সোনালি কোলাৎকার: মার্কিন দখলদারির বিরুদ্ধে RAWA দীর্ঘদিন সরব। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যেই মার্কিনিরা সরে গেল, তালিবানরা ফিরে এসেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি পারতেন এমন পদ্ধতিতে সেনা অপসারণ করতে, যাতে আফগানিস্তান এখনকার তুলনায় আরও একটু বেশি নিরাপদ থাকতে পারত? তাঁর পক্ষে কি আরও কিছু এমন করা সম্ভব ছিল যাতে তালিবানদের এত দ্রুত দখলদারি কায়েম করাটা আটকানো সম্ভব হত?
RAWA: বিগত ২০ বছর ধরে কিন্তু আমাদের অন্যতম দাবি ছিল মার্কিন / ন্যাটো দখলদারির অবসান – আর সেটা সত্যিই ভালো হত যদি তারা তাদের পেটোয়া ইসলামিক মৌলবাদী এবং টেকনোক্রাটের দলকে নিজেদের সঙ্গেই নিয়ে চলে যেতেন আর আমাদের দেশবাসীকে নিজের ভাগ্য নিজেদেরই ঠিক করার সুযোগটুকু দিতেন। তার বদলে এই দখলদারির ফলে আমরা পেয়েছি শুধু অবিরাম রক্তপাত, ধ্বংস আর বিশৃঙ্খলা। ওদেরই কল্যাণে আমাদের এই দেশটা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত একটি নিরাপত্তাহীন ড্রাগ-মাফিয়াদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে, যা সকলের পক্ষেই বিপজ্জনক – বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে।
এরকম একটা পরিণতির কথা আমরা প্রথম থেকেই অনুমান এবং আশঙ্কা করে আসছিলাম। প্রথম যেদিন আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারি সেনা প্রবেশ করে, সেইদিনই, ১১ই অক্টোবর ২০০১ তারিখে RAWA ঘোষণা করেছিল:
“লাগাতার মার্কিন আক্রমণ এবং তার ফলে নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ক্রমবর্ধমান শিকার হয়ে চলা শুধু যে এখানে তালিবানদের ছুতো খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, তাই নয় – বরং এই অঞ্চলে এবং এমন কী বাকি পৃথিবী জুড়ে মৌলবাদী শক্তিকেই আরও শক্তিশালী করে তুলবে”
আমাদের এই বিরোধিতার পিছনে প্রধানতম কারণ এটাই ছিল যে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে”র নাম করে এই শক্তিগুলি উল্টে সন্ত্রাসবাদকেই মদত দিয়ে চলেছে। সেই শুরুর দিকেই, ২০০২ সালে যখন “নর্দার্ন অ্যালায়েন্সে”র খুনি এবং লুঠেরার দলকে সেই তথাকথিত সর্বশেষ “শান্তি আলোচনা” এবং দোহায় হওয়া চুক্তি আর সমঝোতার পরে ক্ষমতায় ফেরানো হল, সেখান থেকে এই ২০২০-২১ এ ৫০০০ সন্ত্রাসবাদীকে জেল থেকে মুক্ত করা অবধি পুরো কর্মকাণ্ড সেটায় এটাি স্পষ্ট ছিল যে সেনা সরিয়ে নিলেও তার ফল শুভ হবে না।
পেন্টাগন এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে অনুপ্রবেশ বা মিশ্রণের কোন তত্ত্বই শেষ অবধি নিরাপত্তার সন্ধান দিতে পারেনি। সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই তাদের নিজস্ব কৌশলগত, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক লাভের কথা মাথায় রেখেই অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করে মিথ্যার আশ্রয়ে, এবং শক্তিশালী কর্পোরেট মিডিয়া প্রাণপণে তাদের আসল উদ্দেশ্য এবং মতলবগুলিকে আড়াল করার চেষ্টা করে নিজেদের স্বার্থে।
"নারী অধিকার”, “গণতন্ত্র”, “জাতির গঠন” এগুলি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর লক্ষ্য ছিল, এসব কথা আফগানিস্তানে ঠাট্টারই নামান্তর! আমেরিকা আফগানিস্তানে এসেছিল এই অঞ্চলের স্থিতি বিঘ্নিত করে একে সন্ত্রাসবাদের মুক্তভূমিতে পরিণত করতে এবং সেইটার মাধ্যমে আফগানিস্তানের আশেপাশে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলির, বিশেষত চিন এবং রাশিয়াকে ঘিরে ধরার পাশাপাশি এই অঞ্চলের স্থানীয় অর্থনীতিকে ছিবড়ে করে শুষে নেবার লক্ষ্য নিয়ে। অবশ্যই এরকম ভাবার কোন কারণ নেই যে মার্কিন সরকার নিজেদের বাহিনীর এরকম লজ্জাজনক অপসারণ চেয়েছিল, যার ফলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার মার্কিন বাহিনীকে ফিরে আসতে হল বিমানবন্দরগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যাতে তাদের আমলা এবং অন্যান্য কর্মীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে যাওয়া যায়।
আমরা বিশ্বাস করি, আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে তাদের তৈরি পশুদের (তালিবান) কাছে পরাজিত হয়ে নয়, ফিরেছে তাদের নিজস্ব দুর্বলতার কারণে। এই অপসারণের দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে বলে আমরা মনে করি।
প্রথম এবং প্রধান কারণটি হল আমেরিকার বহুমুখী এবং বহু আস্তরণবিশিষ্ট আভ্যন্তরীণ সঙ্কট। বহু-খ্যাত মার্কিন শাসনব্যবস্থার ক্ষয়ের লক্ষণ আমরা দেখেছি কোভিড-১৯ অতিমারীতে তার দুর্বল মোকাবিলার সময়ে, দেখেছি ক্যাপিটল হিল আক্রমণের সময়ে এবং বিগত কয়েক বছরে মার্কিন আমজনতার অজস্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধে। সেনা প্রত্যাহার এবং নিজেদের জ্বলন্ত আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া ছাড়া মার্কিন নীতি নির্ধারকদের সামনে এই মুহূর্তে আর কোন পথই খোলা ছিল না।
দ্বিতীয় কারণ, আফগানিস্তান যুদ্ধ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধ – যার খরচ এতদিনে কয়েক লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে গেছে – যার সবটাই ট্যাক্স-দাতাদের টাকা। এই খরচ মার্কিন অর্থনীতিতে এতটাই বড় ক্ষত তৈরি করেছে যে তার জেরেই তারা আফগানিস্তান ছাড়তে একরকম বাধ্য হয়েছে বলা যায়।
এই যুদ্ধবাজ নীতি থেকেই স্পষ্ট যে আমেরিকা কোনদিনই আফগানিস্তানকে নিরাপদ করার মানসিকতা নিয়ে চলেনি, এখন ছেড়ে চলে যাবার সময় তো সে প্রশ্ন আরওই ওঠে না। উপরন্তু, তারা ভালো করেই জানত যে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনা অপসারণের সময়ে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, তা সত্ত্বেও তারা সেটা করেই ফেলল কোন কিছুর পরোয়া না করেই। এখন আফগানিস্তান আবার সবার নজরের কেন্দ্রে কারণ তালিবানেরা ক্ষমতায় এসেছে – কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই আমাদের বিগত ২০ বছর কেটেছে। প্রতিদিন শয়ে শয়ে আমার দেশবাসী খুন হয়েছেন, এই দেশটা ধ্বংসের পথে এগিয়ে গেছে, কিন্তু সংবাদমাধ্যম সেসব রিপোর্ট করা প্রয়োজন মনে করেনি।
সোনালি কোলাৎকার: তালিবান নেতৃত্ব বলছেন তাঁরা মহিলাদের অধিকারকে সম্মান দিতে চান যতক্ষণ তা ইসলামিক আইনের পরিপন্থী না হয়ে যাচ্ছে। কিছু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এই ঘোষণাকে একটি ভাল দিক হিসাবে দেখাতে চাইছে। কিন্তু তালিবানেরা কি ২০ বছর আগেও একই কথা বলেনি? মানবাধিকার এবং নারী অধিকার বিষয়ে তালিবানদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়েছে, এরকম মনে করার কোন কারণ আপনারা পেয়েছেন কি?
RAWA: কর্পোরেট মিডিয়া কেবল আমাদের দেশবাসীর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে ব্যস্ত। যেভাবে তারা তালিবানদের নৃশংসতাকে ঢাকার চেষ্টা করে চলেছে সেজন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। তালিবান মুখপাত্র নিজেই স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের ১৯৯৬ এর আদর্শের সঙ্গে বর্তমান আদর্শের কোন পার্থক্য নেই। নারী অধিকার বিষয়ে তাদের বক্তব্য তাদের আগের শাসনকালে যা ছিল, এখনও তার হুবহু প্রতিধ্বনি – শরিয়া আইনের প্রচলন।
এখন তালিবানেরা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তিদানের প্রকল্প চালু করেছে এবং এই বিষয়ে তাদের স্লোগান হচ্ছে: “রাজনৈতিক মুক্তিতে যে আনন্দ, প্রতিশোধে সেই আনন্দ নেই”। কিন্তু বাস্তবে কী ঘটছে? তারা সর্বত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করে বেড়াচ্ছে। গতকালই নাঙারহারে একটি বাচ্চা ছেলে তালিবানের সাদা পতাকার বদলে আফগানিস্তানের তেরঙা জাতীয় পতাকা নিয়ে যাচ্ছিল বলে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। কান্দাহারে চারজন প্রাক্তন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। হিরাট প্রদেশে তরুণ আফগান কবি মেহরান পোপালকে ফেসবুকে তালিবান বিরোধী পোস্ট দেবার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বাড়ির লোক তারপর থেকে তার কোন খোঁজ পাননি। এগুলি তালিবানি হিংসার সামান্য কয়েকটি উদাহরণ দিলাম মাত্র, তাদের মুখপাত্রদের “সুশীল” এবং পালিশ করা বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।
আমাদের ধারণা, এইসব দাবিদাওয়া আসলে তালিবানদের নাটক মাত্র, যার সাহায্যে তারা নিজেদের আর একটু গুছিয়ে নেবার জন্য কিছু সময় কিনতে চাইছে মাত্র। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে, ফলে তাদের একটু সময় দরকার সরকার গঠনের ধাপগুলি ঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে, নিজস্ব গুপ্তচর-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, মন্ত্রণালয়গুলিকে “শুভকাজের সহায়ক এবং অশুভর প্রতিরোধক” হিসাবে উপযোগী করে তুলতে। এই শুভ-অশুভের মধ্যেই পড়বে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ – যেমন আমার দাড়ির দৈর্ঘ্য কতটা হবে, কোন পোশাক পরা যাবে আর কোনটা যাবে না, স্ত্রীলোকের মাহরাম (মহিলাদের অত্যাবশ্যক পুরুষ সঙ্গী – বাবা, ভাই অথবা স্বামী) থাকছে কী না ইত্যাদি।
তালিবানেরা দাবি করে যে তারা নারী অধিকারের বিরুদ্ধে নয় – কিন্তু তা হতে হবে ইসলামি বা শরিয়া আইনের খাঁচার মধ্যে। এই তথাকথিত ইসলামি/শরিয়া আইন বস্তুত একটি ভিত্তিহীন আইন যা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইসলামিক শাসকের নিজস্ব রাজনৈতিক অভিসন্ধির পরিপূরক হিসাবে বিভিন্নভাবে লাগু করা হয়েছে। উপরন্তু তালিবানদের মনোগত ইচ্ছা, পশ্চিমা শক্তিগুলি তাদের স্বীকৃতি এবং গুরুত্ব দিক – এইসব দাবি তাই আদতে নিজেদের ভাবমূর্তির ওপর একটা সাদা পোঁচ ছাড়া কিছুই না। হতেই পারে যে কয়েক মাস পরে তারা নির্বাচন ঘোষণা করে দেবে এবং জানাবে যে “আমরা সুবিচার এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী”! কিন্তু যে ভানই করুক, তাতে তাদের মৌলবাদী চরিত্রে কোন পরিবর্তন আসবে না। তারা মূলত নারিবিদ্বেষী (misogynist), অমানবিক, বর্বর, প্রতিক্রিয়াশীল, গণতন্ত্র এবং প্রগতি-বিরোধী। এক কথায়, তালিবান মানসিকতা কিছুই পালটায়নি, কখনো পালটাবেও না।
সোনালি কোলাৎকার: আফগান ন্যাশনাল আর্মি এবং আমেরিকার মদত-পুষ্ট আফগান সরকারের এরকম তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ার কারণ কী?
সোনালি কোলাৎকার: এই মুহূর্তে আমেরিকা ঠিক কিভাবে RAWA এবং আফগান জনতাকে সাহায্য করলে সবচেয়ে ভাল হয়?
RAWA: আমেরিকার স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষ এই সম্পূর্ণ সময়কাল ধরে আমাদের পাশে থেকেছেন, এজন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি। আমেরিকান জনতার কাছে আমাদের চাহিদা এই যে তাঁরা প্রতিবাদে সোচ্চার হইয়ে উঠুন, তাঁদের সরকারের এই যুদ্ধবাজ নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং এই বর্বরদের বিরুদ্ধে সাধারণ আফগানদের যুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে শক্তিশালী করে তুলুন।
প্রতিরোধ মানুষের স্বভাবসিদ্ধ, ইতিহাস তার সাক্ষী। আমেরিকান জনতার “অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট” অথবা “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” এর মত উজ্জ্বল লড়াইয়ের সাক্ষী আমরা থেকেছি। আমরা দেখেছি যে নিপীড়ন, হিংসা, অত্যাচার যতই ভয়ঙ্কর হোক না কেন, তা প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথকে রুদ্ধ করতে পারে না। মেয়েরা আর শিকলে বাঁধা থাকবে না। যেদিন তালিবানেরা রাজধানীতে প্রবেশ করল, তার ঠিক পরের দিন সকালেই আমাদের কয়েকজন সাহসী মেয়ে দেওয়ালে স্লোগান লিখে দিয়েছে, “তালিবান নিপাত যাক” বলে। আমাদের মেয়েরা এখন রাজনৈতিকভাবে সচেতন, তাঁরা আর বোরখার আড়ালে বসে থাকতে চান না – ২০ বছর আগে যা তাঁরা মেনে নিয়েছিলেন সহজেই। আমরা নিরাপদ থাকার রাস্তা নিজেরাই খুঁজে বার করে নেব আমাদের বুদ্ধি দিয়ে। আমরা নিরাপদে থাকব।
আমরা মনে করি অমানবিক মার্কিন সেনা সাম্রাজ্য শুধু আফগান জনতার জন্যই ক্ষতিকর, তাই নয়, তারা সারা দুনিয়াজোড়া শান্তি এবং স্থিতির পক্ষে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এখন যখন তাদের নিজেদের ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার মুখে, এই সময়ে সমস্ত শান্তিকামী প্রগতিশীল, বামপন্থী, সুবিচারকামী ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগুলির প্রত্যেকের হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন আর ক্যাপিটল হিল এর নৃশংস যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় এসেছে। এই পচাগলা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং একটি মানবিক শাসন-ব্যবস্থার প্রবর্তন শুধু কোটি কোটি আমেরিকার দরিদ্র জনতাকেই মুক্ত করবে না, এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বেও সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে।
এই মুহূর্তে আমাদের আশঙ্কা, নব্বইয়ের দশকের রক্তাক্ত তালিবান জমানার মতই আরও একবার পৃথিবী আফগানিস্তান এবং আফগান মেয়েদের কথা বেবাক ভুলে যাবে। তাই আমেরিকার প্রগতিশীল মানুষ এবং সংস্থাগুলির কাছে আমাদের আবেদন, আফগান মেয়েদের ভুলে যাবেন না।
আমরা আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব, প্রতিরোধকে তীব্রতর করে তুলব। ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র আর নারী-অধিকারের স্বার্থে লড়াইও চলবে।