রমিতবাবু, অমিতাভ নন্দীর বক্তব্য শুনেছি এবং খুব ভুলভাল মনে হয়েছে। উনি নিজের মত ব্যক্ত করেছেন কিন্তু তার সপক্ষে কোনো যুক্তি হাজির করেননি। কোনো ভ্যাক্সিন-উৎপাদকই আজ অবধি দাবী করেনি যে তাদের টীকা নিলে, এমনকি সিভিয়ার ডিজিজ থেকেও, ১০০% সুরক্ষা পাওয়া যাবে। এটা risk reduction-এর ব্যাপার এবং ইজরায়েল বা ইউকে-র সাম্প্রতিক ডেটা থেকে এটা স্পষ্ট যে এক্ষেত্রে টিকা আমাদের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র এই মুহূর্তে। ডাক্তার হিসেবে এইসব এভিডেন্স অগ্রাহ্য করে হাবিজাবি কথা বলা আমার মনে হয় পাব্লিক হেলথের দিক থেকে খুবই বিপজ্জনক।
আর এইসব টিকা যে অভূতপূর্ব দ্রুতগতিতে আবিষ্কৃত হয়েছে, তার পেছনে আগের অনেক গবেষণা এবং আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে, যার অনেকগুলো BBC-র ঐ ভিডিওটায় আলোচিত হয়েছে।
কোন তথ্য না জানিয়ে ট্রায়াল ফেজে লোককে টুপি দিয়ে ভ্যাকসিন দিতে গেলে প্রশ্ন উঠবেই।"যারা মারা গেছে ভ্যাকসিন নিলে মারা যেত না", "ভ্যাকসিন নিয়ে মারা গেছে মানে নিশ্চয় কোমর্বিডিটি, না থাকলে মারা যেত না", "ভারতে প্রায় সবাই ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে, তাই ওয়েভ ২ মিইয়ে গেল" এসব গুল্পতে চিঁড়ে ভিজবে কী?
s এর প্রশ্ন গুলো বুঝলাম না।তবে অমিতাভ বাবু দায়িত্ব নিয়ে ভুলভাল বলেছেন।ভ্যাকসিন এর এফিকেসি নিয়ে,দ্বিধা ছড়িয়েছেন।
প্রথমত মিজলস,মাম্পস, হেপাটাইটিস এ,পোলিও প্রভৃতই আর এন এ ভাইরাসের সফল ভ্যাকসিন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
দুই,ইজরায়েল,ইউ কে,আমেরিকায় ভ্যাকসিনেশন ভালোভাবে চলার জন্য,নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।
তিন,ভ্যাকসিন প্রাপ্ত লোকজন এর মধ্যে সংক্রমণ হলেও খুব সিভিয়ার ডিজিজের বা মৃত্যু সংখ্যা কমেছে।
চার, কোন ভ্যাকসিন ই একশো শতাংশ প্রতিরোধ করতে পারে না।সুতরাং বেছে বেছে,ওই দেখো ভ্যাকসিন নেবার পর ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।
পাঁচ,ইউ কে প্রথম ইওরোপীয় দেশ হিসাবে জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম এর আগে ইউ কের অবস্থা শোচনীয় ছিল।
ছয়,ভারতে সেকেণ্ড ওয়েভ এর তাণ্ডব লীলা দেখার পর,ভ্যাকসিন এর গতি সর্বোচ্চ করা উচিত।কারণ এটাই একমাত্র আশার আলো।
সাত,পঁচাশি শতাংশ এমনি ঠিক হয়। বাড়ীতে ই চিকিৎসা করা যায়।এগুলো একদিক থেকে গরীব দেশের পক্ষে ঠিক। কিন্তু অক্সিজেন syachuresh কমতে দেখলে, বা,বেশি অসুস্থ হাসপাতাল এ যাওয়া বাঞ্ছনীয়।কারণ ঠিক মাপে অক্সিজেন দেওয়া, ভেন্টিলেশনে দেওয়া ( ইনভেসিভ বা নন ইনভেসিভ ) এসবের জন্য ওযল ইকুইপড হস্পপাতাল খুব দরকার।
#স্যাচুরেশন
#বেশি অসুস্থ হলে
ইজরায়েল,ইউ কে,আমেরিকায় ভ্যাকসিনেশন ভালোভাবে চলার জন্য,নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।
ভারতে ভ্যাকসিনেশন ভালভাবে না চলেও নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।
ওই দেখো ভ্যাকসিন নেবার পর ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।
ওই দেখো ভ্যাকসিন না নিয়ে ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।
পঁচাশি শতাংশ এমনি ঠিক হয়।
পঁচাশি শতাংশ ভ্যাকসিনের এফিক্যাসি।
cm, দুটি সরল প্রশ্ন।
এক,ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে? মানে ভ্যাকসিন কি কি এ্যাংগল থেকে রোগ ( এই ক্ষেত্রে কোভিড) প্রতিি রোধ করে?
দুই, ভ্যাকসিন কি আদৌ দেওয়া উচিৎ নয়?
আপনার মত/ধারণা কি সেটি লিখুন।
সরকার একবার বলল covishield সেকেন্ড ডোজ 6 weeks gap এ নিতে হবে, তারপর যেই কুলোচ্ছে না হয়ে গেল 12-16 weeks। covaxin ট্রায়ালের মধ্যেই দিয়ে দিল। UP তে এক গ্রামে 1st dose covaxin, 2nd dose covishield. তাতেও নাকি ক্ষতি নেই। এখন বলছে mix and match। দুটো dose নিলে কতদিন immunity থাকবে? কেউ জানে না। এখন বলছে নাকি 3rd dose লাগবে। মগের মুলুক পেয়েছে। কিছু জিজ্ঞেস করলেই irresponsible, anti-vax বলে দেবে। প্রশ্ন মানেই নাকি anti-science।
ইউ কে তে প্রথম দুটি ভ্যাকসিন এর ডোজের মধ্যেকার গ্যাপ বাড়ানো হয়।এর পিছনে একটা কারণ ছিল,এতে করে নাকি এ্যান্টিবডি রেসপন্স বেটার হয়। কিন্তু ব্রিটেনে প্রবল সেকেণ্ড ওয়েভ চলাকালীন এই গ্যাপ আবার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কারণ তিনমাস গ্যাপ প্যান্ডামিক ওয়েভ এর জন্য যথেষ্ট টাইম। অনেক মানুষ কেবল একটি ডোজ পাওয়ার পর ই আক্রান্ত হয়ে যাবে।এর চেয়ে ছ সপ্তাহ গ্যাপে দুটো ডোজ নিলে আক্রান্ত ব্যক্তি,বেটার ফাইট দিতে পারবে।মৃতুসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম হবে।
ভারতের বর্তমান সিচুয়েশন এরকম।কোন ভালো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ভয়ানক সেকেণ্ড ওয়েভ স্টার্ট হয়ে গেছে।বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় ভ্যাকসিন রয়েছে ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ। তাই সরকারের স্ট্র্যাটেজি, যতো পারো প্রথম ডোজ দিয়ে দাও,সেকেণ্ড ডোজের গ্যাপ বাড়াও।অর্থাৎ নাই মামার চেয়ে কানা মামা---
তাই প্রায় ত্রিশ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে প্রায় পঁচিশ কোটি আর দ্বিতীয় ডোজ চার কোটি মতোন।
এবারে ভ্যাকসিন দেওয়া ভালো কি মন্দ, এই প্রসঙ্গে একটি যুক্তি তুলে ধরতে চাই।
কিছুদিন আগে তিনোরা গলা ফাটাচ্ছিলো আট দফা ইলেকশনের জন্য বাংলাায় সংক্রমণ বেড়েছে। আর বিজেপি দিিক থেকে প্র্র্র্চার
হচ্ছিল , মহা রাষ্ট্রে তো সংক্রমন বেড়েছে। কৈ ওখানে তো ইলেকশন ছিলো না!!
এটাকে বলে ক্ল্যাসিকাল অপযুক্তি। কারণ বিজ্ঞান বলছে যত বেশি মিক্সিং হবে,ততো রোগ ছড়াবে।
এই প্রাথমিক যুক্তির ভিত্তিতেই তো কেন্দ্রীয় দরকার লকদাউন ঘোষণা করেছিল।
তাহলে মূল প্রশ্নের উত্তর কি?কেন ইলেকশন ছাড়াই মহারাষ্ট্রে এতো সংক্রমণ হলো?
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে ,স্প্যানিশ ফ্লু এর আমলে ও মুম্বাই অপেক্ষাকৃত বেশি সংক্রমিত হয়ে ছিল।কারণ মুম্বাই তে দেশ বিদেশের লোকজন যাতায়াত বেশি। আবার সংক্রমণ পরবর্তী কালে নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরী হবার সম্ভাবনাও বেশি। আরো কিছু ছোট বড় কারন থাকতে পারে।
প্রশ্ন করার অভ্যাস ভালো। উত্তরের জন্য ও অপেক্ষা করতে হয় বা রিসার্চ চালাতে হয়। কিন্তু অমিতাভ বাবুর মতন একদিকে আমি ভ্যাকসিন বিরোধী নয়, কিন্তু আদৌ ভ্যাকসিন কাজ করে কি? এই দুটো জিনিষ পাশা পাশি চলতে পারে না।
যত বেশি মিক্সিং হবে,ততো রোগ ছড়াবে।
https://kolkatatv.org/health/madhya-pradesh-stampede-like-situation-during-vaccination/
ভোপাল: কার আগে কে নেবে ভ্যাকসিন? এই নিয়ে রীতিমত মারামারি, ধাক্কাধাক্কি, হুলুস্থুল কাণ্ড পড়ে গেল। পরিস্থিতি এতোটাই বিগড়ে গেল যে প্রায় পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ভ্যাকসিন রয়েছে মাত্র ২০০টি। আর গ্রামবাসীদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। প্রত্যেকেই চাইছেন ভ্যাকসিন নিতে। লাইন ভেঙে কে কার আগে পৌঁছবেন চিকিৎসকের কাছে। তাই নিয়েই তাড়াহুড়ো। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারা জেলায়।
@চঞ্চল নন্দী
আমার কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট নেই। আমি রেগুলার লেখক নই একেবারেই। আপনি নিচের ইমেল এ একটা মেল করলে ইংরেজি অনুবাদ করে দিতে পারি। চাইলে আপনি বা অন্য যে কেউও অনুবাদ করে নিতে পারেন। গুরুচন্ডালি র আপত্তি না থাকলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার নাম দেবার ও কোনো প্রয়োজ নেই।
simplyamitava@gmail.com