এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞান কংগ্রেস

    Supratik Pal লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৯৭১ বার পঠিত
  • বেশ করেছে। হ্যাঁ মশাই, বেশ করেছে। ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে কিছু তথাকথিত বিজ্ঞানী এসে বলেছেন, প্রাচীন যুগে শ্রীলঙ্কায় এয়ারপোর্ট ছিল। কৌরবদের শতভাই আদি যুগেই স্টেম সেল থেরাপির প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আর নিউটন আইনস্টাইন এঁরা সব ভুল -- ফক্কা । অতি শীঘ্রই গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ আর লেন্সিং ইফেক্ট-এর নাম সংশোধন করে নাকি বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক বহির্ভূত কোনো কোনো ব্যক্তির নামে হয়ে যাবে। তা মশাই, বেশ করেছে বলেছে । এরকম আকছারই তো শোনা যায় আজকাল। আগের সায়েন্স কংগ্রেসেও তো শোনা গেছিল আদি যুগে বিমান ব্যবহারের কাহিনী, যাতে চড়ে নাকি গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাতায়াত হতো। আর গণেশের ধড়ে হাতির মুন্ড তো প্লাষ্টিক সার্জারির কট্টর প্রমাণ। কিছুদিন আগে ভারতীয় প্রযুক্তি শিক্ষা সংস্থা অনুমোদিত নতুন কোর্স চালু হওয়ার কথা তো নির্ঘাত শুনেছেন, যাতে থাকছে বৈদিক যুগে ব্যাটারী ও এরোপ্লেন ব্যবহারের মতো চমকপ্রদ তথ্য। বাস্তুশাস্ত্র, গোমূত্র গবেষণা আর পাড়ার মোড়ে মোড়ে গজিয়ে ওঠা বা টিভির পর্দায় চ্যানেলের পর চ্যানেল জুড়ে জ্যোতিষচর্চা আর হনুমান যন্ত্রের তুড়ুক ফললাভের পরাকাষ্ঠা তো দেখছেনই। চারপাশে ছাইপাঁশ কত কিছুই তো হচ্ছে। এর মাঝে যদি দু-চারজন ‘বিজ্ঞানী’ সায়েন্স কংগ্রেসে এসে এই সব কথা বলে থাকেন, আমার-আপনার তাকিয়ায় হেলান দেওয়া এসি-লালিত সুখী জীবনে কি আর এসে গেল মশাই?

    তাছাড়া যাঁরা বলেছেন, তাঁরা বিজ্ঞানী। আমার-আপনার মতো ছাপোষা তো আর নন। যদিও আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকায় ফি বছর হয় ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের মোচ্ছব। আর আয়োজকরা বেছে বেছে তাঁদের সেরা বিজ্ঞানী ভেবেছেন বলেই-না ডেকেছেন। মিটে গেল। (জনান্তিকে : প্রায় কোনো প্রথম সারির বিজ্ঞানীই সায়েন্স কংগ্রেসে যান না। তাতে কী?)

    আর দেখুন, বলেছে তো বলেছে কিছু কিশোর-কিশোরীর সামনে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞানে উদ্বুদ্ধ করে তোলার জন্যই-না! তা শুনেছেন তো “ছোকরারা খাঁটি দুধ। একটু জ্বাল দিয়ে নিলেই হয়।” কৈশোরের মানসপটে যা ছাপ ফেলে, সুদৃঢ়ভাবে গেঁথে যায়। এদেরও তাই হবে। এই কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেই হয়তো আছে আপনার বুকের ধনটিও, যাকে নিয়ে আপনারা কপোত-কপোতী নিত্যদিন স্বপ্নের বীজ বুনছেন। না থাকলেও চিন্তা নেই। এইসব ‘বৈজ্ঞানিক’ তথ্য অতি শীঘ্রই স্তরে স্তরে এসে পড়বে আপনার সন্তানের স্কুল-কলেজপাঠ্য জ্ঞানের ভাণ্ডারে। এসে পড়ছে। একে বলে অসমোসিস। সুছিদ্র ছাঁকনির মধ্য দিয়ে বেনোজল ঢোকা। আপনার সন্তান বেড়ে উঠবে এইসব দুর্মূল্য জ্ঞান সাথে নিয়ে।

    অমনি আপনি তেড়ে উঠলেন, তাতে কী? এসব বইপড়া জ্ঞান জীবনের কোন কাজে লাগে মশাই? নাহয় দুচারটে ভুলভাল শিখলোই। দিনের শেষে একটা ঝক্কাস চাকরি হাঁকিয়ে ফেললেই ব্যাস। কেল্লা ফতে। হক কথা। ধরা যাক আপনার বাড়িতে যে ফ্যানটা লাইটটা জ্বলছে, গ্যাস-আভেন বা মাইক্রোআভেনে রান্নাটা হচ্ছে, ওয়াশিং মেশিন-ফ্রিজ-ডিশওয়াসারটা চলছে, অফিস-বাজার যেতে বের করে আনছেন লেটেস্ট মডেলের গাড়িখানা, মায় যে হাইরাইজে সতেরো তলায় বসে আপনি টেনে নিচ্ছেন বিশুদ্ধ হাওয়া, এগুলো তৈরিতে যে ইঞ্জিনিয়াররা সামিল হবেন আগামী কিছু বছরে, তাঁরা -- আপনার মতোই কারো-না-কারো বুকের ধন আজকের সেই কিশোর-কিশোরীরা -- এই অভূতপূর্ব জ্ঞান সাথে নিয়ে বেড়ে উঠছেন আজ থেকে। বেড়ে উঠবেন আগামী দিনে। ভাববেন না, সেটাই স্বাভাবিক। এবার আপনি ভরসা পাচ্ছেন তো? আর ধরুন শরীরের নাম মহাশয়, কখন বিগড়োবে বলা কি যায়? গেলেন ঝকঝকে আধুনিক হাসপাতালে। তা সেই হাসপাতালের পরবর্তী প্রজন্মের ডাক্তারদের ওপর ভরসা রাখতে পারবেন তো, যাঁরা স্টেম সেল আর প্লাস্টিক সার্জারির অভূতপূর্ব নবলব্ধ জ্ঞান নিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছেন? কিংবা আপনার প্রাণের সন্তান কোনোদিন ইমার্জেন্সিতে বাড়ির খারাপ হয়ে যাওয়া সুইচটা মেরামত করতে গেল, বলা কি যায়? ভরসা রাখবেন তো ৪৪০ ভোল্টের লাইনে?

    ছাড়ুন মশাই। মিথ্যে ভয় দেখাচ্ছি। আপনার সন্তান নেক্সট জেনারেশন। আলো ঝলমলে ভবিষ্যৎ। বিশ্বনাগরিক সে। তা পারবে তো সে বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রমাণ করতে? গালভরা কথা ভাবছেন? আরে ধুর ! সিধে কথায়, একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরী করবে আর মাঝে মাঝে টুক করে সাগরপারের শীতল হাওয়া খেয়ে আসবে, এটুকু স্বপ্ন তো আপনি দেখেনই। তা এই অপূর্ব জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্কুল-কলেজ পেরিয়ে সে পারবে তো সেই বাজারে টিকে থাকতে? বিশ্ব তো আর বৈদিক বিজ্ঞান দিয়ে চলে না !

    তা মশাই বিজ্ঞান কাকে বলে? সিধে বলি। পরীক্ষালব্ধ ফলকে বলে বিজ্ঞান। পরীক্ষালব্ধ ফলের থেকে উদ্ভুত যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত বা তত্বও বিজ্ঞানের অংশ, তবে অবশ্যই তা কোনো না কোনো স্তরে পরীক্ষা উত্তরণের প্রয়োজনীয়তা রাখে। বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় গুণ হল নৈর্ব্যক্তিকতা। অর্থাৎ আমি গঙ্গার পাড়ে বসে পরীক্ষা করলে যা ফল পাবো, আপনি হনলুলু দ্বীপে বসে একই মাপকাঠির (প্যারামিটার) নিরিখে যদি পরীক্ষা করেন, একই ফল পাবেন। পেতে বাধ্য। তা না হলে গলদ আছে এই বিজ্ঞানের বক্তব্যে। যুগে যুগে এভাবেই এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞান। সত্যের পথে। আলোর পথে। কিছু কাল্পনিক বক্তব্য বা গালগল্প থেকে রেফারেন্স টেনে তাকে বিজ্ঞান বলে চালিয়ে দেওয়া আসলে ডাহা মিথ্যে। অতি সুকৌশলে যদি এ মিথ্যাচারিতা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। তাতে অবশ্য বিজ্ঞানের কিছু এসে যায় না। এসে যায় পরবর্তী প্রজন্মের, যারা এই মিথ্যের বেসাতিকে সত্যভ্রমে বেড়ে উঠছে।

    আহা ! সেই গল্পটা, সেই গল্পটা না বলে কি করে শেষ করি বলুন? এক নামকরা ওষুধের কোম্পানীর কর্তা অসুস্থ। চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করলেন এক জীবনদায়ী ওষুধের। ওষুধ এলো। সে-ওষুধ খেয়ে নিশ্চিন্তে পাশ ফিরে শুলেন কর্তা। হঠাৎ আঁটুবাঁটু করে উঠলো শরীর। কোনোমতে জানতে চাইলেন, কোন কোম্পানীর ওষুধ? ও হরি ! এ তো তাঁর নিজের কোম্পানীরই। মূহুর্তে ঢলে পড়লেন কর্তা। জাল ওষুধের ব্যাপার করেই যে জমিয়েছিলেন পসার। কে জানতো একদিন সেই জাল ওষুধের ফল এসে পড়বে তাঁরই ওপরে! যাকগে !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ১৯৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য্য | ***:*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৪50017
  • খুবই প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী লেখা। আরও আরও ছড়িয়ে পড়া দরকার এগুলো।
  • PM | ***:*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:২৭50018
  • ঐ বিজ্ঞানী ভদ্রলোকটিকে ভাটনগর দিয়ে দিলেই ১৬ কোল পুর্ন হয় এখন
  • amit | ***:*** | ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৭50019
  • সাইন্স কংগ্রেস আর কুম্ভমেলার মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না আর কয়েক বছরে।

    এনিওয়ে, সবকিছু তো বেদে আছেই। অত গবেষণা করে কার কি হবে। বোকা ওয়েস্টার্ণের গুলো লড়ে যাক কোয়ান্টাম থিয়েরি নিয়ে।
  • দেবাশিস্‌ ভট্টাচার্য | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫৫50020
  • আমার এক অনুজপ্রতিম বিজ্ঞানী বন্ধু খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন । মাধ্যাকর্ষণ বা 'গ্র্যাভিটেশন'-এর বাহক বলে যে কণাকে তাত্ত্বিকভাবে কল্পনা করা হয়, তার নাম 'গ্র্যাভিটন' । এখন, 'গ্র্যাভিটেশন ওয়েভ'-এর নাম যদি পালটে 'মোদি ওয়েভ' হয়ে যায়, তো ওই কণাটির নাম কী দাঁড়াবে --- 'মদন' ?
  • Atoz | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১১50021
  • মর্দন। ঃ-) মহিষাসুরমর্দনও বলা যেতে পারে একটু সাধু করে। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন