একটি বিশেষ ঘোষণা - গুরুচণ্ডা৯ এই বছর উৎসব ইস্পেশাল সংখ্যা প্রকাশ করছে না প্রতি বছরের মত। এর কারণ হিসেবে সত্যি কথাটা সহজে বলাই ভালো। যেটুকু সময়, অথবা যে মানসিক স্থৈর্য বা স্থিতিশীলতার দরকার পড়ে উৎসবের গল্প অথবা কবিতা পড়তে, বাছতে, অথবা সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে, তা এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবাদ নয়, প্রতীক নয়, নিতান্ত স্বাভাবিক মানবিক কারণেই এই বছরের পুজোসংখ্যায় সাময়িক বিরামচিহ্ন।
এবং বলাই বাহুল্য, গুরুচণ্ডা৯-র নিয়মিত সমস্ত বিভাগে প্রবন্ধ, আলোচনা, পড়াবই, ধারাবাহিক উপন্যাস ইত্যাদি সব-ই প্রকাশিত হচ্ছে এবং হবে, এবং বর্তমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই, যা কিছু আপনাদের, আমাদের বিপন্ন করছে, ভাবাচ্ছে, বা ভাগ করতে ইচ্ছে করছে সবার সাথে, সেই সবকিছু নিয়েই লেখার আহ্বান রইলো। যেমন বড়বাঁধ নিয়ে লেখার আমন্ত্রণ এখনও থাকছে। হতে থাকুক মুক্ত পরিসরে আলোচনা অথবা অন্তর্বেক্ষণ, যা এত কাল হয়ে এসেছে গুরুর পাতায়। ধরা থাকুক সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর, উঠে আসুক বিচারব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ, বিচারহীনতার দুর্যোগ, গণ-আন্দোলনের হাল-হকিকত, সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন, শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি থেকে রাজনীতির অলীক কুনাট্য - সব-ই। সেই সব-ই লিখুন গুরুর পাতায়, যা আজ লিখে না রাখলেই নয়। জয় গোস্বামী লিখেছিলেন, “নিয়তি পার করে লেখো, লেখাই ভাঙে হাতকড়া”। লিখতে লিখতে, পড়তে পড়তে, আমাদের সমস্ত হাতকড়া একে একে ভেঙে যাক, এই শরতে এইমাত্র চাহিদা।