এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • সোভিয়েত বিশ্বের ওঁচাটেতম ব্যবস্থা ছিল? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৮০১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৮ জন)
  • কবিতা কৃষ্ণন নাকি টুইটে লিখেছেন, "সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল একনায়কতান্ত্রিক, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেয়ে ঢের খারাপ"। আমি টুইটার দেখিনা। হিন্দু তে দেখলাম ( **লিংক লেখার নিচে) ।  

    টুইটারের আড়াই লাইনে এইসব তত্ত্ব লেখার কী মানে জানিনা, অবশ্য গোটা পৃথিবীতেই রাজনীতি এখন রেটোরিক সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছু দেখিওনা, উত্তরও দিইনা। কিন্তু এইটা কবিতা কৃষ্ণন বলেই লিখতে হচ্ছে, কারণ, "প্রগতিশীল"রা একরকম করে আদর্শ পতাকাবাহক হিসেবে  দীর্ঘদিন ধরেই কবিতাকে উপস্থাপন করছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যের কিছু ওজন আছে। এবং এটা ঠিক প্রেক্ষিতহীনভাবে একটা টুইট তুলে আনা নয়। হিন্দুতে দেখলাম, একই লাইনে কিছু কথাও বলেছেন। যেমন সোভিয়েত মডেলকে বিশ্বের খারাপতম একনায়কতান্ত্রিক মডেল হিসেবে দেখতে হবে। 

    তা, কথা হচ্ছে, সোভিয়েত কিছু আদর্শ সমাজব্যবস্থা ছিলনা, যেমনটা আমাদের ছোটোবেলার 'সোভিয়েত দেশ' বা 'সোভিয়েত নারী'তে দেখানো হত। গণতন্ত্রের নিরিখে কী কী সমস্যা ছিল সোভিয়েতের? 

    ১। সোভিয়েত শব্দটার অর্থই হল 'জনতার পঞ্চায়েত' ধরণের কিছু একটা (আমি রুশ জানিনা, ফলে এটাকে সঠিক আক্ষরিক অনুবাদ বলে ধরবেন না)। এদের গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিতই হবার কথা, যদিও পদ্ধতিটা সংসদীয় গণতন্ত্রের চেয়ে আলাদা। কিন্তু সোভিয়েত বিপ্লবের পর প্রথম দশকেই, মূলত গৃহযুদ্ধের কারণে এসবের গণতান্ত্রিকতা চৌপাট হয়ে গিয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া মোটামুটি আর বাকি সব দলও তুলে দেওয়া হয়েছিল। এবং কমিউনিস্ট পার্টির ভিতরেও বিরুদ্ধমতের মঞ্চ তৈরি করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। গৃহযুদ্ধের পর এসবের ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সোভিয়েত জমানায় কখনও সোভিয়েত গণতন্ত্র আর ফেরত আসেনি। শুধু ফেরত আসেনি নয়, স্তালিন জমানায় ভিন্নমতের জন্য বস্তুত মুন্ডু কাটা হত। ত্রৎস্কিকে সুদূর মেক্সিকোয় খুন করা হয়। বাকি যারা সোভিয়েতেই থেকে গিয়েছিলেন, পার্টির উপরতলার একটা বড় অংশকে ফৌত করে দেওয়া হয় প্রতিবিপ্লবী আখ্যা দিয়ে। এঁদের বেশিরভাগই হাতেকলমে বিপ্লবটা করেছিলেন।  

    ২। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সোভিয়েতের শুরুর দিক মূলত বিপর্যয়কর। জমি অধিগ্রহণের চক্করে, বিশেষ করে ইউক্রেন এবং কাজাকাস্তানে, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, বহু লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলেন। ত্রৎস্কির লেখা পড়লেই দেখা যাবে, এই স্টিমরোলার চালানো সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির তিনি বিরোধী ছিলেন। তাঁর বিকল্প প্রস্তাবও ছিল, যা, অন্তত পড়লে, অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়। কিন্তু তিনি কল্কে পাননি, তাঁকে দেশ ছাড়া করা হয়, এবং শেষমেশ খুন। আদর্শ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক বিপর্যয়টা ঘটত না। 

    তা, এ হেন ব্যবস্থাকে আদর্শ বলে লাভ নেই। নিঃসন্দেহে। কিন্তু কথা হল, ওঁচাটেতম বলাটা কি যুক্তিযুক্ত? আমরা একটু আদর্শ পশ্চিমী গণতন্ত্রের দিকে তাকাই। ধরুন পৃথিবীর "শ্রেষ্ঠ" গণতন্ত্র, আমেরিকা। সেখানে একাধিক পার্টি। ভোটদানে কোনো বাধা অকল্পনীয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে খুব দুর্জনেও বিশেষ কিছু বলতে পারবেনা। কিন্তু কথা হল, তারপরেও এ দেশে সরকার চালায় এক মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স। কথাটা আমার নয়, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি আইজেনহাওয়ারের। যিনি নিজে সমরনায়ক, এবং এই আঁতাত সম্পর্কে বিলক্ষণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। 

    কথা হল, কীকরে চালায়? এ নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ব্যাপারটা হল এই, যে, আমেরিকা বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ রপ্তানি করে, এবং রপ্তানির যুদ্ধ করে। একে এক কথায় কেউ কেউ ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম বলেন। আমরা আগে যাকে বলতাম সাম্রাজ্যবাদ। কী করে করে? দুনিয়া জুড়ে একশ গন্ডা উদাহরণ আছে, হাতে-গরমটি ইরাকের। ইরাককে যে অজুহাত দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল, অর্থাৎ, গণবিধ্বংসী অস্ত্র, সেটি কাঁচা গুল ছিল, এখন সবাই জানে। ব্রিটেন সরকার গুলবাজির জন্য কিছুদিন আগে ক্ষমাও চেয়েছে। কিন্তু তাতে কী। একটা আস্ত দেশকে খাক করে তেল, সামরিক এবং নির্মানকার্য সংক্রান্ত গাদা কনট্রাক্ট পেয়েছে বহুজাতিকরা। সেই টাকা কোথায় ঢালা হয়? নির্বাচনে। আমেরিকায় দুটো পার্টি আছে, এই ব্যাপারে যাদের নীতির বিশেষ তফাত নেই। তারা চুলোচুলি করে। বস্তুত বিপুল টাকায় ভোট কেনা হয়। তৃতীয় কোনো শক্তির উত্থানের জায়গাই নেই। এবং জিতে আসা সরকার, এই যুদ্ধ রপ্তানির নীতি বজায় রাখে। চিলে থেকে ইরাক অবধি জ্বালিয়ে খাক করে, তার টাকায় প্রথম বিশ্বের রমরমা। 

    প্রথম বিশ্বের তথাকথিত গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার আবশ্যিক শর্ত হল তৃতীয় বিশ্বকে জ্বালিয়ে দেওয়া। এখনও পর্যন্ত তাইই হয়েছে। চিন এসে এই একচেটিয়ায় হাত দিয়েছে, কিন্তু সেটা অন্য কথা। এখানে কথাটা হল, সোভিয়েত তার দেশের কিছু লোককে মেরেছিল, জেলে পাঠিয়েছিল, ঠিকই, কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোটি-কোটি লোককে 'গণতন্ত্র' টিকিয়ে রাখতে মারেনি। তাহলে ওঁচাটেতম ব্যবস্থাটা কী? সোভিয়েত? না পশ্চিমী গণতন্ত্র। পশ্চিমী গণতন্ত্র নিজের দেশের মানুষকেও মারেনা, তা নয়। দুর্বলতম অংশকে সিস্টেমেটিকালি জেলে ভরা এবং খুন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ই হোক, আর টেক্সাসের কার্লোস ডিলুনা, কোনো তফাত নেই। এ নিয়েও বিস্তর কথা হয়েছে। নতুন করে কিছু বলার নেই।

    ফলে পয়েন্টটা পরিষ্কার। সোভিয়েত বহু অপরাধ করেছে, কিন্তু গোটা দুনিয়াকে চুষে খায়নি। পশ্চিমী গণতন্ত্র তার নিজের দেশে ব্যক্তিস্বাধীনতা দেয় বটে, কিন্তু সেটা বাকি পৃথিবীকে শ্মশান করার মূল্যে। সন্দেহ থাকার কথাই নয়, কিন্তু কথাগুলো উঠছে, কারণ, আগে যাকে প্রথম-তৃতীয় বিশ্বের দ্বন্দ্ব বলা হত, সেই বিষয়টা আর চাষবাসেই নেই। শুধু ওটা নয়, টুইটার-গুগল-ফেসবুক, এবং প্রথম বিশ্বের সোসাল সায়েন্সের অ্যাকাডেমিয়ার কল্যাণে, গোটা দুনিয়াতেই আর লিঙ্গ এবং বর্ণ (গায়ের রঙ এবং জাতপাত দুই অর্থেই), এর বাইরেও যে বৈষম্য বলে কিছু হয়, সেই বোধটাই উবে যেতে বসেছে। গরীব-বড়লোক, প্রথম বিশ্ব- তৃতীয় বিশ্ব, শহর-গ্রাম, কেন্দ্র-রাজ্য, পুঁজিপতি-শ্রমিক, এগুলো মূলত নেই হয়ে গেছে। এখন রাজনীতি বলতে কেবল এবং কেবলমাত্র আইডেন্টিটি পলিটিক্স, বাচন বলতে রাজনৈতিক সঠিকত্ব, এবং প্রতর্ক বলতে টুইটারের আড়াইশো শব্দ। এই গোটা প্রেক্ষিতটা নির্মিতই হয়েছে, পশ্চিম এবং তার ধ্বজাধারী বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায়, যাদের একেকটির উপার্জন, বিশ্বের মাঝারিমাপের সরকারগুলির উপার্জনের থেকেও বেশি। ফলে এদের সুবিধেজনক বৈষম্যই যে একমাত্র থাকবে, পশ্চিমী গণতন্ত্রের চেয়ে বাকি সবই ওঁচা হয়ে যাবে, তাতে আর আশ্চর্য কী।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৮০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • থিয়োরি | 43.239.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:০৩511561
  • ওঁচাটেতম হোক বা না হোক, সোভিয়েত মডেল যে ফেইলড, তাতে তো সন্দেহ নেই? তাহলে ধণতান্ত্রিক গণতন্ত্রের  বিকল্প সমাজনীতি অর্থনীতি বা রাজনীতিটা কী হবে ভারত বা পশ্চিমবঙ্গে? মডেলটা কী, আর বর্তমান অবস্থার থেকে কী কী পরিবর্তনের মাধ্যমে সেটায় পৌঁছনো সম্ভব?
    সেটা বলে দেওয়ার মত থিয়োরেটিশিয়ানেএর এতই অভাব দেশে বা পৃথিবীতে যে এখনও মার্কস এঙ্গেলসের বাইরে বেরিয়ে একটা নতুন ইকনোপলিটিকাল সিস্টেম ডিজাইন করা যাচ্ছে না? দেশের সম্পদ রিকভারি তো মনে হয় এই গাদাকোটি টাকা লোন নেওয়া কর্পোরেটগুলোর থেকে স্ট্যান্ডিং এবং রিটেন অফ লোন অ্যামাউন্ট রিকভার করা গেলেই হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সম্পদ উদ্ধার করে আদানী আম্বানী টাটা বিড়লার পকেট না ভরে দেশটা দেশের জনসম্পদকে কাজে লাগিয়ে, সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে চালাবে কে আর কীভাবে? 
    একই প্রশ্ন আর-কি, যে, পার্থ, কেষ্টা, প্রসন্নদের অবৈধ সম্পদ না হয় ইডি রিকভার করে দিল, সেইটা হাতবদল হয়ে অন্য অবতারের ঘরে না জমে জনতার কাজে লাগানো যাবে কীভাবে? 
     
    গুরুর রেসিডেন্ট থিয়োরেটিশিয়ান ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করা থামিয়ে এনিয়ে একটু মাথা ঘামানোর সময় পাবেন?
  • অনিন্দ্য সেন | 2402:3a80:1cd0:223e:b08e:d3ff:fe7f:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:২৮511562
  • সৈকত, অসাধারণ হয়েছে। এর প্রত্যেকটা পয়েন্ট ধরে ধরে একটা দলিল হতে পারে - হওয়া উচিত। 
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১০511563
  • ওঁচাটেতম বলে তো কিছু হয় না, কারন সবকটা সিস্টেমই মানুষের তৈরি, তাতে নানারকম ড্রব্যাক তো থাকবেই। 
     
    তবে হ্যাঁ, কথা হলো যে কমিউনিস্ট মডেল যা কিনা সোভিয়েত ইউনিয়ন এ অ্যাপ্লাই করা হয়েছিল সেটা ফেল করে গেছে। কিন্তু তার উল্টোদিকে গণতান্ত্রিক মডেল যা কিনা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড এর বেশ কিছু দেশে অ্যাপ্লাই করা হয়েছিল সেটা এখনো অবধি টিঁকে আছে। এর মধ্যেও অনেক তর্ক থাকতে পারে - অনেকে বলবেন সোভিয়েত ইউনিয়নে লাস্ট অবধি যেটা হয়েছিল সেটা আদৌ কমিউনিজম নয় বা পশ্চিমে যেটা এখনো অবধি চলছে সেটা আদৌ গণতন্ত্র নয়। এছাড়াও থিওরি বনাম প্র‌্যাক্টিস ইত্যাদি। তবে দিনের শেষে বলাই যায় যে পৃথিবীর বেশীর ভগ দেশে, ইন প্র‌্যাক্টিস কমিউনিস্ট মডেল ফেল করেছে আর ডেমোক্র‌্যাটিক-ক্যাপিটালিস্ট মডেল এখনো অবধি ফেল করেনি। 
     
    এর বহু কারন আছে, সারা বিশ্বের তাবত গবেষক আর তার্কিক সেসব নিয়ে তর্ক করে আর গবেষনা করে (ইন দ্যাট অর্ডার) একেকটা লাইব্রেরি ভরিয়ে দিয়েছেন। আমার মতে একটা কোর কারন হলো, সোভিয়েত ইউনিয়নে স্টেট কন্ট্রোল ইম্পোজ করা হয়েছিল। সরকার সবকিছুর দায়িত্বে, ব্যাক্তির জায়গা নেই। এই ব্যাপারটা কোন কমিউনিস্ট দেশেই সফলভাবে করা যায় নি, সবজায়গাতেই শেষ অবধি ডিক্টেটরশিপে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন এখন চীনে কমিউনিস্ট শাসন চলছে বলা হয়, কিন্তু আসলে সেটা ডিক্টেটরশিপ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটুও নেই। 
     
    উল্টোদিকে, যেসব দেশে ডেমোক্র‌্যাসি এখনও চলছে সেগুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটু বেশী আছে বা অন্তত সেই স্বাধীনতার ইলিউশান আছে। (যদিও বলা যেতে পারে যে আম জনতার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে আর রুলিং ক্লাসের সেই মত ইগনোর করার স্বাধীনতা আছে)। এছাড়া ডেমোক্রেসি গুলোতে বেশ কিছুটা এন্ত্রেপ্রেনিউরিয়াল স্বাধীনতা আছে, যা কিনা বাই ডেফিনিশান কমিউনিস্ট সিস্টেমে ছিল না, কারন কমিউনিস্ট দেশগুলোতে সবকিছুই স্টেট কন্ট্রোলে। এই দুটো স্বাধীনতা (বা স্বাধীনতার ইলিউশান) থাকার ফলে ডেমোক্র‌্যাটিক দেশগুলো কিছুটা বেশী ফ্লেক্সিবল হয়েছে, কমিউনিস্ট দেশগুলোর মতো মুখ থুবড়ে পড়ে নি। 
     
    এই হলো আমার মত। জানি আমি ৯০% ই ভুলভাল লিখলাম, তাও লিখবার স্বাধীনতা তো আছে, যতোক্ষন অবধি না প্রধানসেবক সেই  স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিচ্ছে :-)
  • সম্বিৎ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৫৬511565
  • এটার একটা সহজ সমীকরণ আছে। গোদাভাবে দেখলে তথাকথিত পশ্চিমী দুনিয়া নিজের দেশের ভেতরে একটা সমতা বজায় রাখে (রেসিজম, বা উত্তরোত্তর লাগামছাড়া অর্থনৈতিক বৈষম্য ধরছি না এই আলোচনায়), কিন্তু বাইরে তাদের চোখের চামড়া নেই। এ সেই ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দী থেকে চলে আসছে। ইট সার্ভড দেম ওয়েল।
     
    উল্টোদিকে সোভিয়েত বাইরে সমতার বাণী প্রচার করে দেশের ভেতরে একটা অসম্ভব ক্লাসিস্ট সোসাইটি তৈরি করেছিল। পার্টির মেম্বাররা এক ক্লাস আর যারা মেম্বার নয় তারা। ক্ষমতা কুক্ষীগত হতে হতে অটোক্রেসি হয়ে পড়েছিল সব কমিউনিস্ট দেশে।
     
    যদিও আমি অনেকের মতই মনে করি পশ্চিমী ব্যবস্থা (মানে তথাকথিত গণতন্ত্র) খুবই বায়াসড, এবং আনফেয়ার একটা বড় অংশের কাছে, কিন্তু এর থেকে ভাল এবং পরীক্ষিত আর কিছু তো বেরোল না।
  • থিয়োরি | 43.239.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১০511566
  • কেন বেরোচ্ছে না এটাই আশ্চর্যের। ইকনোপলিটিকালসোসিওলজি কি খুব রেয়ার কোনো স্ট্রীম না সিস্টেম ডিজাইন করার মত প্রতিভা অপ্রতুল না সেটা প্র্যাকটিসে নিয়ে আসার মত রিস্ক নেওয়ার সাহস নেই কোনো দেশেই?
    ভারতে ভোটিং সিস্টেমটাই এত জালি, আর তার কোনো ফুল প্রোভেন অলটারনেটিভই প্রপোজ করা যাচ্ছে না অদ্যাবধি - এটাও আশ্চর্যের। ক্ষমতায় যারা আছে তারা অল্টারনেটিভ চায় না, তাই হচ্ছে না - এটা ছাড়া অন্য কারণ বোধগম্যই নয়।
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১৮511567
  • কেন বেরোচ্ছে না এ নিয়েও বহু তর্ক আছে। তবে আমার মনে হয় ইন দ্য লং রান সেই সিস্টেমটাই টিঁকে থাকার সম্ভাবনা বেশী যেটা বেশীসংখ্যক মানুষের কাছে অ্যাক্সেপটেবল। আর সেই সিস্টেমটাই অ্যাক্সেপটেবল যেটাতে নানা মত, পথ ইত্যাদি প্রকাশ করার আর মানিয়ে নেওয়ার ফ্লেক্সিবিলিটি আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে সিস্টেম নিয়ে অসন্তুষ্ট সেটা কুড়ি, তিরিশ, চল্লিশ বছর পর হলেও ভেঙে পড়বে (সংখ্যাগরিষ্ঠ মানে ভোটের বিচারে না, একটা সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ)। তো এরকম ফ্লেক্সিবল আর সংখ্যাগরিষ্ঠর কাছে অ্যাক্সেপটেবল একটা সিস্টেম বার করাও বেশ চাপের। কোন একজন মানুষ (যেমন মার্ক্স) এরকম কিছু বার করতে পারবে বলে মনে হয় না (আমার ব্যক্তিগত মত)। 
  • lcm | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৪০511568
  •  
     
  • lcm | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০৩511569
  • বর্তমান যুগকে বলছে - beginning of the Knowledge Age ...
    অনেক পন্ডিত এটাকে ব্যাখা করছেন -
    Knowledge Age is a form of capitalism in which knowledge and ideas are the main source of economic growth and prosperity....

    আরও বলছে, এই ইকনমিক সিস্টেমের হৃদয় ও মস্তিষ্ক হল যথাক্রমে জ্ঞান ও প্রযুক্তি - Knowledge and technology are the heart and mind of global economy...

    এই ব্যাপারটা আমেরিকা তথা পশ্চিমের ডেভলপড ইকনমির দেশগুলো করেছে, বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সারা পৃথিবীর ব্রেন ড্রেইন করেছে, নিজের দেশে এনেছে -- আমেরিকান (তথা প্রথম বিশ্বের) ইকনমিক সিস্টেমের সাফল্যের এটা একটা কারণ বলে ব্যাখা করছেন।

    আর, অন্য দেশে গোলমাল বা দাদাগিরির মূল উদ্দেশ্য দুটি -

    এক, ন্যাচারাল রিসোর্স, সব দেশে সমান নয়, অন্য দেশেরটা হাতিয়ে নেওয়া একটি উদ্দেশ্য

    দুই - মার্কেট তৈরি করা, যাতে উন্নতিশীল দেশের নতুন মার্কেট থেকে লাভ তুলে আনা যায়, অন্য দেশের নব্য ধনী নাগরিকেরা যেন অ্যাপেলের ফোন থেকে লিভাইসের জিনস কেনার জন্য মুখিয়ে থাকে। অর্থাৎ, চিন দেশেরই মেটিরিয়াল ও শ্রমে তৈরি লন্ডন ফগ ব্র্যান্ডের এর জ্যাকেট চিনের ধনী ব্যক্তিরা যেন ১০ গুণ বেশি দামে কেনে।
  • lcm | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:১৮511570
  • মার্কেট তৈরি করার রূটে আছে কালচারাল হেজিমনি।

    সুনীল গাঙ্গুলী লিখেছিলেন আমরা জন্মে থেকে পশ্চিমমুখো। ফিলিপিনসের সিনেমা, কবিতা, গান, কালচার - এসব থাকতেই পারে না। যা আছে সব পশ্চিমে।

    পশ্চিমের জানালা ছাড়া আধুনিকতার মিষ্টি হাওয়া আমাদের মনের ঘরে ঢুকতেই পারে না।

    পশ্চিমের লোকেরা হাঁটুর কাছে ছেঁড়া প্যান্ট পরে স্টাইল বানালে ওটাকেই আমরা ফ্যাশন বলে মানি, পশ্চিমের লোকেরা ঠিক যেভাবে সিনেমার লোকেদের পুরস্কার দেবার অনুষ্ঠান করে আমরা ঠিক তাই করি, এমনকি ছোটখাটো জিনিস যেমন জন্মদিনে বন্ধুর মুখে কেক মাখিয়ে কিছুটা খাবার নষ্ট করি।

    এই হেজিমনিকে, এটাকে সোভিয়েত চ্যালেঞ্জ করেছিল।
    চিন এটাকে চ্যালেঞ্জ করে নি।

    অ্যাট লিস্ট সোভিয়েত সেই চেষ্টাটা করেছিল।
  • Swati Ray | 117.194.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৩৩511571
  • খুব ভাল লাগল এই লেখাটা। অত্যন্ত একটা বায়াস-বিহীন ভাবে দেখার চেষ্টা তো হল। 
     
    এল সি এম, এই নলেজ ইকোনোমি টা কি এলিটিজমের খুব  আলাদা,  ওই পাওয়ারের  ধরণটা একটু আলাদা ছাড়া ? এতে কি  ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড আর থার্ড ওয়ার্ল্ড  এর ধারণা টা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ? নাকি আধিপত্য বজায় রাখার নতুন কৌশল ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::99:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬511572
  • ওয়েস্টার্ণ ডেমোক্রাটিক দেশগুলোর অর্থনীতি টিঁকে আছে কয়েকশো বছর ধরে কলোনিগুলোর থেকে নিষ্পেষিত পয়সায়। ঐ পয়সা ফিরিয়ে দিতে হলে (রিপ্যারেশান) ঐ দেশগুলোর গণতন্ত্রও দুদিনে ভোগে যাবে। আর এই কলোনিয়ালিজম এখনও বিভিন্ন প্রকারে বিভিন্ন উপায়ে চলছে (লসাগুদা যেগুলো লিখলেন, এবং বাকী উপায়গুলো আমরাও সবাই জানি)। চীন সেই গর্ত থেকে বেড়িয়ে গেছে বলেই তো এতো রাগ।

    আমেরিকাতে যে সবার ভোটাধিকার সমান নয় সেটা এখন প্রমাণিত। এমনকি বেঁচে থাকার অধিকারও সবার জন্য সমান নয়। এই সেদিন ষাটের দশক অবধিও কোনও অধিকারই সমান ছিলোনা। অতেব অত লাপানোর কিছু হয়নি।
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১২511573
  • হ্যাঁ, এই সময়টাকে নলেজ এজ বলা যায়। এলসিএমদার দেওয়া গ্রাফে যেমন দেখিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগের পর এখন নলেজ এজ চলছে। (যদিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেস এখনও আছে)। এরকমও হতে পারে, গনতান্ত্রিক দেশগুলো যতোটা ভালোভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল থেকে নলেজ এজের ট্রান্সফর্মেশান সামলাতে পেরেছে, স্ভিয়েত ইউনিয়ন আর সেই সময়ের অন্য কমিউনিস্ট দেশগুলো সেভাবে ঐ ট্রান্সফর্মেশানটা সামলাতে পারেনি। তার কারনও হয়তো ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের স্টেট কন্ট্রোল, যার ফলে ব্যক্তির ইনিশিয়েটিভের জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছিল।  
  • একক | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৫৫511574
  • সোভিয়েত ওঁচা না ঘোঁচা সেটা ম্যাটার করে কি আদৌ??   এইযে বারবার উঠে আসে একটা এংগল যে,  পশ্চিমি হেজিমনির উল্টো দিকে সোভিয়েত একটা নতুন হেজিমনি... তো সেটার স্বরূপ কী??  বিদেশের টেক্নলজি থেকে কালচার সবকিছু নিয়ে সোভিয়েতের যে জল অচল মনভাব তার সঙ্গে কমিউনিজমের সম্পর্ক কী??  কিস্যু নেই। কারণ গপ্পটা প্রথম থেকেই কমিউনিজমের নয়, সোভিয়েত পরিচিতি রক্ষার যেটার কেন্দ্রে আদতে বসে ছিল রাশিয়ান কলচর। এই জিনিস ই পরবর্তীতে দুগিনের মত পাব্লিকের হাতে পড়ে ন্যাশনালিস্ট থিওরির রূপ নিয়েচে। হঠাৎ করে পুটিনের আমলে পয়দা হয়েচে এমন নয়। সোভিয়েত মডেলের মধ্যে আগাগোড়া থেকে যাওয়া এই ন্যাশনালিজম এর সাপেক্ষে আলচনা হতে পারে। নইলে মনে হবে কমিউনিস্ট দেশ মানেই বোধহয়,  কালচার- টেকনলোজি সবেতে দেয়াল তুলে রাখাটাই একটা লেফটিস্ট পলিটিকাল মডেল।
  • যোষিতা | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৫৯511575
  • একদিকে হীরেনবাবু ভুলভাল লিখে চলেছেন সদর্পে, অন্যদিকে এটা। উহ্!
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৭511576
  • একক, কিন্তু বহুকাল ধরে সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেদেরকে কমিউনিস্ট দেশ হিসেবেই তুলে ধরতো। সেখান থেকেই এই টইএর শুরুর টুইটটা আসছেঃ "সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল একনায়কতান্ত্রিক, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেয়ে ঢের খারাপ"। সোভিয়েত ইউনিয়ন এর রুলিং ক্লাস নিজেদের কমিউনিস্ট হিসেবেই প্রোজেক্ট করতো আর ক্যাপিটালিজম এর আইডিওলজিকাল অপোজিশান হিসেবেই দেখাতো। মানে ষাট সত্তর বছর ধরে, বা অন্তত কোল্ড ওয়ার পিরিয়ডে সেটাই ছিল মেন পলিটিকাল ডিসকোর্স। কাজেই সোভিয়েত মডেলের কমিউনিজম নিয়ে তো আলোচনা করতেই হবে! কারন ওরা নিজেরাই সেই ভাবে আলোচনাটা করতে চাইতো। সেজন্যই সোভিয়েত ইউনিয়ন এর কোল্যাপ্স আর কমিউনিস্ট মডেলের কোল্যাপ্স প্রায় একই সময়ে হয়েছে। 
  • S | 2a03:e600:100::***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫৭511577
  • সেদি, আপনি এখনও ঐসব টইগুলো পড়েন? হা হা হা হা।
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৫511578
  • আচ্ছা, এনডিটিভিতে পড়লাম যে কবিতা কৃষ্ণান কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। এই টইতে পয়েন্টগুলো রেলিভ্যান্ট মনে হলো।  
     
    Kavita Krishnan, one of the most prominent faces of the CPI(ML) Liberation, today quit all her party posts, pointing to some "troubling questions" about the Soviet Union under Stalin and the current Chinese government, and their parallels with India under Narendra Modi. 
     
    আর ওনার পয়েন্টগুলোঃ 
     
    1. The need to recognise the importance of defending liberal democracies with all their flaws against rising forms of authoritarian and majoritarian populisms not just in India but around the world
    2. The need to recognise that it is not enough to discuss the Stalin regime, USSR, or China as failed socialisms but as some of the world’s worst authoritarianisms that serve as a model for authoritarian regimes everywhere.
    3. The conviction that for our fight for democracy against fascism and growing totalitarianism in India to be consistent, we must acknowledge the entitlement to the same democratic rights and civil liberties for all people across the world, including subjects of socialist totalitarian regimes past and present.
     
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৯511580
  • বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি দেখে কবিতা কৃষ্ণনের মনে হয়েছে, একনায়কতন্ত্রী পপুলিজমকে থামানোর জন্য পশ্চিমী গণতন্ত্রকেই সাপোর্ট করতে হবে। তো এই মতে ভুল কী আছে ? অন্য কোন মডেল যখন নেই, আর আছেন পুতিন বা শি, যাদের কাছ থেকে স্ট্রংম্যানরা দেশের লোককে কাঠি করা শিখছে, তখন পশ্চিমী গণতন্ত্রকেই মেনে নিতে হবে, এই তো বক্তব্য বুঝলাম। এও বুঝলাম যে ইউক্রেনযুদ্ধ নিয়ে বামপন্থী হয়েও ন্যাটোকে দায়ী করেননি, পুতিনকেই করেছেন যেটা করাই উচিত।

    হ্যাঁ, পশ্চিমী গণতন্ত্রের যে ফাঁক ও ফাঁকি, সে সব থাকার জন্যই যে সেই গণতন্ত্র দুর্বল হয়, তাদেরকেও মুখ লুকোতে হয়, সেই জটিলতার মধ্যে উনি যাননি। বর্তমানের সুরাহা খুঁজছেন মনে হয়, পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
     
     
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫৭511581
  • কবিতা কৃষ্ণনের এই পয়েন্টগুলো, আমারও, ঠিকই আছে মনে হয়েছে। তবে এই টইএর লেখক সৈকতবাবু মনে হয় কিছুটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের আলোচনা করতে চেয়েছেন, মানে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের ওঁচাটেতম ব্যবস্থা ছিল কিনা। আমার মনে হয় সেই আলোচনা করতে গেলে এই দুটো ফ্যাক্ট ধরে এগোতে হবেঃ এক, সোভিয়েত ইউনিয়ন কোল্যাপ্স করে গেছিল, আর দুই, কিছু ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রেসি কোল্যাপ্স করেনি, এখনো টিঁকে আছে। তার কিছু কিছু কারন অবশ্যই আছে, নাহলে আর একটা মডেল উবে গেল কেন। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নই বিশ্বের ওঁচাটেতম ব্যবস্থা ছিল কিনা সেটা মনে হয় অনেকটাই  কবিতা কৃষ্ণনের ব্যাক্তিগত মতামত।   
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:০৩511582
  • এখানে আর একটা লেখা আছে -

    https://theprint.in/politics/left-not-fully-consistent-coherent-about-democracy-says-kavita-krishnan-after-cpim-l-exit/1113426/

    ভুলে ভরা ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পথ কী, পশ্চিমী গণতন্ত্র ছাড়া, এখন, এই ওনার মূল প্রশ্ন বুঝলাম। লিবারেল গণতন্ত্রের উল্টোদিকে ছিল চীন ও রাশিয়া, যারা আজকের পপুলিজমের আদি, সেই মডেলে তো যাওয়া যাবে না তদুপরি সেই মডেলটিও নেই এবং যারা এখন ঐ দুই দেশে আছে তারা ঐ মডেলকেই খারাপভাবে বর্তমানেও ব্যবহার করে যাচ্ছে। কবিতাদেবীর বক্তব্যটা ঠিক ইতিহাস নিয়ে নয়, বর্তমান নিয়েই, বর্তমান কঠিন প্যাঁচ তৈরী করছে বলেই। এটা একরকমের পথ হাতড়ানো আর ক্রাইসিস, কিন্তু সেই ক্রাইসিসের জন্য ওনাকে দলের পদ ছেড়ে দিতে হল, সেও ঐ দলটির জন্য আর এক ক্রাইসিস !
     
     
  • সিএস | 49.37.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:১০511583
  • উনি স্কোপটা ছোট করেছেন। দেশের লোকের সাথে ব্যবহারে কে ভালো, বুর্জোয়া গণতন্ত্র না তথাকথিত কমিউনিস্ট ব্যবস্থা। সেখানে কমিউনিস্ট ব্যবস্থাকে খারাপ বলেছেন, গোদাভাবে দেখলে তো ঠিকই আছে। আর গোদাভাবে দেখতে হচ্ছে বর্তমানের পরিস্থিতির জন্য, ঘাড়ের ওপর অনেক কিছু এসে পড়েছে বলে। ধীরেসুস্থে প্রবন্ধ লিখতে হলে হয়ত অন্য দিকের কথাও বলতেন। এবং এই কথাগুলো হঠাত করে এখনই বলেননি, চীনের ব্যবস্থার নিন্দে জুন মাসেই করেছেন। তো সে নিন্দে তো করাই উচিত।
     
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:c967:ada4:df87:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৩১511584
  • 'সেই টাকা কোথায় ঢালা হয়? নির্বাচনে। আমেরিকায় দুটো পার্টি আছে, এই ব্যাপারে যাদের নীতির বিশেষ তফাত নেই। তারা চুলোচুলি করে। বস্তুত বিপুল টাকায় ভোট কেনা হয়'
    - শেষ লাইন-টা, বিপুল টাকায় ভোট কেনা - এটা নিয়ে আর একটু লিখলে ভাল হত। 
    এটা ঠিক কিভাবে হয় ? 
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০০511585
  • অরণ্যদা, টাকা দিয়ে ভোট কেনার ব্যাপারটা তো ওয়েল নোন। সুপার প্যাক ইত্যাদি বানানো হয় যেখানে ডোনেশান করা যায়, ক্যান্ডিডেটের ক্যাম্পেনেও টাকা ডোনেট করা হয়। যে ক্যান্ডিডেট যতো বেশী ফান্ড রেইজ করতে পারবেন তিনি ইলেকশান ক্যাম্পেনে ততো বেশী স্পেন্ড করতে পারবেন। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:c967:ada4:df87:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৬511586
  • ও আচ্ছ। আমি ভাবছিলাম সরাসরি ভোটার- দের টাকা দেওয়ার কথা, যেমন তুমি লিখেছিলে তামিলনাড়ুতে ভোটার হিসাবে টাকা পাওয়ার গল্প :-)
    এদ্দিন আম্রিগায় ভোট দিয়ে কোন অর্থাগম হল না, এ বড়ই না ইনসাফি 
  • dc | 2401:4900:1f2a:1ed6:4cfa:b30c:da16:***:*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৮511587
  • হ্যাঁ চেন্নাইতে সরাসরি টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যায়। এখন রেট মোটামুটি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার যাচ্ছে। মাসে একটা করে ইলেকশান হলে ভারি ভালো হতো :-)
  • হজবরল | 185.129.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১০511588
  • নলেজ ইকোনমির পরের স্টেপ বট(bot) ইকোনমি ? সেটা ত অলরেডি স্টার্ট হয়ে গেচে মনে হয়
  • যোষিতা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:০৯511591
  • S | 2a03:e600:100::27 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫৭
     
    পড়তাম। বানান ভুল বা তথ্য ভুল ধরিয়ে দিতাম, যেগুলো নেহাৎই না ধরালে নয়। কিন্তু এখন আর পড়ি না। এত মিথ্যা বা অর্ধসত্যের প্রচার চলছে এবং সেইসঙ্গে নাৎসীদের প্রতি প্রচ্ছন্ন আশকারা, যে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। অবিশ্যি উনি সঅব ই  জানেন। ঐ ওপর ওপর দেখে যে গভীর জ্ঞান লাভ হয়েছে সেইটুকু সম্বল করেই চলছে প্রোপাগ্যান্ডা সাহিত্য। আমি আর ওতে নেই। আমার সময়ের দাম আছে।
  • যোষিতা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:১৫511593
  • এবং যারা ওগুলো পড়ে উহ স্যার,  বাহ স্যার, ক্যাবাৎ ক্যাবাৎ করছে— তাদের এই দুরকম (সোভিয়েত এবং পশ্চিম) সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটা বা দুটোর ব্যাপারেই কোনও অভিজ্ঞতা নেই। 
    তারপর কালো চামড়ার মেয়েছেলে প্রতিবাদ করলে বা ভুল ধরিয়ে দিলে লোকে মানবে কেন? কলোনিয়াল হ্যাংওভার কি দুতিন প্রজন্মে দূর হয়? ডিএনএ মধ্যে মিশে গেছে যে।
  • lcm | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:২৪511596
  • পাওয়ার... ক্ষমতা...

    এগ্রি ইকনমিতে যাদের বেশি ল্যান্ড আর লাইভস্টক ছিল তাদের হাতে ছিল বেশি ক্ষমতা... ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ইকনমিতে কারখানার মালিকদের, ছোট বড় মাঝারি, সবারই কমবেশি পাওয়ার বিভিন্ন লেভেলে... যাদের শ্রম এগ্রি বা ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার হত তাদের কাছে বিশেষ ক্ষমতা ছিল না...

    এগ্রি থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে মুভ করার সময় এসেছিল মার্ক্সিস্ট থিওরি... শ্রম ভিত্তিক... এখানে শ্রম বলতে মূলত কায়িক শ্রমের কথাই ভাবা হয়েছে...

    যে লাঙল চালাচ্ছে, বা যে মেশিন চালাচ্ছে, অর্থাৎ যার শ্রম, উৎপাদিত সম্পদের ওপর তার অধিকার আগে...

    এগ্রিতে ব্যাপারটা অনুধাবন করা একটু সহজ... উৎপাদিত শস্য থেকে চাষী তার ভাগের শস্য নিয়ে চলে গেল... সে খুশি, কারণ তার ভাগের প্রাপ্য সে বুঝে নিয়েছে...

    কারখানার কি হবে? যে শ্রমিক রেলগাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করছে তাকে তো চাকার একটা টুকরো প্রাপ্য হিসেবে দিয়ে দেওয়া যায় না... এখানে সমষ্টি আসবেই...

    সোভিয়েত এটা ইম্প্লিমেন্ট করার চেষ্টা করেছিল সোশ্যালিস্ট কোঅপারেটিভ-এর মাধ্যমে... কোঅপারেটিভ ছিল জমি ও কারখানার মালিক, অর্থাৎ মানুষের শ্রমের মালিক... আইডিয়াটা ছিল যে কোঅপারেটিভও তো চালাচ্ছে মানুষ... তাহলে প্রকারান্তরে মানুষের নিজের শ্রমের মালিক হল মানুষ নিজেই।

    কিন্তু কার্যক্রমে দেখা গেল, সমষ্টি আর ব্যক্তির মধ্যে অধিকারবোধের সামঞ্জস্যে গন্ডগোল দেখা দিচ্ছে... দেখা গেল কোঅপারেটিভ কাউকে চালাতেই হয়... তাদের হাতে বেশি পাওয়ার চলে যাচ্ছে।

    সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা একটা সোভিয়েত করেছিল।
    কিন্তু, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের নয়।
  • lcm | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৩৪511597
  • একথা ঠিক বিভিন্ন দেশের রিসোর্স... যেমন, সোনা, প্রেসাস মেটাল, লোহা, পেট্রোলিয়াম ... এসব অন্য দেশ নিয়ে গেছে...

    কিন্তু গত শতাব্দীর দুটো বড় যুদ্ধের পর বোঝা গেল... আরও একটা সম্পদ ... হিউম্যান ব্রেইন... এটা নিয়ে যেতে হবে... নইলে কি হবে সোনাদানা সম্পদ দিয়ে, আসল সম্পদ হল মানুষের মস্তিষ্ক... আগের মানুষকে সম্পদ হিসেবে ভাবা হত না তা নয়... কিন্তু সেটা কায়িক শ্রমকে... মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তিকে তত নয়...

    ব্যাপারটা এভাবে ভাবুন... ধরুন, পৃথিবীতে ৫০ জনে মানুষের সাংঘাতিক উদ্ভাবনী শক্তি, উঁচু মানের চিন্তাশক্তি... আর ধরুন ২০০ জন লোকের খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ চিন্তাশক্তি, তারা যাই করুন গুছিয়ে মনোনিবেশ করে করতে পারেন। তো এই ২৫০ জন মানুষ ২০০ টা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। কোনো দেশ যদি এদের মধ্যে থেকে ৫০ জনকেও নিজের দেশে নিয়ে যেতে পারে তাহলে তারা এগিয়ে থাকবে... কারণ, বাকি ২০০ জন ছড়িয়ে আছেন ২০০টি দেশের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে... ব্রেন ড্রেইনে ইনভেস্ট করতে থাকল পশ্চিমের কিছু দেশ... কারণ তারা খুব ভাল করেই জানে, মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা এক অভাবনীয় রিসোর্স, এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা গোষ্ঠি বা জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়... কিন্তু এগুলোকে এক জায়গায় আনতে হবে... সমষ্টিতে আনতে হবে... এসে গেল নতুন সব শব্দবন্ধ - হিউম্যান ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট... ক্যাপিটাল বা মূলধন শুধু টাকাপয়্সা বা সোনাদানা নয়... ক্যাপিটাল হল মানুষের চিন্তাশক্তি... এসে গেল ক্রাউড সোর্সিং এর মতন শব্দ...

    এর সঙ্গে কিন্তু ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কিছু নেই... সম্পদ এবং ক্ষমতা সেই কেন্দ্রীভূত হয়েই রইল... শুধু সম্পদ তৈরির  নতুন কাঁচামাল এল বাজারে - মানুষের ব্রেইন... পাওয়ার ইকোয়েশন যেমন ছিল তেমনই রইল...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন