এই যুদ্ধ ইসরায়েল ও মার্কিনের বিশ্ব আধিপত্যের প্রায় অকার্যকারিতা যেমন প্রকাশ্য করেছে, তেমনি আগামী দিনের ভৌগোলিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক জোট আর সামরিক মিত্রতায়ও বদল আনার আভাস দিচ্ছে।... ... ...
‘তুফান মেল, তুফান মেল যায়। তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে, ময়নামতীর হাট এড়িয়ে, কাশের বনে ঢেউ খেলিয়ে বংশীবটের ছায়, যায় যায় যায় তুফান মেল…’ ... ...
আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস - পৃথিবীর আশ্চর্য প্রাণ প্রবাহকে রক্ষা করার শপথ গ্রহণের দিন। পৃথিবী শুধু মানুষের নয় , পৃথিবী সকলের বাসভূমি। আমরা মানুষেরাও এই পরিবারেরই সদস্য। একথা অস্বীকার করার ফলেই আজ দিকে দিকে শূন্যতার হাহাকার। আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। একথা অস্বীকার ... ...
পহেলগাম হামলার পরে যেভাবে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছিল আমারই চারপাশের লোকজনের মধ্যে তা দেখে সত্যি ভয় লাগছিল। তারই প্রতিক্রিয়ায় একটি প্রবন্ধ লিখি যা প্রকাশিত হয় এই সময় কাগজে, কয়েকদিন আগে। সেই লেখাটিই, কাগজের লিঙ্ক সহ, রাখলাম আমার গুরুর পাঠকদের জন্য। ... ...
সামনেই এগিয়ে আসছে পঁচিশ বৈশাখ। সেই বিশেষ দিনটিকে মাথায় রেখেই লেখা হলো ছোট্ট এক স্বপ্নের কথা , এক শহুরে শান্তিনিকেতনের ইতিকথা। আজ থেকে ঠিক ছয় দশক আগে কর্মেও মননে রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে ধরেই পথে নেমেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। মানুষ গড়াই ছিল যাঁদের একমাত্র স্বপ্ন। ... ...
কার্ল গর্ব করে বলতেন যে তার বম্বসাইট – কুড়ি হাজার ফিট উপর থেকে একটা আচারের কৌটোয় বোমা ফেলতে পারে। ইউএস নেভি কার্লের উপরে কতটা নির্ভর করেছিলেন সেটা একটা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ম্যানহাটন প্রোজেক্টের নাম নিশ্চই সবাই জানেন। সেই ব্রহ্মাস্ত্র বানাবার জন্যে ইউএস মিলিটারি ৩ বিলিয়ন ডলার খরচা করে। আর এই নর্ডন বম্বসাইট বানাতে তারা ১.৫ বিলিয়ন ডলার খরচা করে। অর্থাৎ গোটা মিলিটারির মাথা, স্ট্র্যাটেজিস্ট সবাই এতখানি কনভিন্সড ছিলেন যে এই একটা যন্ত্রই যুদ্ধে তাদের এডভান্টেজ বাড়িয়ে দেবে। আর খোদ কার্ল নর্ডন মনে করতেন তিনি ভগবানের কাজ করছেন। তিনি মনে করতেন তার যন্ত্র যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা কমবে কারণ তার যন্ত্র এতটাই সঠিক যে মিত্রশক্তি কেবল তাদেরই মারবে যাদের তারা মারতে চায়। অহেতুক কোন বাইস্ট্যান্ডারের প্রাণ যাবে না। কি সাংঘাতিক তার মরালিটি। বস্তুত তখনো আমরা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ল দেখি নি। ইয়েলে তখনো মিলগ্রামের এক্সপেরিমেন্ট হয় নি। লয়ালিটি কাকে বলে তা আমার শিখি নি। ... ...
এই মুহূর্তে দুনিয়াজুড়ে মানুষের একটিই আলোচ্য বিষয় পরিবেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে আমাদের শহরগুলো ক্রমশই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, বাড়ছে সুতীব্র জল সংকট। এই প্রসঙ্গে এক অন্যরকম ভাবনার কথা বলা হয়েছে যা ভেবে দেখার সময় এসেছে। ... ...
বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কলকাতার গাড়িবারান্দা আমাদের সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে আছে ! ... ...
২০২৪ এর অর্থনীতির নোবেল নিয়ে আগের লেখাটায় দুটি বিষয় নিয়ে বিশদে লেখার ইচ্ছে থাকলেও লিখিনি লেখাটি বড় হয়ে যাচ্ছে বলে। তারওপর এই ধরণের লেখা আদৌ কেউ পড়বে কিনা এই নিয়ে একটু সংশয় ছিল। তাও কিছু পাঠক এই না লেখা অংশটা পড়তে চাইলেন বলে দ্বিতীয় পর্বটি লিখলাম। আশা করি পুরো ছবিটা আরেকটু পরিষ্কার হবে। ... ...
২০২৪ এ অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন আচেমোগলু, জনসন এবং রবিনসন। তাঁদের নোবেল নিয়ে ইতি-উতি সমাজ এবং সংবাদমাধ্যমে অনেকগুলি লেখা চোখে পড়ল। তার বেশিরভাগই হয় ভ্রান্তিমূলক অথবা ধোঁয়াশাপূর্ণ। সেই ভ্রান্তি এবং বিভ্রান্তি কাটাবার প্রয়াস এই প্রবন্ধ। ... ...
কোলকাতার রাস্তায় মোটর চালিত গাড়ি কেবল যে যাত্রী পরিবহণে অন্য মাত্রা যোগ করেছিল তাই নয়, পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও নূতন দিগন্ত উন্মচিত করেছিল। লরি, ট্রাক, স্টেশন ওয়াগন, টেম্পো ইত্যাদি নানা আকৃতি এবং আয়তনের পণ্যবাহী যানের আবির্ভাবের ফলে পালটে গিয়েছিল শহরের পণ্য পরিবহণের সামগ্রিক চেহারা। যানবাহনের বিবর্তনের প্রতিটি স্তরেই এসেছে কিছু পরিবর্তন, যার অনেকটাই গতি কেন্দ্রিক। পেশি শক্তির স্থলে যান্ত্রিক শক্তির আগমন, সেই গতিকেই আরো ত্বরান্বিত করেছিল। যত দিন গেছে শহরে নতুন নতুন গতিশীল যানবাহন এসেছে, তবু যাতায়াতের দুর্গতি মেটেনি। কারণ, যানবাহনের সাথে টেক্কা দিয়ে বেড়েছে শহরে যাতায়াত করা মানুষ। এছাড়া রাস্তার অনুপাতে গাড়ি বেশি হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে যানজট। পাতাল রেল এবং সার্কুলার রেল, প্রথম দিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। আজ সেখানেও রীতিমত যুদ্ধ করে উঠতে হয়। যানবাহনে ব্যাপক পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনের পরেও শহরে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ আজও রয়ে গেছে। আগামী দিনে আরো উন্নত কিছু প্রকল্প এই ক্লেশ থেকে মুক্তি দিতে পারবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলবে। ... ...
রমেশ চন্দ্র দত্ত, সখারাম গনেশ দেউস্কর এর মত তখনকার অনেক বিশিষ্ট মানুষেরা নানান কারণে রেলকে স্বাগত জানাননি। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮৪২ সালে বিলেতে গিয়ে রেলে চড়ে মুগ্ধ হয়ে যান। রেলকে তাঁর মনে হয়েছিল—The greatest wonder of England। দেশে ফিরে কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তৈরি করলেন ‘The great western Bengal railway’ (GWBR)। কোলকাতা থেকে রাজমহল পর্যন্ত গঙ্গার ধার দিয়ে রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন। ম্যাকডোনাল্ড স্টিফেনসনের ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি ছিল তাঁর প্রতিযোগী। ব্রিটেনের থেকে কোন সবুজ সংকেত না পাওয়ায় এবং ইউনিয়ান ব্যাঙ্ক(যার অধিকাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন দ্বারকানাথ) ফেল করে যাওয়ায় তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি জীবদ্দশায় নিজের দেশে রেল দেখে যেতে পারেননি কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে তাঁর সৌজন্যেই শুরু হত দেশের প্রথম রেল পরিষেবা। ... ...
ধ্যান কেন বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় ও কেন ধ্যান কি নিয়ে স্নায়ুবিজ্ঞানের আলোচনার আগে এই কথাগুলো লেখার প্রয়োজন । এটি প্রথম পর্ব বলে ধরে নেয়া যেতে পারে । ... ...
মাঝে মাঝে কাকতলীয় ব্যাপার দেখা যাক বৈকি – সে বিজ্ঞান জগতে হলেও। যেমন দেখা যায় চার্লস মার্টিন হল এবং পল হেরল্ট এর জীবনে। ‘হল-হেরল্ট’ পদ্ধতির জনক এই দুই জন জন্মেছিলেন এই সালে (১৮৬৩), একই বছরে পৃথিবীর দুইপ্রান্তে পৃথক ভাবে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাষণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন (১৮৮৬), আবার দুই জন মারাও গিয়েছিলেন একই বছরে (১৯১৪)। ... ...
জনবহুল ব্যস্ত এই শহরে শান্তিতে কিছুটা সময় কাটাবার জন্য গঙ্গার ঘাটের চেয়ে ভাল আর কোন জায়গা নেই। কবি, সাহিত্যিক, এবং ইতিহাসবিদদের কোলকাতাভিত্তিক রচনায় মাঝে মাঝেই জায়গা করে নিয়েছে মনলোভা এই ঘাটগুলি। তাঁদের নিপুণ লিখন শৈলীতে চিত্রিত হয়ে আছে বিলুপ্ত বা বিলুপ্তির জন্য অপেক্ষারত অনেক ঘাটের অতীতের জৌলুশ। বইগুলির পাতা ওলটালে ঘাট সংলগ্ন পুরনো বাজার, পার্ক, স্নানের জায়গা, মন্দির, শতাব্দ প্রাচীন এমন আরো কত কিছু আমাদের মানস চক্ষে জীবন্ত হয়ে ওঠে। ... ...