এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • যৌননির্যাতন ও আমরা 

    Tanima Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ৮৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • নারীপুরুষ নির্বিশেষে জীবনের কোনো না কোনো সময়ে অন্তত একবার যৌন নির্যাতনের শিকার হননি এমন মানুষের সংখ্যা প্রায়  বিরলই বলা যেতে পারে। কিন্তু ঘটনাগুলো এবং দোষী প্রকাশ্যে আসে না, এই নির্যাতনের বিষয়টি এমনই দায়িত্বশীলভাবে ঢাকাচাপা দেওয়া হয় এবং  এমনই  স্পর্শকাতর বলে ভাবা হয় যে খুব কম লোকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ করে। যে নির্যাতিত হয় সে তো লুকিয়ে যায়ই, উপরন্তু পরিবারে যারা প্রোটেকশন দিতে পারেন সেইসব গুরুজনরাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন ব্যাপারটা যাতে পাঁচকান না হয়। এই প্রকার যৌন হেনস্তায় কিন্তু  নারী পুরুষ উভয় প্রকার দোষীরাই যুক্ত, যুক্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ এবং খুব অদ্ভুত এবং নির্মম সত্য এই যে পুরুষ দোষীকে যতটা চিহ্নিত করা যায় নারী দোষীদের ততটা চিহ্নিত করা যায় না,তার কারণ প্রাপ্তবয়স্ক ধর্ষিত পুরুষের পুরুষ ইগো। শৈশবের কোনো বিপন্ন স্মৃতি এবং চাপা দেওয়া প্রতিকারহীন যৌন হেনস্তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন ভবিষ্যতের ধর্ষকের জন্ম দেয়। 

    আসলে যৌনতা ব্যাপারটাতেই মানুষের একটা হাস হাস হিস হিস ব্যাপার আছে। অথচ এই যৌনতার উপরেই ভর করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের প্রজন্মবাহিত হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা সভ্যতা। 

     আমরা যত বেশি করে যৌনতাকে চাপা দিয়েছি তত প্রকট হয়ে নানাপ্রকার যৌন হিংসা আমাদের নানাভাবে গ্রাস করেছে। আসলে এই বারণের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আমাদের প্রবৃত্তিগত হিংস্রতার কারণসমূহ।  

    সাউকোলজি বলছে হিংস্রতার প্রকৃতিই হচ্ছে দুর্বলের উপরে সবলের চড়াও হতে চাওয়া। এ এক নষ্টকাম নেশা।
    আমাদের চোখের সামনে ঘোরাঘুরি করা  খুব স্বাভাবিক একজন মানুষের মধ্যেও এটা ঘুমিয়ে থাকে। বাইরে থেকে দেখলে কিন্তু বোঝাই যাবে না কার মধ্যে কখন সে বিষ গজিয়ে উঠতে পারে তাড়নার জলবায়ু পেয়ে।  একে লাগাম টেনে নিয়ন্ত্রণ করার নামই হচ্ছে নিজস্ব বোধ। 
    কিন্তু রিপুময়তা এমন এক তীব্র পাশবিক আগুন যাকে প্রশমিত করা, নিয়ন্ত্রিত করার মতো বোধ খুব কম মানুষের মধ্যেই থাকে।

    যৌনতাকে নিয়ে লুকোছাপা, কোনো মানুষের স্বাভাবিক যৌন অবস্থান এবং অন্যান্য শিক্ষার মতো একজন শিশুকে প্রথম থেকে যৌন শিক্ষা না দেওয়ার কারণেই কিন্তু পৃথিবীর যত যৌন হেনস্তা বা যৌন নির্যাতনগুলো ঘটে থাকে। 
    যৌনতা সম্বন্ধে গোপন কৌতুহল এবং যৌনতাকে নিয়ে তীব্র নিয়ন্ত্রণরেখাই যেকোনো বিকৃত ও আগ্রাসী যৌনতার আঁতুড়। 

    যেমন করে আমরা যেকোনো ভাষার বর্ণমালা কিংবা সংখ্যামালা শেখাই সেভাবেই যদি একটি শিশুকে তার যৌন অঙ্গ, তার প্রয়োজনীয়তা, সংরক্ষণ, চাহিদা বা সম্মান বিষয় নিয়ে শেখানো হয় তাহলে খাদ্যগ্রহন, রেচন এর মতোই যৌনতাও একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যাবে, কারণ এটা তো প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য প্রবৃত্তির মতো একটা স্বাভাবিক বিষয়ই, তা ছাড়া আর কি?  

    কিন্তু এটা কক্ষনো করা হবে না, ক্ষমতার স্বার্থে, বিপণনের স্বার্থে। 

    নারী পুরুষ নির্বিশেষে একদল মানুষ সেই সৃষ্টির আদি থেকেই যৌনতাকে অর্থ আমদানির এবং ক্ষমতা দখলের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। 

    পৃথিবীর প্রথম বেশ্যালয়টি বোধহয় সেই আর্থিক আর্তনাদের উপরে দাঁড়িয়ে যেখানে নারী বুঝতে পেরেছে যে তার স্তন বা যোনি ধান বা গমের মতো একটা ব্যবসায়িক উপকরণ হতেই পারে। 

    ক্ষমতাও ফিরিয়ে দিয়েছে তার দাবার চাল পুরুষ বেশ্যাবৃত্তির সৃষ্টি করে অথবা পুরুষকে খোজা বানিয়ে হারেমের প্রতিহারী পদে নিয়োগ করে। 

    কাম নিয়ে মানুষের উপরে সবসময়ই মাষ্টারি করে এসেছে ক্ষমতা। তারা যৌনতাকে প্রথাবদ্ধ করে  সীলমোহর লাগিয়ে সৃষ্টি করেছে বিবাহ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেকাংশেই কিন্তু যারা পরস্পর যৌন সম্পর্কে মিলিত হবেন তাঁদের অনুমতি নেয় না সমাজ, সেটাও ঠিক করে ক্ষমতা, সেটা পারিবারিক বা রাষ্ট্রীয় যাই হোক না কেন। ফলে বিবাহবহির্ভূত যে যৌনতা তা যতই দুটি মানুষের স্বাভাবিক অনুমতিক্রমে সংঘটিত হোক না কেন, তাকে আমরা পরকীয়া বলে নিচুতলাতেই রাখব। 

    এ তো গেল নারীমনের নারীশরীর  আর পুরুষমনের পুরুষশরীরের গপ্প, কিন্তু যার মন নারীর শরীর পুরুষের অথবা মন পুরুষের শরীর নারীর, তাদের কথা কবে ভাববে শরীর ও মনের স্বাভাবিক ছন্দে জন্মানো মানুষগুলো ?  

    তারা জানে না, বোঝে না, বুঝতে চায় না, জানতেও চায় না, তাই তারা ব্যঙ্গ করে, ব্যঙ্গ করতে করতে হিংস্র হয়ে ওঠে তাদের যৌন অবস্থানের উপরে।
     তাই আমরা সবাই  ভাবি সমকামিতা অন্যায় কাজ, সমকামী শব্দটি একটি অপবাদ, একটি লজ্জা, একটি অসম্মানজনক অবস্থান। 
    সুতরাং বুঝতে পারছেন তো একজন শিশুর কেন যৌনতা বিষয়ক শিক্ষার প্রয়োজন তার বর্ণপরিচয়ের সাথে সাথেই। 

    যৌনতাকে সম্মান করা, যৌনতাকে বোঝা, যৌনতার প্রয়োজনীয়তা, পরিপ্রেক্ষিত, যৌনতার প্রকৃতি ও প্রকাশকে স্বচ্ছ, স্বাভাবিক, সুন্দর করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য আমাদের ভারতবর্ষে অতি প্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু চেষ্টা ছিল। তাই খাজুরাহো, কোনারক এবং আরও অনেক মন্দির গাত্রে একে খোদাই করা হয়েছিল মানুষের কাছে একে অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা প্রবৃত্তি হিসেবে পরিচিত করার। ১৯৮৫ সালে আমষ্টারডামে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেক্স মিউজিয়াম, যাকে বলা হয় টেম্পল অফ ভেনাস। এরকম আরও অনেক শুভবুদ্ধির চেষ্টা আছে পৃথিবী জুড়ে। 

    রাষ্ট্র ও সমাজ সহজ যৌনশিক্ষা কে বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে সহজে চালু করতে চাইবে না প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে, কারণ এতে অনেক বড় বড় ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দম্ভ ও স্তম্ভের ভিত নড়ে যাবে। 

    তাই আমাদের যারা বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবক তাদেরই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব হচ্ছে নিজের নিজের সন্তানদের যৌনতাবিষয়ক সমস্ত কৌতুহল, প্রশ্নের উত্তর খুব স্বাভাবিক ভাবে দেওয়া যেমন করে আমরা শেখাই, স্বরবর্ণ কাকে বলে, যেমন করে আমরা শেখাই, আকাশের রঙ নীল, গাছের পাতার রঙ সবুজ, যেমন করে তাদের ঘুম পাড়াতে বলি রূপকথার গল্প,  ঠিক সেভাবেই। আর প্রতিটি সন্তানের নিজস্ব যৌন অবস্থানকে সম্মান দেওয়া, তাদের প্রতি যেকোনো  সামাজিক ব্যঙ্গের বিরুদ্ধে রুখে পাশে দাঁড়ানো, পুত্র কন্যা নির্বিশেষে যৌন হেনস্তার কবলে পড়লে দোষী যত নিকট আত্মীয়ই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে সচেতনভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা, একজন অভিভাবকেরই দায়িত্ব। এর থেকে তার আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। এই আত্মবিশ্বাস পরবর্তীকালে তাকে তার নিজের জন্য নিজেকে বিরূপ পরিস্থিতিগুলোয় লড়তে শেখাবে। 

    এবং অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি এই শিশুপাঠ যৌন নির্যাতক ও নির্যাতিত দুই প্রকার মানুষেরই বিলুপ্তি ঘটাবে ধীরে ধীরে।

    । ©তনিমা । 

    ( ধারণাগুলো জনমানসে ছড়িয়ে দেবার জন্য পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ৮৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:০২522587
  • '' ১৯৮৫ সালে আমষ্টারডামে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেক্স মিউজিয়াম, যাকে বলা হয় টেম্পল অফ ভেনাস। '' 
    এই মিউজিয়াম কি এখনো আছে? 
  • Falguni Mazumder | ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২২522937
  • @ Tanima Hajra আপনার লেখা পড়লাম। আপনি কতগুলি নগ্ন অথছ নির্মম সত্যের ওপর থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন