এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ভালো গরু খারাপ গরু

    Ritwik Gangopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ জুন ২০১৯ | ২২৮১ বার পঠিত
  • আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো " ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম ঃ

    ****ভালো গরু খারাপ গরু******

    ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা " বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ একটা ট্যাঁশ ব্যাপার আছে তাই মাছি ভনভন সুর্মা লুঙ্গি শোভিত সাদা বাটিতে বড়ো ছাগলের পেঁয়াজ রসুনওয়ালা খোসবাই পাওয়া যাবেনা বলেই মনে হচ্ছিলো। যাইহোক,বেল পাকলে কাকের কি। এই ঘেমো গরমে বিফ খেলে হাতে জেলুসিলের স্যালাইন লাগাতে হবে।আমার চোখে ভেসে উঠল টুসটুসে স্টেকের ছবি কিন্ত মনের হাত দিয়ে সেটা মুছে দিলাম। ফেবুতে নোটি আসছিলো, আমি তাকে " নো নো" করে ভাগালাম। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক। দুদিন পরে দেখি ও মা, কিছু দেশপ্রেমের ঠিকাদার নাকি " গরু আমাদের মা রে মাদারচোদ" মর্মে সংগঠকদের চমকে দিয়েছে। আরো জানলাম সংগঠকরা নাকি ছুপা মাকু। কয়েকজন এলিট লিবারাল, ক্যাপিটালিজমের মোড়কে ( বিজ্ঞাপনের ছবিটা পুরো উল্লুস ছিলো) গান্ডেপিন্ডে প্রোপাগাণ্ডা করার তালে ছিলো। ভালো কথা। বিপ্লবের বেহালা বাজাতে গিয়ে প্রতিবিপ্লবের ডাঙস মাথায় পড়েছে। কল্পনা করলাম ফেস্টিভালের ভেনুতে লক্ষ লক্ষ লোক দৃপ্ত চোখ মুখ নিয়ে হাড় চিবোচ্ছে আর কতিপয় মোদীসন্তানের দিকে এমন হিংস্র ভাবে তাকাচ্ছে যে তারা ত্রিশুল ফিশুল গুটিয়ে মিহি সুরে রজনীগন্ধা তুলসী খেতে খেতে তুলসীদাস আওড়াচ্ছে। কিন্ত হায়। আজকাল বিপ্লবীদের মধ্যেও ভেজাল ঢুকে গেছে। সামান্য হুমকিতেই গুয়েভারা রা ঘটিহারা হয়ে গেলো। ঢোকঁ গিলে নাম দিলো বিপ ফেস্টিভাল। মানে কি? দেবা না জানন্তি। বিপ মানে তো বুঝি সাহেবরা যখন বাবাচো দাদুচো বলে তখন স্টার মুভিজে এই আওয়াজটা হয়। তবে কি লেনিন বসু আর মাও দাসগুপ্তরাও প্রতিক্রিয়াশীল হয় গেলো? কিন্ত না। আরো ট্রাপিজ বাকী আছে। কেষ্টঠাকুরের অষ্টোত্তরকে টেনশনে ফেলে এবার নামকরন হলো ঃ বিফ আর পর্ক ফেস্টিভাল। পাতি ব্যালান্সিং করা হচ্ছে। আবাগীর ব্যাটারা খালি খেয়াল করলো না যে গরু হিন্দুদের কাছে যতোটাই পবিত্র মুসলমানদের কাছে শুয়োর তার চেয়েও বেশী ওয়াক থু। শুয়োর উজাড় হয়ে গেলে তারা বরং খুশীই হবে। যাইহোক,এর পরেও বোধহয় শেষরক্ষা হয়নি,পুরো ফেস্টিভালটাই গাধার ইয়েতে গেছে বলে খবরে প্রকাশ।

    ঠ্যাঙ দুলিয়ে দুলিয়ে এসব আমোদগেঁড়েমি দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হলো আজ থেকে প্রায় শ দুয়েক বছর আগের কথা। ঝিমঝিম গ্রীষ্মের দুপুর। এইরকম পলিউটেড গর্মি না হলেও গামছা ঘোরানো আবহাওয়া তো বটেই। এর মধ্যে ডজনখানেক আঁব সাঁটিয়ে চক্কোত্তি মশায় তার চতুর্দশী পত্নীর ওপর উপগত হওয়ার জন্য ধুতির খুঁট খুলেছেন এমন সময়ে ঠকাস ঠকাস শব্দে সচকিত হয় উঠলেন। ভুতে ঢেলা মারছে নাকি। জানালা ফাঁক করে দেখেন একটা চোয়াড়ে মতো ছোকরা কিসব ছুঁড়ছে তার বাড়ির দিকে। ঠ্যাঙাটা নিয়ে সদর দরজা খুলতেই পা গিয়ে পড়লো ঃ রামো রামো। এ কিসের হাড়? চোয়াড়ে উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠলো ঃ পড়েচে পড়েচে! ঠাকুরের পা গোমাংসে পড়েচে! যা শ্লা এবার গোবর খেয়ে মর।

    চক্কোত্তি মশায় হাহাকার দিতে দিতেও অভিশাপ বর্ষন করতে ভুললেন না ঃ নিব্বংশ হবি! সমূলে নিব্বংশ হবি শয়তান। তুই এই ব্রাহ্মণের যে সর্বনাশ করলি তাতে তোর রক্ষে নেই।

    চোয়াড়ের তাতে থোড়াই কিছু যায় আসে। সে ততক্ষনে গলিপথ দিয়ে ধাঁ। এদিকে হাড়গিলে আর শকুন বসতে শুরু করেছে বামুনঠাকুরের বাড়ির ওপর।

    এটা কোন স্বকপোলকল্পিত ঘটনা নয়। পাগলের কীর্তিকলাপও নয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশক একপাল দুর্দান্ত বাঙালী যুবকের কান্ডকারখানায় ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। আমরা এদের ইয়ং বেঙ্গল বলে জানি। এরা গোমাংস ভক্ষন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং সর্বান্তকরণে হিন্দুধর্মের গোঁড়ামিকে ঘেন্না করতেন। প্রায় দুশো বছরের ফারাকে দুটি ঘটনা কিরম এক বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে, তাই না? ভাবতে বেশ মজাই লাগে, নরেন্দ্রসেনা ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেললে কি হতো? কেলিয়ে চামড়া গুটিয়ে দিতো না কি? সেটা হলে অবশ্য ইতিহাসে কিছুটা ভেলকিবাজি দেখা যেতো যা বাঙালীর কাছে মোটেই সুখপ্রদ হতোনা। কারন এই যুবকের নাম হয়তো কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন,ওদিকে হিন্দুশাস্ত্রেও সুপন্ডিত। ইংলিশ থেকে বাংলা ভাষায় বহু গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ তার হাত ধরে হয়েছে। হতে পারতেন রামতনু লাহিড়ী যার বই বাঙালীর সমাজদর্পনে মাইলস্টোন হয়ে আছে। হতে পারতেন প্যারিচাঁদ মিত্র যিনি সাংবাদিকতায় নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। অথবা রাধানাথ শিকদার যার কীর্তি দুনিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ খুঁজে বের করার মধ্যে অমর হয়ে আছে। এছাড়া ব্রাহ্মধর্ম আন্দোলন, কলেজ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, বিখ্যাত বাঙালি ব্যাবসায়ী - কে নেই এ তালিকায়? জানতে ইচ্ছে করে গোমাংস ভক্ষন বা ম্লেচ্ছধর্ম গ্রহণই কি তাহলে এদের পরিচয় হয়ে দাঁড়াবে, এই নতুন ভারতবর্ষে? এটা হলো প্রথম আশঙ্কা। দ্বিতীয় আশঙ্কা হলো বিপ্লবীদের প্রতি। যদি সত্যিই সংঘর্ষের পথে যাবেন বলে ঠিক করেন তাহলে দু একটা ধমক চমকেই এত ঘাবড়ে গেলেন কেন? ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে সমাজের বিরুদ্ধে লোকাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কলিজা আপনাদের তো নেইই বরং বাওয়ালের প্রথম ঘেউঘেউ শুনে আপনাদের লেজ দুপায়ের ফাঁকে ঢুকে গেছে৷ এরকম শৌখিন মজদুর আমাদের দরকার নেই কমরেড। আন্দোলনের পদ্ধতি ঠিক না ভুল সেটা পরের প্রশ্ন। কিন্ত সেদিকে এগোলে একটু মাটি কামড়ে থাকতে হবেই।

    বন্ধুরা, আপনারা নিষিদ্ধ মাংস ভক্ষন করতে চাইলে করুন। শোর গরু সাপ ব্যাঙ ব্রন্টোসরাস যা ইচ্ছে খান। কিন্ত সেই নিয়ে ঢাক ঢোল পেটানোর ইচ্ছে হলে এই পালটানো সময়ে সেটা খুব হাততালি নাও লিআনতে পারে। মাঝখান থেকে ত্রিশূলের খোঁচাফোচা খেয়ে সেপটিক হলে কিম্বা চাপাতির ঘায়ে কল্লা উড়ে গেলে কতৃপক্ষ দায়ী থাকবেনা। বরং আমাদের আর্যাবর্ত থেকে আসা ভাইবেরাদরদের দেখে শিখুন। তারা চুপচাপ চিকেন তন্দুরী সাঁটিয়ে " রাধে রাধে", " জয় সিয়ারাম " কিম্বা " জয় জৈনেন্দ্র" ধ্বনি দিতে দিতে সমবেত খ্যামটার আসরে যায়। অতএব হাতে আর মগজে, দু জায়গাতেই বাইসেপের অভাব থাকলে এই সব লিবারালপনা না করাই ভালো।

    মনে রাখবেন, ইয়ং বেঙ্গলের একটা ডিরোজিও ছিলো। আমাদের কেউ নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ জুন ২০১৯ | ২২৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | ***:*** | ১১ জুন ২০১৯ ০৪:৫৯48879
  • বেশ বেশ। ভালো লাগলো পড়ে।
  • | ***:*** | ১১ জুন ২০১৯ ০৫:১৮48880
  • বাহ ঠিক ঠিক।
  • dc | ***:*** | ১২ জুন ২০১৯ ০৩:১৮48881
  • এসবও হচ্ছে নাকি?! কি অবস্থা! আচ্ছা পার্ক সার্কাসের সেই অসাধারন ছোট্ট ছোট্ট বিফ পরোটা এখনো পাওয়া যায় নাকি বন্ধ করে দিয়েছে? আর ওলি পাবের সেই অখাদ্য বিফ স্টেক, সেটা আছে নাকি সেটাও গেছে?
  • T | ***:*** | ১২ জুন ২০১৯ ০৩:২৬48882
  • নিউমার্কেটের কালম্যান এইসবের জন্য বন্ধই হয়ে গ্যালো যে। সময় থাগতে খেয়ে রোমন্থন করে নিন, কদিনই বা আর।
  • dc | ***:*** | ১২ জুন ২০১৯ ০৩:২৮48883
  • যা ঃ-( কিন্তু এবছর আর কলকাতা যাওয়া হবে না।
  • সৈকত | ***:*** | ১২ জুন ২০১৯ ০৩:২৯48884
  • পাওয়া যাবে হয়ত পরেও, গলি তস্য গলির মধ্যে।
  • de | ***:*** | ১২ জুন ২০১৯ ০৭:৩২48885
  • অমন গেরুয়া দাপটের পুণেতেও বিফ পাওয়া যায় - কোথায় পাবা যায় সেটা অবশ্য লিখবো না -

    কলকাতায় খিদির্পুর, রাজাবাজার, মেটেবুরুজ - এই তিন জায়গায় পাবা যাবেই, যে সে সরকারই আসুক -

    বিফ থেকে বিপ - হাসতেও কষ্ট হচ্চে -
  • রঞ্জন | ***:*** | ১৩ জুন ২০১৯ ০৩:৪২48886
  • আহা , কলাবাগানের গলির সেই চার আনায় দু'পিস বড়মাংসের টুকরো, একটা ছোট্ট স্টিলের রেকাবিতে অ্যার লাল রক্তরাঙ্গা ঝোল ! এক্ষণ সেই ঝোল খেলে ডিসেন্ট্রি হবেই হবে।
    রফি আমেদ কিদওয়াই রোডে একটি সিনেমা হলের পাশে চমৎকার দুধের কড়িমিঠি চা ,এবং কড়া শিককাবাব।
    এসব পঞ্চাশ বছর আগের ফিকে হয়ে মিলিয়ে যাওয়া স্বপ্ন।
    দু'বছর আগে দেখলাম নিজামের সেই মুখে মিলিয়ে যাওয়া বিফরোল ও উঠে গেছে। বড় করে লেখা-- নো বিফ!
    আচ্ছা, গরু যদি মাতা হন, তাহলে উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্যকে সহস্র গোধন জনক দান করেছিলেন কেন?
    মাকে কি কেউ দান করে ?
    মহাভারতেও দেখছি গো মাতা নয় , সম্পদ। তাই উত্তর-গোগৃহ রণে গোধন লুঠ করা নিয়ে যুদ্ধ।
  • গবু | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৯ ০১:২৩48887
  • রঞ্জনদা নিজাম নো বিফ তো বহু বছর লিখেছে বলেই আমার ধারণা। যবে থেকে রোলের দোকান হয়েছে - তখন থেকে ।

    টি - কালমান বন্ধ হয়েছিল তো বোধ হয় মালিকদের কিছু একটা অসুবিধেতে, মাঝে দেখছিলাম কোনো ফেবু পোস্টে - এখন খেয়াল নেই। বিশদে বলবেন একটু ?
  • রঞ্জন | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৯ ০২:১১48888
  • @গবু,
    আসলে আমি বহুদিন ধরে আউট অফ টাচ।
    ১৯৬৯ এ কোলকাতা ছেড়্বে যাওয়ায় নিজাম গেলাম ২০০৯ সালে স্মৃতিমেদুর হয়ে এক জুনিয়র বন্ধুকে খাওয়াতে। শেষে হতাশ হয়ে পাশের একটা দোকানে যেতে হল। সেই স্বাদ পাওয়া গেল না , নাকি বয়েসের সঙ্গে রসনারও বদল হয়েছে!
  • PM | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৯ ০২:৩০48889
  • এই জন্যেই ছোটো বেলার কোনো দারুন স্মৃতি কে রিভিসিট করতে কবি নিষেধ করেছেন রন্জন দা
  • কল্লোল | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৯ ০৩:৫৭48890
  • নিজামে আগেও রোল বিক্কিরি হতো। তবে আমাদের পছন্দ ছিলো পরোটা আর ভূনা।
    বেশ কিছুদিন হলো নিজাম হাতবদল হয়েছে। যারা কিনেছেন তারা প্রথম থেকেই গরু বন্ধ করে দিয়েছেন।
    খাবার ব্যাপারতা নিয়ে এতো দ্যাখনদারী ভালো লাগে না। গরু খাও শুওর খাও, তিমি খাও, পিমড়ের ডিম খাও, ইঁদুর খাও কে বারণ করেছে! এই দ্যাখো খাআআচ্ছি.... বলে খাবার কি প্রয়োজন বুঝি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন