এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  আত্মজৈবনিক

  • দুটি গল্প : জয়িতা ভট্টাচার্য

    Jayeeta Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | আত্মজৈবনিক | ১৪ নভেম্বর ২০২২ | ১২১২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • | | | | | |
    যাওয়া

    সাদা চাদরে শরীরটা ঢাকা। ঘরময় লোক। লোক বাড়ছে ঘনঘন। মেঝেতে বসে ঠাকুমাকে ঘিরে মা জেঠিমা কাকিমা অনেক মানুষ। এই এন্টালি আনন্দপালিত রোডের ওপর বাড়িটা একান্নবর্তি সংসার। আমার অনেকগুলো জেঠিমা অনেক কাকিমা আর চারজন ঠাকুমা দাদু সবাই সারা বছর এই বাড়িতেই। এখন ভারি ডিজাইনের পালঙ্কের বাজু ধরে দাঁড়িয়ে বাবা আর দুই জ্যাঠা। বাবার ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে, রগ ফুলে উঠছে, চোখ জলশূন্য হাহাকার। বাকি সকলের কান্নার রোল উঠেছে। পায়ের ছাপ নেওয়া হচ্ছে হলুদে। দেওয়ালে তাকিয়ে দেখছি সারসার কবিতা, ফ্রেম বাঁধানো, কাকার লেখা সব কবিতা। দুপুর হলেও আজ কেউ খেতে দিলো না। আমরা সবাই ছাদে।

    কাকিমা শক্ত করে ধরে আছে হাত, নিচে অনেক নিচে একটা ছোট্ট খাটে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে দাদু আর বাবা কাকা জ্যাঠারা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও। কোথায়? এখনও জানি না। চাপা স্বরে কারা একবার বলে উঠল বল হরি, হরিবোল, ছড়িয়ে পড়ল সাদা খই, আমি কাকিমার হাত ছাড়িয়ে ছুটছি তেপান্তরের ছাদে। বড় ছাদ থেকে ছোটো ছাদ, ওই যে বসে আছে যে যার ঘরে পায়রাগুলো। ওদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই।

    সন্ধ্যাবেলা ভাইবোন সাতজন বসে আছি সেজদাদুর ঘরে। এঘরেও কারুকার্য করা পালঙ্ক। শুয়ে শুয়ে নিচু স্বরে গল্প বলছেন। সকলে শুনছে ফ্যালফ্যাল করে। এরপর সেজ ঠাকুমা আসবে বগি থালায় ভাত বেড়ে। সেই থালা থেকে একেকটা গরস একেকজনের মুখে তুলে দেবে ঠাকুমা। এবাড়িতে মা’কে সারাদিন প্রায় দেখতেই পাই না। সেই মাঝরাতে আবছা দেখব পাশে মা।

    তারপর থেকে আরো অনেক শীত গ্রীষ্ম আর বর্ষা চলে যায় আর একদিন আবার নির্জন অক্ষরেখায় ছায়া পড়ে জলের ওপর। সব অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে নদীর ঘাটের কাছে এসে।

    এত রাতে স্নান করে শীত শীত করছে। কাঁপছি। সবে ফিরেছি। আজ খুব বৃষ্টি। কালও থাকবে নিম্নচাপ আরো কতদিন এখন বৃষ্টি জানি না।

    রাস্তাটা ঝকঝক করছে জলধোয়া হয়ে। ভাই বোন দাঁড়িয়ে আছে। সেই ফর্সা মানুষটি আজ চলে যাবেন। তারই সামান্য প্রস্তুতি এখনও। নার্সিংহোমের সামনে একটা দুটো আরো লোক ঘোরাঘুরি করছে, মুখে চিন্তার ছাপ।

    এই শহরে এখন লকডাডাউন।

    এই শহর ছেড়ে চলে যাবে আজ একজন। আকাশে মেঘ কেটে তারা। এসে গেছে। চোখ বন্ধ, হালকা সাদা দাড়ি না কামানো গাল আজ। বাবা সব সময় ক্লিন শেভড থাকে, শুধু আজ এরকম। একটা প্লাটিকের ব্যাগে মোড়া শরীর, যেন দম নিতে হাঁসফাঁস করছে বাবা। ছোঁয়া যাবে না আজ আর। ঠোঁটের কোণে দু’ফোঁটা রক্ত শুকিয়ে আছে। ভাইবোন জলশূন্য চোখ। শুধু ভেতর থেকে একটা বন্যা উঠে আসছে। বৃষ্টি ভেজা পথে গাড়িটা চলে যাচ্ছে নিমতলা শ্মশান। বাবা চলে যাচ্ছে। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা কোভিড। আনন্দপালিত রোডের বাড়িটা মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং হয়ে যাচ্ছে।

    *** ***

    দৃষ্টি

    হ্যাঁ, এমনই এক কালবৈশাখীর রাতের পরে ভোরের প্রথম আলোয়, ঠিক এভাবেই পাওয়া গেছিল একটা বাজপড়া কালোমূর্তি। টালির চালার সামনে পুঁইমাচা আর রাংচিতার গেট পেরিয়ে পুকুর ঘাটে বসেছিল শ্যাওলা ঢাকা ভাঙা সিঁড়িটার গায়ে হেলান দিয়ে। বসেছিল শঙ্করীর পোড়া দেহটা। তাও তো সে অনেক বসন্ত আগের কথা।

    ভূষণ মণ্ডল তাকিয়ে ছিল একেবারে উত্তর কোণের ওই যেদিকে নদীটা বাঁক নিতে গিয়ে চরা পড়ে গেছে, সেই দিকে। কিন্তু ও টের পাচ্ছিল ঠিকই যে, আসলেই পশ্চিম সীমান্তের অতল থেকে উঠে আসছে প্রকাণ্ড কালো দৈত্যের মত মেঘটা। আসলে ভূষণ কোনদিকে তাকাল তাতে কিছু যায় বা আসে না। ভূষণ সবটাই বুঝতে পেরে যায়। যে দিকে দৃষ্টিপাত ঘটনা ওপর প্রান্তরে।
    বটগাছের নিচে বসে আছে সে। বিকেলের পর্দা সরিয়ে রাত নামছে। তার পাশেই ভাঙাহাত আর গলে যাওয়া থ্যাঁতা মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খড়ের কাত্তিক। মাথার ওপর আসে পাশে নেমে এসেছে পেত্নির হাতের মত ঝুলি আর ঠিক তার মাথার ওপর গাছের ফাটলে বাসা করে থাকে কালো বেশ বড় সড় একটা প্যাঁচা। এই জানাগুলো সবই তার নিজের পর্যবেক্ষণ। যদিও গত তিরিশ বসন্ত আগে সে শেষবার পৃথিবীর আলো দেখেছিল।

    লোকে অনেক কথাই বলে। শুনে শুনে আর নিজস্ব আবছা স্মৃতি মিলে মোটামুটিভাবে সে একটা ধারণায় নিজেকে বুনে রেখেছে। নদীর দিকে পেছন ফিরে ঘর মুখো হয় সে। পেছনে তাড়া করে আসছে হু হু বাতাস। শঙ্করী মাগি আজকেও তাকে শুষে নেবে জানে। আজকাল আর কিছুতেই কিছু হয় না তার। শঙ্করী গালি দেয় গুমরে গুমরে। তবে এটুকু তার পাওনা। হাভাতের ঘরে মা বাপ মরে যেতে এসে উঠেছিল অকাল বিধবা বছর পঁচিশের শঙ্করীপিসি। তিনকুলে আর কে-ই বা ছিল! ওই শঙ্করী পিসির গায়ে গা দিয়ে বুকে মুখ চুবিয়ে ঘুমিয়ে পড়ত। তখন তো ধীরে ধীরে আলো ফুটছে ওই গাঙের পাড়ে মাঠে। ফনি মনসার ঝোপ আর বিলের ধারে সবুজ গাঢ় হয়। বিকেল শেষে পিসি দাওয়ায় দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়ত "ভুসো... বাপ আমার ঘরে আয় "শাঁখ বাজলেই ডাক পেত। গড়িয়ে গড়িয়ে ইস্কুলে ফি বছর পাশ। তখনও তো রাতের বেলা শঙ্করী। ভুষণ সবটাই জানে। উপত্যকার রং, ঘাস জমিন আর অরূপ গুহার কথা। পা ছড়িয়ে বসে হাত রাখে নিজস্ব মহীরূহে। তারপর যখন পদ্মা এলো তার মন ভাসিয়ে, শঙ্করী যেন উন্মাদিনী ঈর্ষায়। তারপর এলো মড়ক। অজানা জ্বরে ভুগে ভুগে বিছানায় মিশে যাবার উপক্রম। কত লোক মরে গেল। কতক বাঁচল। শঙ্করী চোখ মেললেই দেখতে পেত মুখের ওপর তার শুকনো মুখ। দিনরাত এক করে সুস্থ করে তুলেছে তাকে, তাও ঠিক।

    লোকে বলে অসুখে তার চোখ গেল, পদ্মা বলে ওই শয়তানি ধুতরোর বিষ দিয়ে অন্ধ করে দিয়েছে। আরো অনেকের মুখে এরকম একটা কথা সেও শুনতে শুনতে পুরোদস্তুর লোক হয়ে গেল একসময়। কিন্তু ততদিনে তার সব কিছু বন্ধক শঙ্করীর কাছে। শঙ্করীর শরীরময় খিদে। আশ আর মেটে না। ক্রমশ পুড়ে গেল সে। সাদা থান আর একগলা ঘোমটার আড়াল দিয়ে দাঁড়ালে তবু লোকে থমকে যেত। শঙ্করী দাপিয়ে বেড়াতো পাড়া। আড়ালে কু-কথা কে না বলে! ভূষণ হাঁপিয়ে ওঠে। ভালো লাগে না কিছুই আর। তবু অভ্যাস।

    তখন নদীতে অনেক জল। বিদ্যুতের আলো পড়ে তার কানা চোখে। না দেখলেও অনেক পরিবর্তন টের পাচ্ছিল ভূষণ। পাকা সড়ক হলো। বাঁশঝাড় কেটে তিনতলা কোঠাবাড়ি। গ্রাম থেকে মফস্বলের যাত্রা। পদ্মাকে নিয়ে অশান্তি হয়েছিল, এটা ঠিকই। ভূষণ পদ্মার জোয়ারে ভাসতে চাইছিল, তাও ঠিক। পদ্মা এখনও প্রখর, জানে ভূষণ। তিন গ্রাম পরেই বিয়ে করে দুটো ছেলে মেয়ের মা। পদ্মা বাপের ঘরে এলে সে ঠিক গন্ধ পায়।

    এমনই একটা মেঘ কালো অপরাহ্নে শঙ্করী একরাশ বাসন নিয়ে গেলো পুকুর ঘাটে। আর ফিরলো না। অঝোর বৃষ্টিতে কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো। আচমকা কান ফাটানো আওয়াজে ঘুম ভেঙে দেখেছিলো শুধু বিদ্যুৎ।

    জলভরা মেঘের গুম গুমের মধ্যেই খয়েরপুরের দিকে পা বাড়ায় সে। আজকাল মদের নেশা হয়েছে তার। নবীন, প্রভাত, খোকন ওরাই নিয়ে গেছিল একদিন। বিয়ের গয়না দিয়ে একটা ছোটো দোকান করে দিয়েছিল শঙ্করী তাকে। কানা ভূষণের দোকান। সঙ্গে থাকত লোচন ময়রার ছেলে হাবু, তারপর বদরপাড়ার স্বপন। চালটা ডালটা তেল বিস্কুট বড়ি। চলেই যায় জীবন।
    কাছে একটা বাজ পড়ল। পা চালায় ভূষণ। দোকানে বসে থাকে অন্ধকারে। এক কোণে টিমটিমে কেরোসিন বাতি। চারিদিকে ছায়ানৃত্য। ভূষণের শূন্য ঘরে এখনও শঙ্করীর বিকট ছায়া উষ্ণতা খোঁজে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | |
  • স্মৃতিচারণ | ১৪ নভেম্বর ২০২২ | ১২১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হজবরল | 193.3.***.*** | ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১১:৪৮513777
  • এই দুটো ঝুরোগল্প নয়? 
  • Jayeeta Bhattacharya | ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১২:০০513779
  • কাজল সেন,যিনি ঝুরোগল্প কনসেপ্ট তৈরি করেছেন , বলেছেন যে ঝুরোগল্প লিখতে হবে ৪০০ বা ম্যাক্সিমাম ৪৫০ শব্দে । গল্প হবে মুক্ত-সূচনা এবং মুক্ত-সমাপ্তি । তাই এগুলোকে ঝুরোগল্প বললাম না ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন