এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রোমান ও আমরা

    অর্পণ চৌধুরী
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ আগস্ট ২০০৭ | ৭৪৩ বার পঠিত
  • রোমে গেলে রোমান হতে হয়। এই আপ্তবাক্যের জন্ম কবে হয়েছিল সে সমাজতাত্ত্বিকেরা গবেষণা করবেন। আমরা নিপাট বঙ্গীয় ভদ্রলোকেরা যারা সমসত্ত্ব দ্রবণে অণু পরমাণু হয়ে মিশে থাকি তার রোজকার জীবনচর্চায় জানি এর মহিমা। মালদা থেকে জগন্নাথ দে নামের যে ছেলেটি কেরিয়ারের টানে কলকাতায় এসেছিল সে হয়ত যথেষ্ট সময় পায়নি এই জীবনদর্শনবোধে পরিণত হতে। হয়ত সত্যি তাকে কেউ বলে দেয়নি বাসভর্তি লোকের সামনে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি হতে থাকলে মন দিয়ে জানলার বাইরে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করাই দস্তুর। তবে কি সার্ভাইভালের এই মডেলখানির অনিবার্য বিজ্ঞাপন থাকে না নীতিবোধ, প্রগতিশীলতা, সংস্কৃতিপাঠ ও বুলাদিতে ছেয়ে থাকা রোম নগরীর গর্বের বিলবোর্ডগুলিতে। অতএব হে প্রান্তিক নন-রোমান মানুষজনেরা আপনারা দেখে নয় ঠেকে শিখবেন।

    কলকাতা যা ভাববে কাল দিল্লি ভাবছে আজ। অন্তত এরকমই দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। কেননা গত মাসে তারা প্রকাশ করেছে রাজধানী শহরে বহিরাগতদের কোড অফ কন্ডাক্ট কিরূপ হওয়া উচিত। সেইসূত্রে জানা গেছে দিল্লিতে এই বিশেষ প্রজাতির বহিরাগতরা সকল অশান্তির মূলে। এদের দেখতেই যে শুধু বিদেশীদের মত তাই নয়, এরা কেউ স্থানীয় লোকেদের এড়িয়ে চলতেই ভালোবাসে। আরো জানা গেছে এদের নারীরা নিজস্ব আব্রু রক্ষায় অপারগ এবং এরা সবাই বিকট গন্ধযুক্ত খাবারদাবার ছাড়া কিছুই খায় না। আর এদের নিয়ে দিল্লি পুলিশের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

    বলা ভাল এই বহিরাগতরা হনলুলু বা কামচাটকার অধিবাসী নন। ইউফো বিকল হয়ে হঠাৎ রাজধানীতে নেমে পড়া বিপন্ন হিপিকুলও নয়। এরা ভারত নামক গণরাষ্ট্রেরই সন্তান, ভারতের সুদূর উত্তর-পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্যের অধিবাসীগণ। জানা গেছে কর্মসূত্রে বা উচ্চশিক্ষার্থী হিসাবে প্রায় ৪৫,০০০ এইরকম বহিরাগত দিল্লিতে চড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। এদেরই জন্য দিল্লি পুলিশের নিবেদন নিরাপত্তা নির্দেশিকাসহ একটি চটি পুস্তক, যার পোশাকি নাম "সিকিউরিটি টিপস ফর নর্থইস্ট স্টুডেন্টস এন্ড ভিজিটরস'। মুখবন্ধ লিখেছেন রবিন হিবু, পশ্চিম দিল্লি পুলিশের সহ-অধিকর্তা এবং অরুণাচল প্রদেশের একজন আইপিএস অফিসার।

    পুস্তিকাটির পাতা উল্টে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু পরামর্শ, ডুজ আর ডোন্ট'স লিপিবদ্ধ হয়েছে দিল্লি শহরে থাকার জায়গা, স্কুল কলেজে অ্যাডমিশন, বিপদে পড়লে যোগাযোগ করার ঠিকানা ইত্যাদি মামুলি কিছু বিষয়আসয়ে। এইগুলি পেরিয়ে আসে দুটি বিতর্কিত অনুচ্ছেদ - "খাদ্যাভ্যাস' আর "পোশাক বিধি ' যার থেকে কিছু লিখিত নমুনা পেশ করা গেল এখানে।

    - Bamboo shoots, Akhuni and other smelly dishes should be prepared without creating ruckus in neighbourhood
    - Your party should not disturb next door
    - Attire: Be Roman in Rome
    - Revealing dresses should be avoided
    - Avoid lonely road/by-lane when dressed scantily
    - Dress according to sensitivity of local populace

    পুস্তিকাটি বিতরণ করা হয়েছিল কলেজ প্রিন্সিপাল, চার্চ, এমপি, এমএলএ, স্টেট হাউস ইত্যাদি সংগঠনগুলিতে। এবং খবরটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া মাত্র প্রচুর বাওয়াল শুরু হয়। পুলিশের যেকোন ভালো মহতী কাজে যেরকম হয়। জেএনইউ আর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো এই পুস্তিকাকে "সোশ্যাল প্রোফাইলিং'-এর হাতিয়ার বলে চেঁচামেচি শুরু করে। এমনকি উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিক দলগুলিও এককাট্টা হয়ে এই 'জাতিবিদ্বেষী' ও 'লিঙ্গবিদ্বেষী' মন্তব্যগুলি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। আপত্তির মোদ্দা কারণগুলি খুব সুস্পষ্ট, তবে সবচেয়ে বৈষম্যমূলক মন্তব্যটি বোধহয় নিচেরটি। উল্লেখযোগ্য ২০০৫ সালের মে-জুন মাসে দিল্লিতে দু'জন উত্তর-পূর্বের ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। নিচের বক্তব্যে রয়েছে তারই রেফারেন্স।

    " A proud father sent his only daughter in Delhi to make her IAS/IPS but she returned back as drug addict, promising boy landed into police case for drunken brawl, late night parties with loud music landed six youngsters into police case, revealing dressed up parties lass was molested and thrown out from moving vehicle badly bruised after being outraged…. '

    নতুন কিছু কথা নয়, তবে কোন কবি যেন বলে গিয়েছিলেন আমাদের সবার মধ্যে রয়েছে এক-একটা পুলিশ। কথাটা উল্টে নিলেও সত্যি। পুলিশের "মানবিক' মুখে দেখেছি তাই আমাদেরই নন্দিত চেতনা। আমাদের হৃদয়সরোবর জুড়ে রয়েছে যে মেঘছায়া মাখা অখণ্ড ভারতাত্মার প্রতিবিম্ব, তাতে এই মঙ্গোলয়েড ফিচারের মানুষগুলি বা তাদের প্রান্তিক সমাজ, কৌমভাবনা বা সংস্কৃতিচেতনা সবই বিসদৃশভাবে বেমানান। মেনল্যান্ড ভারতভূমির অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলির বেলায়ও এগুলি সত্যি হলেও লক্ষণীয় যে এই অঞ্চলের সাথে রাজনৈতিক যোগাযোগ ও আদানপ্রদানের ইতিহাস বছর ষাটেকের বেশি নয়। অন্যভাবে বললে সমৃদ্ধ ভারতের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা বা আমাদের সামজিক ও রাজনৈতিক উদাসীনতার কাহিনীও এই রকম শখের প্রবন্ধ বা অ্যাকাডেমিক আলোচনার বাইরে স্থান করে নেয়নি কোনদিনই। অতএব পথ দেখাবার জন্য পড়ে থাকে সীমাহীন অজ্ঞতা ও মেজরিটি জাজমেন্ট এই দুইটি বস্তু। যে অধিকারে যেকোন মঙ্গোলয়েড ফিচারওলা মানুষই "চিঙ্কি' উপাধি পায় (বিলাতে কারা যেন উপমহাদেশের লোকদের পাকি বলে?)। যেমন এদের ছেলেরা বেশিরভাগই বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় ড্রাগখোর। অথবা এদের নাগরিক অংশ পশ্চিমী পোশাকআশাক বেশি পরে কিংবা এদের সমাজে ছেলেরা ও মেয়েরা অসঙ্কোচে মেশামেশি করে তাই এসব দেখে যেরকম আমরা জানি এইসব মেয়েরা খুব সহজলভ্য হয়।

    উল্লেখযোগ্য যে বর্তমান সরকার উত্তর-পূর্বের উন্নতির জন্য একটি মন্ত্রক সৃষ্টি করেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রীযুক্ত মণিশংকর আইয়ার এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে শিলং শহরে কিছুদিন আগে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একটি দামী কথা বলেছেন যে মেনল্যান্ড বলে কোন শব্দ হয় না (" There is no mainland, you are the mainland ') । খাসা কথা, শুনতেও ভাল লাগে। দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিদের মুখে এমন কথাই তো মানায়। তারও আগে বাজপেয়ী সরকারের এক পশুপ্রেমী মন্ত্রীর কাণ্ডজ্ঞান বোধহয় একটু কম ছিল। তিনি একবার নর্থইস্টে গিয়ে আলপটকা একটি নেতিবাচক মন্তব্য করে বসেছিলেন যার মর্মার্থ ছিল এই অঞ্চলের মানুষজন সবাই কুকুরের মাংস খায়। সে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। তবে আশ্চর্য হবারও কিছু নেই। এ হল আমাদের মনে ডালপালা মেলে রাখা নিষ্পাপ বৈচিত্ররূপী ঐক্যের ধারণার কন্ঠস্বর। সরল, কারণ মেড-ইজি। ক্ষমতার কন্ঠস্বরও নয় কি? যে ক্ষমতার ডিসকোর্স একদিকে মনে করায় প্রান্তিক জনবর্গের পবিত্র কর্তব্য মেনল্যান্ডের সঙ্গে আত্মীকরণের ধারাটি সতেজ সজীব রাখার, অন্যদিকে মূল সংস্কৃতি বা জীবনধারায় নিজস্ব যা কিছু অপাংক্তেয় তা বর্জন করার।

    আরো একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় বিশ্বায়নের ফলে আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান এবং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃহৎসভায় নিজের অজ্ঞানতা নিয়ে গর্বিত হবার সুযোগ। ভারতীয়ত্ব এখন আর কোন আবছায়া অবয়ব নয়, বলিউড-একতা কাপুর-করণ জোহার-করভাচত-ধনতেরাস নিয়ে এক গর্বিত বৃহৎ ফ্যামিলি। সার্বিক অর্থে বিশ্বায়ন মানে শুধু বড় মাছের ছোটকে গিলে খাওয়ার গল্প নয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির বৃহৎ দরবারে নিজেদের প্রকাশ করারও সুযোগ। যদিও তার কোন আশু সম্ভাবনা এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। তাই যারা ভেবেছিলেন নতুন শতাব্দীতে তথ্যপ্রযুক্তি অজানাকে আপন করবে, দূরকে করবে নিকট তার বরং বসে বসে বুড়ো আঙ্গুল চুষুন। শিশুর বিস্ময়ে মুখস্থ করুন উন্নতিকামী হোমোজিনিয়াস সমাজে নিরুপায় পুলিশ তথা রাষ্ট্র প্রণীত নিরাপত্তা নির্দেশিকাবলী। যাতে রয়েছে আদর্শ নাগরিকের আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, পরিচ্ছদের হাল হকিকত। যা দিয়ে গুরুবাদী সমাজে চেনা যাবে চণ্ডালদের এবং তাদের আলাদা করে শোধন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করা যাবে। তাদেরই হিতে।

    রবিন হিবু এবং দিল্লি পুলিশকে অভিনন্দন, তারা রোমান হবার এই সহজ পাঠটি লিপিবদ্ধ করেছেন বলে। শুধু তাই নয় তাতে সরকারি সিলমোহরের ছাপও লাগিয়েছেন।

    আগস্ট ১২, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ আগস্ট ২০০৭ | ৭৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন