিল দেব, শ্রীকান্ত, আজাহার, শিবরামকৃষ্ণন আর উইকেটকিপার সদানন্দ বিশ্বনাথ। প্রথম মাঠে গিয়েছিলাম যেবার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম খেলতে এল। ডোনাল্ড এক এক ওভারে এক একটা উইকেট নিচ্ছে আর মাঠের ধারে এসে এক বোতল করে জল খাচ্ছে। কোনরকমে ম্যাচ বাঁচাল প্রবীণ আমরে। এর পর তো যাওয়া আসা হতেই থাকল। কিন্তু সেই ১৯৮৫ র বেনসন হেজেস আর ফিরে এল না।
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৬:২২ | 70.64.8.206
ন্যাড়া-রে কি কথাই মনে করালি। পিএনটি কোয়াটারের পাশ দিয়ে বাঁই বাঁই সাইকেল চালিয়ে সোজ্জা ইসি ব্লক।
বিসি পার্কে বিডি ব্লকে সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ, একপায়ে প্যাড পরে (মানে চাঁদা করে এক জোড়া প্যাড-ই কেনা হয়েছিলো), প্লাভস-ও একহাতে, আর গার্ড কেনা হয়েছিলো একটা, সেটা কে পরবে তাই নিয়ে ব্যাপক বাওয়াল।
ওয়ার্ল্ড কাপ যেতার সময় তুই বিসিতেই থাকতিস ?
lcm | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৬:০৪ | 128.48.7.222
হ্যাঁ, সেটা ৭৭-এর সিরিজ ছিল। আর পাকিস্তানে ছিল জাহির আব্বাস, আউট হতে চাইত না, ছিল মুদাস্সর নজর, আউট হতে চাইত না রানও করত না (এর বওধহয় একতা রেকর্ড আছে, সবথেকে স্লো টেস্ট সেঞ্চুরি) ভারতে ছিল চেতন চৌহান, ৯০-এর ঘরে এলেই বাকি ১০ আর হতে চাইত না।
lcm | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৫:৫৭ | 128.48.7.222
আরে তীর্থ যে! আহা, ন্যাড়া, কি সব স্মৃতি....। আমি ইডেনে প্রথম গেছিলাম ফুটবল খেলা দেখতে। ১৯৮০-র ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনাল, ইষ্টবেঙ্গল - পাঞ্জাব পুলিশ। আর একবার ক্রিকেট টেস্ট দেখতে, কত সাল মনে নেই, ৮৩-৮৪ হবে বোধহয়, সকালে খেলা শুরু হল, রবি শাস্ত্রী আর আজাহার ব্যাট করতে ঢুকল, সারা ওরা দুজনেই খেলে গেল। শেষ বিকেলে অ্যালান ল্যাম্ব ডিগবাজি ও নানারকম অ্যাক্রোব্যাটিক কসরৎ দেখিয়ে বোর হয়ে যাওয়া দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেন। তখন টিভিতে টেস্ট ক্রিকেট হলে হয় দেখা যেত গাভাসকার ব্যাট করছেন, অল্প ভুঁড়ি, মাঝে মাঝে পিচের মাঝখানে গিয়ে রাজমিস্ত্রী-দের মতন কুর্নিস দিয়ে ঠুক ঠুক করে কি সব করে আসছে। আর নইলে, বেদী, ঈষৎ বড় ভুঁড়ি নিয়ে ঠিক চারটি স্টেপে বল করে যাচ্ছেন। ক্যাপ্টেন হবার পর, ঘাউড়ি কে দিয়ে দু ওভার করিয়েই বেদী চলে আসত, সারা দিনে ৬০-৭০ ওভার বল করত বেদী। আচ্ছা, ক্রিস ওল্ড, ডেরেক আন্ডরউড, বব উইলিস, টনি গ্রেগ, অ্যালান নট (উইকেট কিপার) - এরা সব কত সালে খেলেছিলেন ইডেনে? সব গুলিয়ে যায়।
nyara | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৫:৪০ | 67.88.241.3
আরে, মিস্টার কর যে!
ফার্স্ট ইনিংসে ম্যাচের ফোর্থ বলে ইয়ালপ কপিলকে খোঁচা দিয়েছিল কিরমানির হাতে। সারাদিনে ঐটিই একমাত্র ঘটনা। টিয়ের পরে একটা দুটো আরো উইকেট পড়ে থাকতে পারে, কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে।
টিভিতে মনে রাখার মতন প্রথম খেলা দেখি অবশ্য ৭৭-এ টোনি গ্রেগের এমসিসির হাতে বেদীর ইন্ডিয়ায় মুর্গি হওয়া।
আমি অবিশ্যি সশরীরে ইডেনে প্রথম যাই তারও দুবছর পরে, ১৯৮১-তে কিথ ফ্লেচারের ইংল্যান্ডের খেলা দেখতে।
nyara | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৪:১৬ | 67.88.241.3
আমরা যখন বড়-টড় হচ্ছি, সে অনেককালের কথা। কত পুরোনো তার একটা ধারণা দিই। ধরুন এখন যেখানে সিটি সেন্টার নামক বধ্যভূমি, তৎকালে সেখানে মাঠভরা স্টোনচিপ ছিল। অর্থাৎ পি এন টি কোয়ার্টার থেকে সোজা নাক বরাবর ইসি ব্লক দেখা যেত। শেষের বাক্যটা শুধু সল্ট লেকের বাসিন্দারাই অনুধাবন করতে পারবেন।
আর একটা উদাহরণ দিই, তখন কলেজ স্ট্রিটে দুমুখেই গাড়ি চলত। সবসময়ে। পার্ক স্ট্রিটেও। থিয়েটার রোডেও। বইমেলা ঘটত রবীন্দ্রসদনের উল্টোদিকে। ওই মাঠে এমনকি একবার বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন পর্যন্ত দেখে ফেলেছি। তবে আমি তখন নেহাৎই ছোট। বড় হতে তেমন করে শুরু করিনি।
আরও শুনবেন? দেশে মানবজমীন, দূরবীণ, সেই সময় ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে বের হতে দেখেছি। পূর্বপশ্চিম কি পার্থিব তো সেদিনের উপন্যাস। পুজোবার্ষিকী এলে ভাগাভাগি করে নিতাম দিদির সঙ্গে - দেশে ফেলুদা আর আনন্দমেলায় প্রোফেসর শংকু। পরে অবশ্য ফেলুদা দেশ আর সন্দেশে এবছর-ওবছর করে বেরোত। শেষ ভাল ফেলুদা বেরোল সন্দেশে 'হত্যাপুরী' আর দেশে 'যত কান্ড কাঠমান্ডুতে'। তারপর থেকে শুধুই ভুষিমাল।
তারপর ধরুন যখন মেট্রো চালু হল আমরা স্কুল থেকে বন্ধুরা মিলে মেট্রো চড়তে গেছি। সল্ট লেক স্টেডিয়াম তৈরী হল। উদ্বোধন হল নেহেরু কাপ ফাইনাল দিয়ে। আমি চিকেন পক্সে কুঁকিয়ে কুঁকিয়ে টিভিতে দেখলাম। তারপরেও অনেকদিন স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলা পড়লে লোকে যেতে চাইত না। এখন যেমন বইমেলা বাইপাসে নিয়ে গেলে লোকে নাকি যেতে চাইবে না, সেরকম। আমরা সল্ট লেকের ছেলেরা সাইকেল চেপে যেতাম। ওপরের গ্যালারিতে কংক্রিটের ধাপি। মাঝে তারের জালি না থাকায় এক সেকশন থেকে আরেক সেকশনে চলে যাওয়া যেত সহজেই। কোন একটা গেট দিয়ে ঢুকে তারপর নিজেদের পছন্দসই সেকশনে চলে যেতাম রোদ বাঁচিয়ে ভাল করে খেলা দেখতে।
ক্রিকেটে তখন গাভসকার কপিল দেবের যুগ। পাঁচদিন ধরে খেলে দেড় ইনিংস শেষ হয় কি নাহয়! পাঁচ টেস্টের সিরিজে একটা ম্যাচে রেজাল্ট হবে আর তাই দিয়ে সিরিজের ফয়সালা। অস্ট্রেলিয়া ভাঙাচোরা দল নিয়ে এল কিম হিউজকে ক্যাপ্টেন করে। আমি প্রথম মাঠে গেলাম খেলা দেখতে। আগের বছর কালীচরণের ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টই দেখতে যেতাম, কিন্তু তখন আমরা মধুপুরে ডাঞ্চিবাবু। তার চারবছর পরে বলবিন্দর সিং সান্ধু ইন্ডিয়াকে ওয়ার্ল্ড কাপ জেতালো। শ্যামলদারা মাঝরাত্তিরে 'ডি সি পাল' লেখা বোর্ড খুলে বাজাতে বাজাতে পাড়া প্রদক্ষিণ করল। তার দুবছর আগে এশিয়াডের সময়ে কলকাতায় কালার টিভি এসে গেছে। নেহেরু কাপ-টাপ দেখতে আমরা দল বেঁধে লালদের বাড়ি যেতাম। কালার টিভি।
ছিয়াশিতে মারাদোনা এসে গেল। ফুটবলের ধুম লাগল। রাত জেগে সব খেলা দেখা হল। আর শুরু হল লেট নাইট মুভি। আমরা বড় হয়ে গেলাম।
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৫ | 198.169.6.69
মাইমা, ???? !!!!
m | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:৪৯ | 12.217.30.133
আজ্জো, অল্প যে দুগাছি অবশিষ্ট আছে,সেটাও হারাতে বলছো?
m | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:৪৮ | 12.217.30.133
একটু নকুলদানা দিয়ে জল খাও।
pepe | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৯ | 165.91.215.2
এই যে সোসিত হয়ে পরিক্সা দিয়ে এলাম
arjo | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:২৯ | 168.26.215.13
তো বাড়ি যাও। এই আমি গেলাম। বাই।
m | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:২৮ | 12.217.30.133
কি ঘুম পেয়ে যাচ্ছেঃ((((
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:১৪ | 198.169.6.69
আর এরমধ্যে কড়ানাড়া-র কথাই বা এল কেন ?
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:১৩ | 198.169.6.69
মাইমা কি কইল ? রামের সুমতি ?
Binary | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:১২ | 198.169.6.69
শোশিত হতে হতে যা পড়ে আছে খালি অস্থি আর চামড়া। আর যা কিছু আছে, তা খালি স্নেহ জাতীয়।
m | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:১১ | 12.217.30.133
এদের সুমতি দাও মাআ
arjo | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:০৭ | 168.26.215.13
ছাত্তররা সোসিত হয় কিনা এই নিয়ে মার্ক্স কিছু বলেননি বলে আমরা কিছু বলছি না। তাবলে ভেবো না তুমি সোসিত হচ্চ না।
Tim | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:০৫ | 71.62.2.93
চাদ্দিকে এত সোসন কেন?
arjo | ১২ মার্চ ২০০৯ ০২:০৩ | 168.26.215.13
দুদির প্রশ্নটা কি? থ্রেডে দিলে সবাই পড়তে পারে। খুঁজে পেলাম না।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন