এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় -এক অসঙ্গতির উপাখ্যানঃ কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর

    দেবাশিস সেনগুপ্ত , প্রবাল চৌধুরী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ আগস্ট ২০১৫ | ৮৪৩২ বার পঠিত
  • ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুদন্ড নিয়ে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল চার পর্বে। লেখার মতামতে কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। সেগুলির সরাসরি উত্তর দিচ্ছেন দেবাশিস সেনগুপ্ত ও প্রবাল চৌধুরী।

    অনেক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই সৈকতের মূল লেখায় অথবা প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া হয়েছে; বাকিগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাঁদের আগ্রহ আছে, অনেক সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন হাইকোর্টের পেপারবুকে। সেটা পাওয়া যাচ্ছে একটি নির্মীয়মান ওয়েবসাইট-এ (www.india-hanged-innocent.org)। সেখানে আছে এফ আই আর, ময়না তদন্তের রিপোর্ট, ফরেনসিক রিপোর্ট, বিভিন্ন সাক্ষীদের বয়ান, ধনঞ্জয়ের প্রশ্নোত্তর, বিভিন্ন সিজার লিস্ট, দায়রা আদালতের রায় ইত্যাদি।
     
    প্রসঙ্গ - পুলিশকে খবর দিতে কত দেরি হয়েছিল।
    মৃতদেহ আবিষ্কার হয় ৬টা ৫ মিনিটে, পুলিশকে জানানো হয় ৯টা ১৫ মিনিটে।
     
    প্রসঙ্গ - পুলিশের কাছে রামধনির বয়ান ও কোর্টে সাক্ষ্যের মধ্যে সময়ের পার্থক্য।
    পুলিশ রামধনিকে খুনের রাত্রেই জিজ্ঞাসাবাদ করে; থানায় নিয়ে যায় খুনের পরদিন (৬ই মার্চ, ১৯৯০); কোর্টে সে সাক্ষ্য দেয় ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১।
     
    প্রসঙ্গ - আদালতে রামধনির সাক্ষ্যের আগে তাকে আগের বয়ান মনে করানো হয়েছিল কি না।
    কোনো তথ্য নেই, তবে প্রসিকিউশন তাদের সব সাক্ষীদের সাক্ষ্যের আগে প্রস্তুত করে নেবে, এটাই প্রত্যাশিত।
     
    প্রসঙ্গ - রামধনি সত্যি বলছে ভেবে দুই সময়ে দু'রকম বলেছে এমন হতে পারে কি না।
    রামধনির কোর্টে দেওয়া বয়ানে সে স্পষ্ট ভাষায় পুলিশের খাতায় থাকা জবানবান্দির বহু অংশ অস্বীকার করেছে এই বলে যে সে স্বল্পশিক্ষিত, পুলিশ তার বয়ান বলে ইংরিজিতে যা লিখেছে তা সে আদৌ জানে না।
     
    প্রসঙ্গ - ধনঞ্জয়ের অন্তর্ধানের কারণ।
    ধনঞ্জয়ের ডিউটি ছিল দুপুর দু'টো পর্যন্ত; পরবর্তী ডিউটির আগে পর্যন্ত সে তল্লাটে না থাকলেও সেটাকে অন্তর্ধান বলা যায় না। ঘটনা হচ্ছে, চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটা-পৌনে ছ'টা পর্যন্ত তাকে বিল্ডিং-এর আশেপাশে দেখা গেছে, তার পর দেখা যায় নি। দু'তিন ঘণ্টা তাকে দেখা যায় নি বলে সে সন্দেহভাজন হয়ে ওঠে, আর সম্ভবত ফিরে আসার পর সবাই সন্দেহ করছে দেখে সে চম্পট দেয়। তার পর তো কাগজে কাগজে সম্ভাব্য খুনী বলে তার নাম বেরোয়, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করে। লিফটম্যান ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গেছিল। তাদের মারধোর করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। পিটুনির ভয়ে ধনঞ্জয়ের মতো লোকেদের পালানো মোটেই অস্বাভাবিক নয়। ধনঞ্জয়ের নিজের বয়ান অনুযায়ী সে ভাইয়ের পৈতের আর তার স্ত্রীর অপারেশনের জন্য কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছিল, শ্বশুরবাড়িতেও গেছিল; এসব কথার সত্যাসত্য যাচাই করা হয় নি।
     
    প্রসঙ্গ - ধনঞ্জয় সঙ্গে সঙ্গে পালাল কেন।
    আনন্দ অ্যাপার্টমেন্ট ধনঞ্জয়ের বাসস্থান ছিল না, সন্ধ্যা ছ'টা থেকে ন'টা তার ডিউটিও ছিল না সেখানে। আমার অফিস সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত চলে; সেখানে সন্ধ্যা সাতটা থেকে দশটা আমাকে দেখা না গেলে কেউ বলবে না আমি পালিয়েছি। অফিসে বিকেলবেলা একটা খুন হয়ে গেলেও এই প্রশ্ন ওঠে না। ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও আনন্দ অ্যাপার্টমেন্টে ওই সময় তার দর্শন না মেলাটা অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। ধনঞ্জয় বলেছে সে সিনেমা দেখতে গেছিল। (সিনেমা দেখে ফিরতে ফিরতেই যদি সে পলাতক খুনী বনে গিয়ে থাকে, তাহলে সত্যিই পালানো ছাড়া তার করার খুব একটা কিছু ছিল না।) এটা অ্যালিবাই হিসেবে না হোক, সন্ধ্যাবেলা সে সেখানে না থাকার কারণ হিসাবে যথেষ্ট। পদ্মপুকুরের কাছাকাছি সিনেমা হল তখন কী কী ছিল আমাদের মনে নেই, তবে তিনটে-ছ'টা-ন'টায় শো শুরু হওয়াটা খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। অবশ্য সন্ধ্যাবেলা ধনঞ্জয় পদ্মপুকুরে থাকলে হয়তো তার ঘাড়ে দোষ চাপানোর সুযোগ কেউ পেত না। ধনঞ্জয়ের দিক থেকে দেখলে তাই সিনেমায় যাওয়াটা বড় ব্যাপার ছিল। ওই কথাই সে বার বার বলেছে।
     
    প্রসঙ্গ - ধনঞ্জয় ৩০-৪০ মিনিট ধরে বিল্ডিংয়ের ভিতরে কী করছিল।
    ৩০-৪০ মিনিটের প্রশ্নই ওঠে না। সরকারি আখ্যান অনুয়ায়ী তাকে দশরথ মুর্মু ঢুকতে দেখেছে ৫টা ২৫ থেকে ৫টা ৩০এর মধ্যে। লিফটম্যান তাকে নামতে দেখেছে ৫টা ৩০ থেকে ৫টা ৪৫এর মধ্যে। সরকারি কাহিনীতে ওর উপস্থিতির সময়টা টেনে লম্বা করার চেষ্টা হয়েছে যতদূর পারা যায়, তাই ঢোকার সময়টা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়। কাজেই ধনঞ্জয় বিল্ডিংয়ের মধ্যে মাত্র পাঁচ মিনিটও থেকে থাকতে পারে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে, ছোট কাজ সেরে বা সারতে না পেরে আবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে গিয়ে থাকতে পারে। যদি ২০ মিনিটও ধনঞ্জয় সেখানে থেকে থাকে, তাতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক কিছু নেই। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নানা খুচরো কাজে লিফটম্যান ও সিকিউরিটি গার্ডদের লাগাত, সেই সূত্রে তাদের নানা ফ্ল্যাটে যাতায়াত ছিল।
     
    প্রসঙ্গ - পোস্ট মর্টেম ও ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ কী মিলেছে।
    যোনিতে বীর্য পাওয়া যায় নি, পাওয়া গেছে মৃতের চাপ-ধরা যৌনকেশে, প্যান্টিতে আর আন্ডারস্কার্টে। এর মধ্যে প্যান্টিতে বীর্য পাওয়ার স্বাভাবিক ব্যাখ্যা - সঙ্গমের পর প্যান্টি পরা হয়েছিল, অর্থাৎ সঙ্গম ঐচ্ছিক ছিল। স্তনে বা নিম্নাঙ্গে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি; যত আঘাত সবই মুখে-গলায়-ঘাড়ে-হাতে (কোমরের পাশে একটু ছড়ে যাওয়া ছাড়া)। হেতালের মায়ের পুলিশকে দেওয়া বয়ানে বলা হয়েছিল, দেহ আবিষ্কারের সময় স্তন ও নিম্নাঙ্গ দৃশ্যমান ছিল (আদালতের বয়ানে শুধু নিম্নাঙ্গের কথা বলা হয়)। অথচ ময়না তদন্তের সময় মৃতদেহে ব্রেসিয়ার অক্ষত দেখা গেছিল, ফরেনসিক পরীক্ষাতেও তাতে টানাহ্যাঁচড়ার চিহ্ন মেলেনি। পুলিশকে এবং আদালতে বলা হয়েছে প্যান্টি পাওয়া গেছিল দরজার কাছে, অথচ তাতে বীর্য মিলল কেমন করে তার ব্যাখ্যা নেই। প্যান্টি ও অন্যান্য জিনিস সিজ করার আগে নাকি ছবি তোলা হয়েছিল, কিন্তু সেই ছবি আদালতে ব্যবহার করাই হয় নি। এই-সব দেখে মনে হয় মৃতদেহ আদতে যতটা অনাবৃত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি বানানো হয়েছে আদালতে দেওয়া বর্ণনায়, হয়তো ধর্ষণের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। দেহ খুব বেশি অনাবৃত থাকলে সেই অবস্থায় তাকে নিয়ে মা তৎক্ষণাৎ লিফটে নেমে আসতেন না।
     
    প্রসঙ্গ - ডাক্তার ধর্ষণ সম্বন্ধে কী বলেছেন আর তার গুরুত্ব।
    পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে এপ্রসঙ্গে কিছুই লেখেন নি; ধর্ষণ হয়েছে কি না পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু লিখেছেন যৌনসংসর্গ হয়েছে। আদালতে প্রথমে বলেছেন, "From the finding as noted by me the girl had been raped before she was murdered"। জেরার উত্তরে বলেছেন, "I had an impression while looking into ext. 17 that the deceased had been raped and killed", যেখানে ext. 17 হল ওই পরীক্ষার রিকুইজিশন, যেখানে পুলিশ লিখেছে - "this case appears to be a case of rape and murder"। আরো জেরার উত্তরে তিনি বলেন, "I did not write anything in the post mortem examination report about the rape. . . I mentioned about the rape in reply to the queries made by police"। তিনটি আদালতে ধর্ষণের প্রমাণ বলতে উল্লেখ করা হয়েছে ডাক্তারের এই সাক্ষ্যের, আর ধনঞ্জয়ের উকিলরা ধর্ষণের অভিযোগকে বিশেষ চ্যালেঞ্জ করেন নি। ব্যাপারটা দাঁড়াল, পুলিশ ধর্ষণ সন্দেহ করেছে দেখে ডাক্তারের ধারণা হয়েছে এটা ধর্ষণ, আর ডাক্তার একথা বলেছেন বলে আদালত স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ধর্ষণ হয়েছে।
     
    প্রসঙ্গ - মৃত্যুর পরে সঙ্গম।
    সঙ্গম যে মৃত্যুর আগে ঘটেছিল, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার।
     
    প্রসঙ্গ - রক্ত আর বীর্য স্যাম্পল ম্যাচিং, ডি এন এ টেস্ট।
    সেরোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছিল। হেতালের জামায় বি গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়। ধনঞ্জয়ের রক্ত ও গ্রুপের। আর কোনো ম্যাচিং সম্ভব হয় নি। স্যাম্পল হয় পরিমাণে যথেষ্ট ছিল না, নয়তো কালক্ষেপে জীর্ণ হয়ে গেছিল। ডি এন এ টেস্টিং হয় নি। সেই সময় ডি এন এ পরীক্ষা সম্ভব ছিল, কিন্তু কলকাতায় নয়। মূল মামলা চলাকালীন কেউ এই টেস্টের কথা বলে নি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার মামলার সময় ডি এন এ টেস্ট চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু আদালত অনুমতি দেয় নি। এই রিপোর্টে (http://archive.sltrib.com/article.php?id=2393225&itype=NGPSID) অবশ্য ভুল করে লিখেছে, ভারতে তখন ডি এন এ টেস্টিং হত না। 
     
    প্রসঙ্গ - এইসব ম্যাচিং ছাড়া ধর্ষক প্রমাণ হয় কিনা।
    স্বাভাবিক যুক্তিতে হয় না। কিন্তু হাইকোর্ট খুব স্পষ্ট করে বলেছে, এই মামলায় ধর্ষণ আর খুন একই transaction। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী নির্ধারণ করা যেতেই পারে।
     
    প্রসঙ্গ - শার্টে রক্তের অস্তিত্ব।
    পুলিশ এবিষয়ে জানতেও চায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নিজে থেকেই জানিয়েছেন, শার্টে রক্তের দাগ তিনি দেখেন নি।
     
    প্রসঙ্গ - টাকার খেলা কে কে খেলেছে।
    আমাদের জানা নেই। তবে টাকার খেলা ছাড়াও অনেক ঘটনাই ঘটা সম্ভব। মামলায় অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হলে পুলিশের ক্রেডিট মেলে, সরকারি আইনজীবীরও। এই পরিস্থিতিতে সহজে যাকে দোষী প্রমাণ করা যায়, পুলিশের তাকেই পছন্দ হবে। ফ্ল্যাটবাড়িতে খুন হয়ে সিকিউরিটি এজেন্সি যদি চাপে পড়ে থাকে, তারা পুলিশকে সাহায্য করবে নিজের স্বার্থেই। আর আদালত এই মামলার রায়ে নিজেই বলেছে - মেয়েদের উপর আক্রমণ বেড়ে চলেছে, বহু দোষী ছাড়া পেয়ে যায়, সমাজ সুবিচার চায়, তার আকুতিতে সাড়া দেওয়ার দায় আছে আদালতের, ধনঞ্জয়ের শাস্তিবিধান হয়েছে এইসব বিবেচনা করে। অর্থাৎ যে-খেলা এই মামলায় চলেছে, তা এই সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লজিকের দৈনন্দিন খেলা। ধনঞ্জয়ের জন্য বিশেষ করে এবং অর্থব্যয় করে এর আয়োজন হয়েছিল এমন নাও হতে পারে।
     
    প্রসঙ্গ - এসমস্ত গবেষণা আগে করা হয় নি কেন।
    অধিকাংশ বাঙালির মত আমরাও এই কেসের কথা জানতে পারি ২০০৪ সালে ফাঁসির আগে আগে। তার পর কাগজপত্র জোগাড় ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে অনেক দিন লেগে যায়। অবশ্য আমাদের পুরো সময়ও আমরা এই কাজে দিতে পারি নি।
     
    প্রসঙ্গ - আমাদের এই কাজের সঙ্গে গণিত বা পরিসংখ্যা বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।
    সাদা চোখে দেখলে নেই, একটু তলিয়ে ভাবলে আছে। গণিতের উপস্থিতি যুক্তিবিন্যাসে, সৈকতের লেখাতেও তার ছাপ রয়েছে। আর পরিসংখ্যা বিজ্ঞানের মূল কথা হল তথ্য (data) থেকে সিদ্ধান্তে (inference) পৌঁছনো। তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন হাইপোথিসিসের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাব্যটিকে বেছে নেওয়া পরিসংখ্যাবিজ্ঞানীদের অন্যতম কাজ; এই কাজের অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমাদের সহায়ক হয়েছে।
     
    প্রসঙ্গ - আসল খুনী, বিকল্প তত্ত্ব, অনার কিলিং...

    সৈকতের লেখার বিষয় হল ধনঞ্জয়ের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অসঙ্গতি। পাঠকের এই কৌতূহল স্বাভাবিক হলেও তা মূল বিষয় থেকে দূরে। আপাতত এই প্রসঙ্গ থাক, অদূর ভবিষ্যতে এই নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে। 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৮ আগস্ট ২০১৫ | ৮৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • apps | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০৩86695
  • আগের সমস্ত কমেন্ট পড়ে উঠতে পারিনি. দুঃখিত. জানিনা এটা আগে কেউ জিগ্গেস করেছেন কিনা. আচ্ছা, যদি সত্যিই আদালত ঘোষণা করে ধনঞ্জয় আসলে নির্দোষ, তাহলে পুরনো সাজার ক্ষতিপূরণ কীভাবে হয়? মানে ধনঞ্জয় তো জীবিতই নেই. সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কী ভূমিকা হবে?
  • Mmu | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৬86696
  • ১০০০০০০০০০০ টাকা ।
    কারন মানূষের জীবন-
    যা একবার চলে গেলে ফিরে আসে না।
    টাকা একটু বেশী হলেও, 'ব্যট্স ম্যান' অ্যাড্ভান্টেজ তো দিতেই হবে ।
  • সংহারক | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৮:০১86697
  • নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা কি সম্ভব? তাত্ত্বিক ভাবে শুরু হওয়া উচিত কি না জানতে চাইছি না, বাস্তবে ভারতীয় আইন অনুযায়ী কি পুনর্বিচারের সুযোগ আছে ?
  • Born Free | ***:*** | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০৯:২২86699
  • এই প্রশ্নটার উত্তর জানতে চাই:

    ভারতীয় আইন অনুযায়ী কি পুনর্বিচারের সুযোগ আছে ? তাতে করে আর কিছু না হোক, ধনঞ্জয়ের বৌএর গায়ের থেকে ধর্র্ষকের বউ এই তকমাটা উঠবে।
    সেটাই বা কম কি?
  • apps | ***:*** | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৩৪86700
  • অরুণা শানবাগ কেসে, খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছিলাম, যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্যোগ নেয় তো কেস রিওপেন করা যেতে পারে. এমনকি অরুণার মৃত্যুর পরেও. যেহেতু সোহনলাল জীবিত. এক্ষেত্রে লোকাল পুলিশ মুম্বই মিরর বা এবিপি মাঝা কোথাও একটা জানিয়েছিল, সরকার চাইলে তারা পুরনো কাগজপত্র দিয়ে সাহায্যও করবে.
    ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চয় এটা অ্যাপ্লিকেব্ল?
  • pi | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৯86702
  • স্ক্রোল থেকে ঃ

    ...While the Parekh family members were media-shy following the gruesome crime, the media never attempted to track them down to question them about their inconsistent statements even when Chatterjee was about to be hanged in 2004. It is not as if the Indian media lack the resources or the ingenuity to do so. Two months ago, after the death of Aruna Shanbaug, the nurse who was in a vegetative state for 42 years, journalists traced the man who was convicted of having sexually assaulted her in 1973 to a village in Uttar Pradesh.

    Will the Indian media take steps at least now to re-examine the evidence in the Dhananjay Chatterjee case and demand that the judiciary reconsider its verdict? In Britain, the US and elsewhere, there have been numerous instances of cases being reopened long after – sometimes decades after – conviction and execution and of posthumous acquittals being pronounced. The Hetal Parekh case deserves such a démarche, in order to establish who was really guilty and if Chatterjee is found to have been innocent, an apology and compensation to his family.
    http://scroll.in/article/741784/how-india-hanged-a-poor-watchman-whose-guilt-was-far-from-established

    মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে আমরা আপত্তি তুলি, কিন্তু যে কেসগুলো, যে জায়গায় মিডিয়ার প্রশ্ন তোলা দাবি করে, সেগুলোই অনেক ক্ষেত্রে হয়না।
  • Mmu | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৪৩86703
  • কেস রিওপেন হলে যদি ধনঞ্জয় নির্দোষ প্রমান হয়, তাহলে অন্তত যারা ধনঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝুলতে বাধ্য করেছিল তাদের যাব্জ্জীবন কারাদন্ডের সাজা হওয়া উচিত। কেসের ইনভেসটিগেটিং অফিসার সহ।
    আর যদি অনার কিলিং
    হয়ে থাকে তাহলে মেয়েটির বাবা / মায়েরও সাজা হওয়া উচিত ।

    ( যাব্জ্জীবনের কথা বললাম কারন আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ফাঁসীর বিরুধ্বে )
  • π | ***:*** | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১৩86707
  • ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি হয়ে গেছে একযুগ আগে। এই বছর বারো পরে আমরা টের পাচ্ছি, যে, সেই ফাঁসির আদেশের পিছনে যে তদন্ত এবং বিচার-প্রক্রিয়া, তাতে ফাঁক ছিল প্রচুর। 'আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি' বইটিতে সেকথা স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে।
    কিন্তু এটা বই বিষয়ক পোস্ট না (বইটির সম্পর্কে বিশদ তথ্য বইয়ের নাম দিয়ে বাংলায় সার্চ করলে ফেসবুকেই পাবেন)। ও নিয়ে লেখালিখি তো বিস্তর হল। এটি একটু নড়াচড়ার আহ্বান। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে সত্যিই অন্য কারো অপরাধের কারণে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে একটি পুনর্তদন্তের গণসাক্ষর সম্বলিত আবেদন করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বহু মানুষ সই করছেন, নানা জায়গায় করানোও হচ্ছে। এতদিন তোলা হয়নি, এখন আবেদনপত্রটি তোলা হয়েছে ইন্টারনেটেও। এই লেখাটি, সেই গণস্বাক্ষরের কার্যক্রমে একটু সক্রিয় সহযোগিতা করার অনুরোধ।
    আপনি যদি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হন, এবং পুনর্তদন্তের দাবীর সঙ্গে কিছুমাত্রায় একমত হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই আবেদনপত্রটিতে সই করুন। শুধু নিজে করবেন তাই না, শেয়ার করুন, পরিচিতদের করতে বলুন। এটা নিজের দায়িত্ব ভেবেই করতে অনুরোধ করছি, কারণ, ব্যাপারটা শুধু একটা ফাঁসির কেস না, সামগ্রিক তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কেই একটা প্রশ্ন তুলে দেয়, যে প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আমাদের আছে। যথেষ্ট পরিমানে সই সংগ্রহ হলে তবেই বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া হওয়া সম্ভব, এবং একমাত্র সেক্ষেত্রেই আমরা পূর্ণ সত্যটি জানতে পারব।
    সই সংগ্রহের শেষ তারিখ আপাতত রাখা হয়েছে ২৬শে আগস্ট। তাই দ্রুত এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আবেদনপত্রের লিংকটি শেয়ার করুন, বন্ধুবান্ধবদের সই করতে বলুন, সঙ্গে বলুন আরও ছড়িয়ে দিতে।

    https://www.change.org/p/government-of-west-bengal-reinvestigate-whether-dhananjoy-chatterjee-was-hanged-for-someone-else-s-crime?recruiter=587314682&utm_source=share_for_starters&utm_medium=copyLink?

    উপরের লিঙ্কটি কাজ না করলে, নিচের লিঙ্কটি দেখুন। তবে দুই জায়গায় সই করবেন না। যাঁরা কাগজে সই করেছেন, তাঁদেরও আর নতুন ক'রে সই করার প্রয়োজন নেই।

    https://www.google.com/url?hl=en&q=https://secure.avaaz.org/en/petition/Honourable_Chief_Minister_Government_of_West_Bengal_Reinvestigate_if_Dhananjoy_Chatterjee_was_hanged_for_someone_elses_c/share/?new&source=gmail&ust=1472096691390000&usg=AFQjCNFwobMDOfI-CZFMr-nd-VkSAkSlrw

    কেউ সই করলে লিঙ্ক বা এই পুরো পোস্ট অন্যদেরও একটু মেইল করুন আর শেয়ার করুন। নইলে বেশি লোকজনের কাছে পৌঁছবে না।

    অনলাইনে ২৫০+ লোকের সই এসেছে এখনো অব্দি, আরেকটু বেশি মানুষ এর সমর্থনে এগিয়ে আসবেন, এটুকু আশা করাই যায় বোধহয়।

    পিটিশনের বয়ানটাও এখানে রইলো ঃ
    It was twelve years ago that the last judicial execution of our state took place, when Dhananjoy Chatterjee was hanged to death. It is well known that there were many who had questioned that hanging. Dhananjoy himself had claimed all along that he had been completely innocent. His wife, parents and near and dear ones had also claimed his innocence. Yet the government did not pay any heed to their appeal. It was the government that eventually executed Dhananjoy.
    The new book Adalat-Media-Samaj ebong Dhananjoyer Fansi, written by two professors of the Indian Statistical Institute and an engineer working in the social sector, has brought into fore several new questions in this regard. Many of us are suspecting that Dhananjoy had to die simply because he came from a poor family of a remote village.
    Given the situation, we earnestly request you to order a reinvestigation into the case of the murder allegedly committed by Dhananjoy, so that the truth can come out. If that investigation reveals that Dhananjoy had been innocent, let that fact be announced officially, to pave the way of posthumous exoneration. If that is indeed the case, let the real culprits of that murder be also brought to book.
    A summary of the facts can be found in https://en.wikipedia.org/wiki/Dhananjoy_Chatterjee. Details as well as case documents can be accessed from
    Looking forward to your kind consideration.
    This petition will be delivered to:
    Hon'ble Chief Minister Government of West Bengal
  • π | ***:*** | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৯86708
  • এটাও তুলে রাখলাম।
  • pi | ***:*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:১০86709
  • Dhananjoy Chatterjee - An innocent person judicially killed by the state
    10 September 2016, New Delhi, Debashish Banerjee
    Sharing in Facebook Sharing in Twitter Sharing in Google+ Add as favourite Mailing Print
    Dhananjoy Chatterjee’s death penalty was a moment of renewed faith in the country’s system to deliver justice. He was a convicted rapist and murderer of a 14-year-old girl... But was he really? Writes Debasis Sengupta.

    The Republic of India celebrated fifty seven years of its political independence on 15th August, 2004. The newspapers of that day had carried the news of the country’s freedom from coexistence with a widely despised soul.

    It was reported that Dhananjoy Chatterjee, convicted rapist and murderer of a fourteen-year old schoolgirl, had been hanged to death. For a number of people, this was an occasion to reflect on the wisdom of the death penalty. For many others, it was a moment of renewed faith that the system can deliver justice.

    As an ordinary reader of newspapers, I had followed the story of this hanging during the monsoon of 2004. My suspicion about the case was aroused by the reports of Dhananjoy’s walking to the gallows with dignity and his wishing everyone well. I was particularly intrigued by his declaration that he was being hanged despite his complete innocence – simply because he was poor. I shared my thoughts with some friends. We decided to find out the truth. Over the next few years, we minutely examined the case records, including judgments of three courts, testimonies of witnesses, inquest, post mortem and forensic reports, the first information report and other documentary evidences. We spoke to the police officers, forensic experts, post mortem doctors, lawyers and witnesses involved in the case, visited the location of the crime and spoke to the neighbours, visited Dhananjoy’s village home and spoke to the local people.

    We spent many hours in the National Library, trying to make sense of the newspaper reports published in 1990 soon after the murder. What we found was sufficient to give anyone a queasy feeling in the stomach. The conclusion was that in the name of justice, the state had killed an innocent man. The real killer had got away with murder. If you count Dhananjoy, it was a case of double murder.

    This conclusion was so much contrary to the conclusion of the courts that we had to be cautious. We got the logic of our findings reviewed by peers. We invited a number of forensic experts, including three former directors of the State Forensic Science Laboratory, to a seminar and asked them to dissect our analysis. There was complete consensus about our main findings. After that we decided to tell the world what we have come to know. A book titled Adalat-Media-Samaj ebong Dhananjoyer Fansi (Judiciary-Media-Society and Dhanajoy’s hanging) has come out this month. The entire set of documents that forms the basis of our conclusions has been uploaded in the website , so that anyone can verify the correctness of our inferences.

    The essential logic of Dhananjoy’s conviction
    The murder took place in a third floor apartment of a six storied apartment building in Bhawanipore, Central Kolkata. Hetal Parekh, the victim, had come home after appearing for her Class X board examination at around lunchtime, and remained there along with her mother for several hours thereafter.

    The mother had gone out in the afternoon for half an hour. After her return, she could not get her daughter to open the entrance door of the flat. When people gathered and broke the door open, Hetal’s dead body was discovered on the floor. During the brief period of the mother’s absence, the only person that was seen entering or leaving the building was Dhananjoy Chatterjee, an off-duty security guard.

    After the dead body was found, Dhananjoy was not seen in the vicinity. The on-duty security guard and his supervisor told the court that Dhananjoy had entered the victim’s flat in order to make a telephone call, and had even spoken to them from the balcony of that particular flat.

    Two months after the murder, when Dhananjoy had been captured from his village home, the police had recovered a wrist watch stolen from the crime scene and a shirt with a missing button that had been seized from the crime scene.

    Post mortem examination had confirmed that the victim had been raped. Thus, there was much circumstantial evidence against Dhananjoy, and there was no one else who could have possibly committed the crimes within the narrow period of absence of the victim’s mother. It is on the basis of this argument that the courts concluded that Dhananjoy must have committed the crime.

    Our findings about what actually happened

    Even though Dhananjoy had received the death penalty for the crime of murder, it was the rape that made the crime look particularly ghastly. After collating and studying the post mortem and forensic reports, we were surprised by the lack of evidence of rape.

    In response to the police’s query about whether the victim had been raped, the autopsy doctor only wrote that she had been subjected to sexual intercourse before her death, as evidenced by fresh tear in the hymen and matted pubic hair, sample of which later revealed the presence of semen. Yet there is no indication that the intercourse was a violent incident.

    In fact, most of the injuries were in the face and the neck area, while there was no injury in the breasts or the genitals. Semen and blood were found in the victim’s panty and underskirt, but no semen was found in her vaginal swab.

    These findings indicate that there was a gentle and consensual intercourse followed by ejaculation outside the vagina, and then the partners had dressed up. Indeed, the victim’s partner in sex and her assailant were likely to be different persons altogether. The autopsy doctor did not peruse the forensic findings for which he had himself sent away samples.

    He opined in court that the victim had been raped, but admitted that this conclusion was based on the police’s requisition for the post mortem examination, in which their suspicion of rape was mentioned.
    The two ‘eye-witnesses’ who claimed to have seen Dhananjoy in the balcony of the victim’s flat had definitely lied.

    The spot in the ground floor, from where the on-duty guard claimed to have spoken to Dhananjoy, lies inside the building. We have verified, after visiting the location, that the third floor balcony is not even visible from that place.

    Both the witnesses had been employees of the private security agency that had been under pressure to clear their name after the murder happened under their watch.

    There were twenty two sets of injuries. No weapon was used. These facts point towards an unplanned murder. The time window of Dhananjoy’s entry to the building and his exit, described by the eyewitnesses, was not sufficient for a situation for murder to develop, for him to inflict all those injuries and also to commit the alleged theft of the wrist watch.

    The assault on the victim had been brutal indeed. She had been repeatedly scratched and showered with punches and blows before being strangled to death. Her nose and hyoid bone had been broken. Anyone inflicting these injuries would be drenched in sweat.

    It is almost impossible for an outsider to get away with unsoiled clothes after committing this crime, without any abnormality in appearance detected by anyone. These issues would not arise if the culprit had been a resident of the flat.

    A proper investigation of this case cannot exclude the immediate members of the victim’s family. After all, they had alerted the police more than three hours after the murder had been discovered.
    The police had simply assumed that the victim’s mother was not present when the murder took place.

    Yet, according to the prosecution witnesses, she had been the only person that was with the victim for most of the afternoon – leaving aside her brief period of absence. She had all the time in the world, as well as the requisite physique, to commit the crime and clean up.

    The findings of the post mortem examination are more consistent with occurrence of the death before Mrs. Parekh’s departure than after it. This matter has been analysed in detail in the book.

    Presence of semen in the victim’s pubic hair indicates that the sex had happened shortly before her death, as a larger time gap would have increased the chances of the semen being washed off. There is strong indication that Hetal had returned to her apartment at least an hour later than the time claimed by the prosecution.

    Contrary to press reports, she was eighteen years of age at that time. If she willingly had physical intimacy with anyone, it was entirely her business. However, her family was a conservative one. How they would have reacted to any knowledge or hint of her activities is a matter of conjecture.

    In between the claimed time of Hetal’s return and her actual return, Dhananjoy had been at security duty in the apartment building where the Parekhs lived.

    Thus, the man involved with her had to be someone else. Mrs. Parekh had acted in haste when she ordered servants to break open the entrance door of her flat. She did not try to contact her daughter through either intercom or telephone. As soon as the body was discovered, she lifted the body all by herself and started off for the hospital.

    However, after reaching the ground floor by elevator, she remained seated inside the elevator with the body on her lap. Two doctors came and examined Hetal inside the elevator, pronounced her dead, and advised that the police should be alerted. Yet Mrs. Parekh stayed put inside the elevator until her son returned.

    This apparently bizarre behaviour makes perfect sense in a situation where the cold dead body is sought to be protected from the touch of the general public, who might suspect that the murder took place several hours ago.

    Mrs. Parekh had avoided deposing in court four times before she eventually testified.

    Within a few months of the murder, the entire Parekh family had relocated swiftly and permanently to Mumbai. This meant that Hetal’s father, then 62 years of age, had to wind up his established business in Kolkata.

    The Parekhs had to sell off a sprawling three-bedroom flat in central Kolkata and start living in a much smaller flat in Mumbai. Hetal’s brother, who was being groomed for the family business, had to take up a paid job in Mumbai. The brother was studying in Class XI when the relocation took place. The court case on Hetal’s murder was yet to start.

    The family must have had some reason to run away from Kolkata.
    Ever since the murder, the family had consistently avoided attention of the media. They did so even around the time of Dhananjoy’s execution. However, they did not shy away from participating in fabrication of evidence to implicate Dhananjoy.

    Although these findings do not comprise a complete theory of how the murder took place, there is enough reason to suspect that it was the victim’s mother, rather than Dhananjoy, who was involved in the murder.

    The police investigation had relied too much on the account given by the victim’s family. The prosecution said in court that the investigation started after the police obtained the preliminary facts of the case from the victim’s family.

    Going by this account, the police had not started the investigation when Mr. Prasun Mukherjee, the then Deputy Commissioner of Detective Department, Lalbazar, briefed the media about the ‘facts’ of the case, while sitting in the Parekh’s flat. He said that Dhananjoy Chatterjee was absconding and the police were suspecting him of the crime.

    Three days after the murder, there was a representation from the Gujarati Samaj of Calcutta to the Chief Minister, referring specifically to this case and expressing the sense of fear and insecurity among the Gujaratis living in the Bhawanipore area. Thus, there was pressure on the government to solve the case quickly.

    Mrs. Parekh’s statement to the police was regarded as the first information report (FIR) of the case. We have proof that at least some parts of this ‘statement’ could not have been hers. We have proof that the police officer, who had claimed in court that he recorded this statement, was actually doing a different type of duty in the ground floor at the very time when he claimed to have recorded it.

    We also have proof that the police had tampered with the FIR before belatedly submitting it to the magistrate.
    It is not clear how much interrogation Mrs. Parekh faced, if at all. She was allowed to leave for Mumbai within seven days of the murder.
    The story eventually presented by the prosecution in court was essentially the story told by Mr. Prasun Mukherjee to the media on the basis of the family’s version of events, embellished with dubious ‘proofs’. In a nutshell, the police investigation consisted of fitting evidence to a pre-conceived theory.

    Our findings about the judicial decisions

    The courts relied on dubious inputs. We have proof that the so-called seizure of wrist watch and shirt with missing button was actually a staged event. The police had used people under their direct influence as witnesses to these seizures. They failed to produce one of the them in court, while the other witness has now gone public with his statement that he had acted as fake witness to a phoney seizure, under pressure from the police. I have already mentioned provable lies of two crucial eyewitnesses.

    While false witnesses were relied upon, deposition of a demonstrably genuine witness was not properly used. The court declared him a hostile witness.

    Dhananjoy’s case was not fought properly in the lower court, as there was shortage of resources. There was a good lawyer, but he did not get expected fees. It is clear from court records that in some occasions he did not even remember the proceedings of the previous day.

    The courts were persuaded of Dhananjoy’s guilt partially by his act of absconding. The Supreme Court gave particular emphasis on his absconding immediately after the crime, when nobody named him as an accused. This was a mere oversight by the Court, as the records show that Mrs. Parekh had named Dhananjoy as an accused immediately after the crime.

    The judges could not fathom an alternative theory partly because they never questioned the conclusion of rape, even though the evidence was problematic.

    The judges have admitted that they were discharging a social responsibility while handing out the deaths sentence to Dhananjoy. It is clear from their observations that Dhananjoy had to pay the price for non-conviction and/or lenient sentencing in other cases involving heinous crimes. A division bench of the same court pointed out in 2013 that the award of death penalty to Dhananjoy was a case of wrong sentencing.

    What to do with the findings

    Dhananjoy’s case exposes the laxities in the systemic and human components of our investigating and judicial processes. It is now clear that these laxities are so serious that they can even lead to the judicial killing of an innocent person.

    This chilling fact should spur corrective action. There should be official reinvestigation of the case, identification of the real culprits and posthumous exoneration of Dhananjoy.

    There are many instances of judicial exoneration of murder convicts in the Western world and even in China. There was such a case in India under British rule also. Dhananjoy deserves to be the first
    one in independent India.

    On March 5, 1990 Hetal Parekh was found lying dead in her third floor apartment in Bhawanipore, Kolkata. The police started loking for Dhananjoy, the only possible accused.

    The police began investigation. For the next few weeks he didn’t turn up for work. Dhananjoy was finally arrested on May 12 from Kuludihi.

    The Alipore Sessions Court sentenced Dhananjoy to death on August 12. The Calcutta High Court then confirmed his sentence on August 7, 1992.

    The Supreme Court held the case as a ‘rarest of the rare’ category and confirmed his death sentence on January 11. He filed a review petition before the SC, which was later dismissed.

    He filed a mercy petition with the Governor of West Bengal on February 2. Two weeks later, he was informed that the Governor had refused to interfere in the matter.

    On November 14, the single judge dismissed the writ petition. He then filed a writ petition in the HC again.

    A divisions bench dismissed his petition on January 8. The SC in March, held that the Governor had rejected his mercy petition without proper consideration of the relevant facts.

    By May, the Governor had rejected all petitions and Dhananjoy was scheduled to be executed. The Home Ministry too recommended his sentence.

    By March, Dhananjoy had been incarcerated in Alipore Central Jail for over 14 years by this time. He spent his time before execution, listening to devotional songs.

    Dhananjoy Chatterjee was executed at 4:30 am on August 14. The day was also his 39th birthday.

    Debates before execution

    Dhananjoy's execution was scheduled on 25 June 2004 but it was stayed after his family petitioned the Supreme Court of India, and filed a mercy plea with the then President Late Dr. APJ Abdul Kalam. On 26 June 2004 a campaign to ensure Dhananjoy's hanging was initiated. Mrs. Meera Bhattacharjee, wife of Mr. Buddhadeb Bhattacharjee the then Chief Minister of West Bengal, was at the forefront of this campaign. She made a passionate plea for Dhananjoy's hanging after providing details of the crime (e.g., that the rape was committed on a 14-year-old girl after she had been murdered) that are contradicted by evidence on record.] Several individuals and human rights groups came forward to oppose the execution. The mercy plea was finally rejected by the president on 4 August 2004. The family refused to claim his body; it was later cremated.

    The date of Dhananjoy's execution was fixed at a high-level meeting at the office of Jail Minister Biswanath Chowdhury.

    This was the first hanging in West Bengal since 21 August 1991, when murder convicts, Kartick Sil and Sukumar Burman, were hanged at Alipore Jail.

    Demands for fresh investigation and exoneration

    Since June 2015, new evidence that Dhananjoy may have been completely innocent has come to light. Subsequently there has been a steadily growing demand for a fresh investigation into the murder of Hetal Parekh and judicial execution of Dhananjoy Chatterjee.

    Follow-up demands of posthumous exoneration of Dhananjoy Chatterjee and abolition of the death penalty are also being heard.

    On 24 January 2016, such a demand was raised collectively by the people in a street meeting held in Chhatna, Bankura near Dhananjoy’s native village.

    http://millenniumpost.in/NewsContent.aspx?NID=324289
  • pi | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮86710
  • বিষয় ধনঞ্জয়ের বিচার: এলগিন রোড স্টোরি: ২১ অগাস্ট ২০১৭
    গবেষণা গ্রন্থের লেখক, এই নিয়ে হওয়া সিনেমা পরিচালক ও অভিনেতাদের প্যানেলের আলোচনা। পর্বে পর্বে দেওয়া হ্চছে:
  • pi | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০১86711
  • আসছে না !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন