এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্কুলের খাতা

  • ব‌ই, ব্যাগ এবং ....

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    স্কুলের খাতা | ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | ৩৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ব‌ই, ব্যাগ এবং ....

    স্কুলে যেতে গেলে একজন শিক্ষার্থীর অপরিহার্য উপকরণ হলো স্কুল ব্যাগ। আমাদের কালের কথা বলতে গেলে ব্যাক্ গীয়ারে সময়টাকে ঠেলে অনেকটা পেছনে নিয়ে যেতে হবে। তাতে হ্যাপা অনেক। একালের মানুষেরা, বিশেষ করে যাঁদের উঠতি বয়স, উড়তি স্বপ্ন - তাঁরা কেউই আর পেছনে ফেলে আসা সময়ের গপ্পো শুনতে চায়না। তাঁদের কথা ভেবে (পড়ুন সমালোচনা) একালের পটেই সেকালের গপ্পো বলার চেষ্টা করছি। এতে করে দোনো সুবিধা - সাপ‌ও মরবে অথচ হাতের লাঠি হাতেই থাকবে। দেখা যাক দু-পা এগিয়ে।

    সেদিন দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর্ব মিটিয়ে খিড়কির দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিতেই মিঠির মুখোমুখি হয়ে যাই। মিঠি আমাদের প্রতিবেশী । মিঠি এবার দশ ক্লাসের পরীক্ষার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই জোর পড়াশোনার চাপ। বছর ঘুরলেই পরীক্ষা। তবে স্কুলে যাবার ব্যস্ততা নেই। তা বলে টিউশনে যাওয়াতে কিন্তু কোনো কামাই নেই। বললাম – পড়তে চললিরে মা ? মিঠি মুচকি হেসে ঘাড় নাড়ে। বলতে না বলতেই মিঠির মা মৌ, ঢাউস সাইজের এক ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। পেল্লায় ব্যাগ। নিশ্চয়ই ব‌ইপত্রে ঠাসা। হালকা পাতলা গড়নের মৌ কাঁধে গন্ধমাদন পর্বত প্রমাণ ব্যাগ নিয়ে টুকটুক করে পা চালিয়ে মেয়ের পিছে পিছে হাঁটতে থাকে। আমি দরজা বন্ধ করে ভেতরে ঢূকে পড়ি।

    আমাদের কালে ব‌ই ব‌ওয়ার জন্য এমন বাহারি আয়োজন ছিলনা। অবশ্য ব্যতিক্রম ছিল আমার স্কুল, যেখানে আমার নাড়া বাধা। আমাদের স্কুল ব্যাগ ছিল খাকি ক্যানভাসের তৈরি। মিলিটারি কায়দায় পুরোদস্তুর খাকি পোশাকের সঙ্গে মানানসই করেই ছিল এমন আয়োজন। একদিনের কথা বলি। বেঞ্চের নিচের পাটাতনে ব্যাগ ঢুকিয়ে রাখতে গিয়ে দুই সহপাঠীর মধ্যে খুটমুট ঠোকাঠুকি বেঁধে গেছে। ক্লাসে তখন গৌরী দি। দিদিমণি হিসেবে বেশ কড়া মনোভাবের, আর মানুষী হিসেবে একেবারে তুলতুলে নরম মনের। যাইহোক লড়াইয়ের ঝাঁঝ বাড়তেই গৌরী দির নজরে ক্যাঁচ কট্ কট্ দুই দুরাত্মা । আমরা বাকিরা সবাই প্রমাদ গুণছি কি জানি কী হয় ভেবে। সব বেত্তান্ত শুনে গৌরী দি খালি চাপা স্বরে বললেন - “ওহ্! এই সমস্যা?” তারপরেই গলার আওয়াজটাকে একটু ভারী করে বললেন – “সবাই নিজের নিজের ব্যাগ বেঞ্চের ওপর তুলে রাখো। আমি দেখবো।”

    মুহূর্তের মধ্যেই হুকুম তামিল,সবার ব্যাগ তখন বেঞ্চের ওপর। গৌরীদি একনজরে ব্যাগগুলো দেখেই বেঢপ চেহারার ব্যাগ গুলোকে আলাদা করে বেছে নিলেন; তারপর ঠাণ্ডা গলায় বললেন – “সব কিছুরই একটা কায়দা আছে। যেমন তেমন করে ব‌ইপত্র ঠেসে ঠুসে ব্যাগে ঢোকানো হলে, তা নিয়ে রোজ‌ই পাশাপাশি বসে থাকা বন্ধুদের মধ্যে খিটিমিটি লড়াই বেঁধে যাবে। তারচেয়ে বরং আজ আমরা ব্যাগ গোছানোর সঠিক কায়দাটা শিখে নিই।” – একথা বলেই গৌরীদি ব্যাগ গোছানোর কায়দা শেখাতে শুরু করলেন। আমরাও দিদির দেখানো কায়দায় নিজেদের ব্যাগগুলোকে যত্ন করে গুছিয়ে নিলাম। সেদিন থেকে পাশাপাশি এক‌ই বেঞ্চে বসা বন্ধুদের কনুই ঠোকাঠুকির কাজ চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেল। একালের সাহেব মেম তৈরি করা মিঠির স্কুলের ক্লাসঘরে সব ‘সেপারেট ইন্ডিভিজুয়াল ডেস্ক‘ তাই বন্ধুদের সাথে পাশাপাশি বসাও নেই, চুলোচুলি করে শরীর ও মনের উষ্ণতা ভাগ করে নেওয়া নেই, আর গৌরীদি তো নেইইই।

    আমাদের কালে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠতে খানিকটা সময় লেগেছিল। কাঁধের ব্যাগ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগে এ্যালুমিনিয়াম অথবা চামড়ার তৈরি সুটকেসে করে ব‌ইপত্র নিয়ে যাওয়া হতো। এতে করে ব‌ইপত্র বেশ পরিপাটি থাকতো বটে, তবে তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া এবং বেঞ্চের নিচের ডেস্কে ঠিকঠাক ঢুকিয়ে রাখার কাজটা মোটেই সহজ ছিলোনা। অতয়েব তা কখনোই দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা হয়ে ওঠেনি।

    হাইস্কুলে পড়তে গিয়ে অবশ্য ব‌ইপত্র নেবার অন্যান্য কায়দার সাথে পরিচিত হলাম। হাইস্কুল আমাকে শেখালো – রোজ রোজ গাদাগুচ্ছের ব‌ই নিয়ে স্কুলে আসার গুডিগুডি কায়দা ছাড়তে হবে, স্রেফ একটা চটি খাতা নিয়ে চলে এসো। এতে করে নাকি ফ্রি মুভমেন্টের বেজায় সুবিধা। ঝাড়া হাত পায়ে চলতে শেখাটাও ভীষণ জরুরি। অনেকেই এই তত্ত্ব মেনে জামাটাকে প্যান্টের ভিতর গুঁজে নিয়ে জামার ভিতর খাতাটাকে চালান করে দিতো। প্যান্টের ভিতর খাতা গুঁজে সহজেই যথা ইচ্ছা তথা চলে যেতে পারতো তারা। আমাদের কয়েকজনের বুকের পাটায় তেমন জোর ছিলোনা। তাই আমরা কাঁধে ঝোলানো কাপড়ের তৈরি শান্তিনিকেতনী ব্যাগে করে ব‌ইপত্র, খাতা ইত্যাদি নিয়ে যেতাম। সম্ভবত এই সময় থেকেই কাঁধে ঝোলানো কমরেড সুলভ ব্যাগের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেটা গত শতকের সত্তরের দশকের কথা।

    একালে অবশ্য ব্যাগের বাহার অফুরন্ত। একাধিক খোপযুক্ত একালের ব্যাগে বিস্তর জিনিস ঢোকে। আমার অত্যন্ত পরিচিত এক মানুষ জানিয়েছিলেন তাঁর নাতির ব্যাগে প্রতিদিন পনেরোটা খাতা,রুটিন মাফিক খান ছয়েক ব‌ই, পেন পেন্সিলের বাক্স,দু লিটার জলের বোতল, টিফিনের কৌটো নিয়ে যেতে হয়। স্কুলবাসেই যাতায়াত করে। বৌমা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড অবধি যায়, আবার ফেরার সময় ওই বাসস্ট্যান্ড থেকেই নাতিকে নিয়ে আসে ব্যাগখানি পিঠে করে। এতে খানিকটা হাঁটাহাঁটিও হয়। কখনো কখনো আমার বন্ধুবর‌কেও এই কাজটি করতে হয়। নাতিই তো বংশের বাতি!

    ব্যাগের সাথে সাথে ভেতরের বহনীয় উপাদানের চরিত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে একালে। আর এই পরিবর্তনের সূত্রধরেই ব্যাগ থেকে বেমালুম উধাও হয়ে গেছে কতগুলো উপকরণ যা একসময় ছাত্রদের ব্যাগে জায়গা করে নিত। স্কুলব্যাগের এই আদি ও অকৃত্রিম দোসররা হলো ইংরেজি ডিকশনারি, ম্যাপ ব‌ই বা এ্যাটলাস্ এবং গল্পের বই। এই প্রসঙ্গে প্রয়াত সুকান্ত দার কথা মনে পড়ছে ভীষণভাবে। কনভেন্টে পড়া ছাত্র। মাস্টারমশাই হিসেবে এলেন আমাদের স্কুলে সহকর্মী হিসেবে। তাঁর চলনে বলনে এক আশ্চর্য দিলদার মেজাজ ছিল। ইংরেজি পড়াতেন। তখন স্ট্রাকচারাল ফাংশনাল পদ্ধতিতে ইংরেজি পড়ানোর ধুম লেগেছে শিক্ষাঙ্গনে। সুকান্ত দা ক্লাস সেভেন আর এইটের ছাত্রদের কলিন্সের পকেট ডিকশনারি আনার ওপর জোর দিলেন। সবাই সাত তাড়াতাড়ি গুরুবাক্য শিরোধার্য করে ডিকশনারি আনা শুরু করলো তা নয়, তবে এই ফরমানের কারণে দুটি বিষয় বেশ জানা গেল - এক, ছাত্রদের অনেকেরই এই …. নারির সঙ্গে নাড়ির যোগাযোগ নেই, আর দুই, অনেকেই ডিকশনারি দেখতেই জানেনা। সুকান্তদার এই এডভেঞ্চার অবশ্য স্থায়ী হয় নি, কারণ ততদিনে ছেলেরা বৈকালিক পাঠবাসরে যাতায়াতের প্রবল অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্কুলের পাঠ্য বইয়ের তুলনায় স্যারদের ফরমাইশ অনুযায়ী ব‌ইখাতা ব্যাগে ঢুকিয়ে নেওয়া বিশেষ মান্যতা পেতে শুরু করেছে। দ্রুত বদলে যায় ফরমান, ট্রাডিশন - সবকিছু ।

    একালে ডিকশনারি সঙ্গে রাখার কথা কেউই ভাবে না। স্কুলের তরফেও এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয় না। ডিকশনারির বোঝার পরিবর্তে এখন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে এসে পৌঁছেছে ট্যাবলেট বা স্মার্টবোর্ড। পাতা উল্টিয়ে সঠিক শব্দ আর খুঁজতে হয়না। ঝটপট সমাধান। ওদের ব্যাগে এখন তাই এইসব উপকরণ ঠাঁই পেয়েছে। আর সেদিনের পকেট ডিকশনারিরা বিলকুল উধাও হয়ে গেছে কালের গর্ভে।

    “একথা মানতেই হবে যে একালের “এডুকেশন” একেবারেই বদলে গেছে, যারফলে সেকালের চলতি পাঠ উপকরণগুলো এইসময়ে একেবারেই অচল হয়ে পড়েছে। আমি অভিধান বা ডিকশনারির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি, কিন্তু একালের এক শিক্ষার্থীকে সেই বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা খুব কঠিন। একালের বাচ্চাদের কাছে সহজে কাজ হাসিলের উপায়টাই অনেক অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।”– এমন‌ই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিনিয়র স্কুল প্রিন্সিপাল Tina Servaia.
    সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে পকেট ডিকশনারিকে তাই আজ আর স্কুল ব্যাগে রাখার কথা মনে করেনা কেউই। ডিকশনারির দিন চলে গেছে। তাদের ঠাঁই এখন লকারের নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে।

    মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল নুপূর ঘোষের কথায় – “কোভিড প্যানডেমিকের আগে যদিওবা ডিকশনারির ব্যবহার টুকটাক চলছিল,গত চার বছরে এর ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে। এরফলে স্টুডেন্টদের মধ্যে অনেকেই alphabetical order মনে রাখতে পারছে না যা তাদের জুনিয়র ক্লাসের পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন শব্দ নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য স্মার্ট বোর্ডের সাহায্য নেওয়ার চল হয়েছে।”

    কলকাতার মুকুন্দপুরে অবস্থিত বিড়লা হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল জেসিকা গোমসের অভিমত – “ডিকশনারি দেখার অভ্যাস অতুলনীয় এক পরম্পরা। এরফলে একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে একটি শব্দের বহুতর ব্যবহার ও প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। একালের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণে এই সুবিধা নেই। এখন এক ক্লিকেই সব সমস্যার সমাধান।” একালে পুরনো উপকরণের অনেক কিছুই অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, এককালের ডিকশনারি আজ তাই আর স্কুল ব্যাগের পক্ষে সত্যিই অপ্রয়োজনীয়। সুকান্ত দা একথা শুনতে পেলে ভারি কষ্ট পেতেন।

    স্কুল ব্যাগের আরও একটি উপকরণ ছিলো অ্যাটলাস বা মানচিত্র ব‌ই। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে এই প্রয়োজনীয় পাঠ উপকরণটিও একালের শিক্ষার্থীরা ভুলেও ব্যাগে ঢোকানোর তাগিদ অনুভব করে না। অথচ মানচিত্র হলো ভৌগোলিকের ভাষা। পৃথিবীর আঞ্চলিক পরিচিতির জন্য মানচিত্র ব‌ইয়ের গুরুত্ব রয়েছে। মনে আছে হেডমাস্টার মশাই আমাদের ভূগোল পড়াতেন। বুক লিস্টে চণ্ডীচরণ দাসের অ্যাটলাসের কথা লেখা থাকতো। একবার কিনলে বেশ কয়েকবছর তাতেই চলে যেতো। অ্যাটলাস হলো বিশ্ব বীক্ষণের প্রাথমিক উপকরণ। তাই যেদিন ভূগোলের ক্লাস থাকতো সেদিন তো বটেই, সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও আমরা তাকে ব্যাগ বন্দী করে নিতাম। কেন? ম্যাপ নিয়ে আমাদের এক মজার খেলা ছিল – ম্যাপ ব‌ইয়ে কোনো বিশেষ জায়গাকে খুঁজে বের করা। হয়তো কেউ বললো কামচাটকা উপদ্বীপের নাম। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি চলতো। ম্যাপ ব‌ইয়ে খুঁজে পাওয়া সহজ ছিলোনা। তবে যার চর্চা বেশি ছিল সে সহজেই তাকে খুঁজে বের করে ফেলতো। এভাবে কত অজানা জায়গা ঘোরা হয়ে যেত আমাদের। চাঁদের পাহাড়ের খোঁজে আমরা পাড়ি দিতাম নিজেদের চেনা ঘেরাটোপ ছেড়ে দূরে দূরান্তরে। বিস্ময়ের তো অন্ত ছিলোনা। পারুল দি ভূগোল পড়াতে এসে ম্যাপ ব‌ইয়ের পাশাপাশি ভিউ ফাইন্ডারে থ্রি ডায়মেনশনাল ছবি দেখিয়ে সবাইকে আরও আরও চাগিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের পাঠদানের মধ্যে বিস্ময় লুকিয়ে থাকতো। এখনকার এক ক্লিকের দুনিয়ায় সেসব কোথায়?

    আমাদের পড়াশোনার মধ্যে বিস্ময়ের স্থান নেই। গোদা অক্ষরেই আমাদের সবকিছু বাঁধা পড়ে গেছে অনেকদিন।
    তাই সুশীলা বিড়লা গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপাল কোয়েলি দে যখন বলেন – “সময়টাই বদলে গেছে। পাঠক্রমের পরিবর্তন সেই সাবেকি ধ্যান ধারণায় বদল এনেছে। স্পেস সেন্সের চেনা ধারণাকেই বদলে ফেলা হয়েছে একালে। ফলে মানচিত্র ব‌ইয়ের গুরুত্ব আজ কোথায়? ইন্টার এ্যাকটিভ বোর্ড এখন এইসব সমস্যা নিমেষেই সমাধান করতে পারে। তাহলে ব্যাগ ভরে অ্যাটলাস নিয়ে যাবে কেন ?” ব্যাগ থেকে তাই, অ্যাটলাস ব‌ই বাই বাই !

    আর‌ও একটি জিনিস হয়তো চিরকালের মতোই স্কুলব্যাগে ঠাঁই পাবার ব্যাপারে ব্রাত্য হয়ে গেল, তা হলো গপ্পের ব‌ই। বাড়িতে বাবা মায়ের নজর এড়িয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে যাওয়া স্বপনকুমারের গোয়েন্দা সিরিজের চটি বই অথবা বেতালের কমিকসের ব‌ইগুলো ব্যাগে করে নিয়ে যেতাম বন্ধুদের সঙ্গে অদলবদল করে নেবার জন্য। ঐ সব ব‌ইয়ের প্রতি নিষিদ্ধ আকর্ষণ ছিল। একালে তো ব‌ই পড়ার অভ্যাসটাই বিলকুল লোপাট। মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করা ছাত্র অথবা ছাত্রীদের মুখের সামনে মাইক্রো ফোন ধরে সাংবাদিকরা যখন জানতে চান – কী কী ব‌ই পড়তে ভালো লাগে? তখন যে সব কথা উত্তর দিতে গিয়ে তাঁরা বলে তার মধ্যে বিশ্বাস, ভালোবাসা, অনুভূতির স্পর্শ থাকেনা। আসলে ওদের ব‌ই পড়ার সময় কোথায়? সারাদিন আমাদের মিঠির মতো স্যার আর ম্যাডামদের এক আখড়া থেকে অন্য আখড়ায় ঘুরে ঘুরে মাধুকরী সংগ্রহ করে ফিরতে হয়। পাঠ্যবই পড়াটাই যখন অবসোলেট হয়ে গেছে, তখন গপ্পের ব‌ইয়ের সেই স্বপ্নালু আকর্ষণ আর থাকে কখনও !

    আজ বরং শেষ করি একটা কবিতা দিয়ে। এই সময়টাকে ধরে রাখতে চেয়ে লিখেছিলাম কথা কটি কোনো এক সময় –

    বদলে গিয়েছে, সব বদলে গিয়েছে।
    আজকাল আমাদের খেলা নেই,
    মাঠ ময়দান জুড়ে কংক্রিট
    সারাদিন ছোটাছুটি, ছুটি নেই -
    জীবনের রেট্ (rat) রেসে হতে ফিট্।
    বদলে গিয়েছে, সব বদলে গিয়েছে।

    সকালেতে ঘুম চোখে দৌঁড়‌ও
    অঙ্ক বা বিজ্ঞান কোঢি‍ং এ,
    ক্লান্তি! আরে মাৎ ঘাবড়াও,
    এই বেলা সবকিছু শিখে নে!
    ………..
    তবু কোনো সোনাঝরা সকালে
    মন-পাখি মেলে দেয় ডানা তার,
    রুটিনের বাঁধা গৎ ঠেলে দূর
    পার হ‌ই স্বপ্নের পারাবার। …. ( সংক্ষেপিত)

    বুকের ভেতর স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক। ব্যাগ ভর্তি হয়ে বেঁচে থাকুক।

    পুনশ্চ :
    এতক্ষণ ধরে যেসব কথা লিখেছি তার সবটাই তথাকথিত কর্পোরেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগ নিয়ে। সেই সব ব্যাগের গড়ন পিটনের সঙ্গে সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও তার ভেতরের উপকরণগুলো কখনোই এক নয়। ইচ্ছে র‌ইলো এদের ব্যাগের ভেতরের খবর নিয়ে লেখার। ধন্যবাদ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্কুলের খাতা | ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | ৩৭৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বেলুর - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aditi Dasgupta | ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৭735547
  • গরমকালে আমাদের ব্যাগ এ ব্লেড আর নুন থাকত। হায়ার সেকেন্ডারির সময় ক্রিকেটার আর ফিল্মস্টর দের পোস্টকার্ড থাকত, মোবাইল আসার আগে প্রেম পত্র থাকত কারো কারো ব্যাগে, টিফিন নিলেও আলু কাবলি ঘুগনি খাবার পয়সা থাকত পার্স এ। @ সরকারি স্কুল।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৫735548
  • এতো অন্য রহস্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে! আমাদের কালের স্কুল ব্যাগ আমাদের মতোই স্বপ্ন বিলাসী ছিল।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10fb:ddfc:8000::***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৪735564
  • ঠিক মনের কথাগুলি তুলে ধরেছেন। এটলাস ব্যাগে না থাকলেও সেটা ছিল বিশ্ববোধের প্রথম ধাপ। কালের নিয়মে উঠে যাবে সবই ।এই আমরা যারা এতসব ভাবছি তারাও একদিন 'স্কুল ব্যাগের ' বাইরে চলে যাব। 
    স্কুল ব্যাগে  যে দুটো ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখেছি সে কথা বলি। একটা শোনা একটা দেখা। শহরের একটি ছেলের স্কুল ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছিল পকেটে রাখার মত উপযুক্ত  ছোট বিদেশী সুরার বোতল। আর আমার স্কুলের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ছেলে চোখ না ফোটা জ্যান্ত ইঁদুর ছানা এনেছিল বাগের মধ্যে ।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৮735567
  • ছেলেবেলার স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিলেন। ডিকশনারীর একটি অন‍্যতম প্রয়োগ হচ্ছে উচ্চারণ শেখানোতে,বাংলা ইংরেজী উভয় ভাষাতেই। আরো একটা ব‍্যাপার ছিল Thesaurus, Roger's Thesaurus।  একটি শব্দের একাধিক সমার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দের খনি। মনে হয় আরো অনেক কিছুর সঙ্গে সে সবও আজকাল কেউ বিশেষ দেখে না। অথচ থেসরাস ম্যাপের মতন ভারি আশ্চর্য জিনিস, একবার দেখতে শুরু করলে অনায়াসে ঘণ্টাখানেক কেটে যেত। আমাদের সময়ের ডুম স্ক্রল যাকে বলা যেতে পারে। বাংলায় খুব সম্ভবত অশোক মুখোপাধ‍্যায় সমার্থ শব্দকোষ নাম দিয়ে লিখেছিলেন। খুব ভাল কাজ। 
  • Somnath mukhopadhyay | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৭735571
  • সৌমেন বাবুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। স্কুল ব্যাগ ছাত্রের কাছে একটা আড়াল‌ও বটে। আপনি যে দুটি অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তার বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। যে ছাত্রটি ছোট্ট ইঁদুর ছানা নিয়ে এসেছিল ব্যাগে ,  তাঁর শৈশব দীর্ঘায়িত হোক। 
    দ্বিতীয় জন পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার। এমন প্রবণতা নিশ্চয়ই উদ্বেগজনক। এমন শিক্ষার্থীরা এক বিচ্ছিন্ন মানসিকতার শিকার। 
    অরিন বাবুকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। স্মৃতি যে সতত‌ই সুখের তা আপনার মতামত পড়েই বেশ মালুম হলো। একালের সঙ্গে সেকালকে মেলাতে গেলে বিপদে পড়তে হবে। ডিকশনারির আকর্ষণ যে কতটা তা বোঝানোর ক্ষমতা নেই। এই রত্নটিও একালে কাজে লাগবে না ভেবে একটু উদ্বেগ হয় বৈ কি! সমার্থক শব্দকোষটি এখনও লেখালেখির সময় আমার সঙ্গী হয়েই থাকে।
     
    সকলেই ভালো থাকবেন।
  • Ritabrata Gupta | 117.195.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৫২735577
  • দারুন  লাগলো !  ছোটবেলার  কথা  মনে  পড়ে  গেলো !  আরো  লিখুন .  সমস্যা  তুলে  ধরার  প্রয়োজনও  আছে .
  • Manali Moulik | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ০০:১৫735580
  • আর জ‍্যামিতি বক্স, হোমওয়র্কের পুরোনো খাতা কাটাকুটি বা সুডোকু খেলার জন‍্য, নতুন ধরনের পেন পাওয়া গেলে সবাইকে দেখাতে বা ক‍্যুইজ আর বন্ধুদের গ‍্যাংয়ের কমেন্টস্ লেখার পুরোনো খাতা---  এগুলো তালিকায় নেই !
    এটা যদিও সরকারী স্কুলের স্টুডেন্টের অভিজ্ঞতা। 
  • জনৈক | 47.32.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:১৭735582
  • @অরিন | 119.224.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৮:   ওটা Roget's Thesaurus হবে, Roger's নয়।
  • অরিন | 115.189.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:২৯735583
  • হ‍্যাঁ, একদম ঠিক, মনে হয় অটোকারেকশনের জন‍্য হয়েছে। 
  • পৌলমী | 49.37.***.*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০২735585
  • স্কুল ব্যাগ নিয়ে এতো কাণ্ড ! উপভোগ্য রচনা। সহজ সরলভাবে ব্যাগগুলোকে খোলা হয়েছে। বাঙলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের ব্যাগের ভেতর একালে কী কী উপকরণ থাকে তা নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হলো। 
  • অভীক পাল | 2409:40e4:1050:bf52:6812:46ff:febe:***:*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ২০:৪২735597
  • এ গল্পঃ শুধুমাত্র লেখকের একার নয়, নব্বই দশকের সব বাংলা মাধ্যম বিদ্যার্থীদের গল্পঃ। অনবদ্য সুন্দর ভাষায় লেখক তুলে ধরেছেন সেই পিছনে ফেলে আসা দিনগুলোকে। তবে লেখায় আলোচ্য সুকান্ত দা যদি প্রয়াত সুকান্ত কারকুন হয় তবে তার সেই পকেট ডিকশনারির গল্পঃ আমারও পরিচিত, কারণ আমিও সেই নব্বই দশক বিদায়ী এক ছাত্র।
  • Dipanjan Das | 2600:1702:6950:9970:b80d:a9e3:9c7a:***:*** | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৬735691
  • গৌরী দি , সুকান্ত দা , ম্যাপ বই --- যদি ওই দিনগুলো আবার ফিরে পেতাম কি ভালো হতো 
  • dc | 2401:4900:93db:f0b0:201b:b1fe:4775:***:*** | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৮735692
  • আমার ইস্কুলের ব্যাগে বেতালের কমিকস বই অবশ্যই থাকতো। বেতাল, জাদুকর ম্যানড্রেক, বাহাদুর, আর অমর চিত্র কথার বইগুলো। ছোটবেলায় অনেকে মিলে সেগুলো শেয়ার করে করে পড়তাম। আর ইলেভেন টুয়েলভে অবশ্য পানু গল্পের বই থাকতো। ডিকশনারি বোধায় থাকতো না, অ্যাটলাসও না। টিফিন বাক্স থাকতো, তবে প্রথম দুতিন পিরিয়ডের মধ্যেই টিফিন শেষ করে বসে থাকতাম। 
  • Somnath mukhopadhyay | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:২৮735703
  • মতামতের অবসরে নিজের স্কুল জীবনের ব্যাগের ভেতরের উপকরণগুলোকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই। পিছনে তাকালেই স্মৃতিকাতর হয়ে উঠি আমরা।
  • DrSouravM | 2401:4900:b2f5:6e94:3557:2b75:4ff4:***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:২৬735743
  • Education is the biggest business in the present world. Loved the movie super 30 for saying this.
  • Sugata Bhattacharjee | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০০:২৯735841
  • অনেক পুরোনোদিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন দাদা। কত সুন্দর দিন গুলো ফেলে এসেছি। খাঁকি ব্যাগ টার মধ্যে মলাট দেওয়া খাতা বই দের একদম সেট করে নিয়ে যেতাম। সাথে টিফিন আর পেন্সিলবক্স। 
    পরিবর্তন সবচেয়ে স্থায়ী ঠিকই কিন্তু আমাদের নিজেদেরকেই নতুনের সাথে কিছু কিছু পুরোনো জিনিষকে মিলিয়ে নিয়ে চলতে পারলে ভালো। অন্তত dictionary এর ব্যবহারটা ছোটদের শেখানো উচিত। তাতে উপকার ই বেশি হবে আশা করি। 
  • অভ্রদীপ | 240a:61:2194:b70d:1b6:34b3:b307:***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৯735849
  • আবারও ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। সুকান্তদা আমাদের কখনও পকেট ডিকশনারি নিয়ে আসার কথা বলেননি বটে, তবে ডিকশনারি বহুল ব্যবহারের সময়টায় আমরাও বেড়ে উঠেছি। Alphabetical order মনে রাখতে না পারার বিষয়টা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর ডিকশনারিতে কোনো শব্দ খুঁজতে গেলে পাতা উল্টানোর সময়ে অন্যান্য নতুন শব্দ চোখে পড়ে, এর বাইরে বর্তমানের ডিকশনারি অ্যাপগুলোর কোনো খারাপ দিক তো দেখি না। বরং সেখানেও শব্দের একাধিক অর্থ, ব্যবহারিক প্রয়োগের উদাহরণ, এমনকি উচ্চারণের অডিও পর্যন্ত শোনা যায়। 
    অ্যাটলাস বই তো ছিলো রোজকার সঙ্গী। এমনকি দূরে কোথাও বেড়াতে গেলেও সবসময় চোখ থাকতো ম্যাপবইয়ে- কোন নদী পার হলো, কোন পাহাড়ের পাশ কাটিয়ে চলছি ইত্যাদি। এখন তো গুগল ম্যাপ আসায় তাতে আরও সুবিধা হয়েছে। স্ট্রিট ভিউ তো অনবদ্য জিনিস। আমার অবসর কাটানোর সঙ্গী!
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৩735886
  • মতামতের জন্য অভ্রদীপকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের খোলসটা খুব দ্রুত গতিতে বদলে যাচ্ছে। অনেকেই এটাকে প্রগতি বলে মনে করেন। নতুন সময়ের আবর্তে হারিয়ে গেছে অনেক অনেক কিছু।আমরাই হারিয়ে ফেলছি। পুরনো পুঁজির আর কদর নেই একালে। স্ট্রিট ভিউ দেখে আনন্দ পাওয়া এক অনুপম অনুভূতি। এই আনন্দ মোবাইল ফোনে পাওয়া সম্ভব? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন