এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এই সময়

    অর্পণ চৌধুরী
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মার্চ ২০০৮ | ৮০৫ বার পঠিত
  • যে শহরে আমি এখন থাকি তার দুটো নাম আছে। বা বলা ভাল কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিল। পুরানো নামটি শহরের সাবেকি কন্নড়ভাষী জনপদে সেই ষোড়শ শতাব্দী থেকে প্রচলিত ছিল। অন্য নামটিও নয় নয় করে কমদিনের নয়। ব্রিটিশেরা এখানে ক্যান্টনমেন্ট পত্তন করেছিল মোটামুটি দুশ বছর আগে। তাদের পরিশীলিত উচ্চারণবিকৃতির সৌজন্যে নতুন নামটি আস্তে আস্তে প্রচলিত হতে শুরু করে। তাও ওই ক্যান্টনমেন্ট সন্নিহিত অঞ্চল বোঝানোর জন্য। বছর দুয়েক আগে যখন শহরের নাম পাল্টে সাবেকি বেঙ্গালুরু রাখা হয় সরকারী অধ্যাদেশ জারি করে, তখন বিস্তর হইচই পড়ে যায়। বলা বাহুল্য সবচেয়ে বেশি শোরগোল মাচিয়েছিল শহরের সেসব অঞ্চল যেখানে কসমোপলিটান মানুষজন বসবাস করেন। এই মানুষজন মোটামুটি সবাই উচ্চশিক্ষিত, সুউপায়ী এবং সুশীল উপায়ে নিজেদের প্রতিবাদ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় কথা তাদের প্রতি মুহূর্তে একটা অস্বস্তির কারণ আছে বৈকি! পা হড়কে যাওয়ার ভয় এবং তজ্জনিত অস্বস্তি।

    সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বেঙ্গালুরুতে ৩০%-এর কম লোক কন্নড়ভাষায় কথা বলেন। আয় ও ব্যয়ের পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে বৈষম্য আরো বেশি। রোজকার কবাডিখেলার অভিজ্ঞতায় বলে বেঙ্গালুরুতে শিবসেনার মত উগ্র প্রাদেশিক কোন দল নেই। কাবেরীর জল নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যের সাথে খুচরো বাওয়াল এমনকি ছোটখাটো দাঙ্গা মাঝে মাঝেই হয়, যার উৎস অতীতের সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ। সেইসময় তামিল ফিল্ম বয়কট থেকে শুরু করে কন্নড় জাত্যভিমানের পুনরুত্থান যা যা সম্ভব সব কিছুই হয়ে থাকে। কুশীলব পাল্টে যার পুনরাভিনয় হয় সীমান্তের অপর পারে। কিন্তু এই সব সময়েও শহরের পূর্বে ও দক্ষিণপ্রান্তে থাকা এবং এভরি উইকেন্ডে মহিলা সমভিব্যহারে এমজি রোড দাবড়ে বেড়ানো জনগোষ্ঠীর (বৃহত্তর অর্থে আইটিওলা) বিপদের কোন কারণ ঘটেনি। তাই রোজকার কিতকিত খেলার অভিজ্ঞতায় এও জানি এখনো বিন্দাস চলে শহরের দুটি নামই। পোমো ডিসকোর্স ও সামাজিক পালার মত। পাশাপাশি। কেউ কারো দুনিয়ায় নাক গলায় না।

    তবে সুশীলেরা থাকলে তাদের মুখে ছাই দিয়ে দু:শীলেরাও থাকবে। দু:শীলদের সহজে দেখা যায় না, তবে হঠাৎ করে দস্যু মোহনের মত আবির্ভূত হয়ে তারা সুশীল সমাজকে বেআব্রু করে দেয়। বেশিদিনের কথা নয়। এপ্রিল, ২০০৬। কন্নড় সিনেমা জগতের প্রবাদপুরুষ রাজকুমারের মৃত্যুর পরে কয়েক হাজার উন্মত্ত জনতা দোকানপাট অফিস ভাঙচুর, বাস ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি দুষ্কর্ম শুরু করে দেয়। সুশীল শিক্ষার পরিসর এই সব বিক্ষুব্ধ যুবাদের চতুর্দশ পুরুষে কেউ কখনো পায়নি সেই কারণে তাদের কেউ কোনদিন ইনফোসিসে চাকরিও করেনি। অথবা যেমনটি দেখা গিয়েছিল গত বছর কলকাতায় পার্কসার্কাস তিলজলা কলিন স্ট্রীটের স্ট্রীটফাইটে। তসলিমাবিরোধী সহিংস আন্দোলনে সেদিন সকালে নিরুদ্বেগ মহানগরীর নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল যেসব চরিত্রেরা তাদের জীবন থেকে রাজারহাট এবং সেক্টর ফাইভ অনেক আলোকবর্ষ দূরের ব্যপার। আইকনহীনতায় কেহ বাঁচিতে চায় না, উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিবাদ সূচিত হয়েছিল ঐরূপ নৈরাশ্যসঞ্জাত ক্ষোভ ও আবেগে, যা পরে অনিবার্য গতিতে উগরে দিতে থাকে অনেকদিনের জমতে থাকা রাগ, অসহায়তা আর নিরাপত্তাহীনতার ব্যারেল ব্যারেল গরল। রাষ্ট্র নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

    যেমন অকস্মাৎ রাশি রাশি পঙ্গপালে ছেয়ে গিয়েছিল ফসলের মাঠ তেমনি কেউ খেয়াল রাখে না কোথায় মিলিয়েও যায় তারা আচম্বিতে। শুধু পরদিন সকালে বাজার করতে যাওয়া সুশীলদের জন্য রয়ে যায় দেয়াললিখন: "কে, কখন, কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনো বাকি আছে'। এবং আমরা দৈনন্দিন গলিক্রিকেটের আম্প্যায়ারিঙে ব্যস্ত মানুষজন ভুলে যাই অনেক জায়গাতেই আমরা সুবিধাভোগী মানুষজন বসে আছি ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের আশেপাশেই। আর যদি তা না হত? যদি পুঞ্জিভূত ক্ষোভকে সংগঠিত করার জন্য শিবসেনার মত কোন দল থাকত জীবনে ও মরণে? আজ এই সময়ে রাজ থ্যাকারে যখন নিজস্ব পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি নির্মাণের জন্য বেছে নেন অমারাঠি বিতাড়নের সেই অমোঘ ও পুরানো গুন্ডাগর্দি তখন আমাদের জুতোয় পেরেকের কাঁটাটা খচখচ করতে থাকে কিছুদিন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। গত একমাসে শিবসেনার আগ্রাসী বর্বরতা যাদের উপর আছড়ে পড়েছে তারা সবাই হিন্দিভাষী (মূলত বিহার ও উত্তরপ্রদেশের অধিবাসী) চাওয়ালা, ফুচকাবিক্রেতা, ট্যাক্সিচালক, দিনমজুর ইত্যাদি রোজ-আনি-রোজ-খাই প্রান্তিক জনবর্গ। বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের অর্থনীতি যাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই গুজরাতি ও পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষজন, কর্পোরেট সেক্টরের অমারাঠি কর্মিবৃন্দ এইসব উচ্চ, মধ্য ও উচ্চমধ্যবিত্ত সফল ও প্রতিষ্ঠিত শ্রেণীগুলি কিন্তু এই আন্দোলনের শিকার কদাপি হয়না।

    কেন এমন হয় তার ব্যাখ্যাও খুব একটা কঠিন নয়। প্রথমত, এই মানুষগুলি অসংগঠিত এবং সফ্‌ট টার্গেট। দ্বিতীয়ত, রাজ থ্যাকারে ময়দানে নেমেছেন ভোটব্যাঙ্ক বানাতে (এবং শিবসেনা দলটির কর্তৃত্ব কব্জা করতে) , বিপ্লব করা তাঁর কর্মসূচীতে নেই। কাজেই এমন কিছু করা চলবে না যাতে রাজ্যের অর্থনীতির ছাদটি ভেঙ্গে পড়ে আগামী বর্ষায় ঘরটি জলে টইটুম্বুর হয়। কথায় আছে, নিজের ভাল পাগলেও বোঝে। তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, রাজ থ্যাকারের এই প্রয়াস তাঁর পিতৃব্য বাল থ্যাকারের ষাটের দশকে শুরু করা উগ্র প্রাদেশিক রাজনীতিরই কপি-পেস্ট। চার দশক পরে সেই একই আবেগসর্বস্ব নেতিবাচক রাজনীতি দিয়ে তিনি বড়জোর কিছু আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেন। যেটা পারেন না সেটা হল এই পাল্টানো সময়ে বিশ্বব্যপী পুঁজির অবাধ চলাচল ও তার হাত ধরে পরিবর্তনশীল আর্থসামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি বিকল্প মডেল খাড়া করতে পারার অনুশীলন। অনুশীলন নেই, তার কারণ সে বড় সময় ও পরিশ্রমসাপেক্ষ এবং তদুপরি তাতে নির্ভর করে ক্ষমতায় আরোহণের কোন নিশ্চিন্ত প্রতিশ্রুতি নেই।

    তো, বলার বিষয় এইটুকু যে এই বাজারে কোথাও ভূমিপুত্রদের অধিকার সুনিশ্চিত করার কোন রেডিমেড মডেল নেই। এই বিকল্প মডেল খাড়া করার অক্ষমতাটি একটি গ্লোবাল ফেনমেনন। আমেরিকাতে আজ যখন আউটসোর্সিং পেছনে-হুড়কো-সর্বজনমান্য একটি কনসেপ্ট, বাচ্চাদের নিয়মিত উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ভাল করে অঙ্ক শেখার জন্য, পাশাপাশি তখন পাল্লা দিয়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে ল্যাটিনো অভিবাসীদের উপর। আরেক কালচারাল ডাইভার্সিটি নিয়ে গর্ব করা দেশ বিলাতে এই মুহূর্তে রাশিয়ান ও ভারতীয় বিজনেসম্যানদের সাফল্যকাহিনীতে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে সবার। বিতর্ক শুধু দানা বাঁধছে পূর্ব ইউরোপিয়ান মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কারদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে। মুম্বাইয়ের সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনাবলী সেই বৃহৎ রাজনৈতিক সামাজিক অভিঘাতের একটি দেশী সংস্করণ মাত্র। অনেকগুলো জায়গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যে বড় একটা বৃত্ত আঁকা হয়ে আছে সেই বৃত্তের উপর বসে থাকা একটি স্পর্শবিন্দু।

    ইদানীং একইরকম ছবি দেখা যাচ্ছে সাংস্কৃতিক জগতে। একটি জাতির আত্মপরিচয়ের জায়গাগুলি যখন বহির্বিশ্বের দাপুটে সংস্কৃতি তথা জীবনশৈলীর আঘাতে এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে তখন খড়কুটো আঁকড়ে ধরে শুরু হয় গেরিলা লড়াই। এ লড়াই তোমার আমার। মহানগরীর বুকে দোকানে দোকানে সাইনবোর্ডে বঙ্গলিপি খোদাই করার চমকপ্রদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বঙ্গসাহিত্যের অগ্রণী পুরুষ। প্রথিতযশা লেখিকা র শাণিত লেখনীতে ভর্ৎসৃত হন বিদেশী ভাষার যাদু-ফ্যান্টাসিতে বুঁদ হয়ে থাকা কিশোর-কিশোরীর নিস্পৃহ ও উদাসীন অভিভাবকেরা। অবশ্য কালের কপোততলে সেই মহারণ স্থায়িত্ব লাভ করে না, দুই-চারিটি বুদ্বুদ নির্ঘোষের পরেই দুর্যোগ কেটে গিয়ে মেঘের কোলে আবার রোদ হাসে। অগ্রপুরুষের যুগপুরুষ উপাধি লাভের খোয়াবটিও অঙ্কুরেই বিনাশিত হয়। বরং বাস্তবের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে তাঁর অমল উপলব্ধি হয় : কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের বাইরে রয়ে গেছে যে বিপুলা গ্রাম্য বঙ্গজীবন সেখানেও বঙ্গসংস্কৃতি আজ কোণঠাসা। এবং গ্রামের মানুষের সচেতনতা না বাড়লে শহরে বসে বাইরে থেকে তা®কে পাল্টানো যাবে না। কারণ সেটি হয়ে যাবে শৌখিন মজদুরি। *

    বঙ্গসংস্কৃতির শুভাকাঙ্খী সাহিত্যিক অগ্রপুরুষ ও উগ্র প্রাদেশিক রাজনীতির বাঘের পিঠে সওয়ারি একজন ক্ষমতালোভী আঞ্চলিক মনসবদার দুই ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা। কিন্তু এই সময়, এই গোলমেলে সময়ের গ্যাঁড়াকলে, উভয়ের ভাবনাচিন্তা, কর্মপন্থা ও তার সংকটের কাহিনী একই সূত্রে গ্রন্থিত হয়ে যায়। ইতিহাসের পরিহাস ছাড়া আর কিছু বলা যায় কি!
    _______________________________________________
    * "বাংলা ও গ্রামবাংলা দু'এক ঝলক' - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৮ অক্টোবর, ২০০৭

    মার্চ ৯, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ মার্চ ২০০৮ | ৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন