এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইছাপুর

    Pragati Chattopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৭৮১ বার পঠিত
  • ইছাপুর একধরণের স্থানিক উপস্থিতি, যা ছিল ছোটবেলার পাশে, তাকে আলগা ভাবে বেড় দিয়ে। খুব একটা নিশ্চিত, শক্তপোক্ত নয়... দু'চারটে মেঠো ডাল, কঞ্চির একটা এলোঝেলো বাঁধন। তার মধ্যেই ইছাপুর ছিল।

    মানে,এখন নেই। ইছাপুর কখনো অনন্ত হয়না।
    অথচ, একসময় দমদম জং থেকে স্টেশন পেরিয়ে পেরিয়ে,বেলঘরিয়া-আগরপাড়া-সোদপুর-খড়দা...
    টিটাগড়-ব্যারাকপুর-পলতা পেরিয়ে ইছাপুর একটি সরল সত্যের মত থাকত, যার কেন্দ্রে একটি সূক্ষ্ম পারিবারিক কোড। বালিকাদের কাছে সেই বিধি এক রকম, বড়োদের কাছে এক রকম।
    এক একটি মফস্বলী স্টেশন পার হয় আর করুণ, নিবিড়,ধূলামলিন আকাশে কিছু বিপন্ন সবুজ গাছগাছালি পিছলে যায়। এই যাত্রারেখার পরিমিতি মিনিট চল্লিশের বেশি হয়না। কিন্তু কোলকাতার গা ঘেঁসটে থাকা উপনগরী থেকে যেন লক্ষযোজন দূরের, আবছায়ায় ঢাকা এক জনপদ ইছাপুর। বছরে চার কি পাঁচ বারের বেশি নয় এই দমদম-ইছাপুর যাত্রা, যেনএকটি নিঃসঙ্গ হাইকু'র মত ছোটবেলার হাত ধরে থাকে। মা যেখানে "খুকি" ডাকে সাড়া দেয়, যেখানে "বুধী" গরু'র দুধ কাঁসার গেলাসে গেলাসে বালিকাদের সকালের জলখাবার, যেখানে বড়মামার ঘরের আলমারিতে ১৯৫৩ থেকে বাঁধিয়ে রাখা "দেশ", যেখানে বারান্দা থেকে দোতালায় উঠে যাওয়া জুঁই, যার বেণী- বাঁধা কাণ্ড ঝাঁকিয়ে ফুল-ফুল-বৃষ্টি-বৃষ্টি খেলা যায়, যেখানে পেঁজা তুলোর মতন সারাক্ষণ ওড়াওড়ি করে নদীয়া জেলার একটি গ্রামের প্রভূত কথামালা,যেখানে "স্টোরবাজার", "নবাবগঞ্জ" "মাঝেরপাড়া" ইত্যাদি শব্দ গুলি ছিন্ন পালকের মত ভাসতে ভাসতে দিগন্ত অতিক্রম করে, সেই ছিল ইছাপুর।

    ছিল, কারণ এখন নেই। কারণ এখন থাকতেও নেই।

    ধীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রথম মহাযুদ্ধের সময় বৃটিশ বাহিনীর সঙ্গে মেসোপটেমিয়ায় যান। আঠেরো বছরের তরুণ নদীয়ার গ্রাম থেকে বেরিয়ে এসে সবে চাকরি পেয়েছেন রাইফেল কারখানায়। ১৯৩৯ সালে, আর এক যুদ্ধের বাজারে জন্মানো "খুকি"র কাছে, তার চার ভাইদের কাছে, ধীরেন্দ্রনাথ চিরকাল "আপনি" সম্বোধন পেয়েছেন । পারিবারিক মিথ, বিশেষতঃ ধীরেন্দ্রনাথ-প্রসঙ্গ শিশু দের তেমন টানেনা । জুঁইলতার পাশের জানালার আড়ালে খুব বুড়ো হয়ে যাওয়া অসুস্থ মানুষটি তাদের দেখলেই কেমন চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠেন,"ফুল, ফুল, এরা সব আমার ফুল"।

    ইছাপুরের বাড়ি মীথমণ্ডিত, সন্ধ্যাকাল যেখানে পুঞ্জ পুঞ্জ পরাবাস্তব কাহিনীর আড়ালে ঢাকা, ডিসেম্বরের হুহু শীতার্ত বাতাসে আরও অতীন্দ্রিয় । ধপধপে সাদা ওয়াড় পরানো লেপের তলায় ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে দমদমের বাড়ির জন্য মনকেমন করে। সেখানের দাদু ধীরেন্দ্রনাথের মত এখনও তেমন বুড়ো নয়, বাবা অফিস থেকে দেরী করে ফিরলে অঙ্ক দেখিয়ে দেয়। ছাদের ওপর তাদের ঘরের পাশে আলোঝলমল প্রতিবেশীর জানলা। রেডিও নাটকে রিনরিন করে বইছে তৃপ্তি মিত্রের কণ্ঠ । দমদম স্বস্তির, দমদম অনুগত, দমদম মীথবিহীন।

    দেখতে দেখতে ইছাপুর বিলীন হতে থাকে।
    বড় হওয়ার একটা নিষ্ঠুর খেলা থাকে। যেখানে মন নিয়ে, শরীর নিয়ে, একা একা নূতন ভুবনে ধূ ধূ বাতাস, খলখল জলশব্দ, দঙ্গল দঙ্গল হলুদ মথ, শ্মশান, ডায়েরি'র ছেঁড়া পাতা, আঁকিবুকি ইত্যাদি নিয়ে আমরা বেড়ে উঠি। "বঙ্গলিপি"র মলাটে লেখা অক্ষরমালা যে নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, অরণ্য-কান্তার, মরুদেশের খবর আনে, তার কোথাও ইছাপুরের চিহ্ন নেই। ধীরে ধীরে এই ট্রেনযাত্রার অবলুপ্তি ঘটতে থাকে। প্রথমত, "বুধী" গরুর দুধ শুকিয়ে আসে, দ্বিতীয়ত, জুঁইলতার মরণ ঘটে। তারপরেও চলতে থাকে একের পর এক ঘটনাবলী। বড়মামার ১৯৫৩ থেকে বাঁধিয়ে রাখা "দেশ" পত্রিকা উঁইপোকায় ধুলো হয়ে যায়। সবাই যে যার মত অন্যস্থ হয়। আর মাকে "খুকি" ডাকা মানুষজনের অবস্থান অবান্তর হতে হতে শূন্যতায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
    দমদম জং থেকে পূজার সপ্তমীপ্রভাতে, ট্রেনের জানালার গরাদে শরৎশিশির আঙ্গুলে মেখে, টিটাগড়ের নীলসাদা কুষ্ঠাশ্রম, ব্যারাকপুর স্টেশনের খিলানে পায়রা পেছনে ফেলে ইছাপুরে যেমন যাওয়া, যেমন এই সামাজিক-পারিবারিক কোড, যা বছরের পর বছর অবিচল থেকেছে... হঠাৎই একদিন অর্থহীন, অচেনা, অবান্তর একটি পর্ব হয়ে দাঁড়ায়।

    আলব্যের কামু'র একটা গল্পের বই আছে। চটি বই। যেখানে গল্পের চরিত্রটিকে দিয়ে প্রথম বাক্যটি এইভাবে বলানো হয়: " আজ মা মারা গেছে। বা গতকাল, জানি না। বৃদ্ধাবাসের চিঠিতে লিখেছে, 'মা মৃতা, কাল সমাধি। আন্তরিক সমবেদনা'। কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। গতকালই হবে।"

    এমন ভাবে, ইছাপুর কবে মরে গেছে আমরা জানি না। আজ বা গতকাল। জানি না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৭৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩৬51565
  • আহা এমন একটা লেখা পড়ার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করা যায়।
  • aka | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৮51566
  • প্রগতি ইছাপুরের? আমি শ্যামনগরের। ইছাপুরে আমার পুজোর জুতো, ইছাপুরের গঙ্গার ধারে আমার প্রথম সিগ্রেট। ইছাপুর মানে ভরদুকুরে গুলির আওয়াজ। ইছাপুর মানে দোলের দিনে মৃত্যুঞ্জয়ের মিষ্টি।
  • Paramita | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০১51567
  • আমরা সবাই "আমার শহর" নিয়ে নস্টালজিক হই, দু-চার কথা লিখেও ফেলি। কিন্তু এমন চোখে দেখতে, লিখতে কজন পারে?
  • সিকি | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৬51568
  • অসাধারণ লাগল, প্রগতিদি।

    ইছাপুরে দীর্ঘদিন থাকতেন আমার জ্যাকা - বাবার যমজ ভাই, তাই জ্যাঠার জ্যা, আর কাকা-র কা মিলিয়ে জ্যাকা। ইছাপুর রাইফেলসে চাকরি করেছেন সারাজীবন। মাঝে মাঝেই যেতাম, জ্যাকাদের কোয়ার্টারে গিয়ে থাকতাম। রোজ বিকেল তিনটের সময়ে সেখানে ধাঁইধাঁই, ধুপ, ঠ্যার‌্যার‌্যার‌্যার‌্যা, খটাস খটাস - আওয়াজ আসত, ঝাড়া আধঘন্টা ধরে। গুলিবারুদ টেস্ট করা হত। আমরা বলতাম, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলে রোজ, ইছাপুরে।

    এটুকুই জানি ইছাপুর সম্বন্ধে। আর হ্যাঁ, স্টেশন পেরিয়ে ফ্যাক্টরির গেটের কাছে একটা দোকানে ফুচকা তৈরি হতে দেখেছিলাম। আর কোথাও কখনও আমি ফুচকা তৈরি হতে দেখি নি।
  • sinfaut | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৮51569
  • কী অপূর্ব ছন্দ। প্রতিটা প্যারাগ্রাফ কেমন তেহাই এর মতন সমে এসে মেলে। লেখাটা অনেকবার কবিতার মতন পড়তে ইচ্ছে হবে।
  • sinfaut | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৮51570
  • কী অপূর্ব ছন্দ। প্রতিটা প্যারাগ্রাফ কেমন তেহাই এর মতন সমে এসে মেলে। লেখাটা অনেকবার কবিতার মতন পড়তে ইচ্ছে হবে।
  • sinfaut | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৮51571
  • কী অপূর্ব ছন্দ। প্রতিটা প্যারাগ্রাফ কেমন তেহাই এর মতন সমে এসে মেলে। লেখাটা অনেকবার কবিতার মতন পড়তে ইচ্ছে হবে।
  • রোবু | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৯51572
  • উফ আউটসাইডার। অসাধারণ। আর অব্রি ফেরার সময় ট্রেন থেকে ইছাপুরের দিকে তাকিয়ে থাকি, ওই নয়ানজুলিগুলো দেখবার জন্য, কি টলটলে জল। তবে সেগুলো বোজানো হচ্ছে।
    আর কেউ কি জানেন ইছাপুর নামের উৎস? শুনেছিলাম, তাজমহলের কারিগর ঈশা খাঁ এখানে এসেছিলেন, তাই নাম তাজমহল। এটা কেউ কনফার্ম করবেন?
    লেখাটা অসাধারণ।
  • robu | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৩০51573
  • * শুনেছিলাম, তাজমহলের কারিগর ঈশা খাঁ এখানে এসে শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন, তাই নাম ইছাপুর। - কেউ জানেন?
  • সিকি | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৩৮51574
  • এটা আমিও শুনেছি। ঈশা-পুর থেকে ইছাপুর।
  • T | ***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২০51575
  • খুব ভালো লেগেছে।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | ***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৩২51576
  • ইছাপুর কি মালগুড়ি অথবা ভূতের গলি? হয়তো। সে এক উজ্জয়নীপুর। সেখানে মন চাইলে মনে মনে যাওয়া যায়। কে আটকাবে!
  • Sankha | ***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫২51577
  • স্মৃতিমেদুর, সুন্দর লেখা
  • san | ***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৮51578
  • খুবই সুন্দর
  • rabaahuta | ***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৬51579
  • খুব ভালো লাগলো। প্রতিটি বাক্য আবার আলাদা করে পড়লাম।
  • Du | ***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৬51580
  • অসাধারন
  • pragati | ***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৪51581
  • আকা, মামার বাড়ি।
    সিকি, বড়্মামা, দাদু, রাইফেল ফ্যাকট্রি তেই সারা জীবন কাজ করেছেন।
  • Bratin | ***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:০৫51582
  • উফফ। এই প্রগতি এত ভালো লেখেন না।

    পড়লেই মন ভালো হয়ে যায়।
  • রৌহিন | ***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৩১51583
  • সিকির একজন জ্যাকা আছেন? আমার একজন পিকা আছে - পিসেমশাই আর কাকা। দুটোই ভ্যালিড আত্মীয়তা। সে অনেক জটিল ব্যপার। পিকা ততটাই অ-জটিল। সেম পিঞ্চ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন