এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  লিঙ্গরাজনীতি

  • এক হত্যা-এক নৃশংসতা

    জিনাত রেহেনা ইসলাম
    লিঙ্গরাজনীতি | ০৬ মে ২০২২ | ১৮৫৪ বার পঠিত

  • এক হত্যা। এক নৃশংসতা। এক অবিশ্বাস। প্রেম ও প্রবৃত্তির ভিন্ন অভিঘাত। মালদার বাসিন্দা, বহরমপুরে পাঠরতা ছাত্রীর হত্যাকাণ্ড এক বিষাদের ছায়ায় ঢাকল শহরটাকে। হতবাক ও শোকস্তব্ধ বাসিন্দাদের একটিই প্রশ্ন কুরে কুরে খেল- এভাবে কেন? এই পাশবিকতা তো মনুষ্যত্বের লজ্জা! এই আক্রোশ, এই জিঘাংসা সম্পর্ক বিষয়ক নয়। এ তো অন্য ঘৃণা। অন্য অসম্মান। অন্য মোড়কে থাকা প্রতিশোধ ও প্রতিরোধ। এর কোনও দিক নেই। মানও না। যতদূর সীমানা শুধুই মানবিকতার হার। পুরুষ-তন্ত্র ও মহিলা বিদ্বেষের চেনা পুরানের বুনোটে ধ্বংসলীলার উল্লাস।

    প্রেমিক সুশান্ত ও হত্যাকারী সুশান্ত অসুস্থ। আর এই অসুখ সমাজের এক কোনে লালিত আগুন। তাতে এক সুতপা নয়,হাজারও মেয়ে অনিরাপদ। এক সামগ্রিক এজেন্সির সারভাইভাল ঝুঁকির মুখে। কেন সুশান্ত খুনি সে পর্যালোচনার আগে প্রয়োজন কেন একদা প্রেমিকের হাতে মরতে হবে সুতপাদের! এবং খুনির পাশে আর এক মহিলাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা ও তাকে জনতার দরবারে টার্গেট করে তোলার জন্য মিডিয়ার নির্লজ্জ ও অবিবেচনাপ্রসূত গল্প বড় মারাত্মক ভূমিকায়। অভিযুক্তের পাশাপাশি এক প্যারালাল মহিলা চরিত্রের আবির্ভাব ও অভিযুক্ত করার ঘটনা পীড়াদায়ক। আর সেই পড়ে-শুনে অভিযুক্তের 'সোর্স' মেয়েটির শাস্তি দাবী করা সমাজ মানসিকতার সেই ঘুণকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। মেয়ের প্রতি অন্যায়ে সেই মেয়েকেই হাতিয়ার। আসলে অভিযুক্তের যাবতীয় খোঁজের রসদ সাপ্লায়ার হিসেবে সুতপার বন্ধু কাম মেস-মেট মেয়েটিই দায়ী। এক আততায়ীর কাঠগড়ায় এক মহিলা চরিত্রের হঠাৎ চিত্রায়ন। এ এক অন্য অবদমন। সর্বনাশের রাশ মূল অভিযুক্তর পাশাপাশি অন্য এক শত্রুর হাতে। আখেরে 'মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু' তত্ত্বে বাজার চঞ্চল।

    ঘটনা ঘিরে যে উক্তি ও পাল্টা উক্তি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই দৃষ্টিকোণ আরও ভয়াবহ। সমাজ-মনন আসলে শূন্য এক দিশায় ধেয়ে যাচ্ছে। পাল্টা যুক্তি ও পারস্পরিক মতবিরোধ এক সিদ্ধান্ত হীন দিকে মেয়েদের নিরাপত্তা ও আত্মসম্মানবোধকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজ ও পরিবারে মেয়েদের ভূমিকার বদলে পুরুষের ক্রোধ ও হিংসার সমর্থনে যুক্তি সেজেই উঠছে। অপরাধীর অপরাধের কারণ কী হতে পারে? সে নিয়েই ডিফেন্সের বলয় নির্মাণ চলছে। ভিক্টিম ব্লেমের সেই পুনরাবৃত্তি। সুতপা সেখানে নিরীহ-নিপীড়িত নয়। ঘাতকের যথার্থ মোটিভ। রাগের সমুচিত কারণ। লিঙ্গ হিংসার এ এক পরিচিত আসপেক্ট। সচেতনতা ও চর্চার প্রয়োজন এখানেই।

    অভিযুক্তের পরিবার সরাসরি একবারও বলেনি
    ছেলেটি 'খুব খারাপ' করেছে মেয়েটির সঙ্গে। স্পষ্ট করে সেটা একবারের জন্যও উঠে আসেনি। সেটা দুর্ভাগ্যজনক। মেয়েদের বাঁচাতে এই চিহ্নিত অভিযুক্তের বিষয়ে রাখ-ঢাক চলেনা। পক্ষ - বিপক্ষ চলে না। অন্যায়কারীর সমাজ নেই। পরিবার ভাবনা নেই- তাই সে বিকৃত। সে ছন্নছাড়া। আত্মপক্ষ সমর্থনে সে যাই বলুক সমাজ পক্ষপাতিত্বের বোঝা বইবে না সেটাই কাম্য। কেননা পরিবারে ভিত নির্মাণ করে সেই নারীরাই। তারপর তারাই নিরাপত্তা-হীনতায় কেন ভুগবে?

    খুশীর ইদ। সকলের। শুধু তৃতীয় বর্ষের মেয়েটি হারিয়ে গেল। পড়ার জন্য জেলা বদল। প্রতিষ্ঠান বদল। এবার বদলে গেল পৃথিবীর ঠিকানাও। ঘটনা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক। মেয়ের অকালে মৃত্যু। এবং অপঘাতে। হত্যায়। যারা মোবাইলে ভিডিও করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নইলে অপরাধীকে এত দ্রুত সনাক্তকরণ ও ধরে ফেলা হয়তো সহজ হত না। যারা বাঁশ নিয়ে এগিয়ে গেছেন অপরাধীর দিকে, কিন্তু বন্দুকের নলের ভয়ে থমকেছেন সেই প্রতিবেশীরাই মেয়েদের বিপদের মুহূর্তে প্রকৃত রক্ষক। পাড়ার দাদা-ভাই। মেয়েদের বিপদে পাড়ার ছেলেদের সর্বাগ্রে এগিয়ে আসা বহরমপুর শহরের সংস্কৃতি এটাই।

    নিউজ ফিডে বহুল শেয়ার হওয়া এই হত্যার ঘটনায় হাজারো কমেন্ট। হত্যাকারীর শাস্তি সকলের কাম্য কিন্তু 'একপেশে স্বাধীনতা' দায়ী কিনা প্রশ্ন তুলেছেন দেখলাম কয়েকজন। মেয়েরা প্রাণ হারাচ্ছে প্রেমিক -পরিবারের হাতে। দায়ী হবে পাওয়ার ডাইনামিকস, মিসোজিনিস্ট ভাবনার আদিম শিকড়। কিন্তু উঠে আসছে পৃথিবীর স্বাধীনতার কতটা ভাগ মেয়েদের প্রাপ্য সেই গল্প। এক অন্ধ বিশ্বাস। এক মিথ্যা ধারণা। 'ভাল মেয়েদের' কেউ মারে না। 'ভাল' মেয়েদের সন্ধানে শতাব্দী ফুরিয়ে এলো। আসলে 'ভাল' মেয়ের সংজ্ঞা স্থির হল না।

    ফোন করে বাইরে ডেকে এনে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে দিল প্রেমিক সেই ছাত্রীকে। কোনও মেয়েই তার প্রেমিকের হাতে এরকম যন্ত্রণার মৃত্যু ডিজার্ভ করে না। শরীরের কোথাও একটু কেটে গেলে ছটপট করি আমরা। সেখানে এতবার ছুরিকাঘাত। মেয়েটির জন্য বুক ভাঙে কষ্টে। অভিযুক্ত খেলনা বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে স্থান ছাড়ল। ধরা পড়ল। এবার বিচার চলবে। কিন্তু মেয়েটি ফিরবে না। ওর সেই ছুরিকাহত হওয়ার বেদনা চাইলেও কেউ অনুভব করতে পারবে না হয়তো। অভিযুক্তর ফেসবুক আকাউন্ট যা গতকাল ভাইরাল হয় সেখানে সে রীতিমত হুমকি দিয়ে রেখেছিল। সেটা পুলিশ-প্রশাসনের নজরে আনা খুব দরকার ছিল। এরকম এক বয়ান যে প্রকাশ্যে সোশ্যাল সাইটে রাখে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি ছিল। মেয়ের বাবা বলেছেন যে, উনি এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলেন ছেলেটির হুমকির কথা। প্রশ্ন এখানেই। মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য মহিলা থানা থেকে উইনার্স স্কোয়াড। তবে কেন কাউন্সিলর?

    আজকের দিনে রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট খুব দরকার। সম্পর্কের এখন মাল্টিডাইমেনশন। সম্পর্কে সততা না থাকলে তা বর্জনীয়। আবার সেটা উভয়পক্ষ মেনে নিয়ে চললে একটা পারস্পরিক বোঝাপাড়ার জন্ম। প্রেমের সম্পর্ক পরিবর্তনশীল। আজকের পছন্দ কাল বদলাতেই পারে। একজন একশো শতাংশ ইনভেস্টেড বলে অন্যজন ততটাই থাকবে এমনটা ডেলিবারেট নয়। দুই ইন্ডিভিজুয়াল। দুই রকমভাবে বেড়ে ওঠা। তাই 'মুভ অন'খুব স্বাভাবিক বিষয়। প্রেম কোনও যুদ্ধক্ষেত্র নয়। জীবন নষ্টের মাঠও নয়। পছন্দের মানুষটি হঠাৎ অপছন্দের হয়ে উঠলে অপশন খোলা আছে। প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার যে কষ্ট বা ফেইলড রিলেশনের যে বার্ডেন তা অত্যন্ত ভারবাহী। কিন্তু তার বিকল্প আক্রোশে বা প্রতিশোধে নেই এটাই বড় কথা। প্রেমে পড়া মানেই কারও প্রাইভেট প্রপার্টি হয়ে যাওয়া নয়। তাই কাউকে মেরে ফেলার যুক্তি এটা নয় যে, "মেয়েটি নিশ্চয়ই কিছু করেছিল। এমনি কি কেউ কাউকে মারে?" ক্ষমতার দম্ভ থেকে মারে। ভাবনার বিকৃতি থেকে মারে।
    মেয়েদের বাঁচা-মরা সবটাই অভিভাবক নিয়ন্ত্রিত এই বিশ্বাস থেকে মারে। আসলে প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে, মেয়েদের সাহস বা পছন্দ অর্জন নয়, তদ্বির ও ভিক্ষার বিষয়। সেটি এক পুরুষের মর্জি দেবে কী ফেরাবে!

    হত্যাকারী জন্মায় না। ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি,সাহস-স্পর্ধা সব এই সমাজ লালন করার ভূমিকায় থাকে। এক অপরাধীর শাস্তি আগামীর অঘটন আটকাবে কি? 'দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি' আসলে কী তা আজও অজানা। তাই ভাবনার প্রাঙ্গণে আরও অনেক বিষয়ের সংযুক্তি দরকার। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পুরুষের নারী ভাবনা ও অধিকার বোধের জায়গা নিয়ে বিশ্লেষণ দরকার। নইলে মেয়েদের উপর নেমে আসা লাগাতার আক্রমণের শেষ হবে না। প্রেমিকা - বৌ - মেয়েকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার অভিভাবক একমাত্র পুরুষই - সেই ভুল বাক্যের সামাজিক পরম্পরায় ইতি টানা দরকার। মেয়েরা নিজেরাই নিজের অভিভাবক। নিজের সিদ্ধান্ত নিজের অধিকার। এই আধুনিকতাটুকু কে প্রশ্রয় দেওয়া কি খুবই কষ্টের!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • লিঙ্গরাজনীতি | ০৬ মে ২০২২ | ১৮৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫১507299
  • এখানে জুড়ে দিলামঃ

    r2h | 134.238.14.27 | ০৬ মে ২০২২ ১৩:৩২501611

    বহরমপুরে একটি ছেলে একটি মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে... আবাপ (অন্য কাগজ দেখিনি) যথারীতি সেটাকে মুচমুচে মিডিয়া ট্রায়াল বানিয়ে দিয়েছে।

    তো, ভাবছিলাম, আমাদের দেশে রিজেকশন বা ব্যক্তিগত পছন্দ ব্যাপারগুলির জন্যে প্রস্তুতি কী ভয়ানক কম। কী বিশ্রী অপচয়। আমরাও ছোটবেলায় প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বিচ্ছেদ হলে দুজনের কারো একটা 'দোষ' খুঁজতে ব্যস্ত হতাম, প্রেমিক প্রেমিকারাও অপরপক্ষকে 'দোষ' দিতে ব্যস্ত হতো, জাস্ট ভালো লাগছে না, বা অন্য কাউকে ভালো লাগছে বলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়, সেইটা কেউ ভাবতে পারে না। স্বাভাবিক, আবেগের সম্পর্ক, বিচ্ছেদে দুঃখ না হলে তার আর সার কী।
    কিন্তু বড় হয়ে দাঁড়ায় ইগো - ও আমাকে 'ছেড়ে' দিল? পুরুষদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে, বলাই বাহুল্য।

    আমার খুব ছোটবেলার বন্ধু, একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, ঐ ফার্স্ট ইয়ার নাগাদ থেকে বোধহয়। তিন বছরের অনার্স গ্র‌্যাজুয়েশনের বসন্ত অবসানে মেয়েটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, আমার বন্ধুটি যথারীতি। মেয়েটি কলকাতা চলে আসে, সে আবার আমার অন্য এক বন্ধুর কাজিন, আমরা সবাই তখন কলকাতাতেই। আমাদের সেই প্রেমিক বন্ধুটিও হোটেল ম্যানেজমেন্ট না কী পড়বে বলে বাড়িতে বলে কয়ে কলকাতা চলে আসে। শুরুতে আমাদের সঙ্গেই থাকতো, রোজই দেখা করতে যাওয়ার জন্যে হৈ হল্লা করতো কাছাকাছিই একটা মেসে থাকতো মেয়েটি, আমরা সামলে রাখতাম। কিছুদিন পর পরিস্থিতি একটু শান্ত হতে বন্ধুটি যাদবপুরের একটি মেসে শিফ্ট করে। বিকেলে সন্ধ্যায় চলে আসতো, মেয়েটির কথা বলতো, আমরাও ঐ বয়সে যদ্দুর বোঝানো যায় বোঝাতাম। কালিপুজো টুজোর শেষে, অক্টোবরের শেষ দিকেই হবে, আমার তার সাথে বেড়াতে যাওয়া, দোতলা বাসে চেপে ধর্মতলা গিয়ে নিজামে খেয়ে দেয়ে ফিরে শুনলাম ঐ বন্ধুটি এসেছিল, আমাদের পাড়ার একটি দোকানে কোল্ডড্রিংকের বোতল ফেরত দিতে এসেছিল (তখন কাচের বোতল, ফেরত দিলে পয়সা পাওয়া যেত), আমাকে না পেয়ে ফিরে গেছে। ঘন্টাখানেক পর খবর পেলাম সে রাস্তা পাল্টে ঐ মেয়েটির মেসে গিয়ে মেয়েটির মাথায় বোতল দিয়ে মেরেছে, মেয়েটির মাথা ফেটে গেছে, বন্ধুটির সন্ধান নেই।

    পড়িমরি করে অন্য বন্ধুর আস্তানায় গেছি কী খবর, আমাদের কী কর্তব্য এইসব আলোচনা করতে, দশ মিনিটের মধ্যে খবর এল যাদবপুরে রেললাইনে বন্ধুটির মৃতদেহ।
    বহু বছর মনে হয়েছে, সেদিন সন্ধ্যেবেলা আমি বাড়ি থাকলে এইটা হতো না। উদভ্রান্ত হয়ে রেললাইন ধরে ফিরতে গিয়ে না আত্মহত্যা তাও জানার কোন উপায় ছিল না। মেয়েটিও সারা জীবন মাথা থেকে গাল পর্যন্ত সেদিনের ক্ষতচিহ্ন বহন করছে।

    পুরোটাই কী জঘন্য অপচয়, কী অবিশ্বস্য, কী অপরিনত থট প্রসেসের ফল।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৩507300
  • Amit | 203.221.199.169 | ০৬ মে ২০২২ ১৪:১৯501612

    এধরণের ক্রাইম অফ প্যাশন সব দেশেই অল্প বিস্তর হয়ে থাকে। কিন্তু ইন্ডিয়াতে বা সাবকন্টিনেন্ট এ সমস্যা আরো অনেক ভেতরে।বিশাল গ্রূমিং এর সমস্যা। জেনারেল মধ্যবিত্ত বাড়িতে ছেলেদের ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় তারা মেয়েদের থেকে সুপিরিয়র। বাকিদের ছাড়ান দ্যান , আমার মা ই নিজে মেয়ে হয়ে আর সারাজীবন শ্বশুরবাড়িতে এবিউসড হয়েও তেনার একমাত্তর ছেলে -মানে আমাকে সবসময় বোঝাতেন মেয়েদের একদম বেশি পাত্তা না দিতে। পড়াশোনা করে ভালো চাকরি জুটলে ওমন হাজারটা মেয়ে প্রেম করতে আসবে- সবাই যেন গোল্ড ডিগার। আমার বয়েজ স্কুল এর কালচার ​​​​​​​ও ​​​​​​​তথৈবচ টক্সিক।

    এইরকম ডিসক্রিমেটিং গ্রূমিং এর মধ্যে দিয়ে বড়ো হলে প্রেমে কোনো মেয়ে না বললে এদের মাথায় জাস্ট বাজ পড়ে যায়। না বলাটা যে একটা মেয়ের চয়েস হতে পারে , দশ বছর প্রেম করলেও বা বিয়ে করলেও , সেটা জাস্ট ব্রেন নিতে পারেনা। নেট রেজাল্ট এসব খুন খারাবি বা সুইসাইড।

    হয়তো শহরে এখন ডাবল ইনকাম মাইক্রো ফ্যামিলি গুলোতে বা মিক্সড স্কুল কালচারে এসব পুরোনো টক্সিক গ্রূমিং অনেক পাল্টাচ্ছে। ছোট শহরে বা গ্রামে আসতে আরো কয়েক যুগ।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৪507301
  • r2h | 134.238.14.27 | ০৬ মে ২০২২ ১৪:৫০501615

    এই সমস্যটা ম্যাস্ক্যুলিনিটি দিয়ে ব্যখ্যা করা যায় বলে আমার মনে হয় না। প্রতিক্রিয়াগুলি দু'রকম শুধু। মারতে যাওয়াটা ম্যাস্ক্যুলিনিটি দিয়ে ব্যখ্যা করা যায়, রিজেকশন নিতে না পারাটা না। আমাদেরই আরেক বন্ধু, ওদের স্কুলের নীচু ক্লাস থেকে সম্পর্ক (ঐ বয়সে আর সম্পর্ক কী, ঐ আরকি) ছিল। ছেলেটি উ-মা, জয়েন্ট ইত্যাদির পর বড় জায়গায় পড়তে গিয়ে ছুটিতে এসে ব্রেক আপ করলো, মেয়েটি পরবর্তী বছর তিনেক মুমূর্ষু। ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক, পরে বিয়ে টিয়ে করে থিতু এরকম আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই আছে (আমিও আছি), হায়ার সেকেন্ডারির আগেই পাঁচখানা প্রেম ও সাতখানা ব্রেকাপ এমনও আছে অনেকেই, কিন্তু ঐ রিজেকশন না নিতে পারা, বা একবার সম্পর্ক হয়েছে মানে অপরপক্ষ বেরোতে পারবে না - এই অ্যাকসেপ্টেন্স উভয়পক্ষেই কম দেখেছি। ঐ, পার্সোনাল চয়েস, বা বিচ্ছেদ মানে বাতিল না এইসবের পাঠ - নারী পুরুষ নির্বিশেষেই দরকার বলে মনে হয়।

    এইসবের সঙ্গে নিশ্চয় হাই লেভেলে পিতৃতান্ত্রিক নির্মানের সম্পর্ক আছে, কিন্তু...

    এই তো আরেকটা খবর কালই দেখলাম, একটি মেয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবীতে ধর্না দিয়েছে। পুরুষ হলে হয়তো মারতে যেত। ঘুরে ফিরে তো ঐ।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৪507302
  • Amit | 203.221.199.169 | ০৬ মে ২০২২ ১৫:০৯501618

    হ্যা রিজেকশন নিতে না পারাটা দুদিকেই আছে। তবে খুন জখম অব্দি কেসগুলো ছেলেদের দিকে বেশি হয়। অন্তত কাগজ পড়ে বা গ্রূপের আলোচনায় যেটুকু মনে হয়।টক্সিক মাস্কুলিনিটি র সমস্যা তো একটা মেজর আছেই। ওটাকেই আগে ধরতে ​​​​​​​চেয়েছি। ​​​​​​​

    ইভেন আমার কলেজ গরূপে যেখানে ছেলে মেয়ে সব আছে & মেয়েরা অনেকেই হাই এচিভার , সেখানেও দেখি কোনো মেয়ে তর্কে জিতছে দেখলে অনেক ছেলেই ঝাঁপিয়ে পরে পুরো ইস্যু টাকে সাইড লাইন করে ছেলে ভার্সাস মেয়ে তর্কে দাড় করাতে।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৫507303
  • Amit | 203.221.199.169 | ০৬ মে ২০২২ ১৫:০৯501618

    হ্যা রিজেকশন নিতে না পারাটা দুদিকেই আছে। তবে খুন জখম অব্দি কেসগুলো ছেলেদের দিকে বেশি হয়। অন্তত কাগজ পড়ে বা গ্রূপের আলোচনায় যেটুকু মনে হয়।টক্সিক মাস্কুলিনিটি র সমস্যা তো একটা মেজর আছেই। ওটাকেই আগে ধরতে ​​​​​​​চেয়েছি। ​​​​​​​

    ইভেন আমার কলেজ গরূপে যেখানে ছেলে মেয়ে সব আছে & মেয়েরা অনেকেই হাই এচিভার , সেখানেও দেখি কোনো মেয়ে তর্কে জিতছে দেখলে অনেক ছেলেই ঝাঁপিয়ে পরে পুরো ইস্যু টাকে সাইড লাইন করে ছেলে ভার্সাস মেয়ে তর্কে দাড় করাতে।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৫507304
  • dc | 2401:4900:2313:da09:a0ae:2b15:32b3:8ed0 | ০৬ মে ২০২২ ১৫:২১501619

    রিজেকশান না নিতে পারা, বদলা নেওয়া, হুমকি দেওয়া ইত্যাদি সারা দেশেই আছে। আগেও ছিল, আগের থেকে বেড়েছে কিনা জানিনা। আর টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি ইন্ডিয়াতে ভালোমতন আছে, বাড়িতে, রাস্তায় সর্বত্র সেসব দেখা যায়। ইন্ডিয়াতে মেয়েদের ওপর যতো অ্যাসিড অ্যাটাক হয়, অন্য কোন দেশে এতো হয় কি? জানিনা।

    (তবে ইয়ে, একটা কথা বলি, প্রেমে ব্যথা খাওয়ার ব্যথা খুবই কঠিন, সে যারা না খেয়েছে তারা বুঝবে না)
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৬507305
  • r2h | 134.238.14.27 | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৩৬501620

    হ্যাঁ... এইসব স্কুলের গ্রুপ আরেক সার্কাস। আমাদের স্কুলের এক অংকের শিক্ষক ছিলেন, খুবই সেলিব্রেটেড লোক, মাধ্যমিকে প্রথম পাঁচজনের মধ্যে অন্তত তিনজন তাঁর ছাত্র হতোই। ছাত্রীদের তাঁর প্রতি ভরসা একটু কম ছিল। বয়স্ক লোক, মোটের ওপর হাসি ঠাট্টাই, কিন্তু তিনি বাছাই করা ভালো ছাত্রদের আলাদা করে একা পড়াতেন, ছাত্রীরা সেই ব্যাপারটা এড়িয়ে চলতো। তো, আমরা পাশ টাশ করে বেরিয়ে গেছি, তিনিও রিটায়ার করেছেন, হেনকালে তিনি একটু বড় রকমের কেলেংকারী ঘটালেন, তাও আবার আমাদের স্কুলেরই শিক্ষিকার মেয়ের সঙ্গে। মেয়েটির মা হয়তো ভেবেছিলেন, আমার কলিগ কী আর আমার মেয়েকে মলেস্ট করবে! অতঃপর, তিনি রাতারাতি রাজ্যপাট গুটিয়ে শহর ছাড়লেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্কুলের গ্রুপে গদগদ স্মৃতিচারণ চলছে, মেয়েদের মধ্যে একজন একটু বেসুরো বলেছিল, পরোক্ষে ঐসব মনে করিয়ে। তাতে ছেলেদের সে কী রাগ! এমন একজন মহান শিক্ষকের অতীত টেনে কুৎসা ইত্যাদি।
    মৃত্যুর পর পাপ মুছে যায়, সে আর কে না জানে!

    আর, এইটা নিয়ে গুরুতে আগেও পড়েছি, আমার সবচে' আশ্চর্য লাগে 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষন' ব্যাপারটা। মানে, আমাদের সমাজের রক্ষনশীল অংশে এমন অভিযোগ খুবই যুক্তিযুক্ত, ব্যাপারগুলো অনেক সময়ই তাই হয়, কিন্তু হোয়াট দা ...? প্রেমিক প্রেমিকা সেক্স করেছে, তার মানে তাদের কোনদিন বিচ্ছেদ হতে পারবে না?

    আর প্রেমের ব্যথা তো কঠিন হওয়ারই কথা, না হলে আর প্রেম কী!
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৬507306
  • Amit | 120.22.5.28 | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৪০501621

    এই যে ছেলেটির বাপ মা পিসি অন্যান্যরা সবাই মিলে উল্টে মেয়েটার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে-এরাও কিন্তু ডাইরেক্টলি বা ইন্ডিরেক্টলি সেই টক্সিক মাস্কুলিনিটি কেই সাপোর্ট দিচ্ছে। জেনে বা না জেনেই।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৭507307
  • যোষিতা | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৪৮501624

    মেয়েদেরকে সম্পত্তি হিসেবে ভাবে যারা তারাই ওরকম করে। মুখে অ্যাসিড মারা তো আছেই। শরৎচন্দ্রেই আছে দেবদাস পার্বতীকে মেরে মুখে পার্মানেন্ট দাগ করে দিয়েছিল। আমার বয়ফ্রেন্ড যখন সন্দেহের বশে আমাকে পুড়িয়ে দাগ করে দিয়েছিল তখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বলেছিল এটাই দস্তুর। শেক্সপিয়র থেকে শরৎচন্দ্র সব সাহিত্যেই এসব হয়েছে প্রেমের গভীরতা বোঝাতে।
  • ভাটিয়া৯ থেকে | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫৮507308
  • এলেবেলে | ০৬ মে ২০২২ ১৫:৫২501626

    যতদিন পিতৃতান্ত্রিকতা সমাজে বহাল তবিয়তে থাকবে, মেয়েদের সেক্স অবজেক্ট ভাবা হবে এবং সেক্স নিয়ে মারাত্মক রকমের ট্যাবু থাকবে - তত দিন এসব চলতেই থাকবে। ছেলেদের তরফেও, মেয়েদের তরফেও। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলা তার সেরা উদাহরণ।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৬:০৮507309
  • কিছু বছর আগে একটি মেয়ে প্রেমিককে "নাচিয়ে টাচিয়ে" ছেড়ে দিয়েছিল বলে ছেলেটি তার বাড়িতে ধর্ণা দিয়ে তাকে জোর করে বিয়ে করেছিল। সেটাও এই সমস্যার অন্য পিঠ। তখন শুনেছিলাম যে প্রেম করা মানেই তুমি তাকে বিয়ে করতে বাধ্য। আর কোন অপশনই নেই।  আমাদের ঐসব অধিকারের শহুরে কথা নাকি কলকাতার বাইরে চলে না।  
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৬:১২507310
  • সুশান্ত সিং রাজপুতের ক্ষেত্রে রিয়া কী যেন নামের ভদ্রমহিলা? তাঁকে তো পারলে লোকে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মারে।
  • Amit | 124.17.***.*** | ০৬ মে ২০২২ ১৬:৫১507311
  • ওটা তো ক্লাসিক লেভেলের সার্কাস ছিল। মিডিয়া একটা গাঁজাখোর হিরোর সুইসাইড কে  দেশের সবথেকে বড়ো সমস্যা বানিয়ে দিলো। তার গার্লফ্রেন্ড কে ডাইনি বানিয়ে দিলো। আর ওতে পাবলিক এমন টোটাল নাচলো যে লকডাউন এর পুরো পিরিয়ডে মোদী সরকার র টোটাল ফেইলিউর কারোর নজরেই পড়লো না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন