এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • শহর থেকে নন্দীগ্রাম

    আত্রেয়ী দাশগুপ্ত
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ | ৬৮০ বার পঠিত
  • "কেন এসেছেন আবার আপনারা? কি করবেন? কিছু করতে পারবেন? ঐ হারামজাদাগুলোর ফাঁসি দিতে পারবেন? এখোনো যে দিনরাত গুলি বোমা চালাচ্ছে ঐ হারামীগুলো' -- শীর্ণকায়া বৃদ্ধা, লম্বা আঙ্গুল নেড়ে নন্দীগ্রামে আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন। তাঁর অর্ধোন্মাদ তীক্ষ্ম গলা আরো একবার শুনলাম প্রজিত-অমিতাভ-সিতাংশুর তথ্যচিত্র "উন্নয়নের জন্যে'র শেষে। কেন গেছিলাম? কেন যাচ্ছি এই প্রশ্ন বার বার করেছি নিজের কাছে। তিন সপ্তাহের কোলকাতা ভ্রমণ, প্রতিবারের মত আত্মীয় স্বজনের বাড়ি নেমন্তন্ন, কিছু নাটক, সিনেমা, কেনাকাটা, বন্ধুর বাড়ির বারান্দায়ে রাত ভোর মদ/সিগারেট, বাইরে খাওয়া, কিছু দায়িত্ব, সামাজিকতা এই দিয়েই তো শেষ হতে পারত। আর বার বার মনে হয়েছে এ কি মিউজিয়াম দেখতে যাওয়া? সভ্যতা, সমাজের এখনই প্রায় ইতিহাস হয়ে যাওয়া কোনো প্রত্নতাত্বিক প্রহসন দেখতে যাওয়া? তাও গেছি, ঠিক কেন যাচ্ছি না জেনেই গেছি।

    নন্দীগ্রামে ঢোকার আগে পরে নন্দকুমার, এই অবধি লাল পতাকার অবাধ বিরাজ, পতাকার বয়স নবীন না হলেও, এখনো চকচকে, দামী কাপড়ের। বাঁদিকে এগোলে মঠচন্ডীপুর, এখান থেকে সোজা গেলে নন্দীগ্রাম বাজার, আরো সামনে তেখালি ব্রীজ, এটাই সোজা রাস্তা কিন্তু এই ব্রীজ এখন সিপিএমের দখলে, এখান দিয়ে আর ঢোকা যাবেনা, তাই বাঁ দিকে বেঁকে চলুন আরো এগোতে থাকুন, গড়চক্রবেড়িয়া - রঙ্গ বদলে তেরঙ্গা মাঝে তিনপাতা, কিন্তু সেরকম জৌলুস নেই এ পতাকার,সস্তা কাপড়ের, এখনই তা রোদে জলে ম্রিয়মান। এই পতাকা চলবে সোনাচূড়া অবধি। রাস্তায়ে বহু জায়গায় এক মানুষ সমান খাদ কাটা, কোথাও কাঠের পলকা পাটাতন, প্রতি সপ্তাহে গাড়ি নিয়ে যে আসে এখানে, সে জানালো রাত হলেই এই পাটাতন গুলো তুলে নেওয়া হয়। কোথাও অতি কষ্টে পাশ দিয়ে গাড়ি যেতে পারে। পৌঁছে গেলাম সোনাচূড়ার বাজার। ছোট রাস্তার হোটেল, মিষ্টির দোকান, বেশ কিছু ISD/PCO বুথ। চা খেতে খেতে ভীড় জমে যায় আমাদের ঘিরে, শহরের মানুষকে দেখে দেখে এরা এতদিনে অভ্যস্ত, কিন্তু সবাই কিছু বলতে চায়। একই গল্প, একই ঘটনা, শহরের বেড়াতে আসা বাবু/বিবিদের বলে বলে ক্লান্ত নয় এরা? চায়ের দোকানের মালিক সেদিনই ছাড়া পেয়েছে, কি কারণে সে জানেনা, মিছিলে থাকার দরুন দেড়মাস তার হাজত বাস।

    এখানেই লোকের মুখে শুনি আজ নকি সুষ্মিতা সেন আসবেন। কিঞ্চিৎ কৌতুক বোধ করি, আর আমার শহুরে সিনিসিজম থেকেই পরিষ্কার বুঝতে পারি পাতি গুজব এটা। চা খেয়ে উঠে গ্রামের লোকটির পেছন পেছন হাঁটতে থাকি আমরা,ঠিক আর পাঁচটা গ্রামের মতই, কোনোদিনও যেন এই নিস্তরঙ্গ গ্রামে কোথাও একটা ঢিলও পড়েনি। ভরত মন্ডলের বাড়ির লোকেরা তখন সবে খেতে বসেছেন, তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে একটু এগোলেই পুষ্পেন্দু'র বাড়ি। পুষ্পেন্দু, বাঘা বলেই যাকে সবাই জানত। অসম্ভব ভালো ফুটবল খেলোয়ার, ২৩-২৪ বছরের টগবগে যুবক পুষ্পেন্দু। এর ঠিক ওপরের ভাই কৃষ্ণেন্দু আমাদের ভেতরে নিয়ে যায়, দাওয়ায় একদিকে বেঞ্চি, একদিকে চৌকি পাতা, আরো কিছু জ্ঞাতি জড়ো হন। এসে বসে পুষ্পেন্দুর খেলার সাথী, যার সামনে গুলি খেয়ে পরে যায় বাঘা, তুলতে গেলে পুলিশ এসে বেদম মার দিতে শুরু করে, নিজের প্রাণ বাঁচাতে বন্ধুর গুলিবিদ্ধ দেহ ওখানেই রেখে আসতে হয়। "হয়ত নিয়ে এলে বাঁচাতে পারতাম আমরা' শুনতে পাই কৃষ্ণেন্দুর গলা, এক জোয়ান পুরুষ, চোখের জল যাঁর এখনো শুকোতে পারেনি। মুখ ফিরিয়ে নিই। মানুষগুলো বলতে থাকে সেদিনের ঘটনা, বহুবার ইতিমধ্যে যা পড়েছি, যা শুনেছি, সেই একই বিবরণ। শুধু মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ভরতের জ্ঞাতি দাদা, "ওরা বলছে হাজার হাজার সিপিএম কর্মী নিখোঁজ? মেরে কেটে দুশো হবেনা, আর ওদের অনেকেরই ঘর বাড়ি, ধানের গোলাও পড়ে আছে, আমরা হাতও লাগাইনি, যাঁরা বলছে তাঁরা এসে দেখে যাক" ।

    তাল কেটে যায় ভেতর থেকে ভেসে আসা কান্নার আওয়াজে, বাড়াতেই থাকে সেই আওয়াজ, বেড়িয়ে আসেন পূর্ণেন্দু, দিব্যেন্দু, কৃষ্ণেন্দু, পুষ্পেন্দুর মা। আজ শুধু পূর্ণেন্দু, দিব্যেন্দু আর কৃষ্ণেন্দুর মা। কি করব বুঝতে পারিনা। মৃত ছেলের বন্ধুর হাঁটু আঁকড়ে পাগলের মত কাঁদতে থাকেন। আসে পাশে পাঁচ ছটা ছোট বাচ্চা, তাদের তখনও আমাদের ঘিরেই কৌতুহল। আমরা বেরিয়ে আসি,ভরত মন্ডলের জ্যাঠতুত দাদার বাড়িতে বসতে বলেন ওঁরা। বাচ্চা গুলো আমাদের পেছন পেছন এসে যায়। এদের স্কুল বন্ধ, কবে খুলবে কেউ জানেনা। ভরতের বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ, "আপনারা যদি বৌমাকে একটু সাহায্য করতে পারেন ... ' -- তাকিয়ে একজন বিধবা মহিলাকেই দেখতে পাই প্রথমে,তাঁর সাথেই কথা বলতে শুরু করি, ভুল বুঝতে পারি তখন যখন ভাশুরের কথায় ভিটে জমি দেখাতে এগিয়ে আসে সে দরজার আড়াল থেকে। নিজেকে অদৃশ্য করে রাখতে পারলেই, নিজের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব আড়াল করে রাখতে পারলেই যেন শান্তি পেত সে। মুখে একটা কথাও বলেনি, ভাবহীন কঠোর মুখ। নিজের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায় মেয়েটি। সাথে বারো তেরো বছরের বড় ছেলে, আর তিন চার বছরের ছোটোটি। ভাঙ্গা চোরা ঘর, চালের অবস্থা খুবই খারাপ, জমি যেটুকু তা আমার আপনার অনেকেরই বসবার ঘরের আয়তনের। সঙ্গের লোকেরা বার বার মেয়েটিকে কিছু বলতে বলে আমাদের। একটি শব্দও বার হয়না ওর মুখ দিয়ে। ওরা একটু এগিয়ে যায় আমাদের আলাদা করে দিয়ে, একটি মেয়ের কাছে যদি শুধু একটি মেয়ে হয়ে সে কিছু বলতে পারে। "আপনি বলুন, আপনার যা মনে হয় বলুন, রাগের কথা, দু:খের কথা, যা ইচ্ছে' নিজের কথা গুলো নিজের কানেই অসম্ভব মেকি, ফাঁকা লাগে। আমি শুধু হাত দিয়ে তার হাত ধরতে পারি। কিন্তু ছুঁতে পারিনা, কিছুতেই পারিনা আমার জন্মগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত বিভেদ অতিক্রম করে তাকে ছুঁতে। বিভেদ যা বেড়েই চলছে আজকের এই পৃথিবীতে। আরো আরো দূরে সরে যাচ্ছি আমরা। তার মুঠো করা হাতের মধ্যে গুঁজে দিই পৃথিবীর উল্টো প্রান্ত থেকে পাঠানো "সাহায্য' আর এই প্রথম, তার চোখ বেয়ে জল নামে। বড় ছোটো হয়ে যাই আমি। চাষীর বৌ সে,হাত পেতে এই ভাবে কোনোদিনও কি তাকে .... বলতে শুরু করে সে - পূর্ব মেদিনীপুরের ভাষার আড়াল থেকে উদ্ধার করতে পারি - "কি আর চাই আমি, চাই এই সরকারের ফাঁসি হোক ...... কত মারবে? একশো, দুশো, হাজার, আরো হাজার মরব, কিন্তু জমি দেবোনা, জমি আমি কিছুতেই দেবোনা।' তাকিয়ে দেখি মায়ের পাশে দাঁড়ানো কিশোর ছেলেটির মুখ ক্রমশ শক্ত হচ্ছে।

    সোনাচূড়ার বাজার থেকে ভ্যানে পা ঝুলিয়ে যেতে যেতে বাঙ্গলার শান্ত সবুজ কৃষি জমি চোখ জুড়িয়ে দেয়, মাঝে মাঝে একফালি সূর্যমূখীর ক্ষেত। সঙ্গের গ্রামের লোকটি এই শান্ত সবুজের দিকে আঙ্গুল তুলে দূরে দেখিয়ে দিলেন সেই বিখ্যাত জননী ইঁট ভাঁটা। এই রাস্তাতেই এখনো মুছে যায়নি রক্তের দাগ, কত রক্তপাত হলে গাছের গায়, বাঁশের কঞ্চির গায়, রাস্তায়, এই দেড়মাসের রোদ-জলের পরেও স্মৃতিচিহ্ন থেকে যায়? এই ক্ষেতের মাঝ দিয়েই পালাতে চেষ্টা করেছিল মানুষ। আরো এগিয়ে চলুন, দুপাশে পুকুর, ডোবা। এই ডোবাতেই নেমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল অগুন্তি নারী। অল্প দূরে দেখা যায় ব্রীজ, তার ঠিক আগে দোতলা পাকা বাড়ি, অনেক খানি জায়গা ঘিরে। এই সেই নব সামন্তর বাড়ি। বৃহৎ এলাকা জুড়ে এর জমি। তার পর আর এগোনো বারণ। ব্রীজ পার হয়ে খেজুরি। দূর থেকে দেখা যায় হাওয়ায়ে উড়ছে আবার সেই লাল পতাকা। এই ব্রীজের কাছাকাছি যাঁরা থাকেন, সন্ধ্যে হলে এই দেড়মাস বাদেও তাঁরা ঘর দোরে তালা লাগিয়ে সোনাচূড়ার ভেতর দিকে কোনো আত্মীয় প্রতিবেশীর বাড়ি আশ্রয় নেন। আমরা যখন নব সামন্তের বাড়ির কাছে তখন বিকেল সাড়ে চারটে, ঝকঝক করছে রোদ, কিন্তু তাও ঐ বাড়িতে আমাদের নিয়ে যেতে ভয় পেলেন সঙ্গের যাত্রী, যেন এখনও ওঁৎ পেতে আছে অচেনা কোনো জন্তু,আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। কিছুটা জোর করেই এগিয়ে গেলাম আমরা। অদ্ভূত বাড়িটা। সামনে খেজুর গাছের সারি, বাইরে থেকে প্রায় কিছুই দেখা যায়না, অথচ ভিতর থেকে বাইরে দেখা যায়। এই বাড়ির থেকেই শংকর সামন্তর গুলি এসেছিল, এই বাড়ি থেকেই বেড়িয়ে এসেছিল নব সামন্ত, এক মাসের শিশুর পিতা সুব্রত'র মাথা বর্শার ফলায় নিয়ে। এই বাড়িতেই ..... থাক, আরো এগোলে নিজেই দেখতে পাবেন। গ্রামবাসীরা শংকর কে মারার পর আগুন লাগিয়ে দেয় এই বাড়ির বাইরের দিকে, পোড়া দাগ, মাঝে মাঝে ছাইএর স্তূপ,তাও বাড়িটা দাঁড়িয়ে। একটা অচেনা গা ছম্‌ছম ঘিরে ধরে। এগিয়ে গিয়ে দালানে দাঁড়ান দেখতে পাবেন, অসংখ্য ছেঁড়া শাড়ি, জামা, ছোট বাচ্চার ফ্রক, ভাঙ্গা পলা। শিউরে উঠি, সত্যিই কি এগুলো সেদিনের অমানবিক অত্যাচারের সাক্ষ্য? দালান থেকে নিচু হয়ে ঢুকতে হয় ভেতরে, ঘরের মধ্যে, দেওয়ালে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত। বেড়িয়ে আসি, অন্ধকার কুঠরি থেকে। ফিরে আসি সোনাচূড়ার বাজারে, এখানে অনেক লোক, অনেক আলো, এখানে নি:শ্বাস বন্ধ করে থাকতে হয়না।

    বাজারের মাঝে সকাল থেকে দেখছি একটা মঞ্চ, ফিরে এসে দেখি লোকের ব্যস্ততা বেড়েছে সেখানে, টিউব লাইট জড়ো হচ্ছে, আস্তে আস্তে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে, এই সময়েও এরকম অবস্থাতেও সবাই যেন উৎসবে আসছেন, ভালো শাড়িটা, তোলা জামাটা পরে, মেয়েরা অল্প প্রসাধন করে। এর মধ্যেই দেখি কৃষ্ণেন্দু তার ভাইপো ভাইঝির হাত ধরে উপস্থিত, সকালের ইজের পরা, আদুর গা এরা এখন পরিষ্কার ভালো জামা পরা। মঞ্চে কারা যেন বক্তৃতা দিয়ে চলে। উপস্থিত মানুষগুলো অধীর আগ্রহে বিশ্বসুন্দরীর অপেক্ষায়। অবশেষে সভা ভাঙ্গে, মিটিং কর্তাদের অভীষ্ট জনসমাবেশ ভালই সিদ্ধ হয়। হতাশ মুখে লোকগুলো বাড়ি ফিরে চলে। মেদিনীপুরের মানুষের খুব একটা খ্যাতি নেই সহজ সরল বলে, তাও এরা কিসের যেন আশায়, কোন এক তাগিদে এমন দিনেও গুজবে বিশ্বাস করে নিজেদেরকে সাজিয়ে তোলেন। আমাদেরও এগোনোর সময় হল আমাদের বাড়ির দিকে।

    রাত প্রায় এগারোটা। খোলা জানলায়ে উৎকন্ঠিত এক মায়ের মুখ, না নন্দীগ্রামের সন্তান হারানোর ভয় বুকে নিয়ে কোনো মা না, আমার আজন্মকালের বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কলকাতার বাড়ির জানলা, মেয়ে শহর থেকে গাড়ি করে এক উত্তপ্ত গ্রামে গেছে,রোজ খুনোখুনির ভয় সেখানে, কি জানি কি হয়। এখানে বাইরে গোলাগুলি, আতঙ্কর লেশ মাত্র নেই, সামনের শিরিষ গাছে প্রতিবারের মত প্রথম বসন্তের ঘোষনা করে কোকিলটা সারা রাত ডেকেই যাবে। আর তিনটে দিন, চব্বিশ ঘন্টায়ে পার হয়ে যাবো সাড়ে সাত হাজার মাইল। পার হয়ে যাবো নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, এখনই ফিকে হয়ে এসেছে ভরত মন্ডলের স্ত্রীর নিথর মুখ, পুষ্পেন্দুর মা'র মড়া কান্নাও আর সেরকম কানে বাজেনা, অথচ ঐ বৃদ্ধার প্রায়োন্মাদ চিৎকার, অশিক্ষিত গালাগালি মাথার মধ্যে ঘুরতেই থাকে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ | ৬৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন