এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • উগনা ও বোতোকের গল্প

    Tim লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ মে ২০১৫ | ১৭৮৭ বার পঠিত
  • আমাদের জীবন অসংখ্য সমাপতন জুড়ে জুড়ে তৈরী এক কোলাজ। যে সমাপতনে মানুষ জন্মায়, বড়ো হয়ে স্কুলে পড়ে, ভালো রেজাল্ট করে অথবা করেনা, প্রেম করে, অপ্রেমে থাকে... সেই সমাপতনের জালের মত ঘটনাপ্রবাহের এক একটিতে আমরা হঠাৎ কখনো উদ্বুদ্ধ হই কলম তুলে নিতে। কলম তুলে নেওয়া আজকালকার যুগে অচল, এখন কীবোর্ডের দিন, কিন্তু বলতে ভালো লাগলো। বিশেষ করে, উগনার গল্প বলতে গিয়ে। শিরোনামে যেহেতু উট আছে, বোঝাই যাচ্ছে
    গল্পে উটও আছে। ছোটবেলায় যখন রচনা লিখতে হতো, আমরা বিদ্যের জাহাজেরা, কায়দা করে লিখেছি উট হলো মরুভূমির জাহাজ। আরো পরে সোনার কেল্লায় জটায়ুর উট-রস দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বললে বিশ্বাস করবেন না, পরে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি তাদের মোটোতেও উট। উট প্রোজিম না এইরকম কি একটা, সেবা টেবা মিলিয়ে খুব জাঁকের ব্যাপার। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোথাও কোথাও অবশ্য উটের বদলে উটপাখি আছে, বালি ইত্যাদি সমেত। সে যাক, আসল গল্পে আসি।

    এক দেশে এক ছোট ছেলে ছিলো, নাম উগনা। বয়স এই পাঁচ থেকে সাতের মধ্যেই হবে। তার এক দাদা আছে, নাম ডুড। ইংরেজির মত শুনতে লাগছে কি? সেটা সমাপতন। এটাও সমাপতন, যে বাচ্চা ছেলেদুটোর একটা আরো পুঁচকে বোন আছে, তার নাম গুন্টি। গুন্টির মায়ের নাম ওদগো আর বাবা ইকচি। এছাড়া দাদু ঠাকুমা ইত্যাদিরাও আছে পরিবারে। আর আছে একপাল করে উট, ভেড়া, আর ছাগল। একটি তাঁবু, একটা প্লাস্টিকের হাতি, যা গুন্টির মুঠোয় ধরে এঁটে যায়। জায়গাটা ধূ ধূ স্তেপ দিয়ে ঘেরা, অনেক দূরে কিছু হালকা কুয়াশার মত পাহাড় দেখা যায়। বালিয়াড়ি আর রং চটা ঘাসে ঢাকা জমিতে ঘুরে ঘুরে ওরা শুকনো কাঠকুটো জড়ো করে ইউর্তে এনে আগুনে দেয়। ইউর্তের চিমনি দিয়ে তখন সরু ধোঁয়া পাক খেতে খেতে এঁকে বেঁকে দূরের কুয়াশাপাহাড়ে মিশে যায়। ওদগা গুন্টিকে কোলে নিয়ে কাঁপা কাঁপা সুরের অপার্থিব গান করে ঘুম পাড়ায় আর ঠাকুমা সাদাটে একটা তরল জ্বাল দিতে থাকে। এবার ওরা খাবে, তারপর দাদু নাতি নাতনিদের বসিয়ে পুরোনো পৃথিবীর গল্প বলবে। সেই একবার এক হরিণ উটের শিং ধার করেছিলো, সাজবে বলে। আর ফেরত দেয়নি, সেই থেকে ...এই পর্যন্ত বলা হতেই উগনা অধৈর্য্য হয়ে বলবে, এই গল্পটা আমরা জানি, অন্য একটা বলো।

    ওদের মাটির নিচে প্রাগৈতিহাসিক সরিসৃপের ফসিল ঘুমিয়ে আছে। সূর্য্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় সেই মাটিতে সারি সারি আঁকাবাঁকা ফাটল জাগে, টানা ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে সারাদিন। লম্বা বুনো ঘাসগুলো রোদে পুড়ে ফ্যাকাশে। সেই মাঠে পোষ্য জন্তুগুলো ঘুরে বেড়ায় ইতস্তত। কয়েক প্রজন্ম একসাথে বেড়ে চড়ে বেড়ায়। তাঁবুর ভেতরে যেমনটি। বাইরেও মায়েরা শাবকদের দেখাশুনো করে, খাওয়ায়, পরিষ্কার করে। ওদগা আর বাকিরাও অবশ্য অকথ্য পরিশ্রম করে আলো ফোটা থেকে। এখন উট মায়েদের প্রসবের সময়, তাই ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। একের পর এক শাবক হচ্ছে, ল্যাগব্যাগে পা নিয়ে তারা আস্তে আস্তে দাঁড়াতে শিখছে, বেশিরভাগই বাদামী বা তামাটে রঙের, এক আধটা দুধসাদা। এই উটেরা সবাই দু-কুঁজওয়ালা। উগনা আর ডুড সেই দু কুঁজের মধ্যে চড়ে বসে এক একদিন। ওরা সবাই জন্তুগুলোকে খুব ভালোবাসে, কেউ কক্ষনো বকে না, মারেনা, খুব বেশি জোর খাটায়না।

    আজ সেইরকম একদিন। উগনা আর ডুড যাচ্ছে সবথেকে কাছের জনপদে। দুজনে দুটো উটে চেপেছে। উগনার কিনা এই প্রথম উটে চেপে সত্যিকারের কোথাও যাওয়া, তাই সে ফুর্তিতে লাগাম নিয়ে মেলা কায়দা করছে। ডুডের ঝোলায় ওদগা শুকনো খাবার বেঁধে দিয়েছে। জনপদ থেকে একজন বাজনদার আনতে হবে। এক মা উট তার সন্তানকে চিনতে চাইছে না, জন্মাবধি সেই ছানাটা একা একা আদিগন্ত স্তেপে মা র পিছু পিছু ঘোরে আর আপনমনে কাঁদে। ছানার নাম বোতোক, আর ওর মা'র নাম ইঙ্গেন। এইরকম ঘটনা গোবির বুকে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা পশুপালক পরিবারে নতুন না, এরকম হলেই ওরা খবর পাঠিয়ে জনপদে বেহালা শেখায় হ্যামলিনের মত যে মানুষটি, তাকে ডেকে আনে। সেই কাজেই উগনারা গেছে।

    তা, সে জনপদ তো অনেক দূর। পথে বিস্তর বালিয়ারি পেরোতে হবে, অনেক যোজন পথ। দুপুর নাগাদ তক বুঝে খেতে বসতে হবে উগনাদের। তারপর সেখানে পৌঁছে থেকে গানওলাকে খবর করে ইতিউতি জিনিস আনতে হবে। উগনাদের টিভি নেই, তাই টিভির দোকান সে দাঁড়িয়ে যাবে, সেখানে কিনা গুফিকে দেখাচ্ছে এখন। একটা টিভি কিনলে হয়, না দাদা? পাগোল তুই, জানিস টিভির দাম কত? বিশ-পঁচিশটা ভেড়া বিক্রি করতে হবে। আমাদের তো অনেক ভেড়া, নেই? ডুড এখানে কথা ঘুরিয়ে ইলেকট্রিসিটির দামের দিকে চলে যায়। সে আস্তে আস্তে বড়ো হচ্ছে, বছর পনেরো বয়স তো হবেই। অনেক, যথেষ্ট বা কম দাম বেশি দামের মত জীবনচর্যার দরকারি শব্দগুলো সে বুঝতে শিখেছে। তবে উগনাকে সে আইসক্রিম কিনে দেবে, দাদুর জন্য চারটের বদলে ছটা ব্যাটারি কিনবে। ওদের একটা ঘড়ঘড়ে রেডিও আছে, শুঁড়ওলা।

    ওদিকে তখন ইঙ্গেনকে নিয়ে ঘোর সমস্যা। সে প্রথম থেকেই ছানাকে দুধ দিতে অস্বীকার করছে। বুড়ি দিদা বলছে প্রাবের সময় খুব যন্ত্রণা হয়েছে বলেই ইঙ্গেনের এত রাগ। বাচ্চা বোতোক একটু একটু দাঁড়াতে শিখেছে, সে ঘাড় উঁচু করে দেখে মা স্তেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পেছন পেছন গিয়ে একটু শুঁকতে চাইলেই ইঙ্গেন ঠেলে সরিয়ে দেয়। পুরো পরিবার নানারকম পুজো করে, স্তেপের আত্মারা, যারা ওদের চিরকাল রক্ষা করে এসেছে তাদের দুধ উৎসর্গ করে। কাছেই কোথাও থেকে লামাদের ডেকে আনে, তারা বলে, মানুষ লোভীর মত মাটিকে তছনছ করছে, আবহাওয়া বিষাক্ত করছে, তাই সেই আত্মারা আর এখানে থাকেনা। ওদের আমরাই তাড়িয়ে দিয়েছি, আমরা মনে রাখিনি যে আমরাই এই পৃথিবীর শেষ প্রজন্ম নই। এইসব দেখেশুনে ওদগা গম্ভীর হয়, কেননা ইউর্তে গুন্টি একলা ঘুমোচ্ছে, মুখটা সামান্য ফাঁক ।

    অতএব একটা শিঙের সরু প্রান্তে ফুটো করে বোতোককে দুধ খাওয়ায় ওদগা। আর পুরো পরিবার অপেক্ষা করে, দুই ভাই ফিরে আসার। ওরা সাথে করে জাদুকর বাজনাদার আনবে। একটা তারের বাজন সাথে করে এনে তাতে ছড় চালাবে গানওলা, ওদগা আর ইকচি মিলে ইঙ্গেন আর বোতোককে ধরে থাকবে। তারপর ওদগা আঁকাবাঁকা সুরে গান গাইবে, যে গানে সে গুন্টিকে ঘুম পাড়ায় হয়ত সেইটাই।

    স্তেপে এলোমেলো হাওয়া দেয়। দূরে মরিচীকার হ্রদে সে হাওয়া ঢেউ তোলে, দাদুর ক্ষীণদৃষ্টিতে পুরোনো দূরবীন কাজ করেনা বলে সে ওদগাকে ডাকে। আলোছায়ার যে খেলায় ইতস্তত বসে থাকা উটের কুঁজগুলোকে মানুষের শরীর বলে ভ্রম হয় তা সমাপতন। ঠিক যেরকম সমাপতন এই গল্পটা আমি লিখছি মাদার্স ডে বলে চিহ্নিত একটা তারিখের পরের দিন, সেরকম।

    ( ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক নির্মীত তথ্যচিত্র "দ্য উইপিং ক্যামেল" অবলম্বনে এই লেখা। এটি রিভিউ নয়, বলা বাহুল্য। ২০০৭ সালে বানানো এই ছবিটির পুরো নাম Die Geschichte vom weinenden Kamel এবং আইএমডিবি লিংকঃ http://www.imdb.com/title/tt0373861/?ref_=fn_al_tt_1)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ মে ২০১৫ | ১৭৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | ***:*** | ১১ মে ২০১৫ ০১:৪৮66331
  • হ্যাঁ দমদি, আমিও ঃ-)
  • d | ***:*** | ১১ মে ২০১৫ ১১:৫২66330
  • এই লেখাটা লুকিয়েছিল কোথায়? এতক্ষণে দেখলাম।
  • সুকান্ত ঘোষ | ***:*** | ১৩ মে ২০১৫ ১০:৩৭66332
  • ভালো লাগল
  • apps | ***:*** | ১৪ মে ২০১৫ ০৭:৪৯66333
  • প্রথমে ভেবেছিলুম অনুবাদ গল্প l আহা, সম্মোহিত l
  • kk | ***:*** | ১৪ মে ২০১৫ ০৮:১৪66334
  • বড় ভালো লাগলো।হঠাৎ খুঁজে পেয়ে পড়লাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন